বাসর ঘরের গোপনীয়তা প্রকাশ করা কতটা অপরাধ?

<div style="text-align: justify;">💥বাসর ঘরের গোপনীয়তা প্রকাশ করা কতটা অপরাধ? অথবা নিজের বাসরঘরের কথা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করা যাবে কিনা?💥</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">✴️শ্রদ্ধেয় পাঠক বৃন্দ! আমাদের সমাজে বহু এমন যুবক ও যুবতী পাওয়া যাবে যাদের বিবাহ হওয়ার পর বিবাহের প্রথম রাত যা বাসর রাত বলে পরিচিত। তার সমস্ত খবরা খবর নিজেদের বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে শেয়ার করে থাকে এবং তাদের বন্ধুবান্ধবরাও অতি আনন্দ-উল্লাসের সহিত বন্ধুর অথবা বান্ধবীর বাসর রাতের গোপনীয়তা জেনে খুশি হয়। তেমনি কিছু মানুষ নিজের বাসর রাতের কথা বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে শেয়ার করতেও খুব আনন্দ পায়। তবে ইসলাম শরীয়তে কোরআন ও হাদিসের আলোকে এটা যে খুবই বড় অপরাধ সেটা হয়তো তাদের জানা নেই। আসুন আমরা আজকে এই বিষয়টা নিয়ে কিছু আলোচনা করি যে, কোন ব্যক্তি যদি নিজের বাসর রাতের গোপন কথা ও কর্ম অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করে তাহলে তা কত বড় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে? </div><div style="text-align: justify;">✴️ উক্ত প্রসঙ্গে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কয়েকটি হাদীস নিম্নে প্রদত্ত হলো, আশা করি সবাই হাদিস গুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং তার উপর আমল করার চেষ্টা করবেন!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِي إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا ‏"‏</div><div style="text-align: justify;"> ‏.‏</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ! আবূ সাঈদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন সে ব্যক্তি হবে আল্লাহর কাছে নিকৃষ্টতম পর্যায়ের, যে তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং স্ত্রীও তার সাথে মিলিত হয়, অতঃপর সে তার স্ত্রীর গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়।</div><div style="text-align: justify;">{{ সহীহ মুসলিম হাদিস নং-3615,, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদিস-17559,, মিশকাতুল মাসাবিহ হাদিস নং-3190 }}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ مِنْ أَعْظَمِ الأَمَانَةِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِي إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ ‏"‏ إِنَّ أَعْظَمَ ‏"‏ ‏.‏</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ! আবূ সাঈদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে ব্যক্তি কিয়ামাতের দিন আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষ বড় আমনাত খিয়ানাতকারী যে তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় এবং স্ত্রীও তার সাথে মিলিত হয়। অতঃপর সে তার স্ত্রীর গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়। ইবনু নুময়র বলেন, إِنَّ مِنْ أَعْظَمِ স্থলে إِنَّ أَعْظَمَ (সবচেয়ে অধিক) হবে।</div><div style="text-align: justify;">{{ সহীহ মুসলিম হাদিস নং-3616,, মুসনাদে আহমদ হাদিস নং-11655,, মুস্তাখরাজ  আবু আওয়ানা হাদিস-4298,, সুনান আবু দাউদ হাদিস নং-4870 }}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">قَالَ: فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَنْسَ مِنْ صَلَاتِهِ شَيْئًا، فَقَالَ مَجَالِسَكُمْ، مَجَالِسَكُمْ. زَادَ مُوسَى هَا هُنَا ثُمَّ حَمِدَ اللَّهَ تَعَالَى وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ ثُمَّ اتَّفَقُوا: ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الرِّجَالِ فَقَالَ: هَلْ مِنْكُمُ الرَّجُلُ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ فَأَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ وَأَلْقَى عَلَيْهِ سِتْرَهُ وَاسْتَتَرَ بِسِتْرِ اللَّهِ قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: ثُمَّ يَجْلِسُ بَعْدَ ذَلِكَ فَيَقُولُ فَعَلْتُ كَذَا فَعَلْتُ كَذَا قَالَ: فَسَكَتُوا، قَالَ فَأَقْبَلَ عَلَى النِّسَاءِ، فَقَالَ: هَلْ مِنْكُنَّ مَنْ تُحَدِّثُ؟ فَسَكَتْنَ فَجَثَتْ فَتَاةٌ قَالَ مُؤَمَّلٌ، فِي حَدِيثِهِ فَتَاةٌ كَعَابٌ عَلَى إِحْدَى رُكْبَتَيْهَا وَتَطَاوَلَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَرَاهَا وَيَسْمَعَ كَلَامَهَا فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُمْ لَيَتَحَدَّثُونَ، وَإِنَّهُنَّ لَيَتَحَدَّثْنَهُ، فَقَالَ: هَلْ تَدْرُونَ مَا مَثَلُ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ مَثَلُ شَيْطَانَةٍ، لَقِيَتْ شَيْطَانًا فِي السِّكَّةِ فَقَضَى مِنْهَا حَاجَتَهُ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ، أَلَا وَإِنَّ طِيبَ الرِّجَالِ مَا ظَهَرَ رِيحُهُ، وَلَمْ يَظْهَرْ لَوْنُهُ أَلَا إِنَّ طِيبَ النِّسَاءِ مَا ظَهَرَ لَوْنُهُ وَلَمْ يَظْهَرْ رِيحُهُ. </div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ! বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত পড়ালেন কিন্তু সালাত কোথাও ভুল করেননি। তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা নিজ অবস্থানে থাকো। তিনি আল্লাহর প্রশংসা করে পুরুষদের দিকে মুখ ফিরে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে নিজ স্ত্রী সঙ্গমের সময় দরজা বন্ধ করে, নিজেকে পর্দায় আড়াল করে এবং আল্লাহর নির্দেশ মতো তা গোপন রাখে? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ পরে (মিলন শেষে) সে একথা বলে যে, আমার স্ত্রীর সাথে আমি এরূপ এরূপ করেছি। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেলো। অতঃপর তিনি মহিলাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন নারী আছে কি যে তার সঙ্গমের কথা নারীদেরকে বলে বেড়ায়? নারীরাও চুপ হয়ে গেলো।</div><div style="text-align: justify;">এ সময় এক যুবতী নারী তার দুই পায়ে ভর দিয়ে ঘাড় উঁচু করে বসলো, যাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে পান এবং তার কথা শুনতে পান। যুবতী বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যা বলেছেন, আসলেই তা ঘটে। পুরুষেরা পুরুষদের মধ্যে, আর নারীরা নারীদের মধ্যে এরূপ কথা বলে থাকে। এরপর তিনি বললেনঃ তোমরা কি জানো, এদের উদাহরণ কি? তিনি বললেনঃ এদের উদাহরণ হচ্ছে, এমন এক শয়তানের যে স্ত্রী শয়তানের কাছে গিয়ে প্রকাশ্যে নিজেদের যৌনক্ষুধা মিটালো, এবং এ দৃশ্য লোকেরা স্বচক্ষে দেখলো। সাবধান! জেনে রাখো, পুরুষের জন্য এমন সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত, যার ঘ্রাণ আছে কিন্তু রং নেই। সাবধান! নারীদের জন্য এমন সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত যেটার রং আছে, কিন্তু ঘ্রাণ নেই।</div><div style="text-align: justify;">{{ সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং-2176 }}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‎عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((لاَ تُبَاشِرُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ لِتَنْعَتَهَا لِزَوْجِهَا كَأَنَّمَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا)). অর্থাৎ! ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যেন অপর মহিলার দেহ স্পর্শ করে এমনভাবে তার বর্ণনা নিজের স্বামীর কাছে না দেয়, যেন সে তাকে চাক্ষুস দেখছে। {{ সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং-2152 }}  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">✴️শ্রদ্ধেয় পাঠক বৃন্দ! উপরোক্ত হাদীস সমূহের পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা অবশ্যই জ্ঞাত হয়েছেন যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সঙ্গম, মিলন ও সহবাসের কথা অন্য কোন বন্ধু অথবা বান্ধবীর সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। নিজের স্ত্রীর গোপনীয়তা নিজের কাছেই রাখতে হবে এবং নিজের স্বামীর গোপনীয়তা নিজের কাছেই রাখতে হবে। স্বামী স্ত্রী একে অপরের জন্য পর্দা, কেউ কারো পর্দা কে ফাঁস করবে না। আর যদি একে অপরের পর্দা ফাঁস করে দেয় তাহলে, কাল কিয়ামতের মাঠে উত্তপ্ত ময়দানে কঠিন আযাবের দিনে তাকে সেই গোপনীয়তা ফাঁস করার শাস্তি ভোগ করতে হবে।  আল্লাহ তা'য়ালা সমস্ত যুবক-যুবতীদেরকে উপরোক্ত মসলাটি বুঝার এবং তার উপর আমল করার শক্তি প্রদান করুন!! আমীন!  ✨وما توفيقي الا بالله العلي العظيم و الصلاة والسلام على حبيبه الكريم صلى الله عليه وسلم✨ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">✍️মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী✍️‎</div>

বাসর ঘরের গোপনীয়তা প্রকাশ করা কতটা অপরাধ?

💥বাসর ঘরের গোপনীয়তা প্রকাশ করা কতটা অপরাধ? অথবা নিজের বাসরঘরের কথা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করা যাবে কিনা?💥 ✴️শ্রদ্ধেয় পাঠক বৃন্দ! আমাদের স...

Read more »

