ইমামে আজম আবূ হানিফা রাঃ এঁর মর্যাদা

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgND1DQE23M7Td8OcGbLyyLdrEjBNHp03_0wmhj8iUEaGWxwmI_tIr_go4RsZYiVieKwMtw26Ej7XgBkxChu4Bo8Kd7oH_UQzxfw0J3S8Az9k0tzS6bTNysvGuED4FBDNFzXorzgFfCzZf2/s1600/images+-+2021-03-16T230116.933.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="415" data-original-width="739" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgND1DQE23M7Td8OcGbLyyLdrEjBNHp03_0wmhj8iUEaGWxwmI_tIr_go4RsZYiVieKwMtw26Ej7XgBkxChu4Bo8Kd7oH_UQzxfw0J3S8Az9k0tzS6bTNysvGuED4FBDNFzXorzgFfCzZf2/s1600-rw/images+-+2021-03-16T230116.933.jpeg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>আজ ২রা শাবান। ১৫০ হিজরির এই দিনে কারারুদ্ধ অবস্থায় বিষপানে ইমামে আজম আবূ হানিফা (নূমান ইবনে সাবিত) রাঃ কে হত্যা করা হয়। তিনি প্রতিষ্ঠিত হক্ব চার মাজহাবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুসরণকারী হানাফি মাজহাবের মহান ইমামই নন বরং তিনি একজন তাবেঈও বটে অর্থাৎ তিনি তাদের সাক্ষাৎ পেয়েছেন যাঁরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাক্ষাৎ পেয়ে ধন্য হয়েছেন। </div><div><br></div><div>ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত ফিকহুল আকবরের শুরুতে রয়েছে, উনার উস্তাদদের মধ্যে ৭ জন ছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাহাবা এবং ৯৩ জন তাবেঈন। </div><div><br></div><div>শুধু তা-ই নয়, হাদিস শিক্ষার জন্য তিনি বিভিন্ন দেশে সফরকালে, যখন মক্কা থেকে মদীনা আসেন তখন প্রিয় নবী ﷺ বংশের প্রদীপ সায়্যিদুনা ইমাম বাকের রাঃ এঁরও সাহচর্য পান। ১১৪ হিজরিতে ইমাম বাকের রাঃ এঁর ওফাতের পর উনার পুত্র, নবী বংশের অন্য এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সায়্যিদুনা ইমাম জাফর সাদেক রাঃ এঁর সাহচর্যে থেকে ইলম হাসিল করতে থাকেন। আহলে বাইত সম্পর্কে ইমামে আজম আবূ হানিফা রহঃ বলতেন যে, হাদিস ও ফিকহের তথা যাবতীয় মাজহাবী ইলম আহলে বাইতের বিদ্যালয় থেকে নিঃসৃত। ইমাম আবূ হানিফা বলেন, ইমাম জাফর সাদিক রাঃ এঁর মত ফকিহ বা বুদ্ধিমান আমি কখনো দেখিনি। </div><div><br></div><div>এছাড়াও ইমাম আবূ হানিফা রহঃ কুফার ইমাম শা'বী রহঃ এঁর নিকট থেকে হাদিসের দরস নেন, যিনি পাঁচ শতাধিক সাহাবীকে দেখেছিলেন। তিনি বসরার হযরত কাতাদা রাঃ এর দরসে হাজির হন এবং হযরত শু'বা রাঃ এঁর দরসেও যোগ দেন যাঁকে হাদিস শাস্ত্রে আমীরুল মুমিনীন বলা হয়। তিনি আবূ হানিফা রহঃ সম্পর্কে বলেন, আবূ হানিফা ও ইলম দুই বস্তু নয়। (আল ফিকহুল আকবর ইফাঃ, পৃষ্ঠা ১৩-১৪)</div><div><br></div><div>ইবনে কাছীর ‘ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে , ইমাম শাফিঈ রহঃ বলেনঃ “যে কেউ ফিকহ জানতে ইচ্ছা করে, সে আবু হানীফা রাঃ এঁর মুখাপেক্ষী।" (১০/১০৭ )</div><div><br></div><div>শুধুমাত্র ইলমের জগতেই তাঁর আধিপত্য ছিল এমন নয়। উনার জীবন ছিল আমলেও পরিপূর্ণ। </div><div><br></div><div>খলীফা হারুন অর রশীদ একবার ইমাম আবু ইউসূফ রহঃ কে ইমাম আবূ হানীফা রহঃ সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তিনি বলেনঃ ইমাম আবু হানীফা রাঃ ছিলেন একজন মহান চরিত্রের অধিকারী সম্মানিত ব্যক্তি। দুনিয়াদারদের থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতেন এবং পার্থিব যশ ও গৌরব তুচ্ছ জ্ঞান করতেন। খুব বড় আলিম ছিলেন। সম্পদের ন্যায় জ্ঞান বিতরণে ছিলেন উদার। ইমাম সাহেব প্রত্যহ ফজরের নামাযের পর দীর্ঘক্ষণ তিলাওয়াতে কুরআন ও নির্ধারিত অযীফা আদায় করতেন। তারপর আগন্তুকদের প্রশ্নের জবাব দিতেন। যােহরের নামাযের পর ঘরে যেতেন । দুপুরের