হারামাইন শরীফের মার্বেল পাথরের এক চমকপ্রদ ইতিহাস

<p style="text-align: center;"> <b>হারামাইন শরীফের মার্বেল পাথরের এক চমকপ্রদ ইতিহাস</b></p><p style="text-align: justify;">হজ্জ কিংবা উমরাহ করতে যারা মক্কায় হারাম শরীফে গিয়েছেন, তারা সবাই নিশ্চয়ই একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন- চামড়া পোড়ানো প্রখর রোদে খোলা আকাশের নিচে কাবার চারপাশে তাওয়াফ করার সময় পায়ের তলাটা পুড়ে যায় না, বরং বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়।</p><p style="text-align: justify;">কারণ, এর নেপথ্যে রয়েছে এক চমকপ্রদ ইতিহাস।</p><p style="text-align: justify;">ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইল (১৯০৮-২০০৮) একজন মিশরীয় প্রকৌশলী ও স্থপতি; লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। মিশরের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষার্থী- যিনি হাইস্কুল শেষে ‘রয়েল স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ ভর্তি হয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ইউরোপে পাঠানো ছাত্রদের ভেতরেও তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ, ইসলামি আর্কিটেকচার-এর ওপর তিনটি ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রথম মিশরীয় প্রকৌশলী।</p><p style="text-align: justify;">ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইল প্রথম প্রকৌশলী- যিনি হারামাইন (মক্কা-মদিনা) সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ তত্ত্বাবধান করার জন্য সৌদি বাদশাহ ফাহাদ এবং বিন লাদেন গ্রুপের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও তিনি কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করেননি; মোটা অংকের চেক উনি ফিরিয়ে দেন! তাঁর সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতা তাঁকে বাদশাহ ফাহাদ, বাদশাহ আব্দুল্লাহসহ সকলের প্রিয়পাত্র ও বিশেষ আস্থাভাজন করে তোলে।</p><p style="text-align: justify;">তিনি বাকার বিন লাদেনকে বলেছিলেন, এই দু’টি পবিত্র মসজিদের কাজের জন্য পারিশ্রমিক নিলে শেষ বিচারের দিনে আমি কোন মুখে আল্লাহর সামনে গিয়ে দাঁড়াবো?</p><p style="text-align: justify;">ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪৪ বছর বয়সে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী সন্তান জন্ম দিয়ে মারা যান। এরপর তিনি আর বিয়ে করেননি। মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর পুরোটা জীবন আল্লাহর ঘর রক্ষণাবেক্ষণে উৎসর্গ করেন। অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি-যশ, মিডিয়ার লাইম লাইট থেকে দূরে সরে থেকে তিনি তাঁর ১০০ বছরের জীবনের পুরোটা সময় মক্কা ও মদীনার দুই মসজিদের সেবায় বিনিয়োগ করে গেছেন।</p><p style="text-align: justify;">মক্কা-মদিনার হারাম শরীফের মার্বেলের কাজের সঙ্গে উনার জীবনের একটি বিস্ময়কর ঘটনা রয়েছে। উনি চেয়েছিলেন- মাসজিদুল হারামের মেঝে তাওয়াফকারীদের জন্য এমন মার্বেল দিয়ে আচ্ছাদিত করে দিতে- যার বিশেষ তাপ শোষণ ক্ষমতা রয়েছে। এই বিশেষ ধরনের মার্বেল সহজলভ্য ছিল না। এই ধরনের মার্বেল ছিল পুরো পৃথিবীতে কেবলমাত্র গ্রিসের ছোট্ট একটি পাহাড়ে।</p><p style="text-align: justify;">ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইল গ্রিসে গিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে মার্বেল কেনার চুক্তিস্বাক্ষর করে মক্কায় ফিরে এলেন এবং সাদা মার্বেলের মজুদও চলে এলো। যথাসময়ে বিশেষ নকশায় মাসজিদুল হারামের মেঝের সাদা মার্বেলের কাজ সম্পন্ন হলো।</p><p style="text-align: justify;">এর ঠিক ১৫ বছর পরে সৌদি সরকার তাঁকে মাসজিদুন নব্বীর চারদিকের চত্বরও একইভাবে সাদা মার্বেল দিয়ে ঢেকে দিতে বললেন। কিন্তু ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইল দিশেহারা বোধ করলেন! কেননা ওই বিশেষ ধরনের মার্বেল কেবলমাত্র গ্রিসের ওই ছোট্ট জায়গা বাদে গোটা পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না এবং সেখানে যতটুকু ছিল, তার অর্ধেক ইতোমধ্যেই কিনে মক্কার হারাম শরীফে কাজে লাগানো হয়ে গেছে। যেটুকু মার্বেল অবশিষ্ট ছিল- সেটা মাসজিদুন নব্বীর প্রশস্ত চত্বরের তুলনায় সামান্য!</p><p style="text-align: justify;">ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইল আবার গ্রিসে গেলেন। সেই কোম্পানির সি.ই.ও-র সঙ্গে দেখা করে জানতে চাইলেন, ওই পাহাড় আর কতটুকু অবশিষ্ট আছে? সি.ই.ও জানালেন, ১৫ বছর আগে উনি কেনার পরপরই পাহাড়ের বাকি অংশটুকুও বিক্রি হয়ে যায়! এই কথা শুনে তিনি এতটাই বিমর্ষ হলেন যে, তাঁর কফি পর্যন্ত শেষ করতে পারলেন না! সিদ্ধান্ত নিলেন- পরের ফ্লাইটেই মক্কায় ফিরে যাবেন। অফিস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগে কী মনে করে যেন অফিস সেক্রেটারির কাছে গিয়ে সেই ক্রেতার নাম-ঠিকানা জানতে চাইলেন- যিনি বাকি মার্বেল কিনেছিলেন।</p><p style="text-align: justify;">যদিও এটা অনেক দুরূহ কাজ, তবু কামালের পুনঃপুন অনুরোধে সে পুরোনো রেকর্ড চেক করে জানাবে বলে কথা দিলো। নিজের নাম এবং ফোন নম্বর রেখে বেরিয়ে আসার সময় কামাল মনে মনে ভাবলেন- কে কিনেছে, ১৫ বছর পরে তা জেনেই-বা আর লাভ কী?</p><p style="text-align: justify;">পরদিন এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে অফিস সেক্রেটারি ফোনে জানাল, সেই ক্রেতার নাম-ঠিকানা খুঁজে পাওয়া গেছে! কামাল ধীর গতিতে অফিসের দিকে যেতে যেতে ভাবলেন- ঠিকানা পেয়েই-বা লাভ কী? মাঝে তো অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেছে…।</p><p style="text-align: justify;">অফিস পৌঁছলে সেক্রেটারি তাঁকে ওই ক্রেতার নাম-ঠিকানা দিলেন। ঠিকানা হাতে নিয়ে ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইলের হৃদ্স্পন্দন বেড়ে গেল, যখন তিনি দেখলেন- বাকি মার্বেলের ক্রেতা একটি সৌদি কোম্পানি!</p><p style="text-align: justify;">কামাল সেদিনই সৌদি আরব ফিরে গেলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি কোম্পানির ডিরেক্টর এডমিন-এর সঙ্গে দেখা করে জানতে চাইলেন- মার্বেলগুলো দিয়ে তাঁরা কী করেছেন, যা অনেক বছর আগে গ্রিস থেকে কিনেছিলেন?</p><p style="text-align: justify;">ডিরেক্টর এডমিন প্রথমে কিছুই মনে করতে পারলেন না। কোম্পানির স্টক রুমে যোগাযোগ করে জানতে চাইলেন- ১৫ বছর আগে গ্রিস থেকে আনা সাদা মার্বেলগুলো দিয়ে কী করা হয়েছিল? তারা খোঁজ করে জানাল- সেই সাদা মার্বেল পুরোটাই স্টকে পড়ে আছে, কোথাও ব্যবহার করা হয়নি!</p><p style="text-align: justify;">এই কথা শুনে কামাল শিশুর মতো ফোঁপাতে শুরু করলেন। কান্নার কারণ জানতে চাইলে তিনি পুরো ঘটনা কোম্পানির মালিককে খুলে বললেন। ড. কামাল ওই কোম্পানিকে সৌদি সরকারের পক্ষে একটি ব্লাংক চেক দিয়ে ইচ্ছেমতো অংক বসিয়ে নিতে বললেন। কিন্তু কোম্পানির মালিক যখন জানতে পারলেন- এই সাদা মার্বেলে রাসূল ﷺ-এর মসজিদ চত্বর বাঁধানোর জন্য ব্যবহৃত হবে, তৎক্ষণাৎ তিনি এর বিনিময় মূল্য নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বললেন, আল্লাহ্ সুবহানুতায়ালা আমাকে দিয়ে এটা কিনিয়েছিলেন আবার তিনিই আমাকে এর কথা ভুলিয়ে দিয়েছেন; কেননা এই মার্বেল রাসূল ﷺ-এর মসজিদের উদ্দেশ্যেই এসেছে…!</p><p style="text-align: justify;"><br /></p>

হারামাইন শরীফের মার্বেল পাথরের এক চমকপ্রদ ইতিহাস

  হারামাইন শরীফের মার্বেল পাথরের এক চমকপ্রদ ইতিহাস হজ্জ কিংবা উমরাহ করতে যারা মক্কায় হারাম শরীফে গিয়েছেন, তারা সবাই নিশ্চয়ই একটা ব্যাপার লক...

