'রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসাধারণ'!

<div style="text-align: justify;">'রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো আমাদেরই মতো। আমরা খাই তিনিও খান, আমরা বিয়ে শাদী করি তিনিও করেন, আমরা বাজারে যাই তিনিও গিয়েছেন।' - এই লজিকগুলো অনেকেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমাদের মতো সাধারণ প্রমাণ করতে ব্যবহার করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আসলে লজিকগুলো একদম লেইম লজিক। তারা জানেনা হয়তো আল্লাহ তায়ালা কুরআনে এই সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করে রেখেছেন। আসুন কয়েকটি আয়াত পড়ি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নূহের জাতির সরদাররা যখন নূহের রিসালাত অস্বীকার করেছিল তখন তারাও একথাই বলেছিলঃ “এ ব্যক্তি তোমাদের মতো একজন মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়। সে চায় তোমাদের ওপর তার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে। অথচ আল্লাহ চাইলে ফেরেশতা নাযিল করতেন। আমরা কখনো নিজেদের বাপদাদাদের মুখে একথা শুনিনি।” [সূরা আল-মুমিনূন: ২৪] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আদি জাতি একথাই হুদ আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেছিলঃ “এ ব্যক্তি তোমাদের মতো একজন মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়। সে তাই খায় যা তোমরা খাও এবং পান করে তাই যা তোমরা পান করে। এখন যদি তোমরা নিজেদেরই মতো একজন মানুষের আনুগত্য করো তাহলে তোমরা বড়ই ক্ষতিগ্ৰস্ত হবে।” [সূরা আল-মুমিনূন: ৩৩–৩৪]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সামূদ জাতি সালেহ আলাইহিস সালাম সম্পর্কেও এ একই কথা বলেছিলঃ “আমরা কি আমাদের মধ্য থেকে একজন মানুষের আনুগত্য করবো ?” [সূরা আল-কামার: ২৪] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমরা জানি যুগে-যুগে কারা নবী আলাইহিস সালামদের এমন কথা বলত। তাই আলহামদুলিল্লাহ আমরা এই আক্বীদা পরিত্যাগ করেছি। কারণ আমরা সাহাবীদের পথে, সিরাতুল মুস্তাকিম এর ওপর অটল।</div>

'রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসাধারণ'!

'রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো আমাদেরই মতো। আমরা খাই তিনিও খান, আমরা বিয়ে শাদী করি তিনিও করেন, আমরা বাজারে যাই তিনিও গিয়েছেন।...

Read more »

হযরত আয়িশা রাঃ এঁর হার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার অপব্যাখ্যার জবাব

<div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjgOGOhzxvjMTaLOXUzhyphenhyphenvewxzsm6XL-xtUBr-XH-BngLa3T9VYt31S733ok7gL05z_nrHK268I6weEwmk04bxirkqNonXmrxS_hxz33Hv4tEqJ4IxRav4RoL9Vo_2Yw5CTr2b-a3gxWCc/s1600/FB_IMG_1565628160012.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1350" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjgOGOhzxvjMTaLOXUzhyphenhyphenvewxzsm6XL-xtUBr-XH-BngLa3T9VYt31S733ok7gL05z_nrHK268I6weEwmk04bxirkqNonXmrxS_hxz33Hv4tEqJ4IxRav4RoL9Vo_2Yw5CTr2b-a3gxWCc/s1600-rw/FB_IMG_1565628160012.jpg" width="256" /></a></div><br /></div></div><div><br /></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সঙ্গে এক যুদ্ধ সফরে গিয়েছিলাম। আমরা যখন বায়দা অথবা যাতুল জায়শ নামক স্থানে গিয়েছিলাম; তখন আমার হারটি গলা হতে ছিঁড়ে পড়ে যায়। হারটি খোঁজার জন্য নবী ﷺ সেখানে অবস্থান করেন। এজন্য সাহাবীগণও তাঁর সঙ্গে সেখানে অবস্থান করেন। সেখানে পানি ছিল না এবং তাঁদের সঙ্গেও পানি ছিল না। তাই সাহাবীগণ আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, আপনি কি দেখছেন না, ‘আয়িশা (রাঃ) কী করলেন? তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং তার সঙ্গে সাহাবীগণকে এমন স্থানে অবস্থান করালেন যেখানে পানি নেই এবং তাদের সঙ্গেও পানি নেই।</div><div><br /></div><div>তখন আবূ বকর (রাঃ) আমার নিকট আসলেন। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার ঊরুর উপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে বলতে লাগলেন, তুমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে এবং সাহাবীগণকে এমন এক স্থানে আটকিয়ে রেখেছ, যেখানে পানি নেই এবং তাদের সঙ্গেও পানি নেই। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি আমাকে অনেক বকাবকি করলেন। এমনকি তিনি হাত দ্বারা আমার কোমরে খোঁচা মারতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার ঊরুর উপর মাথা রেখে শুয়ে থাকার কারণে আমি নড়াচড়াও করতে পারছিলাম না। এমনি পানি না থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ সকাল পর্যন্ত ঘুমন্ত থাকলেন। </div><div><br /></div><div>তখন আল্লাহ্ তা‘আলা তায়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ করলেন এবং সকলেই তায়াম্মুম করলেন। উসাইদ ইবনু হুযাইর (রাঃ) বলেন, হে আবূ বকর (রাঃ) এঁর পরিবারবর্গ! এটা আপনাদের প্রথম বরকত নয়। আয়িশা (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা সে উটটিকে উঠালাম যে উটের উপর আমি সাওয়ার ছিলাম। আমরা হারটি তার নীচে পেয়ে গেলাম। (সহীহ বুখারী ৩৬৭২)</div><div><br /></div><div>অন্য বর্ণনায় রয়েছে, উসায়দ ইব্‌নু হুযায়র (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেনঃ আল্লাহ্‌ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন। আল্লাহ্‌র কসম! আপনি যে কোন অপছন্দনীয় অবস্থার মুখোমুখী হয়েছেন, তাতেই আল্লাহ্‌ তা’আলা আপনার ও সমস্ত মুসলমানের জন্য মঙ্গল রেখেছেন। (সহীহ বুখারী ৩৩৬)</div><div><br /></div><div>সুবহানাল্লাহ!! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তায়াম্মুমের আয়াত নাজিলের কত সুন্দর প্রেক্ষাপট তৈরি করলেন!! এভাবে আম্মাজান আয়িশা রাঃ এঁর পবিত্রতা বর্ণনার প্রেক্ষাপটও তৈরি করেছিলেন শ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা। অথচ মুনাফিকরা এসব ঘটনা দিয়ে প্রিয় নবী ﷺ এঁর জ্ঞান নিয়ে সমালোচনা করে (নাউজুবিল্লাহ)। তখন তাদের মনে থাকেনা আল্লাহ'র বাণীঃ</div><div><br /></div><div>"পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।" (সূরা বাকারাহঃ ২১৬)</div><div><br /></div><div>শুধুমাত্র বর্তমানের মুনাফিকরাই তাঁর জ্ঞান সমালোচনা করে এমন নই বরং আমার নবীজির যুগেও এমন মুনাফিকরা ছিল।</div><div><br /></div><div>তাফসীরে খাযেনে, "(হে সর্বসাধারণ!) আল্লাহর শান/রীতি এ নয় যে, তোমাদেরকে অদৃশ্যের জ্ঞান দিয়ে দেবেন। তবে আল্লাহ নির্বাচিত করে নেন তার রাসূলগণের মধ্য থেকে যাঁকে চান। সুতরাং ঈমান আনো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং যদি তোমরা ঈমান আনো এবং পরহেযগারী অবলম্বন করো, তবে তোমাদের জন্য মহা প্রতিদান রয়েছে।" (সূরা আলে ইমরানঃ ১৭৯) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় রয়েছে, </div><div><br /></div><div>(একদিন) প্রিয় নবী ﷺ বলেন, আমাকে বলে দেয়া হয়েছে কে আমার উপর ঈমান আনবে আর কে আমাকে অস্বীকার করবে। যখন এ খবর মুনাফিকদের কাছে পৌঁছালো, তখন তারা হেসে বলতে লাগলো, হুযুর ﷺ ওসব লোকদের জন্মের আগেই তাদের মুমিন ও কাফির হওয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে গেছেন, অথচ আমরা তাঁর সাথেই আছি কিন্তু আমাদেরকে চিনতে পারেন নি।’ এ খবর যখন হুযুর ﷺ এঁর নিকট পৌঁছলো, তখন তিনি মিম্বরের উপর দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করে ইরশাদ ফরমান এসব লোকদের কি যে হলো, আমার জ্ঞান নিয়ে বিরূপ সমালোচনা করছে। এখন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যে কোন বিষয় সম্পর্কে তোমরা আমাকে জিজ্ঞাস করো, আমি অবশ্যই বলে দিব।’’ [ইমাম খাযেন: লুকাবুত তা’ভীল: ১/৩২৪ পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪১৫হি.]</div><div><br /></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ ফজর হতে মাগরিব পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নামাজসমূহ আদায়ের পরপর মিম্বরে আরোহণ করে খুতবা (বর্ণনা) দিতে থাকেন। এতে তিনি পূর্বে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে সব জানিয়ে দেন। (সহীহ মুসলিম ৭১৫৯)</div><div><br /></div><div>তিনি ﷺ সৃষ্টির সূচনা সম্পর্কে জ্ঞাত করলেন। অবশেষে তিনি জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীর নিজ নিজ নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করার কথাও উল্লেখ করেন। যাদের স্মরণশক্তি ভাল ছিল, তারা এগুলো স্মরণ রাখতে পেরেছেন। (সহীহ বুখারী ৩১৯২) </div><div><br /></div><div>তিনি ﷺ কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে বলে জানান সেসবের কিছু ঘটলেই সাহাবায়ে কেরাম তা স্মরণ করতে পারতেন যেভাবে কেউ তার পরিচিত লোকের অনুপস্থিতিতে তার চেহারা স্মরণ রাখে। অতঃপর তাকে দেখা মাত্র চিনে ফেলে। (সুনান আবূ দাউদ ৪২৪০) </div><div><br /></div><div>হুযায়ফা (রাঃ) আল্লাহ্‌র কসম করে বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কিয়ামত পর্যন্ত ফিতনা সৃষ্টিকারী কোন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করতে বাদ দেননি, যাদের সংখ্যা হবে তিনশ’রও বেশী। তিনি তাদের নাম, তাদের পিতার নাম এবং তাদের গোত্রের নামও উল্লেখ করেন। (সূনান আবু দাউদ ৪২৪১)</div><div><br /></div><div>এছাড়াও রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, দাজ্জালের সংবাদ সংগ্রাহক দলের প্রতিটি ব্যক্তির নাম, তাদের বাপ-দাদার নাম এবং তাদের ঘোড়ার রং সম্পর্কেও তিনি অবগত আছেন। (সহীহ মুসলিম ৭১৭)</div><div><br /></div><div>প্রিয় নবী ﷺ মিম্বরে আরোহণ করে ঘোষণা করলেন, তোমরা আমাকে যা-ই প্রশ্ন করবে, আমি তারই উত্তর প্রদান করব। অতঃপর এমন এক ব্যক্তি, যাকে পারস্পরিক বাকবিতণ্ডার সময় অন্য এক ব্যক্তির (যে প্রকৃতপক্ষে তার পিতা নয়) সন্তান বলে সম্বোধন করা হতো, (তিনি) উঠে তার পিতার নাম জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি ﷺ উত্তর দিলেন, তোমার পিতা হুযাফা। (সহীহ বুখারী ৭০৮৯)</div><div><br /></div><div>ইমাম বুখারী রহঃ উল্লেখ করেন, ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, কিছু লোক ছিল তারা ঠাট্টা করে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে প্রশ্ন করত, কেউ বলত আমার পিতা কে? আবার কেউ বলত আমার উষ্ট্রী হারিয়ে গেছে তা কোথায়? তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেছেন- "ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা এমন বিষয়ে প্রশ্ন করো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হলে তোমাদের খারাপ লাগবে।" (সূরা মায়িদাহঃ ৫/১০১)(সহীহ বুখারী ৪৬২২)</div><div><br /></div><div>হায়!! আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় নবীজি ﷺ সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব বলে দেয়া সত্ত্বেও এরা কারা!! যারা তাঁর জ্ঞান নিয়ে সমালোচনা করে!! এছাড়াও</div><div><br /></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা গোটা পৃথিবীকে ভাজ করে আমার সামনে রেখে দিলেন। অতঃপর আমি এর পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত দেখে নিয়েছি। পৃথিবীর যে পরিমাণ অংশ গুটিয়ে আমার সম্মুখে রাখা হয়েছিল সে পর্যন্ত আমার উম্মতের রাজত্ব পৌছবে। আমাকে লাল ও সাদা দুই প্রকারের ধনাগার দেয়া হয়েছে। (সহীহ মুসলিম ৭১৫০)</div><div><br /></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আমার সামনে সকল উম্মতকে পেশ করা হয়েছিল। (সহীহ বুখারী ৫৭০৫) </div><div><br /></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আমার উম্মতের সমস্ত আমল আমার সামনে পেশ করা হয়েছিল।</div><div>(সহীহ মুসলিম ১১২০) </div><div><br /></div><div>আম্মাজান আয়িশাহ্ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ এমন কোন জিনিস নেই যা আমাকে দেখানো হয়নি আমি এ জায়গা হতে সব কিছুই দেখেছি। এমন কি জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলাম। (সহীহ বুখারী ৯২২)</div><div><br /></div><div style="text-align: justify;">আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তোমরা কি মনে কর যে, আমার দৃষ্টি (কেবল) ক্বিবলার দিকে? আল্লাহর কসম! আমার নিকট তোমাদের খুশু’ (বিনয়) ও রুকূ’ কিছুই গোপন থাকে না। অবশ্যই আমি আমার পেছন হতেও তোমাদের দেখতে পাই। (সহীহ বুখারী ৪১৮)</div>

