'পজিটিভ' - হওয়ার ইসলামী মোটিভেশান!

<div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhmmb9N1VhnN7-vOxNkdKJ3U0Zd5a6GiMrGs9Pv0qgyblWVfVAw-Vgmq4RnVwxtJm8Vzb-8jycLUR9txb0HQGmIpeeYWSURxTZ6xDXXkx8Up3de4D3jcydW5cIala0ZLsKw7vNr7-aC4mU/s1600/InShot_20210425_153700468.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="3413" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhmmb9N1VhnN7-vOxNkdKJ3U0Zd5a6GiMrGs9Pv0qgyblWVfVAw-Vgmq4RnVwxtJm8Vzb-8jycLUR9txb0HQGmIpeeYWSURxTZ6xDXXkx8Up3de4D3jcydW5cIala0ZLsKw7vNr7-aC4mU/s1600-rw/InShot_20210425_153700468.jpg" width="320" /></a></div><br /></div><div>আমরা যখন কোনো কাজে ব্যর্থ হই তখন আমরা আশা হারিয়ে ফেলি, হতাশ হয়ে যাই। ভাবি আমার দ্বারা এটা হবে না। মোটিভেশনাল স্পিকারদের শরণাপন্ন হই। মোটিভেশনাল স্পিকাররা, সাইকোলজিস্টরা আমাদেরকে শিখায় পজিটিভ হতে। কি আছে আমার কাছে সেটা দেখতে, কি নেই সেটা না দেখতে।</div><div><br /></div><div>বিভিন্ন সফল ব্যক্তিদের জীবনি শুনায়। তারা কিভাবে সফল হয়েছে। কারণ পজিটিভ হওয়া আপনার আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার দ্বীন আপনাকে এমন তালিমাতই দিচ্ছে। </div><div><br /></div><div>আমরা ভাবি ইসলাম শুধুমাত্র আক্বীদা শিখায়, ইবাদত শিখায়, মৃত্যুর পর কি হবে সেসব শিখায়। আধুনিকতা ইসলামে নেই। আমাদের এসব সমস্যার কথা উল্লেখ নেই। প্রিয় ভাই এমন যারা ভাবেন তারা সম্পূর্ণ ভুল। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আজ তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম।' [১] অর্থাৎ ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আপনার সকল সমস্যার সমাধান ইসলামে আছে।</div><div><br /></div><div>আপনার অনুভুতি, আবেগ এসব নিয়েও ইসলামে আলোচনা আছে, সমাধান আছে। শুধু আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে। আসুন পজিটিভিটি নিয়ে একটু কথা বলি।</div><div><br /></div><div>রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পুত্র সন্তানগণ ইন্তেকালের পর কাফেররা যখন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ঠাট্টা করছিল এই বলে যে 'মুহাম্মদের নসল অর্থাৎ বংশধারা শেষ হয়ে গেছে।' (নাউজুবিল্লাহ) প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে হতাশ করছিল, কষ্ট দিচ্ছিল। তখন আল্লাহ তায়ালা সূরা কাউসার নাজিল করেন।</div><div><br /></div><div>প্রথম আয়াতেই আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'হে হাবীব আপনাকে আমি আল কাউসার দান করেছি।' অর্থাৎ সমস্ত ভালো আপনাকে দান করে দিয়েছি। দেখুন এখানে আল্লাহ তায়ালা প্রিয় হাবীবের হতাশার সময় নেগেটিভ আলোচনা সামনে আনেন নি। বলেন নি আমি আপনার পুত্রদেরকে নিয়ে নিয়েছি। বরং পজিটিভ আলোচনা করেছেন যে আমি আপনাকে সকল ভালো দান করেছি। সুতরাং কি নেই তা ভেবে দুঃখ পাবেন না বরং কি দিয়েছি তা দেখে আত্নবিশ্বাস বাড়ান।</div><div><br /></div><div>এখানে আরেকটা তালিম পাওয়া যায়, যে সমস্ত লোক আপনাকে নেগেটিভ কথা-বার্তা বলে হতাশ করতে থাকে তাদের থেকে দূরে থাকুন। তাদের সাথে থাকুন যারা হতাশার সময় পজিটিভ মোটিভেশান দেয়।</div><div><br /></div><div>রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু যর গিফারী রা. কে নসিহত করেন, 'হে আবু যর! দুনিয়ার বিষয়ে তোমার চেয়ে নগন্যকে দেখ' [২] অর্থাৎ এটা ভেবে দুঃখি হয়ো না যে তোমার কাছে কি নেই। এটা দেখ তোমার চেয়েও খারাপ অবস্থা যাদের তারা কিভাবে জীবন অতিবাহিত করে। