আল কোরআন তেলাওয়াতে থামা বা ওয়াকফ করার নিয়মাবলী

<div style="text-align: justify;">আল কোরআন তেলাওয়াতে থামা বা ওয়াকফ করার নিয়মাবলী</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ওয়াকফ অর্থ কি তা কত প্রকার? (এর বিস্তারিত আলোচনা এই পোস্টে)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ওয়াকফ অর্থ কোনো শব্দের শেষের অক্ষর কে সাকিন করে থামা আর দুই যবরযুক্ত শেষ অক্ষর হলে এক যবর করে এক আলিফ লম্বা করে থামা যা অনেক প্রকার।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রসিদ্ধ কয়েকটি হচ্ছে এই-</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">১.ওয়াকফে লাযেম(م): তা ওই স্থানে হয় যেখানে থামা আবশ্যক। না থামলে অনেক সময় অর্থ বিনষ্ট হওয়ার আশংকা হয়।</div><div style="text-align: justify;">তার চিহ্ন হলো م এর উপর থেমে পর থেকে শুরু করবে এবং পূনরাবৃত্তি করবে না।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">২.ওয়াকফে মুত্বলাক(ط): এখানে থামা উচিৎ। তার চিহ্ন ط এর উপরও থেমে পর থেকে শুরু করবে এবং পূনরাবৃত্তি করবে না।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(৩) ওয়াকফে জায়িয(ج): এখানে থামা না থামা উভয়টি জায়িয। তার চিহ্ন ج এর উপর থেমে গেলে পর থেকে শুরু করবে।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(৪) ওয়াকফে মুজাওয়ায( ز): এখানে থামা তো জায়িয কিন্তু না থামা উত্তম। তার চিহ্ন ز এই চিহ্ন যদি আয়াতের মধ্যখানে হয়।</div><div style="text-align: justify;">তবে এর উপর থামলে পূনরাবৃত্তি করা জরুরি। আর তা আয়াতের উপরে হলে এর উপর থামলে পূনরাবৃত্তি করবে না</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(৫) ওয়াকফে মুরাখখাস(ص): তার চিহ্ন হলো ص আর এটা ওয়াকফে মুজাওয়াযের মতো।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: ز – ج – ط – م এবং ص ছাড়াও কোরআন মাজীদে আরো কয়েকটি চিহ্ন দেখা যায়। এগুলির মাঝে কি করতে হয়?</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(i) قِ – قف এ দুটির মাঝে থামা উচিৎ।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(ii) وقفة – سكته এগুলোতে শ্বাস না ছেড়ে একটু থেমে সামনের দিকে পড়া উচিৎ।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(iii) তিনটি তিনটি করে পাশাপাশি দুইটি চিহ্ন থাকে যেগুলিকে “মুআনাকা” বলা হয় এই দুটি থেকে কোনো একটির উপর থামা উচিৎ।</div><div style="text-align: justify;">প্রথমটিতে থামা যায়, দ্বিতীয়টিতেও থামা যায়, তবে একসাথে উভয়টিতে থামা যাবে না।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(iv) لا, যেখানে لا লিখিত আছে সেখানে থামবে না, থেমে গেলে পূনরাবৃত্তি করতে হবে। আয়াতের মাঝে (لا)লাম থাকলে থামা যাবে না,আর যেসব ক্ষেত্রে লাম শেষে গোল চিহ্নের উপর থাকে তখন থামতে পারা যায়।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">(v) এসব চিহ্ন ছাড়া অন্যান্য চিহ্নগুলো যেখানে লাগানো হয়েছে صل – صلي ইত্যাদি। সেগুলোতে ইচ্ছা করলে থামতে পারবে, নাও থামতে পারবে।</div><div style="text-align: justify;">আর যেখানে উপরে নিচে দুটি চিহ্ন লিখিত থাকবে, সেখানে যেটি উপরে লিখিত সেটির উপর আমল করবে।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: কোরআন মাজীদে সাকতা কতটি? এগুলোতে কি করতে হয়?</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: কোরআন মাজীদে সাকতা চারটি:</div><div style="text-align: justify;">(i) সূরা কাহফের শুরুতে -قيما সাকতা عوجاً</div><div style="text-align: justify;">(ii) সূরা ইয়াসিনে – هذا সাকতা من مر قدنا</div><div style="text-align: justify;">(iii) সূরা ক্বিয়ামায় -راق সাকতা مَنْ</div><div style="text-align: justify;">(iv) সূরা মুতাফফিফীনে-ران সাকতা كلا بَلْ</div><div style="text-align: justify;">এই চার স্থানে শ্বাস ছাড়বে না; বরং একটু থেমে সামনের দিকে পড়তে থাকবে।</div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhJLAcDKahdcU4CQcDHCYgXeDCHHC8KYca_Fh5XOIrRMyCENiBFiU6sbCLbefeedxM2abUFEBNMU-P8IW3kA8Hlv_YDDrhwp7MYcvYPTqyTU0jZCL4IN8aR69dV8RxEex8mSXHKUkNqBOw/s1600/FB_IMG_1623819593222.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="818" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhJLAcDKahdcU4CQcDHCYgXeDCHHC8KYca_Fh5XOIrRMyCENiBFiU6sbCLbefeedxM2abUFEBNMU-P8IW3kA8Hlv_YDDrhwp7MYcvYPTqyTU0jZCL4IN8aR69dV8RxEex8mSXHKUkNqBOw/s1600-rw/FB_IMG_1623819593222.jpg" width="281" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: ওয়াকফ কোথায় করতে হয়?