'তওবার ওপর অটলতা- ০১'

<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSVpZDq8uF4EqBJQsoKTX2_aXMLLVe6uHyxu20KDnqCeWYC-7_O7xziPH0BPQsix3Qv8BwpVfNGOnzCLk40uh78dSP1QgZj9vOhhCRh3P-3jfkcTHxbwYk4FSkWn3FlgpTL3vi8KoGnas/s2048/InShot_20210409_192655274.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1152" data-original-width="2048" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSVpZDq8uF4EqBJQsoKTX2_aXMLLVe6uHyxu20KDnqCeWYC-7_O7xziPH0BPQsix3Qv8BwpVfNGOnzCLk40uh78dSP1QgZj9vOhhCRh3P-3jfkcTHxbwYk4FSkWn3FlgpTL3vi8KoGnas/s320-rw/InShot_20210409_192655274.jpg" width="320" /></a></div><br /><p></p><p style="text-align: justify;">তাওবার ওপর অটল কিভাবে থাকা যায়? তার আগে এটা বলে রাখা দরকার আপনার যদি গুণাহ করার পর তওবার সৌভাগ্য নসিব হয় তার মানে আপনি ক্ষমাও পাবেন। এটা আপনার জন্য অনেক বড় পাওয়া।</p><p style="text-align: justify;">গুণাহ হওয়ার পর কি করবেন? তিক্ত কিছু খাওয়ার পর যখন আপনার জিহ্বাতে তিক্ততা অনুভব হয় তখন আপনি তাড়াতাড়ি মুখে চিনি বা মিঠা জাতীয় কোনো খাবার খেয়ে নেন। এতে করে আপনার মুখের তিক্ততা দূর হয়ে যায়।</p><p style="text-align: justify;">ঠিক তদ্রূপ গুণাহ হওয়ার পর পর নেকীর কাজ করা শুরু করুন। এই নেকীর কাজগুলো আপনার গুনাহকে মিটিয়ে দিবে। আপনার অন্তরে মিষ্টতা তৈরী করে দিবে। এজন্য দূরুদ ও সালাম, কুরআনুল কারীমের তিলাওয়াত বা সালাত আদায় করা হতে পারে উত্তম আমল।</p><p style="text-align: justify;">মানুষের দ্বারা গুণাহ হয়ে যায় এটা স্বাভাবিক। আল্লাহ তায়ালা বলেন,- 'মানুষের অন্তর মন্দ কাজ প্রবণ।' [১] তবে গুনাহ হয়ে যাওয়ার চেয়েও মন্দ কাজ হলো গুনাহর পর তওবা না করা।</p><p style="text-align: justify;">আমার রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,-'প্রত্যেক আদম সন্তান গুণাহগার। তবে তাদের মধ্যে তারা উত্তম যারা তওবা করে।' [২]</p><p style="text-align: justify;">কোনো ব্যক্তির ধবধবে সাদা কাপড়ে যখন ছোট্ট একটা দাগ পরে যায় তখন সে হতাশ হয়ে যায়।  চেষ্টা চালায় দাগ ওঠানোর। কিন্তু কোনো ব্যক্তির ময়লা চাদরে যদি আরো কিছু দাগ লেগে যায় তাহলে সে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। বিষয়টাকে ইগনোর করে।</p><p style="text-align: justify;">ঠিক এর উদাহরণ মুমিন ও মুনাফিক এর। মুমিনের দ্বারা যখন কোনো গুণাহ হয়ে যায় তখন সে হতাশ হয়ে যায়। যেন ওহুদ পাহাড় তার ওপর এসে পরেছে। কেন সে তার রব কে নারাজ করে ফেলল? কিভাবে ক্ষমা হবে? এসব নিয়ে হতাশ হয়ে যায়। জায়নামাজ বিছিয়ে রব তায়ালার দরবারে কাঁদতে থাকে। আর রব তায়ালা তার চোখের পানিকে কবুল করে নেন। তাকে শুধু ক্ষমাই করেন না! বরং তার গুণাহগুলোকে নেকিতে রুপান্তরিত করে দেন।</p><p style="text-align: justify;">আর মুনাফিক এর উদাহরণ সেই ময়লা চাদরের মতো। গুনাহের কারণে তার অন্তর এতটাই কলুষিত হয়ে যায় যে নতুন কোনো গুণাহ সংঘটিত হলে তার এ নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা থাকে না। তাই বলেছি তওবার সৌভাগ্য নসিব হওয়াটাও অনেক বড় ব্যপার। গুণাহ থেকে তওবাকারী এমন যেন সে কোনো গুণাহই করে নি।</p><p style="text-align: justify;">তবে তওবার শর্ত আছে। শুধু মুখে তওবা তওবা করে উঠলেন আর আগামীকাল একই গুণাহ করার খেয়াল অন্তরে রয়ে গেছে, তাহলে এটা আল্লাহর সাথে মজা বৈ কি? আর যারা আল্লাহর সাথে মজা করে তার ধ্বংস অনিবার্য। </p><p style="text-align: justify;">তাই তওবার সময় অন্তরে এই ইরাদা পোক্ত করতে হবে যে কোনোদিন আর গুণাহ করব না। আমরা আশা রাখি রাহমানুর রাহিম, গাফুরুর রাহিম রব আমাদেরকে মাফ করে দিবেন।</p><p style="text-align: justify;">'তেরি আতা সামনে খাতা কি জিকরহি কিয়া! তু আতা কে লিয়ে অর বাশার খাতা কে লিয়ে'</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">রেফারেন্স:</p><p style="text-align: justify;">[১] সূরা ইউসুফ আয়াত ৫৩।</p><p style="text-align: justify;">[২] সুনানে তিরমিযী।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">২টি পর্বে এই বিষয়টির আলোচনা শেষ করা হবে ইনশাআল্লাহ। </p><p style="text-align: justify;">'তওবার ওপর অটলতা-০১'</p>

