খারিজিয়ত : আয়াতের অপপ্রয়োগের অভয়ারণ্যময় ফিরক্বা

<p> <span style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">অপপ্রয়োকৃত আয়াতগুলো:</span></p><p><span style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></span></p><p><span style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><a href="https://drive.google.com/file/d/15YX5rrFKhoTjv9QfauL6zL4bZWStCChO/view?usp=drivesdk"><b><span style="color: red; font-size: large;">সমগ্র পোস্টটি পিডিএফ হিসেবে ডাউনলোড করুন</span></b></a><br></span></p><p></p><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjNawrGA7nsL3je9G8TDTVEaKw2pgDxdpTExJzGfxYW44U--sr7l1N9dg6TbZ33cjN-VYnONnJKTSElFIJIihMgCpou2f6P7-iLoZN8de970fCX01n1tGvC5dTntJyOWMiM3ZU_APuJ5qCVV8f1cjKtHEGUX3RwKjdc1IVXZYIjpjBcKpbRao-qFWmy-A=s1920" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="1280" height="384" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjNawrGA7nsL3je9G8TDTVEaKw2pgDxdpTExJzGfxYW44U--sr7l1N9dg6TbZ33cjN-VYnONnJKTSElFIJIihMgCpou2f6P7-iLoZN8de970fCX01n1tGvC5dTntJyOWMiM3ZU_APuJ5qCVV8f1cjKtHEGUX3RwKjdc1IVXZYIjpjBcKpbRao-qFWmy-A=w288-h384-rw" width="288"></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr></tbody></table><br><span style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></span><p></p><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><div>১.আনআম ১১১</div><div>২.মায়িদাহ ১০৩</div><div>৩.ইউসুফ ৬৮</div><div>৪.আনআম ৩৭</div><div>৫.আরাফ ১৩১</div><div>৬.ইউসুফ ১০৩</div><div>৭.আনআম ১১৬</div><div>৮.বাকারাহ ১০০</div><div>৯.যুখরুফ ৭৮</div><div>১০.আরাফ ১০২</div><div>১১.ইউসুফ ১০৬</div><div>১২.শু'আরা ২২৩</div><div>১৩.সাফফাত ৭১</div><div>১৪. হামিম সাজদাহ ৪</div><div>১৫.আনআম ৩৭</div></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">ইসলামের প্রথম দিককার বিদ'আতি সম্প্রদায় ছিল খারিজি সম্প্রদায়।এরা মুমিনদের মাওলা সৈয়্যদুনা আলি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু কে 'কাফির' আখ্যা দিয়েছিল।মুমিনদের মাওলা এদের বিরুদ্ধে 'নাহারওয়ান' এর যুদ্ধ করেন।</span><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> <span style="font-weight: bolder;">ইমাম বুখারি 'মুরতাদ এবং খোদাদ্রোহীদের ব্যাপারে অধ্যায় রচনা করে পরিচ্ছেদ এনেছেন,بَاب قَتْلِ الْخَوَارِجِ وَالْمُلْحِدِينَ بَعْدَ إِقَامَةِ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ বা,'খারিজী সম্প্রদায় ও আল্লাহদ্রোহীদের অপরাধ প্রমাণিত হবার পর তাদেরকে হত্যা করা'—সম্পর্কিত বাব।</span>উনি তা'লিক্ব পদ্ধতিতে হাদিস আনেন,</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div><blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: "Times New Roman", Times, serif; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px; text-align: center;"> <span style="font-weight: bolder;">وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَرَاهُمْ شِرَارَ خَلْقِ اللهِ وَقَالَ إِنَّهُمْ انْطَلَقُوا إِلَى آيَاتٍ نَزَلَتْ فِي الْكُفَّارِ فَجَعَلُوهَا عَلَى الْمُؤْمِنِينَ</span></blockquote><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> —❝হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর রা. খারিজিদেরকে আল্লাহর সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচনা করতেন এবং তিনি বলেছেন,তারা এমন কিছু আয়াতকে মু’মিনদের ওপর প্রয়োগ করেছে যা কাফিরদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে।❞</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><span style="font-weight: bolder;">মাওলানা মরহুম আজিজুল হক শায়খুল হাদিস সাহেব উনার 'বোখারির বাংলা তরজমা ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা' গ্রন্থে ৭/১৭০পৃষ্ঠায়</span> উল্লেখ করেন,</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: "Times New Roman", Times, serif; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px; text-align: center;"><span style="font-weight: bolder;">❝খারেজী ফের্কার গর্হিত মতবাদ ও পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন অপব্যাখ্যা দৃষ্টে ইমাম বোখারী (রঃ) সহ অধিকাংশ ইমামগণ খারেজী ফের্কাকে মোরতাদ— ইসলাম ত্যাগী কাফের সাব্যস্ত করিয়াছেন।পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে, খারেজী ফের্কা মোলহেদ শ্রেণীর একটি উপদল। মোলহেদ হইল—যাহারা কোরআন-হাদীছ বা ইসলামী কোন বিষয়ের অপব্যাখ্যার আড়ালে ইসলামের কোন সুস্পষ্ট মতবাদের পরিপন্থী মতবাদ অবলম্বন করে।❞</span></blockquote><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: center;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">আর খারিজিদের বর্তমান (দুশো বছর আগের,যা বর্তমানে জেঁকে বসেছে) অবস্থা নিয়ে মুফাসসির ইমাম সাভি আল মালিকি 'জালালাইনের টীকা'য় লিখেন—</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: "Times New Roman", Times, serif; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px; text-align: center;"><span style="font-weight: bolder;">وقيل هذه الآية نزلت في الخوارج الذين يحرّفون تأويل الكتاب والسنة ويستحلون بذلك دماء المسلمين وأموالهم كما هو مُشَاهَدٌ الآن في نَظَائِرهم وهم فرقة بأرض الحجاز يقال لهم الوهابية يحسبون أنهم على شيء ألا إنهم هم الكاذبون استحوذ عليهم الشيطان فأنساهم ذكر الله أولئك حزب الشيطان ألا إن حزب الشيطان هم الخاسرون نسأل الله الكريم أن يقطع دابره</span></blockquote><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: center;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">—❝আয়াতটি খারেযীদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে যারা কোরআন এবং সুন্নাহর অপব্যাখ্যা করতো যেন তাতে সাধারণ মুসলমানদের জান মালের ক্ষতি করতে পারে।<span style="font-weight: bolder;"><u><i>যেমনকি তাদের অনুসারীদের মধ্যে আজো দেখা যাচ্ছে।তারা হচ্ছে হেজাজের(সৌদী আরব) যমিনের একটা গোষ্ঠী,যারা ওয়াহাবী নামে পরিচিত।</i></u></span> তাদের ধারণা যেনো তারাই সঠিক,কিন্তু তারা মিথ্যাবাদী।শয়তান এদেরকে পাকড়াও করে ফেলেছে,এবং তাই তারা আল্লাহর যিকর হতে বিরত আছে।তারাই হলো 'হিযবুশ শায়তান' বা শয়তানের দল। এবং শয়তানের সমস্ত দল ক্ষতিগ্রস্থ।আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি,যেন আল্লাহ তাদেরকে নস্যাৎ করেন।❞</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">[হাশিয়াতুস সাভি আলা তাফসিরিল জালালাইন,সুরা ফাতির আয়াত-৬,১৯২৬ সালে মিশর হতে প্রকাশিত]</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">বর্তমানের জেঁকে বসা খারিযিপনা মিলাদ, বা'য়াত,যিয়ারাতে কুবুর,মাযহাবের তাকলিদ এবং অন্যান্য ইসলামি শরিয়ত দ্বারা সমর্থিত বিষয় সমূহে সন্দেহ তৈরী করার জন্য এসব কাজকে 'অধিকাংশ ব্যক্তি করে' বলে এগুলো করা যাবেনা মর্মে যুবসমাজের সামনে উপস্থাপন করছে।</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">আমরা জায়েজ কাজগুলোর প্রমাণে আজকে লিখবোনা বরঙ লিখবো ওদের বিভ্রান্তিকর উপস্থাপনা নিয়ে।কাফির-মুশরিকের ব্যাপারের আয়াতগুলোকে কিভাবে তারা মুসলিমদের ব্যাপারে প্রয়োগ করে সে নিয়ে।</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><span style="font-weight: bolder;"><u><span style="color: red; font-size: large;">মনগড়া তাফসির করার বিধান:</span></u></span></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">তাফসির কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে।এরমধ্যে কুরআনের তাফসির কুরআন দিয়ে এবং কুরআনে তাফসির হাদিস দিয়ে,এদুটো বেশি মর্যাদা পায়।এরপর তাফসির হয় শব্দভিত্তিক,অলংকার ভিত্তিক,আহকাম ণির্ণয় ভিত্তিক প্রভৃতি ক্যাটাগরিতে।তাফসির যেভাবেই করা হোক না কেন,এটা যদি মনগড়া হয়,তবে তার কঠোর বিধান হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে।</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">➤রইসুল মুফাসসিরীন ইবন আব্বাস রা. বলেন,</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: "Times New Roman", Times, serif; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px; text-align: center;"><span style="font-weight: bolder;">مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ</span></blockquote><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: center;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">—যে ব্যক্তি কুরআনের ব্যাখ্যায় মনগড়া কিছু বলে, সে যেন জাহান্নামে নিজ ঠিকানা বানিয়ে নেয়।❞  </div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">[ইমাম নাসায়ী,সুনানে কোবরাঃ ৫/৩০,#৮০৮৪]</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">➤আরো বর্ণিত আছে,হযরত জুনদুব রা. হতে বর্ণিত,</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: "Times New Roman", Times, serif; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px; text-align: center;"><span style="font-weight: bolder;">مَنْ قَالَ فِي كِتَابِ اللهِ بِرَأْيِهِ فَأَصَابَ فَقَدْ أَخْطَأَ</span></blockquote><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: center;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">❝যে ব্যক্তি কুরআনের ব্যাখ্যায় মনগড়া কিছু বলে এবং তা যদিও সঠিক হয়, তবুও সে ভুল করেছে বলে সাব্যস্ত হবে।❞</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">[ইমাম নাসায়ী,সুনানে কোবরাঃ৫/৩১]</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">তিরমিযী শরীফের 'কিতাবুত তাফসীরে'র শুরুতে আছেঃ-</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: "Times New Roman", Times, serif; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px; text-align: center;"><span style="font-weight: bolder;">وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ العِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ وَغَيْرِهِمْ، أَنَّهُمْ شَدَّدُوا فِي هَذَا فِي أَنْ يُفَسَّرَ القُرْآنُ بِغَيْرِ عِلْمٍ</span></blockquote><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: center;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">—কোন কোন জ্ঞানী সাহাবী ও বিজ্ঞ ব্যক্তি থেকে বর্ণিত আছে যে,কেউ যেন রিওয়ায়েতকৃত তাফসীরের জ্ঞান ছাড়া কুরআনের তাফসীর না করেন,সে জন্য সাহাবায়ে কিরাম কঠোরতা অবলম্বন করতেন।</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">[সুনানু তিরমিযি,কিতাবুত-তাফসীর,হাদীসঃ ২৯৫২<br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">★মুকাদ্দিমাতু উসুলিত তাফসির লি ইবনু তায়মিয়া,১/৪৬]</div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">এসব হাদিস ও আছার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়,মনগড়া তাফসির করা শরীয়তে জায়েয নেই এবং একারণে নিজের মনমত আয়াত বাছাই করে যত্রতত্র প্রয়োগ করার অনুমতিও কাউকে দেয়া হয়নি। </div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">এখন আমরা যাবো এমন পনেরোটি আয়াতের ব্যাখ্যায় যেগুলোকে খারিযিপনার বশবর্তী মুসলিমরা উম্মতে মুহাম্মদির জন্য ওয়াজিব,সুন্নত ও মুস্তাহাব-মুস্তাহসান সাব্যস্ত হওয়া কাজকে হারাম প্রমাণ করতে ব্যবহার করছে। </div><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEikzBXGTYpto8hq3tOwl7YQ0DRG17NYCQKbs38ASzYr26jL6YWn80C7X9lVmSl-G3pT1-PlOCq3F35zxZJT6BFm4BA0YRRURpP1V8dedtD35TBVA0dT-Sk_Ye1ZUUtUH7r2hfPOj19Oe3kWbXmTc7f2JJ31DlhLC-L1maRC4mQ46mHMSDNZIU_6pdBelA=s3827" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="3827" data-original-width="822" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEikzBXGTYpto8hq3tOwl7YQ0DRG17NYCQKbs38ASzYr26jL6YWn80C7X9lVmSl-G3pT1-PlOCq3F35zxZJT6BFm4BA0YRRURpP1V8dedtD35TBVA0dT-Sk_Ye1ZUUtUH7r2hfPOj19Oe3kWbXmTc7f2JJ31DlhLC-L1maRC4mQ46mHMSDNZIU_6pdBelA=w86-h400-rw" width="86"></a></div><br><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><br></div><div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: medium;"><b><u>➤➤আয়াত ১:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">কিন্তু তাদের অধিকাংশই মূর্খ।(আনআম ১১১)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">এখানে,'هم/হুম' বা 'তাদের' দ্বারা কাদের বুঝানো হয়েছে এটা স্পষ্ট হত যদি এর আগের আয়াতাংশ উল্লেখ করক হতো।এখানে আল্লাহ বলেন,</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b></b></span></div><blockquote><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>مَّا کَانُوۡا لِیُؤۡمِنُوۡۤا اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰه</b></span></div><div></div></blockquote><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—❝আল্লাহর ইচ্ছে না হলে তারা কখনো ঈমান আনবে না❞ [অর্থাৎ তারা কাফের থাকবে]</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">সুতরাং স্পষ্ট হল,'অধিকাংশ' বুঝাতে এ আয়াতে কাফের উদ্দেশ্য!</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: medium;"><b><u>➤➤আয়াত ২:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">«অধিকাংশই নির্বোধ।(মায়িদাহ ১০৩)»</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">অথচ এর ঠিক একটু আগেই উল্লেখ আছে,</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b></b></span></div><blockquote><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><b> وَّ لٰکِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یَفۡتَرُوۡنَ عَلَی اللّٰهِ الۡکَذِبَ ؕ اَکۡثَرُهُمۡ لَا یَعۡقِلُوۡنَ</b></span></div></blockquote><div><span style="color: red; font-family: "Times New Roman", Times, serif;"><b></b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: left;">—❝কিন্তু কাফেররা আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে এবং তাদের অধিকাংশই নির্বোধ।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">অতএব,'অধিকাংশ' দ্বারা 'কাফির'দেরকে বুঝানো সাব্যস্ত হল।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><span style="color: red; font-size: large;"><b><u>➤➤আয়াত ৩</u></b></span>:</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়।❞(ইউসুফ ৬৮)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>সালাফি স্কলার আল্লামা কাযি শাওক্বানি 'ফতহুল ক্বদির' এ লিখেন,</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b></b></span></div><blockquote><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>المراد بأكثر الناس المشركون</b></span></div><div></div></blockquote><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—❝(এ আয়াতাংশে) 'অধিকাংশ' দ্বারা মুশরিক বুঝানো উদ্দেশ্য।❞</span></div><div><span style="background-color: white; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u style="background-color: white;">➤➤আয়াত নং ৪:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝অধিকাংশ লোকই অবগত নয়।