ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এঁর বেলাদত দিবস

<div>১৫ ই রমজান। ইসলামের পঞ্চম খলিফা, আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য, জান্নাতী যুবকদের সর্দার ইমাম হাসান রাঃ এঁর জন্ম দিবস।</div><div><br></div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEioCF-dyk6oAj-XKxn7PgAtr4lw742X5KjTZtdg7bb4-mUzkgs4LthqayToOAd3gImenk4CbHRzI8LOTssZvOhr491nRtTLmpJZSlnCFN8sm6KmQ26Q5296SHkAKMSEd2Coexu2FQlsozjh/s1600/FB_IMG_1619524500113.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEioCF-dyk6oAj-XKxn7PgAtr4lw742X5KjTZtdg7bb4-mUzkgs4LthqayToOAd3gImenk4CbHRzI8LOTssZvOhr491nRtTLmpJZSlnCFN8sm6KmQ26Q5296SHkAKMSEd2Coexu2FQlsozjh/s1600-rw/FB_IMG_1619524500113.jpg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী ﷺ এঁর সঙ্গে মদিনার কোন এক বাজারে ছিলাম। তিনি (বাজার থেকে) ফিরলেন। আমিও ফিরলাম। (ফাতিমা (রাঃ) এঁর ঘরের আঙিনায় বসে) তিনি বললেনঃ ছোট শিশুটি (খোকা) কোথায়? এ কথা তিনবার বললেন। হাসান ইবনু ‘আলীকে ডাক। দেখা গেল হাসান ইবনু ‘আলী হেঁটে চলেছে। তাঁর গলায় ছিল মালা। নবী ﷺ এভাবে তাঁর হাত উঠালেন। হাসানও এভাবে নিজের হাত উঠালো। তারপর তিনি তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আমি একে ভালবাসি, আপনিও তাকে ভালবাসুন এবং যে ব্যক্তি তাকে ভালবাসে, তাকেও আপনি ভালবাসুন। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর এ কথা বলার পর থেকে হাসান ইবনু ‘আলীর চেয়ে অন্য কেউ আমার কাছে অধিকতর প্রিয় হয়নি। (সহীহ বুখারী ৫৮৮৪, ২১২২, সহীহ মুসলিম ৬১৫১)</div><div><br></div><div>উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ) বলেন, এক রাতে আমার কোন দরকারে নবী ﷺ-এঁর কাছে গেলাম। অতএব নবী ﷺ এমন অবস্থায় বাইরে এলেন যে, একটা কিছু তার পিঠে জড়ানো ছিল যা আমি অবগত ছিলাম না। আমি আমার দরকার সেরে অবসর হয়ে প্রশ্ন করলাম, আপনার দেহের সঙ্গে জড়ানো এটা কি? তিনি পরিধেয় বস্ত্র উম্মুক্ত করলে দেখা গেল তার দুই কোলে হাসান ও হুসাইন (আলায়হিমাস সালাম)। তিনি বললেনঃ এরা দু’জন আমার পুত্র এবং আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ! আমি এদের দু’জনকে মুহাব্বাত করি। সুতরাং তুমি তাদেরকে মুহাব্বাত কর এবং যে ব্যক্তি এদেরকে মুহাব্বাত করবে, তুমি তাদেরকেও মুহাব্বাত কর। (সূনান আত তিরমিজী ৩৭৬৯)</div><div><br></div><div>একদিন আবূ বকর (রাঃ) আসরের নামাজ শেষে বের হয়ে চলতে লাগলেন। (পথিমধ্যে তিনি) হাসান (রাঃ) কে ছেলেদের সঙ্গে খেলা করতে দেখলেন। তখন তিনি তাঁকে কাঁধে তুলে নিলেন এবং বললেন, (আপনার উপর) আমার পিতা কুরবান হোন! ইনি তো (দেখতে) নবী ﷺ এঁর মত, আলী রা. এঁর মত নয়। তখন ‘আলী (রাঃ) হাসছিলেন। (সহীহ বুখারী ৩৫৪২)</div><div><br></div><div>আমিরুল মুমিনীন হযরত আবূ বকর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! যাঁর কাছে আমার প্রাণ, আমার আত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ করার চেয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর আত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা আমি অধিক পছন্দ করি। (সহীহ বুখারী ৩৭১২)</div><div><br></div><div>সিদ্দিকে আকবর আবূ বকর (রাঃ) হুকুম করেন, মুহাম্মাদ ﷺ এঁর পরিবার পরিজনের (আহলে বাইত) প্রতি তোমরা অধিক সম্মান প্রদর্শন করবে। </div><div>(সহীহ বুখারী ৩৭১৩)</div><div><br></div><div>শুধু তা-ই নই, তিনি আরো বলেন, মুহাম্মাদ ﷺ এঁর সন্তুষ্টি, তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্জন কর। (সহীহ বুখারী ৩৭৫১)</div><div><br></div><div>চতুর্থ খলিফা, জান্নাতী যুবকদের সর্দারদ্বয়ের সম্মানিত পিতা মাওলা আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ হাসান ও হুসাইনের হাত ধরে বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসে এবং এ দু’জন ও তাদের পিতা-মাতাকে ভালোবাসে, সে কিয়ামতের দিন আমার সাথেই থাকবে। (সূনান আত তিরমিজী ৩৭৩৩)</div><div><br></div><div>সবচেয়ে অধিক সংখ্যক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি হাসান ও হুসায়নকে ভালোবাসে, সে আমাকেই ভালোবাসে এবং যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে সে আমার প্রতিই বিদ্বেষ পোষণ করে। (সূনান ইবনে মাজাহ ১৪৩)</div><div><br></div><div>আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন) আমি নবী ﷺ-কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি, ঐ সময় হাসান (রাঃ) তাঁর পার্শ্বে ছিলেন। তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে আবার হাসান (রাঃ)-এঁর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমার এ সন্তান (নাতি) হচ্ছে সাইয়্যিদ (সর্দার)। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল মুসলমানের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দিবেন। (সহীহ বুখারী ৩৭৪৬, ৩৬২৯, ২৭০৪)</div><div><br></div><div>বিভিন্ন জায়গায় যখন আহলে বাইতের ভালবাসার কথা বলি, অনেকেই বলতে চায়, আরে নবী পরিবারের প্রতি কেউ বিদ্বেষ পোষণ করে নাকি!! তাদেরকে বলতে চাই,</div><div><br></div><div>আরে ভাই, আপনি এখনও আপনার নবীকেই চিনেননি!! আপনার নবী কখনো মনগড়া কথা বলেন না, সূরা নাজমে আল্লাহর ঘোষণা। আপনার নবীর ভবিষ্যদ্বাণী কখনো মিথ্যা হয় না। যদি কেউ বিদ্বেষ পোষণ না-ই করতো তাহলে তিনি কখনো বিদ্বেষ পোষণের কথা উল্লেখ করতেন না, কখনো সতর্ক করে বলতেন না যে, </div><div><br></div><div>তাদের ভালবাসা ব্যতিত অন্তরে ঈমান প্রবেশ করতে পারে না এবং কখনো বলতেন না যে, কোন ব্যক্তি রুকন ও মকামে ইব্রাহীমের মাঝখানে অবস্থান করে, অতঃপর (তাতে) নামাজ আদায় করে এবং রােজা রাখে, অতঃপর (এমতাবস্থায়) মারা গেল যে, সে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এঁর পরিবার বর্গের (আহলে বাইত) সাথে হিংসা পােষণকারী, (তাহলে) সে জাহান্নামে প্রবেশ করল। </div><div><br></div><div>কখনো বলতেন না যে, যে ব্যক্তি আমার পরিবারবর্গ (বংশধর)ও আনসারদের অধিকার সম্পর্কে জানেনা সে নিশ্চয় তিনজনের একজন। ১. হয়ত সে মুনাফিক, ২. অথবা সে জারজ, ৩. অথবা সে নাপাকীর সন্তান; অর্থাৎ তার মা তাকে ঋতুকালীন (হায়েজ) অবস্থায় গর্ভধারণ করেছেন।</div><div><br></div><div style="text-align: justify;">মাওলা আলী আঃ এঁর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে মুনাফিক বলতেন না। আরে ভাই, আহলে বাইতকে আঁকড়ে ধরার কথা সহিহ হাদিসে আসার পরেও অস্বীকার করে যে, এমন নাসেবীদের দেখেন না!! মাওলা আলী রাঃ কে ইলমের শহরের দরজা বলা হয়েছে যে, এই হাদিস সহিহ সনদে আসার পরেও এটা জাল জয়ীফ শিয়াদের বানানো বলে উড়িয়ে দিতে চায় যে, এদেরকে দেখেন না!! সহিহ হাদিসে আলী রাঃ কে সমস্ত মুমিনদের মাওলা, ওয়ালি ঘোষণা করার পরও তাঁর নামের পূর্ব মাওলা ব্যবহার করলে শিয়া গন্ধ পায় এদেরকে দেখেন না!!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-1XJs1DZ2_s_9bXlALNkOy2wSTqEF7PCxZ59tFkGt3I-FIIYbTt_vE6zmAeEZvCrON9A4VttOtcews6FdEx0C1yuZ8i7jKTGmoqQoeQjSOXpO7fARHP0NncHpmYHhmBwXJqPN4EZXMdpp/s1600/FB_IMG_1619529016361.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1818" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-1XJs1DZ2_s_9bXlALNkOy2wSTqEF7PCxZ59tFkGt3I-FIIYbTt_vE6zmAeEZvCrON9A4VttOtcews6FdEx0C1yuZ8i7jKTGmoqQoeQjSOXpO7fARHP0NncHpmYHhmBwXJqPN4EZXMdpp/s1600-rw/FB_IMG_1619529016361.jpg" width="190"></a></div><br></div>

ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এঁর বেলাদত দিবস

১৫ ই রমজান। ইসলামের পঞ্চম খলিফা, আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য, জান্নাতী যুবকদের সর্দার ইমাম হাসান রাঃ এঁর জন্ম দিবস। আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ আম...

Read more »

কিতাবঃ আল ফিকহুল আকবার গ্রন্থের অনুবাদ [আকাইদে নিজামিয়্যাহ]

<div><div style="text-align: justify;">আকাইদে নিজামিয়্যাহ (পর্ব - ১-৩)</div><div style="text-align: justify;">(ফিকহে আকবার গ্রন্থের অনুবাদ) </div><div style="text-align: justify;">মূল : শাইখ ফখরুদ্দিন রহিমাহুল্লাহ </div><div style="text-align: justify;">ভাষান্তর : সুলতান সাঈদ<br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><u>আকিদা : ১ </u></b></div><div style="text-align: justify;"><b><u><br /></u></b></div><div style="text-align: justify;">তাওহিদের ভিত্তি ও যা দ্বারা বিশ্বাস বিশুদ্ধ হয় তা এই, যে, সাক্ষ্য অন্তর থেকে এভাবে দেয়া, </div><div style="text-align: justify;">(১) আমি ইমান আনলাম আল্লাহ তাআলাকে সত্ত্বায় একক জেনে। এবং, গুণাবলীতেও অদ্বিতীয় মেনে নিয়ে।(২) আর, আমি ফিরিশতাগণের প্রতি ইমান আনলাম, যে, তারা আল্লাহ তাআলার বান্দা। এবং, গুনাহ ও নাফরমানি থেকেও মুক্ত এমনকি পুরুষ কিংবা মহিলা হওয়া থেকেও পবিত্র। </div><div style="text-align: justify;">(৩) অতঃপর, আমি ইমান আনলাম আল্লাহ তাআলার কিতাবসমূহের প্রতি। যেমন, তাওরাত, ইনজিল, যবুর ও কুরআনমজিদ ইত্যাদি যেগুলোর সংখ্যা বর্ণিত নেই। </div><div style="text-align: justify;">(৪) এবং, আমি ইমান আনলাম সমস্ত নবি ও রসুলের প্রতি। </div><div style="text-align: justify;">(৫) তারপর, ইমান আনলাম মৃত্যুর পরে জীবিত হওয়ার প্রতি। </div><div style="text-align: justify;">(৬) এবং, ইমান আনলাম পরকালের প্রতি। </div><div style="text-align: justify;">(৭) আর, ইমান আনলাম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কল্যাণ ও অকল্যাণের অনুমান করানোর প্রতি অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টির এরকম স্তরে পৌঁছানো, যারমধ্যে স্থান ও সময়ের বাধ্যতার সাথে ভালো ও মন্দ এবং লাভ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><u>আকিদা : ২ </u></b></div><div style="text-align: justify;">কৃতকর্মের হিসাব, আমলের পরিমাণ স্থির, বেহেশত, দোজখ, পুলসিরাত এবং হাউজে কাওসার চিরসত্য। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><u>আকিদা : ৩ </u></b></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তাআলা এক। (তিনি) এমন নন, যে, গণনার মত তাঁর পরে দ্বিতীয় প্রকাশ পাবে অর্থাৎ তাঁর কোনো অংশীদার নেই। না সত্ত্বায়, না গুণাবলীতেও। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><u>আকিদা : ৪ </u></b></div><div style="text-align: justify;">সৃষ্টির সাথে তাঁর কোনো সাদৃশ্য নেই। নাঈম বিন হাম্মাদ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে তাঁর সৃষ্টির কারো সাথে সাদৃশ্য করবে অথবা, তাঁর সৃষ্ট কোনো জিনিসের সাথে তুলনা দিবে, তাহলে নিশ্চিত, সে কুফর করেছে। </div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><u>আকিদা : ৫ </u></b></div><div style="text-align: justify;">(আল্লাহ তাআলা) অতিবাহিত হওয়া সময়ে সদাসর্বদা ছিলেন। এবং, পরবর্তীতেও চিরদিন থাকবেন স্বীয় নামের সাথে আর স্বীয় সত্তা ও গুণবাচক কার্যাদির সাথেও। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আর, তাঁর নিজস্ব গুণসমূহ ৭টি। যথা : </div><div style="text-align: justify;">(১) সিফাতে হায়াত। অর্থাৎ, জীবিত থাকার গুণ।</div><div style="text-align: justify;">(২) সিফাতে কুদরত। মানে, শক্তিধর হওয়ার গুণ। </div><div style="text-align: justify;">(৩) সিফাতে ইলম। এর অর্থ, জ্ঞাত হওয়ার ক্ষমতা। </div><div style="text-align: justify;">(৪) সিফাতে কালাম। অর্থাৎ, বাকশক্তির গুণসম্পন্ন হওয়ার শক্তি। </div><div style="text-align: justify;">(৫) সিফাতে সামা’। মানে, শ্রবণ করার ক্ষমতা। </div><div style="text-align: justify;">(৬) সিফাতে বাসর। এর মানে, দর্শন করার গুণ। আর, </div><div style="text-align: justify;">(৭) সিফাতে ইরাদাত তথা প্রতিজ্ঞা ও ইচ্ছা করার ক্ষমতা। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এবং, তাঁর কর্মশক্তি : </div><div style="text-align: justify;">(১) তাখলিক। অর্থাৎ, সৃষ্টি করা। </div><div style="text-align: justify;">(২) তারযিক। মানে, রিজিক দেয়া। </div><div style="text-align: justify;">(৩) ইনশা। মানে, রচনা করা। এর অর্থ, মূল থেকে তৈরি করা। </div><div style="text-align: justify;">আবার, (৪) ইবদা’। অর্থাৎ, মূল ছাড়াই তৈরি করা। </div><div style="text-align: justify;">আর, (৫) সুন’। এর মানে, কারিগরি ও তা ছাড়াও। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><u>আকিদা : ৬ </u></b></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তাআলার নাম ও গুণাবলী সবই অনাদি। অর্থাৎ, চিরকালীন। যার কোনো উৎস নেই। এবং, তা সীমাহীন। মানে, সর্বময়। যার কোনো সমাপ্তিও নেই। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><u>আকিদা : ৭ </u></b></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তাআলা সর্বজ্ঞ। অর্থাৎ, তিনি আপন সিফাতে ইলম দ্বারা জানেন। যা অনাদি। এবং, তিনি হচ্ছেন শক্তিশালী। মানে, তিনি আপন শক্তিতেই অনাদি শক্তিমান। এবং, তিনি বক্তা। অর্থাৎ, নিজস্ব বাকশক্তিতেই কথা বলেন। যা তাঁর সর্বময় সত্তার গুণ। তাঁর বাকশক্তির উৎপত্তি নেই। আর, তিনি হলেন খলিক। অর্থাৎ, স্রষ্টা। আপন তাখলিক তথা সৃষ্টি করার গুণ থেকেই। এবং, তিনি কর্তা। মানে, তিনি আপন কর্মশক্তির গুণ দ্বারা কার্যকারক। যা অনন্তই। এসব তাঁর অনাদি গুণ। অর্থাৎ, তিনি চিরদিনই জ্ঞানী, শক্তিশালী, স্রষ্টা, কর্তা ইত্যাদি। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><u>আকিদা : ৮ </u></b></div><div style="text-align: justify;">যা রচিত হয়েছে, তা সৃষ্ট ও ক্ষণস্থায়ী। অর্থাৎ, প্রকৃত কর্তা আল্লাহ তাআলা যা করেছেন, তা অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এসে রচিত হয়েছে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলার ক্রিয়ায় তা উদ্ভব হয়ে সৃষ্ট হয়েছে এবং প্রথমে ছিলনা, পরে অস্তিত্বে এসেছে। মোটকথা, তা উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে, ক্রিয়া আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি নয়। বরং, তাঁর চিরস্থায়ী গুণ। অর্থাৎ, তা অস্তিত্বহীন থেকে আলাদা। কারণ, অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আসা সৃষ্টি ও ক্ষণস্থায়ীর অবস্থা তাঁর জন্য নয়। পক্ষান্তরে, শুরু ও শেষ অস্তিত্বহীন। অর্থাৎ, না হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। এবং, সদাসর্বদা অস্তিত্বেই রয়েছে। এ কারণে অসৃষ্ট ও চিরস্থায়ী।</div><div style="text-align: justify;"><div><br /></div><div><b>আকিদা : ৯ </b></div><div>মহান আল্লাহ তাআলার গুণাবলীর সবই চিরস্থায়ী। অস্থায়ী বা সৃষ্ট নয়। কাজেই, যে ব্যক্তি বলে, মহান আল্লাহ তাআলার গুণাবলী সৃষ্টি অথবা অস্থায়ী। কিংবা, এ মাসআলায় বিলম্ব করবে বা সন্দেহে তার সন্দেহ দুইদিকে বরাবর করবে হ্যাঁ ও না বলার মধ্যে অথবা সন্দেহের একদিকে প্রাধান্য দিবে অস্থায়িতার হ্যাঁ ও না বলায়, তাহলে সে কাফির। </div><div><br /></div><div><b>আকিদা : ১০ </b></div><div>কুরআন মাজিদ, এখানে উদ্দেশ্য আল্লাহর নিজের বাণী। যেমনটি মোল্লা আলি কারি রহিমাহুল্লাহ-এঁর শরহে ফিকহুল আকবারে রয়েছে। (কুরআন) -এর মর্যাদা সবকিছুর উর্ধ্বে। গ্রন্থ সমূহে হাত দ্বারা লেখা হয়েছে, বর্ণগুচ্ছের ধরণে, বাক্যের অবস্থায় ও অন্তর সমূহে সংরক্ষণ করা হয়েছে অদৃশ্য বিষয়াদির খেয়াল অনুসারে কিংবা অর্থ সমূহের ভাবনাযুক্ত শব্দে এবং ভাষা সমূহে পড়া যায়, এরকম ধ্যানধারণার শব্দাবলীর বর্ণের মাধ্যমে শ্রবণ করা যায়। এবং, নবি কারিম ﷺ -এঁর প্রতি ভিন্ন অবস্থা আর সময়ের একক ও মিশ্রিত ভাষার মাধ্যমে প্রকাশিত এবং অবতীর্ণ হয়েছে। </div><div><b><br /></b></div><div><b>আকিদা : ১১</b> </div><div>আমাদের উচ্চারণ অর্থাৎ শব্দ করে বলা কুরআনুল কারিম হচ্ছে সৃষ্টি। এমনকি আমাদের লেখা কুরআন মাজিদও আমাদের পাঠ বা আমাদের মুখস্থ করার মত। মোল্লা আলি কারি রহিমাহুল্লাহ-এঁর শরহে ফিকহুল আকবারে রয়েছে, ‘কুরআন শরিফ সৃষ্টি এজন্য, যে, বলা, লেখা ও পড়া এগুলো হচ্ছে বান্দার কাজ। আর, বান্দার কাজ তো সৃষ্টিই। </div><div><br /></div><div>ভাষান্তর : সুলতান সাঈদ</div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div>

