প্রিয় নবীজীর মু'জেজা! | পর্ব-০১

<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEja2FjRBu_uIEGDbbIkPRIXm5QouTdYnjEE0jyPg7Z70Ll3jcIgCRDFFwoS2mfreVz_MAU3JpPQlRn1_l1T1MUTKPRWjlgE4LfyZTJayoLG4PwQ_vNsxL5WVm0e_HrmxVBqFYDtUPbKHcs/s2048/InShot_20210318_191236927.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1153" data-original-width="2048" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEja2FjRBu_uIEGDbbIkPRIXm5QouTdYnjEE0jyPg7Z70Ll3jcIgCRDFFwoS2mfreVz_MAU3JpPQlRn1_l1T1MUTKPRWjlgE4LfyZTJayoLG4PwQ_vNsxL5WVm0e_HrmxVBqFYDtUPbKHcs/s320-rw/InShot_20210318_191236927.jpg" width="320" /></a></div><br /> <p></p><p>আবু হুরায়রা রা. নিজের এক আর্জি নিয়ে আসলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে। মনে নিশ্চিত বিশ্বাস যে সমস্যার সমাধান হবেই। আরয করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ আমি আপনার নিকট থেকে পবিত্র বাণীসমূহ শুনি। কিন্তু পরবর্তীতে ভুলে যাই, মনে রাখতে পারি না।</p><p><br /></p><p>মালিকে জান্নাহ, কাসিমে নিয়ামাহ ﷺ তখন ইরশাদ করলেন, আবু হুরায়রা(রা.)! তোমার চাদর বিছাও। তিনি কথামতো আপন চাদর বিছিয়ে দিলেন। তখন প্রিয় নবী ﷺ অদৃশ্য কিছু একটা চাদরে ঢেলে দিলেন এবং বললেন, এবার চাদরটি বুকে জড়িয়ে নাও। তিনি তাই করলেন। সুবহানাল্লাহ! আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমার জ্ঞান এরপর থেকে এতটাই তীক্ষ্ণ হয়ে গেল যে আমি আর কোনো কিছুই ভুলি নি। [১]</p><p><br /></p><p>এ কেমন মু'জেজা! আল্লাহু আকবার। স্মৃতিশক্তির মতো অদৃশ্য শক্তি দান করার ক্ষমতাও তিনি রাখেন। যিনি তাঁর সাহাবিকে জ্ঞানের ভান্ডার দান করে দিতে পারেন স্বয়ং তাঁর জ্ঞানের স্তর কি হবে! আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। </p><p><br /></p><p>অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপ! কত মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণায় পরে সেই রাসূলে পাকের ﷺ ইলম নিয়ে সমালোচনা করার মতে দুঃসাহস করে। তিনি "আলিফ, বা, তা" জানতেন না, "নিরক্ষর" বলে মন্তব্য করে। নাউজুবিল্লাহ। যুগে যুগে ইসলামের লেবাস লাগিয়ে এমন মুনাফেকি অনেকেই করেছে। এবং তারা রব তায়ালার আযাবে নিপতিত হয়েছে। </p><p><br /></p><p>প্রিয় নবীর ﷺ জ্ঞান নিয়ে সমালোচনা মানেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনা। আপনার বন্ধুকে কেউ গালি দিলে আপনি সহ্য করেন না। তাহলে স্বয়ং রব তায়ালার মাহবুবকে নিয়ে