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যা দিয়েছেন সেটার ওপর সন্তুষ্ট থাক। এক কথায় কি নেই সেটা না দেখে কি আছে সেটা দেখ।</div><div><br /></div><div>পজিটিভ থাকার শিক্ষা আমার রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিচ্ছেন। আমরা মোটিভেশনাল স্পিকারদের পিছনে দৌড়াচ্ছি। অথচ এটা জানি না পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মোটিভেশনাল লিডার আমার প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সীরাত আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা। </div><div><br /></div><div>সবশেষে মনে রাখবেন ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।</div><div><br /></div><div>Reference:</div><div>[১] সূরা মায়েদা, আয়াত- ০৩।</div><div>[২] আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবুল কাযা, হাদীস নং- ২৪, ৩/১৩১।</div><div><br /></div><div>'প্রশান্ত আত্মার খোঁজে'- বই থেকে। </div>

'পজিটিভ' - হওয়ার ইসলামী মোটিভেশান!

আমরা যখন কোনো কাজে ব্যর্থ হই তখন আমরা আশা হারিয়ে ফেলি, হতাশ হয়ে যাই। ভাবি আমার দ্বারা এটা হবে না। মোটিভেশনাল স্পিকারদের শরণাপন্ন হই। মোটিভেশ...

Read more »

নবী আল উম্মীর ব্যাখ্যাঃ মিথ্যাচারের জবাব!

<div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhXtY9KlY7ibHi4poEi34IVwV9I8lCYqh_P1tFeUn7i4ZTwxH2DUXWW-kpUY8P4hSCtwJ1Y1ZuLOJHm3_ikPM_-Uoi6bORz-TJxUi96YKx6tg6UiTZC5zf369Peg01me2-I4ow4anvRJGY/s1600/FB_IMG_1619330735010.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1206" data-original-width="720" height="386" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhXtY9KlY7ibHi4poEi34IVwV9I8lCYqh_P1tFeUn7i4ZTwxH2DUXWW-kpUY8P4hSCtwJ1Y1ZuLOJHm3_ikPM_-Uoi6bORz-TJxUi96YKx6tg6UiTZC5zf369Peg01me2-I4ow4anvRJGY/s1600-rw/FB_IMG_1619330735010.jpg" title="" width="231" /></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiU0p9gChCIF3Zb1gelgGjqXqO1WLwb6jbF4vUNa1ENxT2wxTMWf9c1lk8d4m2iGl1QSWF9dwGqE_yua3R5FApvVUjFORK-xiKf8i7v4FvhQqnH4z8NyFUOPjKwfM_yMj66nDOD1Kk4I4U/s1600/FB_IMG_1619330711728.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="960" data-original-width="582" height="359" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiU0p9gChCIF3Zb1gelgGjqXqO1WLwb6jbF4vUNa1ENxT2wxTMWf9c1lk8d4m2iGl1QSWF9dwGqE_yua3R5FApvVUjFORK-xiKf8i7v4FvhQqnH4z8NyFUOPjKwfM_yMj66nDOD1Kk4I4U/s1600-rw/FB_IMG_1619330711728.jpg" title="" width="218" /></a><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZZWIs7FKNTeufpuFJ8fPiKoO63yoZoM9FhHaHdbxC62DLAqtX64wG5hvghEFTNTgz0r3IygEofKMvZ8Ce0E7Wi_mFRnlICLBAI-1roYP1CWxDWMvrO29g9cQwSiI3pOatieQ7a03xP2A/s1600/FB_IMG_1619305014625.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="960" data-original-width="533" height="408" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZZWIs7FKNTeufpuFJ8fPiKoO63yoZoM9FhHaHdbxC62DLAqtX64wG5hvghEFTNTgz0r3IygEofKMvZ8Ce0E7Wi_mFRnlICLBAI-1roYP1CWxDWMvrO29g9cQwSiI3pOatieQ7a03xP2A/s1600-rw/FB_IMG_1619305014625.jpg" title="" width="227" /></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjFiAH7clqHzQho-xX1Yz5lgx8lptiXESM3DWfYURr0v6BZn_vWqDerj-aAf6hOtc5xvEl_fDGPrYOj5j475C3Ur-kgxo6x_xU7iG3bxLRWkVaYaATRpdhwSrOvZLMkYmjnkOdAZWcaPqE/s1600/FB_IMG_1619305017391.