কিতাবঃ আল ফিকহুল আকবার গ্রন্থের অনুবাদ [আকাইদে নিজামিয়্যাহ]

আকাইদে নিজামিয়্যাহ (পর্ব - ১-৩) (ফিকহে আকবার গ্রন্থের অনুবাদ) মূল : শাইখ ফখরুদ্দিন রহিমাহুল্লাহ ভাষান্তর : সুলতান সাঈদ আকিদা : ১ তাওহিদের ভি...

Read more »

ভুলক্রমে কিছু খেয়ে ফেললে কি রোজা ভাঙবে?

<div style="text-align: justify;">ভুলক্রমে খেলে রোজা ভাঙবে না </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রোজাদার ভুলক্রমে কিছু খেয়ে ফেললেও তার রোজা ভাঙে না। এ মর্মে হজরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বলেন, আল্লাহর রসুল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যদি কোন ব্যক্তি ভুলক্রমে কিছু পানাহার করে ফেলে, তাহলে সে যেন (রোজা না ভেঙে) রোজা পূর্ণ করে নেয়। কেননা, স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই তাকে পানাহার করিয়েছেন। (সহিহ বুখারি, খণ্ড : ৩, পৃষ্ঠা : ২৯১, হাদিস নম্বর : ১৮৩১)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হজরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু আল্লাহর রসুল ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি রোজা রেখেছে আর ভুলক্রমে কিছু খেয়ে ফেলেছে, তাহলে তার উচিৎ, যেন রোজা রেখে দেয়। কেননা, তাকে আল্লাহ তাআলাই পানাহার করিয়েছেন। (সহিহ মুসলিম, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৭৬, হাদিস নম্বর : ২৬১২)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বলেন, আল্লাহর রসুল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি ভুল করে খেয়েছে অথবা পান করেছে, সে যেন রোজা না ভাঙে। এ হচ্ছে রিজিক, যা আল্লাহ তাআলা তাকে দান করেছেন। (জামে আত তিরমিজি, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৩৯৫, হাদিস নম্বর : ৬৬৯)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হজরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি আল্লাহর রসুল ﷺ -এঁর দরবারে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাস করেন, হে আল্লাহর রসুল, আমি ভুলে পানাহার করে ফেলেছি, অথচ আমি রোজা অবস্থায় ছিলাম। তিনি ﷺ ইরশাদ করেন, তোমাকে পানাহার করিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। (সুনানে আবু দাউদ, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ২৪১, হাদিস নম্বর : ১২৫২)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হজরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লাহু তাআলা হতে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রসুল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় ভুল করে খেয়ে ফেলেছে, তার উচিৎ, রোজা পূর্ণ করা। কেননা, তাকে খাইয়েছেন খোদা আল্লাহ তাআলাই। (সুনানে ইবনে মাজাহ, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৪৬৪, হাদিস নম্বর : ১৭৩৭)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হজরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসুল ﷺ ইরশাদ করেন, যদি রোজা অবস্থায় কেউ ভুল করে কিছু খেয়ে ফেলে, তাহলে তার কর্তব্য, রোজা রাখা। কেননা, তাকে পানাহার করিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। (মিশকাতুল মাসাবিহ, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৪৩৪, হাদিস নম্বর : ১৯০৫)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জ্ঞাতব্য : </div><div style="text-align: justify;">যদি কোনো রোজাদার ভুলক্রমে কিছু খেতে থাকে এবং তৎক্ষণাৎ তার মনে পড়ে যায়, যে, সে রোজা রেখেছিল, তাহলে তার হাতে এবং মুখে থাকা অবশিষ্ট খাবার যেন আর না খায়। কেননা, স্মরণ হবার পরে যদি মুখের খাবার গিলে ফেলে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। কিন্তু, স্মরণ না থাকা কালীন খেয়ে ফেলা খাবারের কারণে রোজা ভাঙবে না। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বই : হাদিসের আলোকে রোজার মাসআলা </div><div style="text-align: justify;">সংকলক : সুলতান সাঈদ</div>

ভুলক্রমে কিছু খেয়ে ফেললে কি রোজা ভাঙবে?

ভুলক্রমে খেলে রোজা ভাঙবে না রোজাদার ভুলক্রমে কিছু খেয়ে ফেললেও তার রোজা ভাঙে না। এ মর্মে হজরত আবু হুরাইরা রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বলেন, আল্লাহ...

Read more »