মানসিক প্রশান্তি অর্জনের ১০টি উপায়

<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMd9nR4_455B8_NsnlLLPV5nb1QAHrvNEgU9vRRR3i1wQz9vxt0bOod9PMJbug_6nYAW2fT1OghqJrS_oLmxxd4LDKqtNbovfO-AcrG1ypk0ndrqwAP-DfvXah6UY2S2Zz-eoUvx0x5mY/s903/FB_IMG_1615988051854.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="903" data-original-width="720" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMd9nR4_455B8_NsnlLLPV5nb1QAHrvNEgU9vRRR3i1wQz9vxt0bOod9PMJbug_6nYAW2fT1OghqJrS_oLmxxd4LDKqtNbovfO-AcrG1ypk0ndrqwAP-DfvXah6UY2S2Zz-eoUvx0x5mY/w319-h400-rw/FB_IMG_1615988051854.jpg" width="319" /></a></div><br /> <p></p><blockquote style="border: none; margin: 0px 0px 0px 40px; padding: 0px; text-align: left;"><p style="text-align: center;"><b>প্রশান্তি </b></p><p style="text-align: center;"><b><a href="https://www.facebook.com/sirajum.monir.50">মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর </a></b></p></blockquote><p><br /></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে মানসিক অশান্তি ও অস্থিরতায় ভোগে। দু:শ্চিন্তা ও হতাশা তাদের চিন্তাশক্তি আচ্ছন্ন করে ফেলে। তখন তারা নানা অশ্লীলতা, পাপচার ও নেশার রাজ্যে বুদ হয়ে শান্তি খোঁজার চেষ্টা করে। এতে সাময়িকভা্বে অস্থিরতা থেকে কিছুটা মুক্তি পেলেও এর পরে আগের চেয়েও অস্থিরতা ও মানসিক অশান্তি বৃদ্ধি পায়। অথচ ইসলাম মেনে চলার মধ্যে যে মানসিক তৃপ্তি ও প্রশান্তি নিহীত রয়েছে তা অনেকেই জানে না।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">তাই আসুন, ইসলামের দৃষ্টিতে মানসিক প্রশান্তি অর্জনের কতিপয় উপায় জেনে নিই:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(১) ইখলাস বা একনিষ্ঠতা সহকারে আল্লাহর ইবাদত করা:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">আল্লাহ তাআলা বলেন: “তাদেরকে একমাত্র এ নির্দেশই প্রদান করা হয়েছে যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে।” </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">[সূরা বাইয়্যেনাহ: ৫]</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">❑ ইখলাসের আলামত:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য অনুভব করা। আল্লাহর সাহায্যের কারণে একজন ব্যক্তির ইবাদত-বন্দেগী ও কার্যক্রম ত্রুটি-বিচ্যুতি ও পদস্খলন থেকে রক্ষা পায়।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★ইবাদতে পর্যাপ্ত সময় ও শ্রম ব্যয় করা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★গোপনে ইবাদত করার আগ্রহ থাকা। তবে যে সব ইবাদত জনসম্মুখে করতে হয় সেগুলোর কথা ভিন্ন। যেমন জামাআতে সালাত, আল্লাহর পথে দাওয়াত।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★অতি যত্ন সহকারে সুন্দরভাবে ইবাদত করা এবং এ ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনে আন্তরিক হওয়া।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★আল্লাহর দরবারে ইবাদত গৃহীত না হওয়ার ভয় থাকা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(২) রাসূল ﷺ-কে অনুসরণ করা:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">মানসিক প্রশান্তি অর্জন করতে হতে হলে ইবাদত-বন্দেগী, লেনদেন, চরিত্র, পারিবারিক, সামাজিক তথা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ ও আদর্শের আলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। নিজের জানমাল, সন্তান-সন্ততি, পিতামাতা ও সকল প্রিয়জন থেকে তার ভালবাসাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাহলেই কেবল পূর্ণ মুমিন হওয়ার সম্ভব।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">রাসূল ﷺ বলেন: “তোমাদের কেউ প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না যে পর্যন্ত আমি তার নিকট তার পিতা পুত্র এবং অন্য সকল লোক হতে অধিক প্রিয় না হই।” </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(বুখারী ও মুসলিম)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">আর এতে কোন সন্দেহ নাই যে, যে হৃদয়ে প্রিয় নবী ﷺ এর ভালবাসা সকল ভালবাসার উপরে স্থান পাবে সে হৃদয় হবে সবচেয়ে প্রশান্ত ও স্থির এবং তার জন্যই অপেক্ষা করছে উপরোক্ত সুসংবাদ।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">❑ রাসূল ﷺ-কে অনুসরণের আলামত:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★রাসূল ﷺ এর সুন্নত সম্পর্কে জ্ঞানার্জন এবং গ্রহণে উদগ্রীব থাকা</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★সীরাত তথা ﷺ এর জীবন-চরিত সম্পর্কিত বই-পুস্তক অধ্যয়ন করা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★রাসূল ﷺ-কে অনুসরণ-অনুকরণে অগ্রণী থাকা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(৩) আল্লাহ তাআলাকে গভীরভাবে ভালবাসা:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">আল্লাহ তাআলাকে ভালবেসে যখন কেউ আল্লাহর রঙ্গে জীবন রাঙ্গিয়ে দিতে পারে তখন সকল বিপদ-মুসিবতে সবর করা তার জন্য সহজ হয়ে যায়। সর্বাবস্থায় সে তাঁর প্রতি সুধারণা পোষণ করে। শত কষ্ট হাসিমুখে বরণ করে। বিপদে ধৈর্যের পরিচয় দেয় আর সুখ ও আনন্দের সংবাদে কৃতজ্ঞতা আদায় করে।এসব কারণে তার মন থেকে অস্থিরতা, হাহাকার, না পাওয়ার বেদনা দূরভিত হয় যায়। মন ভরে উঠে পরম প্রশান্তিতে।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">❑ আল্লাহকে ভালবাসার কতিপয় আলামত:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★নিভৃতে আল্লাহর ইবাদত করতে ভালো লাগা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★আল্লাহর বাণী মহাগ্রন্থ আল কুরআন তিলাওয়াত ও শ্রবণ করতে আনন্দ পাওয়া।