অতি অল্প সময়ে শুদ্ধরুপে কুরআন খতম কি সম্ভব!!

<div>ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ বলেন : ইমাম আযম রাঃ রমজান মাসে ঈদের দিন সহ ৬২ বার কুরআন খতম আদায় করতেন । (দিনে এক খতম , রাতে এক খতম , তারাবীহতে সারা মাসে এক খতম , ঈদের দিনে এক খতম )। তিনি প্রচুর সম্পদ দান করতেন। ইলম শিক্ষাদানে খুবই ধৈৰ্যশীল ছিলেন । নিজের সম্পর্কে কৃত সমালােচনা কেবল শুনে থাকতেন, একটুও রাগ করতেন না। তিনি বিরতিহীন ত্রিশ বছর ধরে রােজা রেখেছেন। ত্রিশ বছর যাবৎ এক রাকাত নামাযে সম্পূর্ণ কুরআন মজীদ খতম করতে থাকেন । চল্লিশ (বা ৪৫) বছর পর্যন্ত ইশার ওজু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছেন । যে স্থানে তাঁর ওফাত হয় সেই স্থানে তিনি সাত হাজার বার কুরআন পাক খতম করেছেন। (আল খায়রাতুল হিসান , পৃষ্ঠা- ৫০)<br /></div><div><br /></div><div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi2vjoldWZ-341ZFMu1BKmzj3HcDvjJ3eTz9sINiPEHSQQxQxbiwNJxmsLX3KsPsrduv3ZDdHH7fzvPbwAdGaYRCu2QkOBI8BMkmASlJnBiFe0Rqn06ftLh1tw8swXc_HglA4Va_ju2vg_v/s1600/images+%252889%2529.jpeg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="554" data-original-width="554" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi2vjoldWZ-341ZFMu1BKmzj3HcDvjJ3eTz9sINiPEHSQQxQxbiwNJxmsLX3KsPsrduv3ZDdHH7fzvPbwAdGaYRCu2QkOBI8BMkmASlJnBiFe0Rqn06ftLh1tw8swXc_HglA4Va_ju2vg_v/s1600-rw/images+%252889%2529.jpeg" width="320" /></a></div><br /></div><div><br /></div><div>এখন আবার অনেকের মনে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হতে পারে এত এত ইবাদত, এত কম সময়ে এত বেশি কুরআন খতম কি করে করতেন!! হ্যা, এগুলো সাধারণদের পক্ষে সম্ভব নয়, আল্লাহওয়ালা তথা আল্লাহর বন্ধু বা আউলিয়ারা এমন হয়। বুখারীর হাদিসে কুদসীতে রয়েছে, সকল ক্ষমতার মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,</div><div><br /></div><div>"যে ব্যক্তি আমার কোন অলি বা বন্ধুর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারাই কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই.... সে যদি আমার কাছে কোন কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি।..</div><div><br /></div><div>হযরত মাওলা আলী রাঃ ঘোড়ার উপর আরোহন করার সময় এক রিকাবে পা রাখতেন তখন কুরআন তিলাওয়াত শুরু করতেন আর অপর রিকাবে কদম রাখার আগে আগে সম্পূর্ণ কুরআন খতম করে নিতেন। (শাওয়াহেদুন নবুওয়াত, পৃষ্ঠা ২১২)</div><div><br /></div><div>রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, দাউদ (‘আলায়হিস সালাম) এঁর জন্য কুরআন (যাবুর) তেলাওয়াত সহজ করে দেয়া হয়েছিল। তিনি তাঁর পশুযানে গদি বাঁধার আদেশ করতেন, তখন তার উপর গদি বাঁধা হতো। অতঃপর তাঁর পশুযানের উপর গদি বাঁধার পূর্বেই তিনি যাবুর তিলাওয়াত করে শেষ করে ফেলতেন। তিনি নিজ হাতে উপার্জন করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। (সহিহ বুখারী ৩৪১৭)</div><div><br /></div><div>এমনকি ভন্ড আহলে হাদিসদের আল হাদিস, বাংলা হাদিস এপ্সেও দেখলাম, সুনান আত তিরমিজির ২৯৪৬ নং হাদিসের শেষের দিকে রয়েছে, হযরত উসমান (রাঃ) বিতরের শেষ রাকাআতে সম্পূর্ণ কুরআন শেষ করতেন। সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) কা'বা শরীফে এক রাকাআতে সম্পূর্ণ কুরআন শেষ করেছেন। তবে ধীরেসুস্থে সহীহশুদ্ধ করে কুরআন তিলাওয়াত করা সকল আলিমদের মতে বেশি পছন্দনীয়। (হ্যা, আমরাও বলি সাধারণদের পক্ষে শুদ্ধভাবে এত তাড়াতাড়ি কুরআন খতম সম্ভব নয়)</div><div><br /></div><div>হ্যাঁ, এভাবেই আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দাদের অসংখ্য ক্ষমতা (মু'জিযা ও কারামত) দিয়ে থাকেন এবং প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মুনাফিকরা নবীজির জ্ঞান নিয়ে সমালোচনা করলে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় আমাদের নবী ﷺ ফজর হতে মাগরিব পর্যন্ত নামাজসমূহ আদায়ের পরপর মিম্বরে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির সূচনা থেকে পূর্বে যা ঘটেছে, ভবিষ্যতে যা ঘটবে, এমনকি জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীর নিজ স্থানে প্রবেশের কথাও জানিয়ে দেন। (সহীহ মুসলিম ৭১৫৯, সহীহ বুখারী ৩১৯২, সুনান আবূ দাউদ ৪২৪০)। এছাড়াও প্রিয় নবী ﷺ বলেনঃ আমি ‘জাওয়ামিউল কালিম (ব্যাপক অর্থবহ সংক্ষিপ্ত কথা) সহ প্রেরিত হয়েছি এবং আমাকে প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। (অর্থাৎ তিনি এমন সংক্ষিপ্ত কথা বলতেন যা শব্দ বা উচ্চারণের দিক থেকে হত অল্প কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক) (সহীহ বুখারী ৭২৭৩)</div>

অতি অল্প সময়ে শুদ্ধরুপে কুরআন খতম কি সম্ভব!!

ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ বলেন : ইমাম আযম রাঃ রমজান মাসে ঈদের দিন সহ ৬২ বার কুরআন খতম আদায় করতেন । (দিনে এক খতম , রাতে এক খতম , তারাবীহতে সারা মাস...

Read more »

দুই শয়তানের সাক্ষাৎ!

<p style="text-align: center;"><b><span style="border: 0px; color: red; font-family: inherit; font-size: medium; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/p/blog-page_26.html" style="border: 0px; color: #0eb975; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ</a> [Download]</span></b></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div dir="ltr" style="text-align: left;"><b><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur14" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;" target="_blank"><span style="font-family: inherit; font-size: medium;"><img alt="ইসলামি বিশ্বকোষ, ইসলামিক বইসম্ভার, ইসলামিক লাইব্রেরী, ইসলামিক PDF লাইব্রেরী, লেখকভিত্তিক কিতাব, বিষয়ভিত্তিক কিতাব, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শিরক বিদআত, সুন্নি-বিশ্বকোষ, ইসলামিক বইয়ের লিস্ট, বৃহত্তম ইসলামিক লাইব্রেরী, পিস টিভি, ড. জাকির নায়েকের বই ডাউনলোড, আহলে হাদিস, দাওয়াতে তাবলিগের বই, দাওয়াতে ইসলামী বই, সুন্নী বই, সিহাহ সিত্তার কিতাব, আল-কুরআনের তফসীর, ফিকাহ শাস্ত্র, হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ, Hadithbd, Al-Quran, Al-Hadith, বুখারী মুসলিম" border="0" data-original-height="1038" data-original-width="2010" height="331" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEim4-zUhkenGCWAOwAmgqUX6Y-kVJ1u5xSL2_fBY3tNQ5NhyphenhyphenrUVFHh8Zk3HA_yJmNafghzQ9soorsEwuI-4fqHTS2OkYklTTXeKRn8k4fZvNSNig2A4yQoug71Pq1znZ-Y3VHh73zArj197h6LcJpq8Iurc-7zHn4LT5XfBu5xjTjmKqamPuL28uLZsbPU/w640-h331-rw/1000017281.jpg" title="ইসলামী বিশ্বকোষ,আল-হাদিস এপ্লিকেশন,ইসলামিক জ্ঞান, হাদিস সংগ্রহ, ইসলামিক গাইড, বিনামূল্যে ইসলামিক অ্যাপ, ইসলামিক শিক্ষা, ইসলামিক গবেষণা, অফলাইন ইসলাম" width="640" /></span></a></div></b></div></div><p style="text-align: justify;">সাক্ষাৎ হলো দুই শয়তানের। মানুষের মতো তারাও সাধারণত কুশল বিনিময় করছে! একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছে, "কি তোমার এই অবস্থা কেন? একদম শুকিয়ে গেলে, দূর্বল হয়ে গেলে এই অবস্থা কেন তোমার?" সাধারণত আমরাও দুই বন্ধু পরস্পর সাক্ষাৎ হলে বলে থাকি এমন কথা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">কি ভাই শুকিয়ে গেছ একদম। তুমি তো মোটা হয়ে গেলে। তো এমনই এক শয়তান আরেক শয়তানকে জিজ্ঞেস করছে। তখন সে বলছে, "আর বলো না! আমি যেই সেক্টরে কাজ করি! মানে যেই লোকটার সাথে থাকি, সে একজন নেককার বান্দা। আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা। যখনই যেই ভালো কাজ করে অর্থাৎ খাওয়া, ঘরে প্রবেশ ইত্যাদি সকল কাজের পূর্বে "বিসমিল্লাহ" বলে। যার ফলে আমি তার কোনো কাজে অংশ নিতে পারি না। তাই আমার এই অবস্থা!"</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">তখন সে আবার অপর শয়তানটিকে জিজ্ঞেস করল, "তোমার অবস্থা বলো। তুমি এত মোটাতাজা কিভাবে হলে?" তখন সে উত্তর দিচ্ছে, "আমি থাকি এক অলস ব্যক্তির সাথে। তার "বিসমিল্লাহ" পাঠ করার কথা তো মনেই থাকে না। যার ফলে আমি তার সকল কাজে শরীক হতে পারি। আর এই কারণেই আমার অবস্থা ভালো।" [১]</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">শয়তানের দূর্বলতাও আমরা যেনে ফেললাম। কিভাবে তাকে নাস্তানাবুদ করতে হয়। তো আর দেরি কিসের! অস্ত্র চালানো শুরু হোক আজ থেকেই। প্রত্যকে ভালো কাজ শুরু হোক রাব্বে কারীমের নামে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">থামুন! শেষ না। আরও কিছু বলি। শুধু কি শয়তানকে শায়েস্তা করতে "বিসমিল্লাহ" পাঠ করবেন? একজন মানুষ যদি আপনাকে একটু সাহায্য করে তাহলে আপনি ধন্যবাদের বন্যা বসিয়ে দেন। তাহলে যেই রব আপনাকে সৃষ্টি করলেন, এতো এহসান করলেন তাঁকে ভুলে যান কিভাবে?