রাসুলে পাক

<div><br></div><div>আবু বকর,ওমর, ওসমান </div><div>দুনিয়ার যত জীন ইনসান,</div><div>দিচ্ছে দেখ, দিচ্ছে হাক</div><div>রাসুলে পাক, রাসুলে পাক!! </div><div><br></div><div>শেরে খোদা মাওলা আলী </div><div>রাসুল প্রেমের প্রতিচ্ছবি </div><div>তোমার কন্ঠে এ কি ডাক? </div><div>রাসুলে পাক, রাসুলে পাক!!</div><div><br></div><div>আসমানের সব ফিরিশতারা </div><div>হুরপরী সব গেলমানেরা,</div><div>লাখে লাখে ঝাঁকে ঝাঁক</div><div>রাসুলে পাক, রাসুলে পাক!! </div><div><br></div><div>পাখির যত মিষ্টি সুরে</div><div>ওই যে আকাশ অতি দূরে </div><div>একটি শ্লোগান বয়ে যাক</div><div>রাসুলে পাক, রাসুলে পাক!!</div><div><br></div><div>লেখকঃ ড. শরীফ মহিউদ্দিন</div>

রাসুলে পাক

আবু বকর,ওমর, ওসমান  দুনিয়ার যত জীন ইনসান, দিচ্ছে দেখ, দিচ্ছে হাক রাসুলে পাক, রাসুলে পাক!!  শেরে খোদা মাওলা আলী  রাসুল প্রেমের প্রতিচ্ছবি  তো...

Read more »

প্রিয় নবী ﷺ এঁর দীদার আকাঙ্ক্ষীদের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

<div><div>কবি নজরুল লিখলেন,</div><div><br></div><div>তোমায় যেমন করে ডেকেছিল আরব মরুভূমি;</div><div>ওগো আমার নবী প্রিয় আল আরাবী,</div><div>তেমনি করে ডাকি যদি আসবে নাকি তুমি।।</div><div><br></div><div>যেমন কেঁদে দজলা ফোরাত নদী</div><div>ডেকেছিল নিরবধি,</div><div>হে মোর মরুচারী নবুয়তধারী,</div><div>তেমনি করে কাঁদি যদি আসবে নাকি তুমি।।</div><div><br></div><div>যেমন মদিনা আর হেরা পাহাড়</div><div>জেগেছিল আশায় তোমার</div><div>হে হযরত মম, হে মোর প্রিয়তম,</div><div>তেমনি করে জাগি যদি আসবে নাকি তুমি।।</div><div><br></div><div>মজলুমেরা কাবা ঘরে</div><div>কেঁদেছিল যেমন করে,</div><div>হে আমিনা- লালা, হে মোর কামলীওয়ালা,</div><div>তেমনি করে চাহি যদি আসবে নাকি তুমি।।</div><div><br></div><div>ইমাম মুসলিম রহঃ লিখলেন,</div><div><br></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে আমাকে অধিক মুহাব্বতকারী ঐ সমস্ত লোকদের মধ্যে তারাও হবে, যারা আবির্ভূত হবে আমার ওফাতের পর, তারা কামনা করবে, হায় যদি তাদের পরিবার-পরিজন এবং ধন ঐশ্বর্যের বিনিময়েও আমাকে দেখতে পেত। (সহিহ মুসলিম ৭০৩৭)<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjzDXd3tWhPgSL2fB5avVe3z6ODrYUROuTl9YHDOefamWPGBCgc_eTTC1aO0KPGh8q36cFFs-Nm7YfE_Kp-lXfFutFcOGKppqN4v8CgDol1aiBp6qfbBSHf9dh4k7yw6BuFsUv2WRt_Q9Zy/s1600/FB_IMG_1598836459584.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="735" data-original-width="713" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjzDXd3tWhPgSL2fB5avVe3z6ODrYUROuTl9YHDOefamWPGBCgc_eTTC1aO0KPGh8q36cFFs-Nm7YfE_Kp-lXfFutFcOGKppqN4v8CgDol1aiBp6qfbBSHf9dh4k7yw6BuFsUv2WRt_Q9Zy/s1600-rw/FB_IMG_1598836459584.jpg" width="310"></a></div><br></div></div></div><div><br></div>

প্রিয় নবী ﷺ এঁর দীদার আকাঙ্ক্ষীদের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

কবি নজরুল লিখলেন, তোমায় যেমন করে ডেকেছিল আরব মরুভূমি; ওগো আমার নবী প্রিয় আল আরাবী, তেমনি করে ডাকি যদি আসবে নাকি তুমি।। যেমন কেঁদে দজলা ফোর...