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★নামায, রোযা, দান-সদকা ইত্যাদি ইবাদতে তৃপ্তি অনুভব করা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★তাসবীহ, তাহলীল, যিকির, দুআ, ইস্তিগফার ইত্যাদির মাধ্যমে জিহ্বাকে সিক্ত রাখা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★আল্লাহর পছন্দ ও অপছন্দনীয় বিষয়ে মানসিকভাবে পূর্ণ সম্মতি থাকা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★কোন ইবাদত ও নেকির কাছ থেকে মন ছুটে গেলে মনে কষ্ট অনুভূত হওয়া এবং আফসোস করা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★আল্লাহর আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘিত হতে দেখলে মনে প্রচণ্ড রাগ সৃষ্টি হওয়া।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(৪) আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">রাসূল ﷺ বলেন: “ওই ব্যক্তিই ঈমানের স্বাদ গ্রহণ করবে যে ব্যক্তি আল্লাহকে প্রতিপালক,ইসলামকে দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) এবং মুহাম্মদ ﷺ রাসুল হিসেবে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিল।” </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(সহীহ মুসলিম)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">যে আল্লাহ তাআলাকে প্রতিপালক হিসেবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে স্বাভাবিকভাবে তার অন্তরে অস্থিরতা ও দু:শ্চিন্তা স্থান পাবে না। কারণ সে জানে মহান আল্লাহ অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান ও কুশলী আর তার প্রতিটি সিদ্ধান্তই প্রজ্ঞাপূর্ণ। তাই তার ভাল-মন্দ সকল সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি থাকার মাধ্যমেই হৃদয়ে জাগ্রত হয় অনাবিল প্রশান্তি।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(৫) সত্যবাদিতা:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">সত্যবাদিতার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত প্রশান্তি। পক্ষান্তরে মিথ্যায় রয়েছে মানসিক অশান্তি, সন্দেহ, সংশয় ও অস্থিরতা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সত্য হল প্রশান্তি আর মিথ্যা হল সংশয়।” </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(মুসনাদ আহমদ, মুস্তাদরাক হাকিম)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">সত্যবাদিতার তিনটি ক্ষেত্রে রয়েছে। যথা:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">** আল্লাহর সাথে সত্যবাদিতা:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★প্রশান্ত হৃদয়ের অধিকারী মুমিন হবে।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★কথায় সত্যবাদী। সুতরাং তার মুখ থেকে কখনও অসত্য কথা বের হবে না।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★আচরণে সত্যবাদী। সুতরাং সে হঠাৎ করেই রঙ বদলাবে না বা ধোঁকাবাজি ও মুনাফেকি করবে না।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">★কর্মে সত্যবাদী। সুতরাং সে আমল করবে ইখলাসের সাথে এবং রাসূল ﷺ এর দেখানো পদ্ধতির আলোকে।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">** বান্দাদের সাথে সত্যবাদিতা: আল্লাহ ও তার মাঝে যে চেহারা থাকে মানুষের সাথে উঠবস ও লেনদেনের সময় তার চেয়ে ভিন্ন চেহারা নিয়ে হাজির হবে না।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">** নিজের সাথে সত্যবাদিতা: যা সে বিশ্বাস করে তা সে কর্মে বাস্তবায়ন করে। নিজেকে সংশোধন করে, আত্ম সমালোচনা করে এবং প্রবৃত্তির টানে ছুটে বেড়ায় না আর একান্ত একাকীত্বেও আল্লাহর ভয় হৃদয়ে জাগ্রত রেখে হারাম থেকে দূরে থাকে।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(৬) তাকওয়া অবলম্বন:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার কারণে সে আল্লাহর ইবাদত করে; অবাধ্যতা করে না। কৃতজ্ঞতা আদায় করে; অকৃতজ্ঞ হয় না। আল্লাহকে স্মরণ করে; তাকে ভুলে থাকে না আর বেঁচে থাকে বড়-ছোট সকল প্রকার পাপাচার থেকে।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">স্বাভাবিকভাবে মানুষ যখন আল্লাহর ভয় হৃদয়ে জাগ্রত রাখে তখন সে যেমন আল্লাহর অধিকার লঙ্ঘন করে না ঠিক তেমনি বান্দার হকও নষ্ট করে না। এতে হৃদয়ে বিরাজ করে এক অভূতপূর্ব তৃপ্তি ও অবর্ণনীয় প্রশান্তি। পক্ষান্তরে আল্লাহর দাসত্ব থেকে বের হয়ে গেলে এবং বান্দার অধিকারে হস্তক্ষেপ করলে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। যার প্রভাবে অপরাধীর হৃদয়ে অশান্তির দাবানল জ্বলতে থাকে আর অস্থিরতা ও দু:শ্চিন্তা তাকে গ্রাস করে।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">৭) সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ: </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">মানুষকে কল্যাণের পথে আহ্বান করা, আল্লাহ তাআলা যে কাজে রাগ করেন সে কাজ থেকে সতর্ক করা এবং এ পথে ধৈর্য ধারণ করা।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(৮) মানুষের কল্যাণে কাজ করা: </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">তথা গরীব, অসহায়, বিধবা ও এতিমদের সাহায্য করা ইত্যাদি।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(৯) সুন্দর চরিত্র: </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">হাসিমুখে থাকা, দেখা হলে সালাম দেয়া, কুশল বিনিময় করা, মানুষের সুখে সুখী হওয়া, দু:খে দুখী হওয়া, প্রতিবেশী ও মেহমানকে সম্মান করা ইত্যাদি।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">(১০) অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির করা:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">আল্লাহ বলেন: “জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।” </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">[সূরা রা'দ: ২৮]</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">কুরআন তিলাওয়াত সবচেয়ে বড় যিকির। তারপর সকাল সন্ধ্যার দুআ-যিকির, বিভিন্ন কাজের আলাদা আলাদা দুআ, পাঁচওয়াক্ত সালাত, অন্যান্য তাসবীহ-তাহলীল, ইস্তিগফার ইত্যাদি অধিক পরিমানে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে ইনশাআল্লাহ মনে অভাবনীয় প্রশান্তি অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">আল্লাহ তাওফিক দান করুন।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-family: verdana;">আমীন!!</span></p>

