ইসলামী বিশ্বকোষ

মেরাজের দুলহা আমার নবী!

<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi_-zJ1XQVCQFmoAOUMKnQRky4H3zIAZ1e49zNYjFe8UePJ1Nkk97j8yAaHpTH1meIox4CpM9u_O1z5ihCuBOCunqhV4euLfYe5X4xGsDWmP62cE5zd3h-367TZ-jy7hkW930xpmsW3CdU/s1600/images+-+2022-02-27T221009.926.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="405" data-original-width="720" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi_-zJ1XQVCQFmoAOUMKnQRky4H3zIAZ1e49zNYjFe8UePJ1Nkk97j8yAaHpTH1meIox4CpM9u_O1z5ihCuBOCunqhV4euLfYe5X4xGsDWmP62cE5zd3h-367TZ-jy7hkW930xpmsW3CdU/s1600-rw/images+-+2022-02-27T221009.926.jpeg" width="320"></a></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><div class="separator" style="clear: both;">আমার ইমাম আ'লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, পরওয়ানায়ে শাময়ে রিসালাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, ইমাম আহমদ রযা খাঁন ইশকে মোস্তফা'র মধ্যে ডুবে মেরাজে মুস্তফা এর দৃশ্য অবলোকন করে “কসীদায়ে মেরাজিয়া”র লিখেছেন–</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">মেরাজের রাতে হুযুর সায়্যিদে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরশে মুয়াল্লায় উপস্থিত হলে তখন ঐ সম্মানিত মেহমানের খুশি ও আনন্দের জন্য সমস্ত উপকরণ একত্রিত করা হলো। মেরাজের রাতে সমস্ত ফেরেস্তা ও সমস্ত আসমানে যার যার সূর ও ছন্দে বুলবুলির মতো সংগীত গাইছে এবং বলছে যে, মেরাজের রাতের কেমন বাহার, হে বাহার! তোমায় এই আনন্দ মোবারক। আর হে বাগান! তোমাকেও আবাদ ও বাহার মোবারক, মেরাজের রাতে আসমান ও জমিনে উভয়ের উপর আনন্দ জোয়ার বইছে এবং সাড়া জাগাচ্ছে।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">মেরাজের রাতে নূর ওয়ালা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেরাজের খুশিতে নূরের বৃষ্টি বর্ষণ হচ্ছে। (যেমন নতুন দুলার আগমনে ফুল বর্ষণ করা হয়) মেরাজের রাতে হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে ঐ নূরকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সুঘ্রান সুবাশ ছড়াচ্ছে এবং খুব উৎফুল্ল, যেমনি ভাবে বিবাহের ঘরে হয়ে থাকে। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">মেরাজের রাতে খুশিতে হুযুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূরানী চেহারা থেকে এই পরিমাণ নূর বিচ্ছুরিত হচ্ছে যে, যেটা আরশ পর্যন্ত সমস্ত আসমান আলোকিত করে দিয়েছে। মেরাজের রাতে এই পরিমাণ আলো ঝলমল করছে যে, এমন মনে হচ্ছে; সব জায়গায় আয়না লাগিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কা'বা শরীফ এক নতুন দুলহানের মতো সুন্দর হয়ে গেছে। মেরাজের রাতে তার সৌন্দর্য্যের মধ্যে উৎসাহ ও যৌবন এসে গেলো এবং হাজরে আসওয়াদের উপর উৎসর্গ হয়ে যাবো যে, যেটা কা'বার মাঝখানে একটি তিলের মতো। মেরাজের রাত এর মধ্যে লাখো সাজ সজ্জার রং ভরে গেছে। মেরাজের রাতে মেরাজের দুলা , প্রিয় মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোবারক ও সম্মানীত এবং পবিত্র চক্ষুদ্বয়ে বিশেষ আলো রয়েছে। মেরাজের রাতে খুশির মেঘ দলবদ্ধ হয়ে আসছে, অন্তরের ময়ূর তার রং দেখাচ্ছে। মেরাজের রাতে নাতের মাধুর্য্য এমন পরিণত হয়েছে হেরমও উন্মত্ততায় ছিলো।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">মেরাজের রাতে কা'বার ছাদের উপর তৈরীকৃত সোনালী নালা যেটান নাম “মীযাবে যর” ঝুমুরের মতো মনে হচ্ছে। মেরাজের রাতে কা'বায়ে মুয়াজ্জমা চমকাচ্ছে এবং এর সুরবিত গিলাফ রাতের শীতল হাওয়ায় উড়াচ্ছে এবং এর থেকে সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে। মেরাজের রাতে সুঘ্রাণে মিশ্রিত কা'বার গিলাফ উন্মত্ত হয়ে আন্দোলিত হচ্ছে । মেরাজের রাতে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য ও সুউচ্চ চুঁড়া এত সুন্দর দেখাচ্ছে যে,</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">বাহ! বাহ! কি বলবো। মেরাজের রাতে সকালের বাতাস তার সবুজের মধ্যে এমন দোলা দিচ্ছে যে, এমন মনে হচ্ছে; যেরূপ পাহাড় সমূহ সবুজ রঙ্গের উড়না উড়িয়ে রেখেছে। মেরাজের রাতে নদীর অবস্থা এটাই ছিলো যে, নদীরা গোসল করে প্রবাহিত পানির উজ্জ্বল পোশাক পরিধান করেছে। মেরাজের রাতে মেরাজের দুলা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অভ্যর্থনা জানাতে, চাঁদের চাঁদনীর পুরনো বিছানা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আলোকিত সৃষ্টির চোখের স্বর্ণ ও রেশমের সূতা দিয়ে তৈরীকৃত বিছানা বিছিয়ে দেওয়া হয়ে ছিলো। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">আজও আশেকানে রাসুলের অন্তরকে খুশির হাওয়া আন্দোলিত করে যায় মেরাজ এর রজনীতে। নিয়ে আসে ইবাদতে নতুন রঙ। শুরু হয়ে যায় মাহে রামাদানের প্রস্তুতি। মুখ বারবার বলে ওঠে–</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">'ওহ সারওয়ারে কিশওয়ারে রিসালাত</div><div class="separator" style="clear: both;">জু আরশ পর জলওয়া গর হুয়ে থে'</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">আমার প্রিয় রব তায়ালা কত সুন্দরই না বলেছেন–</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا ۚ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল। -সূরা বনী ঈসরাইল, আয়াত: ১</div></div>

মেরাজের দুলহা আমার নবী!

আমার ইমাম আ'লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, পরওয়ানায়ে শাময়ে রিসালাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, ইমাম আহমদ রযা খাঁন ইশকে মোস্তফা'র ম...

ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২

কিতাব: কুরআনের আশ্চর্য ও অনন্য ঘটনা

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0wm6_vdYQkg3NU4cihoVU0johsEct2_n5S9NWRccgofnKzPPj8y2qK7jAZwqAojy_FGH-LhNmPzEo_DKEEziRREBM3Bj_rLbn9cwLjkWopmhLiHYuEAcP4pMRZw7FyrVKFBweJV-xOnE/s1600/20220225_141627.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="2130" data-original-width="3264" height="208" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0wm6_vdYQkg3NU4cihoVU0johsEct2_n5S9NWRccgofnKzPPj8y2qK7jAZwqAojy_FGH-LhNmPzEo_DKEEziRREBM3Bj_rLbn9cwLjkWopmhLiHYuEAcP4pMRZw7FyrVKFBweJV-xOnE/s1600-rw/20220225_141627.jpg" width="320"></a>
  
  <script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-4764538538908287"
     crossorigin="anonymous"></script>

<ins class="adsbygoogle"
     style="display:inline-block;width:728px;height:90px"
     data-ad-client="ca-pub-4764538538908287"
     data-ad-slot="7318109511"></ins>
<script>
     (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
  
  </div><br></div><div>কুরআনুল কারিমে বর্ণিত আশ্চর্য সব ঘটনা এবং অসংখ্য শিক্ষণীয় মাদানী ফুল সমৃদ্ধ আল্লামা আমজাদ আলী আযমী রাহিমাহুল্লাহ'র লিখিত কিতাব–</div><div><br></div><div>📚কুরআনের আশ্চর্য ও অনন্য ঘটনা</div><div>মূল্য: ৩০০৳</div><div><br></div><div>উপস্থাপনায়:</div><div>আল মাদীনাতুল ইলমিয়া মজলিস </div><div>(দাওয়াতে ইসলামী)</div><div>Islamic Research Center</div><div><br></div><div>সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর বাইরে থেকে নিতে চাইলে কুরিয়ার চার্জ প্রযোজ্য হবে। অর্ডার করতে আমাদের ফেসবুক পেইজে (Swadhin Ahmed Attari) যোগাযোগ করুন।</div><div><br></div><div>আরো জানতে: 01719-125768</div>

কিতাব: কুরআনের আশ্চর্য ও অনন্য ঘটনা

কুরআনুল কারিমে বর্ণিত আশ্চর্য সব ঘটনা এবং অসংখ্য শিক্ষণীয় মাদানী ফুল সমৃদ্ধ আল্লামা আমজাদ আলী আযমী রাহিমাহুল্লাহ'র লিখিত ...

ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২২

কিতাব: ফয়যানে আমিরে মুয়াবিয়া

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjxZ-ntERTvkA-ctVjfWUcAkdY61iujDnxWczwrUb12THiWJVDIV2goR1FO4sdPY8d5cLET-9OAnAg1oE2A7PsarRl5evNWZGWEL0DGmu1iNiL1t_7lA57_jJG40Crl7Y66qP51mBGn5k/s1600/InShot_20220224_140746699.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="1920" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjxZ-ntERTvkA-ctVjfWUcAkdY61iujDnxWczwrUb12THiWJVDIV2goR1FO4sdPY8d5cLET-9OAnAg1oE2A7PsarRl5evNWZGWEL0DGmu1iNiL1t_7lA57_jJG40Crl7Y66qP51mBGn5k/s1600-rw/InShot_20220224_140746699.jpg" width="320"></a>
  
  <script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-4764538538908287"
     crossorigin="anonymous"></script>

<ins class="adsbygoogle"
     style="display:inline-block;width:728px;height:90px"
     data-ad-client="ca-pub-4764538538908287"
     data-ad-slot="7318109511"></ins>
<script>
     (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
  
  </div><br></div><div>প্রথম ইসলামী বাদশাহ, কাতিবে অহী হযরত সায়্যিদুনা আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিআল্লাহু আনহু এর ফযিলত ও মর্যাদা, গুণাবলী ও রাজত্বকালের সোনালী ঘটনাবলী সম্বলিত সংকলিত কিতাব–</div><div><br></div><div>📚ফয়যানে আমীরে মুয়াবিয়া </div><div>মূল্য: ২৩০৳</div><div><br></div><div>উপস্থাপনায়: </div><div>আল-মাদীনাতুল ইলমিয়া মজলিস</div><div>(দাওয়াতে ইসলামী)</div><div>Islamic Research Center  </div><div><br></div><div>___</div><div>অর্ডার করতে আমাদের পেইজ ইনবক্সে মেসেজ করুন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর ভেতরে ডেলিভারি চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি।</div><div><br></div><div>Page: Swadhin Ahmed Attari </div><div>For more Enquire: 01719-125768 (WhatsApp)</div>

কিতাব: ফয়যানে আমিরে মুয়াবিয়া

প্রথম ইসলামী বাদশাহ, কাতিবে অহী হযরত সায়্যিদুনা আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিআল্লাহু আনহু এর ফযিলত ও মর্যাদা, গুণাবলী ও রাজত্বকালের স...

ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২২

ঘরে বসে কিতাবগুলো কিনতে–

<div>মাকতাবাতুল মাদীনা -থেকে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ কিতাবগুলো আজই সংগ্রহ করুন। অনলাইনে অর্ডার করতে আমাদের পেইজ ইনবক্সে মেসেজ করুন। </div><div><br></div><div>সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে ডেলিভারি চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি। </div><div><br></div><div>Fb Page: Swadhin Ahmed Attari </div><div>বিস্তারিত জানতে: 01719-125768</div><div><br></div><div>📚তামহীদুল ঈমান বা ঈমানের পরিচয় </div><div>মূল্য: ১৩০৳</div><div><br></div><div>📚নামাজের আহকাম</div><div>মূল্য: ১৪০৳</div><div><br></div><div>📚ইসলামি বোনদের নামাজ </div><div>মূল্য: ১৪০৳</div><div><br></div><div>📚পর্দা সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর</div><div>মূল্য: ১৪০৳</div><div><br></div><div>📚ফয়যানে মেরাজ</div><div>মূল্য: ১১০৳</div><div><br></div><div>📚সায়্যিদুনা ওমর বিন আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহির ৪২৫টি ঘটনা</div><div>মূল্য: ২৩০৳</div><br><br><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh_jmRl2tjPFUT089z9CxopFT-BOYMmW-IbnURu9VP5Mmux0FSd2Z-8mmtKDRAWLvHUuz-YxRrIMM5AcF6WPRSZ0-WtcO4Y9EVtkxS7nbyL-h99F8CA27KZt61UkhWEVY7ALT5CZjaZIak/s1600/20220222_003309.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="3263" data-original-width="3264" height="319" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh_jmRl2tjPFUT089z9CxopFT-BOYMmW-IbnURu9VP5Mmux0FSd2Z-8mmtKDRAWLvHUuz-YxRrIMM5AcF6WPRSZ0-WtcO4Y9EVtkxS7nbyL-h99F8CA27KZt61UkhWEVY7ALT5CZjaZIak/s1600-rw/20220222_003309.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgyJcacliL37yBvyB30jmie5ihBY0jot_V5r2VyE8uwGKEOpWC7YJnq-KbAbdPOzarLiNyAQ4eDEGJ37rjCUpb13z7yF05nAGl0NRF02oB8wEl9EJILYe1yrwrg2GvuzGjWe9BKhL3WyuQ/s1600/20220222_135903.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="3261" data-original-width="3264" height="319" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgyJcacliL37yBvyB30jmie5ihBY0jot_V5r2VyE8uwGKEOpWC7YJnq-KbAbdPOzarLiNyAQ4eDEGJ37rjCUpb13z7yF05nAGl0NRF02oB8wEl9EJILYe1yrwrg2GvuzGjWe9BKhL3WyuQ/s1600-rw/20220222_135903.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhnAFIUCvJnVOeS91N-vcpXXnBmJVqr5Ovv4Hq_lc0regPwSJHnsFl6So0Oqii64q4wviEe_61p43P3N7PozSEBraG6OhgKGOr_IokLLvY6g9A36yaphbIENBDJPdHAp5eqUMg5LE8TESw/s1600/20220222_211156.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="3263" data-original-width="3264" height="319" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhnAFIUCvJnVOeS91N-vcpXXnBmJVqr5Ovv4Hq_lc0regPwSJHnsFl6So0Oqii64q4wviEe_61p43P3N7PozSEBraG6OhgKGOr_IokLLvY6g9A36yaphbIENBDJPdHAp5eqUMg5LE8TESw/s1600-rw/20220222_211156.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh1otTzdOQG_2RupEg3vAF5qiI-QyziPYRZz76YlOm-EHxS92_Scg9EkmCqV3ZXjDzpX21JuHV1isa8pCNldJ8qcXznpqDQ-lgjJcNaxl7ORdK05XInccwetIEDc9ywetKpZPbFcHvZMfA/s1600/20220222_211212.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="3263" data-original-width="3264" height="319" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh1otTzdOQG_2RupEg3vAF5qiI-QyziPYRZz76YlOm-EHxS92_Scg9EkmCqV3ZXjDzpX21JuHV1isa8pCNldJ8qcXznpqDQ-lgjJcNaxl7ORdK05XInccwetIEDc9ywetKpZPbFcHvZMfA/s1600-rw/20220222_211212.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigatmX9zbkjs9veBV7zrK8beD5uKBoNbcD1CNbCKoD6zNq4S8yPKGv2pMOiFKld4-8ESjbHzobLksfqhmqKvP9ANUC8OdpWk1R0rtS6femE0cVb6BM1dSQ0zCcGf4XWIUIzfgqW06y5ag/s1600/20220222_211224.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="3263" data-original-width="3264" height="319" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigatmX9zbkjs9veBV7zrK8beD5uKBoNbcD1CNbCKoD6zNq4S8yPKGv2pMOiFKld4-8ESjbHzobLksfqhmqKvP9ANUC8OdpWk1R0rtS6femE0cVb6BM1dSQ0zCcGf4XWIUIzfgqW06y5ag/s1600-rw/20220222_211224.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGvzCUO6jzNVIVFS74h2iiz40sfADHGJ3ApfG-sdnwfmB7JPym8em6DvXp1Pg8Qgx2lqz16H7pcYjAMXsB8nog1KR0RC1mUWID_NrwgQOJLOabeJqjQKM3EEnJ2DUpW9V90d-fWpJ8f0c/s1600/20220222_211302.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="3264" data-original-width="3257" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGvzCUO6jzNVIVFS74h2iiz40sfADHGJ3ApfG-sdnwfmB7JPym8em6DvXp1Pg8Qgx2lqz16H7pcYjAMXsB8nog1KR0RC1mUWID_NrwgQOJLOabeJqjQKM3EEnJ2DUpW9V90d-fWpJ8f0c/s1600-rw/20220222_211302.jpg" width="319"></a></div>

ঘরে বসে কিতাবগুলো কিনতে–

মাকতাবাতুল মাদীনা -থেকে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ কিতাবগুলো আজই সংগ্রহ করুন। অনলাইনে অর্ডার করতে আমাদের পেইজ ইনবক্সে মেসেজ করুন। সিলেট সিটি কর্প...

ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২২

হিন্দু ধর্মে নারীদের পর্দার কথা

<p style="text-align: justify;"> 🌸হিন্দু ধর্মে নারীদের পর্দার কথা🌸</p><p style="text-align: justify;">হিন্দুরা মনে করে তাদের ধর্মগ্রন্থে নারীদের পর্দার কথা বলা নেই। আসলে এটা তাদের ভুল ধারণা, কারন হিন্দুদের বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের ধর্মগ্রন্থ পড়ে দেখেনা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আপনি যদি পড়েন তাহলে দেখতে পাবেন</p><p style="text-align: justify;">[[এটার উল্লেখ আছে, ঋগবেদ, অধ্যায় নাম্বার ৮ , অনুচ্ছেদের ৩৩, পরিচ্ছেদ ১৯, বলা হয়েছেঃ-</p><p style="text-align: justify;">যেহেতু ব্রহ্মা তোমাদের নারী করেছেন তাই দৃষ্টিকে অবনত রাখবে, উপরে নয়। নিজেদের পা সামলে রাখো। এমন পোষাক পড়ো যাতে কেউ তোমার দেহ দেখতে না পায়।]]</p><p style="text-align: justify;">এটার উল্লেখ আছে ঋগবেদ, গ্রন্থ নম্বার ১০, অনুচ্ছেদ ৮৫, পরিচ্ছেদ ৩০ বলে হয়েছেঃ-</p><p style="text-align: justify;">[[সেই লোক কে কেউ পছন্দ করেনা যে তার নিজের স্ত্রীর পোশাক দিয়ে নিজের উরু ডেকে রাখে। অর্থাৎ কোন মানুষ তার বিপরীত লিঙ্গের মানুষের পোশাক পরা নিষিদ্ধ।]]</p><p style="text-align: justify;">এটার উল্লেখ আছে মহাবীর চরিত্রের অধ্যায় নাম্বার ২, পৃষ্ঠা নাম্বার ৭১, বলা হয়েছেঃ-</p><p style="text-align: justify;">[[রাম বলছেন, যখন পরশুরাম আসলেন তখন তার স্ত্রী শীতাকে বললেন উনি আমাদের গুরুজন তোমার দৃষ্টি নিচু করো আর পর্দা দিয়ে ডাক।]]</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">বিঃদ্রঃ- আমি অনেক হিন্দু ব্যক্তির কাছে শুনেছি অথবা হিন্দু লেখকদের বই পড়েছি যেখানে তারা বলেছে ইসলাম একটা জঘন্য ধর্ম (নাউজোবিল্লাহ) কারন তারা মেয়েদের পর্দায় রাখে। আমি খুব অবাক হই তারা কি নিজেদের ধর্মগ্রন্থ গুলো একটুও পড়ে দেখেনা। আর যদি নাই পড়ে তাহলে তারা কীভাবে হিন্দু ধর্মের অনুসারী হয়।</p><p style="text-align: justify;">ভেবে দেখুন উপরে যেগুলো নির্দেশ দেয়া হয়েছে সে গুলোতো ইসলামেও দেয়া হয়েছে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">শরীর ঢাকার কথা অর্থাৎ ভালো পোষাক পরার কথা। পাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার কথা এবং নিজেদের দৃষ্টিকে অবনত রাখার কথাও বলা হয়েছে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">হিন্দু ধর্মে পর্দার বিধান:</p><p style="text-align: justify;">ইতিহাস বলে- হিন্দু সভ্যতার সময় হিন্দু মহিলাগণও পর্দা করেছে। বর্তমান হিন্দু মহিলার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ঘোমটা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত -</p><p style="text-align: justify;">ঋগে¦দে আছে, “হে নারী! তুই নীচে দৃষ্টি রাখ, ঊর্ধ্বে দৃষ্টি করিস না। আপন পদযুগল একত্রে মিলিয়া রাখ্। তোর নাক যেন কেউ দেখতে না পায়, যদি এমনি লজ্জাবতী হতে পারিস, তাহলে নারী হয়েও তুই সম্মানের পাত্রী হতে পারবি”।</p><p style="text-align: justify;">“মহিলারা পুরুষদের মতো পোশাক পরিধান করবে না এবং পুরুষরাও তাদের স্ত্রীদের পোশাক পরিধান করবে না।” (ঋগে¦দ গ্রন্থ নং ১০ - অনুচ্ছেদ ৮৫ - পরিচ্ছেদ - ৩০)</p><p style="text-align: justify;">হিন্দু ধর্মে নারীদের জীবন বিধান ও পর্দা যে কত কঠোর তার প্রমাণ পাওয়া যায় হিন্দুদের পবিত্র সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ মনুসংহিতায়-</p><p style="text-align: justify;">১. “কি বালিকা, কি যুবতী, কি বৃদ্ধা কোন স্ত্রীলোকেরই নিজ গৃহেও স্বাধীনভাবে কোন কার্য করা উচিত নয়।” (স্ত্রী ধর্ম: ১৪৭)</p><p style="text-align: justify;">২. “স্ত্রীলোক শৈশবে পিতার বশে, যৌবনে স্বামীর বশে এবং স্বামীর দেহান্ত হইলে পুত্রদিগের বশে থাকিবে।” (স্ত্রী ধর্ম: ১৪৭)</p><p style="text-align: justify;">৩. “স্ত্রীলোকগণ পিতা, স্বামী, পুত্রগণ হইতে বিভিন্ন থাকিতে ইচ্ছা করিবে না। যেহেতু স্ত্রী লোকেরা ইহাদের নিকট হইতে পৃথক থাকিলে অকার্যানুষ্ঠান দ্বারা পিতৃকুলও শ্বশুরকুল কলঙ্কিত করিতে পারে।” (স্ত্রী ধর্ম : ১৪৯)</p><p style="text-align: justify;">৪. “স্ত্রী, পতির দেহান্ত হইলে পবিত্র পুষ্প, ফল মূলাদি দ্বারা, স্বল্প আহার দ্বারা, ইচ্ছাক্রমে নিজ দেহ ক্ষীণ করিবে, পর-পুরুষের নাম পর্যন্তমনে গ্রহণ করিবে না।” (স্ত্রী ধর্ম : ১৫৭)</p><p style="text-align: justify;">৫. “পতি নিদ্রিত হইলে, মনে মনে পতিকে চিন্তা করিতে করিতে তাহার পার্শ্বে নিদ্রা যাইবে। সেই সময় বিবস্ত্রা হইবে না, সতর্ক হইয়া শয়ন করিবে, অন্য কামনা-শূন্য (ঝবী) জিতেন্দ্রিয় হইয়া থাকিবে।” (স্ত্রী ধর্ম : ১৫৭)</p><p style="text-align: justify;">(স্ত্রীগণ পর-পরুষের সাথে তো দূরের কথা, নিজ স্বামীর সামনেও বিবস্ত্রা হইতে পারিবে না।)</p><p style="text-align: justify;">‘হিন্দু মনীষীদের উপদেশাবলী’ গ্রন্থের কয়েকটি উপদেশ নিম্নে সন্নিবেশিত হলো :</p><p style="text-align: justify;">১. ওহে কুমারী সকল, তোমরা নিজেদেরকে বহু পুরুষের ভোগের বস্তুতে পরিণত করিও না।</p><p style="text-align: justify;">২. তোমরা তোমাদের ঐ শরীরকে বহু পুরুষের চক্ষু-ইন্দ্রিয় হইতে সর্বদা আগলিয়া রখিবে।</p><p style="text-align: justify;">৩. এমন স্থানে স্নান সমাপ্তি করিও যেখানে কোন পুরুষের দৃষ্টি নিবদ্ধ হইবে না।</p><p style="text-align: justify;">পর্দা বিদ্বেষী লেখক মাহমুদ শামসুল হক তার ‘নারী কোষ’ বই এর ১৭৭-১৭৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন; এক সময় হিন্দু নারীরাও মশারীর ভেতরে বসে গঙ্গাস্নানে যেত। ভারত বর্ষীয় হিন্দু-মুসলিম নারী অসুখেও ডাক্তার দেখাতো ঘেরা টোপের আড়াল থেকে। প্রাচীনকাল থেকে হিন্দু সমাজে ‘অসূর্যস্পর্শ্যা’ নামক একটি শাস্ত্রীয় শব্দ চালু আছে। অর্থাৎ সূর্যালোকও নারীদের ছোঁবে না।</p><p style="text-align: justify;">#<b>সংগৃহীত</b></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">সকল ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষ সহনশীল হোক, পরমতসহিষ্ণুতা জাগ্রত হোক।</p>

