বাতিল ফেরকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রিয় নবী ﷺ এঁর ভবিষ্যদ্বাণী

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhojk_LD69hKvKH9DCoyqoekeZs9Gt3IEQgRPcaslQ1RrelOJbpRMlVCfMkhO9cWUen_rpxjXCfaaSqdjWQXakie_JefUIs580-TSdXSMe3mlp5wBJpE8RNtouBU4SH7rjeN6NxIopqou1f/s1600/IMG_20210315_174215.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="431" data-original-width="1080" height="127" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhojk_LD69hKvKH9DCoyqoekeZs9Gt3IEQgRPcaslQ1RrelOJbpRMlVCfMkhO9cWUen_rpxjXCfaaSqdjWQXakie_JefUIs580-TSdXSMe3mlp5wBJpE8RNtouBU4SH7rjeN6NxIopqou1f/s1600-rw/IMG_20210315_174215.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই তাঁর কসম! আল্লাহর কিতাবে এমন কোন সূরা নেই যা নাযিল হওয়ার জায়গা সম্পর্কে আমার অজানা, এরূপ কোন আয়াত নেই যার নাযিল হওয়ার স্পষ্ট কারণ আমার অজানা। যদি আমি এমন কোন লোককে জানতাম যিনি আমার তুলনায় অধিক কুরআন জানেন এবং তার নিকট উট যেতে পারে, তবে আমি তার নিকট যাওয়ার জন্য উটে আরোহণ করতাম। (সহীহ মুসলিম ৬২২৭)</div><div><br></div><div>ইনি হচ্ছেন সেই আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) যাঁর কাছ থেকে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ কুরআন শিক্ষা নিতে বলেছিলেন। (সহীহ মুসলিম ৬২২৯)</div><div><br></div><div>আর আমাদের সমাজে কিছু নির্বোধ আছে যারা কুরআনের আয়াতের শানে নুযূল না দেখে, তাফসীর না পড়ে, শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ করে, এগুলোর মাধ্যমে দলিল পেশ করতে থাকে, দু'একটা আয়াত আর হাদিস পড়েই মুজতাহিদ সেজে বসে আছে, ফতোয়াবাজি করে। কুরআনের কিছু কিছু আয়াত বা আয়াতের হুকুম যে রহিত হতে পারে এ বিষয়েও তারা অজ্ঞ, এরা কাফের মুশরিকদের উপর নাযিলকৃত আয়াতও মুসলমানদের উপর প্রয়োগ করে। হ্যা, কিছু আয়াত আছে যেগুলো সাধারণ (উভয়ের জন্য প্রযোজ্য)। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখা যায় যে, ওরা যেসব আয়াত পেশ করে সেগুলো স্পষ্টতই দেব-দেবী-মুর্তিদের সম্পর্কে নাযিলকৃত যেমনঃ এসব মুর্তিরা যে, শাফায়াত করতে পারবে না এ বিষয়ক। ইমাম বুখারী রহঃ উল্লেখ করেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) এদেরকে (খারেজীদেরকে) নিকৃষ্ট সৃষ্টি বলেছেন যারা কাফেরদের উপর নাযিলকৃত আয়াত মুসলমানদের উপর প্রয়োগ করত। (সহিহ বুখারী ৬৯৩০) </div><div><br></div><div>ঐসব নির্বোধদের দেখলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার প্রিয় হাবীব ﷺ এঁর সুন্দর সুন্দর বাণীগুলো খুব মনে পড়ে-</div><div><br></div><div>ইমাম তিরমিজি রহঃ ও ইমাম ইবনে মাজাহ রহঃ মারিকা অর্থাৎ খারিজীদের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন,</div><div><br></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ শেষ যুগে আবির্ভাব ঘটবে এক সম্প্রদায়ের, যারা বয়সে হবে নবীন, বুদ্ধিতে অপরিপক্ক ও নির্বোধ হবে। তারা কুরআন তিলাওয়াত করবে কিন্তু তা তাদের গলার নীচের হাড়ও অতিক্রম করবে না। তারা সৃষ্টির সেরা মানুষের কথাই বলবে, কিন্তু তারা এমনভাবে ধর্ম হতে বেরিয়ে যাবে, যেমনভাবে তীর ধনুক হতে বেরিয়ে যায়। (সূনান আত তিরমিজী ২১৮৮, সুনান ইবনে মাজাহ ১৬৮)</div><div><br></div><div>ইমাম বুখারী রহঃ বর্ণনা করেন-</div><div><br></div><div>হযরত আলী (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, শেষ যামানায় এমন একদল মানুষের