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1386" data-original-width="640" height="524" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjFiAH7clqHzQho-xX1Yz5lgx8lptiXESM3DWfYURr0v6BZn_vWqDerj-aAf6hOtc5xvEl_fDGPrYOj5j475C3Ur-kgxo6x_xU7iG3bxLRWkVaYaATRpdhwSrOvZLMkYmjnkOdAZWcaPqE/s1600-rw/FB_IMG_1619305017391.jpg" title="" width="242" /></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg2YDgx5RIusIEH7A5aQedDCWsKmAlfM5ktvxwg3vDAXnFNlXWR9Zah677keAxIiyhg80xG5dJ7Ja4LeqBN_VXmNL9XJOObl_7c3AragWFoLN5FFqVyUpL3FiDcn67_uyX2Y6Y2rE2X4Ac/s1600/FB_IMG_1619305021931.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="960" data-original-width="503" height="414" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg2YDgx5RIusIEH7A5aQedDCWsKmAlfM5ktvxwg3vDAXnFNlXWR9Zah677keAxIiyhg80xG5dJ7Ja4LeqBN_VXmNL9XJOObl_7c3AragWFoLN5FFqVyUpL3FiDcn67_uyX2Y6Y2rE2X4Ac/s1600-rw/FB_IMG_1619305021931.jpg" title="" width="217" /></a><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiw-RpOZCRctIg95_m2IC1glfi3Lxq1Qq_W7q2ZjgVL96BJ5AlosacYfsRPG-8Nz1r7-TdTMT5jJ0Cg0ArIjrLkpVzMCNy5O-N0JpDaubFFSpqj7-W34B-nbvnx3ruHp3GBQKL-lAlSkV4/s1600/FB_IMG_1619305024397.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="960" data-original-width="576" height="374" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiw-RpOZCRctIg95_m2IC1glfi3Lxq1Qq_W7q2ZjgVL96BJ5AlosacYfsRPG-8Nz1r7-TdTMT5jJ0Cg0ArIjrLkpVzMCNy5O-N0JpDaubFFSpqj7-W34B-nbvnx3ruHp3GBQKL-lAlSkV4/s1600-rw/FB_IMG_1619305024397.jpg" title="" width="225" /></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjL_KAdOY-z6J-Vp2bSsXBB7ciNu0nfU7uO1u0JtF4PZKCRQ6AzfJHlmEykxS-zqQKmpurOf7pXr5Dp9ICUSP-kRKG92TpdHwGQ8War_eNrgYRVwrHiAIlA0at9-GIXlCV7YdP3Fnsfq4I/s1600/FB_IMG_1619305027619.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="960" data-original-width="618" height="355" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjL_KAdOY-z6J-Vp2bSsXBB7ciNu0nfU7uO1u0JtF4PZKCRQ6AzfJHlmEykxS-zqQKmpurOf7pXr5Dp9ICUSP-kRKG92TpdHwGQ8War_eNrgYRVwrHiAIlA0at9-GIXlCV7YdP3Fnsfq4I/s1600-rw/FB_IMG_1619305027619.jpg" title="" width="229" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHLvj8tO6chbXRjE_V98aG_JzipziYc4_I_8MeBkTD6GWJv4M1qcxCeNz2IrgEpgLJPiWQiM3qTdAs3wYB72wAbj0TIXTDPrXBzhIcLJoMoS8fwm1hkK9Piu7hzYXFeXH0CIP26b_8oKQ/s1600/FB_IMG_1619305031403.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="756" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHLvj8tO6chbXRjE_V98aG_JzipziYc4_I_8MeBkTD6GWJv4M1qcxCeNz2IrgEpgLJPiWQiM3qTdAs3wYB72wAbj0TIXTDPrXBzhIcLJoMoS8fwm1hkK9Piu7hzYXFeXH0CIP26b_8oKQ/s1600-rw/FB_IMG_1619305031403.jpg" width="252" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;">আরিফ আজাদ সাহেবের ভ্রান্ত দালিলিক পোস্টের যথার্থতা নিরূপনঃ______________________________</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আরিফ আজাদ সাহেব— 'নবীজীবনের গল্প' বইয়ে হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্রলিখন সম্বলিত একটি মনগড়া ভুল লাইনের ডিফেন্স করতে গিয়ে এমন একটি পোস্ট করেন যেখানে তিনি আরো ভুল তথ্য দিয়ে নিজের কথাকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন।