মসজিদে নববীর দাসী

আরব গোত্রের এক দাসী রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। তার গায়ের রঙ ছিল কালো। উদ্দেশ্য কুফর ও শিরকের পথ ছেড়ে সত্যের পথে চলা। দ্বীন ইসলামের ছায়ায় নিজেকে সুরক্ষিত করা। আল্লাহ ও তার রাসূলের নৈকট্য লাভ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে মহিলাটি ইসলাম গ্রহণ করল। আরজ করল, "ইয়া রাসূলুল্লাহ (দ:)! আমার থাকার কোনো জায়গা নেই। এখন আপনিই ভরসা।" <div class="separator" style="clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigdZJI3dua72FGlwIyIoyMYC5DKKL4jQQx_GKwvYa9ud_hGoad9lKBADfJjympuv01XgtxW9k_8gwZAZiqjHo8DUBIIVcuJ4kPCbddg8lRzlJvBIekTrJjOcX0NX08zW_RUsFsJ0Toybj2/s0/174299098_4240683269298432_7128018092000307554_n.jpg" style="display: block; padding: 1em 0; text-align: center; "><img alt="" border="0" data-original-height="720" data-original-width="1281" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigdZJI3dua72FGlwIyIoyMYC5DKKL4jQQx_GKwvYa9ud_hGoad9lKBADfJjympuv01XgtxW9k_8gwZAZiqjHo8DUBIIVcuJ4kPCbddg8lRzlJvBIekTrJjOcX0NX08zW_RUsFsJ0Toybj2/s0-rw/174299098_4240683269298432_7128018092000307554_n.jpg"/></a></div> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাসীকে ফেলে দিলেন না। নিজ হাতে তার জন্য মসজিদে নববীতে একটা তাবু বানিয়ে দিলেন। সেখানেই দাসীটি বসবাস করতো। অবসর সময়ে আসতো মা আয়েশা রা: সঙ্গে গল্প করতে। হযরত মা আয়েশা রা: সঙ্গে যখনই দেখা হতো তখনই দাসীটি বলা শুরু করতো: <blockquote>ويوم الوشاح من تحاليل ربنا * الا انه من بلدة الكفر انجاني "সেই হারের দিনটি আমার রবের আশ্চর্য ঘটনা বিশেষ৷ জেনে রাখুন সে ঘটনা আমায় দিয়েছে মুক্তি কুফরের শহর থেকে।" </blockquote> মা আয়েশা রা: এই কথা শুনে বারবার অবাক হতেন। ভাবতেন এই মহিলা এভাবে বলছে কেন? একদিন জিজ্ঞেসই করে বসলেন, "কি ব্যাপার, তুমি আমার কাছে বসলেই এ কথাটি বলো কেন?" দাসী তখন বর্ণনা করল তার অতীত ইতিহাস। দ্বীনের পথে ফিরে আসার গল্প। যে দ্বীন তাকে মুক্তি দিবে দুনিয়া এবং আখেরাতের আযাব থেকে। সে ছিল কোন এক আরব গোত্রের দাসী। তার মালিক তাকে আযাদ করে দিয়েছিল। সে তার মালিকের সঙ্গেই থেকে গেল। মালিকের বাড়িতে একটি মেয়ে ছিল। মেয়েটি তার গলায় লাল চামড়ার ওপর মূল্যবান পাথর খচিত হার পরে বাইরে গেল। পথিমধ্যে দুর্ভাগ্যক্রমে সে হারটি অসতর্কতার বসে কোথাও পরে গিয়েছিল। একটা চিল সেই হারটিকে পড়ে থাকা গোস্তের টুকরো মনে করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল। এদিকে গোত্রের লোকেরা মহা ব্যস্ত হয়ে সেই হারটি খুঁজতে শুরু করল। অনেক খুজাখুঁজি করার পরেও শেষ পর্যন্ত হারটির সন্ধান পাওয়া গেল না। গোত্রে সবচেয়ে গরিব ছিল সেই মহিলাটিই। কাজেই দোষ এসে পড়ল সেই দাসীর ঘাড়েই। তাকে দোষী মনে করে গোত্রের লোকেরা তাকে তল্লাশি শুরু করল। ওরা সেই হারের সন্ধানে এতটাই উত্তেজিত ছিল যে ঐ মহিলার লজ্জাস্থানে পর্যন্ত তল্লাশী চালানো হলো। দাসীটি কেঁদে ফেলল। চিৎকার করে বলতে লাগল, "আল্লাহর কসম! আমি চুরি করিনি।" তারা তার কথা বিশ্বাস করছিল না। সবাই ধরেই নিয়েছিল যে সেই চুরি করেছে। ঠিক এমন সময় হার নেওয়া সেই চিলটি ওড়ে যেতে যেতে ওই মহিলার বাড়ির সামনে হারটি ফেলে দিল। সকলের সামনেই হারটি এসে পড়ল। গোত্রের সবাই হতভাগ। মহিলাটি তখন বলল, "তোমরা তো এর জন্যেই আমার উপর দোষ চাপিয়েছিলে। তোমরা আমার সম্পর্কে সন্দেহ করেছিলে অথচ আমি ছিলাম এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ। নিশ্চই আমার রব আমাকে এই পরিক্ষা থেকে উত্তীর্ন করেছেন। সত্য চিনিয়েছেন, মিথ্যার বিনাশ করেছেন।" এরপরই মহিলাটি সব কিছু ত্যাগ করে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। এবং ঘোষণা করল, <blockquote>"আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নেই, নিশ্চই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।"</blockquote> <strike>তথ্যসূত্রঃ</strike> <i>বোখারী শরীফ: সালাত অধ্যায়, ২৯৮ নং পরিচ্ছেদ, হাদিস নং: ৪২৬।</i>