হযরত আয়িশা রাঃ এঁর হার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার অপব্যাখ্যার জবাব

আম্মাজান আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সঙ্গে এক যুদ্ধ সফরে গিয়েছিলাম। আমরা যখন বায়দা অথবা যাতুল জায়শ নামক স্থানে গিয়েছিলাম; তখন আ...

Read more »

ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক

<div><div style="text-align: justify;">ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক<br></div><div style="text-align: justify;">          ------- মো. শওকত হোসেন চৌধুরী রিপন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">   ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। মানুষের সামাজিক জীবন,পারিবারিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন কিভাবে পরিচালনা করবে ইসলাম তার সঠিক রুপরেখা দিয়েছেন।ইসলাম একদিকে যেমন হালাল রুজির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।ঠিক তেমন ভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছে মালিক শ্রমিকের সুসম্পর্ক ও শ্রমিকের মর্যাদা উপর।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বর্তমান সমাজে শ্রমিকদের  কোন সামাজিক মর্যাদা নেই বললেই চলে।কিন্তু ইসলামে কোন বৈধ শ্রমের অমর্যাদা করে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেন-"আল্লাহ দুনিয়াতে এমন কোন নবী পাঠাননি যিনি ছাগল ও ভেড়া চরাননি। তখন সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আপনিও? </div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হ্যাঁ! আমিও কয়েক কীরাতের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল ও ভেড়া চরাতাম।" [বুখারী-হাদীস নং ১৩৪০]।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পবিত্র কুরআনে সূরা আল-বালাদ ৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,"নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।" সারাবিশ্ব যখন শ্রমিকের রক্ত শুষে সভ্যতার বিনির্মানে ব্যস্ত সেখানে একমাত্র মানবতার ধর্ম ইসলামেই শ্রমিক বান্ধব শ্রমনীতি দিয়েছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলাম শ্রমিকের সঙ্গে নম্র ও ভদ্র আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছে।।আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের অধীনস্থরা তোমাদের ভাই।তোমরা যা খাও এবং পরিধান করো তাদেরকেও তা খাওয়াও এবং পরিধান করাও।আর তাদেরকে তাদের সাধ্যের বাহিরে অতিরিক্ত কোনো কাজ চাপিয়ে দিও না।(বুখারী ও মুসলিম)।বর্তমানে শ্রমিকদের মানুষ বলে মনে করেন না মালিক পক্ষ। কিন্তু ইসলাম বলে চাকর ও খাদেমদের তোমরা সাথে নিয়ে খাও (সহীহ মুসলিম)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শ্রমিক নির্যাতন সম্পর্কে হুসিয়ারী করে পবিত্র কোরআনে সূরা ইউনুচ,২৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,তোমাদের যুলুম তোমাদের উপর বর্তাবে। </div><div style="text-align: justify;">শ্রমিক নির্যাতনের বিষয়ে সতর্ক করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন</div><div style="text-align: justify;">শ্রমিকের সাথে দৃর্ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না।(জামে তিরমিজী, ইবনে মাজাহ)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শ্রমিকের পারিশ্রমিক এটা শ্রমিকের হক্ক অথচ বর্তমানে মালিকপক্ষে কাজ আদায়ের পর শ্রমিকের পারিশ্রমিক প্রদানের ক্ষেত্রে ঘড়িমসি করে। এ বিষয়ে আল আদাবুল মুফরাদ এ আছে অধীনস্থদের হক্ব প্রদানে আল্লাহ কে ভয় করো।এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,শ্রমিকের মজুরী নির্ধারণ না করে তাকে কাজে নিয়োগ দিও না। (বুখারী)" মজুরি প্রদানের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমরা শ্রমিককে তার ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।" (ইবনে মাজাহ)</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন -"মহান আল্লাহ বলেন, ক্বিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব। যে আমার নামে কোন চুক্তি করে তা বাতিল করেছে। যে ব্যক্তি কোন স্বাধীন মানুষকে বিক্রি করেছে এবং যে শ্রমিকের দ্বারা পুরোপুরি কাজ আদায় করে নিয়েছে, কিন্তু তার পারিশ্রমিক প্রদান করেনি।" [বুখারী-হাদীস নং ১৩২০]।হাদিসে আরো আছে, আল্লাহ তার সাথে ঝগড়া করবেন,যে ব্যক্তি মজুরের দ্বারা কাজ পুরোপুরি করে নিয়েছে কিন্তু তার পারিশ্রমিক দেয় নি।(বুখারী)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> ইসলাম একদিকে যেমন শ্রমিকের মর্যাদা ও নিরাপত্তার দিকে গুরুত্ব দিয়েছে অন্য দিকে মালিকপক্ষের স্বার্থ বিষয়ের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছে।সহি বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে,কর্মচারী বা শ্রমিক তার মালিকের সম্পদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আজ আমরা সমাজে দেখি মালিক ও শ্রমিক দুই মেরুর বাসিন্দার মত।মালিকপক্ষ শ্রমিকের উপর জুলুম/নির্যাতন করে অন্য দিকে শ্রমিকপক্ষ মালিকের হক্ব/সম্পদ নষ্ট বা অপচয় করে।শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ করতে এবং মালিক ও শ্রমিকের মাঝে ভ্রতৃতের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাইলে ৯৫% মুসলমানের এ দেশে ইসলামিক শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।</div></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div><div id="m#msg-f:1698467038955824092" class="mail-message expanded" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><div class="mail-message-footer spacer collapsible" style="height: 0px;"></div></div></div>

ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক

ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক           ------- মো. শওকত হোসেন চৌধুরী রিপন    ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। মানুষের ...

Read more »