আবির্ভাব হবে, যারা হবে কমবয়স্ক এবং যাদের বুদ্ধি হবে স্বল্প। ভাল ভাল কথা বলবে, কিন্তু তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান গলার নীচে পৌঁছবে না। (সহিহ বুখারী ৩৬১১, ৫০৫৭, ৬৯৩০)</div><div><br></div><div>এই খারেজীদের পূর্বপুরুষ প্রকাশ পেয়েছিল প্রিয় নবী ﷺ এঁর সময়ে তাঁর শানে বেয়াদবীর মাধ্যমে। অতঃপর সে এমনভাবে অভিশপ্ত হল যে, তার বংশধর-সঙ্গী-সাথী-অনুসারীরা উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক ইবাদাতকারী হিসেবে বিরাজ করেও জাহান্নামের কুকুর বলে অভিহিত হয়েছে এবং এ কুকুরগুলো সর্বাবস্থায় বিরাজ থাকার কথা এবং শেষে ঐ অভিশপ্ত দাজ্জালের সাথে মিলিত হবে বলেও বলেছেন। ইমাম নাসাঈ রহঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তারা সর্বাবস্থায় আবির্ভূত হতে থাকবে। পরিশেষে তাদের সর্বশেষ দলটি বের হবে মাসীহে দাজ্জাল-এর সাথে। (নাসাঈ ৪১০৩, মিশকাত ৩৫৫৩) সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফে "খারেজীর আলোচনা" নামক পরিচ্ছেদের ১৭৪ নং হাদিস শরীফেও এসেছে, এই খারেজীদের মধ্যে থেকেই দাজ্জাল আবির্ভূত হবে। এদের বৈশিষ্ঠ্য বর্ণনা করতে গিয়ে ইমাম বুখারী রহঃ আরো বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,</div><div><br></div><div>তাদের নামাজের তুলনায় নিজের নামাজ এবং রোজা নগণ্য বলে মনে করবে (তাদের ‘আমলের তুলনায় তোমাদের ‘আমলকে তুচ্ছ মনে করবে)। এরা কুরআন পাঠ করে, কিন্তু কুরআন তাদের কন্ঠনালীর নীচে প্রবেশ করে না। তারা দ্বীন হতে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক হতে বেরিয়ে যায়। তীরের অগ্রভাগের লোহা দেখা যাবে কিন্তু কোন চিহ্ন পাওয়া যাবে না।... (সহীহ বুখারী ৩৬১০, ৫০৫৮....)</div><div><br></div><div>বিদআতী ৭২ বাতিল ফেরকার মধ্যে খারেজীদের থেকেই কয়েকটা দলের অাবির্ভাব হবে। উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যাবলী ছাড়াও এদের আরো একটি আলামত বর্ণিত হয়েছে, সেটা হল মাথা মুন্ডানো (মাথা নেড়াওয়ালা গোষ্ঠী)। (সুনান আবূ দাউদ ৪৭৬৫)</div><div><br></div><div>এছাড়াও বাতিল ফেরকার অনুসারীদের আরো একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা মুতাশাবিহাত (অস্পষ্ট) আয়াতসমূহ দিয়ে দলিল পেশ করার চেষ্টা করে। </div><div><br></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ কুরআন পাঁচটি বিষয়সহ নাযিল হয়েছেঃ (১) হালাল (২) হারাম (৩) মুহ্‌কাম (৪) মুতাশাবিহ ও (৫) আমসাল (উপদেশপূর্ণ ঘটনা)। সুতরাং তোমরা হালালকে হালাল জানবে, হারামকে হারাম মনে করবে। মুহকামের উপর ‘আমল করবে, মুতাশাবিহের সাথে ঈমান পোষণ করবে। আর আমসাল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। [মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৮২]</div><div><br></div><div>মুতাশাবিহাত আয়াতের ক্ষেত্রে হুকুম হচ্ছে -</div><div><br></div><div>আম্মাজান আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এ আয়াত (সূরা আলে ইমরানঃ ৭) এর বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে প্রশ্ন করা হলঃ (আয়াতটি)</div><div><br></div><div>"তিনিই আপনার উপর এমন কিতাব নাযিল করেছেন, যার কতিপয় আয়াত মৌলিক-সুস্পষ্ট অর্থবোধক (মুহকামাত), এগুলো হল কিতাবের মূল আর অন্যগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয় (মুতাশাবিহাত, রুপক); কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা গোলযোগ (ফিতনা) সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে উক্ত আয়াতগুলোর অনুসরণ করে যেগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মূলত; এর সঠিক ব্যাখ্যা আল্লাহ'র-ই জানা আছে (আল্লাহ কাউকে জানালে শুধুমাত্র তিনি জানতে পারেন)। যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে যে, আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, এ সবকিছুই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে এসেছে, মূলতঃ জ্ঞানবান ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই নসীহত গ্রহণ করে না।"