আহারের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতেন । আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত লােকদের সঙ্গে দেখা - সাক্ষাৎ করতেন ও ব্যবসায় সংক্রান্ত বিষয়াদি তদারক করতেন । মাগরিবের পর থেকে এশা পর্যন্ত দরস দিতেন । এশার পর প্রায়ই মসজিদে থাকতেন এবং ফজর পর্যন্ত তাহাজ্জুদ ও অন্যান্য অযীফা আদায় করতেন । তিনি ছিলেন অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের মানুষ। কারাে দুঃখ - বেদনায় তিনি ব্যাকুল হয়ে পড়তেন। সাধ্যানুযায়ী মানুষের সাহায্য করতেন । বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতেন । তিলাওয়াতের সময় তার চোখ থাকত অশ্রুসিক্ত । নামাযে কিংবা নামাযের বাইরে যখনই আযাবের অথবা ধমকের কোন আয়াত তিলাওয়াত করা হতাে তখন তাঁর ওপর এমন প্রভাব করতাে যে , তিনি কাঁপতে থাকতেন ও চোখ দিয়ে অশ্রু বিগলিত হতো। (আল ফিকহুল আকবর ইফা:, ১৬ পৃষ্ঠা)</div><div><br></div><div>তিনি জীবনে কখনাে নিজের শ্রদ্ধেয় উস্তাদ হযরত সায়্যিদুনা ইমাম হাম্মাদ রাঃ এঁর সম্মানিত ঘরের দিকে পা প্রসারিত করে ঘুমাননি । অথচ তাঁর ঘর ও তাঁর সম্মানিত উস্তাদপর ঘরের মধ্যে প্রায় সাতটি গলির ব্যবধান ছিল। (এমনকি উনার একমাত্র পুত্রের নামও রাখেন হাম্মাদ) (আল খায়রাতুল হিসান ৮২ পৃষ্ঠা)</div><div><br></div><div>ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ বলেন : ইমাম আযম রাঃ রমজান মাসে ঈদের দিন সহ ৬২ বার কুরআন খতম আদায় করতেন । (দিনে এক খতম , রাতে এক খতম , তারাবীহতে সারা মাসে এক খতম , ঈদের দিনে এক খতম )। তিনি প্রচুর সম্পদ দান করতেন। ইলম শিক্ষাদানে খুবই ধৈৰ্যশীল ছিলেন । নিজের সম্পর্কে কৃত সমালােচনা । কেবল শুনে থাকতেন ; একটুও রাগ করতেন না। তিনি বিরতিহীন (রোজা রাখার হারাম দিনগুলো ব্যতিত) ত্রিশ বছর ধরে রােজা রেখেছেন। ত্রিশ বছর যাবৎ এক রাকাত নামাযে সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদ খতম করতে থাকেন । চল্লিশ (বা ৪৫) বছর পর্যন্ত ইশার ওযু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছেন। যে স্থানে তাঁর ওফাত হয় সেই স্থানে তিনি সাত হাজার বার কুরআন পাক খতম করেছেন। </div><div>(আল খায়রাতুল হিসান , পৃষ্ঠা- ৫০)</div><div><br></div><div>এখন আবার অনেকের মনে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হতে পারে এত এত ইবাদত, এত কম সময়ে এত বেশি কুরআন খতম কি করে করতেন!! হ্যা, এগুলো সাধারণদের পক্ষে সম্ভব নয়, আল্লাহওয়ালা তথা আল্লাহর বন্ধু বা আউলিয়ারা এমন হয়। বুখারীর হাদিসে কুদসীতে রয়েছে, সকল ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালা বলেন,</div><div><br></div><div>"যে ব্যক্তি আমার কোন অলি বা বন্ধুর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারাই কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই.... সে যদি আমার কাছে কোন কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি।..</div><div><br></div><div>হযরত মাওলা আলী রাঃ ঘোড়ার উপর আরোহন করার সময় এক রিকাবে পা রাখতেন তখন কুরআন তিলাওয়াত শুরু করতেন আর অপর রিকাবে কদম রাখার আগে আগে সম্পূর্ণ কুরআন খতম করে নিতেন। (শাওয়াহেদুন নবুওয়াত, পৃষ্ঠা ২১২)</div><div><br></div><div>রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, দাউদ (‘আঃ) এঁর জন্য কুরআন (যাবুর) তেলাওয়াত সহজ করে দেয়া হয়েছিল। তিনি তাঁর পশুযানে গদি বাঁধার আদেশ করতেন, তখন তার উপর গদি বাঁধা হতো। অতঃপর তাঁর পশুযানের উপর গদি বাঁধার পূর্বেই তিনি যাবুর তিলাওয়াত করে শেষ করে ফেলতেন। তিনি নিজ হাতে উপার্জন করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। (সহিহ বুখারী ৩৪১৭)</div><div><br></div><div>এমনকি ভন্ড আহলে হাদিসদের এপ্স আল হাদিস, বাংলা হাদিস এবং hadithbd ওয়েবসাইটের সুনান আত তিরমিজির ২৯৪৬ নং হাদিসের ফুটনোটে রয়েছে, হযরত উসমান (রাঃ) বিতরের শেষ রাকাআতে সম্পূর্ণ কুরআন শেষ করতেন। সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) কা'বা শরীফে এক রাকাআতে সম্পূর্ণ কুরআন শেষ করেছেন।