কুরবানী সম্পর্কিত সকল পোস্ট একত্রে

<p><span style="background-color: white;"> </span><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_31.html" style="background-color: white; box-sizing: inherit; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-weight: 700; outline-width: 0px; text-indent: -15px;"><span style="color: red;">কিতাবঃ মাসায়েলে কুরবানী</span></a></p><div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: left;"><ul class="posts" style="border-width: 0px; box-sizing: inherit; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-weight: 700; list-style: none none; margin: 0px; padding: 0px; text-align: left; text-indent: -15px;"><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><i><span style="background-color: white;">লেখকঃ মুফতি গোলাম ছামদানী রেজভী</span></i></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><span style="box-sizing: inherit; color: #666666; font-family: SolaimanLipi, sans-serif;"><span style="box-sizing: inherit; font-weight: bolder;">কিতাবঃ মাসায়েলে কুরবানী</span></span><br style="box-sizing: inherit;" /></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><span style="box-sizing: inherit; color: #666666; font-family: SolaimanLipi, sans-serif;"><span style="box-sizing: inherit; font-weight: bolder;">লেখকঃ মুফতি গোলাম ছামদানী রেজভী</span></span></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_53.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;">১। কুরবানী প্রসঙ্গে কতিপয় হাদিস</a><br style="box-sizing: inherit;" /></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_20.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">২। কুরবানীর অর্থ ও শর্ত</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_40.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">৩। কুরবানীর সময়ের বিবরণ</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_61.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">৪। কুরবানীর পশুর বিবরণ</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_58.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">৫। কুরবানীর পশুর নিখুঁত হওয়া উচিত</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_50.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">৬। কুরবানীর পশুতে অংশ গ্রহণ</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_7.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">৭। কুরবানীর কিছু মুস্তাহাব</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_46.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">৮। কুরবানীর মাংস ইত্যাদির বিবরণ</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_51.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">৯। বিনা অনুমতিতে অপরের পশু কুরবানীর করার নিয়ম</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_23.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">১০। কুরবানী করার নিয়ম</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_92.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">১১। কুরবানীর জবাহ সম্পর্কিত কিছু মাসয়ালা</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_10.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">কুরবানী সংক্রান্ত ফাতওয়া -৩</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_62.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">১২। যাদের জবাহ হালাল নয়</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_9.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">১৩। পরিশেষে পরামর্শ স্বরূপ বলছি</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_11.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">১৪। গাইরুল্লাহর নামে জবাহ</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_34.html" style="box-sizing: inherit; color: #c00901; outline-width: 0px; text-decoration-line: none;">১৫। প্রশ্নোত্তরে মাসয়ালার মিমাংসা</a></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; font-size: 14px; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><br /></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; color: #666666; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><span style="background-color: white; color: red; text-indent: -15px;">কুরবানী সম্পর্কিত অন্যান্য পোস্টঃ</span></li></ul><ol style="text-align: left;"><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_19.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px; text-indent: -15px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কোরবানীর পশুর বিবরণ</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2017/08/blog-post_910.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px; text-indent: -15px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কোরবানীর ফযীলত ও আহকাম</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_23.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px; text-indent: -15px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কোরবানীর অর্থ ও শর্ত</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_74.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px; text-indent: -15px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কোরবানী প্রসঙ্গে কিছু হাদিস</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_4.html" style="box-sizing: inherit; outline-width: 0px; text-indent: -15px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কোরবানির টাকা অসহায়কে দান করে দিলে কি কোরবানি হবে?</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/01/blog-post_87.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="color: #6aa84f;"><mark style="background: rgb(255, 255, 255); box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;"><span>কুরবানী</span></mark><span><span style="background-color: white;"> না করে </span><span style="background-color: yellow;">সে</span></span><span style="background-color: white;"> টাকা দান করে দিলে কি </span><mark style="background: rgb(255, 255, 255); box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark><span style="background-color: white;"> আদায় হবে?</span></span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><span style="color: #6aa84f;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_82.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;">কোরবানী কার উপর ওয়াজিব</a><span style="background-color: white;">?</span></span></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_51.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামে কোরবানী দেওয়া মুমিনের দায়িত্ব</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_43.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; padding: 0px;"><span style="color: #6aa84f;">নবী করীম (ﷺ) এর পক্ষ থেকে কোরবানী করা উম্মতের দায়িত্ব</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_30.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">অধিক পশু জবাই</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2017/08/blog-post_258.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;"><mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark> করার নিয়মঃ</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_77.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কোরবানীর সুন্নাত পদ্ধতি,নিয়ত ও দোআ</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2017/08/blog-post_47.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">জ্বিলহজ্জ মাসের ফযীলত</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/06/blog-post_74.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;"><mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark> সংক্রান্ত ফাতওয়া - ১</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_56.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;"><mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark> সংক্রান্ত ফাতওয়া-২</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_21.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কোরবানীর হুকুম ও নেসাব</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/10/blog-post_31.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">ইসলামে <mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark>র বিধান</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/03/jumma-bayan-musta_12.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">পৃথিবীর প্রথম হত্যাকান্ড | <mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark> কিভাবে কবুল হয়?</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2020/07/blog-post_2.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;"><mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark> বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি মাসআলা</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_2.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">ভাগে কোরবানী জায়েজ</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2020/07/blog-post_9.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কোরবানির সাথে আকিকা দেয়া যাবে কি?</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2019/08/blog-post_792.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;"><mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark> ও আক্বীকা একত্রে দেওয়ার বিধান</span></a></span></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2019/08/shaykh-muhammad-k-azad-al-qadri_10.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">রাসূল পাকের নামে কি <mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark> দেওয়া যাবে ?</span></a></span></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_38.html" style="box-sizing: inherit; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কুরবানীর দোআ ও পশু জবেহের পদ্ধতি</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2018/08/blog-post_24.html" style="box-sizing: inherit; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; margin: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">সাত ভাগে কোরবানী দেয়ার স্পষ্ট দলীল</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2020/07/blog-post_30.html" style="box-sizing: inherit; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; margin: 0px; outline-width: 0px; padding: 0px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;"><mark style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; box-sizing: inherit; display: inline; margin: 0px; padding: 0px;">কুরবানী</mark>, ইসলাম ও মানবতার আড়ালে ইসলাম বিদ্বেষ</span></a></li><li><span style="font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_67.html" style="box-sizing: inherit; outline-width: 0px; text-indent: -15px;"><span style="background-color: white; color: #6aa84f;">কুরবানির প্রকারভেদ</span></a></span></li><li style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: none; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-width: 0px; box-sizing: inherit; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; line-height: 1.5em; list-style: outside none none; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; position: relative; text-indent: -15px;"><br /></li></ol></div>

কুরবানী সম্পর্কিত সকল পোস্ট একত্রে

  কিতাবঃ মাসায়েলে কুরবানী লেখকঃ মুফতি গোলাম ছামদানী রেজভী কিতাবঃ মাসায়েলে কুরবানী লেখকঃ মুফতি গোলাম ছামদানী রেজভী ১। কুরবানী প্রসঙ্গে কতিপয় ...

Read more »

কিতাবঃ মাসায়েলে কুরবানী

<ul class="posts" style="box-sizing: inherit; list-style: none none; margin: 0px; padding: 0px; border-width: 0px; text-indent: -15px; background-color: rgb(236, 236, 236);"><li style="box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><font color="#666666" face="SolaimanLipi, sans-serif"><b>কিতাবঃ মাসায়েলে কুরবানী</b></font><br></li><li style="box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><font color="#666666" face="SolaimanLipi, sans-serif"><b>লেখকঃ মুফতি গোলাম ছামদানী রেজভী</b></font></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_53.html" style="text-indent: -15px; box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">১। কুরবানী প্রসঙ্গে কতিপয় হাদিস</a><br></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_20.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">২। কুরবানীর অর্থ ও শর্ত</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_40.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">৩। কুরবানীর সময়ের বিবরণ</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_61.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">৪। কুরবানীর পশুর বিবরণ</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_58.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">৫। কুরবানীর পশুর নিখুঁত হওয়া উচিত</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_50.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">৬। কুরবানীর পশুতে অংশ গ্রহণ</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_7.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">৭। কুরবানীর কিছু মুস্তাহাব</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_46.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">৮। কুরবানীর মাংস ইত্যাদির বিবরণ</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_51.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">৯। বিনা অনুমতিতে অপরের পশু কুরবানীর করার নিয়ম</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_23.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">১০। কুরবানী করার নিয়ম</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_92.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">১১। কুরবানীর জবাহ সম্পর্কিত কিছু মাসয়ালা</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_10.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">কুরবানী সংক্রান্ত ফাতওয়া -৩</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_62.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">১২। যাদের জবাহ হালাল নয়</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_9.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">১৩। পরিশেষে পরামর্শ স্বরূপ বলছি</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_11.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(1, 184, 192); text-decoration-line: none;">১৪। গাইরুল্লাহর নামে জবাহ</a></li><li style="color: rgb(102, 102, 102); font-family: SolaimanLipi, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 700; box-sizing: inherit; margin: 0.25em 0px; padding: 0px 0px 0px 1.3em; line-height: 1.5em; position: relative; background: none; list-style: outside none none; border-width: 0px; text-indent: -15px;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/07/blog-post_34.html" style="box-sizing: inherit; color: rgb(192, 9, 1); outline-width: 0px;">১৫। প্রশ্নোত্তরে মাসয়ালার মিমাংসা</a></li></ul>

কিতাবঃ মাসায়েলে কুরবানী

কিতাবঃ মাসায়েলে কুরবানী লেখকঃ মুফতি গোলাম ছামদানী রেজভী ১। কুরবানী প্রসঙ্গে কতিপয় হাদিস ২। কুরবানীর অর্থ ও শর্ত ৩। কুরবানীর সময়ের বিবরণ ৪। ক...

Read more »