</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">মা তো জন্ম দিয়েছে। তবু তার কৃতজ্ঞ কখনো আদায় করা সম্ভব নয়। তাহলে যে রব সৃষ্টি করেছেন তাঁকে কি করে ভুলে গেলেন। স্মরণ করুন তাঁর এহসানের কথা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আপনার হাত ছিল, কিন্তু কোনো কিছু ধরতে পারতেন না। তিনি ধরার ক্ষমতা দিয়েছেন। চোখ ছিল দেখতেন কিন্তু কোনো কিছু বুঝতেন না। তিনি বুঝার ক্ষমতা দিয়েছেন। চিবিয়ে খাওয়ার জন্য দাঁত দিয়েছেন। যখন আরেকটু শক্ত খাবার আপনি খেতে চাইলেন তখন দয়াময় রব সেই দাঁতগুলো উঠিয়ে আরও মজবুত দাঁতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আজ তাকেই ভুলে যাচ্ছেন! আচ্ছা ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু ভাবুন। আপনি অসুস্থ। ঘরে পরে আছেন। ছেলে মেয়েরা খেদমত করছে। একসময় তারাও বিরক্ত। এখন কাজের লোক দেখাশোনা করে। ছেলেরা বলে আল্লাহ বাবাকে পর্দা দিয়ে দিলে ভালো হতো। আপনি জীবন নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গেলেন। মরে যাওয়ার আকাঙ্খা করতে লাগলেন। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এখন রব যদি মৃত্যুও না দিতেন তখন কি করতেন?  জীবনটাও রবের দয়া, মৃত্যুটাও ওনার দয়া। তারপর মৃত্যুর পর এমনি ফেলে দেন নি। কেন? কুকুর, বিড়ালও তো মরে! ফেলে দেয়া হয় কোনো এক জায়গায়। আপনাকেও যদি ফেলে দিত কি হত এমন? নাহ! রব বলেন আমার বান্দাকে গোসল করাও, সুগন্ধি লাগাও, ৪ জন কাঁধে করে নিয়ে যাও, মধ্যম গতিতে হেঁটে যেও। বেশি জোরে না। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আল্লাহু আকবার! হাজার লোক মৃত্যুর পর দেখতে আসে। ভাবুন এই মুখ কি দেখানের যোগ্য? এত গুণাহ। তারপরও রব মানুষের সামনে আপনাকে অপদস্ত করেন নি। আজ আরাম-আয়েশ করছেন। তাঁর দেয়া রিজক খাচ্ছেন। কিন্তু খাওয়ার আগে "বিসমিল্লাহ" বলতে ভুলে যান? আফসোস! প্রিয় ভাই আসুন না আমাদের রবকেও একটু ধন্যবাদ দিতে শিখি।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">খাওয়ার শুরুতে "বিসমিল্লাহ" এবং শেষে "আলহামদুলিল্লাহ" বলার অভ্যাস গড়ে তুলি। ইনশাআল্লাহ বরকত হবে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">নবীকুল সুলতান, সরদারে দোজাহান, মাহবুবে রহমান, হুযুর পুরনূর ﷺ ইরশাদ করেছেন: “যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ "বিসমিল্লাহ" এর মাধ্যমে আরম্ভ করা হয় না, তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।” [২]</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">হযরত সায়্যিদুনা জাবির বিন আবদুল্লাহ রা. বলেন: যখন "বিসমিল্লাহ" অবতীর্ণ হল তখন মেঘ পূর্বদিকে ছুটে চলল, বাতাস স্তব্দ হয়ে গেল, সমূদ্র উত্তেজনায় এসে পড়ল, চতুষ্পদ জন্তু সমূহ মনােযােগ সহকারে শুনার জন্য নিজেদের কান লাগিয়ে দিল ও শয়তানদেরকে আসমান থেকে পাথর নিক্ষেপ করা হল।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করলেন: “আমার সম্মান ও মহত্বের শপথ যে বস্তুর উপর "বিসমিল্লাহ" পাঠ করা হয় আমি তাতে বরকত দান করি।" [৩]</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আমরা বরকত থেকে মেহরুম থাকব কেন? আজই আমল শুরু করে দিই এবং রব তায়ালা কৃতজ্ঞ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাই। আল্লাহ তৌফিক দিন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">"হাম গুণাহগারো পে তেরি মেহেরবানী চাহিয়ে, সাব গুণাহ ধুল যায়েগি রাহমাত কা পানি চাহিয়ে।"</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">রেফারেন্সঃ</p><p style="text-align: justify;">[১] আসারারুল ফাতিহা, ১৫৫ পৃষ্ঠা। </p><p style="text-align: justify;">[২] আল দুররূল মানসুর, ১ম খন্ড ২৬ পৃষ্ঠা। </p><p style="text-align: justify;">[৩] হালবী কবির, ৩০৭ পৃষ্ঠা। </p><div style="text-align: justify;"><br /></div>

দুই শয়তানের সাক্ষাৎ!