</div><div><br></div><div>হ্যাঁ, এভাবেই আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দাদের অসংখ্য ক্ষমতা (মু'জিযা ও কারামত) দিয়ে থাকেন এবং আর তা-ই তো মুনাফিকরা নবীজির জ্ঞান সমালোচনা করলে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় আমাদের নবী ﷺ ফজর হতে মাগরিব পর্যন্ত নামাজসমূহ আদায়ের পরপর মিম্বরে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির সূচনা থেকে পূর্বে যা ঘটেছে, ভবিষ্যতে যা ঘটবে, এমনকি জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীর নিজ স্থানে প্রবেশের কথাও জানিয়ে দেন। (সহীহ মুসলিম ৭১৫৯, সহীহ বুখারী ৩১৯২, সুনান আবূ দাউদ ৪২৪০)। এছাড়াও প্রিয় নবী ﷺ বলেনঃ আমি ‘জাওয়ামিউল কালিম (ব্যাপক অর্থবহ সংক্ষিপ্ত কথা) সহ প্রেরিত হয়েছি এবং আমাকে প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। (অর্থাৎ তিনি এমন সংক্ষিপ্ত কথা বলতেন যা শব্দ বা উচ্চারণের দিক থেকে হত অল্প কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক) (সহীহ বুখারী ৭২৭৩)</div><div><br></div><div>১৫০ হিজরির ২ রা শাবান শাহাদাতের অমৃত সুধা পানের মাধ্যমে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। কিন্তু আজও পুরো মুসলিম বিশ্ব তার রেখে যাওয়া অবদানগুলোর দ্বারা উপকৃত হচ্ছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত উপকৃত হতে থাকবে। শুধু তা-ই নয়, উনি আল্লাহ তায়ালার এমন নৈকট্য হাসিল করেছেন যে, পূর্ববর্তী বুজুর্গগণও উনার মাজার জিয়ারত করে উনার উসিলায় বরকত হাসিল করতেন।</div><div><br></div><div>ইমাম শাফেঈ রহঃ বলেন, "নিশ্চয়ই আমি ইমাম আবু হানিফা রহঃ হতে বরকত হাসিল করি। যখন আমার কোন সমস্যা দেখা দেয় তখন আমি উনার মাজার শরীফে এসে প্রথমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি। অতঃপর উনার উসীলা দিয়ে আল্লাহ পাকের নিকট সমস্যা সমাধানের জন্য প্রার্থনা করি। তা অতি তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যায়। [ফতোয়ায়ে শামী, মুকাদ্দিমা ১ম খন্ড ৫৫ পৃষ্ঠা। তারিখে বাগদাদ,১ম খন্ড, পৃঃ ১২৩। রুদ্দুল মুখতার, ১ম খন্ড,পৃঃ৩৮]</div><div><br></div><div>ইমাম ইবনে হাজর মক্কী (রহঃ) লিখেন, উলামা ও যাদের প্রয়োজন তাঁদের মধ্যে এই আচার সবসময়ই চালু ছিল যে তাঁরা ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এঁর মাজারে যেতেন এবং নিজেদের অসুবিধা দূর করার জন্যে তাঁর মাধ্যমে দোয়া করতেন। এ সকল ব্যক্তি এটাকে সাফল্য লাভের একটা উসিলা মনে করতেন এবং এর অনুশীলন দ্বারা বড় ধরনের পুরস্কার লাভ করতেন। বাগদাদে থাকাকালীন সব সময়েই ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) ইমাম আবু হানিফা (রহ:)-এর মাজারে যেতেন এবং তাঁর কাছে আশীর্বাদ তালাশ করতেন। যখন আমার (ইমাম ইবনে হাজর রহঃ) কোনো প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন আমি দু’রাকাত নামাজ আদায় করে তাঁর মাযারে যাই এবং তাঁর ওসীলায় দোয়া করি। ফলে আমার অসুবিধা তক্ষণি দূর হয়ে যায়। [খায়রাত আল্ হিসান, ১৬৬ পৃষ্ঠা]</div><div><br></div><div>আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এ মহান ইমামের উসিলায় আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিক। আমাদেরকে সহজ সরল সঠিক পথের উপর দায়েম ও কায়েম রাখুক।</div>