কেউ যদি বেয়াদবিমূলক মন্তব্য করে তাহলে তিনি কি তাকে ছেড়ে দিবেন? </p><p><br /></p><p>হযরত সায়্যিদুনা আনাস রা. বলেন, একদা এক খ্রীষ্টান মুসলমান হয়ে সূরা বাকারা ও সূরা আল ইমরান মুখস্থ করেছিল। সে হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর অন্যতম কাতেব নিযুক্ত হল। কিছু দিন পর সে আবার মুরতাদ হয়ে খ্রীষ্টান ধর্মে ফিরে গেল। খ্রীষ্টান ধর্মে ফিরে যাওয়ার পর সে গলাবাজি করে বলতে লাগল আমি মুহাম্মদ ﷺ কে যা লিখে দিতাম তিনি শুধু তাই জানতেন। বেশি দিন গড়ায় নি।</p><p><br /></p><p>আল্লাহ তায়ালা তার প্রান কেড়ে নিলেন এবং অস্বাভাবিক ভাবে তাকে মৃত্যু দান করলেন। তার গােত্রের লােকেরা একটি কবর খনন করে তাকে তাতে সমাহিত করল। কিন্তু রাতে জমিন তাকে কবর থেকে বাইরে নিক্ষেপ করে দিল। তার গােত্রের লােকেরা বলল, এটা হযরত মুহাম্মদ ﷺ এবং তাঁর অনুসারীদেরই কাজ। কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে চলে এসেছিল। তাই তারা আমাদের সঙ্গীকে কবর থেকে বের করে ফেলেছে। </p><p><br /></p><p>অতঃপর তারা আরেকটি কবর খনন করে তাতে তাকে পুনরায় সমাহিত করল। কিন্তু সকালে তাকে আবারাে কবরের বাইরে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেল। এবারও তারা বলাবলি করল, এটা হযরত মুহাম্মদ ﷺ তাঁর অনুসারীদেরই কাজ। কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে চলে এসেছিল। </p><p><br /></p><p>তাই তারা তার কবর খনন করে তাকে বাইরে ফেলে দিয়েছে । তৃতীয় দিন তারা তার জন্য যত গভীরে খনন করা যায় তত গভীরে একটি কবর খনন করে তাতে তাকে সমাহিত করল। কিন্তু সকালে তাকে আবারাে জমিনের ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেল। এবার তারা নিশ্চিত হল, তার সাথে এ আচরণ মানুষের পক্ষ থেকে নয়। অতঃপর তাকে তারা আর সমাহিত না করে মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে আসল। [২]</p><p><br /></p><p>আল্লাহু আকবার! বেয়াদবকে জমিন পর্যন্ত গ্রহণ করে নি! আল্লাহ আমাদেরকে এমন বেয়াদব থেকে হিফাজত রাখুন এবং বেশি বেশি মোস্তফার শান বর্ণনার তৌফিক দিন।</p><p><br /></p><p>রেফারেন্সঃ</p><p>[১] সহিহ বুখারী, খন্ড- ১ম, ২য়; পৃষ্ঠা: ৬২, ৯৪; হাদিস নং- ১১৯, ২৩৫। </p><p><br /></p><p>[২] সহিহ বুখারী, খন্ড- ২য়, পৃষ্ঠা: ৫০৬, হাদীস নং- ৩৬১৭। সহিহ মুসলিম, পৃষ্ঠা: ১৪৯৭, হাদীস নং- ২৭৮১।</p><p><br /></p><p>"না ওঠ ছাকেগা কিয়ামাত তলক খোদা কি কাসম, কে জিসকো তুনে নাজারসে গিরা কে ছুড দিয়া।"</p><p><br /></p><p>জাজাকাল্লাহু খাইরান </p><p>স্বাধীন আহমেদ </p>