Read more »

বুরাক মিরাজে গিয়েছিলো— তার প্রমাণ

<div style="text-align: justify;"> নাস্তিকদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে আমাদেরই একভাই স্বতন্ত্রভাবে বোরাক মিরাজে যাবার হাদীসগুলো অস্বীকার করেছেন।আমি জানিনা কেনো তারা এমন করেন,আল্লাহ উনাদের হেদায়েত দান করুন।</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgwyThf71v9jheVXHNkZbY1KBrhLEm6R8PPVP800Lf-6BfFErvN9fODzPuYl4-ME6vVWB1Wqw_inmteNkKeTYkOqJSI5kQYtOnxSTFiXqyFZfKlxfmt_yzYgh9mJro-iuKzYCH40o11cl9b/s1921/Screenshot_2021-06-14-14-42-38-94.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1921" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgwyThf71v9jheVXHNkZbY1KBrhLEm6R8PPVP800Lf-6BfFErvN9fODzPuYl4-ME6vVWB1Wqw_inmteNkKeTYkOqJSI5kQYtOnxSTFiXqyFZfKlxfmt_yzYgh9mJro-iuKzYCH40o11cl9b/s320-rw/Screenshot_2021-06-14-14-42-38-94.jpg" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhA5HQriauDYTKGV5U46AIisRaxUZE_KKoKFaSTZZ4wRbSLgswn2nL-L97pewy7vrDnLvp87NrjDBX4iZwZRHFphS1auw5toK5AjzD3-NRJTzbs5_rkTTXK23-DLzZroI_h7vmrzmsHy-hq/s1630/IMG_20210614_144405.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1630" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhA5HQriauDYTKGV5U46AIisRaxUZE_KKoKFaSTZZ4wRbSLgswn2nL-L97pewy7vrDnLvp87NrjDBX4iZwZRHFphS1auw5toK5AjzD3-NRJTzbs5_rkTTXK23-DLzZroI_h7vmrzmsHy-hq/s320-rw/IMG_20210614_144405.jpg" /></a></div><br /><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"> সর্বপ্রথম সীরাতে ইবন হিশামের হাদীস দ্বারা দলিল দিয়েছেন,এব্যাপারে একটু বলতে চাই।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤➤আবু সাইদ খুদরী রাঃ এর হাদীস—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: right;"><blockquote style="text-align: justify;">قال ابن إسحاق: وحدثني <span style="color: red;">من<b> لا أتهم عن</b></span> أبي سعيد الخدري رضي الله عنه أنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: لما فرغت مما كان في بيت المقدس، أتى المعراج، ولم أر شيئا قط أحسن منه. وهو الذي يمد إليه ميتكم عينيه إذا حضر، فأصعدني صاحبي فيه، حتى انتهى بي إلى باب من أبواب السماء، يقال له: باب الحفظة........</blockquote></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ(ﷺ)কে বলতে শুনেছি যে, বাইতুল মুকাদ্দাসের কাজ শেষ হবার পর আমার সামনে <b>একটি সিঁড়ি (মি’রাজ)</b> উপস্থিত করা হল। আমি এমন সুন্দর জিনিস আর কখনো দেখিনি। এটাই সে বস্তু যার দিকে তোমাদের মত ব্যক্তিরা মৃত্যুকালে বিস্ফোরিত নেত্রে তাঁকিয়ে থাকে। আমার সঙ্গী [জিব্রাঈল(আ)] আমাকে তার উপর সওয়ার করালেন। <b>সেটি আমাকে নিয়ে আকাশের একটি দরজায় উপনিত হল যার নাম বাবুল হাফাযা অর্থাৎ প্রহরীদের ফটক। </b>.......</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম ইবনে কাসীর রহ: উনার 'সীরাতে নববীয়্যাহ' কিতাবের ২য় খন্ডের ৯৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন—</div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjQjdn_MmAeIdAOmP-eoNnNVYOP1FAcv1RgQ_KpxpRUfS-t6A0bIL8N5wpbOx7uUbfaZY2ANLvyEgn966mX7Gy0TBHNrH5EZc5zfBj68wjEZ0GXcHfCrQV5USp53ZZOUMFEUi4aF960wyKk/s1600/IMG_20210613_122813.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1598" data-original-width="1080" height="956" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjQjdn_MmAeIdAOmP-eoNnNVYOP1FAcv1RgQ_KpxpRUfS-t6A0bIL8N5wpbOx7uUbfaZY2ANLvyEgn966mX7Gy0TBHNrH5EZc5zfBj68wjEZ0GXcHfCrQV5USp53ZZOUMFEUi4aF960wyKk/s1600-rw/IMG_20210613_122813.jpg" title="" width="646" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"></blockquote><blockquote><blockquote style="text-align: right;"> فإنه من غرائب الاحاديث وفى <b>إسناده ضعف</b></blockquote><div style="text-align: justify;"></div></blockquote><div style="text-align: right;"><br /></div><div style="text-align: justify;">— <b><span style="color: red;">নিশ্চয়ই হাদীসটি গারীব হাদীসগুলোর মধ্যে অন্যতম।এবং এর সনদ দ্বইফ/দূর্বল।</span></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤ড. মাজদী মুহাম্মাদ আস সুরুর এর <span style="color: red;"><b>'নাফাহাতুল মিম্বারিল মাক্কী' কিতাবের ১ম খন্ডের ৩০৯ পৃষ্ঠায়</b></span> হাদীসটি উল্লেখ আছে,যা দারুল কুতুব ইলমিয়াহ হতে প্রকাশিত,</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8cEtzdjF-Vi9asYA0BfKRFrTnSsM-Di9A3E0cUdOfnIdoDXEA5ruVI4vaiS9UWAw5vVgxKrJWAdInilKz17aKtC1nKnw-7jamho-nESs8skNUYVtrYWYA7eo5Pr4OGHFu5Vf_YYclC4zJ/s1600/IMG_20210613_123555.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1441" data-original-width="996" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8cEtzdjF-Vi9asYA0BfKRFrTnSsM-Di9A3E0cUdOfnIdoDXEA5ruVI4vaiS9UWAw5vVgxKrJWAdInilKz17aKtC1nKnw-7jamho-nESs8skNUYVtrYWYA7eo5Pr4OGHFu5Vf_YYclC4zJ/s1600-rw/IMG_20210613_123555.jpg" width="221" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhtDl6umszz4pkr-ox9jSPXLUS2BluN9yMvtOScirVvPDhrBLPELW12k9S4Q4nq5gJRzqycajOXmnIrgcnW5VpvhuhuQ9J7f6Z2TGx4DoFCxI82qPdbhcqBli09mxiFPqPtCxH_x1SY7zlX/s1600/IMG_20210613_123634.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1473" data-original-width="1079" height="903" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhtDl6umszz4pkr-ox9jSPXLUS2BluN9yMvtOScirVvPDhrBLPELW12k9S4Q4nq5gJRzqycajOXmnIrgcnW5VpvhuhuQ9J7f6Z2TGx4DoFCxI82qPdbhcqBli09mxiFPqPtCxH_x1SY7zlX/s1600-rw/IMG_20210613_123634.jpg" title="" width="662" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এর মুহাক্কিকদ্বয় তাহক্বিক করে বলেছেন এ হাদীসের উপর,<b>ইবনে ইসহাকের বর্ণিত সূত্রটি দ্বইফ বা দূর্বল।