❞(আনআম ৩৭)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">ইমাম বাগাভি(৫১৬হি.) 'মা'আলিমুত তানযিল' ৩/১৬১পৃষ্ঠায় লিখেন,</span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;">{وَ قَالُوۡا} </span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;">رؤساء قريش</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—❝(এ আয়াত/বাক্যের উদ্দেশ্য যারা) তারা বলে,এখানে 'তারা' বলতে কুরাইশদের প্রধানগণ উদ্দেশ্য।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">স্পষ্টই এটা কুরাইশদের মুশরিক-কাফিরদের ব্যাপারে নাযিলকৃত আয়াত।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><u>➤➤আয়াত নং ৫:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝অধিকাংশই জানে না।❞(আরাফ : ১৩১)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">এ আয়াতের প্রেক্ষাপট ফিরআউনের মুশরিক-কাফির দলকে উপলক্ষ্য করে।এর পাশাপাশি ইমাম আলাউদ্দিন আলি বাগদাদি আল-খাযিন (৭৬৫হি.)  উনার 'লুবাবুত তাভীল ফি মাআনিত তানযিল' এর ২/২৩৯ পৃষ্ঠায় লিখেন,</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><blockquote style="text-align: center;">يعني أن ما أصابهم من الله تعالى وإنما قال أكثرهم لا يعلمون لأن أكثر الخلق يضيفون الحوادث إلى الأسباب ولا يضيفونها إلى القضاء والقدر</blockquote></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—❝এর অর্থ হল,অকল্যাণ যা এসেছে তা আল্লাহর পক্ষ হতেই এসেছে (পরীক্ষাসূচক) এবং (ফিরআউনের মুশরিক অনুসারিরা) এ সম্পর্কে জানেনা।তারা কুলক্ষণকে কোনো কিছু ঘটা না ঘটার সাথে সম্পৃক্ত করে,একে ভাগ্যের সাথে সম্পৃক্ত করেন।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">মুশরিকদের ব্যাপারে নাযিল হওয়া আয়াত মুসলিমদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা খারিজিদের লক্ষণ।</span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u style="background-color: #f4cccc;"><br></u></b></span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u style="background-color: #f4cccc;">➤➤আয়াত ৬ ও ৭:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝তুমি যতই প্রবল আগ্রহ ভরেই চাও না কেন, মানুষদের অধিকাংশই ঈমান আনবে না।❞(ইউসুফ ১০৩)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">বিশ্ববিখ্যাত 'জালালাইন' এ উল্লেখ আছে,</span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>{ اَکۡثَرُ النَّاسِ} </b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>أي: اهل مكة</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">— ❝এখানে 'অধিকাংশ লোক' বলতে মক্কার অধিবাসিদের বুঝানো হয়েছে।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">ইমাম আবু জাফর তাবারি (৩১০ হি.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন,</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"> <b><span style="color: red;">وما أكثر مشركي قومك يا محمد ﷺ</span></b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"> —'অধিকাংশ লোক ঈমান আনবেনা' এর কারণ হলো আল্লাহ বলছেন যেন,হে নবি ﷺ আপনার কওমের অধিকাংশই তো মুশরিক!</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">[তাফসিরে তাবারি,ত্রয়োদশতম খন্ড]</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">ইমাম ইমাদুদ্দিন ইবন কাসির,এ আয়াতের ব্যাখ্যায় দলিল হিসেবে টানেন নিম্নোক্ত আয়াতটিকে,যার ব্যাখ্যাও একই,</span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>وَ اِنۡ تُطِعۡ اَکۡثَرَ مَنۡ فِی الۡاَرۡضِ یُضِلُّوۡکَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ</b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—আর যদি আপনি যমীনের অধিকাংশ লোকের কথামত চলেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।(আনআম ১১৬)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">কাযি শাওক্বানি লিখেন,</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: #ffa400; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>وقيل المراد بالاَکۡثَرَ: الكفار،وقيل المراد بالۡاَرۡضِ مكة،اي اكثر اهل مكة</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—❝এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে 'অধিকাংশ' দ্বারা কাফের উদ্দেশ্য।আরো বলা হয়েছে 'যমিন' দ্বারা মক্কা বুঝানো হয়েছে।অর্থাৎ 'যমীনের অধিকাংশ লোক' বলতে মক্কার অধিকাংশ অধিবাসি (কাফেরদের) বুঝানো হয়েছে।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">ইমাম কাযি নাসিরুদ্দিন বায়যাবি(৬৯১হি.) লিখেন,</span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>{وإن تطع أكثر من في الأرض} </b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>أي أكثر الناس يريد الكفار</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—{আর যদি আপনি যমীনের অধিকাংশ লোকের কথামত চলেন} এর মানে হল, 'অধিকাংশ লোক' দ্বারা কাফিরদের বুঝানো উদ্দেশ্য!</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">[আনওয়ারুত তানযীল ওয়া আসরারুত তাভীল,২/১৭৯] </span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>ইমাম ক্বুরতুবি(৬৭১হি.),'আল জামি লি আহকামিল কুরআন', ৯/৬ পৃষ্ঠায়ও লিখেছেন এখানে 'অধিকাংশ লোক' দ্বারা 'কাফির' উদ্দেশ্য!</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">অতএব বুঝা গেলো, আয়াতটা কাফির-মুশরিকদের ব্যাপারে বলা।</span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u><br></u></b></span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u>➤➤আয়াত ৮:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝এটা কি নয় যে, তারা যখনই কোন অঙ্গীকার করেছে তখনই তাদের কোন এক দল তা ছুড়ে ফেলেছে?বরং তাদের অধিকাংশই ঈমান আনে না।❞(বাকারাহ ১০০)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"> এর ব্যাখ্যায় ইমাম ইবন কাসির বলেন,</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"> <b><span style="color: red;"><blockquote>قلت : فالقوم ذمهم الله بنبذهم العهود التي تقدم الله إليهم في التمسك بها والقيام بحقها</blockquote></span></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"> —❝আমি বলছি,আয়াতগুলোয় আল্লাহ কিতাবধারী জাতিসমূহকে (ইহুদি,নাসারা) তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে নিন্দা করছেন।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">[তাফসিরে ইবনে কাসির,১/৫১৪,দারু ইবন জাওযি]</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">যে আয়াতের দ্বারা অধিকাংশ ইহুদি-খ্রিষ্টান ঈমান না আনার মর্ম সাব্যস্ত হয়,সেটা মুসলিমদের ব্যাপারে প্রয়োগ করে উম্মাহকে বিভ্রান্ত করা অবশ্যই ফিতনাবাজিরই লক্ষণ।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u>➤➤আয়াত ৯:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝আমি তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্য অপছন্দকারী।❞ (যুখরুফ ৭৮)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">'তাফসিরে জালালাইন' এ উল্লেখ আছে—</span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>{لَقَدۡ جِئۡنٰکُمۡ} </b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>أي اهل مكة </b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—❝(আল্লাহ বলবেন){আমি তো তোমাদের কাছে},অর্থাৎ মক্কাবাসিদের কাছে।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">মক্কার অধিকাংশই ছিল হক অপছন্দকারি, </span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">কাফির-মুশরিক।