আমি আমার স্বল্পজ্ঞান দ্বারা উনার এ ধরণের লেখনীর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: #2b00fe;">আরিফ আজাদের লেখাগুলো হুবহু « » এর ভেতর দিয়ে সত্যতা উদঘাটনের জন্য চেষ্টিত হলাম।</span></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">১.</span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">তিনি দলিল দেন এভাবে—</span></b></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">«বিখ্যাত তাফসিরকারক ইমাম ইবন কাসীর তার বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থ ‘তাফসির ইবন কাসীর’- এ এই আয়াতের অর্থ করেছেন এভাবে, ‘সেসমস্ত লোক, যারা অনুসরণ করে এমন এক নবির যিনি পড়তে আর লিখতে জানেন না, যারা তার সম্পর্কে তাওরাত ও ইঞ্জিলে আভাস পায়...’ [১]</div><div style="text-align: justify;">[১]. ইবনে কাসীর, সুরা আল আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াত দ্রষ্টব্য»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤এখন আমি তুলে ধরছি সত্য কি!</div><div style="text-align: justify;">ইমাম ইবনে কাসীর এ আয়াতের ব্যাখ্যাতেই বলেন,</div><div style="text-align: justify;"> وهـذه صفة محمد ﷺ في كتب الأنبياء بشروا أممهم ببعثه وأمروهم بمتابعته، ولم تزل صفاته موجودة في كتبهم يعرفها علماؤهم وأحبارهم</div><div style="text-align: justify;"> — অর্থাৎ মুহাম্মদ (ﷺ)-এর এটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য যে, অন্যান্য নবীদের গ্রন্থেও তাঁর পরিচয় ও গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে যেন উনারা উনাদের উম্মতের লোকজনকে তাঁর ﷺ সুসংবাদ প্রদান করে এবং তাঁর আগমনের পর তাঁকে অনুসরণ করে। যেহেতু তাদের আসমানী কিতাবসমূহে সর্বদা বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান ছিল তাই তাদের উলামা ও মাশায়েখরা তাঁর(ﷺ) সম্যক পরিচয় সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত ছিলেন </div><div style="text-align: justify;"> এরপর উনি পর্যায়ক্রমে </div><div style="text-align: justify;"> ➤মুসনাদু আহমদের ২৩৪৯১নং জাইয়্যেদ সনদের হাদীস</div><div style="text-align: justify;"> ➤বায়হাক্বীর দালায়েলুন নবুয়তের ১/৩৮৫-৩৯০ বিশাল এক হাদীস</div><div style="text-align: justify;"> ➤জারির ত্বাবারীর একটি হাদীস</div><div style="text-align: justify;"> ➤বুখারীর ২১২৫নং হাদীস</div><div style="text-align: justify;"> ➤মু'জামুল কাবীরের ১৫৩৭ নং হাদীস</div><div style="text-align: justify;"> ➤আবু দাউদের ৪৬৫৬নং হাদীস</div><div style="text-align: justify;"> ➤মুসনাদু আহমদের ১৬০৫৭ ও ৯৭৫ নং হাদীস</div><div style="text-align: justify;"> — সহ আরো কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেন যা ''উম্মী" শব্দের ব্যাখ্যার আশেপাশেও যায়না বরং নবীজীর সিফাত বুঝায়।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আর উনি ১৫৭ন্তে শেষ করলেও, আমরা একটু অগ্রসর হয়ে ১৫৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় শেষের দিকে গিয়ে ''উম্মী'' সম্পর্কে পেলাম একটি লাইন,যা কেবল বলা হচ্ছে এভাবে</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">«النّبي الأمي» أي: الذي وعدتم به وبشرتم به في الكتب المتقدمة فإنه منعوت بذلك في كتبهم، ولهذا قال «النّبي الأمي» .</div><div style="text-align: justify;">— {উম্মী নবী} (দ্বারা বুঝানো হয়েছে,হে আহলে কিতাব) যেই উম্মী নবীর প্রতিশ্রুতি ও সুসংবাদ তোমাদেরকে পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থসমূহের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছিল ইনিই সেই নবী। উক্ত গ্রন্থসমূহে তাঁর এই পরিচয়ই প্রদান(মানে নবীয়্যে উম্মি) করা হয়েছে ৷</div><div style="text-align: justify;">[সূত্রঃ তফসিরে ইবনে কাসীর,দারু ইবনে জওযী।]