হিন্দু ধর্মে নারীদের পর্দার কথা

🌸হিন্দু ধর্মে নারীদের পর্দার কথা🌸 হিন্দুরা মনে করে তাদের ধর্মগ্রন্থে নারীদের পর্দার কথা বলা নেই। আসলে এটা তাদের ভুল ধারণা, কারন হিন্দুদের...

ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২

ধর্ম মানুষকে সত্য অনুসন্ধানে বাঁধা দেয়?

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEha_-1vYvI5GmAUbUXwvyfClx5NbVsjpVWWq7rzlSIeBHxdLu20jqBAUjyl8QfsXi4KO6et3YqZWw6-K2xgWKz6SlgPeCHZxRxm_ISG0FUgjyvKOQIUIDhiiwld2wXUovoiDbZ6D1HwKA0/s1600/20220212_163819.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1831" data-original-width="3264" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEha_-1vYvI5GmAUbUXwvyfClx5NbVsjpVWWq7rzlSIeBHxdLu20jqBAUjyl8QfsXi4KO6et3YqZWw6-K2xgWKz6SlgPeCHZxRxm_ISG0FUgjyvKOQIUIDhiiwld2wXUovoiDbZ6D1HwKA0/s1600-rw/20220212_163819.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>'বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের পার্থক্যটা এই যে, ধর্ম স্থিতাবস্থাকে রক্ষা করতে চায়। মানুষের কাছে তার দাবী প্রশ্নহীন আনুগত্য। ধর্ম মানুষকে প্রশ্ন করতে, সত্যের অনুসন্ধান করতে বাঁধা দেয়।'</div><div><br></div><div>কথাগুলো লিখা আছে, ড. নিশীত কুমার পাল এর 'বিজ্ঞান বিচিন্তা' বইয়ে। আর একজন মুসলিম হিসেবে কথাগুলো আমি একদমই নিতে পারলাম না। আমার ধর্মীয় উপলব্ধি থেকে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি।</div><div><br></div><div>আল্লাহ তায়ালা সূরা ফাতির এর ২৮ নং আয়াতে বলেন-</div><div><br></div><div>اِنَّمَا یَخۡشَی اللّٰهَ مِنۡ عِبَادِهِ الۡعُلَمٰٓؤُا ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِیۡزٌ غَفُوۡرٌ ﴿۲۸﴾</div><div><br></div><div>কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আল্লাহকে তাঁর বান্দদের মধ্যে তারাই ভয় করে, যারা জ্ঞানসম্পন্ন।</div><div><br></div><div>তার মানে এটা হতেই পারে না যে, কেউ আল্লাহও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য করবে– আর সে অবোধ/মূর্খ হবে। বরং যারাই প্রকৃত মুত্তাকী তারা অবশ্যই জ্ঞানসম্পন্ন হবে। তারপর আল্লাহ তায়ালা সূরা আম্বিয়ার ৭ নং আয়াতে বলেন-</div><div><br></div><div>فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ</div><div><br></div><div>কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে লোকেরা! জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস করো যদি তোমাদের জ্ঞান না থাকে।</div><div><br></div><div>এটা স্পষ্ট যে একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারীকে জ্ঞান অর্জনের প্রতি অনেক বেশি জোর দেয়া হয়েছে। তাকে অজানা প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে গবেষণা করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।</div><div><br></div><div>আল্লাহ তায়ালা সূরা আশ-শূরার ৩৩ নং আয়াতে ইরশাদ করছেন-</div><div><br></div><div> اِنۡ یَّشَاۡ یُسۡکِنِ الرِّیۡحَ فَیَظۡلَلۡنَ رَوَاکِدَ عَلٰی ظَهۡرِهٖ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّکُلِّ صَبَّارٍ شَکُوۡرٍ </div><div><br></div><div>'তিনি যদি চান বাতাসকে থামিয়ে দিতে পারেন। ফলে জাহাজগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠে গতিহীন হয়ে পড়বে। নিশ্চয় এতে পরম ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।'</div><div><br></div><div>আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নিদর্শন আমাদের চারিপাশে ছড়িয়ে আছে। এবং জ্ঞানীরাই এসব নিয়ে চিন্তা-গবেষনা করে। আর যারা এসব নিয়ে গবেষণা করে, তারাই আল্লাহ তায়ালার পরিচয় পেতে থাকে। সুতরাং কোথাও এ কথা বলার কোনো অবকাশ নেই যে– ধর্ম মানুষকে প্রশ্ন করতে, গবেষণা করতে বাধা প্রদান করে। বরং ইসলাম তো জ্ঞানীদেরকে প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে গবেষণা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে। অসংখ্য হাদীসে মোবারাকায়ও ইলম অর্জনের প্রতি মুসলমানদেরকে জোর দেয়া হয়েছে। </div><div><br></div><div>সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন- 'হযরত সায়্যিদুনা সুলায়মান আলাইহিস সালামকে বাছাই করার সুযোগ দেয়া হলো যে, তিনি ইলম, সম্পদ ও সাম্রাজ্য থেকে কোনটা বাছাই করবেন। তিনি ইলমকেই বাছাই করে নিলেন। এবং এর বরকতে আল্লাহ তায়ালা তাকে বাকী নিয়ামতগুলোও দান করে দিলেন।' -তারিখে ইবনে আসাকির, সুলায়মান ইবনে দাউদ, ২২/২৭৫</div><div><br></div><div>তার মানে বুঝাই যাচ্ছে, পূর্বেকার যুগ থেকেই মুসলমানরা ইলমের অনুরাগী ছিল। যার দ্বারা তাঁরা সম্মান, ক্ষমতা লাভ করেছেন পৃথিবীতে। ইসলাম মানুষকে প্রতিটা সেকেন্ডে গাইড করে। মানুষকে মানুষ বানায়। আমি নিঃসন্দেহে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে নই। তবে সব সমাধান আপনি বিজ্ঞানে পাবেন না। সব প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞান জানে না। জনৈক ব্যক্তি একটা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এখন তার শাস্তি কি হবে তা বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করুন! পারবেন? না হয়তো। কারণ বিজ্ঞান সীমাবদ্ধ। </div><div><br></div><div>আর বিজ্ঞানে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং এটা স্পষ্ট বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে, ইসলাম কখনো অন্তরায় নয় বরং সাহায্যকারী। আমি যদি শুধু ইমাম আলা হযরত রাহিমাহুল্লাহর বিজ্ঞান গবেষণার কথা বলি, তাও বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তাঁকে নিয়ে পড়তে বসলে আপনি ক্ষনে ক্ষণে থমকে যাবেন। তাঁর গবেষণাগুলো আপনাকে বিস্মিত করবে।</div><div><br></div><div>সুতরাং ধর্ম কখনো আমাদেরকে প্রশ্ন করতে বাঁধা দেয় না। আপনি নামাজ নিয়ে প্রশ্ন করতে চান? জানতে চান নামাজ এর শারীরিক উপকারীতা কি? তবে জানুন।</div><div><br></div><div>পাকিস্তানি ডাক্তার মাজেদ যামান ওসমানী ইউরোপে ফিজিওথেরাপিতে উচ্চ ডিগ্রির জন্য গেলেন। সেখানে তাকে ব্যায়াম সম্পর্কে যা কিছু শেখানো হলো সেই পাঠ ছিল পুরোপুরি নামাজের মতো। তিনি অবাক হয়ে বললেন, এ পর্যন্ত শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে আমি নামাজ আদায় করেছি, কিন্তু এখানে দেখতে পাচ্ছি বিস্ময়কর ব্যাপার। নামাজের মতো ব্যায়ামের মাধ্যমে বড় বড় রোগ ভালো হয় যাচ্ছে। ডাক্তার সাহেব লিখে দিলেন, এ ব্যায়াম অনুশীলন মাধ্যমে যেসব রোগ আরোগ্য হতে পারে তা হলো-</div><div><br></div><div>মস্তিষ্কের রোগ বা মেন্টাল ডিজিজ, স্নায়বিক রোগ, মানসিক রোগ, অস্থিরতা ও অবসাদজনিত রোগ, হৃদরোগ, আর্থাইটিস, ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ, পাকস্থলীর ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট অন্যান্য রোগ, চোখ এবং গলার রোগ। বিখ্যাত একজন আমেরিকান ডাক্তার তার এক সাক্ষাৎকারে নামাজ এবং ইসলাম সম্পর্কে তার জীবনের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন।</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, নামাজ হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ ব্যায়াম। এতে শারীরিক ও পাশবিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার প্রশ্ন দেখা দেয় না। যিনি নামাজের এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছেন তিনি সম্ভবত আধুনিক যুগের যান্ত্রিক এবং মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই এ পদ্ধতির বিন্যাস ঘটিয়েছেন। নামাজে হাত তোলা, হাত বাঁধা, নিচের দিকে চোখ রাখা, আবার হাত ছেড়ে দেয়া, ঝুঁকে যাওয়া, মন মস্তিষ্ককে কেন্দ্রীভূত রাখা, অধিক রক্ত সঞ্চালনের সুযোগ দেয়া, কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে হাঁটু ভেঙে বসা, এসব কিছুই হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ ব্যায়ামের পদ্ধতি।</div><div><br></div><div>গুগল করলে নামাজের অংসখ্য হেল্থ বেনিফিট সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। তদ্রূপ ইসলামের আরো যেকোনো বিষয় অথবা রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ নিয়ে গবেষণা করলে নিঃসন্দেহে সেটার দুনিয়াবি ফায়দাও আপনি দেখতে পারবেন। কোনো জিনিস আপনার জ্ঞান দ্বারা বুঝে না আসলে, সেটা অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায় না। স্বর্ণ পরিমাপক দিয়ে আপনি হাতির ওজন মাপতে পারবেন না। তার মানে এই না যে হাতির ওজন নেই। তদ্রূপ আপনার জ্ঞানও সীমিত। আপনার জ্ঞান দ্বারা বুঝে না আসলে কোনো জিনিস রহিত হয়ে যায় না।</div><div><br></div><div>Islam values claim "knowledge of reality based not on reason alone, but also on revelation and inspiration".</div><div><br></div><div>Muslim scholars have developed a spectrum of viewpoints on science within the context of Islam. The Quran and Islam allows for much interpretation when it comes to science. Scientists of medieval Muslim civilization contributed to the new discoveries of science</div><div><br></div><div>ভুল-ত্রুটি সংশোধনযোগ্য।</div><div>Swadhin Ahmed Attari</div>