</b></div><div style="text-align: justify;"><b><br /></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-size: large;"><b>➤➤কেনো দূর্বল তার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা যাক:</b></span></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><i>মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক এর সমালোচনাঃ—</i></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী বলেন—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;">إمام المغازي صدوق<b> <span style="color: red;">يدلس ورمي بالتشيع والقد</span></b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">— যুদ্ধাভিযান বিষয়ক বর্ণনায় তিনি (ইবনে ইসহাক) ছিলেন বর্ণনাকারীদের ইমাম বা শীর্ষস্থানীয় বর্ণনাকারী।<b>সত্যবাদী ছিলেন তবে '<span style="color: red;">তাদলীস' (হাদীসের দোষত্রুটি গোপন রাখা) করতেন।তার উপর শিয়া এবং ক্বদ</span>রীয়া হবার অভিযোগ আছে।</b></div><div style="text-align: justify;">[মুখতাসারুল রউদ্বুল উনুফ,৩৮১ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">✔<b>ইমাম ওয়ালীউদ্দিন ইরাকী 'আল মুদাল্লিসীন</b>' কিতাবে মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক এর জীবনীতে উল্লেখ করেন—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>محمد بن إسحاق بن يسار ممن<i><span style="color: red;"> أكثر من التدليس خصوصاً عن الضعفاء</span></i></b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">— মুহাম্মাদ বিন ইসহাক <span style="color: red;"><b>দূর্বল রাবীদের হতে বর্ণনাকালে অধিক 'তাদলীস'</b> করতেন। </span></div><div style="text-align: justify;"><span style="color: red;"><br /></span></div><div style="text-align: justify;">'তাহযীবুত তাহযিবে'র ৯ম খন্ডের ৪৩ পৃষ্ঠায় ইমাম আসকালানী উল্লেখ করেন—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>وقال أبو داود وسمعت أحمد ذكر محمد بن إسحاق فقال كان رجلا يشتهي الحديث فيأخذ كتب الناس فيضعها في كتبه</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—ইমাম আবু দাউদ বলেন,<b>আমি ইমাম আহমদ</b> কে ইবনে ইসহাক সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছি,সে <span style="color: red;">নিজের থেকে শব্দ দিয়ে হাদীস বলতো,মানুষের কাছ থেকে কিতাব এনে নিজের কিতাবাদির সাথে মিলিয়ে দিতো </span>(অর্থাৎ নিজের কাছেই রেখে দিতো,ফেরৎ দিতো না)।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">✪ইমাম মালেক বিন আনাস রাঃ বলেছেন—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: right;"><div style="text-align: justify;"><b>هو </b><span style="color: red;"><b>دجال من الدجاجلة</b></span><b> نحن أخرجناه من المدينة</b></div><b><div style="text-align: justify;"><b> </b></div></b></blockquote><div style="text-align: justify;">— সে <b>দাজ্জালদের মধ্যে একজন দাজ্জাল</b> (মানে হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে নিম্নমানের)।আমরা তাকে মদীনা হতে বের করে দিয়েছি (তার থেকে হাদীস নিই না)। </div><div style="text-align: justify;">[আল ওয়াফি বিল ওয়াফিয়াহ,২/১৩৩,আল্লামা সাদাফী]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">✔ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>حسن الحديث، <i><span style="color: red;">وليس بحجة</span></i></b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—তিনি হাদীস বর্ণনায় হাসান পর্যায়ের রাবী,কিন্তু <b><span style="color: red;">তার হাদীস 'হুজ্জাত' বা দলিল নয়।</span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><br /></b></div><div style="text-align: justify;">[আহাসিনুল আখবার ফি মাহাসিনিস সাবআতি ওয়াল আখইয়ার,১৩২পৃষ্ঠা,আল্লামা আব্দুল ওয়াহহাব আল মিয্যি হানাফি(৭৬৮হি)]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>✔ইমাম হায়সামী 'মাজমাউয যাওয়ায়েদ' এর ১/৭৮পৃষ্ঠার প্রথম হাদীসে ইবনে ইসহাক কে <span style="color: red;">মুদাল্লিস</span> বলেছেন।</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">মোটকথা,<b>ঐ হাদীসে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক থাকা এবং উনার পূর্বের রাবীর নাম উল্লেখ না থাকাটা এই হাদীসের সনদের দূর্বলতা প্রকাশক এবং তা হুজ্জাত বা দলিল হবার যোগ্য নয়।</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আহলে সুন্নত ওয়াল জামআতের একদল আলেম অবশ্যই সিঁড়িতে করে বা উর্ধ্বগামী সোপানে করে যাবার মতামত তুলে ধরেছেন।দূর্বল এবং দ্বইফ হাদীসও ফাদ্বায়েলে আমল এর জন্য গ্রহণযোগ্য।<span style="color: red;">কিন্তু সেই <b><i>দ্বইফের উপর ভিত্তি করে তার চেয়ে উচু মানের হাদীসের বিরোধীতা করা বা 'স্পেসিফিক শব্দ' অনুল্লেখ থাকার কারণে সেখান থেকে 'নাফি' বা না বোধকতার দলিল গ্রহণ করা কোনো উসুলে হতে পারেনা।</i></b></span></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><span style="font-size: large;"><b>ঐ হাদীসের আরো ব্যাখ্যা:—</b></span></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤ইমাম বায়হাক্বীর '<b>দালায়েলুন নবুয়্যত</b>' এর ২য় খন্ডের ৩৯০ পৃষ্ঠা হতে হাদীসটি শুরু হয়, যার সনদে <b>'<span style="color: red;">আবু হারুন আবাদী'</span></b><span style="color: red;"> তথা '<b>উমারাহ বিন জুওয়াইন</b>' </span>নামক একজন রাবী আছেন।এর সম্পর্কে—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;">✔ ইমাম বুখারী বলেন,<b><span style="color: red;">ইমাম ইয়াহইয়া আল কাত্তান তাকে পরিত্যাগ করেছেন।হাদীসের ক্ষেত্রে সে আমার মতে সত্যবাদী নয়।</span></b></blockquote><blockquote style="text-align: justify;">✔ইমাম আবি যুরআ এবং ইমাম ইবনে আবী হাতেম তাকে <b><span style="color: red;">যইফ</span></b> বলেছেন।</blockquote><blockquote style="text-align: justify;">✔ইমাম আহমদ বলেছেন,<b><span style="color: red;">সে কোনো কিছুই নয়</span></b></blockquote><blockquote style="text-align: justify;">✔ইমাম নাসায়ী এবং ইমাম হাকেম নিশাপুরী তাকে <b><span style="color: red;">মাতরূকুল হাদীস</span></b> বা তার হাদীস পরিত্যাক্ত বলেছেন।ইমাম নাসায়ী বলেছেন,<b>শেষের দিকে মওদ্বু/জাল হাদীস বানাতো।এবং সে ছিকাহ নয়।