</div><div> </div><div style="text-align: justify;">অতএব প্রমাণিত হলো,আরিফ আজাদের বলা —</div><div style="text-align: justify;">«ইমাম ইবনে কাসীর, যিনি সারা দুনিয়ায় কুরআনের তাফসীরের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন, তিনি সুরা আল-আরাফের ওই ‘উম্মী’ শব্দের অর্থ করেছেন ‘যিনি পড়তে আর লিখতে জানেন না’।»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">— একটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">এরপর উনি বলেন,</span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">২.</span></b></div><div style="text-align: justify;">«ইমাম বাগাউয়ী তার বিখ্যাত তাফসির ‘তাফসির আল-বাগাউয়ী’-তে সুরা আল-আরাফের এই আয়াতের অর্থ করতে গিয়ে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন যেখানে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু স্পষ্ট করেছেন এই বলে যে,</div><div style="text-align: justify;">‘তোমাদের নবি ছিলেন উম্মী— তিনি পড়তে, লিখতে আর গুনতে জানতেন না’। [২]</div><div style="text-align: justify;">[২]. তাফসির আল-বাগাউয়ী, সুরা আল আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতের তাফসির দ্রষ্টব্য»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤সত্যিকারে উল্লেখ আছে—</div><div style="text-align: justify;">قال ابن عباس رضي الله عنهما هو نبيكم كان أمياً لا يكتب ولا يقرأ ولا يحسب.</div><div style="text-align: justify;">— (এর অর্থ হবে) ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,তিনি হলেন উম্মী নবী।যিনি</div><div style="text-align: justify;">{তিনি (لا)/না, (يكتب)লিখেন}=লিখেন না</div><div style="text-align: justify;">{তিনি (ولا)/না,(يقرأ)পড়েন}=পড়েন না</div><div style="text-align: justify;">{তিনি (لا)/না, (يحسب)পাঠ করেন}=হিসাব/গনণা করেন না</div><div style="text-align: justify;"> — এই হলো বাস্তব অর্থ।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">তিনি লিখতে জানতেন না এর আরবী তো ভাই,</div><div style="text-align: justify;">[لا يستطيع الكتابة]</div><div style="text-align: justify;">বা,তিনি পড়তে জানতেন না এর আরবী</div><div style="text-align: justify;">[لا يستطيع القراءة]</div><div style="text-align: justify;">আমি জানিনা,আজাদ সাহেব মাঝে 'ইয়াস্তাত্বিউ' বা Ability to do something কোত্থেকে নিয়ে আসলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আফসোস কিতাবের ইবারত কারচুপীকারকদের জন্য।কেননা পরের লাইন তুললেই সব পরিষ্কার হয়ে যেতো।ইমাম মুহিউসুন্নাহ বাগাবী বলেন—</div><div style="text-align: justify;">وهو منسوب إلى الأم، أي هو على ما ولدته أمه . وقيل هو منسوب إلى أمته، أصله أمتي فسقطت التاء في النسبة كما سقطت في المكي والمدني وقيل : هو منسوب إلى أم القرى وهي مكة.</div><div style="text-align: justify;">— (উম্মী এর অর্থ) মাতৃসম্পর্কের দিকেও হতে পারে,যেমন কেউ জম্ম গ্রহণ করার পর যে অবস্থায় থাকে (একেবারে মাসুম)।বলা যায়,এটা উম্মতের দিক থেকেও ('উম্মী') নির্দেশ করে,যেরকম মক্কা-মদীনার সাথে সম্বন্ধ মাক্কী-মাদানী বুঝায়।আবার এটা দ্বারা উম্মুল ক্বোরা বা মক্কা শরীফও বুঝায়।