'তওবার ওপর অটলতা- ০১'

  তাওবার ওপর অটল কিভাবে থাকা যায়? তার আগে এটা বলে রাখা দরকার আপনার যদি গুণাহ করার পর তওবার সৌভাগ্য নসিব হয় তার মানে আপনি ক্ষমাও পাবেন। এটা আ...

Read more »

অন্ধ ভক্তি!

<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhTNcTR-lCsZpMV3cbU3sZLIacPxVsaVu0T0lWnd2puiQdZpekVm0ZSCD_c5moDF3x4AUPo4ab4opmDYwSkQRf7je84MO8xBhBppHd_n9bYl7QKrVuh8tydEfaCiTDySRZarvL6K-n9Rp8/s739/images+-+2021-04-09T110902.546.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="415" data-original-width="739" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhTNcTR-lCsZpMV3cbU3sZLIacPxVsaVu0T0lWnd2puiQdZpekVm0ZSCD_c5moDF3x4AUPo4ab4opmDYwSkQRf7je84MO8xBhBppHd_n9bYl7QKrVuh8tydEfaCiTDySRZarvL6K-n9Rp8/s320-rw/images+-+2021-04-09T110902.546.jpeg" width="320" /></a></div><br /><p></p><p style="text-align: justify;">অন্ধ ভক্তি। ধর্মীয় বিষয়ে অধিকাংশ মুসলিম এই অন্ধ ভক্তি রোগে আক্রান্ত। আপনিও যদি এদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে মনে রাখবেন এটিই আপনাকে নিয়ে যাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। </p><p style="text-align: justify;">একজন আলিমকে আমরা কেন ভালবাসি? উত্তর হবে- আল্লাহ ও রাসূলের  জন্য। অর্থাৎ একজন আলেমকে ফলো করার আগে প্যারামিটারে ফেলে দেখতে হবে আসলেই তিনি ফলো করার যোগ্য কি না! আর এই প্যারামিটার হলো আল্লাহ ও তাঁর হাবীবে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। </p><p style="text-align: justify;">যখন কোনো আলেমের দ্বারা আল্লাহ তায়ালা বা তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি কোনো বেয়াদবি পরিলক্ষিত হয় অথবা যদি কোনো ফাসেকি, ফাজেরি গুণাহ সংঘটিত হয়, তখন তাকে পরিত্যাগ করা আমাদের জন্য আবশ্যক। যতক্ষণ না সে তওবা করে ফিরে আসে।</p><p style="text-align: justify;">যদিও সে আমার খুব প্রিয় একজন ব্যক্তি ছিল। তবে মনে রাখতে সে আমার প্রিয় হয়েছিল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। আলেম এর বেশ-ভূষা ধরে কেউ যদি সাধারণ মুসলমান এর ধর্মীয় আবেগ নিয়ে খেলা করে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য, তাহলে তাকে চিহ্নিত করার মতো চোখ আমাদের থাকতে হবে।</p><p style="text-align: justify;">নয়তো সে নিজের সাথে সাথে আমাদেরকেও নিয়ে যাবে জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে। </p><p style="text-align: justify;">তবে সেই সাথে এটাও মনে রাখবেন, একজন হক্কানি আলেমের সম্মান অনেক বেশি। যাদের জন্য জীব-জন্তুরা পর্যন্ত দোয়া করে। এমনকি মানুষ জান্নাতে পর্যন্ত তাদের মুখাপেক্ষী থাকবে। আল্লাহু আকবার </p><p style="text-align: justify;">সেই হক্কানি ওলামাদের সাথে বেয়াদবি আপনার ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। তাই কথা বলার আগে সাবধান। ইসলাম টা হাসি-ঠাট্টার, নিজের মনগড়া ধর্ম নয় যে, যে যাই বলবে তাই হবে। প্যারামিটার তৈরী করুন। সেখানে যাচাই করে নিন যাকে ফলো করছেন আদৌও সে জান্নাতের পথ দেখাচ্ছে নাকি জাহান্নামের?</p>

অন্ধ ভক্তি!

  অন্ধ ভক্তি। ধর্মীয় বিষয়ে অধিকাংশ মুসলিম এই অন্ধ ভক্তি রোগে আক্রান্ত। আপনিও যদি এদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে মনে রাখবেন এটিই আপনাকে নিয়...

Read more »