মানসিক প্রশান্তি অর্জনের ১০টি উপায়

  প্রশান্তি  মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর  অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে মানসিক অশান্তি ও অস্থিরতায় ভোগে। দু:শ্চিন্তা ও হতাশা তাদের চিন্তাশক্তি ...

Read more »

সেকালেও ইমামে আজমের নামে অপবাদ রটানো হতো

<div style="text-align: justify;">হাদিস শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে সফরকালে, আবূ হানিফা রাঃ যখন মক্কা থেকে মদিনা যান সেখানে প্রথমে হযরত ইমাম বাকের রাঃ এঁর খিদমতে উপস্থিত হন। ইমাম বাকের রাঃ নাম শুনেই বলে উঠেনঃ তুমি কি ঐ আবূ হানিফা, যে নিজের যুক্তির ভিত্তিতে আমার দাদার হাদীসের বিরােধিতা করে? তিনি বললেনঃ আমার সম্পর্কে এ অসত্য রটানো হয়েছে। অনুমতি পেলে কিছু বলতে চাই । তিনি বললেনঃ বলো। <br /></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আবূ হানিফা রাঃ বললেনঃ পুরুষের তুলনায় নারী দুর্বল। যদি যুক্তির ভিত্তিতে আমি সিদ্ধান্ত দিতাম তাহলে বলতাম যে , উত্তরাধিকারের ব্যাপারে নারীকে অধিক দিতে হবে। কিন্তু আমি তা বলি না । বলিঃ পুরুষ দ্বিগুণ পাবে। অনুরূপভাবে, রােযা অপেক্ষা নামায উত্তম। যুক্তির ভিত্তিতে কথা বললে বলতামঃ ঋতুমতী মেয়েলােকের নামাযের কাযা জরুরী। কিন্তু তা বলি না ; বরং বলিঃ তার ওপর রােযার কাযা জরুরী।</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু হানিফা রাঃ এঁর এ বক্তব্য শুনে হযরত ইমাম বাকের রাঃ অভিভূত হলেন এবং উঠে এসে কপালে চুমু দিয়ে দোয়া করলেন ও যতদিন ইচ্ছা তাঁর কাছে থাকতে অনুমতি দিলেন। ১১৪ হিজরীতে তাঁর ইন্তিকাল হয় । তাঁর পুত্র হযরত ইমাম জাফর সাদিক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন । ইমাম আবূ হানিফা রাঃ এঁর সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। আহলে বাইত সম্পর্কে ইমাম আ'যম বলতেন যে , হাদীস ও ফিক্‌হ তথা যাবতীয় মাযহাবী ইলম আহলে বাইতের বিদ্যালয় থেকে নিঃসৃত। (আল ফিকহুল আকবরঃ পৃষ্ঠা ১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।)</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj51XGU7zkawRvI2RvuvSa81tV4uIgZ4mACXb02xGadXt1G-Ltnp2Pcpl9-biNN6BznnBvFCfd_8pHbdayZuI53HYeni2PkrWGtaFlUq1Qq98XBpyOPWeKd8GYO8wRKaZ8w5EMVc3CTdlQA/s1600/FB_IMG_1615913964057.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="426" data-original-width="640" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj51XGU7zkawRvI2RvuvSa81tV4uIgZ4mACXb02xGadXt1G-Ltnp2Pcpl9-biNN6BznnBvFCfd_8pHbdayZuI53HYeni2PkrWGtaFlUq1Qq98XBpyOPWeKd8GYO8wRKaZ8w5EMVc3CTdlQA/s1600-rw/FB_IMG_1615913964057.jpg" width="320" /></a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আব্বাসীয় খলিফা মনসুর, ইমাম আযম আবু হানিফা রাঃ এর কাছে আবেদন করলেন : আপনি আমার সরকারের প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহণ করুন। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">উত্তরে তিনি বললেন : আমি এই পদের যােগ্য নই। মনসুর বললেন : আপনি মিথ্যা বলছেন। তিনি বললেন : আমি যদি মিথ্যা বলে থাকি , তা হলে আপনি নিজেই তাে তার বিচার করে ফেললেন! মিথুক ব্যক্তি তাে বিচারক হওয়ার উপযুক্ত হতে পারে না। </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">খলিফা মনসুর, ইমাম আযম রহঃ এর এই উক্তিকে নিজের জন্য অপমানজনক সাব্যস্ত করে তাঁকে জেলখানায় পাঠিয়ে দিলেন। তাঁর মাথা মােবারকে চাবুক দিয়ে দৈনিক দশটি করে আঘাত করা হত। যাতে তাঁর মাথা মােবারক থেকে রক্ত প্রবাহিত হয়ে পায়ের নীচে চলে আসত। এভাবে তাঁকে বাধ্য করা হচ্ছিল, তিনি যেন বিচারপতির পদ গ্রহণ করে নেন। কিন্তু কোনভাবেই তিনি রাষ্ট্রীয় পদ গ্রহণ করতে রাজি হলেন না। এভাবে তাঁকে দৈনিক দশটি হিসাবে একশ দশটি চাবুকের আঘাত করা হল। ইমাম আযম রাঃ এর সাথে জনসাধারণের সহানুভূতি ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রতারণাপূর্বক তাঁর সামনে বিষের পেয়ালা পেশ করা হয়। কিন্তু মুমিনদের দূরদৃষ্টির মাধ্যমে তিনি সে বিষ চিনে ফেলেন। তিনি তা পান করতে অস্বীকার করলেন। তাই তাঁকে জোরপূর্বক মাটিতে শুইয়ে তাঁর গলদেশে বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হল। যখন বিষক্রিয়া আরম্ভ হল, তখন তিনি আল্লাহ তাআলার দরবারে সিজদায় অবনত হয়ে গেলেন , আর সেই সিজদারত অবস্থাতেই তিনি ১৫০ হিজরীতে শাহাদাত বরণ করেন। (আল খায়রাতুল হিসান ৮৮ , ৯২ পৃষ্ঠা)</div>

সেকালেও ইমামে আজমের নামে অপবাদ রটানো হতো

হাদিস শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে সফরকালে, আবূ হানিফা রাঃ যখন মক্কা থেকে মদিনা যান সেখানে প্রথমে হযরত ইমাম বাকের রাঃ এঁর খিদমতে উপস্থিত হন। ইম...