১৬। প্রশ্নোত্তরে মাসয়ালার মিমাংসা

<div style="text-align: justify;">১৬। প্রশ্নোত্তরে মাসয়ালার মিমাংসা </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন     (১) -   নিকটের মাদ্রাসায়    দান  না    করে অন্য    জেলার   মাদ্রাসায় কুরবানীর পয়সা দান করলে জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-     তা জায়েজ     (ফাতাওয়ায়ে   আব্দুলহাই)    যদি  আহলে  সুন্নাত            এর মাদ্রাসা হয় তাহলে জায়েজ   হবে।  মাদ্রাসা    যদি ওহাবি দেওবন্দিদের হয় তাহলে  কুরবানী নির্দেশ  অনুযায়ী কোন  প্রকার   দান দেয়া জায়েজ হবেনা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২) - দানের পশু কুরবানী জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  জায়েজ। (ফাতাওয়ায় - আব্দুল হাই) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩) - নিজের পালিত পশু কুরবানী জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- জায়েজ।  বরং যদি পালিত পশু মোটা তাজা হয় তাহলে উত্তম হবে। (মসনাদে ইমাম আহমাদ) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪) - বেহেশতী জেওর কিতাবে মৌলবি আশরাফ আলি থানবি সাহেব লিখেছেন  পশুর      কান  এক   তৃতীয়াংশ   কেটে    গেলে  অথবা        চোখের জ্যোতিঃ এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়ে গেলে তার কুরবানী জায়েজ হবেনা। কিন্ত আমজাদ আলী আলাইহির রহমান বাহারে শরিয়াত কিতাবে তার কুরবানী জায়েজ বলেছেন। কোন উক্তি টি সঠিক?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- বেহেশতি জেওর  এর মাশলাটি  ভূল। এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়ে গেলে তার কুরবানী   জায়েজ  হবে।      তার    বেশি   নষ্ট    হলে জায়েজ    হবেনা। (খোলাসা তুল ফাতাওয়া ও ফাতাওয়া শামী, আলমগীরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫) - অনেকে বলে থাকে যে যাদের কুরবানী করার সামর্থ্য নেই তারা কুরবানীর   দিনে  কমপক্ষে  একটি মোরগ  জবেহ     করলে কুরবানী হয়ে যাবে। তা কি সঠিক?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় তার জন্য কুরবানীর দিনে মোরগ ও মুরগী    ইত্যাদি কুরবানী    নিয়তে   জবেহ        করা         মাকরূহ।  কারণ    তা অগ্নিপূজকদের প্রথা। (খোলাসা তুল ফাতাওয়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৬)  - কুরবানী         পয়সা সরাসরি    ভাবে       মসজিদ  ও  মাদ্রাসার   কাজে ব্যবহার করা যাবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  কুরবানীর  পয়সা   সমস্ত প্রকার   ভালো কাজে ব্যবহার  করা জায়েজ। কুরবানীর  পয়সা  সরাসরি মসজিদ  ও  মাদ্রাসা  নির্মানের  জন্য ব্যবহার করা  জায়েজ। অবশ্য যাকাত ও  ফিতরার  পয়সা  সরাসরি  মসজিদ   ও মাদ্রাসাতে দান করা জায়েজ হবে না।  (বাহারে শরীয়ত ও ফাতাওয়ায় দামানে মোস্তাফা) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৭) - কোটি    কোটি  টাকার মালিক   এই   প্রকার  সাতজন মানুষ  একটি গরু কুরবানী করলে জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- জায়েজ হবে। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৮) - যদি কোনো ব্যক্তি কুরবানী মান্নত করে এবং গরু   অথবা ছাগল নির্দিষ্ট না করে,  তাহলে কি কুরবানী করবে? এবং ঐ  কুরবানীর মাংস নিজে খেতে পারবে কিনা? </div><div style="text-align: justify;">উত্তর- কমপক্ষে একটি ছাগল কুরবানী করতে হবে। মান্নতের কুরবানী মাংস নিজের     খাওয়া   জায়েজ   নয়।    সমস্ত        মাংস             সাদকা  করতে  হবে। (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৯) - যদি  ছাগল  কুরবানী  করার মান্নত করে এবং  গরু কুরবানী করে দেয়,    তাহলে মান্নত  আদায় হবে   কিনা?   যদি মান্নতের    মাংস     খেয়ে ফেলে তাহলে কি করতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- ছাগলের পরিবর্তে  গরু কুরবানী করলে জায়েজ হবে। যত টুকু মাংস খেয়েছে তার মূল্য সাদকা করতে হবে। (আলমগীরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১০) -  কুরবানী মাংস   বিক্রয়  করা জায়েজ  কিনা?  মসজিদের  খতীব বহু     মাংস   পেয়ে      থাকেন।      তার  জন্য          তা   বিক্রয়      করা        জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- কুরবানীর মাংস বিক্রয় মূলত জায়েজ  নয়। চাই কুরবানী দাতা হোক অথবা       মসজিদের   খতীব  হোক।               অবশ্য  উক্ত  মাংসের     পরিবর্তে ব্যবহারিক বস্তু নিতে পারে। (খোলাসাতুল ফাতাওয়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১১) -   অনেক স্থানে দানের মাংস একত্রিত করে মহল্লায় বিতরণ করা হয়ে  থাকে। উক্ত        মাংস কুরবানী দাতার জন্য      নেওয়া জায়েজ    হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- নিশ্চয় জায়েজ হবে।  কুরবানীর     মাংস  বিতরণ    করা মুস্তাহাব। ইচ্ছা করলে সমস্ত মাংস খাওয়া জায়েজ (আলমগিরী)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১২) - পোষণী গরু ছাগলের কুরবানী না হবার কারণ কি?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- কুরবানীর জন্য শর্ত মালিক হওয়া। যেহেতু পালনকারী পশুর মালিক নয়, সেহেতু তার কুরবানী জায়েজ হবেনা (রদ্দুল মুহতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১৩)   -  যে ব্যক্তির  উপর কুরবানী    ওয়াজিব,   যদি তার  নিকট হালাল পয়সা না থাকে তাহলে কি করবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  কার  নিকট হতে  পয়সা  ধার  নিয়ে     কুরবানী করবে এবং     পরে  ঋণ পরিশোধ করবে (কুতুবে ফিকাহ)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১৪) -      কোন  মৃত ব্যক্তির   নামে  অথবা      আউলিয়া ও আম্বিয়া  গণের নামে যে কুরবানী   করা হয়ে থাকে,     কুরবানী  দাতার  জন্য উক্ত   মাংস খাওয়া জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- নিশ্চয় জায়েজ। অবশ্য মৃত ব্যক্তি যদি কুরবানী করার অসিয়ত করে যায় তাহলে তার মাংস খাওয়া জায়েজ হবেনা। (আলামগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১৫)  -    নির্দোষ   পশু ক্রয় করার  পর    কুরবানীর পূর্বে   যদি  দোষযুক্ত হয়ে যায় তাহলে তার কুরবানী জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- ধনী ব্যক্তির জন্য জায়েজ নয়। গরীব মানুষের জন্য জায়েজ। অবশ্য গরীবের মান্নতের           কুরবানী         হলে  জায়েজ    হবেনা। (হিদায়া, রদ্দুল মুহাতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১৬) - অনেকে বলে  থাকে  কুরবানীর মাংস তিন দিনের বেশি খাওয়া জায়েজ নয় তা কি ঠিক?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  তা  ঠিক   নয়। তিন মাস   ধরে খেতে    পারে। অবশ্য   হুজুর  সাল্লালাহু তায়ালা  আলাইহি   ওসাল্লালাম  এই    প্রকার    বলেছেন।  পরে    তিনি তা বাতিল করেছেন (মোসনাদে ইমাম আ'যম)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১৭)  -      যারা  কুরবানীর      মাংস  তৈরি   করতে  সাহায্য    করে       তাদের পারিশ্রমিক হিসেবে উক্ত মাংস প্রদান করা জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- পারিশ্রমিক  হিসেবে গোশত, চামড়া ইত্যাদি কিছু দেয়া জায়েজ হবে না (হেদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১৮) -   যদি  কুরবানীর মাংস চুরি হয়ে  যায়  এবং  পরে  চোরের  নিকট হতে মূল্য আদায় করলে তা কি করতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- সাদকা করে দেয়া জরুরী (আলামগীরি) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(১৯)  -  যদি কুরবানীর     দিনে     পশু         মারা যায়     তাহলে  কি          করতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-    ধনী  ব্যক্তির    জন্য    অন্য পশু  কুরবানী   করা       ওয়াজিব।     যদি পশু সংগ্রহ করা  সম্ভব         না হয় তাহলে  কম     পক্ষে     একটি  ছাগলের  মূল্য সাদকা  করতে   হবে। যদি গরীব   মানুষের পশু মারা যায় তাহলে  অন্য পশু কুরবানী করা ওয়াজিব নয় (দুররে মুখতার)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২০) - যদি পশু হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়ে যায় এবং অন্য পশু ক্রয় করার পর যদি তা পাওয়া যায় তাহলে কি করতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- ধনী হলে দুইটির মধ্যে যে কোনো একটি কুরবানী করলে হবে। যদি প্রথমটি কুরবানী করতে চায় এবং তার মূল্য দ্বিতীয়টির থেকে   কম হয় তাতে  কোনো দোষ হবেনা।   যদি দ্বিতীয় টি কুরবানী করতে  চায় এবং তার মূল্য    প্রথমটির  অপেক্ষায় কম  হয়,  তাহলে    যত    টাকা কম    হবে ততটাকা সাদকা করতে হবে। গরীবের প্রতি দুইটি পশুর কুরবানী করা ওয়াজিব। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২১) - এক ব্যক্তির প্রতি কুরবানী ওয়াজিব ছিলো কিন্ত কোনো কারণে করা হয়নি। সে এই বৎসর তার কাজা করতে চাচ্ছে। তা জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- গত        বৎসরের  কুরবানী   এই   বৎসর জায়েজ  নয়।  একটি  ছাগলের মূল্য সাদকা করতে হবে। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২২) - একই পশুতে আক্বীকাহ ও কুরবানী অংশ নেওয়া জায়েজ হবে কি? তার মাংস কি প্রকারে বণ্টন করতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-    তা জায়েজ।  কুরবানী    ও আক্বীকাহ     মাংস  বন্টনের    একই    নিয়ম। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২৩) – যদি অংশীদারদের   মধ্যে কারো নিয়ত বিশুদ্ধ না হয়, তাহলে কি কারো কুরবানী হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  এক  জনের  নিয়ত     খারাপ থাকলে  কারো  কুরবানী হবে   না। (রদ্দুল মুহতার)  বর্তমানে   বহু  মানুষ  বিভিন্ন   নিয়তে  অংশ  গ্রহণ করে থাকে। সেহেতু সম্ভব হলে একাই কুরবানী করা উচিৎ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২৪)   - কুরবানীর   জন্য   পশু ক্রয়   করার   পর      যদি বাচ্চা         হয়ে যায় তাহলে কি করতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  বাচ্চাসহ  জবেহ   করে  দিবে।    যদি বাচ্চা বিক্রয়     করে দেয়   তাহলে তার  মূল্য সাদকা করতে   হবে।  যদি   জবেহ  ও বিক্রয়  কিছুই  না করে এবং     কুরবানী    দিন গুলো   অতিক্রম  হয়ে       যায়,     তাহলে    ঐ বাচ্চাটি জীবিত অবস্থায়    সাদকা করে   দিতে  হবে।  যদি  কিছুই না  করে   রেখে দেয়  এবং পরের বৎসর  যদি তা কুরবানী করতে চায়  তাহলে জায়েজ হবেনা। যদি  তা  কুরবানী করে দেয় তাহলে তার        মাংস  সাদকা করে দিতে       হবে  এবং         আরো      একটি        পশু       কুরবানী               করতে  হবে। (আলমগিরী)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২৫)   - জবেহ  করার পর যদি   পেট থেকে  বাচ্চা      বের       হয়     তাহলে কুরবানী                 জায়েজ           হবে      কিনা এবং     তার    মাংস   খাওয়া     চলবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-      কুরবানী জায়েজ      হবে  এবং  তার    মাংস ও   খাওয়া জায়েজ  হবে। এমন কি পেটের বাচ্চা    টি  জীবিত অবস্থায় বের   হলে তাকে ও  জবেহ করে    খাওয়া    হালাল।     অবশ্য  মরা        বাচ্চাটির মাংস    খাওয়া  হারাম। (বাহারে শরীয়ত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২৬) -  জবেহ   করার    পূর্বে  পশুর   চামড়া বিক্রয়  করা জায়েজ কিনা? তাতে কুরবানীর কোনো ক্ষতি হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- কুরবানী হয়ে      যাবে।  কিন্ত     জবেহ করার      পূর্বে চামড়া  বিক্রয়   করা নাজায়েজ।      চাই    কুরবানী  চামড়া   হোক   অথবা  অন্য  চামড়া     হোক। যেমন   পুকুরের  মাছ     পানিতে   থাকা  অবস্থায়  এবং       যে কোনো      ফল খোশার মধ্যে থাকা অবস্থায় বিক্রয় না জায়েজ। (হেদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২৭) - অনেক স্থানে মোল্লার পারিশ্রমিক হিসেবে কল্লা দিয়ে থাকে তা কি জায়েজ?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-      তা নাজায়েজ।   পারিশ্রমিক হিসেবে   মাথা       ও মাংস    কিছুই       দেয়া যাবেনা। পয়সা দিতে  হবে। অবশ্য    কুরবানী  ও  আক্বীক্বাহ ছাড়া অন্য জবেহ       এর  ক্ষেত্রে        ঐ  গুলো            দেয়া  ও  নেওয়া  জায়েজ।    (বাহারে শরিয়াত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২৮) - অনেকেই কলিজা ইত্যাদি নিজের ভাগে  রেখে দেয় এবং তার পরিবর্তে   নিজের ভাগের  মাংস  দিয়ে  দেয়।  তা কি  জায়েজ?  অনুরূপ অনেকেই মাংস  সম্পূর্ণ তৈরি  হবার  পূর্বে  ২/৪  কিলো নিয়ে নেয়  এবং পরে তার নিজের ভাগ হতে দিয়ে দেয়। তা কি জায়েজ?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-    জায়েজ।    তাতে কুরবানীর   কোনো       ক্ষতি    হবেনা। কারণ  কুরবানী দাতার   জন্য সমস্ত  মাংস  খাওয়া  জায়েজ। (খোলাসাতুল ফাতাওয়া  ও হেদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(২৯)     -  অনেক স্থানে  কুরবানীর  সমস্ত পশু   একত্রিত  করে এক  পশুর সামনে অন্য পশুকে জবেহ করা হয়।  