ইমামে আজম আবূ হানিফা রাঃ এঁর মর্যাদা

আজ ২রা শাবান। ১৫০ হিজরির এই দিনে কারারুদ্ধ অবস্থায় বিষপানে ইমামে আজম আবূ হানিফা (নূমান ইবনে সাবিত) রাঃ কে হত্যা করা হয়। তিনি প্রতিষ্ঠিত হক্ব...

Read more »

প্রথম দেখাতেই ভালোবাসা!

<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjInvoCKrIK5rBVq_ekcSnBMQzYi10UlgOn4_QomL1SC0hvlS80b-8aYJdUjkfsVyYY8uYOeRTw8x-B9wxz1axScLQeeqLyjQDH7OCOxWJ-sQFla1SOQvu75J2PuqviCrHYCpWE2F7eCcA/s2048/InShot_20210316_224110388.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1155" data-original-width="2048" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjInvoCKrIK5rBVq_ekcSnBMQzYi10UlgOn4_QomL1SC0hvlS80b-8aYJdUjkfsVyYY8uYOeRTw8x-B9wxz1axScLQeeqLyjQDH7OCOxWJ-sQFla1SOQvu75J2PuqviCrHYCpWE2F7eCcA/s320-rw/InShot_20210316_224110388.jpg" width="320" /></a></div><br /><p></p><p>প্রথম দেখাতেই ভালোবাসা! আধুনিক প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের কাছে একটি খুব প্রচলিত রোমান্টিক বাক্য।</p><p>কিভাবে এর থেকে বাঁচবেন? এর থেকে বাঁচার উপায় হলো দৃষ্টিকে নিচু করে ফেলা। এটা কুরআনের ট্রিটমেন্ট। রাব্বে কারীম বলেন, "মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।" [১]</p><p>একটু ভাবতে বসুন। আপনি যে জিনিসটার আকাঙ্খা করছেন সেটা কি আপনার রবের নিকটবর্তী করবে? নাকি আপনাকে আপনার দয়াময় রব থেকে দূরে নিয়ে যাবে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। তবে রব তায়ালা বান্দাকে নিরাশ করেন না। সেই প্রিয় জিনিসটি পাওয়ার একটা হালাল ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।</p><p>শুধু প্রয়োজন আপনার ধৈর্য এবং সেই পদ্ধতির ব্যবহার। ইউসুফ আ. এর ভাইয়েরা তাদের বাবার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য খুবই গর্হিত কাজ করেছিল। তার ফল কি হয়েছে সেটা তো জানেন। রব ও অসন্তুষ্ট হলেন আর তাদের বাবাও। হিতে বিপরীত হয়ে গেল।</p><p>ঠিক তদ্রূপ নিজের কোনো চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে রবের দেয়া সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার চেষ্টা করবেন না। হিতে বিপরীত আপনার ক্ষেত্রেও হতে পারে। তার চেয়ে বরং রব যেটা তাকদীরে রেখেছেন সেটার জন্য অপেক্ষা করুন। সন্তুষ্ট থাকুন। ইনশাআল্লাহ রব আপনাকে খুশি করে দিবেন।</p><p>রেফারেন্সঃ</p><p>[১] সূরা নূর, আয়াত নং- ৩০।</p><p><br /></p><p>জাজাকাল্লাহু খাইরান</p><p>স্বাধীন আহমেদ </p>

প্রথম দেখাতেই ভালোবাসা!

