পবিত্র আশুরা ও ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে খাবারের আয়োজন

<div style="text-align: justify;">পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কিংবা শোহাদায়ে কারবালার জন্য ঈসালে সাওয়াবের নিয়তে খাবারের আয়োজন করা যাবে কি..?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjOC8L5UJ_hkQmUsiJU3CDXTYYz-m3iykmm4JneKtpAFrAZGpzSlXr629du9Vm5xpD6nTy6l2O9qmzVDdjQBrXXGHwDCCwR8ON_VINIdYY2YK4EMqyHI0QnFZ19RQ7yaUbSEhtVd-xvNnuz/s1600/1629264922255.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="2591" data-original-width="1711" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjOC8L5UJ_hkQmUsiJU3CDXTYYz-m3iykmm4JneKtpAFrAZGpzSlXr629du9Vm5xpD6nTy6l2O9qmzVDdjQBrXXGHwDCCwR8ON_VINIdYY2YK4EMqyHI0QnFZ19RQ7yaUbSEhtVd-xvNnuz/s1600-rw/1629264922255.png" width="211"></a></div><br></div> <script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-4764538538908287" crossorigin="anonymous"></script> <ins class="adsbygoogle" style="display:block" data-ad-format="autorelaxed" data-ad-client="ca-pub-4764538538908287" data-ad-slot="4917834589"></ins> <script> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); </script> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি ‘আশুরার দিন নিজের পরিবার পরিজনের জন্য উদারহস্তে খরচ করবে আল্লাহ তাআ'লা গোটা বছর তাকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখবেন। সুফ্ইয়ান সাওরী রহঃ বলেন, আমরা এর পরীক্ষা করেছি এবং কথার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। [মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৯২৬]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শায়খ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ এঁর 'মা সাবাতা মিনাস সুন্নাহ ফি আইয়্যামিস সুন্নাহ' গ্রন্থে এই প্রসঙ্গে রয়েছে, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"হাদীসটি সহিহ লিযাতিহী নয়। তবে এতে করে তা 'হাসান লি গায়রিহী' হতে বাধাপ্রাপ্ত নয়। আর হাসান লিগায়রিহী হল দলিলের উপযুক্ত। এমনটাই উলুমুল হাদীস বা হাদীসশাস্ত্রের মূলনীতি।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মিশকাতের এই হাদিসের পরবর্তী হাদিসের ব্যাখ্যায় আহলে হাদিসদের বাংলা হাদিস এপ কিংবা Hadithbd ওয়েবসাইটে রয়েছে, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আশূরার দিন নিজ পরিবারের প্রতি প্রশস্ততার সাথে খরচ করার ব্যাপারে বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে ‘আলিমগণ মতানৈক্য করেছেন। ইবনুল জাওযী, ইবনু তায়মিয়্যাহ্, আল ‘উকায়লী, আয্ যারকাশী এর মতে হাদীসটি বানোয়াট। তবে বায়হাক্বী (রহঃ)-এর মতে হাদীসটি বহু সূত্রে বর্ণিত হওয়ায় এটি শক্তিশালী হয়ে ‘হাসান’ হয়েছে। লেখক বলেন, আমার মতে নির্ভরযোগ্য মত হচ্ছে ইমাম বাইহাক্বীর মত। কারণ হাদীসটির বহু সূত্র একটি অপরটিকে শক্তিশালী করেছে। য‘ঈফ সানাদগুলো একত্র হয়ে শক্তি অর্জন করেছে। আল্লাহ'ই এ ব্যাপারে অধিক জানেন।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও মিশকাতের ১৭১৯ নং হাদিসকে তারা যঈফ লিখেছে। কিন্তু এর ব্যাখ্যায় লিখেছে যে, "এই হাদীস দ্বারা এ কথার প্রমাণ পাওয়া যায় যে, ক্ববরের উপর পানি ছিটিয়ে দেয়া যায়, আর এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। এই ব্যাপারে এ ছাড়া আরো অন্যান্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যা আবূ রাফি‘র হাদীসকে শক্তিশালী করে।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উল্লেখ্য যে, উপরোল্লিখিত আশুরা উপলক্ষে ব্যয় করার হাদিসগুলো মিশকাত শরীফের সাদকার মর্যাদা (بَابُ فَضْلِ الصَّدَقَةِ) পরিচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে এবং উক্ত হাদিসগুলোর পরেই (بَابُ أَفْضَلِ الصَّدَقَةِ পরিচ্ছেদে) বুখারী মুসলিমের বরাতে উল্লেখ রয়েছে, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ কোন মুসলিম যখন সাওয়াবের প্রত্যাশায় তার পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করে, </div><div style="text-align: justify;">এ খরচ তার জন্য সাদকা হিসেবে গণ্য হয়। </div><div style="text-align: justify;">[মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৯৩০]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবার, অনেকেই বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে শোহাদায়ে কারবালার জন্য ঈসালে সাওয়াবের ব্যবস্থা করে কিংবা "আশুরা উপলক্ষে খাবারের আয়োজনের মুস্তাহাব আমল" ও "শোহাদায়ে কারবালার জন্য ঈসালে সাওয়াব প্রেরণ" উভয়টির উপর একত্রে আমলের নিয়তে খাবারের আয়োজন করে থাকে। এসব ক্ষেত্রেও ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। উপরে প্রমাণ করেছি আশুরা উপলক্ষে খাবারের আয়োজন জায়েজ এবং সাওয়াবের নিয়তে পরিবার-পরিজনের জন্য খাবারের আয়োজনও সাদকা হিসেবে গণ্য হবে। এবার আমি প্রমাণ করব, এই সাদকার সাওয়াব মৃত ব্যক্তির জন্যও ঈসাল করা যায় (এর সাওয়াব উপহার হিসেবে পাঠানো যায়) অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির ঈসালে সাওয়াবের নিয়তে খাবারের আয়োজন করা হলে সেটাও জায়েজ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক সাহাবী রসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলামের কোন কাজ সবচেয়ে উত্তম?’ তিনি বললেনঃ তুমি লোকদের খাদ্য খাওয়াবে এবং চেনা অচেনা সকলকে সালাম দিবে। (সহীহ বুখারী ২৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চলুন এখন দেখি এমন আমল কিংবা সাদকার সাওয়াব মৃত ব্যক্তির কাছে পৌছানো যাবে কি না....</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক সাহাবী রসূলুল্লাহ ﷺ কে বললেন যে, তার মা মারা গেছেন। (জিজ্ঞেস করলেন) তার পক্ষ থেকে যদি তিনি সাদকা করেন তাহলে তা কি তার উপকারে আসবে? তিনি ﷺ বললেন, হ্যাঁ। সাহাবী বললেন, আমার একটি বাগান আছে, আপনাকে সাক্ষী রেখে আমি তার পক্ষ থেকে সাদকা করলাম। (সহীহ বুখারী ২৭৭০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক সাহাবী রসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার পিতা ধন-সম্পদ রেখে মারা গেছেন কিন্তু ওসিয়াত করে যাননি। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান-খয়রাত করি তবে তা কি তার কাফফারা হবে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। (সূনানে ইবনে মাজাহ ২৭১৬) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও মৃত ব্যক্তির জন্য কুলকানি কিংবা ঈসালে সাওয়াবের জন্য বর্তমানে প্রচলিত প্রথা ইসলামের কোন মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক নয় বরং উত্তম প্রথা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান আয়িশা (রঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যদি কেউ এমন কিছুর প্রচলন করল যা আমাদের দ্বীনের মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্যহীন তাহলে তা প্রত্যাখ্যাত। (সহীহ বুখারী ২৬৯৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, "কেউ ভালো কাজের কিংবা প্রথার প্রচলন করলে এবং তার অনুসরণ করা হলে সে তার নিজের সাওয়াবও পাবে এবং তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, তবে তাদের সাওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না। আবার কেউ মন্দ কাজের প্রচলন করলে এবং তার অনুসরণ করা হলে তার উপর নিজের গুনাহ্ বর্তাবে উপরন্তু তার অনুসারীদের সম-পরিমাণ গুনাহর অংশীদারীও হবে, কিন্তু তাতে অনুসরণকারীদের গুনাহর পরিমাণ একটুও কমানো হবে না।" (সহীহ মুসলিম ৬৬৯৩, ইফাঃ ৬৫৫৬, তিরমিযী ২৬৭৫, সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আশা করি, বিবেকবান সত্যান্বেষীদের জন্য এই প্রসঙ্গে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবী করীম ﷺ ইরশাদ করেনঃ নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল। দ্বীন নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করে দ্বীন তার উপর বিজয়ী হয়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর। (সহীহ বুখারী ৩৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ পাক বলেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে আমি কি তাদেরকে যমীনে বিপর্যয় (ফ্যাসাদ) সৃষ্টিকারীদের সমতুল্য গণ্য করব? নাকি আমি মুত্তাকীদেরকে পাপাচারীদের সমতুল্য গণ্য করব?" (সূরা ছোয়াদঃ ২৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যদি তারা তোমাদের সাথে বের হত, তবে তোমাদের মধ্যে ফ্যাসাদই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মাঝে ছুটোছুটি করত, তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির অনুসন্ধানে। " (সূরা তাওবাহঃ ৪৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করো না’, তারা বলে, 'আমরা তো কেবল সংশোধনকারী।" (সূরা বাকারাহঃ ১১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।" (সূরা মুনাফিকুনঃ ১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"সাবধান! এরাই অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু এরা তা অনুভব করতে পারে না।" (সূরা বাকারাহ ১২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আল্লাহ ও ঈমানদারদের তারা ধোঁকা দিতে চায়,আসলে তারা অন্য কাউকে ধোঁকা দিচ্ছে না বরং নিজেদেরই প্রতারিত করছে, অথচ তাদের সে অনুভূতি নেই।" (সূরা বাকারাহঃ ৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সাবধান!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ওহে যারা ঈমান এনেছ! ভালো বিষয়গুলো যা আল্লাহ্ তোমাদের জন্য বৈধ করেছেন সে-সব তোমরা নিষিদ্ধ করো না, আবার বাড়াবাড়িও (সীমালঙ্ঘন) করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ ভালোবাসেন না সীমালঙ্ঘন কারীদের।" (সূরা আল মায়িদাহঃ ৮৭)</div>