Read more »

হোসনে মোস্তাফা ﷺ | পর্ব-০২

<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAytLqoB3V7Jw6oz7faWy-_v3AbFpiDEfHK2MbcD4AhAE6Aj5qzoC2rG6gzP-Ls6ba1_FP8JZqNG7QeVyT91IOr8UdxLiau75yCGqbVo1PfXB9C5c-A-c6LR0oRQvJWtfBp4G6EHCwDV8/s2048/InShot_20210313_132044854.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1152" data-original-width="2048" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAytLqoB3V7Jw6oz7faWy-_v3AbFpiDEfHK2MbcD4AhAE6Aj5qzoC2rG6gzP-Ls6ba1_FP8JZqNG7QeVyT91IOr8UdxLiau75yCGqbVo1PfXB9C5c-A-c6LR0oRQvJWtfBp4G6EHCwDV8/s320-rw/InShot_20210313_132044854.jpg" width="320" /></a></div><br /> তাঁর সৌন্দর্যের আলোচনা শুনে দেখার জন্য কাতর হয়ে আছি। আল্লাহ জানেন, যখন তাঁর মোবারক চেহারার দীদার হবে তখন কি অনুভূতি হবে! আর যখন এই সৌন্দর্যের সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং দীদার দিবেন সেদিন কি অনুভূতি হবে আমাদের। <p></p><p>তবে দীদার কি পাব এই অপবিত্র চোখ, অপবিত্র অন্তর নিয়ে? যেগুলোকে গুণাহ দ্বারা অপবিত্র করে ফেলেছি। আল্লাহ যেন রহম করেন।</p><p>সেই নূরানী সত্তাকে অর্থাৎ প্রিয় আক্বাকে যারা সরাসরি দেখেছেন তাদের অবস্থা কি! অনেকে তো তাঁর সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে বাপ-দাদার ধর্ম ছেড়ে মুসলমান হয়ে গেছেন। অনেকেই আবার বর্ণনা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। তবে যে যার মতো করে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছেন। যা আমাদের নিকট পর্যন্ত পৌঁছেছে।</p><p>যেদিন তিনি আগমন করেন এই পৃথিবীতে মহান নূর চমকে উঠলাে, যা দ্বারা পূর্ব ও পশ্চিম আলােকিত হয়ে গিয়েছিলাে। এটি সেই মহান রাত, যে রাতে আল্লাহ্ তায়ালার আদেশে ফিরিশতাদের সর্দার জিব্রাঈল আমীন (আ.) পূর্বদিকে ও পশ্চিম দিকে এবং কাবার উপর পতাকা স্থাপন করেছিলেন। </p><p>এটি সেই মহান রাত, যে রাতে আল্লাহ্ তায়ালার মাহবুব, হুযুর পুরনূর  এর আগমনে ইরানের বাদশাহ কিসরার প্রাসাদে ভূমিকম্প এসেছিলাে এবং ইরানের এক হাজার বছর থেকে প্রজ্জলিত হওয়া আগ্নেয়গিরী নিভে গিয়েছিলাে। </p><p>"বুঝ গেয়ে জিস কে আগে সবী মাশআলে, শামআ ওহ লে কর আয়া হামারা নবী।" </p><p>আলা হযরত রহ. কতই না সুন্দর বলেছেন, "তেরে খুলক কো হক নে আযীম কাহা, তেরে খিলক কো হক নে জামিল কিয়া, কোয়ি তুঝ সা হুয়া হে না হাে’গা শাহা, তেরে খালিকে হুসন ও আদা কি কসম।"