</div><div><br></div><div>(জবাবে) রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তোমরা কুরআনের মুতাশাবিহ আয়াতসমূহের অনুসারীদের দেখলে অনুধাবন করে নিবে যে, আল্লাহ তা'আলা এদেরই নামোল্লেখ করেছেন। কাজেই তোমরা তাদের পরিহার করবে। (সাবধান থাকবে) (সূনান তিরমিজী ২৯৯৪, সহীহ বুখারী ৪৫৪৭)</div><div><br></div><div>সূনান আত তিরমিজীর ২৯৯৩ এ রয়েছে, অধঃস্তন এক বর্ণনাকারীর বর্ণনায় আছেঃ তোমরা তাদের দেখলে চিনে রাখবে। তিনি দুই অথবা তিনবার এ কথা বলেছেন।</div><div><br></div><div>তাই আমরা অস্পষ্ট বা মুতাশাবিহাত আয়াতসমূহের পিছনে ছুটব না। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে পাকে স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, "তাঁর কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্ৰষ্টা (সূরা আশ-শুরাঃ ১১)"। তিনি অনাদিকাল থেকে আছেন, অনন্তকাল থাকবেন। তিনি স্থান-আকার-আকৃতি এসবের মুখাপেক্ষী নন, এসব থেকে মুক্ত (পবিত্র)। স্থান-আকার-আকৃতি এগুলো শুধুমাত্র সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য, স্রষ্টার নয়। ইমাম তাহাবী (রহঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালাকে মানবীয় গুণাবলী হতে কোন গুণের দ্বারা গুণান্বিত করবে সে কাফির।” (ইমাম তাহাবী, আকিদাতুত তাহাভী, ৪১ পৃষ্ঠা, আকিদা নং ৩৪)</div><div><br></div><div>ফলে অস্পষ্ট অর্থসমৃদ্ধ কিছু আয়াতকে অপব্যাখ্যা করে যারা আল্লাহ'র জন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, স্থান (আরশ) সাব্যস্থ করে, আমাদের উচিৎ তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখা এবং তাদের থেকে দূরে থাকা যাতে আমাদের ঈমান আমল হেফাজতে থাকে। এত সুন্দর করে কুরআন ও হাদিসে নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করার পরও যারা হক্ব-বাতিল অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করতে পারে না, তাদের জন্য শতকোটি আফসোস। হ্যা, এটা মনে রাখা উচিৎ ৭২ বাতিল ফেরকার সবাই চিরস্থায়ী জাহান্নামী নয়, কিন্তু যাদের আকীদায় কুফরী রয়েছে সেসব মুনাফিকরা চিরস্থায়ী জাহান্নামী। আমরা কাউকে ফতোয়া দিব না, আমাদের ইমামগণ যাদেরকে তাকফির করেছেন তাদেরকে ব্যতিত কিন্তু আমরা এসব বাতিল ফেরকার বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকব। আল্লাহ'র নির্দেশ অনুযায়ী সাদেকীন তথা সত্যবাদীদের সাথে থাকব।</div><div><br></div><div>আল্লাহ তায়ালা বলছেন, </div><div><br></div><div>"(হে নবী) আমি আপনার প্রতি নাযিল করেছি এক বরকতময় কিতাব, যাতে তারা এর আয়াতসমূহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বুদ্ধিমানগণ উপদেশ গ্রহণ করে।" (সূরা ছোয়াদঃ ২৯) "তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?" (সূরা মুহাম্মদঃ ২৪) "আর আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণ/ স্মরণ করার জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী/ স্মরণকারী আছে কি? (সূরা আল ক্বামারঃ ১৭,২২,৩২,৪০)</div>