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ  [Download] সাক্ষাৎ হলো দুই শয়তানের। মানুষের মতো তারাও সাধারণত কুশল বিনিময় করছে! একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছে...

Read more »

৫০টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস

<p dir="ltr" id="docs-internal-guid-8f17421c-7fff-09f5-4062-03c4185c37f0" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><p><b><span style="border: 0px; color: red; font-family: inherit; font-size: medium; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/p/blog-page_26.html" style="border: 0px; color: #0eb975; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ</a> [Download]</span></b></p><div class="separator" style="clear: both;"><div dir="ltr" style="text-align: left;"><b><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur14" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;" target="_blank"><span style="font-family: inherit; font-size: medium;"><img alt="ইসলামি বিশ্বকোষ, ইসলামিক বইসম্ভার, ইসলামিক লাইব্রেরী, ইসলামিক PDF লাইব্রেরী, লেখকভিত্তিক কিতাব, বিষয়ভিত্তিক কিতাব, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শিরক বিদআত, সুন্নি-বিশ্বকোষ, ইসলামিক বইয়ের লিস্ট, বৃহত্তম ইসলামিক লাইব্রেরী, পিস টিভি, ড. জাকির নায়েকের বই ডাউনলোড, আহলে হাদিস, দাওয়াতে তাবলিগের বই, দাওয়াতে ইসলামী বই, সুন্নী বই, সিহাহ সিত্তার কিতাব, আল-কুরআনের তফসীর, ফিকাহ শাস্ত্র, হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ, Hadithbd, Al-Quran, Al-Hadith, বুখারী মুসলিম" border="0" data-original-height="1038" data-original-width="2010" height="331" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEim4-zUhkenGCWAOwAmgqUX6Y-kVJ1u5xSL2_fBY3tNQ5NhyphenhyphenrUVFHh8Zk3HA_yJmNafghzQ9soorsEwuI-4fqHTS2OkYklTTXeKRn8k4fZvNSNig2A4yQoug71Pq1znZ-Y3VHh73zArj197h6LcJpq8Iurc-7zHn4LT5XfBu5xjTjmKqamPuL28uLZsbPU/w640-h331-rw/1000017281.jpg" title="ইসলামী বিশ্বকোষ,আল-হাদিস এপ্লিকেশন,ইসলামিক জ্ঞান, হাদিস সংগ্রহ, ইসলামিক গাইড, বিনামূল্যে ইসলামিক অ্যাপ, ইসলামিক শিক্ষা, ইসলামিক গবেষণা, অফলাইন ইসলাম" width="640" /></span></a></div></b></div></div></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur14" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;" target="_blank"><img border="0" data-original-height="900" data-original-width="1800" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-yfvhipRRGmTQwok_1yRWUPGKcr2t3ZGuMV3JBbTFBvIuDSGSlOmsVzhQaf4P4o5gVliZNH-_QkcJMlsUxEwec61l1-XVQPgoNyPKmWi2MfdX_NYtDF81_Wocvdv-uIRMSev-vNBPV0s/w640-h320-rw/1617308635161.png" width="640" /></a></div><br /><p></p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-8f17421c-7fff-09f5-4062-03c4185c37f0" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫০টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস!</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১। আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি একটি আয়াতও হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ৩২১৫)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষন না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে বেশী প্রিয় হই। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ ২ ঈমান হাদিস নাম্বারঃ ১৪)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩।রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ১০৭, ১০৮, ১০৯, ১১০, ১১১ সহীহ       মুসলিম, মুকাদ্দামা)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪।পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট আর পিতা-মাতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(তিরমিযী, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৭১০)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৫।"কেউ যেন কারও ওপর জুলুম না করে।" ☛(মুসলিম)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৬।"দুটি অভ্যাস আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। তা হলোঃ দান ও উদারতা।" ☛(শুয়াবুল ঈমান)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৭।"আমি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) থেকে অধিক উত্তম কোন ব্যক্তি কখনও দেখিনি।" </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛[হযরত সাফিনা (رضي الله عنه), মুসনাদে আহমদ ১৩:৩৮]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৮।"আল্লাহ(ﷻ) ততক্ষণ বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।" ☛[মুসলিম ২৬৯৯]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৯।"যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন না।" ☛[সহিহ মুসলিম ২৩১৯]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১০।"যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে, কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়ায় ছাড় দিবে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে ছাড় দিবেন। আর আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।" ☛[মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১১।‘বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য। সে ওই সালাত আদায়কারীর মতো যার ক্লান্তি নেই এবং ওই সিয়াম পালনকারীর মতো যার সিয়ামে বিরতি নেই।" ☛[মুত্তাফাকুন আলাইহি]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১২।যে ব্যক্তি নম্রতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, সে কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛[মুসলিম, আস সাহীহ, হাদীস নং ২৫৯২]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১৩।"