মসজিদে নববীর দাসী

আরব গোত্রের এক দাসী রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলো। তার গায়ের রঙ ছিল কালো। উদ্দেশ্য কুফর ও শিরকের পথ ছেড়ে সত্য...

Read more »

মোস্তফা জানে রাহমাত পে লাখো সালাম

<div style="text-align: justify;">কৃতঃ মাহদি গালিব</div><div style="text-align: justify;">সালাম জানিয়েছেন চুল মোবারকে। সেই চুল কালো, সে কালো কেমন কালো, তাতেও সালাম। হাঁটলে চুল দোলে। সেই দোদুল্যমান চুল দেখতে কেমন, সেটাতেও সালাম। চুল বাঁকা না সোজা, তাতেও সালাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কপাল মোবারকে একটা রগ ছিল। ক্রোধান্বিত হলে ফুলে উঠত। নবীজান হাশেমি বংশের ছিলেন। রগটি ছিল হাশেমি বংশের প্রতিক। সে রগ কীভাবে ফুল, কতটা ফুলত, কতক্ষণ ফুলত— তাতেও সালাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কপাল কতটা চ্যাপ্টা— সালাম। ভ্রুজোড়া কেমন, জোড়া না আলাদা, দেখতে বাঁকা তরবারি— সালাম। চোখ মোবারক, সে চোখ যে দিকে তাকায়, সেদিকেই প্রাণ ফিরে পায় সব, সে চোখের তাকানোর ভঙ্গিতে সালাম। আঁখি পল্লব যেন বেহেশতের ছায়াদানকারী পর্দা— তাতেও সালাম। যে চোখের মণিতে জমা জগতের যাবতীয় কষ্টের জন্য মমতা— তাতেও সালাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নাক মোবারক লম্বা, কেমন লম্বা— সালাম। গাল মোবারক কেমন লাবণ্যময়, রক্তিম, চৌম্বকীয়— সালাম। ঝর্ণার দুপাশের গাছ কালচে সবুজ হয়। ঝর্ণার অবিরত পুষ্টিতে পরিপুষ্ট হয়। মদিনা-মুনিবের চেহারা তো রহমতের ঝর্ণা৷ সেই ঝর্ণার অনাবিল রহমতে ঋদ্ধ কালচে হচ্ছে— মোছ মোবারক, দাড়ি মোবারক, সালাম সালাম। চিবুক মোবারক লামের মতো। কোরআনের গুপ্ত রহস্যের মতো। সালাম সালাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঠোঁট মোবারক! হায় হায়! সে ঠোঁট মুচকি হাসলে মরা ফুলগাছেও কলি পায় প্রাণ— লক্ষ সালাম। দাঁত তো নক্ষত্রের চেয়ে উজ্জ্বল। কন্ঠের কথা কাওসার থেকে তৃপ্তিদায়ক। বাচনভঙ্গির সাবলিলতা কালজয়ী কবিতা পাঠ। লক্ষ সালাম। লক্ষ সালাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এভাবে প্রত্যেক অঙ্গে শুধু না, অঙ্গমোবারকের আনুষঙ্গিক বর্ণনা পাগল করে দেয়। খোদার কসম! পুরো কাসিদার ব্যাখা দিলে ৫০০ পাতার বই হবে। ফেসবুকে সম্ভব না। কাব্যানুবাদ করেছি কয়েক বছর আগে। ছোট ছিলাম। ভুলে ভরা। ওটা করতেই জান যায় যায় অবস্থা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কাসিদায়ে সালাম ১৭১ পঙক্তি। ৩৪২ লাইন। দুই লাইনে এক পঙক্তি। প্রথম পঙক্তি থেকে ১১০ পঙক্তি পর্যন্ত রাসুল-অতল সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের— জাত/সত্তা মোবারক, তাঁর সু-উচ্চ সম্মানের বর্ণনা, বাহ্যিক আয়ুর বিভিন্ন পর্ব, দেহ মোবারকের বিভিন্ন বিষয়ে সালাম জানিয়েছেন ইমাম আলা হযরত আহমাদ রেযা খান। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১১০ অবধি ওভাবে সালাম। পরে পর্যাক্রমে আহলে বাইত, দশ সাহাবি, মক্কার সাহবি, বদর ওহুদের সাহাবি ও সিলসিলার অন্যান্য শ্রদ্ধেয় বুজর্গদের সালাম জানিয়েছেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১১১-১৩০ অবধি বিশ পঙক্তি শুধুই আহলে বাইতের জন্য। এসব ব্যাখ্যা করলে ১০০ পৃষ্ঠার বই হবে। এখানে আম্মাজান ফাতিমার বিষয়ে ৩টি পঙক্তি আছে। পঙক্তি তিনটি—</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উস বাতুলে জিগার পারায়ে মুস্তাফা</div><div style="text-align: justify;">হজলা আরায়ে ইফফত পে লাখোঁ সালাম</div><div style="text-align: justify;">/</div><div style="text-align: justify;">রাসুল-অতুল দ. এঁর কলিজা মোবারক হচ্ছেন মা ফাতিমা। আমরা পবিত্র জামা পরি। আর মা ফাতিমার জামা পবিত্র— এমন না শুধু, বরং তিনি পবিত্রতাকে জামা বানিয়ে পরিধান করেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জিস কা আঁচল না দেখা মাহও মেহর নে</div><div style="text-align: justify;">উস রেদায়ে নযাহত পে লাখোঁ সালাম</div><div style="text-align: justify;">/</div><div style="text-align: justify;">তিনি এতোটাই সাধ্বী যে, আকাশ চাঁদ সূর্যও তাঁর চুল দেখতে পায়নি— এমন না শুধু, যে আঁচল দিয়ে তিনি মাথা মোবারক ঢেকেছেন, ওটাও আকাশ চাঁদ সূর্য দেখতে পায়নি। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সাইয়্যেদা তাইয়্যেবা জাহেরা তাহেরা </div><div style="text-align: justify;">জানে আহমাদ কী রাহাত পে লাখোঁ সালাম</div><div style="text-align: justify;">/ </div><div style="text-align: justify;">এখানে গুগলি আছে। সরল অনুবাদ বলে— মা ফাতিমা নারীগণের সর্দার, পবিত্রতায় পরাকাষ্ঠা, নবীকন্যা, চির সতেজ ফুল। এবং তিনি নবী মুস্তাফার জীবনের প্রশান্তি। </div><div style="text-align: justify;">খেয়াল করুন। মুস্তাফা জানে রহমত মানে— নবী মুস্তাফা সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছে রহমের প্রাণ। তাঁকে ছাড়া রহমত অসম্ভব। তিনি রহমতেরও রহমত। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্যদিকে মা ফাতিমা হচ্ছেন সে রহমতের প্রাণের প্রশান্তি। মা ফাতিমাকে দেখলে নবীজানের জানে শান্তি আসে। ওহ আল্লাহ! হায় আল্লাহ! হক আল্লাহ! </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যারা বলেন রেযাখানিরা আহলে বাইতে এড়ায়, শোনেন, জুলুম বন্ধ করেন প্লিজ। আবার যারা বলে আমরা শিয়া প্রভাবিত তাদের জন্য বলার আছে এটাই— ব্যা ব্যা ব্ল্যাকশিপ হ্যাভ ইউ অ্যানি উল? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩য় রমজান মা ফাতিমা চোখের আড়াল হয়েছেন। অনেকে এখানে ঐতিহাসিক সত্যতা খোঁজে। খুঁজুক। খুঁজতে খুঁজতে মরুক। আল্লাহ হেদায়ে করুক। তাঁকে ভালোবাসতে বিশেষ দিন লাগে না। প্রতিটি মুহূর্ত তাঁর। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহর ওয়াস্তে ভয় করুন। বলা হবে— হে হাশরবাসীগণ, চোখ নামাও সমীহে, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ আসছেন।</div>