প্রিয় নবীজীর মু'জেজা! | পর্ব-০১

  আবু হুরায়রা রা. নিজের এক আর্জি নিয়ে আসলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে। মনে নিশ্চিত বিশ্বাস যে সমস্যার সমাধান হবেই। আরয করলেন, ইয়া রাসূলু...

Read more »

কবি নজরুলের আহলে-বাইত প্রেম

<div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">কবি নজরুল লিখেন,<br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ</div><div style="text-align: justify;">এই পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">পয়জা তাঁর লাগত এসে আমার কঠিন বুকে</div><div style="text-align: justify;">আমি ঝর্ণা হয়ে গলে যেতাম অমনি পরম সুখে</div><div style="text-align: justify;">সেই চিহ্ন বুকে পুরে</div><div style="text-align: justify;">পালিয়ে যেতাম কোহ-ই-তুরে</div><div style="text-align: justify;">সেথা দিবানিশি করতাম তাঁর কদম জিয়ারত</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">মা ফাতেমা খেলত এসে আমার ধূলি লয়ে</div><div style="text-align: justify;">আমি পড়তাম তার পায়ে লুটিয়ে ফুলের রেণু হয়ে</div><div style="text-align: justify;">হাসান হোসেন হেসে হেসে</div><div style="text-align: justify;">নাচত আমার বক্ষে এসে</div><div style="text-align: justify;">চক্ষে আমার বইত নদী পেয়ে সে ন্যামত।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অন্যত্র লিখলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">একদিকে মাতা ফাতেমার বীর দুলাল হোসেনী সেনা</div><div style="text-align: justify;">আরদিকে যত তখত বিলাসী লোভী এজিদের কেনা</div><div style="text-align: justify;">মাঝে বহিতেছে শান্তিপ্রবাহ পূর্ণ ফোরাত নদী</div><div style="text-align: justify;">শান্তিবারিতে তৃষাতুর মোরা ওরা থাকে তাহা রোধি</div><div style="text-align: justify;">একদিকে নবী পরিবার ওরা কেবলি শান্তিব্রতী</div><div style="text-align: justify;">আর একদিকে স্বার্থান্বেষী হিংসুক ক্রোধমতি</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ঐক্য যে ইসলামের লক্ষ্য এরা তাহা দেয় ভেঙে</div><div style="text-align: justify;">ফোরাত নদীর কুল যুগে যুগে রক্তে উঠেছে রেঙে-</div><div style="text-align: justify;">এই ভোগীদের জুলুমে। ইহারা এজীদী মুসলমান</div><div style="text-align: justify;">এরা ইসলামী সাম্যবাদের করিয়াছে খান খান</div><div style="text-align: justify;">এক বিন্দুও প্রেম অমৃত নাই ইহাদের বুকে</div><div style="text-align: justify;">শিশু আজগরে তীর হেনে হাসে পিশাচের মত সুখে</div><div style="text-align: justify;">সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ইসলামের সাম্যবাদ</div><div style="text-align: justify;">যুগে যুগে এই অসুর সেনারা করিয়াছে বরবাদ।’</div><div style="text-align: justify;">--</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">৩রা শাবান। জান্নাতী যুবকদের সর্দার ইমাম হুসাইন রাঃ এঁর জন্মদিবস। উনার সম্মানিত পিতা মাওলা আলী রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ হাসান ও হুসাইনের হাত ধরে বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসে এবং এ দু’জন ও তাঁদের পিতা-মাতাকে ভালোবাসে, সে কিয়ামতের দিন আমার সাথেই থাকবে। (সূনান আত তিরমিজী ৩৭৩৩)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgKZiqGb5uZcsgzSQFDzAoODBP2bIgK4hYBoJ1uEwuvT2yJL1sSbkK-S_LnJFbf8G2iesfN2mkYGScgKqiHEdAjWYu9P6B9J-GjLaNZgUkC2sLi18Z6D5KL95OZJw7a2q0_RxKz5QXBETDj/s1600/FB_IMG_1567656127232.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="968" data-original-width="968" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgKZiqGb5uZcsgzSQFDzAoODBP2bIgK4hYBoJ1uEwuvT2yJL1sSbkK-S_LnJFbf8G2iesfN2mkYGScgKqiHEdAjWYu9P6B9J-GjLaNZgUkC2sLi18Z6D5KL95OZJw7a2q0_RxKz5QXBETDj/s1600-rw/FB_IMG_1567656127232.jpg" width="320" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উসামাহ্ ইবনু যাইদ (রাঃ) বলেন, এক রাতে আমার কোন দরকারে নবী ﷺ-এঁর কাছে গেলাম। অতএব নবী ﷺ এমন অবস্থায় বাইরে এলেন যে, একটা কিছু তার পিঠে জড়ানো ছিল যা আমি অবগত ছিলাম না। আমি আমার দরকার সেরে অবসর হয়ে প্রশ্ন করলাম, আপনার দেহের সঙ্গে জড়ানো এটা কি? তিনি পরিধেয় বস্ত্র উম্মুক্ত করলে দেখা গেল তার দুই কোলে হাসান ও হুসাইন (রা.)। তিনি বললেনঃ এরা দু’জন আমার পুত্র এবং আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ! আমি এদের দু’জনকে মুহাব্বাত করি। সুতরাং তুমি তাদেরকে মুহাব্বাত কর এবং যে ব্যক্তি এদেরকে মুহাব্বাত করবে, তুমি তাদেরকেও মুহাব্বাত কর। (সূনান আত তিরমিজী ৩৭৬৯)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">একবার হুযাইফাহ্ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর নিকট এলে তিনি ﷺ জানানঃ একজন ফেরেশতা যিনি আজকের এ রাতের আগে কখনও পৃথিবীতে অবতরণ করেননি। তিনি আমাকে সালাম করার জন্য এবং আমার জন্য এ সুখবর বয়ে আনার জন্য আল্লাহ তা'আলার কাছে অনুমতি চেয়েছেনঃ ফাতিমাহ জান্নাতের নারীদের নেত্রী এবং হাসান ও হুসাইন জান্নাতের যুবকদের নেতা। (সূনান আত তিরমিজী ৩৭৮১, ইবনে আসাকির রহঃ সহীহুল জামে’ হা/৭৯)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ইবনে উমার রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ হাসান ও হুসায়ন জান্নাতী যুবকদের সর্দার এবং তাঁদের পিতা তাঁদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১১৮)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবী ﷺ বলতেন, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) আমার কাছে দুনিয়ার দুটি পুষ্প বিশেষ। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, এরা দুজন পৃথিবীতে আমার নিকট দু'টি সুগন্ধি ফুল। (সহীহ বুখারী ৫৯৯৪, সহীহ বুখারী ৩৭৫৩)</div>

কবি নজরুলের আহলে-বাইত প্রেম

কবি নজরুল লিখেন, আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ এই পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত। পয়জা তাঁর লাগত এসে আমার কঠিন বুকে আমি ঝর্ণা হয়ে গলে যেতাম ...

Read more »

যিনার ধারে কাছেও যেও না!