  প্রথম দেখাতেই ভালোবাসা! আধুনিক প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের কাছে একটি খুব প্রচলিত রোমান্টিক বাক্য। কিভাবে এর থেকে বাঁচবেন? এর থেকে বাঁচার উপায় ...

Read more »

অনলাইনে বই কিনুন

<div style="text-align: justify;"><div><b><span style="color: red; font-size: medium;">দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে আপনার পছন্দের বইটি অনলাইনে অর্ডার করতে নিচের লিংকগুলোতে যোগাযোগ করুনঃ</span></b></div><div><b><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiP-FYpBj6Pz3niKB5P32-kRHJxDzBRVHRFcH3Qt0ObEqJAADShzAY6rXjHtHw91iDRR-WCzdqsgr1ZIlaTOaZpehGJU25Cc1mwbUlpO-j2rZaSxHmmE-QWZ-spkVWKfbTJYD2WyYH04O4/s500/images+-+2021-03-19T130315.756.jpeg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="Online Book library, Online Book shop, online Sunni book,অনলাইন সুন্নী বই," border="0" data-original-height="327" data-original-width="500" height="209" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiP-FYpBj6Pz3niKB5P32-kRHJxDzBRVHRFcH3Qt0ObEqJAADShzAY6rXjHtHw91iDRR-WCzdqsgr1ZIlaTOaZpehGJU25Cc1mwbUlpO-j2rZaSxHmmE-QWZ-spkVWKfbTJYD2WyYH04O4/w320-h209-rw/images+-+2021-03-19T130315.756.jpeg" title="Online Book library, Online Book shop, online Sunni book, অনলাইন সুন্নী বই," width="320" /></a></div></b></div><div style="text-align: left;"><div style="background-color: white; border: 0px; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><div class="entry-content clr" itemprop="text" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px 0px 20px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><div class="elementor elementor-3656 elementor-bc-flex-widget" data-elementor-id="3656" data-elementor-settings="[]" data-elementor-type="post" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><div class="elementor-inner" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><div class="elementor-section-wrap" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><section class="elementor-element elementor-element-4d7ea513 elementor-section-boxed elementor-section-height-default elementor-section-height-default elementor-section elementor-top-section" data-element_type="section" data-id="4d7ea513" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><div class="elementor-container elementor-column-gap-default" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: flex; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px auto; max-width: 1140px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><div class="elementor-row" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: flex; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 353.688px;"><div class="elementor-element elementor-element-20070d30 elementor-column elementor-col-100 elementor-top-column" data-element_type="column" data-id="20070d30" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: flex; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; min-height: 1px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 353.688px;"><div class="elementor-column-wrap elementor-element-populated" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: flex; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 10px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 353.688px;"><div class="elementor-widget-wrap" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 333.688px;"><div class="elementor-element elementor-element-7cfc6130 elementor-position-left elementor-vertical-align-middle elementor-widget elementor-widget-image-box" data-element_type="widget" data-id="7cfc6130" data-widget_type="image-box.default" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 333.688px; z-index: 0;"><div class="elementor-widget-container" style="border: 0px; box-shadow: rgba(0, 0, 0, 0.5) 0px 0px 16px 3px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; transition: all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s; vertical-align: baseline;"><div class="elementor-image-box-wrapper" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-align: center; vertical-align: baseline;"><p style="text-align: left;"></p><ul style="text-align: left;"><li><b><span style="font-size: medium;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/03/blog-post_463.html" target="_blank">সাকলাইন প্রকাশন</a></span></b></li><li><b><a href="https://www.facebook.com/m.kutubkhana.official/" target="_blank"><span style="font-size: medium;">মুহাম্মদী কুতুবখানা</span></a></b></li><li><b><span style="font-size: medium;"><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2020/01/blog-post_482.html" target="_blank">সঞ্জরী পাব্লিকেশন</a></span></b></li><li><span style="font-size: medium;"><b><a href="http://book.iqbalstore.net/#" target="_blank">মাকতুবাতুল মদীনা</a></b></span></li><li><span style="font-size: medium;"><b><span><a href="https://ipipasa.com/" target="_blank">আইপিপাসা সাইট</a> </span></b><b><span>or <a href="https://www.facebook.com/ipipasa/" target="_blank">আইপিপাসা ফেইসবুক</a></span></b></span></li><li><b><span style="font-size: medium;"><a href="https://www.facebook.com/bookishbd24/" target="_blank">BookishBd24</a></span></b></li><li><b><span style="font-size: medium;"><a href="https://nazatbookshop.com/" target="_blank">নাজাত বুক শপ</a></span></b></li><li><b><span style="font-size: medium;"><a href="https://www.facebook.com/BookShopDhaka/" target="_blank">Book shop</a></span></b></li><li><a href="https://www.facebook.com/kanjul.iman.3" target="_blank"><span style="font-size: medium;"><b>অনলাইন বই বিতান</b></span></a></li><li><span style="font-size: medium;"><b><a href="https://www.facebook.com/sunniboisomvar/" target="_blank">বই সম্ভার Facebook</a> or <a href="https://sunnibookshop.wordpress.com/" target="_blank">Website</a></b></span></li><li><span style="font-size: medium;"><b><a href="https://www.facebook.com/maktabatekaderia8" target="_blank">মাকতাবাতে কাদেরিয়া মুহাম্মদপুর</a></b></span></li></ul></div></div></div></div></div></div></div></div></section></div></div></div></div></div></div></div>