মোস্তফা জানে রাহমাত পে লাখো সালাম

কৃতঃ মাহদি গালিব সালাম জানিয়েছেন চুল মোবারকে। সেই চুল কালো, সে কালো কেমন কালো, তাতেও সালাম। হাঁটলে চুল দোলে। সেই দোদুল্যমান চুল দেখতে কেমন, ...

Read more »

'হোসনে মোস্তফা ﷺ- ০৭'

<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjh8oPzWZ5OawapW8hprt3lEREgwQWdFxp8U32vJIvF8SsIrAYwaWO_I_08tazDnByP9Gvrq9p27enfNi1dRK_XzdPEVxevTAFVJ-jZJEH_mVcABdq6Pg4srS1kDl0yicnpSsjABTEALs0/s1600/InShot_20210416_161938650.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="3413" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjh8oPzWZ5OawapW8hprt3lEREgwQWdFxp8U32vJIvF8SsIrAYwaWO_I_08tazDnByP9Gvrq9p27enfNi1dRK_XzdPEVxevTAFVJ-jZJEH_mVcABdq6Pg4srS1kDl0yicnpSsjABTEALs0/s1600-rw/InShot_20210416_161938650.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">গত পর্বে হযরত উম্মে মা'বাদ রাদ্বী. এর বর্ণনা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম। সীরাত এর যত গ্রন্থ আছে সেগুলোতে যেখানেই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হুলিয়ার বর্ণনা আছে সেখানেই উম্মে মা'বাদ এর এই সুন্দর বর্ণনাটি তুলে ধরেছেন লেখকগণ। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">কিছু সময়ের জন্য উম্মে মা'বাদ রাদ্বী. প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংস্পর্শ পেয়েছিলেন।</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">আল্লাহু আকবার! এই সামান্য সময়ের সংস্পর্শ আজ উম্মে মা'বাদ কে পুরো পৃথিবীর কোণায় কোণায় স্মরণে উপযুক্ত বানিয়ে দিল। আজ প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে ওলামায়ে কেরাম এই মহীয়সী নারীর প্রশংসা করতে ভুলেন না।</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">প্রিয় ভাই ও বোন! আমার রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যে জুড়ে যায় সে দুনিয়াতে ও আখিরাতে সেলিব্রিটি হয়ে যায়। মানুষের কাছে স্মরণে কাবিল হয়ে যায়। আসুন আমরাও রাসূলে পাকের সাথে জুড়ে যাই। তাঁর সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে থাকি যেন মানুষের অন্তরে তাঁর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">তাঁর সুন্নাহ গুলোর অনুসরণ, অনুকরণ করি। তাহলে হতে পারে আমারও মানুষের মুখে স্মরণে কাবিল হয়ে যাব রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিসবতে।</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">ঘর থেকে বাইরে যখন বের হয় মানুষ সাধারণত সাজসজ্জা করেই বের হয়। যাতে তাকে সুন্দর দেখায়। তবে ঘরে কেউই সাজসজ্জা করে বসে থাকে না। আমার প্রিয় রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যখন ঘরের বাইরে সাহাবায়ে কেরাম দেখতেন তখন তাঁর সৌন্দর্যে কেমন বিভোর হতেন তা তো জেনেছেন। আসুন এবার ঘরের মানুষ থেকে তাঁর সৌন্দর্যের বর্ণনা শুনি।</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">একদিন উম্মুল মু'মিনিন সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বী. সেহরির সময় বসে কিছু একটা সেলাই করছিলেন। হঠাৎ তাঁর হাত থেকে সুইটি নিচে পরে গেল এবং প্রদীপও নিভে গেল। আর ঠিক তখনই আল্লাহর নূরের অপরুপ সৃষ্টি রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মুবারকের নূরের আলোতে পুরো ঘর আলোকিত হয়ে গেল।</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বী. সুইটিও পেয়ে গেলেন। তখন তিনি আরয করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার চেহারা মোবারক কতই না আলোকিত। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, ওই লোকের জন্য ধ্বংস যে কিয়ামতের দিন আমাকে দেখতে পাবে না। আরয করলেন, তারা কারা? যারা আপনাকে কিয়ামতের দিন দেখতে পাবে না?</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">ইরশাদ করলেন, তারা হচ্ছে কৃপণ। জিজ্ঞেস করলেন, কৃপণ কারা? ইরশাদ করলেন, 'যে আমার নাম শুনল অথচ আমার ওপর দূরুদ শরীফ পাঠ করল না।' [১]</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">প্রিয় ভাই ও বোন! এই বর্ণনা থেকে দুটি মাদানী ফুল পাওয়া যায়। প্রথমত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোবারক চেহারার সৌন্দর্যের কিছু ধারণা পাওয়া যায়। দ্বিতীয়ত এটা বুঝা যায় প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম মোবারক শুনে দূরুদ প্রেরণ না করা ধ্বংসের কারণ।</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">আল্লাহ তায়ালা ওইসব আশেকে রাসূলকে সালামত রাখুন যারা প্রিয় আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম মোবারক শুনে দূরুদ পড়ে, আঙ্গুল চুমু দিয়ে চোখে লাগায়, মাথা নিচু করে ফেলে, বুকে হাত রাখে। এসব মূলত সম্মান ও ভালোবাসার প্রতিফলন। </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">রেফারেন্সঃ</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">[১] আল কওলুল বদী, আল বাবুস সালেস ফিত তাহযীর মিন তরকীস সালাত, ৩০২ পৃষ্ঠা। </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">'হোসনে মোস্তফা ﷺ- ০৭'</div></div>