</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: যে ব্যক্তি কোরআন শরীফের অর্থ জানে না সে যেন এমন সকল স্থানে ওয়াকফ করে যে সব স্থানে আলামত (চিহ্ন) লাগানো রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">এ চিহ্ন সমূহ থেকে যার যে হুকুম রয়েছে, সে অনুযায়ী আমল করবে। প্রয়োজন ছাড়া এবং অস্থানে (স্থান ছাড়া) ওয়াকফ করবে না।</div><div style="text-align: justify;">তবে আয়াতের মধ্যখানে শ্বাস শেষ হয়ে গেলে তা অপারগতা। অপারগতায় এমন হয়ে গেলে উচিৎ হলো,</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">যে শব্দে থেমেছে ওই শব্দ থেকে বা তার আগ থেকে পূনরাবৃত্তি করে পরের শব্দের সাথে মিলিয়ে পড়া উচিৎ।</div><div style="text-align: justify;">এমন অপারগতার সময় খেয়াল রাখবে সে কোনো শব্দের মধ্যখানে যেন ওয়াকফ না হয়। বরং শব্দের শেষে যেন থামা হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: হারাকাতযুক্ত হরফের উপর কিভাবে ওয়াক্বফ করা উচিত?</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: হারাকাতযুক্ত হরফে ওয়াকফ করার সময় তাকে সাকিন করতে হবে। কারণ হারাকাতের উপর ওয়াকফ করা ভুল।</div><div style="text-align: justify;">যেমন- اياك نَعْبُدُ এর মাঝে যদি ওয়াকফ করার প্রয়োজন হয় তবে د কে সাকিন করতে হবে। د এর পেশ উচ্চারণ করে ওয়াকফ করবে না।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: শ্বাস না ছেড়ে শব্দের শেষে শুধু সাকিন করলেই কি ওয়াকফ হয়ে যায় এবং এরকম করা কি?</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: শ্বাস না ছেড়ে শব্দের শেষে শুধু সাকিন করলেই ওয়াকফ হয় না।</div><div style="text-align: justify;">যেমন- اياك نستعينُ এর উপর ওয়াকফের সময় নুনকে সাকিন করে শ্বাস না ছেড়ে اهدنا الصراط المستقيم পড়া শুরু করে দিলে ওয়াকফ হয় না।</div><div style="text-align: justify;">এরকম করা ভুল। এথেকে বেচে থাকা উচিৎ।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন :আমার খাড়া যবর ওয়াকফ করার নিয়ম কি?</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর : আয়াতের শেষ শব্দটি খাড়া যবর দ্বারা শেষ হলে : ওয়াকফ করার ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হবেনা , মিলিয়ে থামতে হবে।</div><div style="text-align: justify;">তবে আয়াতের শেষ শব্দটি খাড়া যের, উল্টা পেশ হলে ;সেই শব্দে থামতে হলে : খাড়া যের ,উল্টা পেশ সুকুন হরফে পরিণত হবে এবং এর পূর্বের হরফের সাথে মিলিয়ে উচ্চারণ হবে।</div><div style="text-align: justify;">لَّذِيْ جَمَعَ مَا لًا #وَّعَدَّدَهٗ</div><div style="text-align: justify;">আল্লাযী জামা‘আ মা-লাওঁ‘ওয়া ‘আদ্দাদাহ।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: যে শব্দের উপর ওয়াকফ করা হবে তার শেষে যদি যবরের তানভীন হয়। বা গোল তা (ة) হয়, তবে কিভাবে ওয়াকফ করতে হয়?</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: যদি যবরের তানভীন হয় তবে ওয়াকফের অবস্থায় ওই তানভীনের জায়গায় আলিফে মাদ্দাহ পড়তে হয়।</div><div style="text-align: justify;">যেমন- افوجاً এর উপর ওয়াকফ করলে افوجاَ পড়তে হবে। আর فان كن نساءً এর উপর ওয়াকফ করলে نساءَا পড়তে হবে।</div><div style="text-align: justify;">যে শব্দের শেষে গোল তা হবে, ওয়াকফের সময় তাকে “হা” সাকিন পড়তে হবে। যেমন- اقيمو الصلوةَ কে ওয়াকফের সময় اقيمو الصلوةْ পড়তে হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: কোরআন মাজীদের কোনো কোনো শব্দের শেষে যে আলিফ লিখিত রয়েছে। এ সকল আলিফকে কি পড়তে হয়?</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: কোরআনের শব্দ সমূহের শেষে লিখিত আলিফকে অধিকাংশ শব্দে পড়তে হয়।</div><div style="text-align: justify;">কিন্তু কয়েকটি শব্দ এমন আছে যে, এগুলোর আলিফ মিলিয়ে পড়াবস্থায় পড়তে হয় না। শুধু ওয়াকফের অবস্থায় পড়তে হয়।</div><div style="text-align: justify;">যেমন- الظنونا এবং انا এর মাঝে। আর কোনো কোনো শব্দ এমনও রয়েছে যে, এগুলোর আলিফ কোনো অবস্থায়ও পড়া হয় না।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">যেমন- لَاْ الي الجحيم- لَاْ الي الله – لَاْ اذبحنه অধিকাংশ কোরআন মাজীদে এ জাতীয় আলিফের উপর গোল চিহ্ন দেয়া হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">তিলাওয়াতের সময় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী।</div><div style="text-align: justify;">(সূত্র: আসবাকে তাজবীদ- ২৬,২৭,২৮,২৯,৩০)</div>

আল কোরআন তেলাওয়াতে থামা বা ওয়াকফ করার নিয়মাবলী

আল কোরআন তেলাওয়াতে থামা বা ওয়াকফ করার নিয়মাবলী ওয়াকফ অর্থ কি তা কত প্রকার? (এর বিস্তারিত আলোচনা এই পোস্টে) ওয়াকফ অর্থ কোনো শব্দের শেষের অ...

Read more »