উম্মত যখন এ পনেরটি বিষয়ে লিপ্ত হবে তখন তাদের উপর মুসিবত নিপতিত হবে

<div>উম্মত যখন এ পনেরটি বিষয়ে লিপ্ত হবে তখন তাদের উপর মুসিবত নিপতিত হবেঃ </div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ أَبُو فَضَالَةَ الشَّامِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((إِذَا فَعَلَتْ أُمَّتِي خَمْسَ عَشْرَةَ خَصْلَةً حَلَّ بِهَا الْبَلاَءُ)). فَقِيلَ وَمَا هُنَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: ((إِذَا كَانَ الْمَغْنَمُ دُوَلاً وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَأَطَاعَ الرَّجُلُ زَوْجَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَبَرَّ صَدِيقَهُ وَجَفَا أَبَاهُ وَارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ وَلُبِسَ الْحَرِيرُ وَاتُّخِذَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ أَوْ خَسْفًا وَمَسْخًا)).</div><div>قَالَ أَبُو عِيسَى: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ غَيْرَ الْفَرَجِ بْنِ فَضَالَةَ. وَالْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ قَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَضَعَّفَهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَقَدْ رَوَاهُ عَنْهُ وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ.</div><div>সালিহ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ...... আলী ইবন আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মত যখন এ পনেরটি বিষয়ে লিপ্ত হবে তখন তাদের উপর মুসিবত নিপতিত হবে। জিজ্ঞাসা করা হল, সেগুলো কি ইয়া রাসূলাল্লাহ?</div><div><br></div><div>তিনি বললেন, যখন গনীমত পরিণত হবে ব্যক্তিগত সম্পদে, আমানত পরিণত হবে লুটের মালরূপে, যাকাত গণ্য হবে জরিমানারূপে, পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের অনুগত হবে আর মা‘দের হবে অবাধ্য, বন্ধুদের সাথে তো সদাচারণ করবে অথচ পিতার সঙ্গে করবে দুর্ব্যবহার, মসজিদে শোরগোল করা হবে, নিকৃষ্টতম চরিত্রের লোকটি হবে তার সম্প্রদায়ের নেতা, কেবল অনিষ্টের ভয়ে কোন ব্যক্তিকে সম্মান করা হবে, মদপান করা হবে, রেশম বস্ত্র পরিধান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের রেওয়াজ চলবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদের অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা করবে অগ্নিবায়ু বা ভূমিধ্বস বা চেহারা বিকৃতির আযাবের। </div><div>এ হাদীসটি গারীব। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই। ফারাজ ইবন ফাযালা ছাড়া আর কেউ এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন বলেও আমরা জানিনা, কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ ফারাজ ইবন ফাযালার সমালোচনা করেছেন এবং স্মরণশক্তির দিক দিয়ে তাকে যঈফ বলেছেন ওয়াকী এবং আরো কতিপয় ইমাম তার বরাতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।(ইমাম তিরমিজি: তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং-২৩৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস নং-২২১৪)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiHY9wLTgQOnxcP1Om6x_iqg0S6Y9XPnI14VI5b1PfWdOMXmag7HYM11fJ4E0d9SF_AGiNRFbDY3X9AmAU90oo5zlb0WXogDMdlfZjLFHJM-qV1rW4WDvePGQAuWtrARL2PVScQc-PNH_Wq/s1600/20211126_062910.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiHY9wLTgQOnxcP1Om6x_iqg0S6Y9XPnI14VI5b1PfWdOMXmag7HYM11fJ4E0d9SF_AGiNRFbDY3X9AmAU90oo5zlb0WXogDMdlfZjLFHJM-qV1rW4WDvePGQAuWtrARL2PVScQc-PNH_Wq/s1600-rw/20211126_062910.png" width="320"></a></div><br></div><div>আরেকটি রেওয়ায়েত দেখুন,</div><div>حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ عَنِ الْمُسْتَلِمِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ رُمَيْحٍ الْجُذَامِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((إِذَا اتُّخِذَ الْفَيْءُ دُوَلاً وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَتُعُلِّمَ لِغَيْرِ الدِّينِ وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَأَدْنَى صَدِيقَهُ وَأَقْصَى أَبَاهُ وَظَهَرَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَسَادَ الْقَبِيلَةَ فَاسِقُهُمْ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ وَزَلْزَلَةً وَخَسْفًا وَمَسْخًا وَقَذْفًا وَآيَاتٍ تَتَابَعُ كَنِظَامٍ بَالٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ)).</div><div>قَالَ أَبُو عِيسَى: وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ. وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.</div><div>আলী ইবন হুজর (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গনীমত সম্পদ যখন ব্যক্তিগত সম্পদ বলে গণ্য করা হবে, যাকাত হবে জরিমানা বলে, দ্বীনী উদ্দেশ্য ছাড়া ইলম অর্জন করা হবে, পুরুষরা স্ত্রীদের আনুগত্য করবে, এবং মা‘দের অবাধ্য হবে, বন্ধূদের নিকট করবে আর পিতাকে করবে দূর, মসজিদে শোরগোল করবে, পাপাচারীরা গোত্রের নেতা হয়ে বসবে, নিকৃষ্ট লোকেরা সমাজ নেতা হবে, অনিষ্টের আশংকায় একজনকে সম্মান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান দেখা দিবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা করবে অগ্নিবায়ু, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি, পাথর বর্ষণের আযাবের এবং আরো আলামতের যা পরপর নিপতিত হতে থাকবে, যেমন একটি পুরান হারের সূতা ছিড়ে গেলে একটার পর একটা দানা পড়তে থাকে।</div><div><br></div><div>(আবু ঈসা বলেন) এ বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই।(ইমাম তিরমিজি: তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং-২৩৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস নং-২২১৩)</div>