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">সহস্র বছর আগের তাফসির,'মাআলিমুত তানযীল' এর ৭/২২৩পৃষ্ঠায় ইমাম মুহিউসসুন্নাহ বাগাভি লিখেন,</span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>{لَقَدۡ جِئۡنٰکُمۡ بِالۡحَقِّ} </b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>يقول أرسلنا إليكم يا معشر قريش رسولنا بالحق</b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b> {وَلٰکِنَّ اَکۡثَرَکُمۡ لِلۡحَقِّ کٰرِہُوۡنَ}</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—{আমি তো তোমাদের কাছে},হে মক্কাবাসি,{সত্য নিয়ে গিয়েছিলাম},আমার সত্য রসুল প্রেরণের মাধ্যমে,{কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্য অপছন্দকারী}।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">সুতরাং, প্রমাণিত হল এ আয়াতখানা কাফের-মুশরিকদের ব্যাপারে নাযিল হওয়া যাকে আপত্তিকারিরা সাধারণ মুসলিমের উপর প্রয়োগ করানোর অপচেষ্টা করছেন।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="color: #ffa400; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u>➤➤আয়াত ১০:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝তাদের অধিকাংশকেই আমি প্রতিশ্রুতি পালনকারী পাইনি, বরং অধিকাংশকে ফাসিকই পেয়েছি।❞ </span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">(আরাফ ১০২)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">এ আয়াতের ব্যাখ্যা কুরআন হতে দিবো আমরা।সরাসরি পূর্বের আয়াতে আছে,</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div style="text-align: center;"><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><blockquote><b><span style="color: red;">تِلۡکَ الۡقُرٰی نَقُصُّ عَلَیۡکَ مِنۡ اَنۡۢبَآئِہَا ۚ وَ لَقَدۡ جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ ۚ فَمَا کَانُوۡا لِیُؤۡمِنُوۡا بِمَا کَذَّبُوۡا مِنۡ قَبۡلُ ؕ کَذٰلِکَ یَطۡبَعُ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِ الۡکٰفِرِیۡنَ</span></b></blockquote></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—❝এসব জনপদের কিছু বিবরণ আমি আপনার কাছে বর্ণনা করছি,তাদের কাছে তাদের রাসূলগণ তো স্পষ্ট প্রমাণসহ এসেছিলেন;কিন্তু পূর্বে তারা যাতে মিথ্যারোপ করেছিল,তাতে তারা ঈমান আনার ছিল না,এভাবে আল্লাহ কাফেরদের হৃদয় মোহর করে দেন।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">আল্লামা ইবনে কাসির লিখেন—</span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b></b></span></div><blockquote><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>{وما وجدنا لأكثرهم} </b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>أي : لأكثر الأمم الماضية</b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b> {من عهد وإن وجدنا أكثرهم لفاسقين}</b></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>أي: ولقد وجدنا أكثرهم فاسقين خارجين عن الطاعة والامتثال.والعهد الذي أخذه عليهم هو ما جبلهم عليه وفطرهم عليه،وأخذ عليهم في الأصلاب أنه ربهم ومليكهم، وأنه لا إله إلا هو، فأقروا بذلك ، وشهدوا على أنفسهم به ، فخالفوه وتركوه وراء ظهورهم ، وعبدوا مع الله غيره بلا دليل ولا حجة</b></span></div></blockquote><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—এখানে আল্লাহ্ বলেন,{❝আর আমি তাদের অধিকাংশকে❞}— অর্থাৎ পূর্ববর্তী উম্মতদের অধিকাংশকেই {❝প্রতিশ্রুতি পালনকারী হিসেবে পাইনি❞}।এবং {❝বরং আমি তাদের অধিকাংশকে তো ফাসেক হিসেবই পেয়েছি❞}—অর্থাৎ তাদের অধিকাংশকে আমার বাধ্যতা হতে বিচ্যুত অবস্থায় এবং আমার প্রতি অনমনীয় অবস্থায় পেয়েছি।অধিকাংশ লোকই আমাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।তাদের স্বভাবই এমন এবং তাদের পিতৃপৃষ্ঠে আমি তাদের থেকে আমার রবুবিয়তের স্বীকৃতির যে ওয়াদা গ্রহণ করেছি শয়তানের চক্রান্তে তা থেকে তারা দূরে সরে গেছে।তারা আমাকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মা'বূদ নাই।তারা পরস্পর এর সাক্ষী ছিল।অতঃপর তারা এটার খেলাফ কাজ করেছে এবং সেই প্রতিশ্রুতি তারা বেমালুম ভুলে গিয়েছে।তারা কোন দলীল প্রমাণ ছাড়াই আল্লাহ সাথে শরীক বানিয়ে সেগুলোর ইবাদত করেছে।  </span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">[তাফসিরে ইবন কাসির,৩/৪০৬,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ]</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u>➤➤আয়াত ১১</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে </span><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।❞(ইউসুফ: ১০৬)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">এটাও মক্কার মুশরিকদের ব্যাপারে নাযিল হওয়া আয়াত।</span></div><div>জালালাইনে আছে,</div><div><div style="text-align: center;"><b><span style="color: red;"></span></b></div><blockquote><div style="text-align: center;"><b><span style="color: red;">وما يؤمن أكثرهم بالله حيث يقرون بأنه الخالق الرازق  إلا وهم مشركون به بعبادة الأصنام ولذا كانـوا يقولون في تلبيتهم : لبيك لا شريك لك ، إلا شريكاً هو لك ، تملكه</span></b></div><div style="text-align: center;"><b><span style="color: red;">وما ملك . يعنونها</span></b></div></blockquote><div style="text-align: center;"><b><span style="color: red;"></span></b></div></div><div><br></div><div><span style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;">—❝তাদের অধিকাংশই আল্লাহ বিশ্বাস করে বটে আল্লাহ তা'আলা সৃষ্টিকর্তা এবং রিজিকদাতা তা স্বীকার করে বটে কিন্তু তারা প্রতিমার উপাসনা করতো তার সাথে শরিক করে।তাই তারা তাদের হজের তালবিয়া পাঠকালে তাতে বলত 'লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা,ইল্লা শারিকান হুয়া লাকা' অর্থাৎ হে আল্লাহ,আমি হাজির,তোমার কোনো শরিক নেই কেবল ঐ শরিক ব্যতীত যার মালিক তুমিই।এই বলে তারা প্রতিমাসমূহের দিকেই ইঙ্গিত করতো।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">রইসুল মুফাসসিরীন ইবন আব্বাস রা. হতে বর্ণিত —</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><blockquote style="text-align: center;"><b><span style="color: #ffa400;">قَالَ كَانَ الْمُشْرِكُونَ يَقُولُونَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ - قَالَ - فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ وَيْلَكُمْ قَدْ قَدْ ‏"‏ ‏.‏ فَيَقُولُونَ إِلاَّ شَرِيكًا هُوَ لَكَ تَمْلِكُهُ وَمَا مَلَكَ ‏.‏ يَقُولُونَ هَذَا وَهُمْ يَطُوفُونَ بِالْبَيْتِ</span></b></blockquote></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—তিনি বলেন,❝মুশরিকরা বলত,"লাব্বায়কা লা- শারীকা লাকা।রাবী বলেন,রসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন, তোমাদের ক্ষতি হোক,ক্ষান্ত হও,ক্ষান্ত হও (সামনে আর বলে না)।তারা এর সাথে আরও বলত,“কিন্তু হে আল্লাহ!তোমার আরও একজন শারীক আছে- তুমিই যার মালিক এবং সে কিছুরই মালিক নয়।” তারা এ কথা বলত আর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করত।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">[সহিহ মুসলিম,কিতাবুল হাজ্জ,باب التَّلْبِيَةِ وَصِفَتِهَا وَوَقْتِهَا ‏, হাদিস নং ১১৮৫(ইন্টারন্যাশনাল)]</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">আল্লামা ইবনে কাসির ইমাম হাসান বসরি رضي الله تعالى عنه হতে <b>এই আয়াতের তাফসির নিয়েছেন,যেখানে ইমাম বলেন, ❝মুনাফিকরাও মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত। কারণ তারা লোক দেখানোর জন্য আমল করে থাকে।