<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiS08DwVnSWGdLMbZQIB3cNIJnPkFRF00yS_hyphenhyphenVNzYTgKRb1goVLHqiaWka8gz_OTvVcqzVZgikHzuCtMMXtcBwE4Rk7pP7ZTaf9IRWdp0iUTkSC6bOmsSAV6dEwPDLxRVRZ3t0IBX0F4w/s2048/InShot_20210318_152834214.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1152" data-original-width="2048" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiS08DwVnSWGdLMbZQIB3cNIJnPkFRF00yS_hyphenhyphenVNzYTgKRb1goVLHqiaWka8gz_OTvVcqzVZgikHzuCtMMXtcBwE4Rk7pP7ZTaf9IRWdp0iUTkSC6bOmsSAV6dEwPDLxRVRZ3t0IBX0F4w/s320-rw/InShot_20210318_152834214.jpg" width="320" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;"> </div><p></p><p style="text-align: justify;">"জিনার ধারে কাছেও যেও না" - এটা কেন বললেন রব? তিনি তো এটা এভাবেও বলতে পারতেন, "জিনা করো না!" নাহ! রব তায়ালা যেহেতু একটু অন্যভাবে বলেছেন মানে এর পিছনে কোনো হিকমত রয়েছে। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">মানুষ কিভাবে শয়তানের ফাঁদে পরে? প্রথমেই সে জিনার মতো গর্হিত কাজ করে ফেলে না। প্রথমে তার চোখ প্ররোচিত হয়। এমনটাই আলা হযরত রহ. বলেছেন, "যে প্রথমে চোখ প্ররোচিত হয়। তারপর অন্তর এবং পরিশেষে তার যৌনাঙ্গ।"</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">তার মাথায় অশ্লীল কোনো চিন্তা নেই। কিন্তু হঠাৎ সে কোনো বেপর্দা নারীকে দেখল বা অশ্লীল কোনো ছবি দেখল, তখনই তার ব্রেইন ট্রিগার করা শুরু করবে। আস্তে আস্তে সে জিনা সংঘটিত করে ফেলবে। তাই আমার রাসূলে ﷺ পাক বলেন,"চোখের জিনা হলো দেখা।"</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">তাছাড়া সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পুরুষকে দৃষ্টি নিচু রাখার আদেশ দিয়েছেন। সম্ভবত এটা এই কারণেই। তিনি এটাও বলেছেন এতে খুবই পবিত্রতা আছে। নারীর ন্যায় পুরুষের জন্য এটাও পর্দা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">ওহ নারীদের পর্দা! এটা নিয়ে অনেকেই বলেন শুনেছি বে-পর্দা চলাফেরাই যদি ধর্ষণ এর কারন হতো তাহলে ছোট বাচ্চারা কেন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে? আহ! এটা কতটা মূর্খতাপূর্ন একটা কথা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">ছোট শিশুরা ধর্ষণ হওয়ার পিছনেও আপনার বেপর্দা চলাফেরার হাত আছে! অবাক হলেন? না, অবাক হওয়ার কিছু নেই। একটা পুরুষ যখন কোনো নারীকে বেপর্দা অবস্থায় দেখে তখন স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতি আকর্ষণ জাগে। এটা প্রাকৃতিক। যদি এটা না হতো তাহলে তো পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ হয়ে যেত!</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">যখন ওই পুরুষের আকর্ষণ চরম পর্যায়ে পৌছে যায় তখন সে বেপরোয়া হয়ে যায়। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। সে তার কাছে যেটা পায় বা যেটা তার জন্য সহজ হয় সেটা দিয়েই তার চাহিদা মিটায়। আর এটাই কারণ শিশু ধর্ষণের। তাই ইসলাম নারীর শরীরের পর্দা ও পুরুষের চোখের পর্দার বিধান আরোপ করেছে। নিজেকে বেশি পন্ডিত বা জ্ঞানী ভাবলে ভুল করবেন ইসলামের বিপরীতে গিয়ে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">তাই হস্তমৈথুন বলেন বা যিনা এগুলো থেকে বাঁচার প্রধান হাতিয়ার চোখের হেফাজত। আর যদি চোখে পড়েও যায় অশ্লীল কিছু তাহলে চিন্তাগুলোকে সেখানেই স্টপ করে দিন। এটাকে ইগনোর করে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এর রিওয়ার্ড ও আছে। আমার রাসূলে পাক ﷺ বলেন, যে চোখের হিফাজত করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঈমানের নূর অনুভব করিয়ে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিফাজত করুন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">জাজাকাল্লাহু খাইরান </p><p style="text-align: justify;">স্বাধীন আহমেদ</p>

যিনার ধারে কাছেও যেও না!

  "জিনার ধারে কাছেও যেও না" - এটা কেন বললেন রব? তিনি তো এটা এভাবেও বলতে পারতেন, "জিনা করো না!" নাহ! রব তায়ালা যেহেতু একট...

Read more »