উম্মত যখন এ পনেরটি বিষয়ে লিপ্ত হবে তখন তাদের উপর মুসিবত নিপতিত হবে

উম্মত যখন এ পনেরটি বিষয়ে লিপ্ত হবে তখন তাদের উপর মুসিবত নিপতিত হবেঃ حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا الْفَر...

Read more »

জুমার খুতবার আযান মুক্তাদী দিতে পারবে না!

<div>মাস'আলাঃ ০১</div><div>জুমার দিন খুতবার সময় খতীবের সামনে যে আযান দেয়া হয়,সে আযানের জবাব বা দু'আ কেবল অন্তরে উচ্চারণ করবে, জবান দ্বারা কোন উচ্চারণ করবে না।</div><div>☞ দুররে মুখতার, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৬৮৩</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০২</div><div>জুমার দ্বিতীয় আযানের সময় আযানের মধ্যে হুজুর আকদাস ﷺ এর পবিত্র নাম শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলি চুমা দেবে না, শুধু মনে মনে দরুদ শরীফ পড়বে আর কিছু করবে না।যবানের একটি নাড়াও দিবে না।</div><div>☞ ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৫৯।</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৩</div><div>খুতবার মধ্যে হুজুর আকদাস ﷺ এর পবিত্র নাম শুনে মনে মনে দরুদ পড়বে, জবানকে চুপ রাখা ফরজ।</div><div>☞দুররে মুখতার, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ৩, পৃঃ ৭০৯</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৪</div><div>খতীব যদি খুতবার মাঝে মুসলমানদের জন্য দু'আ করে তাহলে শ্রোতাগণের হাত উঠানো বা আমিন বলা নিষেধ। যদি এমনটা করে তাহলে গুনহগার হবে।</div><div>☞দুররে মুখতার, বাহারে শরীয়ত।</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৫</div><div>খুতবা শোনা অবস্থায় নড়াচড়া করা নিষেধ। বিনা প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে খুতবা শোনা সুন্নাতের পরিপন্থী। জনসাধারণের মাঝে এই কাজটি পরিলক্ষিত হয় যে, ইমাম যখন দ্বিতীয় খুতবার শেষের দিকে,"........ولذ كر الله تعالي اعلي......." (ওয়ালা যিকরুল্লাহি তা'আলা আ'লা.....) শব্দসমুহে পৌঁছে, তখন তা শুনেই লোকজন নামাজের জন্য দাড়িয়ে যায়।এটা হারাম যে - এখানে সম্পুর্ণ খুতবা শেষ হয়নি, কিছু শব্দ এখনো বাকী রয়েছে এবং খুতবা চলাকালীন যে কোন ধরনের কাজ হারাম বা নিষেধ। </div><div>ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৪৩।</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৬</div><div>খুতবার সময় খতীবের সামনে যে আযান বলা হয় সে আযানের জবাব খতীব সাহেব জবান দ্বারা দিতে পারবে এবং দু'আ করতে পারবে।</div><div>☞তাবঈনুল হাকাইক, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৪০</div><div>মাস'আলাঃ ০৭</div><div>খুতবার সময় খুতবা শ্রবণকারীর দু' উরুর ওপর দু' জানু হয়ে বসবে অর্থাৎ, নামাযের বৈঠকে যেভাবে বসে সেভাবে বসবে।</div><div>☞আলমগীরি,দুররে মুখতার,গুনিয়া।</div><div>মাস'আলাঃ ০৭</div><div>খুতবার সময় সালামের জবাব দেয়াও হারাম। </div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj6-qk_BnI337QOSmbQb0xN866h9P9e66zbPUGkry8m9n1jLxtPj2D8B0phJyYxiHao_ErVrgzg1h7MDgEKMiU6fxpjrS5ChWi81aAM__-7meaAK3VSaABIRNsCLllPWh_Co4jUypXE_5ea/s1600/20211125_223219.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj6-qk_BnI337QOSmbQb0xN866h9P9e66zbPUGkry8m9n1jLxtPj2D8B0phJyYxiHao_ErVrgzg1h7MDgEKMiU6fxpjrS5ChWi81aAM__-7meaAK3VSaABIRNsCLllPWh_Co4jUypXE_5ea/s1600-rw/20211125_223219.png" width="320"></a></div>☞ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৬৯৬।</div>

জুমার খুতবার আযান মুক্তাদী দিতে পারবে না!

