নবী ﷺ এঁর দাঁড়ি মুবারক এবং মুআবিয়া রঃ এঁর অসীয়ত

<div style="text-align: justify;">নবী ﷺ এঁর নখ, চুল, কাপড় মুবারক এবং মুআবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা এঁর অসীয়ত</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdWDJNIVt2IgLxliU1RDUWhi34KQqts-Cg0ENu3gNQC5WmEpDlpXIUqIcRG9g7R4xtctOFP8VMd5iBKPFhouyXkRe3PhYMSQ-fQz13oyvroGX4UfBgE1IoKJ7SUlU_LANUwcDpT9FDt6c2/s1600/Screenshot_20210905_140601.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1985" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdWDJNIVt2IgLxliU1RDUWhi34KQqts-Cg0ENu3gNQC5WmEpDlpXIUqIcRG9g7R4xtctOFP8VMd5iBKPFhouyXkRe3PhYMSQ-fQz13oyvroGX4UfBgE1IoKJ7SUlU_LANUwcDpT9FDt6c2/s1600-rw/Screenshot_20210905_140601.jpg" width="174"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আমীরে মুআবিয়া রঃ বলেন, জেনে রাখ, একদিন আমি নবীজী ﷺ এঁর সামনে ছিলাম আর তিনি তাঁর নখ কাটছিলেন, তখন আমি তাঁর কর্তিত নখ মুবারক উঠিয়ে নিলাম এবং তা একটি কাঁচের বােতলে সংরক্ষণ করলাম, আর তা আমার কাছে রয়েছে, এছাড়া আমার কাছে তাঁর কিছু চুল মুবারকও রয়েছে। আমি যখন মারা যাব আর তোমরা আমাকে গােসল দিয়ে কাফন পরাবে তখন ঐ কর্তিত নখ মুবারকসমূহ আমার চোখে আর চুল মুবারকগুলো আমার মুখে ও কানে দিও। (ইবনুল আছমেঃ ৪/২৬৪) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমীরে মুআবিয়া রঃ বলেন, আমার মৃত্যু ঘনিয়ে আসলে একজন বুদ্ধিমান লােককে আমার গােসলের দায়িত্ব দিবে। কেননা, আল্লাহ'র কাছে বুদ্ধিমানের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তারপর সে যেন আমাকে ভালভাবে গােসল করায় এবং উচ্চস্বরে তাকবীর পড়ে। এরপর জানাযার ঐ রূমাল নিয়ে আসবে যাতে রসূলুল্লাহ্ ﷺ এঁর ব্যবহৃত একটি কাপড় মুবারক এবং তাঁর চুল মুবারক ও নখ মুবারকের কর্তিত অংশ রয়েছে। কর্তিত এই নখ মুবারক ও চুল মুবারক গুলোকে আমার নাকে, মুখে, কানে ও চোখে দিয়ে দিবে। (আর ঐ কাপড়কে অামার দেহ সংলগ্ন করে দিবে।) (ইমাম ইবনে কাসিরঃ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮ম খন্ড, ২৬৮ পৃষ্ঠা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আমীরে মু'আবিয়া রঃ অসীয়ত করেছিলেন তাঁকে যেন রসূলুল্লাহ্ ﷺ এঁর ঐ কাপড়ে দাফন করা হয় যা তিনি ﷺ তাকে পরিয়ে দিয়েছিলেন, আর তা তার কাছে এই দিনের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এছাড়া তিনি আরােও অসীয়ত করেছিলেন তার কাছে রসূলুল্লাহ ﷺ এঁর যে চুল মুবারক ও কর্তিত নখ মুবারক ছিল তা তাঁর মুখে, নাকে এবং কানে দিতে। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮ম খন্ড, ২৭১ পৃষ্ঠা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শুধু আমীরে মুআবিয়া রঃ নন, অন্যান্য সাহাবীরাও এমন করতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস (রঃ) বলেনঃ উম্মু সুলায়ম (রঃ) নবী ﷺ এঁর জন্য চামড়ার বিছানা বিছিয়ে দিতেন এবং তিনি সেখানেই ঐ চামড়ার বিছানার উপর কায়লুলা (বিশ্রাম) করতেন। অতঃপর তিনি যখন ঘুম থেকে উঠতেন, তখন তিনি তাঁর শরীরের কিছুটা ঘাম ও চুল সংগ্রহ করতেন এবং তা একটা বোতলের মধ্যে জমা করতেন এবং পরে ‘সুক্ক’ নামক সুগন্ধিতে মিশাতেন। রাবী বর্ণনা করেন যে, আনাস ইবনু মালিক (রঃ) এঁর মৃত্যু সন্নিকট হলে, তিনি আমাকে অসীয়ত করলেন যেন ঐ সুক্ক থেকে কিছুটা তাঁর সুগন্ধির সাথে মিলানো হয়। তাই তা তাঁর সুগন্ধিতে মেশানো হয়েছিল। (সহিহ বুখারী ৬২৮১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzXCov85VYCuzh59MoIq-ZnZHo0n1dplApHo6p3Qvi2lO85pJ8E9QvxzojEuPuqwvoJ3Zp6fLGELsd04NT6XO_mGADdW4Ako1wFxiGe1auJ8SC79vCG7btJ6CvMmKSUdEBCe_HOrXaG8HO/s1600/Screenshot_20210905_140857.