প্রিয় কে?

<p> প্রিয় একজন মানুষ কোনো কারণে আমার ওপর নারাজ হলে হতাশ হয়ে যাই। কিভাবে তাকে আবার খুশি করব? কিভাবে সন্তুষ্ট করব? কত হাজার বার সরি বলে, কতকিছু করে তাকে খুশি করতে হয়! </p><p>আমি আজকে মারা গেলে সেই প্রিয় ভালবাসার মানুষগুলো এক মাস পর আমাকে ভুলে যাবে। তারপরও এত টান!</p><p>আর যেই রব তায়ালা আমাকে সৃষ্টি করলেন, এত এহসান, এত দয়া তাঁর, যিনি হাজারো গুণাহ নিয়ে ফিরে আসা বান্দাকে নিমিষেই ক্ষমা করে দেন, তাকে দিনের পর দিন নারাজ করে যাচ্ছি! অথচ মনে কোনো চিন্তাই নেই?</p><p>রব তায়ালাকে নারাজ করে বান্দা কিভাবে সফল জীবন এর স্বপ্ন দেখতে পারে?</p><p><br /></p><p>                             - 𝑆𝑤𝑎𝑑ℎ𝑖𝑛 𝐴ℎ𝑚𝑒𝑑</p>

প্রিয় কে?

 প্রিয় একজন মানুষ কোনো কারণে আমার ওপর নারাজ হলে হতাশ হয়ে যাই। কিভাবে তাকে আবার খুশি করব? কিভাবে সন্তুষ্ট করব? কত হাজার বার সরি বলে, কতকিছু ক...

Read more »

সুন্নাহর ওপর আমল করলে বাধা আসবেই!

<p> সুন্নাহর ওপর আমল করলে বাধা আসবেই। আসুক বাধা, করুক মানুষ কটুক্তি। এক বিন্দু ও সুন্নাহ থেকে পিছু হটবেন না। আল্লাহর সাহায্য আসবেই। আর যখন আল্লাহর সাহায্য আসবে তখন এসব কটুক্তিগুলো তুচ্ছ ও হাস্যকর মনে হবে। ফিতনার স্রোত যেদিকেই বয়ে যাক আপনাকে কিন্তু স্রোতের বিপরীতে চলতে হবেই। কারণ আপনি মুমিন। </p><p>আল্লাহর সন্তুষ্টি বিপরীতে গিয়ে মুমিনদের আর কারোর সন্তুষ্টির কোনো প্রয়োজন নেই। মনে আছে অবশ্যই 'আসহাবে কাহাফের' ঘটনা। </p><p>তারাও স্রোতের বিপরীতে চলেছিল। তার ফলে কি পেল তাঁরা? পেয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। তাদের আল্লাহ দান করেছেন সম্মান। তাদের নাম বর্ণিত হয়ে স্বয়ং প্রিয় আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর নাজিলকৃত ওহীতে। তাদের নাম কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ স্মরণ করতে থাকবে।</p><p>আল্লাহ তায়ালা কি অসাধারণ কুদরত দ্বারা তাদের হেফাজত করেছেন জালিম বাদশাহ থেকে! তাঁরা নিজেরা পর্যন্ত বুঝতে পারে নি।</p><p>প্রিয় মুসলিম উম্মাহ! আল্লাহ যদি আসহাবে কাহাফদেরকে হিফাজত করতে পারেন তাহলে কি আমাদের হিফাজত করতে পারবেন না? অবশ্যই পারেন। এবং করবেন। ইনশাআল্লাহ </p><p>- স্বাধীন আহমেদ</p>

সুন্নাহর ওপর আমল করলে বাধা আসবেই!

 সুন্নাহর ওপর আমল করলে বাধা আসবেই। আসুক বাধা, করুক মানুষ কটুক্তি। এক বিন্দু ও সুন্নাহ থেকে পিছু হটবেন না। আল্লাহর সাহায্য আসবেই। আর যখন আল্ল...

Read more »

'দূরুদ শরীফ যখন কবরে সাহায্য করবে!'