পবিত্র আশুরা ও ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে খাবারের আয়োজন

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কিংবা শোহাদায়ে কারবালার জন্য ঈসালে সাওয়াবের নিয়তে খাবারের আয়োজন করা যাবে কি..? রসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি ‘আশ...

Read more »

মোবারক হাতের প্রেমময় পরশ!

<div style="text-align: justify;">জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি সাহিত্যিকরা যুগ যুগব্যাপী তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে অনুপম শৈল্পিক সুষমায় প্রিয়তম আঁকার ﷺ মাহাত্ম্যের যত ভাষাচিত্রই আঁকুন না কেন, তাতেও তাঁর ﷺ গৌরবদীপ্ত মহিমা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তাঁর অনিন্দ্যসুন্দর মুবারক দেহের সৌন্দর্যচ্ছটা, পবিত্র দেহের মনোমুগ্ধকর সুঘ্রাণ, আখলাকে হাসানা আর সর্বোপরি তাঁর ﷺ মুবারক সুহবতের কল্যাণে সাহাবা আযমাঈনের হৃদয় সাগরে যে প্রেমতরঙ্গের উচ্ছ্বাস জাগতো, তা প্রকাশের ভাষা কোথায়? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নাবীয়ে কারীম ﷺ-এর পূত পূণ্যময় তাওয়াজ্জোহ (কারও প্রতি প্রেমময় মনঃসংযোগ) ও অনন্য সাহচর্যের সুবাদেই সাহাবা আযমাঈনের এত আকাশছোঁয়া মর্যাদা। আল্লহর ﷻ পরম প্রেমাষ্পদ রসূলে কারীম ﷺ-এর অনুপম তাওয়াজ্জোহ/সুহবতের কি যে অনবদ্য মহিমা তারই প্রতিচ্ছবি নিম্নের আলেখ্যটি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মক্কা বিজয়ের বছরে একদিন নাবী কারীম ﷺ বাইতুল্লহ শারীফ তাওয়াফ করছিলেন। এমন সময় হযরত ফোযালা ইবনে উমাইর (রাঃ) নামীয় জনৈক ক্বুরাইশ (তখনও সে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়নি) নাবী কারীম ﷺ-কে শহীদ করার বদ নিয়তে সেও তাওয়াফ করতে লাগলো। এক পর্যায়ে সে রসূলে পাক ﷺ-এর নিকটে এসে পড়লো। নাবী কারীম ﷺ তাকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি ফোযালা? সে জবাব দিল, হ্যাঁ। নাবী কারীম ﷺ তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি মনে মনে কি ভাবছো? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সে বললো, কিছু না, আল্লহর যিকর করছি। এ কথা শুনে নাবী আকরাম ﷺ মৃদু হাসলেন এবং বললেন, 'আল্লহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর'। এ কথা বলেই রসূলে মকবুল ﷺ ফোযালার বুকে তাঁর পবিত্র হাত রাখলেন। এতে ফোযালার অন্তর থেকে নিমিষেই সমস্ত বদ চিন্তা বিদূরিত হয়ে গেলো। </div><div style="text-align: justify;">وَاللٰهِ مَا رَفَعَ يَدَهُ عَنْ صَدْرِي حَتَّي مَا مِنْ خَلْقِ اللّٰهِ شَيْءٌ اَحَبَّ اِلَيَّ مِنْهُ.