তোমরা জগদ্বাসীর প্রতি দয়া করো, তাহলে আসমানের অধিপতিও তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।" </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛[তিরমিযী ২০০২]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১৪।সচ্চরিত্রের চেয়ে মিজানে ভারী কিছু নেই। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛[তিরমিযী, আস সুনান, হাদীস নং ২০০২]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১৫।দাতাকর্ণ নবী (ﷺ) বলেন, যে কোনো অমুসলিম নাগরিকের উপর জুলুম করল, কিয়ামতের দিন আমি তার বাদী হব। আর আমি যার বিরুদ্ধে বাদী হবো, কিয়ামতের দিন আমি তার উপর  বিজয়ী হবো।" ☛(আবু দাউদ ৩০৫২)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১৬।"যে মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিককে অন্যায়ভাবে হত্যা করে, তার জন্য জান্নাত হারাম।" ☛(নাসায়ী ৪৭৪৭)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১৭।পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করলে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সলাতের সওয়াব পাওয়া যায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখায়, মুসলিম ও তিরমিযীঃ ২১৩)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১৮।ঈমানের সত্তরের কিছু বেশী শাখার মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলা এবং সাধারণ শাখা হচ্ছে চলার পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেয়া। আর লজ্জা হচ্ছে ঈমানের একটি বিশেষ শাখা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛[সহীহ মুসলিমঃ ৬১]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏১৯।ক্বিয়ামতের দিন বান্দার কাজসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম সলাতের হিসাব নেওয়া হবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ তিরমিযীঃ ৪১৩, ইবনু মাযাহঃ ১৪২৫,১৪২৬)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২০। যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের নামায আদায় করবে সে জান্নাতে যাবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ৫৪৬)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২১। আল্লাহ্ তা’আলার নিকট প্রিয় ঐ আমল যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ৪১,৬০২০)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২২। যে ব্যক্তি (পুরুষ অহংকারবশত) পায়ের টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, সে জাহান্নামী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ৫৩৭১, মিশকাত, হা/৪১২৫)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২৩। কালিজিরায় মৃত্যু ছাড়া আর সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(বুখারী, হা/৫২৮৬ ও মুসলিম)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২৪। নবী করীম (ﷺ) মিষ্টি ও মধু খুব ভালো বাসতেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(বুখারী, হা:৫২৮০)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২৫। যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ পোষন (অনিহা প্রকাশ) করবে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ৪৬৯৭)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২৬। যে ব্যক্তি (মন্দ) বিদআত সৃষ্টি করবে ও আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ্ তা’আলার, ফেরেশতা ও সকল মানব সম্প্রদায়ের লানত । ☛(সহীহ বুখারীঃ ৬৮০৮)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে মূলত বিদআতে সাইয়্যা তথা মন্দ বিদআতকে বুঝানো হয়েছে। বিদআতে হাসানাকে বুঝানো হয়নি। বিদআতে হাসানা মানেঃ কুরআন একত্র করা, কুরআনে জের, যবর পেশ লাগানো, ইটের তৈরি মসজিদ, মাদ্রাসা, ইলমে দ্বীনের কাজের বিনিময়ে কোন হাদিয়া নেয়া ইত্যাদি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২৭। যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ ঈমান আছে, সে জাহান্নামে যাবে না। আর যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে যাবে না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২৮। যে ঘরে কুকুর ও (প্রাণীর) ছবি থাকে,সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ২৯৯৮, ৫৫২৫, মিশকাত হাঃ৪২৯৮)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏২৯। তিন ব্যক্তির দিকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাদের দিকে করুণার দৃষ্টি দিবেন না ও তাদের জন্য কঠিন শাস্তি–</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক) (অহংকার বশত ঝুলিয়ে) টাকনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খ) খোটাদানকারী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(গ) মিথ্যা কসমে পণ্য বিক্রয়কারী।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৭৩)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩০। “যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ জিহাদ (অন্যায়ের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ) করেনি এমনকি জিহাদের আকাঙ্ক্ষাও ব্যক্ত করেনি, সে মুনাফিকের ন্যায় মৃত্যুবরণ করল।"