(তাহযিব)</b></blockquote><blockquote style="text-align: justify;">✔ইমাম জাওযজানী তাকে <span style="color: red;"><b>কায্যাব বা মিথ্যাবাদী </b>বলেছেন।</span></blockquote><blockquote style="text-align: justify;">✔ইমাম ইবনে শাহীন বলেন,ইমাম উসমান বিন আবি শায়বা বলেছেন <b><span style="color: red;">সে কায্যাব বা মিথ্যাবাদী।</span></b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এ তথ্যগুলো <b><span style="color: red;">ইমাম উকায়লীর 'আদ-দ্বুয়াফাইল কাবীর' ৩/৩১৩(দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ),ইমাম ইবনে হিব্বান এর 'আল-মাজরুহীন' এর ২/১৭৭পৃষ্ঠায়, 'তাহযীবুত তাহযিব' ৭/৪১২ পৃষ্ঠায় </span></b>পাওয়া যাবে বলে মুহাক্কিক উল্লেখ করেছেন।</div><div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgthDCZCga_ftQcX3NkbTVcduTfyjIBW04-gjQi0gyr2UI0Dp36Ahxp25PnXdjmymXDCVTw-d7B9_tcDXgG4oQfirp1gxsDaDbNOwgUKzJXd83V4lJ0MYmORc4VWxTBQ-O3h_wqLNKE3dNS/s1600/IMG_20210613_192835.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1596" data-original-width="1080" height="1003" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgthDCZCga_ftQcX3NkbTVcduTfyjIBW04-gjQi0gyr2UI0Dp36Ahxp25PnXdjmymXDCVTw-d7B9_tcDXgG4oQfirp1gxsDaDbNOwgUKzJXd83V4lJ0MYmORc4VWxTBQ-O3h_wqLNKE3dNS/s1600-rw/IMG_20210613_192835.jpg" title="" width="679" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ইবনে হাজার '<span style="color: red;">তাক্বরীবুত তাহযিব' এর মধ্যে তাকে <b>মাতরূক ও কায্যাব </b>বলেন,ইমাম যাহাবী <b>'আল কাশেফ' এর মধ্যে কায্যাব</b> বলে ঘোষণা করেছেন। </span></div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizSHumZImyaMyCizbOUZesLsmZn6mr6Km6YNqNA48q1F_Kj0-eEA-rgCBprtxlG1RDr4VPpvwCzyd45UdwHIftk1HHgRuQbZa-rQ5Vy9YkpEed578qmxTRjeQqN7kfPUlqIOpYohWj5qgG/s1600/IMG_20210613_194217.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="2106" data-original-width="816" height="1293" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizSHumZImyaMyCizbOUZesLsmZn6mr6Km6YNqNA48q1F_Kj0-eEA-rgCBprtxlG1RDr4VPpvwCzyd45UdwHIftk1HHgRuQbZa-rQ5Vy9YkpEed578qmxTRjeQqN7kfPUlqIOpYohWj5qgG/s1600-rw/IMG_20210613_194217.jpg" title="" width="501" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤তফসিরে তাবারীতে <b>১৫/১০পৃ. এবং তফসিরে ইবনে কাসীরে আরো দুইটি সনদের কথা উল্লেখ আছে,যেখানে আবু সাইদ খুদরী রাঃ হতে কেবল ঐ রাবীই বর্ণনা করেছেন</b>।</div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0K_6vum50gr7UML8AhcKtBjkc9UjfgWX077jbVA3-bOr_HIroRMkF1eKYz0YDg9MoksDvQp001zHQmCg3ydqmS2837ZU3aI2CVtD5mtNyuxf_oMAbC3M8SklJWsyUdmXj5PhIJ70gQavg/s1600/IMG_20210613_195623.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1478" data-original-width="1022" height="961" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0K_6vum50gr7UML8AhcKtBjkc9UjfgWX077jbVA3-bOr_HIroRMkF1eKYz0YDg9MoksDvQp001zHQmCg3ydqmS2837ZU3aI2CVtD5mtNyuxf_oMAbC3M8SklJWsyUdmXj5PhIJ70gQavg/s1600-rw/IMG_20210613_195623.jpg" title="" width="665" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">সীরাতে ইবনে হিশামে নাম অনুল্লেখ থাকা রাবীটির সন্ধান হয়তো আমরা পেয়ে গেছি।ইমাম ইবনে কাসীর নিজে উল্লেখ করেন সনদটি—</div><div style="text-align: justify;">من حديث محمد بن إسحاق : حدثني روح بن القاسم، عن أبي هارون، به نحو سياقه المتقدم</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">— এখানে 'রূহ বিন কাসেম' একজন সত্যবাদী রাবী।(তাক্বরীব,১৯৭০নং রাবী)।কিন্তু তার আগে 'মাতরুক' হারুন আবাদী এবং পরে স্বয়ং ইবনে ইসহাক।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এই সমস্ত সনদ পর্যালোচনা করে দেখা যায়,আবু সাঈদ খুদরী রাঃ এর 'সিড়ি'র হাদীস নির্ভরযোগ্য সনদ দ্বারা বর্ণিত নয়।<b>এমনকি ইমাম হায়সামী 'মাজমাউয যাওয়ায়েদ' এর প্রথম খন্ডের ৮০ পৃষ্ঠায় এই হাদীসের কিয়দংশ 'মুজামুস সাগীর লিত তাবারানি' এর রেফারেন্সে উপস্থাপন করেন,যেখানে ফেরেশতা ইসমাইল কে দেখার বর্ণনা সন্নিবেশিত ছিল।হাদীসটি বর্ণনা করে হায়সামী বলেন,<span style="color: red;">আবু হারুন আবাদী 'দ্বইফ—জিদ্দান'।</span></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="font-size: large;"><u>হুযায়ফা ইবনু ইয়ামান এর বুরাকের হাদীস:—</u></span></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">তিরমিযী ৩১৪৭:—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ قُلْتُ لِحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ..............قَالَ حُذَيْفَةُ قَدْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِدَابَّةٍ طَوِيلَةِ الظَّهْرِ مَمْدُودَةٍ هَكَذَا خَطْوُهُ مَدُّ بَصَرِهِ فَمَا زَايَلاَ ظَهْرَ الْبُرَاقِ حَتَّى رَأَيَا الْجَنَّةَ<b> وَالنَّارَ <span style="color: red;">وَوَعْدَ الآخِرَةِ أَجْمَعَ</span>...</b>.(الى اخر الحديث)</blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">— যির ইবনু হুবাইশ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ কি বাইতুল মাকদিসে নামায আদায় করেছেন? তিনি বললেন, না।..........তারা দু'জন (নবী ﷺ ও জিবরীল) জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতের প্রতিশ্রুত বিষয়সমূহ দেখার পূর্ব পর্যন্ত বোরাকের পিঠ হতে নামেননি। তারপর তারা দু'জন প্রত্যাবর্তন করেন। <b><span style="color: red;">তারা যেভাবে গিয়েছিলেন অনুরূপভাবেই ফিরে আসেন</span></b> (অর্থাৎ সওয়ারী অবস্থায়ই ফিরে আসেন)।(ইলা আখের)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤ইমাম তিরমিযী বলেন,<b>হাদীসটি দুর্লভ এবং হাসান সাহীহ।</b></div><div style="text-align: justify;"><b><br /></b></div><div style="text-align: justify;">➤<b>সহিহ ইবনে হিব্বানে </b>'আসেম বিন আবিন নাজুদ' পর্যন্ত অক্ষত এবং পরবর্তী ভিন্ন রাবী দ্বারা হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।<b>(৪৫নং হাদীস)</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤<b>সুনানু কুবরা লিন নাসায়ী</b>তে সংক্ষিপ্তভাবে <b>১১২৮০ নং </b>হাদীসে সংক আছে।