</div><div style="text-align: justify;">ফোযালা আল্লহর শপথ করে বলতে লাগলো, তখনও রসূলে কারীম ﷺ তাঁর ﷺ হাত মুবারক আমার বক্ষ থেকে তোলেননি, আমার অন্তরের অবস্থা এমন হয়ে গেলো যে, আল্লহর সৃষ্টি জগতের মধ্যে আমার নিকট নাবী কারীম ﷺ-এর চেয়ে প্রিয়ভাজন আর কেউ নেই। (সুবহানাল্লহ)। [ইবনে হিশাম (রহঃ), সিরাতে ইবনে হিশাম, ২/৪১৭ পৃ., ইবনে কাসির (রহঃ), বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ৪/৩০৮ পৃ., আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ]। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ কোন সীমাহীন বিস্ময় যে, কুফরির আঁধারে আচ্ছন্ন যে হৃদয়, তা মুহূর্তেই আলোকিত হলো হেদায়েতের জ্যোতর্ময় প্রভায়। যে মানুষটি ছিল গোমরাহির দুর্গন্ধময় পংকে নিমজ্জিত, সে আজ আলোর পথের যাত্রী। যে পাপিষ্ঠ নিষ্ঠুর জিঘাংসায় প্রিয় আঁকা ﷺ-কে শহীদ করার উন্মত্ত নেশায় বদ্ধপরিকর, সেই মানুষটির অন্তরে আজি বিরাজে সত্যের চির বসন্তের স্নিগ্ধতা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ কোন অসীম বিস্ময়! আমাদের ইন্দ্রিয়জ জ্ঞান এই অন্তহীন রহস্যলীলা অনুধাবনে অক্ষম। বিস্ময়াবিষ্ট কন্ঠে শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, কত অনন্য, মাধুর্যমন্ডিত ছিল প্রিয় আঁকা ﷺ -এর অনন্যসুন্দর সুহবত, কত মাধুরীময় ছিল তার পবিত্র হাতের প্রেমময় পরশ। আর তাই তো সাহাবা আযমাঈনের হৃদয় সিন্ধুতে ইশকে রসূলের ﷺ উত্তাল তরঙ্গ উচ্ছ্বলিত হয়ে উঠত। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রসূল ﷺ প্রণয়ে তারা হয়ে যেত বেকারার, পাগলপারা, আবেগে উদ্বেলিত। হে মাবুদ! তোমার বারগাহে আমাদের অশ্রুভেজা আকুতি, আমাদের হৃদয় সরোবরেও প্রস্ফুটিত করে দাও রসূল ﷺ প্রেমের পারিজাত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">~খন্দকার সিদ্দিকুর রহমান </div>

মোবারক হাতের প্রেমময় পরশ!

জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি সাহিত্যিকরা যুগ যুগব্যাপী তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে অনুপম শৈল্পিক সুষমায় প্রিয়তম আঁকার ﷺ মাহাত্ম্যের যত ভাষাচিত্রই আঁকু...

Read more »