আবু বকর সিদ্দিক রাযিআল্লাহু আনহু।

<div style="text-align: justify;">এটা বিশ্বাসের বিষয় ভাই। এ বিষয়ে তাই, ইমামদের পথে থাকো। এ থেকে বিচ্যূত হয়ে পথভ্রষ্ট হয়ো না, প্রিয় ভাই। শুনো ইমামদের কথা- <br></div><div><div id="m#msg-f:1709085882072786282" class="mail-message expanded" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><div class="mail-message-content collapsible zoom-normal mail-show-images " style="overflow-wrap: break-word; width: 328px; margin: 16px 0px; user-select: auto;"><div class="clear"><div dir="auto"><div dir="auto" style="text-align: justify;">১. ইমাম ত্বহাবী রহ.(ও.-৩২১ হি.) বলছেন, "রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সমস্ত উম্মাতের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান ও অগ্রগণ্য হিসেবে প্রথমতঃ আবু বাকার সিদ্দীক রা. কে খিলাফতের হক্বদার মানি।"(1)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইবনু আবিল ইযয র. কৃত 'শরহু আক্বীদাতিত ত্বহাভিয়্যাহ', পৃ.-৪৮০) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">২. ইমাম আবুল হাসান আশ'আরী রহ. (ও.-৩২৪ হি.) বলছেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"(আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের) সবাই একমত যে, আশারায়ে মুবাশশারাহদের মধ্যে চার ইমাম সবচে উত্তম: আবু বাকার, তাঁরপর ওমর, তাঁরপর ওসমান এবং তাঁরপর আলী রিদওয়ানুল্লাহি 'আলাইহিম।"(2)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইমাম আবুল হাসান আল আশআরী র. কৃত 'রিসালাতু ইলা আহলিছ ছাগর', পৃ.-২৯৯) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৩. ইমাম আবু বাকার কালাবাজী রহ.(ও.-৩৭৮ হি.) বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত একমত যে, নিশ্চয় রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আবু বাকার ও ওমার রা.।"(3)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইমাম কালাবাজী র. কৃত 'বাহরুল ফাওয়াইদ', ১/২৭৯) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৪. আব্দুল গনী আল মাকদিসী র.(ও.-৬০০ হি.) বলেন, "আহলুস সুন্নাহর আক্বীদাসমূহের একটি আক্বীদা হচ্ছে, নিশ্চয় উম্মাতে মুহাম্মদী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাঝে সর্বাধিক মর্যাদাবান আবু বাকার সিদ্দীক রা.। সাধারণভাবে সর্বাধিক মর্যাদাবান সাহাবী তিনিই।"(4)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(হাফিয আব্দুল গনী আল মাকদিসী র. কৃত 'শরহু আক্বীদাহ', পৃ.-৩৫০) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৫. ইমাম নববী র.(ও.-৬৭৬ হি.) বলেন, "আহলুস সুন্নাহ একমত যে, নিশ্চয় উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান আবু বাকার, তারপর উমার রা.।"(5)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইমাম নববী র. কৃত 'শরহু সহীহ মুসলিম',৫/১৪৮) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৬. ইমাম জালালুদ্দীন আস সুয়ূতী র.(ও.-৯১১ হি.) বলেন, "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ইজমা যে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সমস্ত মানুষের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান হযরত আবু বাকার সিদ্দীক রা.। তারপর হযরত ওমার রা., তারপর হযরত ওসমান গনী রা., তারপর হযরত সাইয়িদুনা আলী রা.।"(6)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইমাম সুয়ূতী র. কৃত 'তারীখুল খুলাফা', পৃ.