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1410" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzXCov85VYCuzh59MoIq-ZnZHo0n1dplApHo6p3Qvi2lO85pJ8E9QvxzojEuPuqwvoJ3Zp6fLGELsd04NT6XO_mGADdW4Ako1wFxiGe1auJ8SC79vCG7btJ6CvMmKSUdEBCe_HOrXaG8HO/s1600-rw/Screenshot_20210905_140857.jpg" width="245"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjm7j_WRfmU78VH9MeK7-HrcUZ8AWmU25C2skr9jwBATrhMWoFr20UgLsu-KwMImVYua1FvQ2Pchb8SDQZbHkYshC6HFe4wafW2i5klENmNBkcBhVDNE5Fq2mSAN1Pvsc8yN6T0bycgJXQq/s1600/Screenshot_20210905_135950.jpg" imageanchor="1" style=" margin-right: 1em;margin-left: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="1407" data-original-width="1080" height="319" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjm7j_WRfmU78VH9MeK7-HrcUZ8AWmU25C2skr9jwBATrhMWoFr20UgLsu-KwMImVYua1FvQ2Pchb8SDQZbHkYshC6HFe4wafW2i5klENmNBkcBhVDNE5Fq2mSAN1Pvsc8yN6T0bycgJXQq/s1600-rw/Screenshot_20210905_135950.jpg" title="" width="245"></a></div></div></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বিখ্যাত তাবেঈ ইবনু সীরীন (রঃ) বলেনঃ আমি আবীদাকে বললাম, আমাদের নিকট নবী ﷺ এঁর চুল রয়েছে যা আমরা আনাস (রঃ)-এঁর নিকট হতে কিংবা আনাস (রঃ)-এঁর পরিবারের নিকট হতে পেয়েছি। তিনি বললেন, তাঁর একটি চুল আমার নিকট থাকাটা দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা অর্জনের চেয়ে অধিক পছন্দের। (সহিহ বুখারী ১৭০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস (রঃ) বলেন, আমি নাপিতকে দেখেছি রসূলুল্লাহ ﷺ এঁর চুল কাটছে আর সাহাবীরা তাঁর চতুর্পাশ ঘিরে রেখেছেন। তাঁরা চাইতেন যে, কোন চুল (যেন মাটিতে না পড়ে তা) যেন কারো না কারো হাতে পড়ে। (সহিহ মুসলিম ৫৯৩৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এখানে শিরিক বেদাতের গন্ধ পাওয়ার কিছুই নেই। ইনারাই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ, ইনাদের মাধ্যমেই আমরা তাওহীদ রিসালাত শিখেছি। বস্তুত, এগুলো হচ্ছে উসিলা অন্বেষণ, ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু সবার বুঝে আসবে না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত হুমায়দ রহঃ বলেন, আমি মু‘আবিয়া রঃ কে খুতবায় বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- আমি নবী ﷺ -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্ যার মঙ্গল চান, তাকে দ্বীনের ‘ইলম দান করেন। আল্লাহ্ দান করেন (দাতা) আর আমি বন্টন করি (কাসিম বা বন্টনকারী)। এ উম্মত সর্বদা তাদের প্রতিপক্ষের উপর বিজয়ী থাকবে, আল্লাহ'র আদেশ (কিয়ামত) আসা পর্যন্ত আর তারা থাকবে বিজয়ী।’ (সহীহ বুখারী ৩১১৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ইরশাদ করেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহ'কে ভয় কর, উসিলা (তাঁর নৈকট্য লাভের উপায়) অন্বেষণ কর এবং তার পথে জিহাদ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা মায়িদাহঃ ৩৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"নবী (ﷺ) মুমিনদের নিকট তাদের প্রাণ অপেক্ষাও অধিক প্রিয়/ ঘনিষ্ঠ/ নিকটবর্তী।" (সূরা আহযাবঃ ৬)</div>