</div><div style="text-align: justify;">[তফসিরে মা'আলিমুত্তানযীল বা বাগাভী]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">এরপর অনর্গলভাবে বললেন</span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;"><br /></span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">৩.</span></b></div><div style="text-align: justify;">«একই হাদিস টেনে আয়াতটার অর্থ করেছেন আরেক বিখ্যাত তাফসিরকারক ইমাম কুরতুবি তার বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থ ‘তাফসির আল-কুরতুবি’-তে»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤আমরা এর জবাব দিয়েছি।কিন্তু অন্যত্র ইমাম ক্বুরতুবী কি বললেন সেটা লেখক আর উল্লেখ করলেন না।ইমাম বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">فكان ذلك خارقاً للعادة كما أنه عليه الصلوة والسلام علم علم الأولين والآخرين من غير تعلم ولا إكتساب فكان ذلك أبلغ في معجزاته</div><div style="text-align: justify;">— (বুখারী ২৮৯৯ নং হাদীসে নবীজি লিখলেন এই ব্যাপারে উনি বলেন) কেননা,যেভাবে তিনি (আল্লাহ ব্যতীত) কারো কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করেই আদি-অন্তের সমস্ত বিদ্যা লাভ করেছিলেন, তেমনিভাবে শিক্ষাগ্রহণ ছাড়াই লিখতেও সক্ষম ছিলেন।এটা উনার অন্যতম মোজেযা।</div><div style="text-align: justify;">[তফসিরে ক্বুরতুবী,১৬/৩৭৪,মওসুসাতুর রিসালা]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">৪.</div><div style="text-align: justify;">«গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ তাফসিরকারক,..... ’। [৪]</div><div style="text-align: justify;">[৪]. তাফসির আস-সাদী, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্টা ৩০৯»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ও সালাফি, তাই কোনো কারণ ছাড়া আমি ওর তাফসির নিবো না বা মানবো না!তাই খতিয়ে দেখার ও প্রয়োজন মনে করছিনা।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">লেখক অগ্রসর হলেন—</span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">৫.</span></b></div><div style="text-align: justify;">«(আনকাবুত ৪৮) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবন কাসীর রাহিমাহুল্লাহ তার ‘তাফসির ইবন কাসীর’-এ বলেন—</div><div style="text-align: justify;">‘আয়াতটার অর্থ হলো এই যে— এই কুরআন অবতীর্ণের আগে লম্বা সময় ধরে আপনি তাদের মাঝে বাস করছেন। এই সুদীর্ঘ সময়ে আপনি না কোনোদিন কোন বই পড়েছেন না কোনোদিন কোনোকিছু লিখেছেন। আপনার কওম ভালোমতোই জানে যে, আপনি একজন নিরক্ষর মানুষ যে পড়তে আর লিখতে জানে না। [৫]</div><div style="text-align: justify;">[৫]. তাফসির ইবনে কাসীর, পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্টা ৫৯৬»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤আর ইমাম ইবনে কাসীর উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">ثم قال تعالى: «وما كنت تتلوا من قبله، من كتب ولا تحظه بيمينك) أي: قد لبثت في قومك يا محمد من قبل أن تأتي بهذا القرآن عمراً لا تقرأ كتاباً ولا تحسن الكتابة بل كل أحد وغيرهم يعرف أنك رجل أمي لا تقرأ ولا تكتب، وهكذا صفته في الكتب المتقدمة، </div><div style="text-align: justify;">—(৪৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যা হল) "অর্থাৎ হে মুহাম্মদ ﷺ ! আপনার কওম ভালোভাবেই জানে যে,এই কুরান নাযিল হবার পূর্বে আপনি কখনো </div><div style="text-align: justify;"><span style="color: #7f6000;">★কোনো কিতাব পড়তেন না= লা বা 'না' (لا)+তাক্বরাআল বা 'পড়তেন' (تقرأ)+কিতাবা(كتاباً)</span></div><div style="text-align: justify;"><span style="color: #7f6000;">★এবং ভালোভাবে/সর্বদাই লিখতেন না = লা+ তাহসানা(تحسن) বা,ভালোভাবে/সর্বদাই + লিখতেন/ কাতাবাহ।