</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭৯, নাসায়ীঃ ৩০৯৯)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩১। আত্মীয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করলে রিযিক ও হায়াত বৃদ্ধি পায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ৫৫৫৯,৫৫৬০)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩২। কেউ সওয়াল থেকে পবিত্র থাকতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে পবিত্র রাখেন। যে অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহ্ তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন এবং যে ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহ্ তাকে তাই দান করেন। ধৈর্যের চেয়ে অধিক ব্যাপক কিছু দান করা হয়নি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারী, হা/১৪৬৯, সহীহ মুসলিম, সহীহ আবু দাউদ, হা/১৬৪৪)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩৩। বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে (সত্তর হাজার) ওসব লোক যারা (তকদীরে বিশ্বাস করে আর) অশুভ অমঙ্গল চিহ্ন মানে না, যারা (কুফরী কালাম দ্বারা) ঝাড়-ফুক করায় না, যারা (জাদু-টোনা) মন্ত্রতন্ত্রের ধার ধারে না এবং আগুনে পোড়া লোহার দাগ লাগায় না ; বরং সদা সর্বদা তাদের পরোয়ারদেগারের উপর পূর্ণ ভরসা রাখে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারী, হাদিস ৫৩৪১,৬২৮,৬০৯৯)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩৪। যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শহীদি মৃত্যু কামনা করে, আল্লাহ্ তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন, যদিও সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭৮)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩৫। যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু’আ করে, তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন, এবং তোমার জন্যও অনুরুপ হবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ মুসলিম ও আবু দাউদ,হাঃ১৫৩৪)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩৬। কোন ব্যক্তির মন্দ হওয়ার জন্য অশ্লীল বাকচারী ও কৃপণ হওয়াই যথেষ্ট।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(আহমাদ, মিশকাত হা/৪৬৯৩)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩৭। রাসূল বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">    ত্বাবরানী)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩৮। যে ব্যক্তি উযূ করে এবং উযূকে পূরণাংগরুপে সম্পন্ন করে,তারপর কালেমা শাহাদাত পাঠ করে,তার জন্য জান্নাতের ৮(আট)টি দরজা খুলে যায় । সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহিহ মুসলিমঃ ৪৬০, তিরমিযীঃ৫৫, ইবনু মাযাহঃ ৪৭০)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৩৯। যে ব্যক্তি দিবসে ১ বার ও রাতে ১ বার আন্তরিকতার সাথে সােয়্যদুল ইস্তেগফার পাঠ করে যদি সে দিন বা রাতে মারা যায়, তাহলে ওই ব্যক্তি জান্নাতি ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহিহ বুখারী-৫৮৬৭)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪০। ওযু করার সময় কেউ যদি উত্তমরূপে ওযু করে তাহলে তার শরীরের সব গুণাহ বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচের গুণাহও বের হয়ে যায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ মুসলিমঃ ৪৮৪,৪৮৫)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪১। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরান শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ৪৬৬১,৪৬৬২)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪২। কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি উচ্চ মর্যাদা ফিরিশতাদের সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরাআন পড়ার সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারী-৪৯৩৭, মুসলিম আবু দাউদ -১৪৫৪ ক্বাতাদাহ হতে)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪৩। রাসূল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন দু’রাকাত সালাত আদায় করা ব্যতীত না বসে।”</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(বুখারী হা/৪৪৪ , ১১৬৭ ; মুসলিম হা/ ৭১৪)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪৪। রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ আমার প্রত্যেক উম্মতের গুণাহ মাফ হবে, তবে যে গুণাহ করে বলে বেড়ায়, তার গুনাহ মাফ হবে না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ৫৬৪৩, সহীহ মুসলিমঃ ৭২৬৭)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪৫। ইউসায়রাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী (ﷺ) তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেনঃ তোমরা তাকবীর, তাকদীস এবং তাহলীল এগুলো খুব ভালভাবে স্মরণে রাখবে এবং এগুলোকে আঙ্গুলে গুনে রাখবে।কেননা আঙ্গুলগুলোকে জিজ্ঞাসা করা হবে এবং এগুলোও সেদিন (ক্বিয়ামতে) কথা বলবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(আবু দাউদ, হা/১৫০১, তিরমিযী, হা/৩৫৮৫, আহমাদ,৬/৩৭০)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪৬। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলাও তার ত্রুটি গোপন রাখবেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ মুসলিমঃ ৬৩৯২,৬৪০৮,৬৩০৯)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪৭। রাসূল (ﷺ) বলেছেন যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝখান (অর্থাৎ জিহ্ববা) এবং দু’পায়ের মাঝখান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান)- এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জান্নাতের জামিন হব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛[সহীহ বুখারীঃ ৬০৩০, মিশকাত হাঃ৪৬০১]</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪৮। যে ব্যক্তি নম্রতা ও সহনশীলতার বৈশিষ্ট্য থেকে বঞ্চিত সে কল্যান থেকে বঞ্চিত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ মুসলিমঃ ৬৪১২,৬৪১৩,৬৪১৪)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৪৯। মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট হল ‘দ্বিমুখী ব্যক্তি’। তারা এদের কাছে বলে এক কথা আর ওদের কাছে বলে আর এক কথা। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛(সহীহ বুখারীঃ ৬৬৯০)</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏৫০। নেশা সৃষ্টি করে এমন যে কোন পানীয় হারাম।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☛[সহীহ বুখারীঃ ৫২৫৮, সহীহ মুসলিমঃ ৫০৫১, ৫০৫২,    </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-size: 12pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">     ৫০৫৩, ৫০৫৪]</span></p>