নবী ﷺ এঁর দাঁড়ি মুবারক এবং মুআবিয়া রঃ এঁর অসীয়ত

নবী ﷺ এঁর নখ, চুল, কাপড় মুবারক এবং মুআবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা এঁর অসীয়ত হযরত আমীরে মুআবিয়া রঃ বলেন, জেনে রাখ, একদিন আমি ন...

Read more »

সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন সিদ্দিকে আকবর (রা.)

<div style="text-align: justify;"><div>১. ইমাম ত্বহাবী রহ.(ও.-৩২১ হি.) বলছেন, "রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সমস্ত উম্মাতের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান ও অগ্রগণ্য হিসেবে প্রথমতঃ আবু বাকার সিদ্দীক রা. কে খিলাফতের হক্বদার মানি।"(1)<br></div><div>(ইবনু আবিল ইযয র. কৃত 'শরহু আক্বীদাতিত ত্বহাভিয়্যাহ', পৃ.-৪৮০) </div><div><br></div><div>২. ইমাম আবুল হাসান আশ'আরী রহ. (ও.-৩২৪ হি.) বলছেন, </div><div>"(আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের) সবাই একমত যে, আশারায়ে মুবাশশারাহদের মধ্যে চার ইমাম সবচে উত্তম: আবু বাকার, তাঁরপর ওমর, তাঁরপর ওসমান এবং তাঁরপর আলী রিদওয়ানুল্লাহি 'আলাইহিম।"(2)</div><div>(ইমাম আবুল হাসান আল আশআরী র. কৃত 'রিসালাতু ইলা আহলিছ ছাগর', পৃ.-২৯৯) </div><div><br></div><div>৩. ইমাম আবু বাকার কালাবাজী রহ.(ও.-৩৭৮ হি.) বলেন, </div><div>"আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত একমত যে, নিশ্চয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আবু বাকার ও ওমার রা.।"(3)</div><div>(ইমাম কালাবাজী র. কৃত 'বাহরুল ফাওয়াইদ', ১/২৭৯) </div><div><br></div><div>৪. আব্দুল গনী আল মাকদিসী র.(ও.-৬০০ হি.) বলেন, "আহলুস সুন্নাহর আক্বীদাসমূহের একটি আক্বীদা হচ্ছে, নিশ্চয় উম্মাতে মুহাম্মদী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাঝে সর্বাধিক মর্যাদাবান আবু বাকার সিদ্দীক রা.। সাধারণভাবে সর্বাধিক মর্যাদাবান সাহাবী তিনিই।"(4)</div><div>(হাফিয আব্দুল গনী আল মাকদিসী র. কৃত 'শরহু আক্বীদাহ', পৃ.-৩৫০) </div><div><br></div><div>৫. ইমাম নববী র.(ও.-৬৭৬ হি.) বলেন, "আহলুস সুন্নাহ একমত যে, নিশ্চয় উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান আবু বাকার, তারপর উমার রা.।"(5)</div><div>(ইমাম নববী র. কৃত 'শরহু সহীহ মুসলিম',৫/১৪৮) </div><div><br></div><div>৬. ইমাম জালালুদ্দীন আস সুয়ূতী র.(ও.-৯১১ হি.) বলেন, "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ইজমা যে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সমস্ত মানুষের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান হযরত আবু বাকার সিদ্দীক রা.। তারপর হযরত ওমার রা., তারপর হযরত ওসমান গনী রা., তারপর হযরত সাইয়িদুনা আলী রা.।"(6)</div><div>(ইমাম সুয়ূতী র. কৃত 'তারীখুল খুলাফা', পৃ.