অনলাইনে বই কিনুন

দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে আপনার পছন্দের বইটি অনলাইনে অর্ডার করতে নিচের লিংকগুলোতে যোগাযোগ করুনঃ সাকলাইন প্রকাশন মুহাম্মদী কুতুবখানা সঞ্জরী পা...

Read more »

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে নিয়ে কটুক্তিকারীর বিধান মৃত্যুদণ্ড হবে না কেন?

<div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কটুক্তিকারীর মৃত্যূদন্ডের বিধান রেখে আইন করা হবেনা কেন?<br></div><div style="text-align: justify;">-মো.শওকত হোসেন চৌধুরী রিপন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনি নির্দিষ্ট কোন দলের বা রাষ্ট্রের নয়,তিনি সমস্ত সৃষ্টিকুলের নবী।যাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে সকল সৃষ্টির জন্য রহমত হিসেবে।মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা আল-ইমরান,৩১ নং আয়াতে বলছেন, হে নবী! বলুন,তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাসো তবে আমাকে অনুসরণ করো।আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন।আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল,পরমদয়ালু।হাদিসে-কুদসী তে আল্লাহ বলেন, হে মুহাম্মদ! যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম কস্মিনকালেও আকাশমণ্ডলী পৃথিবী কিছুই সৃষ্টি করতাম না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে যার গুণগান করেছেন।অথর্ববেদ উপনিষদে উল্লেখ আছে ‘আল্লাহ রসল্ল মুহাম্মদরঃকং বরস্য অল্ল অল্লাম।ইল্ললোতি ইল্ললা’’।অর্থাৎ মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নাই।বেদ এ আরো বলে, 'লা-ইলাহা' বললে সমস্ত পাপ মাফ হয়।'ইলল্লাহ' বললে প্রচুর সম্মানের অধিকারি হয়।যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করতে চাও তবে মুহাম্মদের নাম জপ কর।জেন্দাবেস্তার দয়ালনবী সম্পর্কে বলেন, হে সাদী! মনে করিও না পবিত্রতার পথে মোস্তফার পশ্চাৎ অনুসরন ব্যতিরেকে গমন করিতে পারিবে।</div><div style="text-align: justify;">বুদ্ধধর্ম প্রণেতা বুদ্ধদেব বলেছেন, আমি একমাত্র বুদ্ধ বা শেষ বুদ্ধ নই।যথাসময়ে আর একজন বুদ্ধ আসিবেন-আমার চেয়েও তিনি পবিত্র ও আলোকপ্রাপ্ত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মুসলিম,হিন্দু,বুদ্ধ,খ্রিষ্টান যে যেই ধর্মের হোক না কেন যদি তারা নিজ ধর্ম মানে তাহলে মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর শ্রেষ্ঠত্বও মানতে হবে।আর যারা ধর্ম মানেনা নাস্তিক তারাও বিবেকের সামনে দাঁড়িয়ে যদি সত্য বলার সাহস থাকে তাহলে দ্বিধাহীন চিত্তে মেনে নিতে হবে মোস্তফা(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর শ্রেষ্ঠত্ব।এজন্যই যুগে যুগে বিশ্বমনীষীরা আমার নবীর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা দিয়ে গেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয়নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর জীবনী লিখতে গিয়ে খ্রিস্টান লেখক উইলিয়াম মুর বলেছেন “He was the mater mind not only of his own age but of all ages”অর্থাৎ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)যে যুগে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন তাকে শুধু সে যুগেরই একজন মনীষী বলা হবে না, বরং তিনি ছিলেন সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেন, বিধাতার তরপ থেকে মানুষের কল্যানের জন্য যদি কোন মহামানব এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে থাকে সেই মহামানবের নাম মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), যদি কেউ বলে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)বিধাতার প্রেরিত রাসূল/মহামানব নয়, তবে আমি হরপ্রসাদ শাস্তী বলছি বিধাতার তরপ থেকে মানুষের কল্যানের জন্য কোন মহামানব কোনদিন পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়নি।</div><div style="text-align: justify;">ড. রাম নারায়ন শাস্তী বলেন ভারতের অধপতিত হিন্দু সমাজে ইসলাম এসেছে আলোর দীপ্তি নিয়ে, ইসলাম যদি ভারতবর্ষে না আসত ভারতের অধপতিত হিন্দু সমাজে মানুষগুলো কোনদিন মানুষ হতে পারত না।