</p><p>একবার কিছু অমুসলিম আমিরুল মুমিনিন হযরত সায়্যিদুনা আলীউল মুরতাদ্বা শেরে খােদা রা. এর দরবারে উপস্থিত হলাে এবং তাকে আরয করলাে: হে আবুল হাসান! আপনার চাচার সন্তান (অর্থাৎ প্রিয় নবীﷺ) এর গুণাবলী বর্ণনা করুন। তখন তিনি বললেন: রাসূলুল্লাহ্ ﷺ খুব বেশি লম্বা ছিলেন না এবং একেবারে খাঁটোও ছিলেন না, বরং মধ্যম আকৃতি থেকে একটু লম্বা ছিলেন।</p><p>মােবারক শরীরের রঙ সাদা ছিলাে, চুল মােবারক অনেক বেশি কৃষ্ণবর্ণ ছিলাে না, বরং কিছুটা বক্র ছিলাে, যা কান পর্যন্ত ছিলাে, প্রশস্ত কপাল, সুরমা খচিত চোখ, মুক্তা মতাে সাদা লালচে দাঁত, খাড়া নাক, ঘাড় খুবই স্বচ্ছ যেনাে রূপার পাত্র, যখন হাঁটতেন তখন মজবুতভাবে কদম রাখতেন, যেনাে উঁচু স্থান থেকে নামছেন, যখন কারাে দিকে মনযােগ দিতেন তবে পরিপূর্ণভাবে মনযােগ দিতেন, যখন দাঁড়াতেন তখন লােকদের চেয়ে উচ্চ মনে হতাে এবং যখন বসতেন তখনও সবার মাঝে অনন্য হতেন।</p><p>যখন বলতেন তখন লােকদের মাঝে নিরবতা বিরাজ করতাে, যখন খােতবা দিতেন তখন শ্রবণকারীদের মাঝে ক্রন্দন শুরু হয়ে যেতাে, মানুষের প্রতি সবচেয়ে বেশি দয়ালু ও মেহেরবান, এতিমদের জন্য স্নেহময় পিতার ন্যায়, বিধবাদের জন্য দয়ালু ও নম্র, সবচেয়ে বেশি বাহাদুর, সবচেয়ে বেশি দানশীল এবং আলােকিত চেহারার মালিক ছিলেন। জুব্বা পরিধান করতেন, যবের রুটি আহার করতেন।</p><p>হুযুর ﷺ এর বালিশ ছিলাে চামড়ার, যাতে খেজুরের গাছের আঁশ ভরা ছিলাে, খাট ছিলাে বাবলা গাছের, যা খেজুরের পাতার রশি দিয়ে বুনানাে ছিলাে, হুযুর ﷺ এর দু'টি পাগড়ী ছিলাে, একটির নাম সাহাব আর অপরটিকে উকাব বলা হতাে।</p><p>প্রিয় নবী ﷺ এর প্রয়ােজনীয় বস্তুর মধ্যে তলােয়ার যুলফাকার, উটনী আদ্ববাআ, খচ্চর দুলদুল, গাধা ইয়াফুর, ঘােড়া বাহার, ছাগল বরকতা, লাঠি মামশুক এবং পতাকা “ লিওয়াউল হামদ " নামের মনােনীত ছিলাে। হুযুর ﷺ উটকে স্বয়ং নিজেই বাধঁতেন এবং সেটিকে খাবার দিতেন, কাপড়ে তালি লাগাতেন।</p><p>আর জুতার মেরামতও নিজেই করতেন। পরিপূর্ণ মােবারক আকৃতি বর্ণনা করার পর। আমিরুল মুমিনিন হযরত সায়্যিদুনা মাওলা আলী শেরে খােদা রা. বলেন: আমি হুযুর ﷺ এর পূর্বে এবং হুযুর পুরনূর  এর পর তাঁর মতাে আর কাউকে দেখিনি। (ইযালাতুল খাফা, ৪/৪৯৯ ও তিরমিযী, ৫/৩৬৪, হাদীস নং -৩৬৫৭ ও ৩৬৫৮)</p><p>"হুসন তেরাসা না দেখা না সুনা কেহতে হে আগলে যামানে ওয়ালে, ওহী ধুম উন কি হে মিট গেয়ে আ’প মিটানে ওয়ালে।"</p><p>চলবে.....</p><p>জাজাকাল্লাহু খাইরান </p><p>স্বাধীন আহমেদ </p>