তাতে কোনো  ক্ষতি হবে কিনা? </div><div style="text-align: justify;">উত্তর-    পশুর সামনে  ছুড়িতে ধার  দেয়া মাকরুহ।    কারণ      তাতে পশুর কষ্ট হয়ে থাকে।   অতএব  এক  পশুর   সম্মুখে অন্য      পশুকে   জবেহ  করলে কুরবানী হয়ে যাবে কিন্ত মাকরূহ হবে। (দুররে মুখতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩০) - কুরবানীর পশুর ভুড়ি খাওয়া জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- ভূঁড়ি খাওয়া মাকরূহে তাহরিমী চাই কুরবানী পশুর হোক অথবা অন্য পশুর হোক। (বাহারে শরিয়াত ও আনওয়ারুল হাদীস) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩১) -   স্ত্রীলোক       যদি কুরবানীর পশু জবেহ করে তাহলে তা জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- স্ত্রীলোক যদি মুসলমান হয় এবং কাফেরা, মোশরেকা ও ওহাবীয়া না হয়, তাহলে জায়েজ হবে। (আলামগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩২) - যদি কুরবানীর পশুর মস্তক কেটে আলাদা হয়ে যায় তাহলে কি হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-       কুরবানী   হয়ে যাবে। কিন্ত   এই   প্রকার  মস্তক       আলাদা করে ফেলা মাকরুহ। (হিদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩৩)  -   সাহেবে নিসাব     ব্যক্তির প্রতি  কি প্রতি বৎসর  কুরবানী      করা জরুরী?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- হ্যাঁ। প্রতি  বৎসর  কুরবানী  করা ওয়াজিব।    অন্যের   নামে       কুরবানী করতে চাইলে নিজের নামে কমপক্ষে একাংশ কুরবানী করতে হবে। ( রদ্দুল মুহতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩৪) - কুরবানী দাতার নখ, চুল কাটা জায়েজ আছে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- চাঁদ ওঠার পর হতে কুরবানী করা পর্যন্ত কেবল কুরবানী দাতার জন্য নখ চুল না কাটাই মুস্তাহাব। (হেদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩৫) -  কুরবানীর পশুকে শোয়াবার পর  'বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর' পাঠ  করেছে। কিন্ত কোনো  কারণে  জবেহ না করে  ঐ স্থলে   অন্য   পশু জবেহ করলে পশু হালাল হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  হালাল  হবে  না। অবশ্য   অন্য  পশুর জন্য নতুন  ভাবে    “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর” পাঠ করলে হালাল হবে। (হেদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩৬)  - যদি  কোনো ব্যক্তি নিজস্ব  পশুর    কুরবানীর  নিয়ত  করে থাকে অথবা পশু   ক্রয়      করার সময় কুরবানীর নিয়ত       ছিলোনা   পরে  নিয়ত করেছে। এমতাবস্থায় তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর– এ প্রকার নিয়তে কুরবানী ওয়াজিব হবেনা। (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩৭) - একই পরিবারে একাধিক মানুষের নিকট যদি নেসাব পরিমান মাল থাকে তাহলে কি সবার পক্ষ হতে কুরবানী করতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-   যাদের    নিকট         নিসাব   পরিমাণ    মাল   থাকবে      তাদের   প্রত্যেকের কুরবানী  করা ওয়াজিব। স্বামী কুরবানী      করলে  স্ত্রীর   ওয়াজিব  আদায় হবেনা।      অবশ্য   মালিকে নিসাব  ব্যক্তি  স্ত্রী  ও বালেগ পুত্রের  অনুমতি নিয়ে     কুরবানী          করলে               তাদের    ওয়াজিব      আদায়      হয়ে      যাবে। (আলমগীরি)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩৮) -  আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে যদি  ২৯ তারিখে  চাঁদ    দেখা সম্ভব না হয় এবং চাঁদ ২৯ তারিখের বলে যদি সন্দেহ হয় তাহলে কি প্রকারে কুরবানী করতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- এমতাবস্থায় ১২ই জিলহজ্বের পূর্বে কুরবানী করে ফেলতে হবে। যদি ১২  তারিখে কুরবানী  করা হয় তাহলে সমস্ত মাংস   সাদকা করে  দিতে হবে (আলমগিরী)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৩৯)   -  যদি  ছাগলের বয়স  এক     বৎসর   হতে   ২/৫ দিন কম     থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- ছাগল যতই মোটা তাজা হোক না কেনো বৎসর পূর্ণ হতে ১দিন কম থাকলেও কুরবানী জায়েজ হবে না। (দুররে মুখতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪০) - ছাগলের বাচ্চা  যদি কুকুরের দুধ পান করে থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-        কুরবানী জায়েজ হবে।   যদি দীর্ঘদিন  কুকুরের দুধপান করে  থাকে তাহলে কিছুদিন বেঁধে রাখতে হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪১) - পাঁঠা কুরবানী জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- পাঁঠাকে  বহুদিন   বেঁধে  রাখতে হবে  যাতে    তার দেহের গন্ধ দুরিভূত হয়ে যায়  এবং তার মাংসে কোনো প্রকার  গন্ধ না      থাকে  তাহলে তার কুরবানী জায়েজ হবে। (বাহারে শরীয়ত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪২)       -  যে        ছাগলটির   মূল্য     ১০০০    টাকা,     যদি   ওই       ছাগল     টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২০০০০ টাকায়  ক্রয় করে কুরবানী করা হয় তাহলে সওয়াব পাবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- সওয়াব     বেশি পাবে না।   বরং   আল্লাহর  ওয়াস্তে  না  হয়ে যদি সুনাম অর্জনের জন্য হয় তাহলে মূলতঃ কুরবানীই হবে না। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪৩) - যদি আটজন  অথবা   ৯  জন  মানুষ    সাতটি    গরু সমান  অংশে কুরবানী করে তাহলে জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর–  এ প্রকার  কুরবানী জায়েজ হবেনা কারণ গরু   ৭ অংশের  বেশি  হয় না।  যখন ৮ অথবা   ৯    ব্যক্তি    ৭টি গরু কুরবানী করবে, তখন প্রতিটি গরু আট      অংশ        অথবা  ৯  অংশ  হয়ে যাবে। যা  না-জায়েজ।  (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪৪) - যদি গ্রামের মানুষ ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করে ফেলে তাহলে কুরবানী জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- জায়েজ হবে।   অবশ্য শহরের মানুষ ঈদের নামাজের  পূর্বে  কুরবানী করলে জায়েজ হবে না। (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪৫) - যদি কোনো কারণে ১০ জিলহজ্ব ঈদের নামাজ না হয় তাহলে কুরবানী কখন করবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর– ১০ তারিখে কুরবানী করতে ইচ্ছা করলে জাওয়ালের আগে জায়েজ হবেনা।    ১১    ও    ১২  তারিখে কুরবানী  করলে ঈদের   নামাজের আগে জায়েজ হবে (দুররে মুখতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪৬) -  কুরবানী  পশু জবেহ  করার পর হাত তুলে  দোয়া করা জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- জায়েজ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪৭)  - একটি ছাগলের মূল্য  ১০০০ টাকা। একটি গরুর মূল্য ১০০০ টাকা এমতাবস্থায় কোনটির কুরবানী উত্তম হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  গরু    কুরবানী করা     উত্তম হবে।  কারণ   ছাগল  অপেক্ষা গরুর  মাংস বেশি পাওয়া যাবে এবং সাত জনের  নাম   কুরবানী করা যাবে। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪৮)   - উঁট,  গরু  ও  মহিষের  মূল্য  ও    মাংস      যদি  সমান  সমান     হয় তাহলে কোনটির কুরবানী উত্তম হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- যেহেতু উটের   চামড়া বিক্রয় হয়না, সেহেতু তা অপেক্ষা   গরু  অথবা মহিষের  মধ্যে  যার মাংস     পছন্দনীয় হবে      এবং  চামড়ার    মূল্য  বেশি পাওয়া যাবে তার কুরবানী উত্তম হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৪৯) - যে পশুর জন্ম  হতে শিং নেই       অথবা কান   নেই অথবা একটি কান নেই। তার কুরবানী জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-    জন্ম  হতে  শিং   না থাকলে কুরবানী   জায়েজ  হবে।  কিন্ত   জন্ম  হতে কান      না   থাকলে    অথবা      একটি  কান না  থাকলে   কুরবানী       জায়েজ হবেনা। অবশ্য কান ছোট থাকলে জায়েজ হবে। (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫০) -  পশুর       দাঁত না থাকলে কুরবানী  জায়েজ হবে কিনা? অনুরূপ যদি তার থান কেটে অথবা শুকিয়ে যায় তাহলে কি হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- তার    কুরবানী না  জায়েজ।   ছাগলের   একটি  থান শুকিয়ে   যাওয়া না জায়েজ  হবার জন্য যথেষ্ট। গরু ও মহিষের একটি থান শুকিয়ে গেলে কুরবানী জায়েজ হবে (দুররে মুখতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫১) - হিজড়া পশুর কুরবানী জায়েজ কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- নাজায়েজ। (দুররে মুখতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫২) -  যদি গরীব মানুষ কুরবানী করে এবং সমস্ত মাংস নিজের জন্য রেখে দেয় তাহলে কুরবানী জায়েজ হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর-  জায়েজ হবে।    বরং       গরীবের  জন্য সমস্ত  মাংস   রেখে  দেয়া    উত্তম (আলমগিরী)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫৩)         -    কুরবানী   মাংস  অমুসলিমদের     কে   দান   করলে   কুরবানীর কোনো ক্ষতি হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- কুরবানী  হয়ে যাবে। কিন্ত অমুসলিমদেরকে    দেয়া  জায়েজ     হবেনা। কারণ    এখানকার অমুসলিমরা হারবী       কাফের।        (শামী         ও  বাহারে শরীয়ত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫৪) - যদি দুই ব্যক্তি অস্ত্র ধরে  জবেহ করে  তাহলে  কি      দুই   জনের প্রতি বিসমিল্লাহ পাঠ করা ওয়াজিব হবে?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- দুই  জনের   প্রতি বিসমিল্লাহ্   পাঠ  করা  ওয়াজিব হবে। যদি  একজন বিসমিল্লাহ্    ত্যাগ  করে তাহলে  কুরবানী তো  দুরের কথা    পশু    হালাল হবে না। (দুররে মুখতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫৫)  -    অনেকেই   জবেহ  করা   দেখতে     পারেনা।    এমতাবস্থায়    যদি জবেহ করার সময়  উপস্থিত না  থাকে তাহলে   কুরবানীর কোনো  ক্ষতি হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- কোনো ক্ষতি হবেনা। কিন্ত সম্ভব হলে নিজ  হস্তে জবেহ করা  উত্তম। কম পক্ষে জবেহ করার সময় উপস্থিত থাকা উচিৎ। (হেদায়া)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫৬)   -       কোনো দোয়া  পাঠ না           করলে  কেবল বিসমিল্লাহে   আল্লাহু আকবর পাঠ করে জবেহ করলে কুরবানী হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- কুরবানীর কোনো ক্ষতি হবেনা। অবশ্য যার নামে কুরবানী হবে তার নাম জবেহ করার পর এই প্রকারে বলবে - </div><div style="text-align: justify;">“হেআল্লাহ্ আমার অথবা অমুকের কুরবানী কবুল করে নাও যেমন তোমার দোস্ত   হজরত  ইব্রাহীম       আলাইহিসালাম     ও তোমার   হাবীব        হজরত মোহাম্মদ সাল্লালাহু  তায়ালা     আলাইহি    ওসাল্লালামের  কুরবানী  কবুল করেছো।“</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন(৫৭) - আক্বীক্বার চামড়ার হুকুম কি?</div><div style="text-align: justify;">উত্তর- কুরবানী ও  আক্বীক্বার    চামড়ার  একই হুকুম। নিজের কাজে ব্যবহার করা  জায়েজ।   কিন্ত  বিক্রয়    করলে     মসজিদ,       মাদ্রাসা  অথবা       অন্য কোনো       ভালো       কাজে  দান              করতে         হবে।       (বাহারে   শরীয়ত)। </div><div style="text-align: justify;">******************************</div><div style="text-align: justify;">বিশেষবিজ্ঞপ্তি</div><div style="text-align: justify;">========</div><div style="text-align: justify;">আমারসুন্নী   ভাইগণ!    খুব সাবধান  হয়ে   যান। অন্যথায়    আপনারা যেকোনো মূহুর্তে   ওহাবী         সম্প্রদায়ের       শিকার হয়ে        যাবেন।   বর্তমানে   সৌদি আরবের গোমরাহ   ওহাবী  সরকার  বিশ্ব সুন্নী মুসলমানদেরকে, বিশেষ করে ভারতীয় সুন্নী মুসলীমদেরকে মুশরিক বলে থাকে, এরা নিজেদের বানোয়াট     তাওহীদ প্রচারে ব্যস্ত হয়ে    পড়েছে।  এইখাতে খরচ করছে কোটি    কোটি  রিয়াল। এই রিয়াল আমাদের   দেশে ব্যাপক      পরিমানে চলে       আসছে            তথাকথিত    আহলে     হাদীস  ও      তাবলীগ  জামাতের মাধ্যমে।   ফলে ওহাবী    দেওবন্দীদের শতশত মাদ্রাসা মাকতাব     গড়ে উঠছে।  আর      দিনের   পর       দিন    দুর্বল  হয়ে  যাচ্ছে   সুন্নীদের    মাদ্রাসা গুলো। এই মাদ্রাসাগুলো   দুর্বল  হয়ে  যাবার  অর্থ  হলো   সুন্নীয়ত  খতম হয়ে   যাবার পূর্বাভাষ। অতএব     আপনার     যাকাত,     ফিতরা,    উশুর  ও কুরবানীর সমস্ত পয়সা       সুন্নী     মাদ্রাসা গুলোতে দিয়ে দিন।   খবরদার! আপনার  একটি পয়সাও    যেনো এদিক সেদিক চলে  না যায়।   আল্লাহ্ তালা  যেনো   আমাদের    সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করে থাকেন। আমিন ইয়া রব্বাল আ'লামীন। </div>