'হোসনে মোস্তফা ﷺ- ০৭'

গত পর্বে হযরত উম্মে মা'বাদ রাদ্বী. এর বর্ণনা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম। সীরাত এর যত গ্রন্থ আছে সেগুলোতে যেখানেই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহ...

Read more »

মা ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহার ওফাত

<div style="text-align: justify;">আজ ৩রা রমজান। বনী আদমের সর্দারের নন্দিনী, মুমিনদের মাওলা হিসেবে যিনি ঘোষিত হয়েছেন উনার সম্মানিতা স্ত্রী, জান্নাতী যুবকদের সর্দারদ্বয়ের সম্মানিতা জননী, জান্নাতী রমনীদের সর্দারনী মা ফাতিমা-তুজ- জাহরা রাঃ এঁর ওফাত দিবস। নবীজি ﷺ এঁর ওফাতের পর আহলে বাইতের মধ্যে যিনি সর্বপ্রথম ওফাতবরণ করবেন বলে প্রিয় নবী ﷺ বলে দিয়েছিলেন।</div><div><br></div><div>হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর স্ত্রীরা সবাই তাঁর নিকট ছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ বাদ ছিলেন না। এমন সময় ফাতিমা (রাঃ) আসলেন। তাঁর চলার ভঙ্গি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর চলার ধরণ থেকে একটুও আলাদা ছিল না। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন তাকে দেখলেন তখন তিনি এ বলে খোশ-আমদেদ জানালেন, মারহাবা, হে আমার আদরের মেয়ে! তারপর তাকে তাঁর ডানদিকে অথবা বামদিকে বসালেন এবং তার সঙ্গে চুপিসারে কিছু বললেন। এতে তিনি খুব কান্নাকাটি করলেন। যখন তিনি তার অস্থিরতা দেখলেন, তিনি আবার তার সাথে চুপেচুপে কিছু বললেন, তখন তিনি হেসে দিলেন। (আয়িশা রাঃ বলেন) আমি তাকে বললাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর সহধর্মিণীগণের উপস্থিতিতেই তোমার সাথে বিশেষভাবে কোন গোপন কথা বলেছেন। আবার তুমি কাঁদছ? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ উঠে গেলেন। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ তোমার নিকট কি বলেছেন? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর গোপন কথা প্রচার করবো না।</div><div><br></div><div>আয়িশা (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর ওফাত হয় তখন আমি তার উপর আমার অধিকারের কসম দিয়ে বললাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ তোমাকে কী বলেছেন, আমাকে অবশ্যই বলতে হবে। তিনি বললেন, আচ্ছা, এখন তবে হ্যাঁ। প্রথমবার তিনি আমাকে গোপনে বললেন, জিবরীল (আলায়হিস সালাম) প্রতি বছর একবার কি দু’বার আমাকে কুরআন পুনরাবৃত্তি করান। এ বছর তিনি দু’বার পুনরাবৃত্তি করালেন, আমার মনে হয় আমার (দুনিয়া থেকে পর্দা করার) সময় সন্নিকটে এসে গেছে। তুমি আল্লাহকে ভয় করো এবং ধৈর্যধারণ করো। কারণ, আমি তোমার জন্য কত উত্তম পূর্বসুরী। তখন আমি কাঁদলাম, যা আপনি দেখেছেন। তারপর আমার অস্থিরতা দেখে তিনি দ্বিতীয়বার চুপিসারে