Read more »

যাবতীয় মাযহাবী ইলম আহলে বাইত থেকে নিঃসৃত।

<div style="text-align: justify;">হাদিস ও ফিকহ তথা যাবতীয় মাযহাবী ইলম আহলে বাইতের বিদ্যালয় থেকে নিঃসৃত। (ইমাম আবূ হানিফা) <br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদিস শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে সফরকালে, আবূ হানিফা রাঃ যখন মক্কা থেকে মদিনা যান সেখানে প্রথমে হযরত ইমাম বাকের রাঃ এঁর খিদমতে উপস্থিত হন। ইমাম বাকের রাঃ নাম শুনেই বলে উঠেনঃ তুমি কি ঐ আবূ হানিফা, যে নিজের যুক্তির ভিত্তিতে আমার দাদার হাদীসের বিরােধিতা করে? তিনি বললেনঃ আমার সম্পর্কে এ অসত্য রটানো হয়েছে। অনুমতি পেলে কিছু বলতে চাই । তিনি বললেনঃ বলো। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবূ হানিফা রাঃ বললেনঃ পুরুষের তুলনায় নারী দুর্বল। যদি যুক্তির ভিত্তিতে আমি সিদ্ধান্ত দিতাম তাহলে বলতাম যে , উত্তরাধিকারের ব্যাপারে নারীকে অধিক দিতে হবে। কিন্তু আমি তা বলি না । বলিঃ পুরুষ দ্বিগুণ পাবে। অনুরূপভাবে, রােযা অপেক্ষা নামায উত্তম। যুক্তির ভিত্তিতে কথা বললে বলতামঃ ঋতুমতী মেয়েলােকের নামাযের কাযা জরুরী। কিন্তু তা বলি না ; বরং বলিঃ তার ওপর রােযার কাযা জরুরী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু হানিফা রাঃ এঁর এ বক্তব্য শুনে হযরত ইমাম বাকের রাঃ অভিভূত হলেন এবং উঠে এসে কপালে চুমু দিয়ে দোয়া করলেন ও যতদিন ইচ্ছা তাঁর কাছে থাকতে অনুমতি দিলেন। ১১৪ হিজরীতে তাঁর ইন্তিকাল হয় । তাঁর পুত্র হযরত ইমাম জাফর সাদিক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন । ইমাম আবূ হানিফা রাঃ এঁর সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। আহলে বাইত সম্পর্কে ইমাম আ'যম বলতেন যে , হাদীস ও ফিক্‌হ তথা যাবতীয় মাযহাবী ইলম আহলে বাইতের বিদ্যালয় থেকে নিঃসৃত। (আল ফিকহুল আকবরঃ পৃষ্ঠা ১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবূ হানিফা রহঃ বলেন, ইমাম জাফর সাদিক রাঃ এঁর মত ফকিহ বা জ্ঞানী আমি কখনো দেখিনি। (ইবনে আদী রহঃ আল কামিল, ১/২৩২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হ্যা, এভাবেই প্রিয় নবী ﷺ এঁর বংশধরগণ সারা পৃথিবীতে ইসলামের নূর, ইলমের নূর ছড়িয়ে গেছেন, যাচ্ছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এটা বুঝতে এত বেশি বেগ পেতে হবে না। আল্লাহর বন্ধু তথা আউলিয়ায়ে কেরামের নাম বলতে বললে যাঁদের নাম খুব তাড়াতাড়িই স্মরণে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গাউসুল আজম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রাঃ এবং সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ মঈনুদ্দিন চিশতী রাঃ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই মহান দুই সুফি-সাধকের মধ্যে রয়েছে অদ্ভুত এক মিল। ইঁনারা দু'জনেই পিতা ও মাতা উভয় দিক থেকেই প্রিয় নবী ﷺ এঁর পরিবারবর্গ তথা আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত। এই মহান দু'জন সুফি সাধক-ই বিশ্বব্যপী প্রসিদ্ধ দুই তরিকা যথাক্রমে ক্বাদেরীয়া ও চিশতীয়া তরিকার মহান ইমাম। ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করতে, ইসলামের সুঘ্রাণকে পৃথিবীব্যপী ছড়িয়ে দিতে এ দু'জনের অবদান অনস্বীকার্য। আর তাদের এই কাজের সুবিধার্থে মহান আল্লাহ পাক তাদের উভয়কেই দিয়েছেন অসংখ্য কারামত-ক্ষমতা-হেকমত। এভাবে শুধু উনারা নন, যাঁর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা জুলুমপূর্ণ পৃথিবীকে ইনসাফে পরিপূর্ণ করবেন তিনি অর্থাৎ ইমাম মাহদী আঃ ও আহলে বাইত তথা প্রিয় নবী ﷺ এঁর বংশধরের অন্তর্ভুক্ত হবেন। আল্লাহু আকবার !! এগুলো বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর ঐ বাণীর কতই না সুন্দর প্রতিফলন!