বাতিল ফেরকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রিয় নবী ﷺ এঁর ভবিষ্যদ্বাণী

হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই তাঁর কসম! আল্লাহর কিতাবে এমন কোন সূরা নেই যা নাযিল হওয়ার জায়গা সম্পর্কে ...

Read more »

সর্বপ্রথম সৃষ্টি

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_ylNW0mMSOkK_pPFa-HXixcpspSxiTMUflwI6BzNlOlVaPyGpQ_gHtoZYzNkNPii4rvt7VAJVCZ65gKguVNWDMS77zu_wF7u6RTzSc7gB6ZKVqfPmPf9yG56lZ_GcmKpjj_F8My_CNQlN/s1600/FB_IMG_1615821718554.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="480" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_ylNW0mMSOkK_pPFa-HXixcpspSxiTMUflwI6BzNlOlVaPyGpQ_gHtoZYzNkNPii4rvt7VAJVCZ65gKguVNWDMS77zu_wF7u6RTzSc7gB6ZKVqfPmPf9yG56lZ_GcmKpjj_F8My_CNQlN/s1600-rw/FB_IMG_1615821718554.jpg" width="240"></a></div><br></div></div><div>অনেকেই দেখি লিখে এবং মনে করে যে, আমাদের নবী ﷺ ৪০ বছর বয়সে নবী হয়েছেন। কিন্তু এটা ভুল, বস্তুত ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রকাশ করেছেন। তিরমিজির সহিহ হাদিসে রয়েছে যে, উনার নব্যুয়ত তখনও নির্ধারিত ছিল যখন আদম (আঃ) তাঁর শরীর (দেহ) ও রুহের (আত্মা) মধ্যবর্তী ছিলেন। </div><div><br></div><div>সাহাবায়ে কেরাম যখন প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আপনার নবুওয়াত কখন অবধারিত হয়েছে (আপনি কখন থেকে নবী)? তিনি ﷺ বললেনঃ যখন আদম (আঃ) তাঁর শরীর (দেহ) ও রুহের (আত্মা) মধ্যবর্তী ছিলেন। (সূনান আত তিরমিজী ৩৬০৯, মুসতাদরেক হাকিম ৪২৬৫)</div><div><br></div><div>এছাড়াও অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তিনি ﷺ তখনও খ্বতামুন-নাব্যিয়িন ছিলেন যখন হযরত আদম আঃ মাটির খামীরার মধ্যে ছিলেন। (মুসনাদে আহমাদ ১৭১৫০, মুসতাদরেক হাকিম ৩৫৬৬, মুজামুল কাবীর ৬২৯, ইবনে হিব্বান ৬৪০৪, মিশকাত ৫৫১২)</div><div><br></div><div>জলিলুল কদর সাহাবী হযরত জাবির রা. যখন প্রিয় নবী ﷺ কে জিজ্ঞেস করেছিলেন আল্লাহ তায়া’লা সর্বপ্রথম কি সৃষ্টি করেছেন? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন, সর্বপ্রথম সৃষ্টি হল নবী ﷺ এঁর নূর মোবারক। (ইমাম বুখারী রহঃ এঁর দাদা ওস্তাদ, মুহাদ্দিস আব্দুর রাজ্জাক রহঃ, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং ১৮, দেওবন্দীদের ওস্তাদ আশরাফ আলী থানবী, নশরুত্ত্বীবঃ পৃষ্ঠা ২৫.....) </div><div><br></div><div>"আর আমি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম।"- এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে জালালাইনের হাশিয়াতে "রুহুল মা'আনী"র বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে- প্রথম মুসলমান হওয়া দ্বারা এদিকেও ইঙ্গিত হতে পারে যে, সৃষ্টিজগতের মাঝে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর নূর সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপর সমস্ত নভোমণ্ডল, ভূমন্ডল ও অন্যান্য সৃষ্টিজগৎ অস্তিত্ব লাভ করেছে। (কেননা) এক হাদিসে বলা হয়েছে- আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আমার (রাসূলুল্লাহ ﷺ'র) নূর সৃষ্টি করেছেন। (তাফসীরে জালালাইন (হাশিয়া), সূরা আনআম, আয়াত ১৬৩)</div><div><br></div><div>এছাড়াও </div><div><br></div><div>"(হে মাহবুব) আর স্মরণ করুন, যখন আমি নবীদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম এবং আপনার কাছ থেকেও। আর নূহ, ইব্রাহিম, মূসা, ও মারইয়াম পুত্র ঈসার কাছ থেকেও।" - এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে জালালাইনের হাশিয়াতে তাফসীরে মাযহারীর বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে সাধারণভাবে সমস্ত নবীগণের কথা উল্লেখের পর পাঁচজনের নাম আবার বিশেষভাবে এজন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, (কারণ) নবীকূলের মধ্যে তারা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদার অধিকারী। এদের মধ্যে রাসূলে মাকবুল ﷺ এঁর আবির্ভাব সকলের শেষে হয়ে থাকলেও "وَمِنكَ "(এবং আপনার থেকেও) শব্দের মাধ্যমে নবীজিকে সর্বাগ্রে উল্লেখ করা হয়েছে। যার কারণ হাদিসের মধ্যে এরুপ বর্ণনা করা হয়েছে - (রাসূলে মাকবুল ﷺ বলেন) আমি (নবীকূলের মাঝে) সৃষ্টিগতভাবে সকলের আগে, কিন্তু আবির্ভাবগতভাবে নবুয়্যত প্রকাশের দিক দিয়ে (প্রেরণের দিক দিয়ে) সকলের পরে। (তাফসীরে জালালাইন (হাশিয়া), সূরা আহযাব, আয়াত ৭)</div><div><br></div><div>আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ উল্লেখ করেন,</div><div><br></div><div>(সহিহ বুখারীর প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার) আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ বলেন, সর্ব প্রথম সৃষ্টি নিয়ে বর্ণনার ভিন্নতা রয়েছে তবে তার সারকথা যা আমি শরহু শামায়েলে তিরমিযিতে বর্ণনা করেছি তা হলো- সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো সেই নূর, যা থেকে নবীজি ﷺ কে সৃষ্টি করা হয়েছে। অতঃপর পানি তারপর আরশ। (মেরকাত শরহে মেশকাত, ১ম খন্ড)</div><div><br></div><div>কবি নজরুল লিখলেন, </div><div><br></div><div>হেরা হতে হেলে দুলে #নূরানী_তনু ও কে আসে হায়,</div><div>সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা খুলে খুলে যায়,</div><div>সে যে আমার কামলিওয়ালা কামলিওয়ালা।।</div><div><br></div><div>তার ভাবে বিভোল রাংগা পায়ের তলে,</div><div>পর্বত জংগল টলমল টলে,</div><div>খোরমা খেজুর বাদাম জাফরানী ফুল</div><div>ঝ'রে ঝ'রে যায়..</div><div>সে যে আমার কামলিওয়ালা কামলিওয়ালা।</div><div>সে যে আমার কামলিওয়ালা কামলিওয়ালা।</div><div><br></div><div>আসমানে মেঘ চলে ছায়া দিতে,</div><div>পাহাড়ের আসু গলে, ঝর্ণারও পানিতে,</div><div>বিজলী চায় মালা হতে</div><div>পূর্ণিমা চাঁদ তাঁর মুকুট হতে চায়..</div><div>সে যে আমার কামলীওয়ালা কামলিওয়ালা।</div><div>সে যে আমার কামলীওয়ালা কামলিওয়ালা।</div><div><br></div><div>হেরা হতে হেলে দুলে, নুরানী তনু ও কে আসে, হায়!</div><div>সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা, খুলে খুলে যায়-</div><div>সে যে আমার কামলীওয়ালা কামলিওয়ালা।</div><div>সে যে আমার কামলীওয়ালা কামলিওয়ালা।</div>