-৩৮) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">## অনেকে বলেন, ত্বরীকতের দৃষ্টিতে সাইয়্যেদী মাওলায়ী আলী রা. শ্রেষ্ঠ। এ বিষয়ে অভাজন কিছু বলছি না। জাস্ট ত্বরীকতের ইমামদের উক্তিই যথেষ্ট-</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">১. সাইয়্যিদ আহমাদ রিফায়ী র.(ও.-৫৭৮ হি.) বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"সর্বাধক মর্যাদাবান সাহাবী সাইয়্যিদুনা আবু বাকার সিদ্দীক রা., তারপর সাইয়্যিদুনা ওমার ফারুক রা., তারপর সাইয়্যিদুনা ওসমান যিন নুরাইন রা., তারপর আলী আল মুরতাদ্বা কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু ওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।"(7)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(সাইয়্যিদ আহমাদ রিফায়ী র. কৃত 'আল বুরহানুল মুয়াইআদ', পৃ.-২৩) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">২. হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নক্সবন্দ র.(ও.-৭৯১ হি.) বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"আকাবেরে আউলিয়াদের ইজমা যে, মা'রিফাত ও বিলায়াতের মধ্যে আবু বাকার সিদ্দীক রা. এর কাছে কেউ পৌঁছেনি।"(8)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">('আফদ্বালিয়্যাতে সিদ্দীকে আকবার' গ্রন্থে 'আর রাঈহাতুল আনবরিয়্যাহ' এর পৃ.-২৫ সূত্রে)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৩. সাইয়্যিদ আলী ইবন ওসমান হাজভিরী দাতা গঞ্জ বখশ র. (ও.-৪৬৫ হি.) বলেন, "সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে শাইখুল ইসলাম, নবীদের পর সর্বোত্তম সৃষ্টি, নবীর খলীফা, দুনিয়াত্যাগীদের ইমাম ও সাইয়্যেদ, নির্জনবাসীদের পেশওয়া, নফসের বিপদাপদ দূরকারীদের একজন হচ্ছেন আবু বাকার আব্দুল্লাহ বিন ওসমান আস সিদ্দীক রা.।"(9)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(দাতা আলী হাজভিরী র. কৃত 'কাশফুল মাহজূফ', পৃ.-৪২) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৪. আবু লাইস সমরকন্দী র. বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"তারা একমত যে, নবীর পরে এই উম্মতের সর্বোত্তম ব্যক্তি আবু বাকার, তারপর ওমার রা.।"(10)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(আবু লাইস সমরকন্দী কৃত "বুস্তানুল আরিফীন", পৃ.-১৮৬)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৫. সানাদুল আরাবি ওয়াল আজাম, নূরুস সাক্বালাইন, গাউসুল আজম মহীউদ্দীন আব্দুল কাদীর জিলানী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী রা.(ও.-৫৬১ হি.) বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"চার খলিফার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম আবু বাকার, তারপর ওমার, তারপর ওসমান, তারপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম।"(11)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(হুযুর গাউছেপাক কৃত 'আল গুনিয়াতু লি ত্বলিবি ত্বরিক্বিল হক্বি আয্যা ওয়া জাল্লা', পৃ.-১১০)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">হুযুর গাউছেপাকের পর আরো কারো উক্তি দিতে হবে বলে বোধ হচ্ছে না। তবু যদি না মানো আর বিশ্বাসের সংস্কার না করো তো, ক্ষতি তোমারই। উঁহু, ছোটখাটো ক্ষতি নয়। বেশ বড়সড়ো ক্ষতিই। যেমনটা জানিয়েছেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">১. মুল্লা আলী ক্বারী র.। তিনি বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"গোপন নেই যে, নিশ্চয় হযরত আবু বাকার ও উমার রা. এর উপরে হযরত আলী রা. কে মর্যাদা দেয়াটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের খেলাফ। এটাই সমস্ত আকাবেরদের মত।"(12)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(মুল্লা আলী ক্বারী র. কৃত 'শরহু ফিকহি আকবার', পৃ.