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤ইমাম আহমদ বিন হাম্বল স্বীয় 'মুসনাদ' এ <b>২৩২৮৫</b> নং হাদীসে উল্লেখ করেছেন।এছাড়াও <b>২৩৩২০</b> এ সুফিয়ানের সূত্রে,<b>২৩৩৩২, ২৩৩৩৩ এবং ২৩৩৪৩ নং</b> হাদীসে হাম্মাদ বিন সালামাহর সূত্রে বর্ণিত আছে।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤<b>ইমাম নাসায়ীর স্বীয় তাফসিরে</b> সুরাতুল ইসরার ব্যাখ্যায় <b>৩০০ নং হাদীসে</b> সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত আছে।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤ইমাম আবু দাউদ তিয়লীসি হযরত হাম্মাদ বিন সালামাহ রাঃ এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।(<b>৫৫ পৃষ্ঠা,৪১১নং হাদীস</b>)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤<b>ইমাম বায্যার স্বীয় মুসনাদে ২৯১৫ </b>নং হাদীসে উল্লেখ করেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤<b>ইবনে আবি শায়বা স্বীয় 'মুসান্নাফ</b>' গ্রন্থে ফযিলতের অধ্যায়ে,<b>১১/৪৬০-৪৬১ তে</b> এবং মাগাযী অধ্যায়ে <b>১৪/৩০৬-৩০৭ </b>পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤<b>তাফসীরে তাবারী,১৫/১৩,</b>সুফিয়ান হয়ে আসেমের সূত্রে বর্ণিত আছে</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤ইমাম হাকিম নিশাপুরী '<b>মুস্তাদরাক আলাস সহিহাইন' এর ২/৩৫৯</b>পৃষ্ঠায় আবু বকর বিন আইয়্যাশ হয়ে আসেমের সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন,<b>হাদীসটির সনদ সহীহ কিন্তু শায়খাইন তা (স্বীয় কিতাব্দ্বয়ে) উল্লেখ করেন নি।</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হুযায়ফার হাদীসে দিকে প্রশ্ন:—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><i>হুযায়ফা ইবনু ইয়ামান রাঃ এই হাদীসে নবীজী কর্তৃক সালাত আদায় করার কথা অস্বীকার করেছেন।তাহলে এই হাদীস কি প্রকারে হুজ্জাত বা দলিল হতে পারে?</i></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এর উত্তরে বলা যাবে দুইভাবে,হুযায়ফা রাঃ তার স্বীয় কথার মধ্যেই হয়ত লুকিয়ে</div><div style="text-align: justify;"> রেখেছেন রহস্য,তিনি বলেন— </div><div style="text-align: justify;">"সেখানে যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ নামায আদায় করতেন, তাহলে তোমাদের উপরও সেখানে নামায আদায় করা বাধ্যতামূলক হত, যেমন মাসজিদুল হারামে নামায আদায় করা তোমাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।"</div><div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ নবীজীর সালাত আদায় করার কারণেও উম্মতের জন্য তা ওয়াজীব হলো না,এমনটা বুঝা যেতে পারে।কিন্তু <b>হুযায়ফা —"তারা দু'জন জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতের প্রতিশ্রুত বিষয়সমূহ দেখার পূর্ব পর্যন্ত বোরাকের পিঠ হতে নামেননি।"—দ্বারা পরিষ্কার বুঝালেন যে তিনি নবীজী হতে বুরাক বাঁধা বা নামার বর্ণনা শুনেন নি।</b></div><div style="text-align: justify;"><b><i><span style="color: red;">এখন হুযায়ফার হাদীসের সেই অংশের দিকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে,যেখানে তিনি সালাত আদায়ের কথা অস্বীকার করেছেন,</span></i></b>যেমনটা ইমাম ইবনে কাসীর স্বীয় তাফসিরে, <b>ইমাম ত্বাহাবী শরহে মুশকিলুল আছার এর ১২/৫৪৪</b> নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন।<b><i><span style="color: red; font-size: medium;">দুজনের প্রশ্ন কিন্তু ''সালাত আদায় করা না করার'' উপর,বোরাক ব্যবহারের উপর নয়!</span></i></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এখানেই সুক্ষ্ম পার্থক্যটা বোঝা উচিত।সমগ্র হাদীসটি বাত্বিল বা অগ্রহণযোগ্য নয়,কেননা এটা একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়ে গেছে।<span style="font-family: inherit; font-size: medium;"><b><i>স্বয়ং আলবানী এটার হাসান হবার পক্ষে রায় দিয়েছেন।</i></b> </span><i>এই হাদীসের "সালাত আদায় না করার" পক্ষে কথাগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।</i>কিন্তু,"<span style="font-size: medium;"><b>তারা দু'জন (নবী ﷺ ও জিবরীল) জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতের প্রতিশ্রুত বিষয়সমূহ দেখার পূর্ব পর্যন্ত বোরাকের পিঠ হতে নামেননি"— বাক্য দ্বারা বোরাক জান্নাত জাহান্নাম দেখাকালে বোরাক ব্যবহার না করার যুক্তি প্রতিষ্ঠিত হয় না,বরং হুযায়ফা স্বীয় দাবিতে (নামাজ আদায় না করা) অটল থাকার যুক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।</b> </span>নবীজী বুরাকে গিয়েছেন এবং ফেরত এসেছেন কথাটা,<b>وَوَعْدَ الآخِرَةِ أَجْمَعَ</b> বা <b><i>"<span style="color: red;">তারা যেভাবে গিয়েছিলেন অনুরূপভাবেই ফিরে আসেন" (তথা বুরাকে গিয়েছিলেন বুরাকেই ফিরে এসেছিলেন) — এমন তথ্যের পক্ষে জোরালো আবেদন প্রতিষ্ঠিত হয়।</span></i></b>আমরা যেহেতু বুরাক উপরে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলছি!তাই বলবো,<b><i>এই বাক্যটির উপর কোনো ইমাম আপত্তি তোলেন নি বা এটার দ্বারা নামাজ পড়া না পড়ার পক্ষীয় কথাবার্তা সাব্যস্ত হয়না,বরঙ এটা বুঝা যায় যে,নবীজী বুরাকে করে গিয়েছিলেন এবং ফেরৎ এসেছিলেন বুরাকে করেই।</i></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এখন প্রশ্ন হলো,<b>বুরাক যদি বাঁধা অবস্থাতেই রেখে কেবল সোপান ব্যবহার করা হতো,তাহলে সেই বোরাক পরদিন কোথায় গেলো?অথবা কোনো ফেরেস্তা এসে বোরাককে নিয়ে গিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই!আবার যদি এরকম ধরা হয়,বুরাক বাঁধাই ছিলো,নবীজী ফেরার পথে বোরাকে পুনরায় চড়েছিলেন।কিন্তু নবীজী দ্বিতীয়বার বায়তুল মুকাদ্দাসে নামেন বলে কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।</b>তথাপি,<b>একমাত্র সম্ভাবনা এটাই যে,বোরাক ছিলো নবীজীর সাথে,এবং বুরাক—সোপান দুটোর কম্বিনেশন করে নবীজীকে অত্যন্ত আযমত এর সাথে নেয়া হয়েছিলো মিরাজে।আমরা সমন্বয়ের ব্যাপারে কিছু ইমামদের ক্বওলও দেখাবো।</b></div><div style="text-align: justify;"><b><br /></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="font-size: large;">তার আগে বুরাক ব্যবহার হওয়ার পক্ষীয় হাদীস দেখে নেয়া যাক।