সর্বপ্রথম সৃষ্টি

অনেকেই দেখি লিখে এবং মনে করে যে, আমাদের নবী ﷺ ৪০ বছর বয়সে নবী হয়েছেন। কিন্তু এটা ভুল, বস্তুত ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রকাশ করেছেন। তিরমিজি...

Read more »

কার্যকর অধ্যয়ন

<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjri3HxaXu9jCEj9SCrGbXI2gK5N1n0zjEO0UcP6c5TBPzfnSkoZfL4IB5o8zJDsJqUsxfckO9ozyvl4ZsICTt_-S4Ap6jMdYqYbCV9YzRs1WFWSoiru8HwNnT4fcH4IMDmFj290Eh3mrs/s460/FB_IMG_1615817014227.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="345" data-original-width="460" height="300" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjri3HxaXu9jCEj9SCrGbXI2gK5N1n0zjEO0UcP6c5TBPzfnSkoZfL4IB5o8zJDsJqUsxfckO9ozyvl4ZsICTt_-S4Ap6jMdYqYbCV9YzRs1WFWSoiru8HwNnT4fcH4IMDmFj290Eh3mrs/w400-h300-rw/FB_IMG_1615817014227.jpg" width="400" /></a></div><br /> <p></p><p style="text-align: center;"><b>কার্যকর অধ্যয়ন</b></p><p style="text-align: center;"><b>- <a href="https://www.facebook.com/sirajum.monir.50">মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর </a></b></p><p><br /></p><p style="text-align: justify;">অনেকেই বই পড়েন। কিন্তু যখন জিজ্ঞেস করা হয় কী পড়েছেন, তখন মস্তিকের সাথে যুদ্ধ করতে হয়! আপনিও কি তেমন পাঠক? আপনি কি শেখার অনেক আগ্রহ নিয়ে দীন শিক্ষার ক্লাসে বসছেন, কিন্তু মনে হচ্ছে কিছুই শিখতে পারেননি? ক্লাসে বসে কি মনে হয়, “থাক, এটা লিখে রাখার দরকার নেই। এটা আমি কখনোই ভুলবো না,” কিন্তু একসপ্তাহ পরে ওই ক্লসের একটি বাক্যও আপনি স্মরণ করতে পারছেন না? আপনি যখনই কোনো ক্লাসে যাচ্ছেন, বই পড়া শুরু করছেন কিংবা এমপি-থ্রী প্লেয়ারে ইসলামী বক্তৃতা শুনতে যাচ্ছেন, আপনাকে কয়েকটি কল্যাণমুখী মনোভাব নিয়ে সেগুলো শুরু করতে হবে। নীচে এমনই কয়েকটি প্রয়োজনীয় মনোভাব তুলে ধরা হলো :</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">১. ইখ্‌লাস (আন্তরিকতা বা অন্তরের বিশুদ্ধতা)—</p><p style="text-align: justify;">নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, “আমি কেন এটা শিখছি বা পড়ছি?” “এটা কি এজন্য যে, লোকে আমাকে জ্ঞানী বলে ডাকবে?” “এটা কি বিতর্কে জয়ী হওয়ার জন্য?” “এটা কি আমার প্রতি মানুষের দৃষ্টি ফেরানোর জন্য?” যদি এগুলোর কোনো একটি আপনার ক্ষেত্রে সত্য হয়, তাহলে এই পড়াশোনা দিয়ে আপনি সত্যিকার অর্থে মোটেই উপকৃত হবেন না। </p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>ইবনু মাসুদ (রা) বলেন,“জ্ঞান কোনো ধারাবাহিক বর্ণনা নয়; বরং তা অন্তরে স্থাপিত এক আলো।” </blockquote><p></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>“নিশ্চয়ই যারা জ্ঞানী তারাই আল্লাহকে ভয় করে।” </blockquote><p></p><p style="text-align: justify;">[সূরা আল-ফাতির; ৩৫:২৮] </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>সুফিয়ান আস-সাওরী বলেন, “জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব শুধুমাত্র একারণেই যে, তা ব্যক্তিকে আল্লাহর ভয় ও আনুগত্য শেখায়, নয়তো তা (জ্ঞান নয়) অন্যকিছু।”</blockquote><p></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">২. নিয়্যত (মনের উদ্দেশ্য)—</p><p style="text-align: justify;">প্রথমেই যে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে তা হলো, আপনার জ্ঞানার্জন হলো একটি ইবাদত কর্ম। এটি ব্যক্তিগত তথা গোপন ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত যা আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) এবং আপনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। </p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>সুফিয়ান আস-সাওরী বলেন, “আমার নিয়্যতের (মনের ইচ্ছা) চেয়ে আমার কাছে আর কিছু বেশি কঠিন মনে হয়নি।” </blockquote><p></p><p style="text-align: justify;">নিজের প্রকাশ্য ও গোপন উভয় ধরণের ‘আমলের দিকে লক্ষ করুন। প্রকাশ্য ‘আমলের চেয়ে গোপন ‘আমলের সংখ্যা কি বেশি? গোপন ‘আমলের চেয়ে প্রকাশ্য ‘আমল করতেই কি আপনার বেশি আগ্রহ জাগে? যদি তা-ই হয়, তবে আপনাকে নিয়্যতের (মনের উদ্দেশ্য) প্রতি গভীরভাবে মনোযোগী হতে হবে। আপনি যে ‘আমল করছেন, তা কার জন্য? মানুষ নাকি আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) জন্য?