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(বিদায় হজ্জে মক্কা ও মদীনার মাঝামাঝি গাদিরে খুম নামক স্থানে দাঁড়িয়ে) রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তোমাদের কাছে আমি এমন (দুটি) জিনিস রেখে যাচ্ছি যা তোমরা শক্তরূপে আঁকড়ে ধরলে আমার পরে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তার একটি অন্যটির তুলনায় বেশি মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণঃ (একটি হল) আল্লাহ তা'আলার কিতাব যা আকাশ হতে মাটি পর্যন্ত দীর্ঘ এক রশি এবং (অন্যটি) আমার আহলে বাইত। এ দুটি কখনও বিচ্ছিন্ন হবে না কাউসার নামক ঝর্ণায় আমার সঙ্গে একত্রিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষ্য রেখ আমার পরে উভয়ের সঙ্গে কিভাবে আচরণ কর। (সূনান আত তিরমিজী ৩৭৮৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাওলা আলী আঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ মাহ্দী (আ.) আমাদের আহলে বাইত থেকে হবে। আল্লাহ তা‘আলা তাকে এক রাতে খিলাফতের যোগ্য করবেন। (সূনানে ইবনে মাজাহ ৪০৮৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব রা. বলেন, আমরা উম্মু সালামাহ (রাঃ) এর নিকট বসা ছিলাম। আমরা পরস্পর মাহ্দী (রা.) সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছিঃ মাহ্দী ফাতেমা আঃ এঁর বংশধর। (সূনানে ইবনে মাজাহ ৪০৮৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রসঙ্গত, প্রিয় নবী ﷺ এঁর বংশধর, সৌদি আরবের সম্মানিত স্কলার, শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আলাভী আল মালেকী আল মক্কী (রহঃ) এঁর নামোও উল্লেখ করা যায় যিনি দীর্ঘ ৩২ বছর যাবৎ হেরেম শরীফে দরস প্রদান করেন। ইনি ২০০৪ সালে ওফাতবরণ করেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div><div style="text-align: justify;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjbe3yIkSmsJpmbAdYakrlg61wdTv0nsdBTChDXprQK3H_xd1J1pR_SKD2OY-EulExNLdTWchClQMUY9kLOPNxUv_iZM0CK3SO6pcFXl_u16q0W1PWU_NhkzCo_6hT7onbnil8l33w1f5Hq/s1600/Screenshot_20210317_112617.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1647" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjbe3yIkSmsJpmbAdYakrlg61wdTv0nsdBTChDXprQK3H_xd1J1pR_SKD2OY-EulExNLdTWchClQMUY9kLOPNxUv_iZM0CK3SO6pcFXl_u16q0W1PWU_NhkzCo_6hT7onbnil8l33w1f5Hq/s1600-rw/Screenshot_20210317_112617.jpg" width="209"></a></div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের বাইরেও যারা খেদমত করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুজন হলেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhuBNGHtbCLzN4uWf1fVXyEzTMWL1nSTXqHxmfBS23zyjWh6tUgYTiRyQP8g4qiE23Erin_i3-1mvm8dCCbIjV7R0uPZg-_wL3FtocvhNoHduRVCkbVS3Ix__tntpFf0qW6uzQONfpdFoiQ/s1600/images+-+2021-03-17T111805.939.jpeg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhuBNGHtbCLzN4uWf1fVXyEzTMWL1nSTXqHxmfBS23zyjWh6tUgYTiRyQP8g4qiE23Erin_i3-1mvm8dCCbIjV7R0uPZg-_wL3FtocvhNoHduRVCkbVS3Ix__tntpFf0qW6uzQONfpdFoiQ/s1600-rw/images+-+2021-03-17T111805.939.jpeg" width="320"></a></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div style="text-align: justify;">Alhabib Ali Al Jifri الحبيب علي الجفري </div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div><div style="text-align: justify;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiizNqx4tAlFItCeOp8qHG9CVDVG_kmA6riQnGomSf_AAaK1l6K4QT6Rqqf_8ZfLRbKUcM8FjgElxhtIZITkkxMDBaH3qNPP9LUlK7taPzsNoeVZ0uD_ULfuqH5pNnwemH7R9QLvcVlaihi/s1600/images+-+2021-03-17T111914.742.jpeg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="431" data-original-width="602" height="229" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiizNqx4tAlFItCeOp8qHG9CVDVG_kmA6riQnGomSf_AAaK1l6K4QT6Rqqf_8ZfLRbKUcM8FjgElxhtIZITkkxMDBaH3qNPP9LUlK7taPzsNoeVZ0uD_ULfuqH5pNnwemH7R9QLvcVlaihi/s1600-rw/images+-+2021-03-17T111914.742.jpeg" width="320"></a></div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div><div style="text-align: justify;"> الحبيب عمر بن حفيظ - Habib Omar </div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে মৃত্যু অবধি কুরআন-সুন্নাহ-আহলে বাইত, সাহাবা ও সুফিয়ায়ে কেরামের রশি আঁকড়ে ধরে থেকে পথভ্রষ্টতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার তাওফিক দান করুক।</div>