<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhrk7_VsDpDMRaObiAg42G588GiHFjQCUHKyhy087_HGckvBlqGob1UHugRAzZPQRGgxMuolq2tPc95GNTE62gp3rxuoqTHw5edQv-vgxJ4raToSscZcTEMEewTZgPfJ9yj2nZK7C4TRtc/s720/FB_IMG_1618130518092.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="405" data-original-width="720" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhrk7_VsDpDMRaObiAg42G588GiHFjQCUHKyhy087_HGckvBlqGob1UHugRAzZPQRGgxMuolq2tPc95GNTE62gp3rxuoqTHw5edQv-vgxJ4raToSscZcTEMEewTZgPfJ9yj2nZK7C4TRtc/s320-rw/FB_IMG_1618130518092.jpg" width="320" /></a></div><br /> হযরতে শায়খ আবু বকর শিবলী (আলাইহির রাহমা) বলেন, আমি আমার এক প্রতিবেশীকে ইন্তেকালের পর স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, 'আল্লাহ তায়ালা তোমার সাথে কেমন ব্যবহার করেছেন?' সে বলল, 'আলীজাহ! আমি সাংঘাতিক ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলাম। মুনকার-নকীরের জবাব দিতে ভয় হচ্ছিল। <p></p><p>আমার আশংকা হচ্ছিল, তাহলে কি আমার ঈমানের ওপর মৃত্যু হয় নি? চারদিক থেকে একের পর এক আওয়াজ ভেসে আসতে লাগল। "দুনিয়াতে জবানকে যথাযথ ব্যবহার না করার কারণেই তোমার ওপর এই মুসিবত অবতীর্ণ হয়েছে।"</p><p>এরপর যখনই ফেরেশতাগণ আমাকে আজাব দেয়ার জন্য এগিয়ে আসলেন তখনই একজন অনিন্দ্য সুন্দর নূরানী চেহারার বুজুর্গ আমার এবং ফিরিশতাদের আজাবের মধ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালেন! তিনি মুনকার-নাকীরের প্রশ্নের জবাব দিতে আমাকে সাহায্য করলেন। এবং আমি আজাব থেকে নাজাত পেয়ে গেলাম। এরপর তিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, </p><p>আপনার ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। আপনি কে? তিনি বললেন, "দুনিয়াতে তোমার বেশী বেশী দূরুদ পাঠের দ্বারা আমি সৃষ্টি হয়েছি। কবর ও হাশরে সমস্ত কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।' সুবহানাল্লাহ </p><p><br /></p><p>রেফারেন্সঃ</p><p>আল কওলুল বদী, ১২৭ পৃষ্ঠা।</p>

'দূরুদ শরীফ যখন কবরে সাহায্য করবে!'

 হযরতে শায়খ আবু বকর শিবলী (আলাইহির রাহমা) বলেন, আমি আমার এক প্রতিবেশীকে ইন্তেকালের পর স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, 'আল্লাহ তায়ালা তোমার স...

Read more »

'তওবার ওপর অটলতা- ০২'