</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">৩. তাকওয়া—</p><p style="text-align: justify;">যে বক্তি তার প্রতিপালককে স্মরণ করে এবং যিনি তা করেন না, তাদের প্রথম জন জীবিত আর পরের জন মৃতের ন্যায়। জ্ঞান শিক্ষার্থী আল্লাহর নামে জ্ঞানার্জন করবেন এবং খেয়াল রাখবেন, আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) তাকে দেখছেন। যদি আল্লাহ চান তো, এতেই আপনার পড়াশোনায় বরকত নেমে আসবে। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>“যিনি জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে সফল হতে চান আবার একই সাথে অতিমাত্রায় পানাহার ও নিদ্রাকে সমান গুরুত্ব দেন, তিনি আসলে অসম্ভব সাধনের চেষ্টা করছেন।” </blockquote><p></p><p style="text-align: justify;">[ ‘The Manners of the Knowledge Seeker’ বই থেকে নেওয়া]</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">৪. নীরবতা—</p><p style="text-align: justify;">অনেক কিছু জানার পর সেগুলো মুখে প্রকাশ করে নিজের জ্ঞান জাহির করার ইচ্ছা জাগবে। অনেক সময় শোনার চেয়ে বলতেই বেশি ভালো লাগবে। এমন মানুষের জন্য সতর্কবাণী:</p><p> </p><blockquote><p style="text-align: justify;"> “যে কিয়ামতে বিশ্বাস করে, সে ভালো কথা বলুক অথবা নিশ্চুপ থাকুক।” </p><p style="text-align: justify;">[বুখারি] </p></blockquote><p style="text-align: justify;"></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>ইমাম শাফে‘ঈ (রহ.) বলেন, “আপনি যদি কিছু বলতে চান, তবে  [আগে] চিন্তা করুন। যদি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, এতে কোনো ক্ষতি নেই, তবে বলুন। যদি সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে, আপনার কথায় ক্ষতি হবে, তবে বলবেন না। </blockquote><p></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>লোকমানকে (আ.) জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “আপনি কীভাবে এত জ্ঞানী হলেন?” তিনি উত্তরে বলেছিলেন: “ আমার যা প্রয়োজন নেই, আমি তা চাই না, আর যা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমি তা বলি না।” </blockquote><p></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">[‘The Manners of the Knowledge Seeker’ বই থেকে নেওয়া]</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">৫. বিনম্রতা</p><p style="text-align: justify;">আমাদের থাকতে হবে এমন আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করা এবং মনে রাখা যে, এমন অনেকেই আছেন যিনি আমার থেকে বেশি জ্ঞানের অধিকারী। </p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>ইমাম শাফে‘ঈ (রহ.) বলেছেন: “আমি ইমাম মালিক (রহ.) এর উপস্থিতিতে বইয়ের পাতা খুবই আস্তে করে, নিঃশব্দে উল্টাতাম যাতে তিনি শব্দে বিরক্ত না হন; এটা করতাম তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার কারণে।” </blockquote><p> </p><p></p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বলেন: “ছাত্র হিসেবে আমি নিজেকে বিনয়ী রেখেছিলাম। তাই শিক্ষক হিসেবে আমি সম্মানিত হয়েছি।”</blockquote><p></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">শেষ কথা-</p><p style="text-align: justify;">কেউ জ্ঞানার্জন করলে, তার জ্ঞান তাকে বিনয়ী করবে। আপনি যদি এমন কোনো জ্ঞানী ব্যক্তিকে দেখে থাকেন যার আচরণ মন্দ, তাহলে তার ক্ষেত্রে বলা যায়, ওই জ্ঞানী ব্যক্তি মুখ দিয়ে যা বলে অন্তরে তা প্রত্যাখ্যান করে। যে জ্ঞান তার জীবনে এসেছে, তা আসলে আন্তরিক, উপকারী জ্ঞান নয়। নিজেকে কল্যাণমুখী, চৌকস করে গড়তে হলে শিষ্টাচার শিখতে হবে যা হবে জ্ঞানভিত্তিক শিষ্টাচার। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"></p><blockquote>আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহ.) বলেন: “আমি শিষ্টাচার শিখতে ত্রিশ বছর ব্যয় করেছি আর জ্ঞানার্জনে ব্যয় করেছি বিশ বছর।” </blockquote><p></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এখন থেকে আমরা যখন পড়তে বসবো, আমরা যেন উল্লিখিত পাঁচটি মনোভাব সঙ্গে নিয়ে পড়তে বসি। যাতে করে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা থেকে সর্বোচ্চ কল্যাণ অর্জন করতে পারি।</p>