যাবতীয় মাযহাবী ইলম আহলে বাইত থেকে নিঃসৃত।

হাদিস ও ফিকহ তথা যাবতীয় মাযহাবী ইলম আহলে বাইতের বিদ্যালয় থেকে নিঃসৃত। (ইমাম আবূ হানিফা)  হাদিস শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে সফরকালে, আবূ হানি...

Read more »

উটের মূত্র কেন আর কারা পান করেছিল?

<div style="text-align: justify;">উটের মূত্র পান হারাম হওয়া সত্ত্বেও ঐ লোকদেরকে কেন সেই মূত্র পান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন..!!</div><div style="text-align: justify;">----</div><div style="text-align: justify;">একদল লোক (আটজন) রাসূলূল্লাহ্ ﷺ এঁর কাছে এল। তারা তাঁর হাতে ইসলামের বায়‘আত গ্রহণ করল। কিন্তু সে এলাকার আবহাওয়া তাদের অনুকূলে হল না এবং তারা অসুস্থ হয়ে পড়ল। তারা রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এঁর কাছে এর অভিযোগ করল। তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা কি আমার রাখালের সঙ্গে তার উটপালের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও মূত্র পান করবে না? তারা বলল, হ্যাঁ। তারপর তারা সেখানে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও মূত্র পান করল। ফলে তারা সুস্থ হয়ে গেল। </div><div style="text-align: justify;">(সহিহ বুখারী ৬৮৯৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এভাবে তো আরো অনেক ঘটনা পাওয়া যায় যে, সাহাবায়ে কেরাম অসুস্থতার অভিযোগ নিয়ে তাঁর কাছে আসতেন কিংবা তাঁর ওফাতের পর তাঁর ব্যবহৃত জুব্বা বা তাঁর চুল মুবারককে শিফার উসিলা হিসেবে ব্যবহার করতেন যেভাবে আমরা ওষুধকে ব্যবহার করি। কিন্তু উপরিউক্ত ঘটনা ছাড়া রাসূলুল্লাহ্ ﷺ কখনো এমন নিকৃষ্ট হারাম জিনিস পান করার অনুমোদন দিয়েছেন এমন কোন ঘটনা কি পেয়েছেন?? আসুন কয়েকটি ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইবনে আবূ ‘উবায়দ (র.) বলেন, আমি সালামাহ (ইবনে আকওয়া) (রাঃ)-এঁর পায়ের নলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আবূ মুসলিম! এ আঘাতটি কিসের? তিনি বললেন, এ আঘাত আমি খাইবার যুদ্ধে পেয়েছিলাম। লোকজন বলাবলি করল, সালামাহ মারা যাবে। আমি নবী ﷺ-এঁর কাছে আসলাম। তিনি ক্ষতটিতে তিনবার ফুঁ দিলেন। ফলে আজ পর্যন্ত এসে কোন ব্যথা অনুভব করিনি। </div><div style="text-align: justify;">(সহীহ বুখারী ৪২০৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(খাইবারের যুদ্ধের সময়) রাসূলূল্লাহ্ ﷺ বলেন, আমি আগামীকাল এমন এক ব্যক্তিকে পতাকা দিব যাঁর হাতে আল্লাহ্ বিজয় দান করবেন [সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ পাক রাসূলে পাককে ভবিষ্যতের বিষয়গুলো সম্পর্কেও অবগত করেছেন। এজন্যই তো, রাসূলুল্লাহ ﷺ একদিন ফজর হতে মাগরিব পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নামাজসমূহ আদায়ের পরপর মিম্বরে আরোহণ করে খুতবা (বর্ণনা) দিতে থাকেন। এ ভাষণে তিনি পূর্বে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে সব জানিয়ে দেন। (সহীহ মুসলিম ৭১৫৯) তিনি ﷺ সৃষ্টির সূচনা সম্পর্কে জ্ঞাত করলেন। অবশেষে তিনি জান্নাতবাসী ও জাহান্নাম বাসীর নিজ নিজ নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করার কথাও উল্লেখ করলেন। যাদের স্মরণশক্তি ভাল ছিল, তারা এগুলো স্মরণ রাখতে পেরেছেন, বাকিরা ভুলে গিয়েছেন। (সহীহ বুখারী ৩১৯২)]। রাবী বলেন, তারা এই আগ্রহ ভরে রাত্রি যাপন করলেন যে, কাকে এ পতাকা দেয়া হবে। যখন ভোর হল তখন সকলেই রাসূলূল্লাহ্ ﷺ এঁর নিকট গিয়ে উপস্থিত হলেন। তাদের প্রত্যেকেই এ আশা করছিলেন যে পতাকা তাকে দেয়া হবে। অতঃপর তিনি বললেন, ‘আলী ইবনু আবূ তালিব কোথায়? তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলূল্লাহ্ ﷺ তিনি চক্ষু রোগে আক্রান্ত। তিনি বললেন, কাউকে পাঠিয়ে তাকে আমার নিকট নিয়ে এস। যখন তিনি এলেন, তখন রাসুল ﷺ তাঁর দু’চোখে থুথু লাগিয়ে দিলেন এবং তাঁর জন্য দু‘আও করলেন। এতে তিনি এমন সুস্থ হয়ে গেলেন যেন তাঁর চোখে কোন রোগই ছিল না। রাসূল ﷺ তাঁকে পতাকাটি দিলেন। (সহিহ বুখারী ৩৭০১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক অন্ধ সাহাবী নবী ﷺ এঁর নিকট এসে আরজ করলেন, আপনি আল্লাহ্‌র কাছে আমার জন্য দুআ করুন। তিনি যেন আমাকে রোগমুক্তি দান করেন। তিনি বলেনঃ তুমি চাইলে আমি তোমার জন্য দুআ করতে বিলম্ব করবো, আর তা হবে কল্যাণকর। আর তুমি চাইলে আমি দুআ করবো। সে বললো, তাঁর নিকট দুআ করুন। তিনি তাকে উত্তমরূপে উযূ করার পর দু রাকআত নামাজ পড়ে এ দুআ করতে বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, রহমতের নবী মুহাম্মাদ ﷺ এঁর উসিলা দিয়ে, আমি তোমার প্রতি মুতাওয়াজ্জু হচ্ছি/ মনোনিবেশ করলাম। ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ! আমার চাহিদা পূরণের জন্য আমি আপনার উসীলা দিয়ে আমার রবের প্রতি মনযোগী/ মুতাওয়াজ্জু হলাম যাতে আমার প্রয়োজন মিটে। হে আল্লাহ্! আমার জন্য তাঁর সুপারিশ কবূল করো। (অতঃপর তার অন্ধত্ব দূর হয়। বর্তমানে এর উপর আমল করতে চাইলে, "ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ" এর স্থলে "ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ" বলতে বলা হয়েছে) (সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৫, সুনান আত তিরমিযি ৩৫৭৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (র.) বলেন, আমাকে আমার পরিবারের লোকেরা এক পেয়ালা পানিসহ উম্মু সালামাহ্‌র কাছে পাঠাল। (উম্মু সালামাহ্‌ রা. কাছে রক্ষিত) একটি পানির পাত্র হতে (আনাসের পুত্র) ইসরাঈল তিনটি আঙ্গুল দিয়ে কিছু পানি তুলে নিল। ঐ পাত্রের মধ্যে নবী ﷺ এঁর কয়েকটি চুল ছিল। কারো চোখ লাগলে কিংবা কোন রোগ দেখা দিলে, উম্মু সালামাহ্‌র নিকট হতে পানি আনার জন্য একটি পাত্র পাঠিয়ে দিত। আমি সে পাত্রের মধ্যে একবার তাকালাম, দেখলাম লাল রং-এর কয়েকটি চুল। </div><div style="text-align: justify;">(সহিহ বুখারী ৫৮৯৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আসমা (রাঃ) এঁর নিকট রাসুলুল্লাহ ﷺ এঁর ব্যবহৃত জুব্বা ছিল। তিনি বলেন, এটি আয়িশা (রা.) এঁর ওফাতের পূর্ব পর্যন্ত তাঁর কাছেই ছিল। তাঁর ওফাতের পর আমি এটি নিয়েছি। নবী ﷺ এটি পরিধান করতেন। তাই আমরা