-৩৮) </div><div><br></div><div>## অনেকে বলেন, ত্বরীকতের দৃষ্টিতে সাইয়্যেদী মাওলা আলী রা. শ্রেষ্ঠ। এ বিষয়ে অভাজন কিছু বলছি না। জাস্ট ত্বরীকতের ইমামদের উক্তিই যথেষ্ট-</div><div><br></div><div>১. সাইয়্যিদ আহমাদ রিফায়ী র.(ও.-৫৭৮ হি.) বলেন, </div><div>"সর্বাধিক মর্যাদাবান সাহাবী সাইয়্যিদুনা আবু বকর সিদ্দীক রা., তারপর সাইয়্যিদুনা ওমার ফারুক রা., তারপর সাইয়্যিদুনা ওসমান যিন নুরাইন রা., তারপর আলী আল মুরতাদ্বা কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু ওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।"(7)</div><div>(সাইয়্যিদ আহমাদ রিফায়ী র. কৃত 'আল বুরহানুল মুয়াইআদ', পৃ.-২৩) </div><div><br></div><div>২. হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নক্সবন্দ র.(ও.-৭৯১ হি.) বলেন, "আকাবেরে আউলিয়াদের ইজমা যে, মা'রিফাত ও বিলায়াতের মধ্যে আবু বাকার সিদ্দীক রা. এর কাছে কেউ পৌঁছেনি।"(8)</div><div>('আফদ্বালিয়্যাতে সিদ্দীকে আকবার' গ্রন্থে 'আর রাঈহাতুল আনবরিয়্যাহ' এর পৃ.-২৫ সূত্রে)</div><div><br></div><div>৩. সাইয়্যিদ আলী ইবন ওসমান হুজভিরী দাতা গঞ্জে বখশ র. (ও.-৪৬৫ হি.) বলেন, "সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে শাইখুল ইসলাম, নবীদের পর সর্বোত্তম সৃষ্টি, নবীর খলীফা, দুনিয়াত্যাগীদের ইমাম ও সাইয়্যেদ, নির্জনবাসীদের পেশওয়া, নফসের বিপদাপদ দূরকারীদের একজন হচ্ছেন আবু বাকার আব্দুল্লাহ বিন ওসমান আস সিদ্দীক রা.।"(9)</div><div>(দাতা আলী হাজভিরী র. কৃত 'কাশফুল মাহজূফ', পৃ.-৪২) </div><div><br></div><div>৪. আবু লাইস সমরকন্দী র. বলেন, </div><div>"তারা একমত যে, নবীর পরে এই উম্মতের সর্বোত্তম ব্যক্তি আবু বাকার, তারপর ওমার রা.।"(10)</div><div>(আবু লাইস সমরকন্দী কৃত "বুস্তানুল আরিফীন", পৃ.-১৮৬)</div><div><br></div><div>৫. সানাদুল আরাবি ওয়াল আজাম, নূরুস সাক্বালাইন, গাউসুল আজম মহীউদ্দীন আব্দুল কাদীর জিলানী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী রা.(ও.-৫৬১ হি.) বলেন, </div><div>"চার খলিফার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম আবু বাকার, তারপর ওমার, তারপর ওসমান, তারপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম।"(11)</div><div>(হুযুর গাউছেপাক কৃত 'আল গুনিয়াতু লি ত্বলিবি ত্বরিক্বিল হক্বি আয্যা ওয়া জাল্লা', পৃ.-১১০)</div><div><br></div><div>জেনে রাখুন,</div><div><br></div><div>১. মুল্লা আলী ক্বারী র.। তিনি বলেন, </div><div>"গোপন নেই যে, নিশ্চয় হযরত আবু বাকার ও উমার রা. এর উপরে হযরত আলী রা. কে মর্যাদা দেয়াটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের খেলাফ। এটাই সমস্ত আকাবেরদের মত।"(12)</div><div>(মুল্লা আলী ক্বারী র. কৃত 'শরহু ফিকহি আকবার', পৃ.