কার্যকর অধ্যয়ন

  কার্যকর অধ্যয়ন - মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর  অনেকেই বই পড়েন। কিন্তু যখন জিজ্ঞেস করা হয় কী পড়েছেন, তখন মস্তিকের সাথে যুদ্ধ করতে হয়!...

Read more »

রহমতের ফুল ঝরছে

<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhHmKY1Jq8jrG_1v1VuYYNV2kXSPRWbmgLVWvtXh7QGGy2zgbML68SJ8gSpIPFY56w_IRtDuA3fWnngsEGn9_4sDYNLdbbEZXfl_6wKnE8XXwz4bD_gszQ7iMfQ3O2FSmFXYXdXEFWjbo8/s2048/InShot_20210315_080801519.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1152" data-original-width="2048" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhHmKY1Jq8jrG_1v1VuYYNV2kXSPRWbmgLVWvtXh7QGGy2zgbML68SJ8gSpIPFY56w_IRtDuA3fWnngsEGn9_4sDYNLdbbEZXfl_6wKnE8XXwz4bD_gszQ7iMfQ3O2FSmFXYXdXEFWjbo8/s320-rw/InShot_20210315_080801519.jpg" width="320" /></a></div><br /> <p></p><p>রহমতের ফুল ঝরছে। স্বয়ং মোস্তাফা ﷺ থেকে। সামনে বসা প্রিয় সাহাবী সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী রা.। নিজের ঝুলিতে কুড়িয়ে নিচ্ছেন মাদানী ফুল।</p><p>যেহেতু আমাদের কাছ পর্যন্ত বরকতময় ফুলগুলো পৌঁছেছে, তাহলে আর দেরি কিসের! নিজের খালি ঝুলিকে মাদানী ফুল দিয়ে ভরপুর করে ফেলি। আর নিতে থাকি ফুলের সৌরভ। </p><p>হযরত সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী রা. বর্ণনা করেন, আমি হুযুর পুরনুর ﷺ কে আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আমাকে কিছু উপদেশ দিন।” হুযুর ইরশাদ ﷺ করলেন: “আমি তােমাকে আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটি তােমার দ্বীনের (ধার্মিকতার) মূল।” আমি আরয করলাম: “ আরাে কিছু উপদেশ দিন।” ইরশাদ করলেন: “কোরআন মজীদের তিলাওয়াত এবং অধিকহারে আল্লাহর যিকির করাে, কেননা তা তােমার জন্য আসমান এবং জমিনে নূর হবে।” </p><p>আমি আরয করলাম: “ ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আমাকে আরাে কিছু উপদেশ দিন।” ইরশাদ করলেন: “ জিহাদ করাকে নিজের উপর অপরিহার্য করে নাও, কেননা তা আমার উম্মতদের জন্য (রাহবানিয়াত) স্বরূপ।” [১]</p><p>আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন।</p><p>ইরশাদ করলেন: “ কম হাসবে, কেননা অধিক হাসি অন্তরকে মৃত এবং চেহারাকে অনুজ্জ্বল করে দেয়।” (এখানে উচ্চস্বরে হাসাহাসিকে বুঝানো হয়েছে। কারণ আমার আক্বার চেয়ে আর কেউ বেশি মুচকি হাসেন নি। এটা সুন্নাহ)</p><p>আমি আরয করলাম: আরাে উপদেশ দিন। ইরশাদ করলেন: “ ভাল কথা বলা ব্যতিত নিরব থাকবে, কেননা নিরবতা শয়তানের বিরুদ্ধে ঢাল স্বরূপ আর দ্বীনি কাজে তােমার জন্য সহায়ক।" </p><p>আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু নসিহত করুন।” ইরশাদ করলেন: “ (দুনিয়াবী বিষয়ে) তােমার চেয়ে নগন্যকে দেখাে, উত্তমদের দিকে দেখাে না, কেননা এই আমলটি তা থেকে উত্তম যে, তুমি আল্লাহ পাকের নেয়ামতকে তুচ্ছ মনে করবে।” আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন।</p><p>ইরশাদ করলেন: “ অভাবীদেরকে ভালবাসাে আর তাদের সংস্পর্শ অবলম্বন করাে।” আমি আরয করলাম: আরাে কিছু ইরশাদ করুন। ইরশাদ করলেন: “ সত্য কথা বলাে, যদিও তা তিক্ত হয়।” আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন। ইরশাদ করলেন: “ আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখাে, যদিওবা তারা তােমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।” </p><p><br /></p><p>আমি আর করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন। ইরশাদ করলেন: “ আল্লাহ পাকের ব্যাপারে কারাে নিন্দাকে ভয় করাে না।” আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু নসিহত করুন।” ইরশাদ করলেন: “মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ করাে, যা নিজের জন্য পছন্দ করাে।” </p><p>অতঃপর হুযুর ﷺ তাঁর হাত মােবারক আমার বুকে রাখলেন এবং ইরশাদ করলেন: “হে আবু যর! তদবীরের চাইতে কোন বুদ্ধিমত্তা নেই, গুনাহ থেকে বাঁচার চাইতে কোন পরহেযগারী নেই আর উত্তম চরিত্রের চাইতে কোন আভিজাত্য নেই।"[২]</p><p>আল্লাহু আকবার। কি অপরুপ দৃশ্য চলছিল আক্বা আর গোলামের মধ্যে। নোট করে নিন। কাগজে লিখে পড়ার টেবিলে রেখে দিন। দৈনিক একবার চোখ বুলিয়ে নিন এতে। আর চেষ্টা করুন আমল করার। যেদিন আপনার চেষ্টা সফল হবে সেদিন আপনি এক অনন্য মর্যাদায় উপনীত হবেন। </p><p><br /></p><p>রেফারেন্সঃ[</p><p>১] অধিকহারে ইবাদত ও রিয়াযত করা এবং লােকজন থেকে দুরে থাকাকে রাহবানিয়াত বলে। (তাফসিরে বায়যাবী, ২৭ তম পারা, ২৭ তম আয়াতের পাদটিকা, ৫/৩০৫)</p><p>[২] আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবুল কাযা, হাদিস নং- ২৪, ৩/১৩১।</p><p><br /></p><p>জাজাকাল্লাহু খাইরান </p><p>স্বাধীন আহমেদ </p><p><br /></p><p><br /></p><p><br /></p>

রহমতের ফুল ঝরছে

  রহমতের ফুল ঝরছে। স্বয়ং মোস্তাফা ﷺ থেকে। সামনে বসা প্রিয় সাহাবী সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী রা.। নিজের ঝুলিতে কুড়িয়ে নিচ্ছেন মাদানী ফুল। যেহেত...

Read more »