রোগীদের শেফা হাসিলের জন্য এটি ধৌত করি এবং সে পানি তাদের কে পান করিয়ে থাকি। (সহীহ মুসলিম ৫৩০২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কোন ক্ষেত্রেই তো শিফার উসিলা হিসেবে মূত্রের মত হারাম কিছু ব্যবহৃত হয়নি। কিন্তু হ্যা, প্রিয় নবী ﷺ যুবায়র (রাঃ) ও ‘আবদুর রহমান (রাঃ)-কে তাদের চর্মরোগের বা শরীরে চুলকানীর কারণে রেশমী কাপড় পরিধান করার অনুমতি প্রদান করেছিলেন। (সহীহ বুখারী ৫৮৩৯, ২৯১৯) অথচ রেশমি কাপড় পরিধান করা পুরুষদের জন্য হারাম। কেননা একবার প্রিয় নবী ﷺ ডান হাতে রেশম ও বাম হাতে স্বর্ণ নিয়ে বলেনঃ এ দু’টি জিনিস আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম। (সূনান আবূ দাউদ ৪০৫৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হারাম হওয়া সত্ত্বেও উপরিউক্ত পরিস্থিতিতে মূত্র পানের অনুমোদন এবং রেশমি কাপড় ব্যবহারের অনুমোদন রাসূলুল্লাহ ﷺ দিয়েছিলেন বলেই তারা ব্যবহার করতে পেরেছিলেন। আল্লাহ পাক বলেন, "আর রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।" (সূরা হাশরঃ ৭) তিনি কখনো মনগড়া কথা বলেন না। তা তো ওহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। (সূরা নাজম ৩-৪) এছাড়াও তিনি নির্দেশ দিলে সেটায় শরীয়ত হয়ে যায়। যেমনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যদি আমি মু’মিনদের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদের অবশ্যই ‘ইশার নামাজ বিলম্বে আদায় করার এবং প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (সূনান আবূ দাউদ ৪৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কিন্তু হারাম হওয়া সত্ত্বেও উপরিউক্ত পরিস্থিতিতে মূত্র পানের অনুমোদন এবং রেশমি কাপড় ব্যবহারের অনুমোদন রাসূলুল্লাহ ﷺ দিয়েছিলেন বলে এখন কারো চর্মরোগ হলেই সে রেশমি কাপড় পরিধান করতে পারবে না কিংবা উটের মূত্র পান করতে পারবে না (মূত্র পান করা হারাম)। সেগুলো ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর বিশেষ নির্দেশ এবং বর্তমানে রোগমুক্তির জন্য অনেক হালাল ওষুধের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু একান্ত নিরুপায় হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে হুকুম ভিন্ন। যেমন আল্লাহ পাক বলেন, "তোমাদের জন্য যা হারাম করা হয়েছে তা তোমাদের জন্য বিশদভাবে বলে দেয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও।" (সূরা আনআমঃ ১১৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবার পূর্বের জায়গায় ফিরে আসলাম। কেন রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তাদেরকে এমন নিকৃষ্ট হারাম- মূত্র পান করতে বললেন?? কারণ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এর মধ্যেই তাদের রোগের শিফা রেখেছিলেন এবং আল্লাহ'র দয়ায় রাসূলে পাক ﷺ এঁরও তা জানা ছিল। মনের ভেতর থেকে প্রশ্ন আসে, এমন নিকৃষ্ট জিনিসের মধ্যেই বা কেন তাদের রোগের শিফা রাখলেন?? উত্তর আসে, তারা যে, মুনাফিক ছিল এবং পরবর্তীতে যে, তারা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করবে সেটা তো আল্লাহ পাকের জানাই ছিল এবং আমার আকীদা এটাও যে, মহান আল্লাহ পাকের দয়ায় তাঁর প্রিয় হাবিব ﷺও এই বিষয়ে অবহিত ছিলেন। কেননা মহান আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবিবকে মানুষের অন্তরের খবর জানারও ক্ষমতা দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তোমরা কি মনে কর যে, আমার দৃষ্টি (কেবল) ক্বিবলার দিকে? আল্লাহর কসম! আমার নিকট তোমাদের খুশু’ (অন্তরের বিনয়/ নামাজের একাগ্রতা) ও রুকূ’ কিছুই গোপন থাকে না। অবশ্যই আমি আমার পেছন হতেও তোমাদের দেখতে পাই।(সহীহ বুখারী ৪১৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাদের মুনাফেকী বা মুরতাদ হওয়ার স্বরূপ এই যে, উটের দুধ এবং মূত্র খেয়ে সুস্থ হওয়ার পর তারা রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এঁর রাখালকে (নির্মমভাবে) হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে চলল। এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এঁর কাছে পৌঁছলে তিনি তাদের পেছনে ধাওয়া করার জন্য লোক পাঠালেন। তারা ধরা পড়ল এবং তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হল। তাদের হাত-পা কাটা হল, লৌহশলাকা দিয়ে তাদের চোখ ফুঁড়ে দেয়া হল। এরপর তপ্ত রোদে তাদেরকে ফেলে রাখা হল। অবশেষে তারা মারা গেল। </div><div style="text-align: justify;">(সহিহ বুখারী ৬৮৯৯) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দলটিকে কঠিন শাস্তি দেয়া হয়েছিল কারণ তারা ছিল ধর্মত্যাগী (মুরতাদ), হত্যাকারী, ডাকাত, খিয়ানতকারী। প্রশ্ন হতে পারে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি জেনে থাকেন যে, তারা মুনাফিক ছিল তাহলে তাদেরকে প্রথমেই কেন হত্যা করলেন না!! আমার উত্তর হবে, খারেজীদের পূর্বপুরুষ যুল খুওয়াইসিরা যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর শানে বেয়াদবী করে তার মুনাফেকী প্রকাশ করে দিল, তখন হযরত উমর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আমাকে অনুমতি দিন আমি এ মুনাফিকটাকে হত্যা করি। তিনি ﷺ বললেন, আল্লাহর পানাহ, এতে লোকেরা রটাবে যে, আমি আমার সঙ্গীদের হত্যা করছি। আর এ ব্যক্তি ও তার সাথীরা কুরআন পাঠ করবে- কিন্তু তাদের এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা কুরআন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। </div><div style="text-align: justify;">(সহিহ মুসলিম ২৩৩৯) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কোন একটা হাদিস কিংবা ঘটনা দিয়েই একটা পুরো বিষয়কে বিবেচনা করা/ ঐ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া উচিৎ নয় বরং ঐ বিষয়ে কুরআন হাদিসের সকল বর্ণনা বিবেচনা করেই এবং অত্র বিষয়ের ব্যাখ্যায় ফোকাহায়ে কেরাম/ ইমামগণ কি বলেছেন সেগুলো বিবেচনা করেই পুরো বিষয়টাকে মূল্যায়ন করতে হবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তায়ালা আমার ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা করুক। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ ই অধিক অবগত আছেন।</div>