</span></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤➤বুখারী ৩৮৮৭ নং হাদীসে উল্লেখ আছে—</div><div><blockquote style="text-align: justify;">.....ثُمَّ أُتِيْتُ بِدَابَّةٍ دُوْنَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ أَبْيَضَ فَقَالَ لَهُ الْجَارُوْدُ هُوَ الْبُرَاقُ يَا أَبَا حَمْزَةَ قَالَ أَنَسٌ نَعَمْ يَضَعُ خَطْوَهُ عِنْدَ أَقْصَى طَرْفِهِ فَحُمِلْتُ عَلَيْهِ فَانْطَلَقَ بِيْ جِبْرِيْلُ حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَاسْتَفْتَحَ فَقِيْلَ مَنْ هَذَا.......(الى اخر الحديث)</blockquote><div style="text-align: justify;">.....</div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">নবীজী ﷺ বলেন,«তারপর সাদা রং এর একটি জন্তু আমার নিকট আনা হল। যা আকারে খচ্চর হতে ছোট ও গাধা হতে বড় ছিল।»জারুদ তাকে(আনাসকে) বলেন, হে আবূ হামযা, এটাই কি বুরাক? আনাস (রাঃ) বললেন, হাঁ। সে একেক কদম রাখে দৃষ্টির শেষ সীমায়।(নবীজী বলেন)«আমাকে তার উপর সাওয়ার করানো হল।আমাকে নিয়ে জিবরাঈল (আঃ) চললেন।প্রথম আসমানে নিয়ে এসে দরজা খোলে দিতে বললেন, জিজ্ঞেস করা হল, ইনি কে?».......</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b>এখানে যতটুকু উল্লেখ করা হয়েছে তারমধ্যে লক্ষ করুন, <span style="color: red;">প্রত্যেকটা ঘটনা 'ছুম্মা(ثُمَّ)'/অতঃপর দ্বারা আলাদা।কিন্তু 'বুরাক আনা হলো', 'আমাকে সওয়ার করানো হল','আমাকে নিয়ে জিব্রাইল চললেন' এবং 'প্রথম আসমানে নিয়ে এসে.....' এই কথাগুলোর মধ্যে কোনো 'ছুম্মা' নেই।মাঝে কেবল আনাস এর সাগরেদ এর প্রশ্ন আছে। বাক্যের এই স্ট্রাকচার প্রমাণ করে, 'ছুম্মা' দ্বারা আলাদাকৃত ঘটনাগুলো পরপর সংগঠিত হয়েছিলো এবং বোরাকে উঠেই প্রথম আসমানে যাওয়াটা পরপর সংগঠিত হয় নি।অর্থাৎ এই হাদীসটা বায়তুল মাকদাসে যাবার বিরোধীতা করেনা। বরং মাঝের কোনো ঘটনা থাকলেও থাকতে পারে এমন বুঝায়।</span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><br /></b></div><div style="text-align: justify;">তথাপি,''ছুম্মা'' দ্বারা ঘটনাগুলোকে আলাদা করা হলেও এখানে বোরাকে চড়ার পর আসমানে যাবার ঘটনাকে আলাদা না করার (বাক্যের) <span style="color: red;"><b>স্ট্রাকচার মূলত বোরাকে চড়া+আসমানে যাওয়া ঘটনা দ্বয়কে</b> জুড়ে দেয়</span>।অর্থাৎ বোরাক দ্বারাই আসমানে যাওয়াটা সাব্যস্ত হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">কথার সত্যতা দেখুন হাদীসে,<b><i>বুরাক সহকারের ঘটনাগুলো কোনো 'ছুম্মা' ছাড়া বর্ণিত হচ্ছে,</i></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;">عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أُتِيتُ بِالْبُرَاقِ وَهُوَ دَابَّةٌ أَبْيَضُ طَوِيلٌ فَوْقَ الْحِمَارِ وَدُونَ الْبَغْلِ يَضَعُ حَافِرَهُ عِنْدَ مُنْتَهَى طَرْفِهِ قَالَ فَرَكِبْتُهُ حَتَّى أَتَيْتُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ.............(الى اخر الحديث)</blockquote><div style="text-align: justify;">—আনাস ইবনু মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আমার জন্য বুরাক পাঠানো হল। বুরাক গাধা থেকে বড় এবং খচ্চর থেকে ছোট একটি সাদা রঙের জন্তু। যতদূর দৃষ্টি যায় এক পদক্ষেপে সে ততদূর চলে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আমি এতে আরোহণ করলাম এবং বাইতুল মাকদাস পর্যন্ত এসে পৌছলাম।.......(সহিহ মুসলিম,৩০০ নং,হাদীস একাডেমি)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤➤ইবনে কাসীর নিজে উল্লেখ করেছেন—</div><blockquote style="text-align: right;"><div style="text-align: justify;"><span style="font-weight: 700;"><br /></span></div><span style="color: red;"><div style="text-align: justify;"><b>ثم إنه ركب البراق وكر راجعاً إلى مكة</b></div></span></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—অতঃপর তিনি <b><span style="color: red;">বোরাকে সওয়ার হয়ে মক্কায়</span></b> প্রত্যাবর্তন করলেন!</div><div style="text-align: justify;">[তাফসিরে ইবনে কাসীর,৫/৩১,দার আত-তাইয়্যেবা]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤➤তফসিরে ইবনে কাসীরেই উল্লেখ আছে—[প্রাগুক্ত,১২পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;">ابن أبي حاتم: حدثني أبي، حدثنا هشام بن عمار، حدثنا <b><span style="color: red;">خالد بن يزيد بن أبي مالك، عن أبيه</span></b>، عن أنس بن رضي الله عنه، قال: لما كان ليلة أسرى برسول الله ﷺ إلى بيت المقدس..........قال : ثم ركب منصرفاً، فبينا هو في بعض طريقه مر بعير لقريش تحمل طعاما، منها جمل عليه غرارتان : غرارة سوداء، وغرارة بيضاء، فلما حاذى بالعير نفرت منه واستدارت، وصرع ذلك البعير وانكسر . ثم إنه مضى فأصبح...........(الى اخر الحديث)</blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন, অতঃপর আমরা ফেরার জন্য জন্য সওয়ারীর উপর আরোহণ করলাম। ফেরার পথে কুরাইশদের একটি কাফেলা দেখলাম যারা খাদ্যদ্রব্য বোঝাই করে যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে একটি উট এমন ছিল যার উপর দুইটি বোঝা ছিল যার একটি সাদা ও একটি কাল। যখন আমরা তার কাছ দিয়ে অতিক্রম করলাম তখন উটটি চমকে উঠল, মুচড়ে গিয়ে পড়ল।………</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">সনদ যাচাই:</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ইমাম দারাকুতনী বলেন</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>خالد بن يزيد بن أبي مالك، شامي، عن أبيه، وأبوه من الثقات</b></blockquote><div style="text-align: justify;">—খালেদ বিন ইয়াযিদ বিন আবি মালিক,শামের অধিবাসী।তার পিতা সিকাহ রাবীদের অন্তর্ভুক্ত। </div><div style="text-align: justify;">[আদ দুয়াফা ওয়াল মাতরুকীন,১৯৯ নং রাবী,ইমাম দারাকুতনী]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এর মাঝে খালেদ বিন ইয়াযীদকে কেউ কেউ</div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">দ্বইফ বললেও কায্যাব-মাতরূক কেউই বলেন নি।তবে তার প্রশংসা বহু ইমাম করেছেন।