৫০টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস

ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস অ্যাপ  [Download] ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস! ❏১। আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি একটি আয়াতও হয়। ☛(সহ...

Read more »

আল্লাহ'র প্রিয় বান্দারা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেও জীবিত।

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiR2HlF6HY9nZsakIrhXGXZs1MAq8Sw64C5hZ89bD9cmZKExRdTIZNE5z5R3ikH_nTlYNJi5AX6zuNq_WxAR4Sna0F6vKStPNb0_mKu2BuKeRJqsziOjQkxDkuKatXoDNEGaQBxyM5Q20nT/s1600/FB_IMG_1616746429249.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="670" data-original-width="552" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiR2HlF6HY9nZsakIrhXGXZs1MAq8Sw64C5hZ89bD9cmZKExRdTIZNE5z5R3ikH_nTlYNJi5AX6zuNq_WxAR4Sna0F6vKStPNb0_mKu2BuKeRJqsziOjQkxDkuKatXoDNEGaQBxyM5Q20nT/s1600-rw/FB_IMG_1616746429249.jpg" width="263"></a></div><br></div></div><div><br></div><div>সহীহ বুখারীর জানাজা অধ্যায়ের শেষ অংশে একটি ঘটনার কথা এভাবে উল্লেখিত হয়েছে, </div><div><br></div><div>উরওয়াহ (রাঃ) বলেন, ওয়ালীদ ইবনু আবদুল মালিক-এর শাসনামলে যখন (রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এঁর রওজার) বেষ্টনী দেয়াল ধসে পড়ে, তখন তাঁরা সংস্কার করতে আরম্ভ করলে একটি পা প্রকাশ পায়, তা রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এঁর পা মুবারক বলে ধারণা করার কারণে লোকেরা খুব ঘাবড়ে যায়। সনাক্ত করার মত কাউকে তারা পায়নি। অবশেষে ‘উরওয়াহ (রাঃ) তাদের বললেন, আল্লাহ্‌র কসম এটা নবী ﷺ এঁর পা নয় বরং এটা তো ‘উমার (রাঃ)-এঁর পা। </div><div><br></div><div>মিশকাতের জানাজা অধ্যায়ের কবর জিয়ারত অনুচ্ছেদে একটি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যে,</div><div><br></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং আবূ বকর (রাঃ) এঁর ওফাতের পর, উমর রাঃ এঁর ওফাতের আগে, আম্মাজান আয়িশাহ (রাঃ) সাধারণ কাপড় পরিধান করেই তাঁদের রওজা মোবারকে যেতেন। কারণ- "আয়িশাহ (রা.) মনে মনে বলতেন, তিনি ﷺ তো আমার স্বামী, আর অপরজনও আমার পিতা। (আয়িশাহ রাঃ বলেন) কিন্তু যখন ‘উমার (রাঃ) কে এখানে তাঁদের সাথে দাফন করা হলো, আল্লাহর কসম, তখন থেকে আমি যখনই ঐ ঘরে (রওজায়) প্রবেশ করেছি, ‘উমরের কারণে লজ্জায় শরীরে চাদর (অতিরিক্ত পর্দা সহকারে) পেঁচিয়ে রেখেছি। (আল্লাহু আকবার)</div><div> </div><div>মিশকাতের এই হাদিসের ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ লিখেন- ইমাম তিব্বী রহঃ বলেন, (এ হাদিস থেকে বুঝা গেল) ওফাত হওয়ার পরে তেমনই তা‘যিম করতে হবে যেমনটি জীবিত অবস্থায় (জাহিরী হায়াতে) করা হতো।</div><div><br></div><div>সহীহ মুসলিম শরীফের ফজিলত অধ্যায়ে মুসা আলায়হিস সালাম এঁর ফজিলত (মর্যাদা) পরিচ্ছেদে রয়েছে,</div><div><br></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে রাত্রে আমার মি‘রাজ হয়েছিল সে রাত্রে আমি মূসা (‘আঃ)-এঁর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি লাল বালুকা স্তুপের নিকট তাঁর রওজায় দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন।</div><div><br></div><div>ইমাম দারেমী রহঃ উনার সূনানের ভূমিকা অধ্যায়ের "ওফাতের পর নবী ﷺ কে আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক সম্মান দেয়া" পরিচ্ছেদে উল্লেখ করেন,</div><div><br></div><div>সাঈদ ইবনে আব্দুল আযীয রহঃ বলেন, ‘আইয়ামুল হাররা’য় (যে সময়ে কুখ্যাত ইয়াজিদ মদীনা শরীফের উপর অত্যাচার চালিয়ে ছিল) মসজিদে নববী ﷺ-এ তিন দিন পর্যন্ত আযান ও জামা’আতে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। সে সময় সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব (রহঃ) মসজিদেই আটকা পড়েছিলেন। কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে পারতেন না, তবে (নামাজের ওয়াক্ত হলে) তিনি নবী ﷺ এঁর রওজা হতে গুণগুণ শব্দ শুনতে পেতেন। (সুবহান আল্লাহ)</div><div><br></div><div>শায়খুল ইসলাম ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ সহীহ বুখারীর প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে আবূ বকর রাঃ এঁর ফযীলত অধ্যায়ে উল্লেখ করেন,</div><div><br></div><div>নবী ﷺ (মৃত্যুর স্বাদ করে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায়) কবরে জীবিত থাকাকে যারা অস্বীকার করে তারা হযরত আবূ বকর রা. এঁর এ বক্তব্য দিয়ে দলিল পেশ করতে চায়- ‘আল্লাহ আপনাকে দুইবার মৃত্যু দিবেন না’। আর আহলুস সুন্নাহ- যারা নবীর কবরে জীবিত থাকায় বিশ্বাস রাখেন, এদের পক্ষ থেকে এর জবাব দেয়া হয়েছে যে, হযরত আবূ বকর রা. এঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল উমর রা. এঁর ভুল ধারণার খণ্ডন করা। উমর রা. বলেছিলেন, ‘আল্লাহ তাআলা নবীজীকে আবার দুনিয়াতে জীবিত করবেন ...’। এ কথার মধ্যে বারযাখে কী হবে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। অবশ্য হযরত আবূ বকর রা. এঁর এ কথার সর্বোত্তম ব্যাখ্যা হল, কবরে নবীজী ﷺ যে জীবন পেয়েছেন তারপর আর কোনো মৃত্যু আসবে না। বরং তিনি বরাবরই কবরে জীবিত থাকবেন, আর নবীগণ কবরে জীবিত।</div><div><br></div><div>বিখ্যাত ফকিহ ও হাদিস বিশারদ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ মিশকাতের ব্যাখ্যাগ্রন্থ মেরকাতের ৩য় খন্ডে উল্লেখ করেন,</div><div><br></div><div>আউলিয়াদের ইহকালীন জীবনের অবস্থা এবং পরকালীন জীবনের অবস্থার মাঝে কোন পার্থক্য নাই, এজন্য বলা হয় আল্লাহর ওলীগণ (প্রিয় বান্দাগণ, সাধারণদের মতো) মৃত্যুবরণ করেন না বরং (মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে দুনিয়া হতে পর্দা করে) তারা এক ঘর থেকে আরেক ঘরে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবর্তন হন মাত্র। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ইমাম বায়হাকী রহঃ বলেন, নবীগণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হতে পারেন এটা আকল দ্বারাও বৈধ, যেমনিভাবে হাদিস দ্বারাও প্রমাণিত।</div><div><br></div><div>আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা রহঃ লিখলেন,</div><div><br></div><div>তু জিন্দা হ্যায় ওয়াল্লাহ, তু জিন্দা হ্যায় ওয়াল্লাহ,</div><div> মেরে চশমে আলম ছে ছুপ জানে ওয়ালে</div><div><br></div><div>বঙ্গানুবাদঃ-</div><div><br></div><div> আল্লাহর কসম! হে নবীﷺ! আপনি জিন্দা।</div><div> কিন্তু আপনি আমার চোখের আড়াল হয়ে আছেন।</div>