❞</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">কাযিউল কুযযাত ইমাম মাওয়ারদি (৪৫০হি.) উনার তাফসিরে ৩/৮৭পৃ.(দারুল কুতুব ইলমিয়াহ) বলেন,</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">এখানে উল্লিখিত শির্ক পাঁচ প্রকারে হতে পারে।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>প্রথমত,যেমনটা মুশরিকরা বলে,আল্লাহর সাথে শরিক করে রিজিকদাতা,ইলাহ এবং রব সাব্যস্ত করে—এটা ইমাম মুজাহিদের বক্তব্য!</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>দ্বিতীয়ত,মুনাফিকরা!এরা প্রকাশ্যে ইমান আনে এবং রিয়াহ করে।আর প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর বিধিবিধানের সাথে কুফুরি করে।—এটা ইমাম হাসান বসরির বক্তব্য!</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>তৃতীয়ত,ইমাম সুদ্দি কাবির বলেন</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>   هو أن يشبه الله تعالى بخلقه</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>   —তারা,যারা ইমান আনে অথচ সৃষ্টিকে আল্লাহর সাথে তাশবিহ/সাদৃশ্য দেয়।</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>(যেমন বর্তমানে সালাফিরা ওদের কিতাবে আল্লাহর হাত,পা,আঙ্গুল সাব্যস্ত করেছে মা'আযাল্লাহ।)</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>চতুর্থত,ইমাম আবু জা'ফর বলেন,আল্লাহর আনুগত্যের ব্যাপারে কাউকে শরিক করা।যেমন কেউ যদি বলে যে, ❝আল্লাহ যদি না থাকত তবে অমুক অমুককে ধ্বংস করে দিতো।❞</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><br></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b>এবং পঞ্চমত,কেউ তো আল্লাহর উপর ইমান অবশ্যই এনে ফেললো,কিন্তু নবি ﷺ কে অস্বীকার করে বসলো।তবে তার ইমান বিশুদ্ধ হবেনা—এটা ইমাম ইবনে আমবারি এর বক্তব্য।</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">সুতরাং দেখা গেল এ আয়াতখানাও অধিকাংশ মুফাসসিরদের মতে কাফির-মুশরিক দের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে।</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="background-color: #f4cccc; font-family: Times New Roman, Times, serif; font-size: large;"><b><u>➤➤আয়াত ১২:</u></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">সুরা শু'আরা আয়াত ২২৩</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">یُّلۡقُوۡنَ السَّمۡعَ وَ اَکۡثَرُہُمۡ کٰذِبُوۡنَ</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">—❝তারা কান পেতে থাকে এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।❞</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">এ আয়াতে যেকোনো তাফসির খুললে দেখা যাবে জ্যোতিষীদের কথা বলা হয়েছে।শয়তানরা আকাশবার্তা নিয়ে এসে তাদের কানে বলে যায়।যেমন ইমাম ইবনে কাসির এই আয়াতের ব্যাখ্যা দলিল টেনেছেন সহিহ বুখারি হতে।<b>হযরত আয়েশা সিদ্দিকা عليها السلام বলেন,❝কয়েকজন লোক নবী ﷺ এঁর নিকট গণকদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করল। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ ওরা কিছুই না। তারা আবার বললে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের বললেনঃ ওরা কিছুই না। তারা আবার বললঃ হে আল্লাহর রাসূল ﷺ! তারা তো কোন সময় এমন কথা বলে দেয়, যা বাস্তবে ঘটে যায়। নাবী ﷺ বললেনঃ কথাটি জিন থেকে পাওয়া। জিনেরা তা আসমানের (ফেরেশতাদের থেকে) ছোঁ মেরে নিয়ে এসে তাদের বন্ধু গণকদের কানে তুলে দেয়, যেভাবে মুরগী তার বাচ্চাদের মুখে দানা তুলে দেয়। তারপর এ গণকরা এর সঙ্গে আরও শতাধিক মিথ্যা কথা মিলিয়ে দেয়।</b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">[বুখারি ৬২১৩, ৭৫৬১ মুসলিম, হাদীস ২২২৮ বাগাভি,হাদীস ৩২৫৮,আব্দুর রায্যাক,হাদীস ২০৩৪৭ বায়হাক্বী : ৮/১৩৮ আহমাদ : ৬/৮৭]</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন:</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div style="text-align: center;"><span style="color: red; font-family: Times New Roman, Times, serif;"><b><blockquote>مَنْ أَتَى كَاهِنًا أَوْ سَاحِرًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُوْلُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم</blockquote></b></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">❝যে ব্যক্তি কোন গণক বা যাদুকরের নিকট গেলো এবং তার কথা বিশ্বাস করলো তখনই সে মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি অবতীর্ণ বিধান তথা কুর’আন মাজীদকে অস্বীকার করলো অর্থাৎ কাফির হয়ে গেলো।❞ (ত্বাবারানী,মুজামুল কাবীর খন্ড ১০ হাদীস ১০০০৫)</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;">আরো বর্ণিত আছে,হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন:</span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><br></span></div><div><span style="font-family: Times New Roman, Times, serif;"><span></span></span></div></div></div>

খারিজিয়ত : আয়াতের অপপ্রয়োগের অভয়ারণ্যময় ফিরক্বা

  অপপ্রয়োকৃত আয়াতগুলো: সমগ্র পোস্টটি পিডিএফ হিসেবে ডাউনলোড করুন ১.আনআম ১১১ ২.মায়িদাহ ১০৩ ৩.ইউসুফ ৬৮ ৪.আনআম ৩৭ ৫.আরাফ ১৩১ ৬.ইউসুফ ১০৩ ৭.আনআম...

Read more »

আলোকিত হৃদয় ও চেহারা!

<div>বসরায় বসবাসরত এক ব্যক্তি। যে কি-না শায়খ জুনাইদ বাগদাদী রাহিমাহুল্লাহ'র মুরিদ ছিল। একদিন তার অন্তরে গুণাহের খেয়াল আসল।</div><div><br></div><div>সাথে সাথে তার চেহারার রং কালো হয়ে গেল। সে ঘাবড়ে গেল খুব। তিনদিন পর আবার তার চেহারার কালোত্ব দূর হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে এলো। এবং সেদিনই তার আপন মুর্শিদ শায়খ জুনাইদ বাগদাদী রাহিমাহুল্লাহর প্রেরিত চিরকুট তার হস্তগত হলো।</div><div><br></div><div>লিখা ছিলো– 'বৎস! নিজের চাহিদার ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে শিখো। তোমার চেহারার কালো আভা দূর করতে, আমাকে তিন দিন ধোপার কাজ করতে হয়েছে।' সুবহানাল্লাহ</div><div><br></div><div>চেহারার সৌন্দর্য বর্ধনে আমরা খোঁজে ফিরি কত ধরণের প্রসাধনী সামগ্রি। কিন্তু সেটার কাজ স্রেফ ত্বকের ওপরেই বিদ্যমান। মূলত, আমাদের করা নেক কাজগুলো আমাদের অন্তরকে আলোকিত করে। পাশাপাশি চেহারাতেও সেই সৌন্দর্য, সে নূর ফোঁটে ওঠে। আর এটা দীর্ঘস্থায়ী। স্বয়ং রবের পক্ষ থেকে নিয়ামত। পক্ষান্তরে, আমাদের গুণাহগুলো আমাদের হৃদয়কে কলুষিত করে। আর চেহারাতেও এর প্রভাব দেখা যায়। চেহারা বে-নূর হয়ে যায়, হয়ে যায় অনেকটাই বিকৃত। তাই আমাদের প্রসাধনী হওয়া উচিত ওজু, হওয়া উচিত নেক কাজ। যা আমাদেরকে প্রকৃতপক্ষে আলোকিত করবে। জাহেরী এবং বাতেনীভাবে।</div><div><br></div><div>হাদীসে পাকে এসেছে, রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন— 'মুমিনের অন্তর্দৃষ্টিকে ভয় করো। কেননা সে আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে।' </div><div><br></div><div>অর্থাৎ এটাও ওলীদের প্রতি আল্লাহর দান করা এক বিশেষ ক্ষমতা। তাঁরা অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন। তারা তাদের মুরিদদের অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত। এবং তারা চাইলে আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে, মুরিদের আধ্যাত্মিক সংশোধনও করে দিতে পারেন। এই ফিতনার সময় নিজ ঈমান ও আমলের হিফাজতের জন্য আমাদেরও উচিত কোনো শায়েখে কামেল এর দামানের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়া। তাদের আনুগত্যের দ্বারা নিজের দুনিয়া ও আখিরাতকে সৌন্দর্যমন্ডিত করা।</div><div><br></div><div>ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুবি সাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিক।</div>

আলোকিত হৃদয় ও চেহারা!