</span></b></div><blockquote><div style="text-align: justify;"><span style="font-weight: 700;"><br /></span></div><b><div style="text-align: justify;"><b>روى ابْن شاهين أَن أَحْمد بن صَالح وَثَّقَهُ</b></div></b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">— ইমাম ইবনে শাহীন বর্ণনা করেন,খালেদ বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে <b>ইমাম আহমদ বিন সালেহ সিকাহ বা বিশ্বস্ত হবার পক্ষে রায় দিয়েছেন।</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>وَعَن أَحْمد بن حَنْبَل أَنه قَالَ خَالِد بن يزِيد ثِقَة</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—<b>ইমাম আহমদ বিন হাম্বল</b> হতে বর্ণিত,উনি খালেদ বিন ইয়াজিদের সম্পর্কে বলেন,(তিনি) <b>সিকাহ বা বিশ্বস্ত</b>।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">[উপরের ক্বওলদ্বয় <b>যিকরি মিন ইখতিলাফিল উলামাই ওয়ান নাকদিল হাদীস</b>,৮৪ পৃ,ইমাম ইবনে শাহীন,মাক্তাবাতুত তারবিয়াতিল ইসলামিয়া লিইহইয়াইত তুরাছিল ইসলামী হতে প্রকাশিত] </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ইবনে হাব্বান বলেন—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>وقال ابن حبان هو من فقهاء الشام كان صدوقا في الرواية</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—ইমাম ইবনে হিব্বান বলেন,তিনি(ইয়াযিদ) ছিলেন <b>শামের ফকিহ এবং বর্ণনার ব্যাপারে সত্যবাদী ছিলেন।</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>وقال أبو زرعة الدمشقي وأحمد بن صالح المصري ثقة </b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—ইমাম আবি যুরআ দামেশকি এবং ইমাম আহমাদ বিন সালেহ বলেন,<b>তিনি ছিকাহ বা বিশস্ত রাবী।</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">[এগুলো <b>তাহযীবুত তাহযিব,৩/১২৭,ইমাম ইবনে হাজার, </b>হতে নেয়া<b>]</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">সর্বশেষ হিসেবে ইমাম শাহীন তার পূর্বোল্লিখিত কিতাবে উল্লেখ করেন—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><blockquote style="text-align: justify;"><b>وَهَذَا الْكَلَام فِي خَالِد بن أبي مَالك يُوجب التَّوَقُّف فِيهِ لِأَن أَحْمد بن حَنْبَل وَأحمد بن صَالح إِذا اجْتمعَا على مدح رجل لم يجز أَن يذم بِضعْف</b></blockquote><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">—«ইমাম আবু হাফস বলেছেন,খালেদের ব্যাপারে কথাগুলোর ব্যাপারে তাওয়াক্ক্বুফ বা ওয়াকফ করা বা কথা বলা বন্ধ করা (বেশি বলাবলি করা stop করা উচিত)। কেননা,<b>ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এবং ইমাম আহমদ বিন্ সালিহ যখন ঐক্যমত পোষণ করেছেন </b>(তার বিশস্ত হবার পক্ষে) <b>তখন তাকে দূর্বল</b> (বলার মাধ্যমে তার হাদীসগুলোকে দূর্বল/ভিত্তিহীন) <b>বলা বৈধ হবেনা।»</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"> ইমাম ইবনে কাসীর এই হাদীসের সনদ নিয়ে কিছু বলেননি,বরং বলেছেন এতে আশ্চর্যজনক এবং দূর্লভ তথ্য বিদ্যমান।এবং সামগ্রিক হাদীসটি হাসান পর্যায়ের হতে কোনো প্রতিবন্ধকতা রাখে না।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b>সুতরাং বোরাক নিয়ে ফেরৎ আসা, বা বোরাক উপরে উঠা এগুলোর কোনোটাতে 'নাফী' বা না বোধকতা প্রকাশ পায়না বলে বোরাক উর্ধ্বে যাওয়াটা অবান্তর কিছু নয়।বোরাক শব্দটির মূল শব্দ 'বরক্ব' হতে নির্গত,যার অর্থ বিদ্যুৎ।যে বোরাক জান্নাত হতে নিচে নামতে পারে,সে বোরাকের উপরে যাওয়াটা আশ্চর্যের কিছুই নয়।</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">বোরাক-সোপানের সমন্বয়সমূহ:—</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">১।শায়খ মুহাক্কিক আলাল ইত্বলাক্ব শাহ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ: যিনি উপমাহাদেশে সর্বপ্রথম হাদীস শরীফের দরস দেন,সর্বজন-সর্বমহল মাননীয় আলেম,তিনি বিখ্যাত মাদারেজুন নবুয়্যত কিতাবে যা উল্লেখ করেন —</div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8CDMdjlH8urQP2QejtDyIqvq8bJLyG7HSdKskpNRAPlCUYAL0SA-y5v8-E4az89qe3SrtL4xNbZedktzGzD2eP5YKV7esdEN4Ry5IfQfjwpzKxR066KN87hK4B433RQaJ9uqfT5JQPWPk/s1600/IMG_20210614_120044.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1538" data-original-width="1080" height="1015" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8CDMdjlH8urQP2QejtDyIqvq8bJLyG7HSdKskpNRAPlCUYAL0SA-y5v8-E4az89qe3SrtL4xNbZedktzGzD2eP5YKV7esdEN4Ry5IfQfjwpzKxR066KN87hK4B433RQaJ9uqfT5JQPWPk/s1600-rw/IMG_20210614_120044.jpg" title="" width="713" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">«নবী করীম ﷺ বলেছেন, আমাকে সওয়ার করানো হয়েছিলো এবং হজরত জিব্রাইল আ. আমাকে আকাশের উপর নিয়ে গিয়েছিলেন। হাদীছের বাহ্যিক অর্থ এরকম- তিনি আসমান পর্যন্ত বোরাকের উপর ছিলেন। আর বোরাকটি যমীনের উপর যেমন চলছিলো শূন্যমণ্ডলেও চলছিলো তেমনই। এটাও স্বাভাবিকতার ঊর্ধ্বে, <b>কেনোনা কোনো মানুষ বা জন্তু হাওয়ার উপর ভর করে চলতে পারে না। কিন্তু এসব যে আল্লাহ্তায়ালার কুদরত। আল্লাহ্তায়ালার কুদরত তো স্বাভাবিকতার সীমায় সীমিত নয়। </b>কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, বোরাকের দুটি পাখা, যার মাধ্যমে সে আকাশে ওড়ে। <b>আবার কেউ কেউ বলেন, আরোহী বোরাকের উপরে ছিলেন মসজিদে আকসা পর্যন্ত। এরপর একখানা মেরাজ অর্থাৎ সোপান লাগানো হয়েছিলো, যার মাধ্যমে নবী করীম স.কে উপরের দিকে ওঠানো হয়েছিলো</b>। <b>দু’টি বর্ণনার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান এরূপে হতে পারে, কোনো কোনো বর্ণনাকারী মেরাজের ঘটনার বিস্তারিত আলোচনা করেননি, কেউ কেউ করেছেন। প্রথম বর্ণনাকারীরা মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণের বর্ণনা করেছেন স্পষ্টভাবে। কিন্তু এরপর আসমানে ভ্রমণের আলোচনা করেননি। আবার দ্বিতীয় বর্ণনাকারীগণ আসমানে আরোহণের বর্ণনা করেছেন। এখানে এরকমও হতে পারে যে, তখনকার ভ্রমণটি বেসওয়ারী অবস্থায় ছিলো। ওয়াল্লাহু আ'লাম।</b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b>নবী করীম ﷺ কে বহন করার জন্য বোরাক প্রেরণের মধ্যে হেকমত হচ্ছে, সাইয়্যেদ মাহবুবে রব্বুল আলামীন ﷺ এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন। যেমন কোনো বন্ধু তার বন্ধুকে বহন করে আনার জন্য ঘোড়া প্রেরণ করে থাকে।