ধর্ম মানুষকে সত্য অনুসন্ধানে বাঁধা দেয়?

'বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের পার্থক্যটা এই যে, ধর্ম স্থিতাবস্থাকে রক্ষা করতে চায়। মানুষের কাছে তার দাবী প্রশ্নহীন আনুগত্য। ধর্ম মানুষকে প্রশ্ন...

ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২

দীদারে এলাহী- ০১

<div>ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ তার المسند কিতাবে সায়্যিদুনা হজরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা'আলা হতে বর্ণনা করেন, عن ابن عباس، قال: قال رسول الله ﷺ    : رايت ربي تبارك وتعالي</div><div>"আল্লাহর রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন, আমি আমার মহিয়ান গরিয়ান প্রভুকে (মিরাজ রজনীতে) দেখেছি।"</div><div>☞ ক. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, আল মুসনাদ, ৪/৩৫০ পৃঃ, হাদিস নংঃ ২৫৮০।</div><div>খ.ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, আল মুসনাদ, ৪/৩৮৬ পৃঃ, হাদিস নংঃ ২৬৩৪, এ কিতাবের তাহকীককারী শায়খ শুয়াইব আরনাউত এটিকে সহীহ বলেছেন।</div><div>গ. ইমাম আবু সাঈদ ইবনে আরাবী, আল-মু'জাম, হাদিস নংঃ ৪০৫</div><div>ঘ. ইমাম ইবনে আসেম, আস সুন্নাহ, ১/১৮৮ পৃঃ, হাদিস নংঃ ৪৩৩</div><div>ঙ. ইমাম ইবনে আসেম, আস সুন্নাহ, ১/১৯১ পৃঃ, হাদিস নংঃ ৪৪০</div><div>চ. ইমাম আজরী, আশ- শারিয়াহ, ৩/১৫৪২ পৃঃ, হাদিস নংঃ ১০৩৩</div><div>ছ. ইমাম ইবনে সালেহী শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ৩/৬৩ পৃঃ।</div><div>জ. ইমাম ইবনে কাসীর, তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৭ম খন্ড, ৪৫০ পৃঃ, তিনি বলেন: فاانه حديث اسناده عالي شرط الصحيح - নিশ্চয় এই হাদিসটি সহীহ বুখারীর শতানুসারে সহীহ।</div><div><br></div><div>"ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহঃ তারالخصاءص الكبري কিতাবে এবং ইমাম আব্দুর রহমান মানাভী রহঃ আলোচ্য হাদিসখানাকে তার  تيسرشرحاالجمع الصغير কিতাবে সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।"</div><div><br></div><div>☞ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহঃ এটি সংকলন করার পূর্বে লিখেন- واخرج احمد بسند صحيح عن ابن عباسعباس- "ইমাম আহমদ রহঃ সহীহ সনদে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু হতে বণনা করেন।"(ইমাম সুয়ুতি, খাসায়েসুল কোবরা, ১/২৬৭ পৃঃ) </div><div>আল্লামা মানাভী রহঃ বলেন - باسند صحيح --এ হাদিসটির সনদ সহীহ (ইমাম মানাভী, তাইসীর বিশারহে জামেউস সাগীর, ২/২৫ পৃঃ) </div><div>ইমাম নুরুদ্দীন হাইসামী রহঃ বলেন- رواح احمد، ورجال الصحيح- " হাদিসটি ইমাম আহমদ রহঃ বর্ণনা করেছেন, হাদিসের সকল রাবী সহীহ বুখারীর ন্যায়।"(হায়সামী, মাযমাউয-যাওয়াইদ,১/৭৮ পৃঃ, হাদিস নংঃ ২৪৭) </div><div>এমনকি আহলে হাদিসদের মান্যবর নাসিরুদ্দিন আলবানীও এটিকে সহীহ বলেছেন। (আলবানী, সহীহুল জামে, হাদিস নংঃ ৩৪৬৬)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRp1EXm_EagJp4gCRZMyWlCy45u1UTOaPmoF650zVTckiVXEvv2-zRyZs3eMA6SEhPv5022kG2X2E60lXlNcWo4Yb9xYuju1gSRPxyd899npD9J4ApKbWeBoWn0gkQTqSt0MsQ2jmPGeUl/s1600/20220206_182840.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRp1EXm_EagJp4gCRZMyWlCy45u1UTOaPmoF650zVTckiVXEvv2-zRyZs3eMA6SEhPv5022kG2X2E60lXlNcWo4Yb9xYuju1gSRPxyd899npD9J4ApKbWeBoWn0gkQTqSt0MsQ2jmPGeUl/s1600-rw/20220206_182840.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>ইমাম তাবরানী রহঃ সহ আরও অনেকে সংকলন করেন, عن ابن عباس رضي الله  عنهام كان يقول: ان محمد ﷺ، راي ربه مرتين: مرة ببصره، ومرة بفءاده</div><div>"হজরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল ﷺ দুইবার আল্লাহ তা'আলাকে দেখেছেন।একবার চমচোখে, একবার অন্তর চোখে।"</div><div>☞ক.ইমাম তাবরানী, মুজামুল কাবীর, ১২/১৭ পৃঃ, হাদিস নংঃ ১২৫৬৪</div><div>খ.ইমাম তাবরানী, মুজামুল আওসাত, ২/৩৫৬ পৃঃ, হাদিস নংঃ ৫৭৫৭</div><div>গ. ইমাম কাসতালানী, আল-মাওয়াহিবুল লাদুনিয়্যাহ, ৩/৩৯৭ পৃঃ</div><div>ঘ. আল্লামা বদরুদ্দীন আইনি, উমদাতুল ক্বারী,১৯/১৯৯ পৃঃ</div><div>ঙ. ইমাম সুয়ুতি, খাসায়েসুল কোবরা, ১/২৬৭ পৃঃ, দারুল ইলমিয়্যাহ, বয়রুত,লেবানন।