(আর এই ইসলাম আল্লাহ পরিপূর্ণ করেছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শে।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ফরাসী লেখক আলফ্রেড দে লা মার্টিন তাঁর তুর্কীর ইতিহাসে গর্বভরে লিখেছেন-উদ্দেশ্যের মহত্ত্ব,উপায় উপকরণের স্বল্পতা এবং বিস্ময়কর সফলতা- যদি এই তিনটি বিষয়ই মানব প্রতিভার মানদণ্ড হয় তা হলে ইতিহাসের জন্য কোন মহামানবকে এনে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর সাথে তুলনা করবে এমন সাহস কার আছে?</div><div style="text-align: justify;">শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর জীবনাদর্শ সারা বিশ্বের নিকট আজ অত্যন্ত মূল্যবান।সমস্ত শ্রেণীর মানুষেরই উচিত তাঁর আদর্শকে অনুসরণ করা।তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংঘাতময় বিশ্বে মুহাম্মদের গুণে গুণানীত হয়ে কোন মহা পুরুষ যদি জন্ম লাভ করে আমি হিন্দু হওয়ার পরেও দ্বিধাহীন চিত্তে একথা বলতে পারি এ বিশ্বে কোন সংঘাত থাকবেনা।</div><div style="text-align: justify;">জর্জ বার্নাডশ বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি সমগ্র বৃটিশ সাম্রাজ্য এই শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই সংস্কারকৃত মুহাম্মদবাদ গ্রহণ করবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এভাবেই দয়ালনবীর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়ে গেছেন নেপোলিয়ান,হিন্দুধর্ম প্রণেতা মনু,রাজা রামমোহন রায়,স্বামী বিবেকানন্দ,গোকুলচন্দ্র গোস্বামী,গুরু নানক,মহামতি কার্লাইল,হিট্টি,লিউনার্ড,ডি জি হোগারথ,এইচ জি ওয়েলস,এম এন রায়,প্রফেসর ভেম্কট রত্নম,ঐতিহাসিক ড্রেপার,প্রফেসর ল্যা মারটিন,খ্রীষ্টান সন্ন্যাসী বহিরা,ভারতীয় ঐতিহাসিক ডঃতারাচাঁদ সহ অসংখ্য মনীষী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মানুষের মহত্ত্ব মাপার যতগুলো মাপকাঠি আছে তা দিয়ে মাপলে কোন লোক যার চেয়ে মহৎ হতে পারবেনা,সেই দয়ালনবীকে অপমান করা মানে সারা মানবজাতিকে অপমান করা । সেই নবীকে কুটক্তি করা মানে বিশ্ব বিবেকের মুখে লাথি মারা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি রাষ্ট্রপ্রধানকে কটুক্তি করলে ১২৪(ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনে মামলা হয়, যাবৎজীবন জেল হয়।তাহলে ৯০% মুসলমানের এই দেশে মুসলমানদের জানের জান আমাদের ঈমান, সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে অবমাননাকারীর ফাঁসি হবেনা কেন?হাদিসে পাকে আছে, দয়াল নবী বলেন, “তোমরা কেউ ততক্ষন পর্যন্ত পূর্ণ মুমিন হবেনা যতক্ষণ তোমাদের সকল প্রিয়বস্তু এমন কি তোমাদের জীবনের চেয়েও আমি নবীর ভালবাসা বেশি হবেনা”।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীর প্রেম হচ্ছে ঈমানের পূর্বশর্ত।আর আমরা সামান্য দুনিয়ার সম্পদ ও ক্ষমতার জন্য,কিছু ইহুদীর বাচ্চাকে খুশি করার জন্য হাবীবুল্লাহ নবীর শানে বেয়াদবী সহ্য করি।আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যথার্থ বলেছেন-</div><div style="text-align: justify;"> রাসুলের অপমানে যদি </div><div style="text-align: justify;"> কাঁদেনা তোর মন,</div><div style="text-align: justify;"> মুসলিম নয় মুনাফিক তুই</div><div style="text-align: justify;"> রাসুলের দুশমন ।</div><div style="text-align: justify;">সুতরাং আর কালবিলম্ব না করে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ নবীর কটুক্তিকারিকে, ধর্মদ্রোহিতার দায়ে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে দ্রুত আইন পাস করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক, অন্যথায় বারবার কতিপয় উগ্র ধর্মদ্রোহী মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে, সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সমপ্রীতি বিনষ্টের স্পর্ধা প্রদর্শন করবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">লেখক-</div><div style="text-align: justify;">মো.শওকত হোসেন চৌধুরী রিপন</div><div style="text-align: justify;">চন্দনাইশ , চট্টগ্রাম।</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে নিয়ে কটুক্তিকারীর বিধান মৃত্যুদণ্ড হবে না কেন?