আরিফ আজাদ সাহেবের মিথ্যাচার

<div>আরিফ আজাদ সাহেবের ভ্রান্ত দালিলিক পোস্টের যথার্থতা নিরূপনঃ_____________________________</div><div><br /></div><div>আরিফ আজাদ সাহেব— 'নবীজীবনের গল্প' বইয়ে হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্রলিখন সম্বলিত একটি মনগড়া   ভুল লাইনের ডিফেন্স করতে গিয়ে এমন একটি পোস্ট করেন যেখানে তিনি আরো ভুল তথ্য দিয়ে নিজের কথাকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন।আমি আমার স্বল্পজ্ঞান দ্বারা উনার এ ধরণের লেখনীর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। </div><div><br /></div><div>প্রথমে তার ভুল লাইনটি দেখুন<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgn1mmoo9OoH9RBXS6oP2ahQOJ4R2felEdfffXkLdul3kSVxDhS09AikfQuoeTfUM0QLo9On-3YRJT5L1ycEWOD4KvMHKL14ZWZYTJjjh915zPv3vADcL4QyOOTWJsakkE8ijabBWpB1FbQ/s1600/FB_IMG_1619108561943.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="761" data-original-width="462" height="772" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgn1mmoo9OoH9RBXS6oP2ahQOJ4R2felEdfffXkLdul3kSVxDhS09AikfQuoeTfUM0QLo9On-3YRJT5L1ycEWOD4KvMHKL14ZWZYTJjjh915zPv3vADcL4QyOOTWJsakkE8ijabBWpB1FbQ/s1600-rw/FB_IMG_1619108561943.jpg" title="" width="469" /></a></div><br /></div></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div>উনি ঐ পোস্টে  দলিল দেন এভাবে—</div><div><br /></div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg0lBGQH-ZkmlMagHNmTUlfmTC33BATFX_o-oX09RPTt-mMIoURUxYgxsqTppcuMDJ7ZQRYZo_auCZgPElGdl64A-sBfDAWN_t3wMRp_PTFGqIAfTennE1uR1sXrrgR18xnq9FTN4ebDphN/s1600/IMG_20210425_014544.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1780" data-original-width="1079" height="877" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg0lBGQH-ZkmlMagHNmTUlfmTC33BATFX_o-oX09RPTt-mMIoURUxYgxsqTppcuMDJ7ZQRYZo_auCZgPElGdl64A-sBfDAWN_t3wMRp_PTFGqIAfTennE1uR1sXrrgR18xnq9FTN4ebDphN/s1600-rw/IMG_20210425_014544.jpg" title="" width="532" /></a></div><br /></div><div>➤এখন আমি তুলে ধরছি সত্য কি!প্রথম বক্সটির সত্যতা হলোঃ—</div><div>ইমাম ইবনে কাসীর এ আয়াতের ব্যাখ্যাতেই বলেন,</div><div><br /></div><blockquote><div style="text-align: right;"> <b><i><span style="color: red;">وهـذه صفة محمد ﷺ في كتب الأنبياء بشروا أممهم ببعثه وأمروهم بمتابعته، ولم تزل صفاته موجودة في كتبهم يعرفها علماؤهم وأحبارهم</span></i></b></div> — অর্থাৎ মুহাম্মদ (ﷺ)-এর এটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য যে, অন্যান্য নবীদের গ্রন্থেও তাঁর পরিচয় ও গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে যেন উনারা উনাদের উম্মতের লোকজনকে তাঁর ﷺ সুসংবাদ প্রদান করে এবং তাঁর আগমনের পর তাঁকে অনুসরণ করে। যেহেতু তাদের আসমানী কিতাবসমূহে সর্বদা বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান ছিল তাই তাদের উলামা ও মাশায়েখরা তাঁর(ﷺ) সম্যক পরিচয় সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত ছিলেন </blockquote><div>কিতাবে দেখুন(দারু ইবনে জওযী হতে প্রকাশিত)</div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiunxj3_E5ez1jk00axW1O8DeDdZNkukT-IGZSHyXjI60MuqdaZ-PX7VvE6vGkGHNWyQXPaMX6ysZLD6CX8ex7DSESs93h4BRDZUon40Y2G-wYEfHoEM9_wBo41vsthRkGhBepVQkMcLXDD/s1600/IMG_20210430_144908.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1673" data-original-width="1080" height="915" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiunxj3_E5ez1jk00axW1O8DeDdZNkukT-IGZSHyXjI60MuqdaZ-PX7VvE6vGkGHNWyQXPaMX6ysZLD6CX8ex7DSESs93h4BRDZUon40Y2G-wYEfHoEM9_wBo41vsthRkGhBepVQkMcLXDD/s1600-rw/IMG_20210430_144908.jpg" title="" width="591" /></a></div><br /></div><div><br /></div><div> এরপর উনি(ইমাম ইবনে কাসীর) পর্যায়ক্রমে </div><div> ➤মুসনাদু আহমদের ২৩৪৯১নং জাইয়্যেদ সনদের হাদীস</div><div> ➤বায়হাক্বীর দালায়েলুন নবুয়তের ১/৩৮৫-৩৯০ বিশাল এক হাদীস</div><div> ➤জারির ত্বাবারীর একটি হাদীস</div><div> ➤বুখারীর ২১২৫নং হাদীস</div><div> ➤মু'জামুল কাবীরের ১৫৩৭ নং হাদীস</div><div> ➤আবু দাউদের ৪৬৫৬নং হাদীস</div><div> ➤মুসনাদু আহমদের ১৬০৫৭ ও ৯৭৫ নং হাদীস</div><div> — সহ আরো কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেন যা ''উম্মী" শব্দের ব্যাখ্যার আশেপাশেও যায়না বরং নবীজীর সিফাত বুঝায়।</div><div><br /></div><div>আমরা একটু অগ্রসর হয়ে  ১৫৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় শেষের দিকে গিয়ে ''উম্মী'' সম্পর্কে পেলাম  একটি লাইন,যা  কেবল বলা হচ্ছে এভাবে</div><blockquote><br /><div style="text-align: right;"><b style="font-size: 1.25em;"><span style="color: red;">النّبي الأمي أي: الذي وعدتم به وبشرتم به في الكتب المتقدمة فإنه منعوت بذلك في كتبهم، </span></b></div><div style="text-align: right;"><b style="font-size: 1.25em;"><span style="color: red;">ولهذا قال النّبي الأمي </span></b></div><div style="text-align: right;"><br /></div>— {উম্মী নবী} (দ্বারা বুঝানো হয়েছে,হে আহলে কিতাব) যেই উম্মী নবীর প্রতিশ্রুতি ও সুসংবাদ তোমাদেরকে পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থসমূহের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছিল ইনিই সেই নবী। উক্ত গ্রন্থসমূহে তাঁর এই পরিচয়ই প্রদান(মানে নবীয়্যে উম্মি) করা হয়েছে।<br />[সূত্রঃ তফসিরে ইবনে কাসীর,দারু ইবনে জওযী।]</blockquote><div> <br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdGv75HTHG4_ShZ4UnjOs92R8TP5gGU6K774SXv_X1kHN2xnl1pp9dAnoru-gdajhnyi5ZnvpWCNNUCSG__dCjYX_NJXCnT1H8vaJBsRPuFgDdnumWqtn-68ZqJTOu-zWNB9d5C_fMF5J_/s1600/IMG_20210430_145406.