উটের মূত্র কেন আর কারা পান করেছিল?

উটের মূত্র পান হারাম হওয়া সত্ত্বেও ঐ লোকদেরকে কেন সেই মূত্র পান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন..!! ---- একদল লোক (আটজন) রাসূলূল্লাহ্ ﷺ এঁর কাছে এল। ...

Read more »

প্রশ্নঃ আল্লাহ কি উসীলা ছাড়া সাহায্য করতে সক্ষম নন?

<p dir="ltr" style="text-align: justify;"></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><p dir="ltr">✍ প্রশ্নঃ আল্লাহ কি উসীলা ছাড়া সাহায্য করতে সক্ষম নন? তাহলে আপনাকে কেন উসীলা গ্রহণ করতে হচ্ছে? সাজিদ হাসান</p> <p dir="ltr">✍ উত্তরদাতাঃ মাসুম বিল্লাহ সানি, এডমিন- ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিস। <a href="http://bit.ly/Islam-pedia">bit.ly/Islam-pedia</a> </p> <p dir="ltr">উত্তরঃ মাশাআল্লাহ সুন্দর প্রশ্ন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে। অবশ্যই আল্লাহ পাক সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। জানতে হবে উসীলা অর্থ কি? (এর মানে হল মাধ্যম গ্রহণ করা)। যেমন আমার উসীলায় (মাধ্যমে) আপনি জবাব পাচ্ছেন।</p> <p dir="ltr">● তিনিই সর্বশক্তিমান আল্লাহ যিনি হযরত আদম-হাওয়া (আ.) কে সরাসরি উসীলা (বা মাধ্যম) ছাড়া (মা-বাবা ছাড়া) দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। <br /> ● তিনিই আবার মা-বাবার উসীলায় আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন আর কিয়ামত পর্যন্ত মানব সম্প্রদায়কে মা-বাবার উসীলায় পাঠাবেন। <br /> ➡️ সুতরাং উসীলা ছাড়া আপনার জন্মও হয় নি।</p> <p dir="ltr">● তিনিই সর্বশক্তিমান আল্লাহ যিনি হযরত মূসা (আ.) এর সম্প্রদায়কে আসমান থেকে খাদ্য প্রেরণ করেছিলেন। <br /> ● আবার মানুষের অর্থ-শ্রমের উসীলায় দুনিয়াতে খাবারের আবাদ করেছেন। খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষক-জমিন-ফ্যাক্টরী উসীলা। আল্লাহ পাক তকদীর অনুযায়ী বন্টন করেছেন রিজিক। (মূলত তিনিই সবকিছুর প্রকৃত দাতা, সকল দাতার দাতা। স্রষ্টা দাতার সাথে সৃষ্ট দাতার কোন তুলনা হয় না।) <br /> ➡️ সুতরাং উসীলা ছাড়া আপনার জন্য আসমান থেকে খাদ্যও আসে না।<br /> <br /> ● আপনার বাঁচার জন্য খাবার-অক্সিজেন উসীলা।<br /> ● আপনার চলার জন্য পা উসীলা।<br /> ● খাবার মুখে তোলে দেয়ার জন্য হাত উসীলা।<br /> ● দেখার জন্য চোখ (দৃষ্টিশক্তি) উসীলা।<br /> ● শোনার জন্য কান (শ্রবণশক্তি) উসীলা।<br /> ● চিন্তাশক্তির জন্য মস্তিষ্ক উসীলা।<br /> ● লালন পালন, ভরণ-পোষণের জন্য বাবা-মা উসীলা। <br /> ● দেহ আবৃত করার জন্য কাপড় উসীলা।<br /> ● গরম থেকে বাঁচার জন্য ফ্যান উসীলা। <br /> ● শীত থেকে বাঁচার জন্য কম্বল উসীলা।<br /> ➡️ সুতরাং, উসীলা ছাড়া আপনার বাঁচা impossible </p> <p dir="ltr">● রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উসীলায় আমরা দ্বীন ইসলাম পেয়েছি।<br /> ● জিব্রাইল (আ.) এর উসীলায় কুরআন নাজিল হয়েছে।<br /> ● কুরআন-হাদিসের উসীলায় জীবন বিধান পেয়েছি।<br /> ● ওলী-আউলিয়ার উসীলায় এদেশে দ্বীনের দাওয়াত পেয়েছি।<br /> ➡️ সুতরাং, উসীলা ছাড়া আপনি মুসলমানও হন নি।</p> <p dir="ltr">এক কথা আপনার আপাদমস্তক জুড়ে উসীলায় শৃঙ্খলে আবদ্ধ আছেন। কারণ দয়াময় আল্লাহ উসীলার মাধ্যমে আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাও যদি বলেন আমি উসীলা মানি না তবে আপনাকে আমার আর কিছু বলার নেই। যেসব মোল্লাদের কথায় বেহুদা লাফালাফি করছেন ইমান নিয়ে মনে হয় না মরতে পারবেন। কারণ এটা কতটা হাস্যকর যদি কেউ বলে আমি জানি আমি শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছি কিন্তু অক্সিজেন বলতে কিছু আছে বলে আমি মানি না। এসব ABCD জ্ঞান যাদের নেই তারা এসে তর্ক করে উসীলা শিরক। আরে ভাই উসীলা শিরক হলে পৃথিবীতে কোন মুসলমান খুঁজে পাবেন না।</p> <p dir="ltr">➡️ লক্ষ্য করুণ দুটি আয়াতঃ আপনি কি কুরআনের আয়াত দুটিকে মুখোমুখি সাংঘর্ষিক করে তুলবেন নাকি বলবেন দুইটাই মানি। </p> <p dir="ltr">● "আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। (সূরা ফাতিহা)<br /> ● "তোমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভে উসীলা অন্বেষণ কর। (সূরা মায়েদা ৩৫)<br /> ● বিস্তারিত আয়াত দেখুনঃ<br />  5:35 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيلَةَ وَجَاهِدُوا فِي سَبِيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ<br /> উচ্চারণঃ ইয়া "আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুত্ তাক্বুল্লা-হা অব্তাগূও ইলাইহিল্ 🕋অসীলাতা🕋 অজ্বা-হিদূ ফী সাবীলিহী লা‘আল্লাকুম্ তুফ্লিহূন্। </p> <p dir="ltr">অনুবাদ : হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং তার নৈকট্য লাভের জন্য উসীলা তালাশ কর, আর তাঁর রাস্তায় জিহাদ কর, যাতে তোমরা সফল হও। (সূরা মায়েদা ৫.৩৫)<br /> ➡️ আল-কুরআনের একটি শব্দ (অসীলাতা) অস্বীকার করার ক্ষমতা/ স্পর্ধা কোন মুমিন মুসলমানের থাকতে পারে না। </p> <p dir="ltr">চোখ থাকলে দেখে আর মন থাকলে বুঝে, হেদায়েত থাকলে ইমান নসীব হয়। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে হেফাযত করুন। আমিন</p></div></div> <script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-4764538538908287" crossorigin="anonymous"></script> <!-- ahlussunnah-bd_main-top-slide3_AdSense3_728x90_as --> <ins class="adsbygoogle" style="display:inline-block;width:728px;height:90px" data-ad-client="ca-pub-4764538538908287" data-ad-slot="7076608965"></ins> <script> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); </script>

প্রশ্নঃ আল্লাহ কি উসীলা ছাড়া সাহায্য করতে সক্ষম নন?

✍ প্রশ্নঃ আল্লাহ কি উসীলা ছাড়া সাহায্য করতে সক্ষম নন? তাহলে আপনাকে কেন উসীলা গ্রহণ করতে হচ্ছে? সাজিদ হাসান ✍ উত্তরদাতাঃ মাসুম বিল্লাহ সানি,...

Read more »