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কটুক্তিকারীর মৃত্যূদন্ডের বিধান রেখে আইন করা হবেনা কেন? -মো.শওকত হোসেন চৌধুরী রিপন মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা(সাল্...

Read more »

প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে

<div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কখন ও নীল,কখন ও মেঘাচ্ছন্ন!জ্বী আকাশের কথা বলছি।মেঘের মাধ্যমে পড়ে বৃষ্টি। তিনি চাইলে মাঝে মাঝে আগুন আর পাথর ও ফেলতে পারত।না!তিনি ফেলেন না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ভাবুন!আজকের দিনটা আপনার শেষ দিন।প্রতি সেকেন্ডে মালাকুত মওত আপনার দিকেই আসছে।আজ রাত ঠিক তিনটার দিকে আপনি মারা যাবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খুবই গভীরভাবে ভাবুন।অন্তরের দরজা খুলুন, বিবেককে থাপ্পর দিয়ে জাগ্রত করুন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মৃত্যুর পর আপনাকে কারা দেখতে আসবে,কারা আপনার বিদায়ের কথা শুনে হাসবে আর কারা করবে কান্না,কারা আপনাকে দেখবেনা ভয়ে,ছুইবেও না!ছুইলেও ঘষে-মেজে হাত ধুয়ে ফেলবে,কারা আপনার ইশক্বে জ্ঞান হারাবে আর কারা মেজবানের প্রহর গুনবে,কারা পড়াবে কাপণ আর কারা দিবে গোসল,কারা নিয়ে যাবে কাঁধে করে কবর পর্যন্ত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ভাবতে থাকুন কাদের কষ্ট দিয়েছেন,হক্ব র‍য়ে গেছে,ঋণ পাওনা আছে,গীবত-চোগলখোরী করেছেন।কাদের থেকে রয়েছে ক্ষমা চাওয়া বাকি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চক্ষু সমূহ বন্ধ করে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবুন; কারা আপনাকে মাটি চাপা দিয়ে অন্ধকারের মধ্যে একা রেখে চলে আসবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্ধকারের মধ্যে আপনার কি অবস্থা হবে?সুখে থাকবেন,নাকি শোকে?নিজের আমলের ফলাফল বের করুন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আপনি যদি তিনটার দিকে মারা যান,তার পূর্বে আপনার কি করা উচিত?যা করার তা দ্রুত করে ফেলুন।কেননা আপনি সত্যিই জানেন না যে,আপনি রাত তিনটা পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন কিনা!রাত তিনটায় বা তার পূর্বে মালাকুল মওতের সাথে আপনার সাক্ষাত হয়ে যেতেও পারে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আখিরাতের জগতে গিয়ে আফসোস না করে,মালিকের সামনে ধরা দেন।সিজদায় পড়ে যান।নয়ন দিয়ে বৃষ্টি ঝড়ান।সাচ্চা তাওবা করুন।মৃত্যুর ফেরেশতার সাথে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত হোন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">-নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তওবাহকারী এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">-‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">-শাহরিয়ার নয়ন।</div></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div><div id="m#msg-f:1694286538717670679" class="mail-message expanded" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><div class="mail-message-footer spacer collapsible" style="height: 0px;"></div></div></div>

প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে

কখন ও নীল,কখন ও মেঘাচ্ছন্ন!জ্বী আকাশের কথা বলছি।মেঘের মাধ্যমে পড়ে বৃষ্টি। তিনি চাইলে মাঝে মাঝে আগুন আর পাথর ও ফেলতে পারত।না!তিনি ফেলেন না। ভ...

Read more »