</span></div><div style="text-align: justify;">বরঙ তারা প্রত্যেকে জানে যে,আপনি হলেন উম্মি (এই জায়গাটায় সে আবারো নিরক্ষর লিখেছে),</div><div style="text-align: justify;">আপনি লিখেন না (ولا تكتب) এবং পড়েন না(لا تقرأ)</div><div style="text-align: justify;">এবং এভাবেই আমি পূর্বের কিতাব সমূহে (আপনার কথা) আলোচনা করেছি।"</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এবং,আল্লামা ইবনে কাসীর হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্র লেখার ব্যাপারে বলেন</div><div style="text-align: justify;">أنه كتب ذلك على وجه المعجزة لا أنه كان يحسن الكتابة</div><div style="text-align: justify;">—এটা ছিলো নবীপাকে মোজেযা,যা সর্বদা লিখতেন এমনটা প্রকাশ করেনা।</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ,ইবনে কাসীর র. নবীজী 'লিখতেন' কে মোজেযার অন্তর্গত করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">[তাফসিরে ইবনে কাছীর,৬/৬৮,দারু ইবনে জাওযী]</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আর এ ব্যাপারে মন্তব্য করবো,এধরণের খেয়ানতিপূর্ণ অনুবাদ দ্বারা তরূণ সমাজকে বিভ্রান্ত করার কোনো মানে নেই।</div><div style="text-align: justify;"><b><span style="background-color: white; color: red;"><br /></span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="background-color: white; color: red;">৬.</span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="background-color: white; color: red;">বড়ো আশ্চর্য হয়েছিলাম এই রেফারেন্স ক্রস চেক করতে গিয়ে।</span></b>লেখক বাংলা অনুবাদের উপরেই যে কেবল নির্ভরশীল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। উনি বলেন,</div><div style="text-align: justify;">«সুরা ‘আল-আনকাবুত’-এর এই আয়াতের ব্যাখ্যায় উপমহাদেশের বিখ্যাত আলিম, শাইখ আল্লামা তাকী উসমানি হাফিজাহুল্লাহ তার বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থ ‘তাফসির তাওযীহুল কুরআন’-এ বলেন—</div><div style="text-align: justify;">‘আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘উম্মী’ বানিয়েছেন।..... [৬]</div><div style="text-align: justify;">[৬]. তাফসির তাওযীহুল কুরআন, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্টা ৬০২»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">খেয়ানত দেখুন আরিফ আজাদের,যিনি সর্বস্ব চেষ্টা করেছেন নবীজী পড়ালেখা জানতেন না এটা প্রমাণ করতে। শায়খুল ইসলাম মুফতি ত্বকী উসমানি লিখেন (স্ক্রীনশটে আছে),</div><div style="text-align: justify;">"হুযুর নবী কারীম ﷺ কো আল্লাহ নে উম্মী বানায়া, আঁপ লিখতে পাড়তে নেহি হ্যায়"। (সুবহানাল্লাহ)</div><div style="text-align: justify;">—অর্থাৎ,আল্লাহ নবীজীকে উম্মী বানিয়েছেন। উনি লিখতেন পড়তেন না।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">'আঁপ লিখ নেহি সাক্তে(লিখতে জানেন না),পাড় নেহি সাক্তে(পড়তে জানেন না),হুজুর কো লিখনা নেহী আতা(লেখনী উনার হাত দিয়ে আসেনা'' কথাগুলো একটাও উল্লেখ নেই।</div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;"><br /></span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">৭.</span></b></div><div style="text-align: justify;"><b><span style="color: red;">আমি আজব হচ্ছিলাম, এরকম সিরিয়াল ফল্টের ভান্ডার দেখে।