</div><div>চ. মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, নশরুত্তীব,৫৫ পৃঃ। </div><div><br></div><div>ইমাম কাজী আয়াজ(রহ:) সংকলন করেন, وقال ابن عابس هو مقدم ومؤخر تدلي الرفرف لمحمد  ﷺ ليلة المعراج فجلس عليه ثم رفع فدنا من ربه قال فار قني جبريل وانقطعت عني الاصوات وسمعت وسمعت كالام ربي عزوجل</div><div> "হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এখানে পূর্বাপর বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ, মিরাজ রাতে হজরত মুহাম্মদ  ﷺ নিকট রফরফ আসলো। তিনি তার উপরে ওঠে বসলেন তারপর তাকে উপরে উঠানো হল।এমনকি তিনি আপন প্রভুর নিকটবর্তী হলেন। হুজুর  ﷺ বললেন, তারপর জিবরাইল আঃ আমার নিকট থেকে বিদায় হয়ে গেলেন।সকল আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল।তখন আমি আমার প্রভুর কালাম বা কথা শুনলাম।</div><div>☞ ক. ইমাম কাজী আয়াজ, শিফা শরীফ,১/১১৭ পৃঃ</div><div>খ. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৪৪০ পৃঃ</div><div><br></div><div>ইমাম দায়লামী রহঃ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন।তিনি বলেন, রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন,  رايت ربي عزوجل ليس كمثله شيء</div><div>" আমি আমার রব আল্লাহ তা'আলাকে দেখেছি, তবে তার সাথে সাদৃশ্য/তুলনা নেই।"</div><div>☞ইমাম দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ২/২৫৪ পৃঃ, হাদিস নংঃ ৩১৮৩</div><div><br></div><div>ইমাম কাজী আয়াজ রহঃ সংকলন করেন,  وذكر النقاش عن ابن عباس رضي الله عنه في قصة الاسراء عنه  ﷺفي قوله دنا فتدلي قال فار قني جبريل فانقطعت الاصوات عني فسمعت كالام ربي وهو يقول : ليهدا روعك يا محمد  ادن وفي حديث انس في الاسراء نحو منه</div><div>"হজরত নাক্কাশ রহঃ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বণনা করেন, তিনি বলেন রাসুল ﷺ মিরাজ সম্পর্কিত বর্ণনায় আল্লাহর বাণী دنا فتدلي সম্পর্কে আমাকে বলেন, যখন হজরত জিবরাইল আঃ আমাকে একাকী রেখে চলে গেলেন। যখন সব ধরনের শব্দ বা ধ্বনি বন্ধ হয়ে গেল। তখন আমি প্রভুর বাণী শুনতে পাই যে, তিনি আমাকে বলেছেন, তোমার ভয় ভীতি দুর হবার কথা। হে মুহাম্মদ ﷺ!  আসুন আমার নিকটে আসুন।অনুরুপ শব্দে হজরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সুত্রেও বর্ণনা রয়েছে।"</div><div>☞ ক. ইমাম কাজী আয়াজ, শিফা শরীফ: ১/১১৭পৃঃ</div><div>খ. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৪৩৮ পৃঃ</div><div>গ. আল্লামা শাহাবুদ্দীন খিফফাজী: নাসিম্বুর রিয়াদ্ব: ২/২৮০ পৃঃ</div><div>এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হল যে, মিরাজে রাসুল ﷺ এর হজরত জিবরাইল আঃ সঙ্গ ত্যাগ হয়েছিল। এ বিষয়ে মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা প্রসঙ্গে লিখেন-</div><div>والحاصل انه اختلفت الرواية عن ابن عباس في مسالة الرؤية(والاشهر عنه) اي عن ابن عباس(انه راي بعينه روي ذلك) اي القل الاشهر (عنه من طرق) اي باسانيد متعددة اقتضت الشهرة</div><div>"পরিশেষে এ কথায় উপনীত হয়, আল্লাহ তা'আলাকে (চর্ম চোখে নাকি অন্তর চোখে দেখেছেন) দেখা নিয়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মতানৈক্য থাকার পরেও (তার থেকে সুপ্রসিদ্ধ বর্ণনা হল) অর্থাৎ,  হজরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বণিত হয়েছে, (নিশ্চয় প্রিয় নবী রাসুলে আরাবী  ﷺ তার চর্ম চোখে মহান আল্লাহকে দেখেছেন।আর এটি তার) সুপ্রসিদ্ধ বক্তব্য (আর এটি তার থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে) অর্থাৎ, বিভিন্ন সুত্রে বিভিন্ন ধারায় প্রসিদ্ধভাবে বর্ণিত হয়েছে।"</div><div>☞ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৪২৪ পৃঃ</div><div><br></div><div>ইমাম বায়হাকী রহঃ লিখেন-</div><div>وذهب انن عناس الي انه راي ربه مرتين</div><div>"হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ মত পোষণ করেছেন যে, প্রিয় নবী রাসুলে আরাবী   ﷺ মহান রব তা'আলাকে দু'বার দেখেছেন।"</div><div>☞ইমাম বায়হাকী, আল ই'তিকাদ, ১/৩০৩ পৃঃ)</div>

দীদারে এলাহী- ০১

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ তার المسند কিতাবে সায়্যিদুনা হজরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা'আলা হতে বর্ণনা করেন, عن ابن عباس،...

ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২২

দীদারে এলাহী- ০১

<div>ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ তার المسند কিতাবে সায়্যিদুনা হজরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা'আলা হতে বর্ণনা করেন, عن ابن عباس، قال: قال رسول الله ﷺ    : رايت ربي تبارك وتعالي</div><div>"আল্লাহর রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন, আমি আমার মহিয়ান গরিয়ান প্রভুকে (মিরাজ রজনীতে) দেখেছি।"</div><div>☞ ক. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, আল মুসনাদ, ৪/৩৫০ পৃঃ, হাদিস নংঃ ২৫৮০।</div><div>খ.ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, আল মুসনাদ, ৪/৩৮৬ পৃঃ, হাদিস নংঃ ২৬৩৪, এ কিতাবের তাহকীককারী শায়খ শুয়াইব আরনাউত এটিকে সহীহ বলেছেন।</div><div>গ. ইমাম আবু সাঈদ ইবনে আরাবী, আল-মু'জাম, হাদিস নংঃ ৪০৫</div><div>ঘ. ইমাম ইবনে আসেম, আস সুন্নাহ, ১/১৮৮ পৃঃ, হাদিস নংঃ ৪৩৩</div><div>ঙ. ইমাম ইবনে আসেম, আস সুন্নাহ, ১/১৯১ পৃঃ, হাদিস নংঃ ৪৪০</div><div>চ. ইমাম আজরী, আশ- শারিয়াহ, ৩/১৫৪২ পৃঃ, হাদিস নংঃ ১০৩৩</div><div>ছ. ইমাম ইবনে সালেহী শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ৩/৬৩ পৃঃ।</div><div>জ. ইমাম ইবনে কাসীর, তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৭ম খন্ড, ৪৫০ পৃঃ, তিনি বলেন: فاانه حديث اسناده عالي شرط الصحيح - নিশ্চয় এই হাদিসটি সহীহ বুখারীর শতানুসারে সহীহ।</div><div><br></div><div>"ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহঃ তারالخصاءص الكبري কিতাবে এবং ইমাম আব্দুর রহমান মানাভী রহঃ আলোচ্য হাদিসখানাকে তার  تيسرشرحاالجمع الصغير কিতাবে সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।"</div><div><br></div><div>☞ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহঃ এটি সংকলন করার পূর্বে লিখেন- واخرج احمد بسند صحيح عن ابن عباسعباس- "ইমাম আহমদ রহঃ সহীহ সনদে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু হতে বণনা করেন।"(ইমাম সুয়ুতি, খাসায়েসুল কোবরা, ১/২৬৭ পৃঃ) </div><div>আল্লামা মানাভী রহঃ বলেন - باسند صحيح --এ হাদিসটির সনদ সহীহ (ইমাম মানাভী, তাইসীর বিশারহে জামেউস সাগীর, ২/২৫ পৃঃ) </div><div>ইমাম নুরুদ্দীন হাইসামী রহঃ বলেন- رواح احمد، ورجال الصحيح- " হাদিসটি ইমাম আহমদ রহঃ বর্ণনা করেছেন, হাদিসের সকল রাবী সহীহ বুখারীর ন্যায়।"(হায়সামী, মাযমাউয-যাওয়াইদ,১/৭৮ পৃঃ, হাদিস নংঃ ২৪৭) </div><div>এমনকি আহলে হাদিসদের মান্যবর নাসিরুদ্দিন আলবানীও এটিকে সহীহ বলেছেন। (আলবানী, সহীহুল জামে, হাদিস নংঃ ৩৪৬৬)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQFOfvFpNQCwTSktCDFhPzI9-AaG8eKi5zxW26NRdf8KOHc0W8jmq_wP0mnobzWORhOk6-hd-uetwbgOodakHGJuUKzG-3G54WvLwC-kuqItmPaOVvlYDjy1csKzBbw3Kv9UC4Te8JpFJg/s1600/20220206_182840.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQFOfvFpNQCwTSktCDFhPzI9-AaG8eKi5zxW26NRdf8KOHc0W8jmq_wP0mnobzWORhOk6-hd-uetwbgOodakHGJuUKzG-3G54WvLwC-kuqItmPaOVvlYDjy1csKzBbw3Kv9UC4Te8JpFJg/s1600-rw/20220206_182840.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>ইমাম তাবরানী রহঃ সহ আরও অনেকে সংকলন করেন, عن ابن عباس رضي الله  عنهام كان يقول: ان محمد ﷺ، راي ربه مرتين: مرة ببصره، ومرة بفءاده</div><div>"হজরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুল ﷺ দুইবার আল্লাহ তা'আলাকে দেখেছেন।একবার চমচোখে, একবার অন্তর চোখে।"</div><div>☞ক.ইমাম তাবরানী, মুজামুল কাবীর, ১২/১৭ পৃঃ, হাদিস নংঃ ১২৫৬৪</div><div>খ.ইমাম তাবরানী, মুজামুল আওসাত, ২/৩৫৬ পৃঃ, হাদিস নংঃ ৫৭৫৭</div><div>গ. ইমাম কাসতালানী, আল-মাওয়াহিবুল লাদুনিয়্যাহ, ৩/৩৯৭ পৃঃ</div><div>ঘ. আল্লামা বদরুদ্দীন আইনি, উমদাতুল ক্বারী,১৯/১৯৯ পৃঃ</div><div>ঙ. ইমাম সুয়ুতি, খাসায়েসুল কোবরা, ১/২৬৭ পৃঃ, দারুল ইলমিয়্যাহ, বয়রুত,লেবানন।</div><div>চ. মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, নশরুত্তীব,৫৫ পৃঃ। </div><div><br></div><div>ইমাম কাজী আয়াজ(রহ:) সংকলন করেন, وقال ابن عابس هو مقدم ومؤخر تدلي الرفرف لمحمد  ﷺ ليلة المعراج فجلس عليه ثم رفع فدنا من ربه قال فار قني جبريل وانقطعت عني الاصوات وسمعت وسمعت كالام ربي عزوجل</div><div> "হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এখানে পূর্বাপর বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ, মিরাজ রাতে হজরত মুহাম্মদ  ﷺ নিকট রফরফ আসলো। তিনি তার উপরে ওঠে বসলেন তারপর তাকে উপরে উঠানো হল।এমনকি তিনি আপন প্রভুর নিকটবর্তী হলেন। হুজুর  ﷺ বললেন, তারপর জিবরাইল আঃ আমার নিকট থেকে বিদায় হয়ে গেলেন।সকল আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল।তখন আমি আমার প্রভুর কালাম বা কথা শুনলাম।</div><div>☞ ক. ইমাম কাজী আয়াজ, শিফা শরীফ,১/১১৭ পৃঃ</div><div>খ. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৪৪০ পৃঃ</div><div><br></div><div>ইমাম দায়লামী রহঃ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন।তিনি বলেন, রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন,  رايت ربي عزوجل ليس كمثله شيء</div><div>" আমি আমার রব আল্লাহ তা'আলাকে দেখেছি, তবে তার সাথে সাদৃশ্য/তুলনা নেই।"</div><div>☞ইমাম দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ২/২৫৪ পৃঃ, হাদিস নংঃ ৩১৮৩</div><div><br></div><div>ইমাম কাজী আয়াজ রহঃ সংকলন করেন,  وذكر النقاش عن ابن عباس رضي الله عنه في قصة الاسراء عنه  ﷺفي قوله دنا فتدلي قال فار قني جبريل فانقطعت الاصوات عني فسمعت كالام ربي وهو يقول : ليهدا روعك يا محمد  ادن وفي حديث انس في الاسراء نحو منه</div><div>"হজরত নাক্কাশ রহঃ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বণনা করেন, তিনি বলেন রাসুল ﷺ মিরাজ সম্পর্কিত বর্ণনায় আল্লাহর বাণী دنا فتدلي সম্পর্কে আমাকে বলেন, যখন হজরত জিবরাইল আঃ আমাকে একাকী রেখে চলে গেলেন। যখন সব ধরনের শব্দ বা ধ্বনি বন্ধ হয়ে গেল। তখন আমি প্রভুর বাণী শুনতে পাই যে, তিনি আমাকে বলেছেন, তোমার ভয় ভীতি দুর হবার কথা। হে মুহাম্মদ ﷺ!  আসুন আমার নিকটে আসুন।অনুরুপ শব্দে হজরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সুত্রেও বর্ণনা রয়েছে।"</div><div>☞ ক. ইমাম কাজী আয়াজ, শিফা শরীফ: ১/১১৭পৃঃ</div><div>খ. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৪৩৮ পৃঃ</div><div>গ. আল্লামা শাহাবুদ্দীন খিফফাজী: নাসিম্বুর রিয়াদ্ব: ২/২৮০ পৃঃ</div><div>এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হল যে, মিরাজে রাসুল ﷺ এর হজরত জিবরাইল আঃ সঙ্গ ত্যাগ হয়েছিল। এ বিষয়ে মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনা প্রসঙ্গে লিখেন-</div><div>والحاصل انه اختلفت الرواية عن ابن عباس في مسالة الرؤية(والاشهر عنه) اي عن ابن عباس(انه راي بعينه روي ذلك) اي القل الاشهر (عنه من طرق) اي باسانيد متعددة اقتضت الشهرة</div><div>"পরিশেষে এ কথায় উপনীত হয়, আল্লাহ তা'আলাকে (চর্ম চোখে নাকি অন্তর চোখে দেখেছেন) দেখা নিয়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মতানৈক্য থাকার পরেও (তার থেকে সুপ্রসিদ্ধ বর্ণনা হল) অর্থাৎ,  হজরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বণিত হয়েছে, (নিশ্চয় প্রিয় নবী রাসুলে আরাবী  ﷺ তার চর্ম চোখে মহান আল্লাহকে দেখেছেন।আর এটি তার) সুপ্রসিদ্ধ বক্তব্য (আর এটি তার থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে) অর্থাৎ, বিভিন্ন সুত্রে বিভিন্ন ধারায় প্রসিদ্ধভাবে বর্ণিত হয়েছে।"</div><div>☞ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৪২৪ পৃঃ</div><div><br></div><div>ইমাম বায়হাকী রহঃ লিখেন-</div><div>وذهب انن عناس الي انه راي ربه مرتين</div><div>"হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ মত পোষণ করেছেন যে, প্রিয় নবী রাসুলে আরাবী   ﷺ মহান রব তা'আলাকে দু'বার দেখেছেন।"</div><div>☞ইমাম বায়হাকী, আল ই'তিকাদ, ১/৩০৩ পৃঃ)</div>

দীদারে এলাহী- ০১

ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২২

যেভাবে ফিরিশতা হবে আপনার সফর সঙ্গী!