-৬৪)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">২. ইমাম ইবন হুমাম র.। তিনি বলেন,</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"নিশ্চয় যে মাওলা আলী রা. কে তিনজনের উপর(আবু বাকার, উমার, ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমের উপর) মর্যাদা দেবে সে বিদআতী।"(13)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইবন হুমাম র. কৃত 'ফাতহুল কাদীর',১/৩৫০)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">আর জানোই তো, বিশ্বাসগত বিদআতীর পেছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরিমী।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">------------------</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">সাধারণ পাঠকদের জন্য এতটুকুই। বাকীটা কেবল আলিমদের জন্য। এ অংশে আছে উপর্যুক্ত উক্তিগুলোর মূল রূপ।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">------------------</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">1. "وتثبت الخلافة بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم اولا لابي بكر الصديق رضي الله عنه، تفضيلا له و تقديما على جميع الامة"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">2."وخير العشرة الأئمة الاربعة ابو بكر، ثم عمر، ثم عثمان، ثم علي- رضوان الله عليهم"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">3. "اجمع اهل السنة والجامعة ان خير الناس بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم ابا بكر ثم عمر"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">4. "هذا من جملة اعتقاد اهل السنة: اعتقاد ان افضل امة محمد صلى الله عليه وسلم ابو بكر صديق فهو افضل الصحابة على الاطلاق"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">5. "اتفق اهل السنة ان افضلهم ابو بكر و عمر"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">6. "اجمع أهل السنة أن أفضل الناس -بعد رسول الله عليه الصلاة والسلام- أبو بكر، ثم عمر، ثم عثمان، ثم علي،..."</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">7. "افضل الصحابة سيدنا ابو بكر صديق ثم سيدنا عمر فاروق ثم سيدنا عثمان ذو النوعين ثم علي المرتضى كرم الله وجهه و رضي الله عنه"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">8. "اکابر اولیاء کا اجماع ہے کہ معرفت و ولایت میی صدیق رضی اللہ عنہ کو کوئی نہیں پہنچا"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">9. "منہم: شیخ الاسلام، و بعد از انبیاء بھترین انام، کہ خلیفہ پیغمبر بود و امام و سید اہل تجرید، و پیشواے ارباب تفرید و از آفات نفسانی بعید، ابوبکر عبد اللہ ابن عثمان، الصدیق، رضی اللہ عنہ."</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">10. "اجمعوا ان خير هذه الامة بعد نبيها ابو بكر ثم عمر رضي الله عنهما"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">11. "وافضل الاربعة ابو بكر ثم عمر ثم عثمان ثم علي رضي الله عنهم"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">12. "ولا يخفى ان تقديم علي رضي الله عنه على الشيخين مخالف لمذهب اهل السنة والجامعة على ما عليه جميع السلف."</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">13. "ان من فضل عليا على الثلاثة فمبتدع"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">~ফা লা ক্ব</div></div></div></div><div class="mail-message-footer spacer collapsible" style="height: 0px;"></div></div></div>