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1467" data-original-width="954" height="980" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhdGv75HTHG4_ShZ4UnjOs92R8TP5gGU6K774SXv_X1kHN2xnl1pp9dAnoru-gdajhnyi5ZnvpWCNNUCSG__dCjYX_NJXCnT1H8vaJBsRPuFgDdnumWqtn-68ZqJTOu-zWNB9d5C_fMF5J_/s1600-rw/IMG_20210430_145406.jpg" title="" width="638" /></a></div></div><div><br /></div><div>অতএব প্রমাণিত হলো,আরিফ আজাদের বলা —</div><div>«ইমাম ইবনে কাসীর, যিনি সারা দুনিয়ায় কুরআনের তাফসীরের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন, তিনি সুরা আল-আরাফের ওই ‘উম্মী’ শব্দের অর্থ করেছেন ‘যিনি পড়তে আর লিখতে জানেন না’।»</div><div><br /></div><div>— একটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।</div><div><br /></div><div>এরপর উনি বলেন,</div><div>২নং বক্স:</div><div>«ইমাম বাগাউয়ী তার বিখ্যাত তাফসির ‘তাফসির আল-বাগাউয়ী’-তে সুরা আল-আরাফের এই আয়াতের অর্থ করতে গিয়ে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন যেখানে ইবন আব্বাস  রাদিয়াল্লাহু আনহু স্পষ্ট করেছেন এই বলে যে,</div><div>‘তোমাদের নবি ছিলেন উম্মী— তিনি পড়তে, লিখতে আর গুনতে জানতেন না’। [২]</div><div>[২]. তাফসির আল-বাগাউয়ী, সুরা আল আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতের তাফসির দ্রষ্টব্য»</div><div><br /></div><div>➤সত্যিকারে উল্লেখ আছে—</div><div><br /></div><blockquote><b><i><span style="color: red;">قال ابن عباس رضي الله عنهما هو نبيكم كان أمياً لا يكتب ولا يقرأ ولا يحسب.</span></i></b><br /><br />— (এর অর্থ হবে) ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,তিনি হলেন উম্মী নবী।যিনি<br />➤<b>{তিনি (لا)/না, (يكتب)লিখেন}= লিখেন না<br />➤{তিনি (ولا)/না,(يقرأ)পড়েন}= পড়েন না<br />➤{তিনি (لا)/না, (يحسب)পাঠ করেন} = হিসাব/গনণা করেন না</b><br /> — এই হলো বাস্তব অর্থ।</blockquote><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiWgcIRNBHRHPI0phT-Sf7WNkiOlF-MStudUQiw20JrikYSCvI3-ragY_Im6XGOjnvrQzwfy4zwINZoicA8NUegxIO8SN4ddVAdkIDCaQOODtItmvB2wounnNmLsl_oCUilSS-w5al7IBd3/s1600/IMG_20210430_150019.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1654" data-original-width="1080" height="780" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiWgcIRNBHRHPI0phT-Sf7WNkiOlF-MStudUQiw20JrikYSCvI3-ragY_Im6XGOjnvrQzwfy4zwINZoicA8NUegxIO8SN4ddVAdkIDCaQOODtItmvB2wounnNmLsl_oCUilSS-w5al7IBd3/s1600-rw/IMG_20210430_150019.jpg" title="" width="510" /></a></div><br /></div><div>তিনি লিখতে জানতেন না এর আরবী হলো</div><div>[لا يستطيع الكتابة]</div><div>বা,তিনি পড়তে জানতেন না এর আরবী</div><div>[لا يستطيع القراءة]</div><div>আমি জানিনা,</div><div>আজাদ সাহেব মাঝে 'ইয়াস্তাত্বিউ' বা Ability to do something কোত্থেকে নিয়ে আসলেন।<br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div>আফসোস কিতাবের ইবারত কারচুপীকারকদের জন্য।কেননা পরের লাইন তুললেই সব পরিষ্কার হয়ে যেতো।</div><div><br /></div><div>ইমাম মুহিউসুন্নাহ বাগাবী বলেন—</div><blockquote><div style="text-align: right;"><b style="font-size: 1.25em;"><i><span style="color: red;">وهو منسوب إلى الأم، أي هو على ما ولدته أمه . وقيل هو منسوب إلى أمته، أصله أمتي فسقطت التاء في النسبة كما سقطت في المكي والمدني وقيل : هو منسوب إلى أم القرى وهي مكة.</span></i></b></div><b>— (উম্মী এর অর্থ) মাতৃসম্পর্কের দিকেও হতে পারে,যেমন কেউ জম্ম গ্রহণ করার পর যে অবস্থায় থাকে (একেবারে মাসুম)।বলা যায়,এটা উম্মতের দিক থেকেও ('উম্মী') নির্দেশ করে,যেরকম মক্কা-মদীনার সাথে সম্বন্ধ মাক্কী-মাদানী বুঝায়।আবার এটা দ্বারা উম্মুল ক্বোরা বা মক্কা শরীফও বুঝায়।</b></blockquote><div>[তফসিরে মা'আলিমুত্তানযীল বা বাগাভী,৩য় খন্ড,দারু তাইয়্যেবা,রিয়াদ,সউদী আরব]</div><div><br /></div><div><br /></div><div>৩ নং বক্স এ আরিফ আজাদ বলেন,</div><div>«একই হাদিস টেনে আয়াতটার অর্থ করেছেন আরেক বিখ্যাত তাফসিরকারক ইমাম কুরতুবি তার বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থ ‘তাফসির আল-কুরতুবি’-তে»</div><div><br /></div><div>➤আমরা এর জবাব দিয়েছি।কিন্তু অন্যত্র ইমাম ক্বুরতুবী কি বললেন সেটা লেখক আর উল্লেখ করলেন না।ইমাম বলেন,</div><div><br /></div><blockquote><div style="text-align: right;"><b style="font-size: 1.25em;"><span style="color: red;">فكان ذلك خارقاً للعادة كما أنه عليه الصلوة والسلام علم علم الأولين والآخرين من غير تعلم ولا إكتساب فكان ذلك أبلغ في معجزاته</span></b></div>— (বুখারী ২৮৯৯ নং হাদীসে নবীজি লিখলেন এই ব্যাপারে উনি বলেন) কেননা,যেভাবে তিনি (আল্লাহ ব্যতীত) কারো কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করেই আদি-অন্তের সমস্ত বিদ্যা লাভ করেছিলেন, তেমনিভাবে শিক্ষাগ্রহণ ছাড়াই লিখতেও সক্ষম ছিলেন।এটা উনার অন্যতম মোজেযা।</blockquote><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmkK1ie5dXvcKifosDAaORnMU-En-B7NSOFhpoWgY0dgVhJnmo2OZ88y6dcC9E8XZi4WO2y8kLapR0n7NKg-EHMNXfu0OtHXdHVGHyj-OuwvPf2PM-JnDB-q0K6gsetcZcXlPDrdzfLcO0/s1600/IMG_20210430_150815.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1555" data-original-width="1079" height="786" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmkK1ie5dXvcKifosDAaORnMU-En-B7NSOFhpoWgY0dgVhJnmo2OZ88y6dcC9E8XZi4WO2y8kLapR0n7NKg-EHMNXfu0OtHXdHVGHyj-OuwvPf2PM-JnDB-q0K6gsetcZcXlPDrdzfLcO0/s1600-rw/IMG_20210430_150815.jpg" title="" width="546" /></a></div><br /></div><div>[তফসিরে ক্বুরতুবী,১৬/৩৭৪,মুওয়াসসাসাতুর রিসালা]</div><div><br /></div><div>এরপর……</div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjwB6ry8aUSFfYUU6QE2Wel_V09ynVN-oT8ZbXklwuErAdxy6l6wGkOV6Nu4sFhVqLvW2LpCO-_7bs6cBFFA82Itj5fxCPJ8Rfw3E9u5L34g49pvcCgir9ZMSppP6s3lk5xeTRNWuMoAYMN/s1600/IMG_20210425_014840.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1943" data-original-width="1079" height="996" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjwB6ry8aUSFfYUU6QE2Wel_V09ynVN-oT8ZbXklwuErAdxy6l6wGkOV6Nu4sFhVqLvW2LpCO-_7bs6cBFFA82Itj5fxCPJ8Rfw3E9u5L34g49pvcCgir9ZMSppP6s3lk5xeTRNWuMoAYMN/s1600-rw/IMG_20210425_014840.jpg" title="" width="553" /></a></div><br /></div><div>৪নং বক্সের তাফসির সালাফি, তাই কোনো কারণ ছাড়া আমরা ওর তাফসির নিবো না বা মানবো না!