'আবেগ' — ইসলামী সাইকোলজি!

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgOhwEHS3YIFfBbsbCKtwKLd2Eg4CCcfXSjoHdJJhuC7DmGr3Gklp0HfNw3qvk-B7TGCx79bOTj6t9g-CVNmXmiiJQj1DxBPzcYCsWEXWDO7IFdXIWnJyJKdp2_J0nFRW8J7allXVPv3JA/s1600/InShot_20210507_223905070.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="3413" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgOhwEHS3YIFfBbsbCKtwKLd2Eg4CCcfXSjoHdJJhuC7DmGr3Gklp0HfNw3qvk-B7TGCx79bOTj6t9g-CVNmXmiiJQj1DxBPzcYCsWEXWDO7IFdXIWnJyJKdp2_J0nFRW8J7allXVPv3JA/s1600-rw/InShot_20210507_223905070.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">কোনো কোনো দিন মেজাজ টা খুব ফুরফুরে থাকে। সবকিছুই ভালো লাগে। খারাপ জিনিসগুলোকেও তখন পজিটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে মন চায়। সকল কাজের প্রতি আগ্রহও থাকে বেশ, আত্নবিশ্বাসের স্তরটাও ভালোই থাকে। সবমিলিয়ে মন ভালো থাকলে, আশা-পাশের সবকিছুই ভলো লাগে। দিনটা ভালোই যায় আলহামদুলিল্লাহ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবার কিছু কিছু দিন এমন যায় কোনো-কিছুই ভালো লাগে না। হতাশা, অস্থিরতা নানান রকম কষ্ট এগুলো দিনটাকেই নষ্ট করে দেয় মনে হয়। হয়তো আপনাকে নিয়ে করা কারো কোনো— সমালোচনা কানে আসল বা কোনো কিছু নিয়ে খুব চিন্তাগ্রস্থ। যেকোনো কারণই হতে পারে। ভালো কাজটাও করতে সেদিন ভালো লাগে না, কারো সাথে কথা বলারও তেমন ইচ্ছে হয় না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমাদের বৈশিষ্ট্য হলো— প্রথম অনুভূতিগুলোর সময় রবের খুব প্রশংসা করতে থাকি আর দ্বিতীয় অনুভূতিগুলোর কথা যখন আসে তখন অভিযোগের যেন শেষ নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তবে একটা জিনিস স্বীকার আপনাকে করতেই হবে— উভয়টিই কিন্তু আল্লাহর অনেক বড় নিয়ামত। চিন্তা করুন তো, যদি রাগ, কষ্ট, হতাশা না থাকত, তাহলে কি কখনো সুখ, প্রশান্তি নামক জিনিসগুলো আমরা অনুভব করতে পারতাম? কখনো কি সুখের সময়গুলোতে আকাশে ডানা মেলে ওড়ার কল্পনা এসে ধরা দিত? দুঃখ আছে বিধায় সুখটা আমরা উপভোগ করতে পারি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">'এবং তিনিই হাসান ও কাঁদান।' [১] যদি সুখ, দুঃখের— এসব আবেগ-অনুভূতি না থাকতো তাহলে জীবনটা কেমন পানসে হয়ে যেত না! আমরা কেমন একটা রোবটের মতো হয়ে যেতাম। তাই রব জীবনটাকে উপভোগ্য করে তুলার জন্য এসব নিয়ামত দ্বারা আমাদেরকে ধন্য করেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সবশেষে, সবপরিস্থিতে প্রশংসা সেই রবের যিনি আমাকে এত ভালোবাসেন। যিনি আমার আবেগ-অনুভূতিগুলোরও এতো খেয়াল রাখেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Reference:</div><div style="text-align: justify;">[১] সূরা নাজম, আয়াত- ৪৩।</div>

'আবেগ' — ইসলামী সাইকোলজি!

কোনো কোনো দিন মেজাজ টা খুব ফুরফুরে থাকে। সবকিছুই ভালো লাগে। খারাপ জিনিসগুলোকেও তখন পজিটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে মন চায়। সকল কাজের প্রতি আগ্রহ...

Read more »