বসরায় বসবাসরত এক ব্যক্তি। যে কি-না শায়খ জুনাইদ বাগদাদী রাহিমাহুল্লাহ'র মুরিদ ছিল। একদিন তার অন্তরে গুণাহের খেয়াল আসল। সাথে সাথে তার চেহা...

Read more »

গাউসে পাক রা. এবং আল্লামা ইবনে তায়মিয়া

<div><b><span style="color: red;">হুযুর গাউসুল আযম কেন স্বীয় মর্যাদায় অদ্বিতীয়?</span></b></div><div><br /></div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEipxyQjFNMoayYd37vqPY4ms2V8hbvrN7MM7aoMMeRvQzmgRhgFBFJKtLGC1819FVbtnx5J_pg04qHfBLZCB8QPvRqgn3I9jDk4Ektjurqt0rtowFTb2JhD7sBsom-6ByUja6PowZGchcfH/s1600/43f147e28fba120725c7c81562e5bac1.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="919" data-original-width="736" height="676" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEipxyQjFNMoayYd37vqPY4ms2V8hbvrN7MM7aoMMeRvQzmgRhgFBFJKtLGC1819FVbtnx5J_pg04qHfBLZCB8QPvRqgn3I9jDk4Ektjurqt0rtowFTb2JhD7sBsom-6ByUja6PowZGchcfH/s1600-rw/43f147e28fba120725c7c81562e5bac1.jpg" title="" width="542" /></a></div><br /></div><div><br /></div><div>এখানে ৩টা বিষয় আলোচিত হবে:</div><div><br /></div><div>➤আউলিয়াদের মর্যাদা উত্তোরত্তর বাড়তে থাকে </div><div>➤সমমর্যাদায় পৌঁছা এবং সমমর্যাদা সম্পন্ন হওয়া এক বিষয় নয়</div><div>➤শায়খুল ইসলাম ইমাম মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির গিলানি উনার মর্যাদায় অদ্বিতীয় এবং অনন্য।</div><div><br /></div><div><br /></div><div>সুরা মুজদালাহতে (আয়াত ১১) আল্লাহ ইরশাদ করেন,</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"><b>يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ </b></blockquote><div><br /></div><div>—❝আল্লাহ তোমাদের মধ্যে ঈমানদারদের এবং যাদেরকে জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে তাদেরই মর্যাদা সমুন্নত করবেন।❞</div><div>[অনুবাদ কানযুল ঈমান হতে,কৃত:আলা হযরত]</div><div><br /></div><div>এখানে <b>يَرْفَعِ/ইয়ারফা'ঈ বা 'সমুন্নত করবেন বা করেন' এর হুকুম হয় Present Continuous Tense</b> এর মতো।মানে আল্লাহ যাদেরকে ইলম দিয়ে রহমত করেছেন,তারা তা পরিপূর্ণ কাজে লাগালে আল্লাহ তাদের মর্যাদা উত্তরোত্তর বাড়াতেই থাকেন।</div><div><br /></div><div>সুতরাং,বুঝা গেলো গাউসে আযম মুহিউদ্দিন আবদুল কাদির কুদ্দিসাল্লাহু সিররুহু সহ সকল বরহক্ব আলিমের মর্যাদা আল্লাহর ইচ্ছায় বৃদ্ধি হতে থাকে।</div><div><br /></div><div>কিন্তু অন্য সবার সাথে হুযুর গাউসে আযমের পার্থক্য স্পষ্ট এখানে যে,গাউসুল আযম দস্তগির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"><b>دَرَسْتُ الْعِلْمَ حَتَّى صِرْتُ قُطْباً</b></blockquote><div style="text-align: center;"><br /></div><div>—❝আমি ইলম অর্জন করতে লাগলাম-করতে লাগলাম,এমনকি আমি 'ক্বুতব' হয়ে গেলাম।❞</div><div><br /></div><div>এটার একটা ব্যাখ্যা এরকম হতে পারে,❝ক্বুতব হওয়া পর্যন্ত ইলম তালাশ করতেই লাগলাম।❞ আরেকটা ব্যাখ্যা হতে পারে যে,❝আমি ক্বুতব হয়ে গেলাম,তথাপি আমি ইলম অন্বেষণ হতে বিমুখ হইনি।❞</div><div><br /></div><div>ক্বুতব হল হাদিস শরিফে বর্ণিত আউলিয়া কেরামের মর্যাদার সর্বোচ্চ একটা স্তর,এ স্তরে উন্নিত আউলিয়ার ক্বালবের ক্ষমতা আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি সাইয়্যেদুনা ইসরাফিল عليه السلام এর ক্বালবের ক্ষমতার সমান। 'ক্বুতবিয়ত' এর মর্যাদায় উন্নীত হতে হলে একজন বান্দাকে কঠোর ইবাদত-রিয়াযত এবং শরয়ি ইলমের পাশাপাশি ইলমে লাদুন্নি অর্জন করতে হয়।এবং 'ক্বুতব' হবার পরেও উনার মর্যাদা বাড়তেই থাকে।</div><div><br /></div><div>হাদিস শরিফে কুতুব,নুকবা,নুজাবা ও আবদাল এ শব্দগুলো উল্লেখ আছে।এগুলো আউলিয়ায়ে কিরামের মর্যাদার একেকটা স্তর।একের পর এক ধাপ অতিক্রম করে বান্দা আল্লাহর নৈকট্যের বিচারে আরো কাছে যান।এ নৈকট্যের সর্বোচ্চ মর্যাদা হল 'মাকামে ক্বাবা কাওসাইনে আও-আদনা'র, যেটা নবি ﷺ ব্যতীত আর কারোই হাসিল হবেনা। কিন্তু এতদ্ব্যতীত 'ক্বুতবিয়তে'র মর্যাদার পর যথাক্রমে 'গাউসিয়ত', 'ফারদানিয়ত' বা 'মাহবুবিয়ত' এগুলোর কথাও আউলিয়াগণ বলেছেন।</div><div><br /></div><div>এখন,ইমামুল আউলিয়া হুযুর নিযামউদ্দিন আউলিয়া গাউসিয়ত,কুতুবিয়ত ও ফারদানিয়তের মর্যাদা অতিক্রম করে 'মাহবুবিয়ত' এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন।আবার গাউসে আযম রা. এর একটা লক্বব/উপাধি হল 'মাহবুব-ই-সুবহানি' তাহলে এই দুই 'মাহবুবিয়ত' দ্বারা কি সাব্যস্ত হয় যে উনারা দুজন সমান মর্যাদার?</div><div><br /></div><div>আবার গাউসুল আযম এর ব্যাপারে <b>শায়খুল ইসলাম ইমাম সাইয়্যদ আহমাদ আর-রিফায়ি গাউসুল কাবির</b> সম্পর্কে কুতুবে রাব্বানি ইমাম শা'রানি বলেন,</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"><b>هو <span style="color: #cc0000;"><u>الغوث الأكبر</u></span> والقطب الأشهر أحد أركان الطريق وأئمة العارفين</b></blockquote><div><br /></div><div><b>—❝তিনি হলেন গাউসুল আকবর,প্রসিদ্ধ ক্বুতব,অন্যতম প্রধান একটি ত্বরিকার মুখপাত্র এবং আরিফদের ইমাম।