তাই খতিয়ে দেখার ও প্রয়োজন মনে করছিনা।</div><div><br /></div><div>লেখক অগ্রসর হলেন—</div><div>৫ নং বক্সঃ</div><div><br /></div><div>➤আর ইমাম ইবনে কাসীর উল্লেখ সত্যিকারে করেন,</div><blockquote><div style="text-align: right;"><b style="font-size: 1.25em;"><i><span style="color: red;">ثم قال تعالى: «وما كنت تتلوا من قبله، من كتب ولا تحظه بيمينك) أي: قد لبثت في قومك يا محمد من قبل أن تأتي بهذا القرآن عمراً لا تقرأ كتاباً ولا تحسن الكتابة بل كل أحد وغيرهم يعرف أنك رجل أمي لا تقرأ ولا تكتب، وهكذا صفته في </span></i></b></div><div style="text-align: right;"><span style="color: red;"><b style="font-size: 1.25em;"><i>الكتب المتقدمة</i></b><b style="font-size: 1.25em;"><i>،</i></b></span></div><span style="color: red;"><br /></span><div style="text-align: right;"><b style="font-size: 1.25em;"><i> </i></b></div><b>—(৪৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যা হল) "অর্থাৎ হে মুহাম্মদ ﷺ ! আপনার কওম ভালোভাবেই জানে যে,এই কুরান নাযিল হবার পূর্বে আপনি কখনো <br /></b><b>★কোনো কিতাব পড়তেন না= লা বা 'না' (لا)+তাক্বরাআল বা 'পড়তেন' (تقرأ)+কিতাবা(كتاباً)<br /></b><b>★এবং ভালোভাবে/সর্বদাই লিখতেন না = লা+ তাহসানা(تحسن) বা,ভালোভাবে/সর্বদাই + লিখতেন/ কাতাবাহ।<br /></b><b>বরঙ তারা প্রত্যেকে জানে যে,আপনি হলেন উম্মি (এই জায়গাটায় সে আবারো নিরক্ষর লিখেছে),<br /></b><b>আপনি লিখেন না (ولا تكتب) এবং পড়েন না(لا تقرأ)<br /></b><b>এবং  এভাবেই আমি পূর্বের কিতাব সমূহে (আপনার কথা) আলোচনা করেছি।"</b><b><br /></b><b>এবং,আল্লামা ইবনে কাসীর হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্র লেখার ব্যাপারে বলেন<br /></b><b>أنه كتب ذلك على وجه المعجزة لا أنه كان يحسن الكتابة<br /></b><b>—এটা ছিলো নবীপাকে মোজেযা,যা সর্বদা লিখতেন এমনটা প্রকাশ করেনা।<br /></b><b>অর্থাৎ,ইবনে কাসীর র. নবীজী 'লিখতেন' কে মোজেযার অন্তর্গত করেছেন।</b></blockquote><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhNsZhW5zyiwEZ6jm1ufIMJfEErE6Wc2JdxkqK-7mqStXmTPlUwGF5XK3XFU75x5dumg9uOnPjWXX-ATSflKzi8xaAEqXIQP9q2JIpVnH-YyzW3NoZu_hqqzPj8ryzCogzhPZXaMMDCqFeo/s1600/IMG_20210430_151457.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1489" data-original-width="962" height="940" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhNsZhW5zyiwEZ6jm1ufIMJfEErE6Wc2JdxkqK-7mqStXmTPlUwGF5XK3XFU75x5dumg9uOnPjWXX-ATSflKzi8xaAEqXIQP9q2JIpVnH-YyzW3NoZu_hqqzPj8ryzCogzhPZXaMMDCqFeo/s1600-rw/IMG_20210430_151457.jpg" title="" width="608" /></a></div><br /></div><div><br /></div><div>[তাফসিরে ইবনে কাছীর,৬/৬৮,দারু ইবনে জাওযী]</div><div><br /></div><div>আর এ ব্যাপারে মন্তব্য করবো,এধরণের খেয়ানতিপূর্ণ অনুবাদ দ্বারা তরূণ সমাজকে বিভ্রান্ত করার কোনো মানে নেই।</div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg1Z3m-BcNZyqQVewIwytMiK9chjvBO3R3m2TY-i903azw5IY8mF_ND9U1bO1CVhASH4wEJSlG6XErCZgDkwO1hJb_sRdRx0-aeHjQt8bsx9s7fgV48Zy9myDMl9ky6fsSFKdJpUi84saNI/s1600/IMG_20210425_015837.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="2340" data-original-width="1080" height="1115" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg1Z3m-BcNZyqQVewIwytMiK9chjvBO3R3m2TY-i903azw5IY8mF_ND9U1bO1CVhASH4wEJSlG6XErCZgDkwO1hJb_sRdRx0-aeHjQt8bsx9s7fgV48Zy9myDMl9ky6fsSFKdJpUi84saNI/s1600-rw/IMG_20210425_015837.jpg" title="" width="515" /></a></div><br /></div><div>৬ নং বক্সে:</div><div>বড়ো আশ্চর্য হয়েছিলাম এই রেফারেন্স ক্রস চেক করতে গিয়ে।লেখক বাংলা অনুবাদের উপরেই যে কেবল নির্ভরশীল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। </div><div><br /></div><div>খেয়ানত দেখুন আরিফ আজাদের,যিনি সর্বস্ব চেষ্টা করেছেন নবীজী পড়ালেখা জানতেন না এটা প্রমাণ করতে। শায়খুল ইসলাম মুফতি ত্বকী উসমানি লিখেন,</div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEilRS6NZcxo3TiIX_xAw3Xu1OiKd-6mPl39pJcMQ2PZ3Th6J9jitFnUVM5iiLEmRLj0VX9GyYK59K8TobASuKCVQ4F8LAM0HaCQIeiMP2ZygST5UiJB8fY8G523FKYi6VeDyMAFuiub_cyG/s1600/IMG_20210424_235219.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1678" data-original-width="1080" height="922" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEilRS6NZcxo3TiIX_xAw3Xu1OiKd-6mPl39pJcMQ2PZ3Th6J9jitFnUVM5iiLEmRLj0VX9GyYK59K8TobASuKCVQ4F8LAM0HaCQIeiMP2ZygST5UiJB8fY8G523FKYi6VeDyMAFuiub_cyG/s1600-rw/IMG_20210424_235219.jpg" title="" width="594" /></a></div><br /></div><blockquote><b>"হুযুর নবী কারীম ﷺ কো আল্লাহ নে উম্মী বানায়া,আঁপ লিখতে পাড়তে নেহি হ্যায়"। (সুবহানাল্লাহ)<br /></b><b>—অর্থাৎ,আল্লাহ নবীজীকে উম্মী বানিয়েছেন।উনি লিখতেন পড়তেন না।</b></blockquote><div><br /></div><div>'আঁপ লিখ নেহি সাক্তে(লিখতে জানেন না),পাড় নেহি সাক্তে(পড়তে জানেন না),হুজুর কো লিখনা নেহী আতা(লেখনী উনার হাত দিয়ে আসেনা'' কথাগুলো একটাও উল্লেখ নেই।</div><div><br /></div><div><br /></div><div>এরপর</div><div><br /></div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgX8odvw6ywDucAw0lesQIMFfkJZmdp2zDAXB_LHzK2zt0WcYR13ERRIkI1U3XUHOaGFnyoox1y-i12nWY5Tbu_c1BK1hWGyhhoDWC2HqCZ0LGRY4SzMmBsUesUYhNKCS2-jNuALtK-YG6d/s1600/IMG_20210425_020012.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="2058" data-original-width="1080" height="1133" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgX8odvw6ywDucAw0lesQIMFfkJZmdp2zDAXB_LHzK2zt0WcYR13ERRIkI1U3XUHOaGFnyoox1y-i12nWY5Tbu_c1BK1hWGyhhoDWC2HqCZ0LGRY4SzMmBsUesUYhNKCS2-jNuALtK-YG6d/s1600-rw/IMG_20210425_020012.jpg" title="" width="595" /></a></div><br /></div><div><br /></div><div>৭.</div><div>আমি আজব হচ্ছিলাম, এরকম সিরিয়াল ফল্টের ভান্ডার দেখে।