১৬। প্রশ্নোত্তরে মাসয়ালার মিমাংসা

১৬। প্রশ্নোত্তরে মাসয়ালার মিমাংসা  প্রশ্ন     (১) -   নিকটের মাদ্রাসায়    দান  না    করে অন্য    জেলার   মাদ্রাসায় কুরবানীর পয়সা দান করলে জা...

Read more »

১৪। গাইরুল্লাহর নামে জবাহ

<div style="text-align: justify;">১৪। গাইরুল্লাহর নামে জবাহ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা  (১) - আল্লাহ তাআলার নাম উচ্চারণ না করে কেবল কোনো দেবতার   নাম   অথবা  কোন  নবী    ও   অলীর নাম উচ্চারণ   করে জবেহ করলে পশু হারাম হবে। (তাফসীরাতে আহমাদীয়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(২) - আল্লাহ  তাআলার সাথে   অন্যের নাম    যুক্ত     করে জবেহ   করলে পশু হারাম হবে। </div><div style="text-align: justify;">যথাঃ- - "বিসমিল্লাহি ওয়া মুহাম্মাদির  রাসুলিল্লাহ" বলে  জবেহ  করলে  পশু হারাম  হবে। আর সংযুক্ত  না  করে "বিসমিল্লাহি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" বলে  জবেহ    করলে পশু হারাম  হবেনা। কিন্ত এই  প্রকার    জবেহ করা মাকরূহ   হবে।  (বাহারে           শয়ীয়াত     ও       তাফসীরাতে           আহমাদীয়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৩)   -    আল্লাহর          নামের সাথে    কোনো    প্রকার     যুক্ত      না      করে পশু শোয়ানোর পূর্বে অথবা জবেহ      করার  পর   কারো নাম  উচ্চারণ করায় কোনো দোষ  নেই।    যেমন   কুরবানী   ও  আক্বীকার   সময়ে  দাতার নাম উচ্চারণ করা হয়ে থাকে (হিদায়া ও বাহারে শরীয়ত)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বিশেষবিজ্ঞপ্তিঃ - </div><div style="text-align: justify;">পশুরমালিক মুসলমান  হোক    বা মুশরিক। জবেহ   কারী   যদি মুসলমান  হয় তাহলে  পশু   হালাল  হবে    এবং যদি জবেহ কারী মুশরিক  হয়  তাহলে পশু হারাম হবে। অনুরূপ পশু পীরের নামে রাখা হোক অথবা প্রতিমার নামে রাখা হোক   যদি জবেহ   করার  সময় আল্লাহর নামে    জবেহ করা হয়  তাহলে  হালাল হবে এবং  যদি পীর অথবা প্রতিমার নামে      জবেহ করা     হয়, তাহলে    হারাম    হবে।   যেসমস্ত    পশু    কোনো    পীরের  নামে ইসালে সওয়াব   করার       উদ্দেশ্য     রাখা হয়,  যদি   জবেহ    করার  সময় আল্লাহরর    নাম উচ্চারণ   করে জবেহ  না     করে    কোনো   পীর        অথবা কোনো          প্রতিমার   নাম উচ্চারণ    করে   জবেহ   করা         হয়  তাহলে  তা নিঃসন্দেহে  হারাম হবে। অনুরূপ যেসমস্ত পশু  কোনো  পীরের  ইসালে সওয়াব   অথবা   প্রতিমার   ভোগ       হিসেবে     রাখা    হয়ে     থাকে যদি    ঐ পশুগুলো  জবেহ করার  সময় আল্লাহর  নাম উচ্চারণ  করে জবেহ  করা হয়  তাহলে তা নিঃসন্দেহ হালাল  হবে।    গাউছে    পাক  হজরত আব্দুল ক্বাদের         জীলানী ও   খাজা মঈনুদ্দিন       চিশতী   আজমিরী    রহমাতুল্লাহ আলাই রাহমার নামে অথবা অন্য কোনো অলীর নামে ইসালে সওয়াব করার উদ্দেশ্য যেসমস্ত পশু রাখা হয়ে  থাকে এবং যথাসময়ে  আল্লাহর নাম উচ্চারণ  করে জবেহ করা হয়ে থাকে,  ঐ  গুলো নিঃন্দেহে  হালাল (তাফসীরাতে - আহমাদিয়ে)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ওহাবী-দেওবন্দীমৌলবিগণ  আউলিয়া  কিরামের নামে ইসালে  সওয়াব ও   এর উদ্দেশ্য পশু রাখা  এবং  তা যথা    সময়ে   আল্লাহ  তাআলার      নামে  জবেহ  করে ভক্ষণ   করা   হারাম    বলে    থাকেন।    কয়েক  বৎসর  পূর্বে         মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত ভান্ডারা   নামক গ্রামে জালসায় উপস্থিত  হয়ে ছিলাম। উক্ত জালসায় মাওলানা নূর আলম বর্ধমানী ছিলেন। নূর আলম সাহেব বক্তৃতায় বললেনঃ - </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">”যারাশিব  ডাঙ্গার মসজিদে প্রদান করা   খাসি  ও মোরগের মাংস  দিয়ে ভাত খায় তারা কুকুরের পায়খানা দিয়ে ভাত খায়।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জালসায়পর আমি তাকে প্রশ্ন করলাম যদি কোনো পশু আল্লাহর জন্য রাখা হয় ও  জবেহ করার সময় দূর্গা   বলে  জবেহ করা হয়,  তাহলে  ভক্ষণ  করা হালাল হবে কি?  তিনি    শয়ন    অবস্থায় সহজে    উত্তর দিলেন  -   হারাম হবে। আমি  পুনরায়   প্রশ্ন  করলাম  যদি  কোনো   পশু  দুর্গার  নামে রাখা হয়   এবং  জবেহ   করার  সময়ে     আল্লাহর নাম নিয়ে        জবেহ করা   হয় তাহলে তা হালাল হবে কি? বেচারা বসে নিজেকে খানিকটা সামলিয়ে খুব আস্তে উত্তর দিলেন - হালাল হবে। </div><div style="text-align: justify;">এবারআমি     বললাম শিবডাঙ্গায় যে    সমস্ত  খাসী ও  মোরগ    জবেহ   করা হয় সেগুলো  কোনো   পীর সাহেবের নাম  উচ্চারণ করে   জবেহ       করা  হয়, নাকি   আল্লাহর   নাম উচ্চারণ করে   জবেহ   করা       হয়?   নিশ্চয়  কোনো পীরের নাম উচ্চারণ করে জবেহ করা হয়না। আপনি বলুন, ঐ হালাল মাংসকে  কুকুরের    পায়খানা বললেন    কেনো?   আপনার  সাথে  আমার "বিলকান্দী" নামক         স্থানে   অমুক দিনে   জালসা    রয়েছে।  যদি বলেন সেখানে কিতাব দেখিয়ে দিবো। আপনার মাসয়ালাটি বলা অত্যন্ত ভূল হয়েছে। তখন    তিনি     বললেন   আপনি   যা     বলছেন তাই ঠিক। কারণ আপনারা সবসময় কিতাব পড়াচ্ছেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অল্পকিছু    দিন হতে নূর আলম    সাহেব    পীর   সেজে    মুরীদ   করতে  আরম্ভ করেছেন।   ইনি    ফুরফুরার   বড়  হুজুর  আব্দুল   হাই  সিদ্দীকী    সাহেবের মুরীদ।           সম্ভবত  তিনি   আব্দুল    হাই  সিদ্দিকী    সাহেবের     নিকট  হতে কামালিয়াত হাসেল    করতে   পারেন  নি।       তাই  তিনি   প্রকাশ্য    ওহাবী দেওবন্দী জমিয়াতে উলামায়ে হিন্দের সর্ব ভারতীয় রাজনৈতিক নেতা, মাওলানা আসাদ      মাদানীর     নিকট  মুরীদ হয়েছেন।     নকলী       মাদানী সাহাবের নিকট হতে নূর আলম সাহেব নাকি আজগুবি ভাবে খিলাফত প্রাপ্ত হয়েছেন। ঘোড়া ও  গাধার মিলনে  যে বাচ্চাটি জন্ম     নেয়    তা কে খচ্চর    বলা হয়। ফুরফুরা পন্থীগণ   চোখে  কোণা দিয়েও দেওবন্দীদের দেখতে      পারেন না।  অনুরূপ    অবস্থা  দেওবন্দীদেরও।     এরা ফুরফুরা পন্থীদের  আদৌ   সমর্থন করেননা।    সমালোচনা       ও  পর্যালোচনা  দ্বারা বোঝা যায়    যে    ফুরফুরা  পন্থী   প্রকৃত  পক্ষে দেওবন্দী    ওহাবী।  ওহাবী দেওবন্দীদের সাথে এদের   মৌলিক মসালাতে  মূলতঃ মতভেদ  নেই। কিন্ত এরা প্রত্যেকেই   কিছু মাসয়ালাতে প্রত্যক্ষ ও  পরোক্ষ ভাবে একে অপরকে   কাফের  মোশরেক  প্রমাণ  করেছেন। নূর   আলম সাহেব   দুই পন্থির   পরম  নেতা দ্বয়ের নিকট হতে দীক্ষা      গ্রহণ     করে বর্তমান  পীর সেজে  মুরীদ আরম্ভ     করেছেন।   এখন    বিবেচনার বিষয় যে নূরআলম সাহেব দেওবন্দী পির না ফুরফুরা পন্থী পীর?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নিশ্চয় দেওবন্দীগণ তাকে ফুরফুরা পন্থী পীর বলে গ্রহণ করবেন না। অনুরূপ ফুরফুরা পন্থীগণও তাকে দেওবন্দী পীর বলে গ্রহণ করবেন না। অথচ দেখা      যাচ্ছে যে,  উভয়     পন্থীর   মানুষ        কম   বেশি  তার    হাতে   মুরিদ হচ্ছেন।        তাহলে       কি    নূরআলম    সাহেব খচ্চর   পীর   হয়েছেন?  যার কারণে    উভয়  পন্থীর    কোনো প্রকার   আপত্তি    নেই।   নূরআলম সাহেব খচ্চর   পীর          সেজে   ফুরফুরা            পন্থীদেরকে গোমরাহ     করুন     অথবা জাহান্নামে        নিয়ে     যান  তা  দেখার প্রয়োজন   আমার      ছিলোনা।    কিন্ত যেহেতু আমি একজন ফুরফুরা পন্থী   ছিলাম, সেহেতু তাদের গোমরাহি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে    অবগত করে দেয়া  আমার ইসলামী দায়িত্ব বলে    মনে  করছি। কারণ ফুরফুরা পন্থী    হাজার হাজার  সাধারণ  মানুষ প্রকৃত       পক্ষে        সুন্নী  মুসলমান,    এরা   ওহাবী   দেওবন্দী  তাবলীগি     ও জামায়েতে   ইসলামী  আদৌ   সমর্থন  করেননা।       কিন্ত   একদল দালাল এদের ঈমানকে   সুকৌশলে সর্বনাশ  করে  ওহাবী   দেওবন্দী  তাবলীগী বানাচ্ছে।   সাধারণ  মানুষ গভীর  চিন্তা  করার  অবসর না পাওয়ায় এবং দালালদের ধোঁকায় পড়ে ওহাবী দেওবন্দীদের শিকার হচ্ছেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div>১৫। দালালদের ছদ্মবেশি চরিত্র নিম্নরূপ </div><div><br></div><div>এই  দালালদের মধ্যে  কেহ    বড়   হুজুরের খলিফা, কেহ মেজ  হুজুরের খলিফা, অনুরূপ  কেহ   নশান হুজুরের     খলিফা,    কেহ  ছোটো   হুজুরের খলিফা।  এবার এদের মধ্যে কেহ তাবলীগ   জামাতের  মারকাজ    খুলে দিয়েছেন, কেহ দেওবন্দী মাদ্রাসায় নিজের সন্তানদের পড়াচ্ছেন। কেহ দেওবন্দীদের   সাথে  মিলে মিশে একই  জালসাতে  নসীয়ত          করছেন এবং তাদের মাদ্রাসার উন্নতি কল্পে বাৎসরিক জালসায়  উপস্থিত হয়ে চাঁদা আদায় করছেন। কেহ পীর সেজে মুরীদ করছেন। সাধারণ মানুষ তাদের  দেখে      সহজে      উপলব্ধি      করছেন           যে  ওহাবী              দেওবন্দী তাবলীগদের সাথে মৌলিক বিষয়ে মূলত কোনো মতভেদ নেই। </div><div><br></div><div>এইপ্রকারে   তারা  দ্বীন-ইসলাম  হতে  সরে    বাতিল    ফিরকার      শিকার হয়ে যাচ্ছেন।  তবে আল্লাহ তায়ালা   যাদের বাঁচাচ্ছেন  তারা ভন্ডদের  সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক ত্যাগ করে  উলামায়ে আহলে সুন্নাতের   সাথে সম্পর্ক কায়েম  করছেন।   ওহাবী দেওবন্দী তাবলীগিদের     হাতে মুরীদ    হওয়া হারাম।  আসাদ    মাদানীর        নিকট       সরাসরি মুরীদ  হওয়া  অথবা তার খলীফার নিকট  মুরীদ  হারাম। যদি  কেহ    ভুল  করে   মুরীদ  হয়ে থাকে তাহলে        তাদের              সাথে   সর্বপ্রকার      সম্পর্ক  ছিন্ন  করে  তওবা      করা ওয়াজিব। </div></div>

১৪। গাইরুল্লাহর নামে জবাহ

১৪। গাইরুল্লাহর নামে জবাহ  মাসয়ালা  (১) - আল্লাহ তাআলার নাম উচ্চারণ না করে কেবল কোনো দেবতার   নাম   অথবা  কোন  নবী    ও   অলীর নাম উচ্চারণ  ...