❞</b></div><div><b>[আল্লামা ইউনুস সামিরায়ি, কিতাব:আহমদ রিফায়ি,৯৮পৃষ্ঠা,১৯৮০ সালে বাগদাদ হতে প্রকাশিত]</b></div><div><br /></div><div>তাহলে এই গাউসে পাক এবং গাউসে রিফায়ি এর মর্যাদা কি সমকক্ষীয়?</div><div><br /></div><div>এভাবে <b>আল্লামা আব্দুল গণি কাঞ্চনপুরি মকবুলে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি লিখেন,গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি সৈয়্যদ আহমদ উল্লাহ কেবলা কাবা হলেন 'ফারদুল্লাহিল আকরম' </b>বা অতিমর্যাদা সম্পন্ন ওলি যিনি আল্লাহর দেয়া ক্ষমতায় ফারদানিয়তের মর্যাদায় উত্তীর্ণ।তাই বলে কি উনার সাথে হুযুর গাউসে পাকের মর্যাদা সমান?</div><div><br /></div><div><b>নাহ এমনটা নয়।বরং 'গাউসুল আযম' এটাকে যদি একটা সীমারেখা ধরা হয় তাহলে বলা যায়,হুযুর গাউসে পাক এবং গাউস রিফায়ী বা গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি সে সীমারেখা অতিক্রম করেছেন। কিন্তু গাউসে আযম এদের সবাইকে টপকিয়ে আরো অনন্ত যোজন এগিয়ে গেছেন,ফলে উনার গাউসিয়ত বিশেষত্ব পেয়েছে এবং ইমাম মাহদির আগ পর্যন্ত উনার সমান কেউ হতে পারবেনা,এটাই উম্মতে মুহাম্মদির ইজমা।</b></div><div><br /></div><div>আবার 'মাহবুবিয়ত' এটাকে যদি একটা সীমারেখা ধরা হয় তাহলে বলা যায়,হুযুর গাউসে পাক এবং মাহবুবে ইলাহি বা গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি সে সীমারেখা অতিক্রম করেছেন। কিন্তু গাউসে আযম এদের সবাইকে টপকিয়ে আরো অনন্ত যোজন এগিয়ে গেছেন, ফলে উনার মাহবুবিয়ত বিশেষত্ব পেয়েছে এবং ইমাম মাহদির আগ পর্যন্ত উনার সমান কেউ হতে পারবেনা,এটাই উম্মতে মুহাম্মদির ইজমা।একইভাবে ফরদানিয়ত।</div><div><br /></div><div>এখন যদি বলেন যে,একই নামে ভিন্ন মর্যাদা হওয়া সম্ভব কেমনে,তখন বলব 'ইয়ারফাইল্লাহ' দেখুন।আর যদি বলেন,একই হুকুম সবার জন্যই প্রযোজ্য,তখন বলব অবশ্যই,সবার জন্য প্রযোজ্য হলেও গাউসে পাকের ক্ষেত্র আলাদা।এবং এই আলাদা মানতে না পারলে আপনি Wrong Track এ আছেন।</div><div><br /></div><div>ইমাম মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির নিজ যবানে একথা ঘোষণা করেছেন,</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"> <b>بيني وبينكم وبين الخلق كلهم بعد ما بين السماء والأرض فلا تقيسوني على أحد ولا تقيسوا أحدا علي</b></blockquote><div> </div><div> <b>—❝আমার এবং তোমাদের মাঝে আসমান-যমিনের ফারাক্ব।আমাকে কারো সাথে তুলনা করোনা, আর কাউকে আমার সাথেও তুলনা করতে এসো না।❞</b></div><div><b> </b></div><div> [➤ইমাম আব্দুল ক্বাদির ফতহুর রাব্বানি ওয়া ফাইযুর রাহমানি,৩২৩পৃষ্ঠা,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ।</div><div>➤আল্লামা সাইয়্যেদ মি'আদ শারফুদ্দিন জিলানি হাফিযাহুল্লাহ,'ফুতুহুল গায়ব' হতে নক্বল করেন,কিতাব:ত্বরিকায়ে ক্বাদেরিয়াহ, ১৮৫পৃষ্ঠা,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ]</div><div><br /></div><div>সুতরাং,এমন কোনো বক্তব্য প্রদান অনুচিত যেটা ইজমায়ে উম্মতের খেলাফ হয় এবং তাতে করে আমাদের রূহ ফয়েজবঞ্চিত হয়ে পড়ে।</div><div><br /></div><div><p dir="ltr">এবার আসি মূল আলোচনায়। আরবিতে একখানা কথা আছে,'মান লাহুল মাওলা ফালাহুল কুল', যার এক অর্থ হতে পারে,যে খোদা তাআলাকে রাজি করলো সমগ্র সৃষ্টি তার অনুগত হয়ে গেল।এর একটা জলন্ত প্রমাণ দেখি ইমাম আব্দিল ক্বাদির এবং আল্লামা ইবন তায়মিয়ার মাঝে।</p> <p dir="ltr">সূফিয়ায়ে কেরামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ কারি,বহু মাস'আলায় ইজমায়ে উম্মতের বিরোধিতাকারি এবং বিদ'আতি আক্বিদা পোষণকারি <b>আল্লামা ইবনে তায়মিয়ার লেখনীতে দেখা গেছে যখনই উনার সামনে সমগ্র সৃষ্টিজগৎের গাউস মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির এর নাম আসে তখন যেন তিনি একটু দূর্বল হয়ে পড়েন।</b>আল্লামা ইবনে তায়মিয়াহ গাউসুল আযম মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির জিলানি কুদ্দিসাল্লহু সিররুহুর প্রতি সদা মস্তকাবনত ছিলেন।</p> <p dir="ltr">এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল, <b>উনি শায়খ আব্দিল ক্বাদির এর 'ফুতুহুল গায়ব' বা 'মাফাতিহুল গায়ব' এর ব্যাখ্যা লিখেছেন।</b>ফুতুহুল গায়ব এর অর্থ অদৃশ্যের সংবাদ সমূহের উদঘাটন।আজ-কালকার মোল্লা হলে ফতোয়া লাগিয়ে দিতো,এই নামটাই কুফুরি আকিদা সম্পন্ন।<b>আর অন্যদিকে হাফিয ইবনুল কাইয়্যিম 'মাদারিজুস সালিকিন' এ উল্লেখ এটাও উল্লেখ করেন যে,আল্লামা ইবনে তায়মিয়া লওহে মাহফুজ দেখে ভবিষ্যতে ঘটবে এমন সংবাদ বলে দিতে পারতেন।</b></p> <p dir="ltr">আউলিয়া কিরামদের দোয়ার বরকতে আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করে থাকেন।এ কনসেপ্টের ব্যাখ্যায় ইবনে তায়মিয়া যা উল্লেখ করেছেন তা অন্য কেউ বললে তারা কাফের-মুশরিক বানিয়ে দিতেন।