রোগীর সেবা করার ফজিলত

<div style="text-align: justify;">হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।’ [মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হজরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শোনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকাল পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে... । -[সুনানে তিরমিজি: ৯৬৭]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়- তাকে জাহান্নাম থেকে ৬০ বছরের পথ দূরে রাখা হবে। -আবু দাউদ: ৩০৯৭ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূল (সা.) বলেছেন, শুশ্রুষার পূর্ণতা হলো- রোগীর কপালে বা শরীরে হাত রেখে জিজ্ঞেস করা, কেমন আছেন? [তিরমিজি]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূল (সা.) বলেন, ‘তোমরা রোগী দেখতে গেলে তার কাছে নিজের জন্য দোয়া চাও। কেননা তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার সমতুল্য। ’ -[ইবনে মাজাহ]</div>

রোগীর সেবা করার ফজিলত

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে ক...

Read more »

৬টি ক্ষেত্রে গীবত শরীয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ নয়

<div style="text-align: justify;">ইমাম ইয়াহইয়া ইবনুশ শরফ আন-নওয়াভী রহঃ বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ছয়টি কারণে 'গিবত' শরীয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ নয়।কারণ তখন আর কারণগুলো 'গিবত' থাকেনা।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">➤প্রথমত,মজলুম যদি জালিম শাসক,বিচারক প্রমুখের বিরুদ্ধে অন্যদের সতর্ক করতে এটা বলে যে অমুক লোক আমার সাথে বে-ইনসাফি করেছে অথবা আমার উপর জুলুম করেছে,তবে তা গিবত হিসেবে গণ্য হবেনা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤দ্বিতীয়ত,মানুষকে খারাপ পথের প্রতি ধাবিত হওয়া থেকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে,গুনাহগার ব্যক্তিকে গুনাহ থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে, "প্রকাশ্যে অমুক লোক এমন এমন কাজ করে,এমন এমন বলে" — মর্মে নিন্দা করা বৈধ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤তৃতীয়ত,মামলা আরোপ করতে বা কাযীর কাছে বিচার নিতে অথবা মুফতির কাছ থেকে ফতোয়া নিতে কারো অবস্থা বর্ণনা করা বৈধ।যেমনঃ আমার সাথে অমুক ব্যক্তি এরূপ করেছে জুলুম করেছে ইত্যাদি বলা বৈধ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤চতুর্থত,শরীয়তের সীমারেখা উল্লঙ্ঘন না করে,বিদআত (ধর্মে নতুনত্ব যা কুরআন হাদীস ও ইজমার বিরোধী) প্রচলনকারী ,তার বক্তব্যের/লেখনীর দ্বারা মানুষের ঈমান-আক্বিদায় ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে,গুজব রটনাকারী প্রমুখ তবে সে ব্যক্তির ব্যাপারে মানুষকে অবহিত করাতে কোনো অসুবিধা নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤পঞ্চমত,প্রকাশ্যে গোনাহকারী যেমন প্রকাশ্যে শরাব পানকারী,দুর্নীতিবাজ প্রভৃতি লোকের ব্যাপারে জনসচেতনতার উদ্দেশ্যে মানুষকে অবহিত করার বৈধতা আছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤সর্বশেষ,ছদ্মনাম ব্যবহার করে সমাজের ক্ষতির চেষ্টা যারা করে তাদের যথার্থতা এবং বাস্তবিক স্বরূপ জনসমক্ষে তুলে ধরাতে শরীয়তে বৈধতা আছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[শরহে মুসলিম, ৪৫তম অধ্যায়,বাব তাহরীমিল গিবাত]</div>

৬টি ক্ষেত্রে গীবত শরীয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ নয়

ইমাম ইয়াহইয়া ইবনুশ শরফ আন-নওয়াভী রহঃ বলেন, ছয়টি কারণে 'গিবত' শরীয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ নয়।কারণ তখন আর কারণগুলো 'গিবত' থাকেনা। ➤...

Read more »