Read more »

১২। যাদের জবাহ হালাল নয়

<div style="text-align: justify;">১২। যাদের জবাহ হালাল নয় </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা  (১)  - পাগল  অথবা  শিশু,    জবেহ  সম্পর্কে যার আদৌ জ্ঞান নেই,  কাফের মুশরিক    ও  মুরতাদের     জবেহ  হালাল    নয়।   (বাহারে  - শরিয়াত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(২) - নাবালেগ   বাচ্চা যদি       জবেহ সম্পর্কে    জ্ঞান  রাখে  তাহলে   তার জবেহ হালাল হবে (বাহারে শরীয়ত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৩) - আহলে  কিতাবদের জবেহ হালাল। যদি কোনো  আহলে কিতাব জবেহ  করার সময় হজরত  ঈসা আলাইহিস   সালাম এর  নাম উচ্চারণ করে   জবেহ      করে তাহলে পশু  হালাল      হবেনা।        (বাহারে  শরিয়াত) বর্তমানে পৃথিবীতে আহলে কিতাব নেই। সবাই মুশরিক হয়ে গিয়েছে, সেহেতু তাদের জবেহ খাওয়া হালাল নয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৪)     -  ওহাবী        দেওবন্দীদের      জবেহ    হালাল নয়।   কারণ   এরা  দ্বীন ইসলামের          বহু    জরুরী    বিষয়                  অস্বীকার        করে থাকে।       ওহাবি দেওবন্দীদের   কতিপয়    ইসলাম  বিরুদ্ধ  ধারণা  নিম্নে      প্রদত্ত  হলোঃ  - </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১)হুজুর কবরে স্বশরীরে জীবিত নেই। কবরে সাধারণ মানুষের যে অবস্থা তাঁরও সেই অবস্থা। </div><div style="text-align: justify;">২)হুজুরের     রওজা পাক  জিয়ারত  করতে  যাওয়া হারাম  ও     ব্যাভিচারের পর্যায়ের গোনাহ। </div><div style="text-align: justify;">৩)হুজুর শাফায়াৎ করতে পারবেন না। </div><div style="text-align: justify;">৪)আমাদের প্রতি হুজুর ﷺ কোনো অবদান নেই। </div><div style="text-align: justify;">৫)হুজুর ﷺ আমাদের মতই মানুষ। </div><div style="text-align: justify;">৬)হুজুর ﷺ র ওসিলা দিয়ে সাহায্য চাওয়া জায়েজ নয়। </div><div style="text-align: justify;">৭)আল্লাহর  নবী        অপেক্ষা   আমাদের     হাতের  লাঠি   বেশি  সাহায্যকারী। কারণ লাঠী দ্বারা আমরা কুকুর মেরে থাকি। </div><div style="text-align: justify;">৮)চারটি মাজহাবের       মধ্যে   যেকোনো      একটি    মাজহাব    অবলম্বন  করা শির্ক। </div><div style="text-align: justify;">৯)হুজুর ﷺ র প্রতি দরুদ - সালাম ও মীলাদ  শরীফ পাঠ করা বিদায়াত ও হারাম। </div><div style="text-align: justify;">১০)যারা            ওহাবীদের       অনুসরণ          করবেন    না তারা  মুসলমান               নয়। </div><div style="text-align: justify;">[[সংগৃহীতঃঃ- আশশিহাবুস সাকিব ২৪পৃস্টা হতে ৬৭পৃস্টা]]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১১)হুজুর ﷺ  আমাদের বড় ভাই এর  ন্যায়    অতএব  তাঁর সন্মান বড়ভাই এর ন্যায় করতে হবে [তাকবীয়াতুল ঈমান ৪৮পৃস্টা]</div><div style="text-align: justify;">১২)শয়তান অপেক্ষা হুজুরের ইলম বেশি ছিলো বললে মুশরিক হয়ে যাবে [বাহারানে কাতিয়া ৫৫পৃস্টা]</div><div style="text-align: justify;">১৩)হুজুর   ﷺ র  যতটুকু  ইলমে  গায়েব ছিলো ততটুকু ইলমেগায়েব শিশু, উন্মাদ ও সমস্ত জীব জন্তুর রয়েছে। [হিফজুল ইমান ৮পৃস্টা]</div><div style="text-align: justify;">১৪)হুজুর ﷺ দেওবন্দী মৌলবিদের নিকট হতে উর্দু ভাষা শিক্ষা করেছেন (বাহারানে কাতীয়া ৩০পৃস্টা) </div><div style="text-align: justify;">১৫)হুজুর   ﷺ র পর    যদি  কোনো নবী     আসে  তাহলে তাঁর শেষত্বে  ক্ষতি হবেনা (তাহজীরুন্নাস ১৪পৃস্টা) </div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও এরা আরো বহু কুফরি ধারণা পোষন করে থাকে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সাধারণমাংস    ব্যাবসায়ীদের    ওহাবী দেওবন্দী  ধারণা করা আদৌ উচিত নয়। এরা ওহাবী   দেওবন্দীদের   ধারণা সম্পর্কে আদৌ   জ্ঞাত নয়।  অতএব তাদের           নিকট  মাংস  ক্রয়         করা    জায়েজ।   যদি     কোনো  ব্যাবসায়ী নিজেকে        ওহাবী     দেওবন্দী       বলে  দাবী    করে       থাকে  এবং     ওহাবী দেওবন্দীদের ন্যায় কুফরি  আক্বীদা  পোষণ   করে থাকে অথবা কোনো ওহাবী        দেওবন্দীদের   মৌলবি  দ্বারা   জবেহ করে থাকে, তাহলে উক্ত মাংস অবশ্যয় হারাম হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">লা-মাজহাবীগায়ের মুকাল্লিদ সম্প্রদায়ের জবেহ করা পশুর মাংস হালাল নয়। কিন্ত যেসমস্ত    হানাফী   ওহাবী       দেওবন্দী   লামাজহাবীদের  চক্রান্তে    তাদের দলভূক্ত হয়ে      যাচ্ছে এদের    ব্যাপারটি    খানিকটা     সতন্ত্র।  কারণ এরা ওহাবী দেওবন্দীদের কুফরি আক্বীদা গুলো সমর্থন  করেনা। বরং  এরা ওহাবী দেওবন্দীদের  চক্রান্তে তাদের  কুফরী  আকীদা  সম্পর্কে অবগত হতে    পারেনা।  যদি  কোনো    নির্ভরশীল সুন্নী    আলেমের    নিকট     হতে ওহাবী  দেওবন্দীদের কুফরি ধারণা  গুলো অবগত হবার  পরও তাদের অনুসরণ করে চলে তাহলে তাদের মাংস হালাল হবে না। </div>

১২। যাদের জবাহ হালাল নয়

১২। যাদের জবাহ হালাল নয়  মাসয়ালা  (১)  - পাগল  অথবা  শিশু,    জবেহ  সম্পর্কে যার আদৌ জ্ঞান নেই,  কাফের মুশরিক    ও  মুরতাদের     জবেহ  হালাল...

Read more »

১৩। পরিশেষে পরামর্শ স্বরূপ বলছি

<div style="text-align: justify;">১৩। পরিশেষে পরামর্শ স্বরূপ বলছি </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বর্তমানে  মুসলিম সমাজ শরীয়ত হতে  বহুদূরে সরে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ   শরীয়তের কোনো    বিষয় যাচাই  করতে      আদৌ  আগ্রহী        নয়। বিশেষ করে পশ্চিমবাংলার      সুন্নী ও    ওহাবীদের     মধ্যে ব্যাপক    ভাবে কোনো  জিনিষে  পার্থক্য নেই বললেও চলে।  এসমস্ত    কারণে      অত্যন্ত সুকৌশলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১)             -            কেবল   "আল্লাহ্"          বলে     জবেহ        করলে       অথবা কেবল "আর-রহমান" অথবা  "আর-রাহীম"      বলে জবেহ    করলে পশু   হালাল হবে।।         অনুরূপ  "আল্লাহু     আকবর"  অথবা "আল্লাহু আজম"       অথবা "আল্লাহুররহমান"     অথবা     "আল্লাহুররহীম"  অথবা           "সুবহানআল্লাহ" অথবা "লা-ইলাহা ইল্লালাহ" পাঠ করে জবেহ করলে পশু হালাল হবে। (আলামগীরি) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(২) -   যদি   জবেহ    কারী        ইচ্ছাকৃত আল্লাহর      নাম উচ্চারণ  না করে, সঙ্গীরা আল্লাহর   নাম  উচ্চারণ  করলেও    পশু হারাম  হবে। যদি জবেহ করার    উদ্দেশ্যে    আল্লাহর  নাম   উচ্চারণ  না করে বরং    অন্য  উদ্দেশ্যে আল্লাহর   নাম  উচ্চারণ     করে জবেহ   করে  থাকে, তাহলে পশু    হালাল হবে  না। যথাঃ - হাঁছির পর আলহামদুলিল্লাহ্ পাঠ করে  জবেহ করলে পশু     হালাল        হবেনা।                    অবশ্য            যদি      জবেহ     করার      উদ্দেশ্যে আলহামদুলিল্লাহ্     পাঠ করে  থাকে   তাহলে পশু হালাল     হবে (বাহারে শরীয়ত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৩)  - জবেহ  করার    পর রক্ত বের হয়েছে কিন্ত  কোনো প্রকার  নড়েনি তাহলে  উক্ত   রক্ত    যদি জীবিত  পশুর ন্যায়   হয় তাহলে    হালাল হবে। (বাহারে - শরিয়াত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৪)  -   অসুস্থ  পশু     জবেহ করার    পর যদি কেবল  তার  মুখ খুলে    যায় তাহলে হারাম হবে। যদি মুখ বন্ধ করে নেয় তাহলে হালাল হবে। যদি চোখ খুলে  দেয়  তাহলে হারাম হবে। যদি চোখ  বন্ধ করে নেয় তাহলে হালাল  হবে।      যদি পা লম্বা   করে  দেয় তাহলে  হারাম   হবে।   যদি  পা জড়ো করে নেয়,    তাহলে হালাল    হবে। পশম   খাড়া   না   হলে     হারাম এবং  খাড়া হলে    হালাল হবে। মোট   কথা    যখন  পশুর    জীবিত হওয়া সন্দেহ  হবে   তখন কোনো  প্রকার    নিদর্শন     দেখে           হালাল ও হারাম পার্থক্য করতে হবে (আলমগীরী)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৫)  -  জবেহ  করার জন্য অস্ত্র ব্যবহার   করা জরুরী নয়।  বাঁশের চেটি অথবা ঐপ্রকার অন্য কোন ধারালো জিনিষ দ্বারা জবেহ করলে জায়েজ হবে। ধারালো পাথর দ্বারা ও জবেহ করা জায়েজ। ধারবিহীন অস্ত্রদ্বারা জবেহ করা মাকরূহ (দুররে মুখতার)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৬)    -    জংলি  জানোয়ার  যদি   পালিত  হয়   তাহলে   যথা নিয়মে তাকে জবেহ  করতে  হবে আর যদি   পালিত      পশু        জংলি  জানোয়ারের  মত আয়ত্বের  বাহিরে   চলে যায়          তাহলে যেকোনো প্রকারে  তার     দেহের যেকোনো    অংশ       ক্ষত     করে    দিলে  জবেহ   হয়ে  যাবে।  অনুরূপ যদি কোনো পশু কুঁয়াতে পড়ে যায় এবং   যথা নিয়মে  জবেহ করা সম্ভব না হয় তাহলে যেভাবে  সম্ভব  হবে  সেইভাবে জবেহ করলে জায়েজ  হবে (হেদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৭)  - মুসলিম মহিলার  জবেহ  হালাল।    অনুরূপ  বোবা যদি মুসলমান হয় তাহলে তার জবেহ হালাল হবে (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৮) - খাৎনা বিহীন ব্যক্তির জবেহ হালাল। (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৯)  - জিন মানুষের   আকৃতি  ধারণ করে জবেহ করলে  জায়েজ  হবে। অন্যথায় জায়েজ হবেনা। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১০) - অগ্নী পূজক অগ্নীকুন্ডের জন্য, অনুরূপ কাফির মুশরিক তাদের উপাস্যের     জন্য   যদি কোনো মুসলমানের      দ্বারা  জবেহ    করায়     এবং মুসলমান    যদি আল্লাহর নামে  জবেহ   করে থাকে  তাহলে  পশু  হালাল হবে।             কিন্ত     এইক্ষেত্রে মুসলমানের     জবেহ করে        দেয়া        মাকরূহ (আলমগীরি)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১১) - মুসলমানের জবেহ করার পর যদি কাফের মুশরেক উক্ত পশুর উপর অস্ত্রচালায়   তাহলে পশু  হারাম হবেনা।  কিন্ত কাফের  মুশরেকের জবেহ          পর      যদি    মুসলমান   অস্ত্রচালায় তাহলে       পশু      হারাম      হবে (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১২)  -   ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ্  পাঠ    না  করে  জবেহ করলে পশু   হারাম হবে। ভূলবশতঃ বিসমিল্লাহ্ পাঠকরা না হলে হালাল হবে (হেদায়া)। </div>

১৩। পরিশেষে পরামর্শ স্বরূপ বলছি

১৩। পরিশেষে পরামর্শ স্বরূপ বলছি  বর্তমানে  মুসলিম সমাজ শরীয়ত হতে  বহুদূরে সরে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ   শরীয়তের কোনো    বিষয় যাচাই  করতে      আ...