ইবন তায়মিয়া লিখেন—</p><blockquote style="text-align: center;"><b><span style="color: red;">كَثِيرٌ مِنْ الرِّجَالِ إذَا وَصَلُوا إلَى الْقَضَاءِ وَالْقَدَرِ أَمْسَكُوا وَأَنَا انْفَتَحَتْ لِي فِيهِ رَوْزَنَةٌ فَنَازَعْتُ أَقْدَارَ الْحَقِّ بِالْحَقِّ لِلْحَقِّ وَالرَّجُلُ مَنْ يَكُونُ مُنَازِعًا لِقَدَرِ لَا مُوَافِقًا لَهُ وَهُوَ - رضي الله عنه - كَانَ يُعَظِّمُ الْأَمْرَ وَالنَّهْيَ وَيُوصِي بِاتِّبَاعِ ذَلِكَ وَيَنْهَى عَنْ الِاحْتِجَاجِ بِالْقَدَرِ</span></b></blockquote><p dir="ltr"><br /> ❝আশ-শাইখ আব্দিল ক্বাদির বলেন,'<b>স্পষ্টতই কিছু যুবক (তাসাউফ চর্চা করতে করতে) অদৃশ্যের সংবাদ এবং ভাগ্যলিপি (দেখার) দেখার মর্যাদা পেয়ে যায়।কিন্তু তারা চুপ থাকে।কিন্তু,আমি বাদে (মানে আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নই)।কিন্তু ভাগ্যলিপি এবং আমার মাঝে একটা বাতায়ন রয়েছে,এর দ্বারা আমি হক্বের উপর দাঁড়িয়ে হক্বের জন্য ভাগ্যলিপির সাথে প্রতিযোগিতা করতে থাকি (অর্থাৎ লোকেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য)।আমি সে ব্যক্তি যে (মানুষের উপকারের জন্য) ভাগ্যলিপির সহিত দ্বন্দ্বে লিপ্ত,ভাগ্যের পরিণতি অনুসারে চুপ হয়ে মেনে নেয়ার পাত্র আমি নই!'[আল্লাহু আকবর]❞</b></p> <p dir="ltr">ইবনে তায়মিয়াহ বলেন,</p><p dir="ltr"><br /></p><blockquote style="text-align: center;"><b>والذي ذكره الشيخ رحمه الله هو الذي أمر الله به ورسوله</b></blockquote><p></p><p dir="ltr"><br /> —❝এখানে শায়খ আব্দিল ক্বাদির যা বলেছেন তা মূলত: আল্লাহর হুকুমে এবং তার ﷻ রাসুলের হুকুমেই ﷺ বলেছেন।❞</p> <p dir="ltr">রেফারেন্স:</p><p dir="ltr"> ➤ফতোয়ায়ে কুবরা,<a href="tel:5161162">৫/১৬১-১৬২</a>পৃ.,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ হতে প্রকাশিত।<br /> ➤কিতাবুল উবুদিয়াত,৯পৃষ্ঠা,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ<br /> ➤মাজমুআ ফাতাওয়া,৬/৮৯,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ</p> <blockquote><b>'আল ইস্তিক্বামাহ' এর ৮৬পৃষ্ঠায় ইবন তায়মিয়া গাউসে পাক কে 'ক্বুতবুল আরিফিন' উপাধিতে সম্বোধন </b>করে একটা ঘটনা উল্লেখ করেন যেখানে উনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, ❝<b>হে সাইয়্যিদি!ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল রা. এর আক্বিদার ওপর অটল ব্যতীত কেউ কি আউলিয়া হতে পারে?❞ উনি নঞার্থক জবাব দিলেন!<br /></b><b>ইমামের আক্বিদাগুলোকে গ্রন্থিত করেছেন হুযুর গাউসুল আযমেরই শাগরিদ শায়খুল ইসলাম মুওয়াফফাক্ব উদ্দিন ইবনু ক্বুদামা আল-মাক্বদিসি আল-হাম্বলি (৬২০হি.)।আর আল্লামা ইবন তায়মিয়ার বিভিন্ন বক্তব্য প্রমাণ করে,উনি নিজেই বিভিন্ন বিষয়ে ইমাম আহমদের আক্বিদা হতে সরে গিয়েছেন।<br /></b><b>হুযুর গাউসুল আজমের কাশফ সম্পর্কে ইবন তায়মিয়া একটা ঘটনা উল্লেখ করেন।একবার ইমাম শায়খ শিহাবউদ্দিন সোহরাওয়ার্দী উনার মামার সাথে হুযুর গাউসুল আযম রা. এর পবিত্র বারগাহে উপস্থিত হলেন।ইমাম সোহরাওয়ার্দী বলেন,"আমি 'কালাম' শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি লাভের জন্য কি অধ্যয়ন করবো,ইমামুল হারামাইনের 'ইরশাদ' নাকি ইমাম শিহরিস্তানির 'নিহায়াতুল ইক্বদাম',নাকি উনার নিকটই বসে কিছু লিখবো,তা শায়খুল ইসলাম মুহিউদ্দিন আব্দিল ক্বাদির এর নিকট জানতে চাওয়ার মানসিকতা নিয়ে উপস্থিত হলাম।উনি আমাকে দেখেই বলে উঠলেন,❝বৎস উমর!ক্ববরে এগুলা কি কাজে আসবে?ক্ববরে এগুলা কি কাজে আসবে?❞এটা বলে উনি আমার ক্বালবের উপর অন্তঃর্দৃষ্টি/কাশফ নিক্ষেপ করলেন।আমার সমস্ত জ্ঞান আমি ভুলে গেলাম।"</b></blockquote> <p dir="ltr"> [আল ইস্তিক্বামাহ লি ইবনু তায়মিয়া,১/৭৮]</p> <p dir="ltr">'আর ফুরকান বাইনাল আওলিয়াইর রাহমানি ওয়াশ শাইত্বান' এ স্থানে স্থানে উনি গাউসুল আযম কে কামিল ওলি হিসেবে ঘোষণা করেন আর উনার কারামাত সমূহকে মুতাওয়াতির বলে ঘোষণা দেন।</p> <p dir="ltr">ইবন তায়মিয়া কাদেরিয়া ত্বরিকার মুরিদ ছিলেন।<b>'বাদউল উলক্বা বিলাবসিল খিরক্বাহ</b>' নামক ছোট পুস্তিকায় আল্লামা জামালউদ্দিন আব্দুল হাদি আল-হাম্বলি রহ. একটা সিলসিলার কথা উল্লেখ করেন,এটা নিম্নরূপ:</p> <p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">মহান গাউসুল আযম আবু মুহাম্মাদ আব্দিল ক্বাদির</span></b></p><p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">↓</span></b></p><p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">শাইখ আবু উমর ইবন ক্বুদামা</span></b></p><p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">↓</span></b></p><p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">শায়খুল ইসলাম মুওয়াফফাক উদ্দিন ইবনু ক্বুদামা</span></b></p><p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">↓</span></b></p><p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">ইবন আলি ইবন ক্বুদামা</span></b></p><p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">↓</span></b></p><p dir="ltr"><b><span style="background-color: #fcff01; color: red;">আল্লামা হাফিয ইবন তায়মিয়াহ!</span></b></p> <p dir="ltr"><b>মান লাহুল মাওলা ফালাহুল কুল।</b><br /> </p></div>

গাউসে পাক রা. এবং আল্লামা ইবনে তায়মিয়া

হুযুর গাউসুল আযম কেন স্বীয় মর্যাদায় অদ্বিতীয়? এখানে ৩টা বিষয় আলোচিত হবে: ➤আউলিয়াদের মর্যাদা উত্তোরত্তর বাড়তে থাকে  ➤সমমর্যাদায় পৌঁছা এবং সমম...

Read more »