আবু বকর সিদ্দিক রাযিআল্লাহু আনহু।

এটা বিশ্বাসের বিষয় ভাই। এ বিষয়ে তাই, ইমামদের পথে থাকো। এ থেকে বিচ্যূত হয়ে পথভ্রষ্ট হয়ো না, প্রিয় ভাই। শুনো ইমামদের কথা- ১. ইমাম ত্বহাবী রহ.(...

Read more »

গল্পটা কোরআনের- ২

<div style="text-align: justify;">সাগরের তীরে পরে আছে এক মৃত লাশ। পানির জোয়ার-ভাটায় ওপর নিচ হচ্ছে। যখন পানি লাশের ওপরে আসে, তখন কিছু মাছ এসে মৃতের শরীর থেকে মাংস খায়। যখন পানি নেমে যায় তো, কিছু হিংস্র পশু এসে খায়। আর তারা চলে গেলে সুযোগ আসতো পাখিদের। তারা এসে খেয়ে যেত মৃতের শরীর থেকে মাংস ছিড়ে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই সম্পূর্ণ দৃশ্যটি দেখছিলেন— আল্লাহর খলীল সায়্যিদুনা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম। তিনি নিজের চোখে দেখার ইচ্ছে পোষণ করলেন, কিভাবে আল্লাহ তায়ালা এই মৃতকে আবার পুনরুজ্জীবিত করবেন। যার মাংসের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, না হয় পশু পাখির খাদ্যে পরিণত হয়েছে। হযরত সা'দ বিন জুবাইর রাযিআল্লাহু আনহু বলেন— আল্লাহ যখন ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে খলীল হিসেবে মনোনীত করে নিলেন, তখন হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম এই খবর নিয়ে আসলেন ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের কাছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি জিজ্ঞেস করলেন— এর আলামত কি? হযরত আজরাইল আলাইহি সালাম বললেন— আল্লাহ আপনার চাহিদা পূরণ করবেন এবং আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী মৃতকে জীবিত করবেন। [১] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তো সেই প্রেক্ষিতে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম দোয়া করলেন— আল্লাহ আমি তো তোমার কুদরতে বিশ্বাসী। তবে আমি নিজের চোখে দেখতে চাই কিভাবে তুমি মৃতকে জীবিত করো। নিজের হৃদয়কে প্রশান্ত করতে চাই। এবং আমি খলীল হওয়ার প্রমাণটাও দেখে নিতে চাই। ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর আবেদনে রাব্বে কারীম থেকে আদেশ আসল— চারটি পাখি নিন। এদেরকে জবাই করুন। তারপর এদের মাংসগুলোকে একটি অপরটির সাথে মিশ্রণ করে কিমা বানিয়ে পাহাড়ের ওপর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিন। তারপর তাদেরকে ডাকুন। তারা জীবিত হয়ে আপনার নিকট ফিরে আসবে! এক বর্ণনা অনুযায়ী চারটি পাখি ছিল— ময়ূর, কবুতর, কাক এবং মোরগ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ঠিক এমনটাই করলেন। পাখির মাথাগুলো নিজের কাছে রেখে দিলেন। তারপর যখন সেগুলোর নাম ধরে ডাকলেন— তখন পাখিগুলোর মাংস জড়ো হয়ে পুনরায় শরীর গঠন হয়ে জীবিত হয়ে গেলো। তারপর দৌড়ে এসে নিজেদের মাথাগুলোর সাথে পুনঃ জোড়া লেগে গেল। [২] আল্লাহু আকবার। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কোরআনে পাকে সূরা বাকারা'র ২৬০ নং আয়াতে ঘটনাটি এভাবে বর্ণিত আছে—</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">'আর যখন আরয করল ইব্রাহিম, 'হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখিয়ে দাও কিভাবে তুমি মৃতকে জীবিত করবে।' ইরশাদ হলো: তোমার কি নিশ্চিত বিশ্বাস নেই? আরয করল: নিশ্চিত বিশ্বাস কেন থাকবে না? তবে আমি চাই যে আমার অন্তরে প্রশান্তি এসে যাক। ইরশাদ করলেন: তবে আচ্ছা। চারটি পাখি নিয়ে তোমার সাথে নেড়েচেড়ে নাও। তারপর এগুলোর এক এক খন্ড প্রতি পাহাড়ের ওপর রেখে দাও, তারপর সেগুলোকে আহ্বান কর, সেগুলোর তোমার নিকট চলে আসবে নিজ পায়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে।'