লেখক বলেন</div><div>«বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসায় বহুল পঠিত তাফসির হলো তাফসিরে জালালাইন। সেই বিখ্যাত তাফসিরের তাফসিরকারক সুরা আল-আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতের ‘উম্মী’ শব্দের ব্যাখ্যায় বলেন»</div><div><br /></div><div>উনি এখানে যে 'জালালাইন' এর কথা বলেছেন তা হল 'বাংলা জালালাইন' এবং তার ২য় খণ্ডের সম্পাদক মওলানা আহমদ মায়মূন,যিনি কওমী অঙ্গনের আলেম।তাই এই কিতাব কওমীদের।</div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhgMPkckjVpF2m9iMGcJtMWv58euBjwq1EAcDvdmyue3Esajrqdgoh-4olZAUNkygHoXXQGus1BBDChAv8jcJNK6nTSmImWuhSuqB_r_QBvD9S8g_rHu4SfYjNdOsqpPmUUizDHrT06nlkr/s1600/Screenshot_2021-04-30-15-19-29-91.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1517" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhgMPkckjVpF2m9iMGcJtMWv58euBjwq1EAcDvdmyue3Esajrqdgoh-4olZAUNkygHoXXQGus1BBDChAv8jcJNK6nTSmImWuhSuqB_r_QBvD9S8g_rHu4SfYjNdOsqpPmUUizDHrT06nlkr/s1600-rw/Screenshot_2021-04-30-15-19-29-91.jpg" width="227" /></a></div><br /></div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhApA7ErNyxdzkEIJfa8SI46bWAI-KpLIG2HXdPY_Wad3UAtD3Dj609-7XXFI0BeBukVz7qL2LTZ8KS2uwXpcVmod5lDZjXJQ_mL2teS8_94L2BhUhEK5N2-RjaiicIPRFsJjOsL5DtPzpN/s1600/IMG_20210430_152037.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1698" data-original-width="1080" height="485" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhApA7ErNyxdzkEIJfa8SI46bWAI-KpLIG2HXdPY_Wad3UAtD3Dj609-7XXFI0BeBukVz7qL2LTZ8KS2uwXpcVmod5lDZjXJQ_mL2teS8_94L2BhUhEK5N2-RjaiicIPRFsJjOsL5DtPzpN/s1600-rw/IMG_20210430_152037.jpg" title="" width="309" /></a></div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div>আলিয়া মাদ্রাসায় যেটা পড়ানো হয় তার কথায় কি আছে তা আমি লিখছি।<br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div>➤জালালাইনের লেখক মূল কিতাবে কেবল ''উম্মী'' শব্দের পাশে এর অর্থ বা তাফসীরে 'মুহাম্মাদ ﷺ' ই লিখেছেন।আর এর হাশিয়া বা টীকা-টীপ্পনি তে দেখা যায়,</div><blockquote><div style="text-align: right;"><b style="font-size: 1.25em;"><i><span style="color: red;">الأمي: نسبة إلى الأم كأنه باق على حالته التي ولد عليها، والمراد به الذي لا يقرأ الخط ولا يكتب، وهذا الوصف من خصوصياته ﷺ إذ كثير من الأنبياء كان يكتب ويقرأ. (تفسير الكرخي)</span></i></b></div><br /><b>—তফসীরে কারখীর সূত্রে উল্লেখ আছে,'উম্মী' শব্দটি নিসবত 'উম্ম' বা 'মা' বা মূলের দিকে। অর্থাৎ,একটি নবজাতক শিশু যে অবস্থায় থাকে সর্বদা অই অবস্থায় থাকা(মাসুম থাকা)।যার মুরাদ বা অর্থ হলো যে কোনো কিছুই পড়েনা বা কোনো কিছুই লিখেনা।এবং এটা নবীজীর একটা বিশেষ সিফাত।অন্যদিকে অধিকাংশ নবীরাই লিখতেন এবং পড়তেন।</b></blockquote><div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQpL_3ljD1BfwbkyZBtFOr1w5alfYXRBfd1poOsgsbv0G5RC1EapKQPCXFm-6Vp961GuQ5jh25GoWes6YspZ-qpW5z_UHve6eF-83iGJiC-C2Oqf5Yurm7K01R0On8Gr361JCRz-Z_yQX0/s1600/Screenshot_2021-04-30-15-25-15-47.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1354" data-original-width="1007" height="855" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQpL_3ljD1BfwbkyZBtFOr1w5alfYXRBfd1poOsgsbv0G5RC1EapKQPCXFm-6Vp961GuQ5jh25GoWes6YspZ-qpW5z_UHve6eF-83iGJiC-C2Oqf5Yurm7K01R0On8Gr361JCRz-Z_yQX0/s1600-rw/Screenshot_2021-04-30-15-25-15-47.jpg" title="" width="636" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZP_vcazKmNOKIR4Wjyc0ePodam01VkOj_LpjeCSt63_raGzaYqpZSyaOZEfjCVd1tOkp03SLZfdz8hDE-wN0U6FIUTMjamMNClbjNd-MwgsPLQDOpaT_UzkCcg_j1AtesDxqjBwS0EjdO/s1600/IMG_20210430_152816.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="2137" data-original-width="1080" height="1319" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZP_vcazKmNOKIR4Wjyc0ePodam01VkOj_LpjeCSt63_raGzaYqpZSyaOZEfjCVd1tOkp03SLZfdz8hDE-wN0U6FIUTMjamMNClbjNd-MwgsPLQDOpaT_UzkCcg_j1AtesDxqjBwS0EjdO/s1600-rw/IMG_20210430_152816.jpg" title="" width="667" /></a></div><br /></div>[বুশরা পাব্লিকেশন,পাকিস্তান।]</div><div><br /></div><div><br /></div><div>এতসব এক্সপোজের পর আর হাদীসের দিকে গেলাম না।কেননা,তিনি যেখানে 'হাতে না লেখা প্রমাণ করতে চেয়েছেন',তা ইমাম ক্বুরতুবী ইমাম ইবনে কাসীর দ্বারা মোযেজা বলে গণ্য হয়েছে।ইমাম বদরুদ্দীন আইনী 'উমদাতুল কারী'তে,ইমাম আলূসী 'রুহুল মাআনী' তে স্পষ্ট বলেছেন নবীজি লিখার ক্ষমতা রাখতেন,কিন্ত সাধারণভাবে তারজন্য অনুমতিপ্রাপ্ত নন।</div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZRAmN0H_A-9HwUnlHKjzi6HRUESw1VUdXI4HGUqXtEiUsz_yCgwyp72VIjddoN7BxeiyD1RIHaRAdQgInGydiyiw40toTQaRtzrjU9Vo97rRPyRbFM-WneweLwCGqm4QvFrKd2x9Jd-1v/s1600/IMG_20210425_020255.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1800" data-original-width="1079" height="318" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZRAmN0H_A-9HwUnlHKjzi6HRUESw1VUdXI4HGUqXtEiUsz_yCgwyp72VIjddoN7BxeiyD1RIHaRAdQgInGydiyiw40toTQaRtzrjU9Vo97rRPyRbFM-WneweLwCGqm4QvFrKd2x9Jd-1v/s1600-rw/IMG_20210425_020255.jpg" title="" width="191" /></a></div><br /></div><br /></div><div>৮.</div><div>«আবার, ইমাম আয-যাহাবী তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিয়ারু ‘আলামীন নুবালা’-তে বলেছেন,</div><div>‘যদি ওইদিন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতে নিজের নাম লিখেছেন ধরেও নিই, তাতেও প্রমাণ হয় না যে তিনি লিখতে আর পড়তে জানতেন। কারণ, পৃথিবীর বহু মানুষ এমন আছে যে যারা পড়তে আর লিখতে জানে না, কিন্তু নিজের নামটা কেবল লিখতে পারে’।»</div><div><br /></div><div>এটা সিয়ারু আলামিন নুবালার বর্ণনা নয়। বরঙ এটা আবুল আলা মৌদুদী ধৃষ্টতার একটা স্বরূপ। এটা উল্লেখ আছে,তাফহিমুল কুরআন,৩য় খন্ড ৭১৩,৭১৪ পৃষ্ঠায়,এদারায়ে তরজুমানুল কুরআন,লাহোর হতে প্রকাশিত। </div><div><br /></div><div>সর্বোপরি একজন দেশবরেণ্য লেখকের কাছ থেকে।এধরণের পোস্ট কাম্য নয়।ভুল কে শুধরাতে পারাটাও একটা বড় গুণ।</div>