বললেন, হে ফাতিমা! মু’মিন রমণীদের প্রধান ও এ উম্মতের সকল মহিলাদের নেত্রী হওয়া কি তুমি অপছন্দ করো? ফাতিমা (রাঃ) বললেন, তখন আমি হাসলাম, আমার যে হাসি আপনি তা প্রত্যক্ষ করেছেন। (সহীহ মুসলিম ৬২০৭)</div><div><br></div><div>বুখারী শরীফের বর্ণনায় রয়েছে,</div><div><br></div><div>প্রিয় নবী ﷺ যখন ফাতিমাহ রাঃ কে ওনার ওফাত হওয়ার বিষয়ে অবগত করেন তখন ফাতিমাহ রাঃ কেঁদে ফেলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ চুপেচুপে বলেন, ফাতিমাহ রাঃ ই উনার পরিবারবর্গের মধ্যে সর্বপ্রথম উনার সঙ্গে মিলিত হব, তখন ফাতিমাহ রাঃ (খুশিতে) হাসতে শুরু করলেন। (সহীহ বুখারী ৩৭১৬)</div><div><br></div><div>উম্মুল মুমিনীন আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমি আকৃতি প্রকৃতি, স্বভাব-চরিত্র ও কাঠামো-অবয়বে, কথা-বার্তায় ফাতিমা (রাঃ) এঁর চেয়ে আর কাউকে রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাথে অধিক মিল দেখিনি। যখন তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর কাছে যেতেন, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ দাঁড়িয়ে তার হাতে চুমু দিতেন এবং নিজ স্থানে বসাতেন। একইভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ফাতিমা (রাঃ)’র ঘরে তাশরীফ নিয়ে আসতেন তখন তিনি দাঁড়িয়ে তাঁর হাত মুবারকে চুম্বন করে নিজের জায়গায় বসাতেন। (সুনান আবূ দাউদ ৫২১৭, ইমাম বুখারীঃ আল আদাবুল মুফরাদ ৯৮৩, মিশকাতুল মাসাবীহ ৪৬৮৯)</div><div><br></div><div>সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লাম।</div><div><br></div><div>কবি নজরুলের ভাষায়,</div><div><br></div><div>পুবাল হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া।</div><div>যাও রে বইয়া এই গরীবের সালামখানি লইয়া।।</div><div><br></div><div>কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই,</div><div>সারা জনম সাধ ছিল যে, মদিনাতে যাই (রে ভাই)।</div><div>মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।।</div><div><br></div><div>তোমার পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি,</div><div>লইয়া যাওরে এই নিরাশের দীর্ঘ নিশ্বাসখানি।</div><div>নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।।</div><div><br></div><div>মা ফাতেমা হযরত আলীর মাজার যেথায় আছে,</div><div>আমার সালাম দিয়া আইস তাঁদের পায়ের কাছে।</div><div>কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।</div>

মা ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহার ওফাত

আজ ৩রা রমজান। বনী আদমের সর্দারের নন্দিনী, মুমিনদের মাওলা হিসেবে যিনি ঘোষিত হয়েছেন উনার সম্মানিতা স্ত্রী, জান্নাতী যুবকদের সর্দারদ্বয়ের সম্মা...

Read more »