লেখক বলেন</span></b></div><div style="text-align: justify;">«বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসায় বহুল পঠিত তাফসির হলো তাফসিরে জালালাইন। সেই বিখ্যাত তাফসিরের তাফসিরকারক সুরা আল-আরাফের ১৫৭ নম্বর আয়াতের ‘উম্মী’ শব্দের ব্যাখ্যায় বলেন»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উনি এখানে যে 'জালালাইন' এর কথা বলেছেন তা হল 'বাংলা জালালাইন' এবং তার সংকলক মওলানা আহমদ মায়মূন,যিনি কওমী অঙ্গনের আলেম।তাই এই কিতাব কওমীদের।আলিয়া মাদ্রাসায় যেটা পড়ানো হয় তার কথায় কি আছে তা আমি লিখছি।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">➤জালালাইনের লেখক মূল কিতাবে কেবল ''উম্মী'' শব্দের পাশে এর অর্থ বা তাফসীরে 'মুহাম্মাদ ﷺ' ই লিখেছেন।আর এর হাশিয়া বা টীকা-টীপ্পনি তে দেখা যায়,</div><div style="text-align: justify;">الأمي: نسبة إلى الأم كأنه باق على حالته التي ولد عليها، والمراد به الذي لا يقرأ الخط ولا يكتب، وهذا الوصف من خصوصياته ﷺ إذ كثير من الأنبياء كان يكتب ويقرأ. (تفسير الكرخي)</div><div style="text-align: justify;">—তফসীরে কারখীর সূত্রে উল্লেখ আছে,'উম্মী' শব্দটি নিসবত 'উম্ম' বা 'মা' বা মূলের দিকে। অর্থাৎ,একটি নবজাতক শিশু যে অবস্থায় থাকে সর্বদা অই অবস্থায় থাকা(মাসুম থাকা)।যার মুরাদ বা অর্থ হলো যে কোনো কিছুই পড়েনা বা কোনো কিছুই লিখেনা।এবং এটা নবীজীর একটা বিশেষ সিফাত।অন্যদিকে অধিকাংশ নবীরাই লিখতেন এবং পড়তেন।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এতসব এক্সপোজের পর আর হাদীসের দিকে গেলাম না।কেননা,তিনি যেখানে 'হাতে না লেখা প্রমাণ করতে চেয়েছেন',তা ইমাম ক্বুরতুবী ইমাম ইবনে কাসীর দ্বারা মোযেজা বলে গণ্য হয়েছে।ইমাম বদরুদ্দীন আইনী 'উমদাতুল কারী'তে,ইমাম আলূসী 'রুহুল মাআনী' তে স্পষ্ট বলেছেন নবীজি লিখার ক্ষমতা রাখতেন,কিন্ত সাধারণভাবে তারজন্য অনুমতিপ্রাপ্ত নন।</div><div style="text-align: justify;"><b style="background-color: #ffa400;"><br /></b></div><div style="text-align: justify;"><b style="background-color: #ffa400;">৮.</b></div><div style="text-align: justify;"><b style="background-color: #ffa400;">«আবার, ইমাম আয-যাহাবী তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিয়ারু ‘আলামীন নুবালা’-তে বলেছেন,</b></div><div style="text-align: justify;">‘যদি ওইদিন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতে নিজের নাম লিখেছেন ধরেও নিই, তাতেও প্রমাণ হয় না যে তিনি লিখতে আর পড়তে জানতেন। কারণ, পৃথিবীর বহু মানুষ এমন আছে যে যারা পড়তে আর লিখতে জানে না, কিন্তু নিজের নামটা কেবল লিখতে পারে’।»</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এটা সিয়ারু আলামিন নুবালার বর্ণনা নয়। বরঙ এটা আবুল আলা মৌদুদী ধৃষ্টতার একটা স্বরূপ। এটা উল্লেখ আছে,তাফহিমুল কুরআন,৩য় খন্ড ৭১৩,৭১৪ পৃষ্ঠায়,এদারায়ে তরজুমানুল কুরআন,লাহোর হতে প্রকাশিত। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">সর্বোপরি একজন দেশবরেণ্য লেখকের কাছ থেকে।এধরণের পোস্ট কাম্য নয়।ভুল কে শুধরাতে পারাটাও একটা বড় গুণ।আমার অনুরোধ থাকবে,সম্পূর্ণ না পড়ে,উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক কোনো কটু মন্তব্য করবেন না।ওয়াসসালাম</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">©AR Raffehan</div>

নবী আল উম্মীর ব্যাখ্যাঃ মিথ্যাচারের জবাব!

আরিফ আজাদ সাহেবের ভ্রান্ত দালিলিক পোস্টের যথার্থতা নিরূপনঃ______________________________ আরিফ আজাদ সাহেব— 'নবীজীবনের গল্প' বইয়ে হুদা...

Read more »