মাস'আলাঃ ০১ জুমার দিন খুতবার সময় খতীবের সামনে যে আযান দেয়া হয়,সে আযানের জবাব বা দু'আ কেবল অন্তরে উচ্চারণ করবে, জবান দ্বারা কোন উচ্চা...

Read more »

জুমার খুতবার আযান মুক্তাদী দিতে পারবে না!

<div>মাস'আলাঃ ০১</div><div>জুমার দিন খুতবার সময় খতীবের সামনে যে আযান দেয়া হয়,সে আযানের জবাব বা দু'আ কেবল অন্তরে উচ্চারণ করবে, জবান দ্বারা কোন উচ্চারণ করবে না।</div><div>☞ দুররে মুখতার, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৬৮৩</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০২</div><div>জুমার দ্বিতীয় আযানের সময় আযানের মধ্যে হুজুর আকদাস ﷺ এর পবিত্র নাম শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলি চুমা দেবে না, শুধু মনে মনে দরুদ শরীফ পড়বে আর কিছু করবে না।যবানের একটি নাড়াও দিবে না।</div><div>☞ ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৫৯।</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৩</div><div>খুতবার মধ্যে হুজুর আকদাস ﷺ এর পবিত্র নাম শুনে মনে মনে দরুদ পড়বে, জবানকে চুপ রাখা ফরজ।</div><div>☞দুররে মুখতার, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ৩, পৃঃ ৭০৯</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৪</div><div>খতীব যদি খুতবার মাঝে মুসলমানদের জন্য দু'আ করে তাহলে শ্রোতাগণের হাত উঠানো বা আমিন বলা নিষেধ। যদি এমনটা করে তাহলে গুনহগার হবে।</div><div>☞দুররে মুখতার, বাহারে শরীয়ত।</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৫</div><div>খুতবা শোনা অবস্থায় নড়াচড়া করা নিষেধ। বিনা প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে খুতবা শোনা সুন্নাতের পরিপন্থী। জনসাধারণের মাঝে এই কাজটি পরিলক্ষিত হয় যে, ইমাম যখন দ্বিতীয় খুতবার শেষের দিকে,"........ولذ كر الله تعالي اعلي......." (ওয়ালা যিকরুল্লাহি তা'আলা আ'লা.....) শব্দসমুহে পৌঁছে, তখন তা শুনেই লোকজন নামাজের জন্য দাড়িয়ে যায়।এটা হারাম যে - এখানে সম্পুর্ণ খুতবা শেষ হয়নি, কিছু শব্দ এখনো বাকী রয়েছে এবং খুতবা চলাকালীন যে কোন ধরনের কাজ হারাম বা নিষেধ। </div><div>ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৪৩।</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৬</div><div>খুতবার সময় খতীবের সামনে যে আযান বলা হয় সে আযানের জবাব খতীব সাহেব জবান দ্বারা দিতে পারবে এবং দু'আ করতে পারবে।</div><div>☞তাবঈনুল হাকাইক, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৪০</div><div>মাস'আলাঃ ০৭</div><div>খুতবার সময় খুতবা শ্রবণকারীর দু' উরুর ওপর দু' জানু হয়ে বসবে অর্থাৎ, নামাযের বৈঠকে যেভাবে বসে সেভাবে বসবে।</div><div>☞আলমগীরি,দুররে মুখতার,গুনিয়া।</div><div>মাস'আলাঃ ০৭</div><div>খুতবার সময় সালামের জবাব দেয়াও হারাম। </div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhyNTkPg801gNgVmNXxzg5t_4GfIg7w8KyRxv-j1wq48nIq0GKGbGuRYJ_krcBGXXqXrvBIn2CYRc8aGDZYmDj40OV3mSKbTkV72ftSnJq41ITMFc6rm6Rl9MNE3LeilhpqcFwchRkzbydO/s1600/20211125_223219.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhyNTkPg801gNgVmNXxzg5t_4GfIg7w8KyRxv-j1wq48nIq0GKGbGuRYJ_krcBGXXqXrvBIn2CYRc8aGDZYmDj40OV3mSKbTkV72ftSnJq41ITMFc6rm6Rl9MNE3LeilhpqcFwchRkzbydO/s1600-rw/20211125_223219.png" width="320"></a></div>☞ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৬৯৬।</div>

জুমার খুতবার আযান মুক্তাদী দিতে পারবে না!

মাস'আলাঃ ০১ জুমার দিন খুতবার সময় খতীবের সামনে যে আযান দেয়া হয়,সে আযানের জবাব বা দু'আ কেবল অন্তরে উচ্চারণ করবে, জবান দ্বারা কোন উচ্চা...

Read more »