আরিফ আজাদ সাহেবের মিথ্যাচার

আরিফ আজাদ সাহেবের ভ্রান্ত দালিলিক পোস্টের যথার্থতা নিরূপনঃ_____________________________ আরিফ আজাদ সাহেব— 'নবীজীবনের গল্প' বইয়ে হুদায়...

Read more »

বদর যুদ্ধ ও শানে মুস্তফা ﷺ

<div style="text-align: justify;">বদর যুদ্ধের আগের দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ এটা আগামীকাল অমুকের নিহত হওয়ার স্থান, এ বলে তিনি যমীনের উপর হাত রাখলেন। এটা আগামীকাল অমুকের নিহত হওয়ার স্থান, এ বলে তিনি নির্দিষ্ট স্থানে তাঁর হাত রাখলেন। এ হলো আগামীকাল অমুকের নিহত হওয়ার স্থান এবং এ বলে তিনি নির্দিষ্ট স্থানে তাঁর হাত রাখলেন।</div><div><br /></div><div>আনাস (রাঃ) বলেন, সেই সত্ত্বার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! কাফিরদের কেউই রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর হাত রাখার নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করেনি (তারা ঐ নির্দিষ্ট স্থানেই নিহত হয়)। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর নির্দেশ মোতাবেক ওদের লাশের পা ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে বদরের একটি অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করা হয়। (সুনান আবূ দাউদ ২৬৮১, সহিহ মুসলিম ৪৫১৩)</div><div><br /></div><div>পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআ'লা বলেন, "(হে সর্বসাধারণ!) আল্লাহর শান/ রীতি এই নয় যে, তোমাদেরকে অদৃশ্যের জ্ঞান দিয়ে দেবেন। তবে আল্লাহ নির্বাচিত করে নেন তার রাসূলগণের মধ্য থেকে যাঁকে চান। সুতরাং ঈমান আনো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং যদি তোমরা ঈমান আনো এবং পরহেযগারী অবলম্বন করো, তবে তোমাদের জন্য মহা প্রতিদান রয়েছে।" (সূরা আলে ইমরানঃ ১৭৯)</div><div><br /></div><div>"তিনি (আল্লাহ) অদৃশ্যের জ্ঞানী, আর তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না, (কিন্তু) রাসূলের মধ্যে যাঁকে তিনি মনোনয়ন করেছেন তাঁকে ব্যতীত। (সূরা জ্বীনঃ ২৬-২৭)</div><div><br /></div><div>কোথায় হবে কাফিরদের মৃত্যুর বিছানা</div><div>পূর্বেই যে, তিনি ﷺ জানিয়ে দেন এসব নিশানা</div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েবে,তবুও কি বিশ্বাস আনবেনা</div>

বদর যুদ্ধ ও শানে মুস্তফা ﷺ

বদর যুদ্ধের আগের দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ এটা আগামীকাল অমুকের নিহত হওয়ার স্থান, এ বলে তিনি যমীনের উপর হাত রাখলেন। এটা আগামীকাল অমুকের নিহত হ...

Read more »

সিরিকোট শরীফের আউলিয়ায়ে কেরামের বাণী

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-ab8dfe97-7fff-f533-dcdf-a598d6a93df6"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛জামেয়া কী খেদমত্ কো আপ জুমলা ভাইয়োঁ ! নম্বরে আউয়াল্ মে রাক্ষেঁহ্, দুনিয়া কী ধান্ধোঁ আওর কামোঁ দোছরে, তেছরে নম্বর মে রাক্ষেঁহ্। উছী হিছাব ছে আপ্ ভাইয়োঁ কে ছাথ্ভী এয়্ছাহী মুয়ামালা হোগা, আপকে তামাম নেক কামোঁ কো উছী তরতীব্ ছে ছারাঞ্জাম্ দিয়া জায়েগা, ইনশা-আল্লাহ।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛মুঝ্ছে মুহাব্বত্ হ্যায় তো মাদ্রাসা কো মুহাব্বত করো, মুঝেহ্ দেখ্না হ্যায় তো মাদ্রাসা কো দেখো।❜ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛আপনি যাকাত কো চার হিস্সা করকে এক হিসসা জামেয়া কি মিসকিন তোলাবোঁ কো দিয়া করো, বাকী তিন হিসসা আপনে হক্বদার মিসকীনোঁ কো তক্বসীম কিয়া করো।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛কাম করো, ইসলাম কো বাচাঁও ! দ্বীন কো বাচাঁও! সাচ্ছা আলেম তৈয়ার করো!❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛খেদমতে জামেয়া আপ লোগোঁকে দো-জাহান কি কামিয়াবী আওর তরককী কা আজীমুশশান উছিলা হ্যাঁয়। খেদমতে জামেয়া মুর্শিদে বরহক্ব কী তরফ ছে বলকেহ্ হাজরাত কী তরফ ছে আপ্ ভাইয়োঁকী ডিউটী মে দাখেল হ্যাঁয়।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛আপ্ লোগোঁনে জামেয়া কা জিম্মা লিয়া, আওর মেরে ছাথ ওয়াদা কিয়া। আগর ইছমে গাফলতী কিয়া তো, রসূলুল্লাহ্ আওর বাজী আপ্ লোগোঁকো নেহী ছোড়েঙ্গে, মাইভী নেহী ছোড়োঙ্গা।❜ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛আপ্ জামেয়া কী খেদমত করে, জামেয়া আপ কী খেদমত করে গা।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛মুর্শিদ কী মনজুরে নজর বননেকে লিয়ে উচ্ -চে-মোহাব্বত্ মে কামাল্ হাসেল্ করনা নেহায়ত্ জরুরী হ্যায়।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: মুর্শিদ্ (পীর) এর প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য তাঁর প্রতি পূর্ণ ভালবাসা অত্যন্ত জরুরী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛হুজূর (ﷺ) কী মোহাব্বত আইনে ঈমান হ্যায়।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত (ﷺ) এর প্রতি ভালবাসাই প্রকৃত ঈমান।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛দোছরোঁ কী আইব জু-ঈ চে কোয়ী ফায়েদা নেহী❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থঃ অপরের ছিদ্রান্বেষণে কোন ফায়দা নেই।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛তৈয়্যব কা মক্বাম্ বহুত্ উচাঁ হ্যায়, তৈয়্যব্ মার্দজাদ্ অলী হ্যায়।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: তৈয়্যব শাহ্’র অবস্থান (মর্যাদা) অতীব উচ্চে, তৈয়্যব্ শাহ্ গর্ভজাত অলী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛আসহাবে কাহ্’ফ কা কুত্তা নেক্ লোগোঁ কী ছোহবত কী ওয়াজাহ্ চে জান্নাত’মে জায়েগা, অওর হজরত নূহ (عليه السلام) কে বেটা বুরোঁ কী ছোহবত কী ওয়াজাহ্ চে আযাবে ইলাহী চে বাচ্ ন চেকা, যবকে শয়তান কো নেক আমল অওর ইবাদত নে কুচ্ ফায়েদা ন দিয়া।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: আসহাবে কাহাফ্ এর কুকুর সৎলোকের সংশ্রবের কারণে জান্নাতে যাবে। আর হযরত নূহ (عليه السلام) এর সন্তান অসৎ লোকের সাহচর্যের কারণে আল্লাহর শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পায়নি; যেমনিভাবে, শয়তানকে স্বীয় সৎকার্য ও ইবাদত কোন উপকারিতা দেয়নি। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛রূহানী মোলাক্বাত কী পোখ্তগী কে লিয়ে জিসমানী মোলাক্বাত্ কা হো-না- নেহায়ত জরুরী হ্যায়।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p><div style="text-align: justify;"><br></div><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➬ ❛সিলসিলাহ মে দাখেল হো-নে কা মক্বসদ্ হুজূর করীম (ﷺ) তক্ রসা-ই-হ্যায়।❜</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: “ত্বরিক্বতের (পরম্পরা সূত্রে) প্রবেশ করার উদ্দেশ্য হলো হুজূর (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছা। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛ হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (رحمة الله)</span></p>