-৬৪)</div><div><br></div><div>২. ইমাম ইবন হুমাম র.। তিনি বলেন,</div><div>"নিশ্চয় যে মাওলা আলী রা. কে তিনজনের উপর(আবু বাকার, উমার, ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমের উপর) মর্যাদা দেবে সে বিদআতী।"(13)</div><div>(ইবন হুমাম র. কৃত 'ফাতহুল কাদীর',১/৩৫০)</div><div><br></div><div>------------------</div><div>সাধারণ পাঠকদের জন্য এতটুকুই।  বাকীটা কেবল আলিমদের জন্য। এ অংশে আছে উপর্যুক্ত উক্তিগুলোর মূল রূপ।</div><div>------------------</div><div>1. "وتثبت الخلافة بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم اولا لابي بكر الصديق رضي الله عنه، تفضيلا له و تقديما على جميع الامة"</div><div><br></div><div>2."وخير العشرة الأئمة الاربعة ابو بكر، ثم عمر، ثم عثمان، ثم علي- رضوان الله عليهم"</div><div><br></div><div>3. "اجمع اهل السنة والجامعة ان خير الناس بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم ابا بكر ثم عمر"</div><div><br></div><div>4. "هذا من جملة اعتقاد اهل السنة: اعتقاد ان افضل امة محمد صلى الله عليه وسلم ابو بكر صديق فهو افضل الصحابة على الاطلاق"</div><div><br></div><div>5. "اتفق اهل السنة ان افضلهم ابو بكر و عمر"</div><div><br></div><div>6. "اجمع أهل السنة أن أفضل الناس -بعد رسول الله عليه الصلاة والسلام- أبو بكر، ثم عمر، ثم عثمان، ثم علي،..."</div><div><br></div><div>7. "افضل الصحابة سيدنا ابو بكر صديق ثم سيدنا عمر فاروق ثم سيدنا عثمان ذو النوعين ثم علي المرتضى كرم الله وجهه و رضي الله عنه"</div><div><br></div><div>8. "اکابر اولیاء کا اجماع ہے کہ معرفت و ولایت میی صدیق رضی اللہ عنہ کو کوئی نہیں پہنچا"</div><div><br></div><div>9. "منہم: شیخ الاسلام، و بعد از انبیاء بھترین انام، کہ خلیفہ پیغمبر بود و امام و سید اہل تجرید، و پیشواے ارباب تفرید و از آفات نفسانی بعید، ابوبکر عبد اللہ ابن عثمان، الصدیق، رضی اللہ عنہ."</div><div><br></div><div>10. "اجمعوا ان خير هذه الامة بعد نبيها ابو بكر ثم عمر رضي الله عنهما"</div><div><br></div><div>11. "وافضل الاربعة ابو بكر ثم عمر ثم عثمان ثم علي رضي الله عنهم"</div><div><br></div><div>12. "ولا يخفى ان تقديم علي رضي الله عنه على الشيخين مخالف لمذهب اهل السنة والجامعة على ما عليه جميع السلف."</div><div><br></div><div>13. "ان من فضل عليا على الثلاثة فمبتدع"</div></div>

সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন সিদ্দিকে আকবর (রা.)

১. ইমাম ত্বহাবী রহ.(ও.-৩২১ হি.) বলছেন, "রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সমস্ত উম্মাতের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান ও অগ্রগ...

Read more »