আল্লাহ'র প্রিয় বান্দারা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেও জীবিত।

সহীহ বুখারীর জানাজা অধ্যায়ের শেষ অংশে একটি ঘটনার কথা এভাবে উল্লেখিত হয়েছে, উরওয়াহ (রাঃ) বলেন, ওয়ালীদ ইবনু আবদুল মালিক-এর শাসনামলে যখন (রাসূল...

Read more »

হতাশ? হতাশ হোন। ঝরে পড়ুন

<div style="text-align: justify;"><b>কৃতঃ মাহদি গালিব</b></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হতাশ? হতাশ হোন। ঝরে পড়ুন। পাতা ঝরলেই মাটিতে মিশে। সার হয়। বীজের খোরাক। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমরা বৃক্ষ নই। ইতিহাস বৃক্ষের বয়ষ্ক পাতা মাত্র। নিয়তি মানুন। মাটিতে মিশুন। বীজের বিকাশে বিলিন হোন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আজকের হতাশা আগামীর বীজতলা। লজ্জা থেকেই লড়াই। রক্ত থেকেই রেনেসাঁস। মরণ থেকেই মহাকাল। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হতাশ হতেও যোগ্যতা লাগে। হতাশার উপকরণের দাম চড়া। আয়ু ও অভিজ্ঞতা পুড়ে পুড়েই তো হতাশা। পুড়বার সাহস থাকে ক'জনের! </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হতাশ হয় না পশু। পশুর নদী পেরোনোই ধর্ম। শুধু আগে চলে। মানুষের পিছনও থাকে। ইতিহাস থাকে। সাফল্য থাকে। সাফল্য ক্ষয়ের ভুল থাকে। পাপ থাকে। হতাশাই ঠেকায় পাপের পচন। হতাশায় জন্মায় অনুতাপ। অনুতাপ তওবার তীর। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তওবা রহমত ডেকে আনে। বন্যা বওয়ায়। খোদার রহমতেই হতাশা নেই। তওবা মানেই ভবিষ্যৎ। পাপীর ভবিষ্যৎ থাকে। যেমনটা থাকে সাধুর অতীত। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শুনুন। হৃদয় পাতুন। খোদার রহমত মায়ের মমতা থেকেও অলঙ্ঘনীয় সুরে ডাকে। খোদার রহমতের মৌলিক মহীরুহ— স্নিগ্ধ সজীব মদিনা-মুনিব খোদার হাবিব (দরদে দরুদ পাঠ)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মদিনায় মিশে যান। মদিনায় মরে যান। মদিনায় ঝরে যান। মদিনার মাটি হোন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মদিনার মাটিতেই প্রেম পোঁতা। প্রেমের প্রকাশ্য পরিচয় ইসলাম। প্রেমের গুপ্তধনই তাসাউফ-সুফিধারা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মদিনার মাটি হলে ধর্মের ধারক হবেন। ইসলাম বীজ বুনবে আপনার অস্তিত্বে। বীজ বৃক্ষ হবে। ছুঁয়ে দিবে নীলাভ আকাশ। যে আকাশ নীলিমা নিয়েছে বাগদাদি গম্বুজের। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একফোঁটা পানির কী-বা মূল্য। কিন্তু সাগরে পড়লে সেও সাগরসত্তা। নিজের অস্তিত্ব ওভাবেই মিশান মদিনায়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অস্তিত্ব আকঁড়ে ধরবেন না। আমাদের অস্তিত্ব মূল্যহীন। মানুষ মানেই ফানুস। ঠুনকো। অস্তিত্ব আঁকড়ালে আসে অহং। অহং থেকে আয়ুর আকর্ষণ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়ুর মৃত্যু শুধুই মৃত্যু। জীবনের মৃত্যু শাহাদাত। জীবন মানেই বিকাশ। বিকাশ মানেই বিশ্বাস। বিশ্বাস মানেই মদিনা। এই জীবনকে, এই বিকাশকে বিলিয়ে দিন মদিনার মরু মৃত্তিকায়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মরণ বরণ করে শহিদ না হই। শাহাদাত আসুক জীবন উৎসর্গে।</div>

হতাশ? হতাশ হোন। ঝরে পড়ুন

কৃতঃ মাহদি গালিব হতাশ? হতাশ হোন। ঝরে পড়ুন। পাতা ঝরলেই মাটিতে মিশে। সার হয়। বীজের খোরাক। আমরা বৃক্ষ নই। ইতিহাস বৃক্ষের বয়ষ্ক পাতা মাত্র। নিয়ত...

Read more »