<div>প্রিয় আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন– 'যে ব্যক্তি সফরে আল্লাহর দিকে মনযোগ রাখে এবং তাঁর যিকিরে মশগুল থাকে, তার নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ পাক একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন এবং যে অনর্থক আলাপের মধ্যে লিপ্ত থাকে, তার পেছনে একজন শয়তান লেগে যায়।' -মু'জামে কবীর, ১৭/৩২৪, হাদীস ৮৫৯<br></div><div><br></div><div>শয়তানের ধোঁকায় আজ আমাদের অবস্থা এমন হয়ে গেছে, গাড়িতে সফরকালে গান-বাজনা সাথে না থাকলে যেন সফরে তৃপ্তি আসে না। এই সকল গান-প্রেমীরদের সতর্ক হওয়া উচিত। আল্লাহ না করুক, আপনি রাস্তায় দূর্ঘটনার কবলে পরে গেলেন। আপনি মারা গেলেন। চিন্তা করুন– এমন অবস্থায় আপনি মারা গেলেন, যখন আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত ছিলেন। আপন রবের সামনে দাঁড়াবেন কিভাবে? মালাকুল মউত আলাইহিস সালাম এর বিকট চেহারা দেখে কি অবস্থা হবে আপনার? কি করেই বা সহ্য করবেন কবরের কঠিন আজাব? সহ্য করার ক্ষমতা নেই আমাদের এতগুলো কঠিন শাস্তি। কিভাবে পার করব এতগুলো কঠিন ধাপ? তার চেয়ে বরং গুণাহটাই না হয় ছেড়ে দেই। আমরা সফরে শয়তানকে সফরসঙ্গী না বানাই।</div><div><br></div><div>আমাদের সফর শুরু হোক আল্লাহর যিকর দিয়ে। গাড়ির মিউজিক প্লেয়ার গুলোতে চলতে থাকুক হামদ/নাত অথবা কোরআনুল কারীম এর তিলাওয়াত। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাথে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে একজন সম্মানিত ফিরিশতাকে নিযুক্ত করে দিবেন। আমাদের সফরও হবে বরকতময় ইনশাআল্লাহ।</div>

যেভাবে ফিরিশতা হবে আপনার সফর সঙ্গী!

প্রিয় আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন– 'যে ব্যক্তি সফরে আল্লাহর দিকে মনযোগ রাখে এবং তাঁর যিকিরে মশগুল থাকে, তার নিরাপত্ত...

ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২২

টাইম ম্যানেজমেন্ট; অল্প সময়ে অধিক কাজ করার উপায়!

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEia24MWlHw9dY9vrAqfL18Go-MTgWWZdixbjVCN9QB2Fpt2z7r7W_iuomodLN2cI1QHlNQDpph8sa6J7w0g3TlcNDp28MeppSbUgpfQ-Tx2K6PGwdXCPsWZY6yXMMUNCl2lhOiHIYEKWOE/s1600/images+%252814%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="333" data-original-width="500" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEia24MWlHw9dY9vrAqfL18Go-MTgWWZdixbjVCN9QB2Fpt2z7r7W_iuomodLN2cI1QHlNQDpph8sa6J7w0g3TlcNDp28MeppSbUgpfQ-Tx2K6PGwdXCPsWZY6yXMMUNCl2lhOiHIYEKWOE/s1600-rw/images+%252814%2529.jpeg" width="320"></a></div><br></div><div>মানুষের কাছে সময় কম, কাজ বেড়ে গেছে। কম সময়ের মধ্যে কিভাবে বেশি কাজ সম্পন্ন করা যায়? এটা দেখতে হলে পড়ুন সীরাতে রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। </div><div><br></div><div>মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন ২৭ টি যুদ্ধ লড়েছেন। মানুষ ২/১ টা মামলা-মোকদ্দমার মুখোমুখি হলে তার জীবনের অর্ধেক এসবেই চলে যায়। সেখানে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ২৭ টি যুদ্ধ লড়েছেন মাত্র ২৩ বছরে। এরই মধ্যে দূর-দুরান্ত থেকে আগত আগন্তুকদের সাথে মোলাকাতও ঠিক ছিল। সাহাবিদের তরবিয়তও করেছেন। সিদ্দিকে আকবর, ওমর ফারুক রাদ্বিআল্লাহু আনহু'র মতো খুলাফাও তৈরী করেছেন। </div><div><br></div><div>গরিব-দুঃখী, অসহায়দেরও সময় দিয়েছেন। অসুস্থদের দেখতেও যেতেন। পরিবারের কাছেও ছিলেন সবচেয়ে উত্তম। লিডার হিসেবেও ছিলেন তুলনাহীন। এত ব্যস্ততার মধ্যেও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাজ কাযা হয় না। কাযা তো দূরের কথা– ইবাদতের রঙ কেমন ছিল? আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং বলেন, 'হে চাদরওয়ালা মাহবুব! সারারাত জাগবেন না, কিছু সময় আরামও করে নিন।' আল্লাহু আকবার। </div><div><br></div><div>আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুনিয়া থেকে পর্দা করলেন– কোনো একজন মানুষও তখন হুজুর এর ওপর অসন্তুষ্ট ছিল না। সুবহানাল্লাহ </div><div><br></div><div>তো মাত্র ২৩ বছরে এতো কাজ কিভাবে সম্ভব হলো? নিঃসন্দেহে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মু'জিজা। তাছাড়াও সময়ের মধ্যে বরকত চলে আসে যখন বান্দা অপ্রয়োজনীয় কাজ, যেগুলো না দুনিয়ায় না আখিরাতে উপকারী সেগুলো পরিত্যাগ করে।</div><div><br></div><div>আমরা অনেক সময় এক সপ্তাহ পর নিজের ওয়ালেট খোলে অপ্রোয়জনীয় ভিজিটিং কার্ড, কাগজ-পত্র ফেলে দেই। যেগুলোর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। তখন সেখানে আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জায়গা তৈরী হয়। ঠিক তদ্রূপ নিজের পুরো দিনের একটা জরিপ করুন। সারাদিনে এমন কতটি কাজ করেছেন, যেগুলো অপ্রয়োজনীয় ছিল। এগুলোকে নোট করে রাখুন। এবং ধীরে ধীরে নিজের মূল্যবান সময় থেকে কাজগুলোকে বাদ দিতে থাকুন। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বানিয়ে নিন।</div><div><br></div><div>ইনশাআল্লাহ আপনার সময়ে বরকত হবে। প্রয়োজনীয় কাজগুলো করার পরও নিজের জন্য থেকে যাবে অফুরন্ত সময়। প্রিয় আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন– 'কোনো ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য এটা যে, সে সকল বে-মাকসাদ কাজগুলোকে ছেড়ে দিবে।'</div>

টাইম ম্যানেজমেন্ট; অল্প সময়ে অধিক কাজ করার উপায়!

মানুষের কাছে সময় কম, কাজ বেড়ে গেছে। কম সময়ের মধ্যে কিভাবে বেশি কাজ সম্পন্ন করা যায়? এটা দেখতে হলে পড়ুন সীরাতে রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাই...

ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২২

Top

ইসলামি বিশ্বকোষ

মেরাজের দুলহা আমার নবী!

কিতাব: কুরআনের আশ্চর্য ও অনন্য ঘটনা

কিতাব: ফয়যানে আমিরে মুয়াবিয়া

ঘরে বসে কিতাবগুলো কিনতে–

হিন্দু ধর্মে নারীদের পর্দার কথা

ধর্ম মানুষকে সত্য অনুসন্ধানে বাঁধা দেয়?

দীদারে এলাহী- ০১

দীদারে এলাহী- ০১

যেভাবে ফিরিশতা হবে আপনার সফর সঙ্গী!

টাইম ম্যানেজমেন্ট; অল্প সময়ে অধিক কাজ করার উপায়!

পোস্টসমূহ

Categories

পপুলার