</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আব্দুল মুস্তফা আযমী রাহিমাহুল্লাহ বলেন— প্রমাণিত হয়ে গেলাে যে, মৃতদের ডাকা শিরিক নয় কেননা যেহেতু মৃত পাখিদেরকে আল্লাহ পাক ডাকার আদেশ দিয়েছেন এবং একজন জলিলুল কদর পয়গাম্বর এই মৃত পাখিদের ডাকলেন, সেহেতু এটি কখনােই শিরিক হতে পারে না। কেননা আল্লাহ পাক কখনােই কোন শিরিকের আদেশ দিবেন না আর কোন নবীই কখনােই কোন শিরিকের কাজ করতে পারেন না। আর যেহেতু মৃত পাখিদের ডাকা শিরিক নয়, সেহেতু আল্লাহ পাকের অলী এবং শহীদদের ডাকা কিভাবে শিরিক হতে পারে! যারা অলী এবং শহীদদের ডাকাকে শিরিক বলে ইয়া গাউস শ্লোগান প্রদানকারীদেরকে মুশরিক বলে, তাদের কিছুক্ষণ মাথা নত করে ভাবা উচিৎ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর এই কোরআনী ঘটনার আলােকে তাদের হিদায়তের নূর দৃশ্যমান হবে আর তারা আহলে সুন্নাতের পদ্ধতিতে সীরাতুল মুস্তাকীমের মহা সড়কে চলে আসবে। [৩] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আত্মশুদ্ধি:</div><div style="text-align: justify;">তিনি আরাে বলেন— হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম যে চারটি পাখি জবাই করেছেন, তাদের মধ্যে প্রত্যেকের একটি খারাপ আচরণ প্রসিদ্ধ রয়েছে। যেমন: ময়ূর নিজের আকার আকৃতির সৌন্দর্যে খুবই গর্ব করে থাকে এবং মােরগের মাঝে অধিকহারে কামভাবের মন্দ স্বভাব রয়েছে, কাঁকের লোভের মন্দ অভ্যাস রয়েছে আর কবুতরের মাঝে নিজের উচ্চ উড়ানের জন্য গর্ব থাকে। এই চারটি পাখিকে জবাই করাতে এই চারটি স্বভাবকে জবাই করার দিকে ইঙ্গিত রয়েছে যে, চারটি পাখি জবাই করা হলেই হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম মৃতকে জীবিত করার দৃশ্য দেখলেন এবং তাঁর অন্তরে প্রশান্তির নূরের বিচ্ছুরণ হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তবে যে ব্যক্তি এটা চায় যে— তার অন্তর জীবিত হয়ে যাক এবং তার প্রশান্তিময় হৃদয়ের দৌলত নসীব হয়ে যাক, তবে তার উচিৎ যে— মােরগ জবাই করা অর্থাৎ নিজের কামভাবের উপর ছুরি চালিয়ে দেয়া এবং ময়ূর জবাই করা অর্থাৎ নিজের আকার আকৃতি এবং পােশাকের অহঙ্কারকে জবাই করে দেওয়া, আর কাক জবাই করা অর্থাৎ লােভ ও লালসার গলা কেটে দেয়া, কবুতর জবাই করা অর্থাৎ নিজের উচ্চ মান এবং উচ্চ মর্যাদার গর্ব ও দাম্ভিকতার উপর ছুরি চালিয়ে দেওয়া। [৪]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি কেউ এই চারটি মন্দ অভ্যাসকে জবাই করে তাহলে তার হৃদয়ে প্রশান্তির সূর্য উদয় হওয়াকে সে অবলোকন করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Reference:</div><div style="text-align: justify;">[১] তাফসীরে খাযিন।</div><div style="text-align: justify;">[২] তাফসীরে করতুবী।</div><div style="text-align: justify;">[৩] আজায়িবুল কোরআন ও গারায়িবুল কোরআন, ৫৮ পৃষ্ঠা।</div><div style="text-align: justify;">[৪] আজায়িবুল কোরআন ও গারায়িবুল কোরআন, ৫৯ পৃষ্ঠা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">'গল্পটা কোরআনের- ০২'</div><div style="text-align: justify;">~স্বাধীন আহমেদ</div>

গল্পটা কোরআনের- ২

সাগরের তীরে পরে আছে এক মৃত লাশ। পানির জোয়ার-ভাটায় ওপর নিচ হচ্ছে। যখন পানি লাশের ওপরে আসে, তখন কিছু মাছ এসে মৃতের শরীর থেকে মাংস খায়। যখন পান...

Read more »