সিরিকোট শরীফের আউলিয়ায়ে কেরামের বাণী

➬ ❛জামেয়া কী খেদমত্ কো আপ জুমলা ভাইয়োঁ ! নম্বরে আউয়াল্ মে রাক্ষেঁহ্, দুনিয়া কী ধান্ধোঁ আওর কামোঁ দোছরে, তেছরে নম্বর মে রাক্ষেঁহ্। উছী হিছ...

Read more »

হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাঃ এঁর ওফাত দিবস

<div style="text-align: justify;">আজ ১৭ ই রমজান। উম্মাহাতুল মুমিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাঃ এঁর ওফাত দিবস, যিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হাদিস বর্ণনাকারী (২২১০ টি)।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjNpEsD_OdkL0dB8bgpXTKfhR5VOlQkm9tfZpUaQ4TLoMmWAc9ZHsUL5iXKyRCkiG86jsdjUMakWpE3VykE-H861VaD3DbzL03SPWFJzGQrhHctz7YrQ5ooQiun7Aa9pjNvr6-bCzD8okBA/s1600/FB_IMG_1619731529527.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="500" data-original-width="600" height="266" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjNpEsD_OdkL0dB8bgpXTKfhR5VOlQkm9tfZpUaQ4TLoMmWAc9ZHsUL5iXKyRCkiG86jsdjUMakWpE3VykE-H861VaD3DbzL03SPWFJzGQrhHctz7YrQ5ooQiun7Aa9pjNvr6-bCzD8okBA/s1600-rw/FB_IMG_1619731529527.jpg" width="320" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন ‘আয়িশা (রাঃ) এঁর মর্যাদা নারীদের উপর এমন যেমন সারীদের** মর্যাদা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের উপর। (সহীহ বুখারী ৩৭৭০, ৫৪২৮) **গোশত এবং রুটি দ্বারা তৈরী খাদ্য বিশেষ এর মর্যাদা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের উপর।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এক লোক আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)-এঁর নিকটে বসে আম্মাজান আয়িশা (রাঃ) প্রসঙ্গে কিছু বিরুপ মন্তব্য করলে আম্মার (রাঃ) বলেনঃ দূর হও পাপিষ্ঠ এখান থেকে! তুমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর প্রিয়তমাকে কষ্ট দিচ্ছ। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) বলেন, তিনি (আম্মাজান আয়িশাহ রাঃ) নবী ﷺ-এঁর স্ত্রী দুনিয়াতে এবং আখিরাতেও। (সূনান আত তিরমিজী ৩৮৮৮, ৩৮৮৯)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, হে আয়িশা! জিব্রীল (আঃ) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। তখন তিনি বললেন, ওয়া আলাইহিস্ সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর উদ্দেশ্যে বললেনঃ আমরা যা দেখছি না, তা আপনি দেখছেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, আপনি এমন কিছু দেখেন যা আমি দেখতে পাই না। (সুবহানাল্লাহ)</div><div style="text-align: justify;">(সহীহ বুখারী ৩২১৭, ৩৭৬৮, ৬২০১, ৬২৪৯)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান আয়িশা রাঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর রওজা জিয়ারতে যেতেন। বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং আবূ বকর রাঃ এঁর ওফাতের পর, উমর রাঃ এঁর ওফাতের আগে, আম্মাজান আয়িশা (রাঃ) সাধারণ কাপড় পরিধান করেই তাঁদের রওজা মোবারকে যেতেন। কারণ- আয়িশাহ (রা.) মনে মনে বলতেন, "তিনি ﷺ তো আমার স্বামী, আর অপরজনও আমার পিতা। (আয়িশা রা. বলেন) কিন্তু যখন ‘উমার (রাঃ) কে এখানে তাঁদের সাথে দাফন করা হলো, আল্লাহর কসম, তখন থেকে আমি যখনই ঐ ঘরে (রওজায়) প্রবেশ করেছি, ‘উমরের কারণে লজ্জায় শরীরে চাদর (অতিরিক্ত পর্দা সহকারে) পেঁচিয়ে রেখেছি। [মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৭৭১, মুসনাদে আহমাদ ২৫৬৬০, মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪৪০২] </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">[এর ব্যাখ্যায় আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ লিখেন- ‘ইমাম তিব্বী রহঃ বলেন, (এ হাদিস থেকে বুঝা গেল) ওফাত হওয়ার পরে তেমনই তা‘যিম করতে হবে যেমনটি জীবিত অবস্থায় (জাহিরী হায়াতে) করা হতো।’’ (মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, হা/১৭৭১)]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">একবার মদীনাবাসী ভীষণ অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছিল। লোকজন আম্মাজান আয়িশা রাঃ এঁর নিকট অভিযোগ করলে তিনি বলেন, নবী ﷺ এঁর রওজার দিকে দেখ (যাও), আর তাতে আসমানের দিকে একটি ফুটো করে দাও, যেন আসমান ও তাঁর মাঝে কোনো আচ্ছাদন না থাকে। তখন তারা তা-ই করলো। ফলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হল। সেই বৃষ্টিতে এত বেশি ঘাস জন্মেছিল যে, উট হৃষ্টপুষ্ট হয়ে মনে হয় যেন চর্বিতে ফেটে পড়বে। ফলে সেই বছরের নামকরণ করা হয়েছিল ‘উর্বরতার বছর’। (সুনান আদ-দারেমী ৯৩, মিশকাত ৫৯৫০)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান আয়িশা রাঃ এঁর কাছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর ব্যবহৃত জুব্বা মুবারক সংরক্ষিত ছিল যা রোগ নিরাময়ের উসিলা হিসেবে ব্যবহৃত হত যেভাবে আমরা আল্লাহ'র হুকুমে ওষুধ সেবন করে সুস্থ হয়। বর্ণিত আছে যে,</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হযরত আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) এঁর নিকট রাসুলুল্লাহ ﷺ এঁর ব্যবহৃত সবুজ রঙের জুব্বা ছিল। তিনি বলেন, এটি আয়িশা (রা.) এঁর ওফাত পর্যন্ত তাঁর কাছেই ছিল। তাঁর ওফাতের পর আমি এটি নিয়েছি। নবী ﷺ এটি পরিধান করতেন। তাই আমরা রোগীদের শেফা হাসিলের জন্য এটি ধৌত করি এবং সে পানি তাদের কে পান করিয়ে থাকি। (সহীহ মুসলিম ৫৩০২)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা যেন আমাদের অন্তরকে আহলে বাইত এবং সকল সাহাবীদের ভালবাসা দ্বারা পূর্ণ করে দেন এবং আম্মাজানের উসিলায় আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল ফাতিহা।</div>

হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাঃ এঁর ওফাত দিবস

আজ ১৭ ই রমজান। উম্মাহাতুল মুমিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাঃ এঁর ওফাত দিবস, যিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হাদিস বর্ণনাকারী (২২১০ টি)। রাসূলুল্লাহ...

Read more »