</b> আবার এমনও দেখা যায়, বিশেষ ব্যক্তিকে আনার জন্য পাইক পেয়াদাও পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাত্রিবেলায় মেরাজ সংঘটিত হওয়ার মধ্যেও হেকমত রয়েছে। রাতের মুহূর্তগুলো হচ্ছে একান্ত অভিসারের মুহূর্ত। অন্যান্যের দৃষ্টি থেকে আড়ালে রেখে প্রেমিক তার প্রেমাষ্পদকে একান্ত নিভৃতে নিয়ে আসবে, এটাই তো প্রকৃত প্রেমের নিয়ম। ‘আল্লাহ্তায়ালার জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ উপমা।" খচ্চরের চেয়ে নীচু আর গাধার চেয়ে উঁচু ঘোড়ার আকৃতিবিশিষ্ট বোরাক পাঠানোর মধ্যে হেকমত এই যে, এই নিয়মের মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তার ইঙ্গিত আছে। হুবহু ঘোড়া পাঠানো হয়নি। কেনোনা ঘোড়া যুদ্ধবিগ্রহ ও ভীতিশংকুলতার প্রতীক। বোরাক ঘোড়ার আকৃতিতে ছিলো, কিন্তু ঘোড়ার মতো স্বাভাবিক গতিসম্পন্ন ছিলো না। তার গতি ছিলো অস্বাভাবিক, যা মোজেজা প্রকাশের উদ্দেশ্যেই তাকে দেয়া হয়েছিলো। শায়েখ আবদুল হক মোহাদ্দিস দেহলভী বলেন, এর নাম ঘোড়াও নয়, খচ্চরও নয়। <b>বোরাক আরবী শব্দ বারকুন থেকে এসেছে, যার অর্থ বিদ্যুৎ। তাই তার গতিও ছিলো বিদ্যুৎসম।»</b></div><div style="text-align: justify;">[মাদারেজুন নবুয়্যত,১/২১৩—২১৪(উর্দু অনুবাদ আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ গোলাম মুইনউদ্দীন নঈমী রহ.),মাক্তাবায়ে আশরাফিয়া]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">২।দেওবন্দি আলেম মওলানা আশরাফ আলী থানভীর সমন্বয়—</div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjQ3NVmCWbxZ7Kx2Fkp99inYV471CxfoxfJDO3MJy-cLX5iZK9zxkqv1EsSEz6KcvTuRi6fhe60PybmZLjXeeq2rK48Qa-YPqgqN-ieF2quFsmSxZHjvX4EMMbdnZ8XxF2FEP1MdweETqyq/s1600/IMG_20210614_120856.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1977" data-original-width="765" height="1591" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjQ3NVmCWbxZ7Kx2Fkp99inYV471CxfoxfJDO3MJy-cLX5iZK9zxkqv1EsSEz6KcvTuRi6fhe60PybmZLjXeeq2rK48Qa-YPqgqN-ieF2quFsmSxZHjvX4EMMbdnZ8XxF2FEP1MdweETqyq/s1600-rw/IMG_20210614_120856.jpg" title="" width="616" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj2Iniz853aZckV-5-zEc17i1BWfAdSYdxcI5L7nm_oUeTc3mI-Fj7wnu1rSUkQVeIcEJ63tTmM_T1Kigdiunxvnf9BuA9oMziUpsnvTFTmIKA7ajmQoXpMhVT4TteXK8LT8VLvJw_wbGwC/s1600/Screenshot_2021-06-14-12-05-49-95.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1322" data-original-width="924" height="765" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj2Iniz853aZckV-5-zEc17i1BWfAdSYdxcI5L7nm_oUeTc3mI-Fj7wnu1rSUkQVeIcEJ63tTmM_T1Kigdiunxvnf9BuA9oMziUpsnvTFTmIKA7ajmQoXpMhVT4TteXK8LT8VLvJw_wbGwC/s1600-rw/Screenshot_2021-06-14-12-05-49-95.jpg" title="" width="535" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmN5V8TTc6QrYCoY6LZJtow9Cc3W66MHfkmLWWud8uDAa_FQj3dArwu6wdrZm2wHASylIH_3UyCFK1MZe7WAXx-bD0vqbP44-Yvl2QixDF77QTWyGHcinRDjszS3P8U1Mrl-n8XLyG1ClL/s1600/Screenshot_2021-06-14-12-07-04-42.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1349" data-original-width="892" height="1087" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmN5V8TTc6QrYCoY6LZJtow9Cc3W66MHfkmLWWud8uDAa_FQj3dArwu6wdrZm2wHASylIH_3UyCFK1MZe7WAXx-bD0vqbP44-Yvl2QixDF77QTWyGHcinRDjszS3P8U1Mrl-n8XLyG1ClL/s1600-rw/Screenshot_2021-06-14-12-07-04-42.jpg" title="" width="719" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjRX8dgxk1MOlKYLmrTc49o3QAp0n_Ew87VB-YrVsZVAlvmH71s4Qu1mkfHwkChPCWJajFCfbvP_qar46OSIrqGnysOoGiD6Fkqf2HBCvd4nYmiK82QpxCcA2wLrXv45ARiW8iHjkee0uPu/s1600/IMG_20210614_120756.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1380" data-original-width="904" height="1175" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjRX8dgxk1MOlKYLmrTc49o3QAp0n_Ew87VB-YrVsZVAlvmH71s4Qu1mkfHwkChPCWJajFCfbvP_qar46OSIrqGnysOoGiD6Fkqf2HBCvd4nYmiK82QpxCcA2wLrXv45ARiW8iHjkee0uPu/s1600-rw/IMG_20210614_120756.jpg" title="" width="770" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">৩।গাজ্জালীয়ে জামান আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ সাঈদ শাহ কাযেমী রহিমাহুল্লাহর সমন্বয়।</div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVkld_jD0EFhYcyc39cG4Pr3vfCsg44lZkQEBcGGkI1w_GU-SwaWCdTo0jURK-CKc0bj4iQ0FJjUZ-p1oVCnhqRsMuv1wiHEjYK7jMm1txsaw2DuQ9JNrQ1EdSsrKtrkI8EkdLljNLaczl/s1600/IMG_20210614_121015.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="4015" data-original-width="2574" height="831" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVkld_jD0EFhYcyc39cG4Pr3vfCsg44lZkQEBcGGkI1w_GU-SwaWCdTo0jURK-CKc0bj4iQ0FJjUZ-p1oVCnhqRsMuv1wiHEjYK7jMm1txsaw2DuQ9JNrQ1EdSsrKtrkI8EkdLljNLaczl/s1600-rw/IMG_20210614_121015.jpg" title="" width="533" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEikPh9pQRhjIKBOG8OMsf-7xpipKVCiRbsD9yJPf2h1avS-fEYOn4Oz92tKI77Cr-Sk2l6k0QFGWwkVCEmBD6x2R_M_Wti6s0ur-W37eTExqR9ui7-RYg9oWbXXCanr_p-j_kCU5YWtgIlH/s1600/IMG_20210614_121217.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="3705" data-original-width="2222" height="952" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEikPh9pQRhjIKBOG8OMsf-7xpipKVCiRbsD9yJPf2h1avS-fEYOn4Oz92tKI77Cr-Sk2l6k0QFGWwkVCEmBD6x2R_M_Wti6s0ur-W37eTExqR9ui7-RYg9oWbXXCanr_p-j_kCU5YWtgIlH/s1600-rw/IMG_20210614_121217.jpg" title="" width="571" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আমরা এখানে যুগের বিদগ্ধ আলেমদের মতামত তুলে ধরলাম এবং দেখালাম যে মিরাজে বুরাক যাওয়াটা প্রমাণিত এবং বোরাক—সোপান সমন্বয় করেই সিদ্ধান্ত নেয়াটা নিরাপদজনক হবে।ওয়াসসালাম।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div>

বুরাক মিরাজে গিয়েছিলো— তার প্রমাণ

 নাস্তিকদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে আমাদেরই একভাই স্বতন্ত্রভাবে বোরাক মিরাজে যাবার হাদীসগুলো অস্বীকার করেছেন।আমি জানিনা কেনো তারা এমন করেন,...

Read more »