Read more »

১১। কুরবানীর জবাহ সম্পর্কিত কিছু মাসয়ালা

<div style="text-align: justify;">১১। কুরবানীর জবাহ সম্পর্কিত কিছু মাসয়ালা </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা    (১)   -   গলাতে কয়েকটি    শিরা  থাকে   ঐ শিরা   গুলো  কেটে দেয়াকে   জবেহ বলে। যে   পশুর উক্ত    শিরা  গুলো কেটে  দেয়া হয়েছে তাকে জাবীহা  বলা হয়। ইসলাম যে  পশুগুলোর  জবেহ করার   নির্দেশ দিয়েছে,   বিনা  জবেহতে  ঐ পশুগুলো  খাওয়া হারাম।  (দুররে মুখতার ও বাহারে শরীয়ত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(২) - মানুষের আয়ত্বে যেসমস্ত পশু থাকে সেগুলো হালাল করার নিয়ম দুই প্রকার।    যথা  - জবেহ ও  নহর।  গলার     শেষাংশে   বল্লম  বা খঞ্জর ইত্যাদি মেরে শিরাগুলো   কেটে  দেয়াকে নহর   বলা হয়।  উটকে   নহর করা এবং গরু, ছাগল ইত্যাদিকে জবেহ করা      সুন্নাত।  তার ব্যতিক্রম করা অর্থাৎ  উটকে   জবেহ   এবং ছাগল গরুকে     নহর করা মকরুহ    ও সুন্নাতের   বিপরীত।  অবশ্য এই    প্রকার ব্যতিক্রমে   পশু হারাম  হবেনা (আলমগিরী ও দুররে মুখতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৩)   - সিনার  উপর   হতে সমস্ত গলা  জবেহ করার স্থল। অবশ্য গলার মাঝ খানে জবেহ করা উত্তম (হিদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৪) - হুলকুম যা হতে শ্বাস প্রশ্বাস যাতায়াত করে থাকে। নলী, যা হতে খাদ্য   প্রবেশ   করে   থাকে। হুলকুম  ও    নলীর আশেপাশে  দুইটি    শিরা থাকে, যা  হতে রক্ত চলাচল   করে থাকে। জবেহ এমন প্রকারে  করতে হবে যাতে চারটি শিরা কেটে   যায়।  যদি   তিনটি  কেটে  যায়    তাহলেও হালাল হবে। অনুরূপ চারটি মধ্যে  প্রত্যেকটির অধিকাংশ কেটে  গেলে হালাল  হবে।  আর       যদি       প্রত্যেক   শিরার  অর্ধাংশ     কেটে যায়     এবং অর্ধাংশ  বাকী থেকে   যায়,  তাহলে পশু  হালাল হবে   না। (আলমগীরি) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৫) - আজকাল অধিকাংশ  দেখা যাচ্ছে যে, চামড়ার   মূল্য বেশি হবার কারণে   ব্যবসায়ীগণ  যথাস্থানে        জবেহ না     করে গলার উপরে  জবেহ করছে। এপ্রকার অবস্থায় যদি তিনটি শিরা কেটে না যায়, তাহলে  পশু হালাল হবে না। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৬)        -    বাজারী ব্যবসায়িদের জবেহ  করা পশুর   মাংস ভক্ষণের  জন্য অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী (বাহারে - শরিয়াত)। </div>

১১। কুরবানীর জবাহ সম্পর্কিত কিছু মাসয়ালা

১১। কুরবানীর জবাহ সম্পর্কিত কিছু মাসয়ালা  মাসয়ালা    (১)   -   গলাতে কয়েকটি    শিরা  থাকে   ঐ শিরা   গুলো  কেটে দেয়াকে   জবেহ বলে। যে   পশুর...

Read more »

কুরবানী সংক্রান্ত ফাতওয়া -৩

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEib-5WQ-SX3dNA-l-zkP7QPMjWYXsUFpPyoA9QwZ_6SaoFJNsNf_UDseArXzH-fmjHtzMkOKFGcONryuph6-QobAtOWMfrvcB2cOfqDxcrxrkWwZsd2FZCeIt0bV9emIDs_wmY-h3ALjBkI/s1600/1625392062335841-0.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEib-5WQ-SX3dNA-l-zkP7QPMjWYXsUFpPyoA9QwZ_6SaoFJNsNf_UDseArXzH-fmjHtzMkOKFGcONryuph6-QobAtOWMfrvcB2cOfqDxcrxrkWwZsd2FZCeIt0bV9emIDs_wmY-h3ALjBkI/s1600-rw/1625392062335841-0.png" width="400"> </a> </div>

কুরবানী সংক্রান্ত ফাতওয়া -৩

Read more »

১০। কুরবানী করার নিয়ম

<div style="text-align: justify;">১০। কুরবানী করার নিয়ম </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কুরবানী  করার   পূর্বে    পশুকে   পানাহার  করিয়ে দিবে।   অস্ত্রকে   ভালো করে ধার দিয়ে দিবে। পশুকে বাম কাত করে শোয়াবে যাতে তার  মুখ কিবলা   দিকে হয়ে থাকে।  নিজের ডান পা পশুর  সামনের ডান রানের উপর রেখে ধারালো অস্ত্র দ্বারা দ্রুত জবেহ করে দিবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জবেহকরার পূর্বে - </div><div style="text-align: justify;">"ইন্নিওয়াজজাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজী ফাতারস সামাওয়াতি   ওয়াল   আরদ্বা হানিফাউ ওয়ামা আনা মিলান মুশরিকীন"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ইন্নাসালাতী ওয়া     নুসুকী     ওয়া    মাহ  ইয়াইয়া ওয়ামামাতী     লিল্লাহী রব্বিল ‘আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়াবি জালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলেমীন          আল্লাহুম্মা      লাকা      ওয়ামিনকা        বিসমিল্লাহি                  আল্লাহু আকবর"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদিকুরবানী নিজের পক্ষ হতে দেয়া হয় তাহলে জবেহ করার পর বলবে - </div><div style="text-align: justify;">"আল্লাহুম্মাতাকাব্বাল      মিন্নী        কামা  তাকাব্বালতা         মিন      খলিলিকা             ইব্রাহীমা আলাইহিস           সালাম      ওয়া      হাবীবিকা মুহাম্মাদিন     সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জবেহএমনি   ভাবে      করতে হবে যাতে         চারটি  শিরা    কেটে  যায়,   কমপক্ষে তিনটি শিরা কাটা  জরুরী। খুব বেশি কেটে গরদানের  হাড়    পর্যন্ত  অস্ত্র পৌঁছিয়ে দেয়া  উচিৎ নয়,   তাতে বিনা কারণে পশুকে  বেশি কষ্ট  দেয়া হয়। জবেহ করার পর যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ঠান্ডা না হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত তার পায়ের শিরা কাটা চামড়া ছাড়ানো উচিৎ নয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদিকুরবানী অন্যের পক্ষ  হতে করা হয় তাহলে জবেহ করার পর বলবে - </div><div style="text-align: justify;">"আল্লাহুম্মাতাকাব্বাল  মিন  ফুলানিন কামা    তাকাব্বালতা মিন খলিলীকা  ইব্রাহীমা আলাইহিসালাম ওয়া হাবীবিকা মুহাম্মাদিন সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম"। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ফুলানিন"এর      স্থলে  যার  নামে কুরবানী   হবে         তার  নাম উচ্চারণ করতে হবে। অনুরূপ যদি একাধিক ব্যক্তির নামে কুরবানী করা হয় তাহলে ফুলানিন এর স্থলে সবার নাম উচ্চারণ করতে হবে। </div>

১০। কুরবানী করার নিয়ম

১০। কুরবানী করার নিয়ম  কুরবানী  করার   পূর্বে    পশুকে   পানাহার  করিয়ে দিবে।   অস্ত্রকে   ভালো করে ধার দিয়ে দিবে। পশুকে বাম কাত করে শোয়াবে ...

Read more »

৯। বিনা অনুমতিতে অপরের পশু কুরবানীর করার নিয়ম

<div style="text-align: justify;">৯। বিনা অনুমতিতে অপরের পশু কুরবানীর করার নিয়ম </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা (১) -    দুই  ব্যক্তি  ভুল  করে একে  অপরের    পশু যদি  জবেহ করে   থাকে তাহলে  উভয়ের  কুরবানী  হয়ে  যাবে।     পশুর মাংস খাবার পর  নিজেদের  ভূল বুঝতে  পারলে একে   অপরের    নিকট   ক্ষমা    চেয়ে নিবে। যদি  একে অপরকে ক্ষমা   করতে     রাজি    না   হয়     তাহলে একে অপরের    নিকট হতে       নিজ   নিজ   পশুর    মূল্য     গ্রহণ   করবে  এবং  তা সাদকা করে দিবে (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(২) -  ইচ্ছাকৃত বিনা অনুমতিতে অপরের কুরবানীর পশু নিজের  নামে জবেহ করলে    যদি  পশুর  মালিক জবেহ কারীর নিকট  হতে  জরীমানা গ্রহণ   করতে রাজি  হয় তাহলে   জবেহ কারীর  পক্ষ হতে কুরবানী হয়ে যাবে। অন্যথায়    জবেহ কারী নিজের  নামে জবেহ  করলেও মালিকের পক্ষ হতে কুরবানী হয়ে যাবে (রদ্দুল মুহতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৩) - যদি  কোনো  ব্যক্তি  অপরের   ছাগল   জোর পুর্বক   নিয়ে  কুরবানী করে থাকে       এবং       ছাগলের মালিক    তার    নিকট হতে  জরিমানা নেয় তাহলে     কুরবানী  জায়েজ হয়ে   যাবে।  কিন্ত কুরবানীকারী    গোনাহগার হয়ে  যাবে, এজন্য তওবা   করা জরুরী।  মালিক জরিমানা  গ্রহণ     করে জবেহ     করা       ছাগল    নিয়ে থাকলে  কুরবানী        জায়েজ  হবেনা   (রদ্দুল মুহতার)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৪)  -  পোষণী   ছাগলের   কুরবানী     জায়েজ হবেনা। কারণ সে পোষণী নিয়েছে সে প্রকৃত পক্ষে তার মালিক নয় (রদ্দুল মুহতার)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৫)     -  নিলামের   পশু  কুরবানী  জায়েজ   নয়  কারণ নিলামকারী    পশুর প্রকৃত মালিক নয়। (বাহারে - শরিয়াত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৬) - দুই ব্যক্তি একটি পশুর মালিক হলে উক্ত পশুর কুরবানী কোনো পক্ষের জন্য জায়েজ  নয়। দুই ব্যক্তি দুইটি পশুর সমান সমান মালিক হলে   দুইজন দুইটি  পশুর      কুরবানী        করে         দিলে উভয়ের     কুরবানী জায়েজ হবে। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৭) - যদি  কোনো ব্যক্তি  নির্দিষ্ট  না করে নিজের  পক্ষ হতে এবং নিজ নাবালক    পাঁচ    সন্তানের  পক্ষ   হতে ছয়টি  বকরী  কুরবানী     করে থাকে তাহলে    সবার  পক্ষ                 হতে      কুরবানী                           জায়েজ              হয়ে    যাবে (আলমগিরী)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৮)  - যদি   কোনো  ব্যক্তি   নিজের পক্ষ   হতে     এবং নাবালক  সন্তানের পক্ষ হতে একটি        গরু  কুরবানী করে  থাকে  তাহলে    সবার  পক্ষ হতে কুরবানী    জায়েজ    হয়ে       যাবে।      বালেগ     সন্তানের       বিনা  অনুমতিতে কুরবানী  জায়েজ  হবেনা।         অনুরূপ যেসমস্ত      বালেগ  সন্তানের      নামে কুরবানী করা হয়েছে যদি এদের মধ্যে দু’একজনের অনুমতি না থাকে তাহলে কারো কুরবানী জায়েজ হবেনা। (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৯) -   যদি কোনো ব্যক্তি          অবৈধ  ক্রয়ের  বকরী  নিয়ে   কুরবানী করে থাকে তাহলে   বিক্রেতা  ইচ্ছা করলে   বকরীর মূল্য গ্রহণ    করতে  পারে অথবা জবেহকৃত  বকরী   নিতে  পারে।  যদি        মূল্য     গ্রহণ  করে    থাকে তাহলে জবেহ  কারির দায়িত্ব কিছুই  থাকবেনা। যদি জবেহকৃত বকরী গ্রহণ   করে   থাকে  তাহলে  কুরবানী দাতার   জন্য    জবেহ    কৃত বকরীর মূল্য সাদকা করতে হবে। (আলমগিরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১০)   - দান সূত্রে পাওয়া ছাগল -  গরুর কুরবানী করা জায়েজ। দানে পাওয়া ছাগলের  কুরবানীর  পর যদি দাতা  জবেহ       করা  ছাগল ফিরত নিয়ে থাকে   তাহলে কুরবানী দাতার  কুরবানী জায়েজ হয়ে  যাবে  এবং তার দায়িত্বে কিছু সাদকা করা ওয়াজিব নয় (আলমগিরী)। </div>

৯। বিনা অনুমতিতে অপরের পশু কুরবানীর করার নিয়ম

৯। বিনা অনুমতিতে অপরের পশু কুরবানীর করার নিয়ম  মাসয়ালা (১) -    দুই  ব্যক্তি  ভুল  করে একে  অপরের    পশু যদি  জবেহ করে   থাকে তাহলে  উভয়ের  ...