আমিরে মু'য়াবিয়া (রাঃ) এর সমালোচনার জবাব

<div style="text-align: justify;">আমিরে মু'য়াবিয়া (রাঃ) এর সমালোচনার জবাব<br></div><div style="text-align: justify;">কৃতঃ ড. সৈয়দ ইরশাদ আহমদ আল বুখারী</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসুলে কারীম রাউফুর রাহীম ﷺ আমিরে মু'য়াবিয়া (রাঃ) এঁর জন্য দু'আ করেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও।" (তিরমিজী ৩৮৪২)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৪১ হিজরিতে ইসলামের পঞ্চম খলিফা, জান্নাতী যুবকদের সর্দার ইমাম হাসান রাঃ যখন ছয় মাস খিলাফতের মসনদে থাকার পর মুসলমানদের মধ্যে বিবাদ সামলানোর জন্য মসনদ ছেড়ে দিয়ে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখনই রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক ভবিষ্যদ্বাণীকৃত খিলাফতের ৩০ বছর পূর্ণ হয় (হায়! আমরা এই মহান খলিফাকে খুব কমই স্মরণ করি, অল্প সংখ্যক মানুষই তাঁকে খলিফাতুল মুসলিমীন হিসেবে চিনি, অথচ অন্যদিকে তিনি পবিত্র আহলে বাইতেরও অন্যতম সদস্য)। দুনিয়া থেকে পর্দা করার পূর্বে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় প্রিয় নবী ﷺ এই ঘটনার কথাও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন) আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি, ঐ সময় হাসান (রাঃ) তাঁর পার্শ্বে ছিলেন। তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে আবার হাসান (রাঃ)-এঁর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমার এ সন্তান (নাতি) হচ্ছে সাইয়্যিদ (সর্দার)। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল মুসলমানের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দিবেন। (সহীহ বুখারী ৩৭৪৬, ৩৬২৯, ২৭০৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">স্বয়ং নবীজি ﷺ যাঁর জন্য দু'আ করেছেন, যাঁর ঈমানের সার্টিফিকেট দিয়েছেন, ইমাম হাসান রাঃ যার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন, ঐ পথভ্রষ্টরা আহলে বাইতপ্রেমিক দাবী করেও সেই আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে মুনাফিক-কাফের ডাকে, গালমন্দ করে (নাউজুবিল্লাহ)। ইমাম হাসান আঃ কি তাহলে একজন অযোগ্য ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন!! তাহলে এটা তো ইমাম হাসান রাঃ এঁর নামে অপবাদও হয়ে যাবে। আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা (কোন বিষয়ে) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।" (সূরা হুজরাতঃ ১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ) আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে ফকীহ্ হিসেবে সম্বোধন করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাহচর্য লাভ করার কারণে উনাকে কিছু বলতেও নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারী ৩৭৬৪, ৩৭৬৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হ্যা, এটাও সত্য যে, ইয়াজিদ একজন লম্পট, জালেম, ফাসেক, মদ্যপ ছিল। এমনকি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ ইয়াজিদকে কাফের বলে ফতেয়া দিয়েছেন। কিন্তু কোন ঈমাম আমিরে মুয়াবিয়া রাঃ কে গালমন্দ করেছেন!! হাদিস গ্রন্থগুলোতে উনার নামের পরে কি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ব্যবহৃত হয়নি!! এই শিয়াদের বই পড়া নব্য ফিৎনাবাজরা কতবড় মুজতাহিদ হয়ে গেছে যে, উনাকে কাফের মুনাফিক ফতোয়া দিচ্ছেন!! </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অবশ্য এই ব্যাপারে ফয়সালা তো জান্নাতী যুবকদের সর্দারদ্বয়ও করে গেছেন। পঞ্চম খলিফা ইমাম হাসান আঃ, আল্লাহর বাণীঃ "আর যদি মুমিনদের দু’দল লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, তাহলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও" এর উপর আমল করতঃ আমিরে মুয়াবিয়া রাঃ কে যোগ্য মুমিন মনে করেই তো উনার কাঁধে শাসনভার তুলে দিতে রাজি হয়েছিলেন। আর অন্যদিকে ইমাম হুসাইন আঃ, আল্লাহর বাণীঃ "আর তোমরা জালিমদের/ সীমালঙ্ঘন-কারীদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না" এর উপর আমল করতঃ পাপিষ্ঠ জালিম ইয়াজিদের হাতে বাইয়াত নেননি কারণ সে ছিল অযোগ্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঈমামে আহলে সুন্নাত আলা হাযরাত রাঃ বলেন: মাওলা আলী রাঃ আমাদের মাথার তাজ, আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ সহ সকল সাহাবায়ে কেরামই আমাদের সরদার। আ'লা হাযরাত রাঃ বলেছেনঃ আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী জাহান্নামের কুকুর।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন -“আমার কোন সাহাবীকে মন্দ বলনা। তোমাদের কেউ যদি উহুদ পর্বততূল্য স্বর্ণও দান করে, তবুও তাঁদের সোয়া সের যব দান করার সমানও হতে পারেনা; বরং এর অর্ধেকেরও বরাবর হতে পারেনা।” [বুখারীঃ১ম খন্ড-৫১৮ পৃষ্ঠা, তিরমিযীঃ২য় খন্ড-২২৫ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেনঃ “আমার সাহাবীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর, তাঁদেরকে ভৎর্সনা ও বিদ্রূপের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত কর না। যে আমার সাহাবীকে মোহাব্বত করলো, সে আমার মোহাব্বতে তাঁদেরকে মোহাব্বত করল এবং যে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করল, সে আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণের কারনে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করল”। [তিরমিযি শরীফ, ২য়-২২৫]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Har Sahabiye Nabi Jannati Jannati</div><div style="text-align: justify;">Har Sahabiye Nabi Jannati Jannati</div><div style="text-align: justify;">Aamire Muabiya Ra Jannati Jannati </div><div style="text-align: justify;">Abu Sufian Ra Jannati Jannati</div>

আমিরে মু'য়াবিয়া (রাঃ) এর সমালোচনার জবাব

আমিরে মু'য়াবিয়া (রাঃ) এর সমালোচনার জবাব কৃতঃ ড. সৈয়দ ইরশাদ আহমদ আল বুখারী রাসুলে কারীম রাউফুর রাহীম ﷺ আমিরে মু'য়াবিয়া (রাঃ) এঁর জন...

Read more »