<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEildlR6G0mODJnp6l9mbtuKwgoKlXHIcHGYckNh5-0GsMEa35x-UjpyL_W20hCuoT87ccUTs6iIcYGh_2UUsxcN1opl6vCy19Th7-xggwBJamx2OprP9qPT2qB3VOfA7RC_PdbmG6c4gzY/s720/FB_IMG_1618130199425.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="405" data-original-width="720" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEildlR6G0mODJnp6l9mbtuKwgoKlXHIcHGYckNh5-0GsMEa35x-UjpyL_W20hCuoT87ccUTs6iIcYGh_2UUsxcN1opl6vCy19Th7-xggwBJamx2OprP9qPT2qB3VOfA7RC_PdbmG6c4gzY/s320-rw/FB_IMG_1618130199425.jpg" width="320" /></a></div><br /><p></p><p>তওবার ওপর অটল থাকার প্রধান হাতিয়ার নিয়মিত দোয়া। আল্লাহ তায়ালার কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইতে হবে। আল্লাহ যদি আপনাকে হেফাজত করেন তাহলে কে আছে আপনাকে গোমরাহ করবে।</p><p>তাছাড়াও নিচে চারটি পদ্ধতি নিয়ে কথা বলব যেগুলো আপনাকে তওবার ওপর অটল থাকতে সহায়তা করবে।</p><p>১. আপনাকে খারাপ সঙ্গ পরিবর্তন করতে হবে। যাদের সাথে থাকলে বা যেখানে গেলে গুনাহ সংঘটিত হওয়ার আশংকা আছে সেসব জায়গা/মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। উত্তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে যদি আপনি বলেন যে আমার গরম লাগবে সেটা যেমন অসম্ভব তেমনি খারাপ সাহচর্যে থেকে গুনাহ থেকে বিরত থাকাও অসম্ভব। </p><p>খারাপ সাহচর্য শুধু মানুষ নয়। মোবাইল, পিসি এগুলোও হতে পারে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এগুলোর ব্যবহার করবেন না। যখন ব্যবহার করবেন তখন এমন একটি কক্ষে বসে ব্যবহার করুন যেখানে সকলের আসা-যাওয়া থাকে। একাকী থাকবেন না। আর নিজের চোখকে হিফাজত করুন।</p><p>চোখের হিফাজত আপনাকে অনেক গুণাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। চোখের হিফাজত এর জন্য আপনি আমার লেখা আর্টিকেল- 'যিনার ধারেকাছেও যেও না!' পড়তে পারেন। কমেন্ট বক্সে লিংক দেয়া থাকবে।</p><p>২. প্রতিদিন একটি মুবাহ কাজ থেকে বিরত থাকুন। যে কাজ করলে সাওয়াব নেই বা না করলে গুণাহ নেই সেগুলোকে মুবাহ কাজ বলে। যেমন আপনার এখন চা খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু আপনি খাবেন না। ২ ঘন্টা পরে খাবেন। নফসকে কাবু করার এটা একটা পদ্ধতি।</p><p>যদিও কাজটি জায়েজ। তবুও নফসকে বুঝিয়ে দিতে হবে- 'হে নফস! আমি তোর সব কথা কেন মানব? আমি তোর গোলাম হয়ে কেন থাকব?' মানুষ যখন নফসের গোলাম হয়ে যায় তখন তার পরিণতি হয় ধ্বংস। এক সপ্তাহ এভাবে একটি মুবাহ কাজ থেকে বিরত থাকুন। দ্বিতীয় সপ্তাহে দুটি, তৃতীয় সপ্তাহে তিনটি। এভাবে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত কন্টিনিউ করুন। </p><p>ইনশাআল্লাহ আপনার নফসের ওপর কাবু চলে আসবে। এবং নফস চাইলেই আপনাকে দিয়ে গুণাহ করাতে পারবে না। </p><p>৩. এসবের পরও যদি গুনাহ হয়ে যায়, তাহলে প্রত্যেকটা গুনাহর কারণে চার রাকাত নামাজ আদায় করবেন। দুই রাকাত তওবার আর দুই রাকাত শুকরিয়ার। এটা খুবই কার্যকরী পদ্ধতি। শয়তানের মনে যখন এই বিশ্বাস চলে আসবে যে সে যতবারই আপনাকে দিয়ে গুনাহ করাচ্ছে আপনি নেকির মাধ্যমে তার প্রতিশোধ নিচ্ছেন। কারণ আপনার নেকী শয়তান সহ্য করতে পারে না।</p><p>তাই তখন সে কোনো গুনাহ করাতে গেলে ভাববে যে পরে আপনি তাকে দ্বিগুণ কষ্ট দিচ্ছেন। তাই সে তখন আর আপনাকে প্ররোচনা দিতে আসবে না।</p><p>৪. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে সারাদিনের আমলের হিসাব করুন। কতটা নেক কাজ করলেন, কতটা গুণাহ করলেন! গুনাহ গুলো থেকে রবের দরবারে তওবা করুন। ক্ষমা চান। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন আর কখনো এই গুণাহ না করার। ঘুমানোর পূর্বে দূরুদ ও সালাম আদায় করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার প্রশান্তিময় ঘুমও হবে। রব তায়ালার রহমতের মধ্যে থাকবেন সারাটা রাত।</p><p><br /></p><p>উপরোক্ত আমলগুলো নিজের সঙ্গী বানিয়ে নিতে পারলে ইনশাআল্লাহ তওবার ওপর অটল থাকতে আপনি সক্ষম হবেন। আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে গুনাহ থেকে দূরে রাখুন। শয়তান থেকে হেফাজত করুন আমিন।</p><p>'তওবার ওপর অটলতা!- ০২'</p>

'তওবার ওপর অটলতা- ০২'

  তওবার ওপর অটল থাকার প্রধান হাতিয়ার নিয়মিত দোয়া। আল্লাহ তায়ালার কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইতে হবে। আল্লাহ যদি আপনাকে হেফাজত করেন তাহলে কে আছে...

Read more »