Read more »

৮। কুরবানীর মাংস ইত্যাদির বিবরণ

<div style="text-align: justify;">৮। কুরবানীর মাংস ইত্যাদির বিবরণ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা  (১) -   কুরবানীর      মাংস    নিজে     খেতে  পারে অথবা   কোনো গরীব অথবা      কোন ধনীকে ও প্রদান  করতে পারে।     কুরবানী    দাতার জন্য কুরবানী  মাংস খাওয়া  মুস্তাহাব। কুরবানীর মাংস তিন অংশ করা মুস্তাহাব। একাংশ  গরীবের জন্য, একাংশ আত্মীয়-স্বজনের  জন্য এবং এক  অংশ নিজের জন্য রাখবে। একাংশের কম দান করা   উচিৎ  নয়। সমস্ত   মাংস সাদকা করে  দেয়া জায়েজ। অনুরূপ    সমস্ত  মাংস  নিজের জন্য রেখে দেয়াও জায়েজ। তিন দিনের অধীক কুরবানীর মাংস রেখে খাওয়া  জায়েজ। যদি কুরবানী  দাতা গরীব    হয়  এবং  সংসারে অনেক মানুষ      থাকে,  তাহলে  নিজের  বাড়ির    জন্য সমস্ত   মাংস    রেখে    দেয়া উত্তম। (আলমগীরি)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(২)     -     ভারতীয়     অমুসলিম  হারবী কাফের।  কুরবানীর     মাংস  হারবী কাফেরকে দেয়া জায়েজ নয়। (বাহারে - শরিয়াত ও কানুনে - শরিয়াত ও আনওয়ারুল - হাদীস)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">- বিশেষ বিজ্ঞপ্তি –</div><div style="text-align: justify;">=========</div><div style="text-align: justify;">কাফের তিন প্রকার। যথা - মুস্তামিন, জিম্মী, হারবী। </div><div style="text-align: justify;">যে কাফের    মুসলিম  বাদশাহর    নিকট  থেকে   আশ্রয়ের     অনুমতি     নিয়ে মুসলিম   দেশে এসেছে তাকে বলা হয় মুস্তামিন। যে কাফের  মুসলমান বাদশাকে  জিজিয়া দেবার শর্তে মুসলিম দেশে   বাস  করে  তাকে    বলা হয় জিম্মী। যে কাফের নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন তাকে বলা হয় হারবী। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রকাশ থাকে     যে,    হারবী কাফেরের  হুকুম     সম্পূর্ণ     সতন্ত্র।  এবার এখানকার কাফেররা   কোন    পর্যায় পড়ছে তা   লক্ষ্যনীয়। আরো  প্রকাশ থাকে  যে হুজুর   সাল্লালাহু  তায়ালা আলাইহি  ওসাল্লামের        যুগে  মক্কা ও     মদীনা শরীফে   হারবি কাফের   ছিলোনা। সুতরাং  হাদীস পাকে  যে কাফেরকে মাংস  দেয়ার কথা বলা   হয়েছে সে কাফের  ছিলো  জিম্মী।   তা বোঝার মতো বোধ ওহাবীদের মধ্যে নেই। তাই তারা এখানকার অমুসলিমকে কুরবানী মাংস দেয়া জায়েজ বলে থাকে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১) - যদি কুরবানী  মান্নতের হয়, তাহলে কুরবানী দাতা গরীব হলে ও নিজে   খেতে   পারবেনা     এবং   কোনো ধনীকেও     খাওয়াতে পারবেনা। বরং   সমস্ত   মাংস সাদকা করে  দেয়া  ওয়াজিব।   (যায়লাই,    ও বাহারে শরীয়ত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(২) -    মৃত  ব্যক্তির পক্ষ  হতে  কুরবানী  করলে তার মাংস  নিজে খেতে পারে।    ধনী   ও    গরীব   সবাইকে   খাওয়াতে    পারে। তিন  অংশ করতে পারে। প্রয়োজনে   সমস্ত মাংস নিজের  জন্য রাখতে পারে। অবশ্য মৃত ব্যক্তি   যদি তার পক্ষ   হতে  কুরবানী    করার   জন্য  অসীয়ত   করে যায়, তাহলে সমস্ত মাংস সাদকা করতে হবে। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৩)  -  কুরবানীর চামড়া এবং তার   দড়ি  ইত্যাদি  সমস্ত জিনিস সাদকা করতে হবে।  কুরবানীর চামড়া বিক্রয় না   করে নিজের  কাজে ব্যবহার করতে    পারে।   যথাঃ   নামাজের      মুসাল্লা,    মশক,  থলী      ইত্যাদি   করা জায়েজ (দুররে মুখতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৪)  -   কুরবানী চামড়া দ্বারা  নিজের  কোনো    প্রয়োজনীয় জিনিষ  তৈরি করলে তা ভাড়ায় দেয়া জায়েজ। যদি ভাড়ায় দিয়ে থাকে তাহলে সেই পয়সা সাদকা করতে হবে। (রদ্দুল মুহতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৫) -  কুরবানী  চামড়ার  পরিবর্তে    কোরআন শরীফ  ও       কিতাব   নেয়া জায়েজ। (দুররে মুখতার) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৬)    -  কুরবানীর চামড়া      অথবা    তার     পয়সা    এক   ব্যক্তিকে      অথবা একাধিক  ব্যক্তিকে        সাদকা      করা   জায়েজ। কুরবানীর  চামড়া  অথবা পয়সা   দ্বীনি   মাদ্রাসা  দেয়া  জায়েজ।    (বাহারে   - শরিয়াত  ও কানুনে - শরীয়ত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৭) - ওহাবী    দেওবন্দী    মাদ্রাসায়  জাকাত,     উশুর   ও       কুরবানী এবং ফিতরার    পয়সা        দান   করা      হারাম।    অনুরূপ তাবলীগ  জামায়াত  ও জামায়াতে   ইসলামী      তহবিলে দান   করা  ও    হারাম     (ফাতাওয়ায়ে     - উলামায়ে - আহলে - সুন্নাত)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৮)  - কুরবানীর  মাংস   ও চামড়ার পরিবর্তে    কোনো   খাদ্যদ্রব্য     গ্রহণ করা            জায়েজ   নয়। পরিবর্তন করলে      সাদকা   করতে  হবে।  (দুররে মুখতার ও হিদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৯)   –              কুরবানীর  পশুর  চর্বি,  পশম             ইত্যাদির  পরিবর্তে কোনো খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করলে সাদকা করতে হবে (আলমগিরী)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১০) - কুরবানীর মাংস, চামড়া অথবা তার অন্য  কোনো অংশ জবেহ করার পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া জায়েজ নয়। (হিদায়া) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১১)     -     কষাইকে অথবা  যারা               মাংস  তৈরি     করে   থাকে,    তাদের পারিশ্রমিক    হিসেবে মাংস   দেয়া  জায়েজ নয়।       পারিশ্রমিক       হিসেবে পয়সা দেয়া হবে। অবশ্য অন্য মুসলমানদের ন্যায় তাদের মাংস দেয়া জায়েজ। (বাহারে - শরিয়াত) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১২) - চিহ্ন স্বরূপ ভেড়ার   লোম  কেটে নিলে তা ফেলে  দেয়া জায়েজ নয়। বরং সাদকা করে দিতে হবে (আলমগীরী) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১৩)   - নিজের   কোনো   কাজের   জন্য জবেহ   করার     পূর্বে   কুরবানীর পশুর  পশম    কেটে   নেওয়া,     দুধ  দহন     করা,         পশুর পিঠের         উপর আরোহণ  করা, তার পিঠের      উপর   করে কোনো জিনিষ  বহন  করা ও পশুকে ভাড়ায় দেয়া ইত্যাদি  মাকরূহ  এবং নিষেধ (দুররে  মুখতার   ও রদ্দুল মুহতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১৪)    -  জবেহ করার   পর পশুর পশম  কেটে     নিজের  কাজে  ব্যবহার করা  জায়েজ।   অনুরূপ জবেহ    করার  পর দুধ  দহন করে     নিজে পান করতে পারে। (আলমগীরি) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১৫) - কুরবানী  করার পূর্বে  পশুর  বাচ্চা হয়ে গেলে বাচ্চাকেও জবেহ করে দিতে হবে।  যদি বাচ্চাকে বিক্রয় করে   থাকে তাহলে তার পয়সা সাদকা করে দিতে হবে। যদি জবেহ করা না হয় বা বিক্রয় করা না হয় এবং  কুরবানীর দিনগুলো অতিক্রম হয়ে যায় তাহলে    জীবিত  অবস্থায় সাদকা করে দিতে   হবে।  যদি  কিছুই  করা না হয় এবং   পরের বৎসর তাকে কুরবানী   করে থাকে তাহলে   কুরবানী জায়েজ হবে  না। পুনরায় কুরবানী করতে হবে। উক্ত জবেহ করা সমস্ত মাংস সাদকা করতে হবে (আলমগিরী)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(১৬) - কুরবানী  করার  পর  পেট   থেকে যদি       জীবিত  বাচ্চা   বের  হয় তাহলে  তাকে জবেহ করে  খাওয়া    জায়েজ।   যদি  মরা বাচ্চা বের   হয় তাহলে তা খাওয়া হারাম (হিদায়া ও বাহারে - শরিয়াত)। </div>

৮। কুরবানীর মাংস ইত্যাদির বিবরণ

৮। কুরবানীর মাংস ইত্যাদির বিবরণ  মাসয়ালা  (১) -   কুরবানীর      মাংস    নিজে     খেতে  পারে অথবা   কোনো গরীব অথবা      কোন ধনীকে ও প্রদান  ক...

Read more »

৬। কুরবানীর পশুতে অংশ গ্রহণ

<div style="text-align: justify;">৬। কুরবানীর পশুতে অংশ গ্রহণ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা (১)   -  সাত    ব্যক্তি  মিলিত   ভাবে কুরবানীর  জন্য  গরু     ক্রয় করার পর তাদের কেউ একজন     ইন্তেকাল করলে তার  ওয়ারিসগণের অনুমতিতে কুরবানী    করলে    সবার   পক্ষ    হতে কুরবানী জায়েজ     হয়ে যাবে। ওয়ারিসগণের বিনা অনুমতিতে   করলে কারো কুরবানী জায়েজ হবে না (হিদায়া)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(২) - অংশীদারদের মধ্যে কেহ কাফের থাকলে অথবা  কারো উদ্দেশ্য কুরবানী না    হয়ে     কেবল  মাংস খাওয়া  হলে কারো  কুরবানী      হবে  না (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৩)   -  অংশীদারদের মধ্যে একজনের নিয়ত  বর্তমান সালের কুরবানী করা এবং অন্যদের  উদ্দেশ্য      গতসালের       কুরবানী করা, এমতাবস্থায় যার উদ্দেশ্য  বর্তমান সালের কুরবানী  করা তার    কুরবানী   সহীহ হবে, এবং অন্যদের নিয়ত বাতিল হবার কারণে তাদের কুরবানী নফল হয়ে যাবে।        যেহেতু গত   বৎসরের  কুরবানী   বর্তমান      সালে   জায়েজ নয়, সেহেতু তাদের মাংস সাদকা করে দেয়া জরুরী। এমনকি যার কুরবানী সঠিক হয়েছে       তার   ও   মাংস সাদকা   করতে      হবে  (রদ্দুল  মুহতার)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাসয়ালা(৪)    -   তিনব্যক্তি  কুরবানীর পশু     ক্রয় করেছেন। প্রথমব্যক্তি তিনশত টাকায়,    দ্বিতীয়ব্যক্তি  দুইশত   টাকায়,   তৃতীয়ব্যক্তি  একশত          টাকায়, কোনো       প্রকারে তিনটি       পশু  মিলে   গিয়েছে।  কোনটি  কার তা  জানা সম্ভব  হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় তিনজন  তিনটি পশু কুরবানী করে  দিলে, যিনি  তিনশত টাকা  দিয়ে ক্রয় করে ছিলো, তার দুইশত টাকা   সাদকা করে  দিবে।  যিনি দুইশত টাকায়  ক্রয় করেছিলেন তিনি একশত টাকা সাদকা করে দিবেন। যিনি একশত টাকায় ক্রয় করে ছিলেন তার কিছু সাদকা  করতে হবেনা। যদি তিনব্যক্তি  একে   অপরকে কুরবানী করার অনুমতি    দিয়ে  থাকে,     তাহলে   সবার  কুরবানী    হয়ে যাবে  এবং   কিছু সাদকা করতে হবেনা (দুররে মুখতার)। </div>

৬। কুরবানীর পশুতে অংশ গ্রহণ

৬। কুরবানীর পশুতে অংশ গ্রহণ  মাসয়ালা (১)   -  সাত    ব্যক্তি  মিলিত   ভাবে কুরবানীর  জন্য  গরু     ক্রয় করার পর তাদের কেউ একজন     ইন্তেকাল ...

Read more »