হোসনে মোস্তাফা ﷺ | পর্ব-০২

 তাঁর সৌন্দর্যের আলোচনা শুনে দেখার জন্য কাতর হয়ে আছি। আল্লাহ জানেন, যখন তাঁর মোবারক চেহারার দীদার হবে তখন কি অনুভূতি হবে! আর যখন এই সৌন্দর্য...

Read more »

আল্লাহ সম্পর্কে কতিপয় আকীদা

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6z2IC09_kcFYsBOaUa_eqjllQXjjneLxzUAriTDOqf98CrEQaNkg7KylQGDiUVe-QQyS_um59GL40HqPQ9T4TVVYovpErRAtiuf5TyQvZnUh7c5c5uiu2_OCCSKc_PURQn2qQWBS45Cc/s1600/FB_IMG_1615723972296.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="451" data-original-width="679" height="212" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6z2IC09_kcFYsBOaUa_eqjllQXjjneLxzUAriTDOqf98CrEQaNkg7KylQGDiUVe-QQyS_um59GL40HqPQ9T4TVVYovpErRAtiuf5TyQvZnUh7c5c5uiu2_OCCSKc_PURQn2qQWBS45Cc/s1600-rw/FB_IMG_1615723972296.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সম্পর্কে কতিপয় আকীদা, যা জেনে নেয়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরী</div><div style="text-align: justify;">কৃতঃ মুহাম্মদ রাকিব আত্তারী</div><div style="text-align: justify;">---</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔸উপরের দিককে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তায়ালাকে উপরওয়ালা বলা নিষিদ্ধ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা স্থান-কাল-সময় এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হতে পবিত্র। আল্লাহ তায়ালা এগুলোরও সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ'র অস্তিত্বের জন্য কোন জায়গা বা আরশের প্রয়োজন নেই। কোন কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে আল্লাহ তায়ালা যেমন কোন স্থানে অবস্থান ব্যতীত ছিলেন, এখনও তিনি আছেন। মহান আল্লাহ বলেনঃ "আল্লাহ কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন"(সূরা ইখলাসঃ ২)। ইমাম তাহাবী রহঃ বলেন- ‘‘আল্লাহ তা‘য়ালার গুণে সৃষ্টি জগতের কেহ নেই। তিনি সীমা, পরিধি, অঙ্গপ্রতঙ্গ এবং উপাদান উপকরণ থেকে পবিত্র। সৃষ্টি জগতের ন্যায় ছয় দিকের কোন দিক তাকে বেষ্টন করতে পারে না।’’ (আক্বিদাতুত তাহাভী, ৪৪পৃষ্ঠা, ক্রমিক: ৩৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তায়ালা কোথায়? ইমাম আবূ হানিফা রহ. এর উত্তরে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে, যখন কোন স্থানই ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তখনও ছিলেন যখন কোন সৃষ্টি ছিলো না, এমনকি ‘কোথায়’ বলার মতো স্থানও ছিলো না। সৃষ্টির একটি পরমাণুও যখন ছিলো না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা।” (আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহান আল্লাহ তায়ালা সর্বশক্তিমান, সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তাঁর কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্ৰষ্টা (সূরা আশ-শুরাঃ ১১)"। তিনি সবকিছু দেখেন, শুনেন, হুকুম করেন। এসবের জন্য তিনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মুখাপেক্ষী নন। তিনি তখনো ছিলেন যখন আরশ কুরসি কোন কিছুই ছিল না। আল্লাহ আরশের নিয়ন্ত্রণকারী। আকার-আকৃতি, স্থান-কাল থেকে পবিত্র হওয়া সত্ত্বেও তিনি আখিরাতে মানুষকে দীদার দান করবেন, তেমনিভাবে দুনিয়াতে তাঁর এই দীদার শুধুমাত্র আমাদের নবীর জন্য নির্বাচিত করেছেন। ইমাম আবূ হানিফা রহঃ বলেন, “জান্নাতবাসীর জন্য কোন সাদৃশ্য, অবস্থা ও দিক ব্যতীত আল্লাহ তায়ালার দর্শন সত্য।” [কিতাবুল ওসিয়্যা, পৃ.৪, শরহে ফিকহুল আকবার, মোল্লা আলী কারী, পৃ.১৩৮]।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছেন লা মকানে অর্থাৎ কোনো স্থান ছাড়া। আমাদের মস্তিষ্ক বানানো হয়েছে আকার-আকৃতি ও সসীম বস্তুকে নিয়ে চিন্তার জন্য। কিন্তু আল্লাহ তো অসীম। তাই আল্লাহ কে আমরা নিজের সসীম মস্তিস্কে ধারন করতেই পারবো না (তাঁর সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত হতে পারবোনা)। এছাড়াও তিরমিজির সহিহ হাদিসের (৩২৭৬) ভাষ্য অনুযায়ী, আমাদের জ্ঞান সিদরাতুল মুনতাহায় গিয়েই শেষ হয়ে যায়, এর বেশি আমরা জানতে পারি না অর্থাৎ আমাদের বুঝে আসবে না। তাই আমাদেরও উচিত এটা নিয়ে বেশি চিন্তা না করা। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করো। কিন্তু আল্লাহকে নিয়ে (অধিক) চিন্তা করো না (পথভ্রষ্ঠ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে) (কানজুল উম্মাল: ৫৭০৮)। আমাদের খেয়াল রাখা উচিৎ কোনক্রমেই যেন আমরা আল্লাহ'র জন্য স্থান, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সাব্যস্ত না করি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আলী রাঃ বলেন, "যখন কোন স্থান ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনি এখনও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় আছেন। আল্লাহ তায়ালা নিজের কুদরত প্রকাশের জন্য আরশ সৃষ্টি করেছেন, নিজ সত্ত্বার স্থান হিসেবে নয়।” (আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, আবু মনসুর বাগদাদী, পৃ.৩৩৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম যাইনুল আবেদীন রাঃ বলেন, হে আল্লাহ, আপনি সেই সত্ত্বা, কোন স্থান যাকে পরিবেষ্টন করতে পারে না। আপনি সেই সত্ত্বা যার কোন হদ বা সীমা নেই। সীমা থাকলে তো আপনি সসীম হয়ে যাবেন। (ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, খ.৪, পৃ.৩৮০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আ'লা হযরত আহমদ রজা খান রহঃ লিখেন, (যার অনুবাদ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ওনি ﷺ লা মকান এর মেহমান হয়েছেন,</div><div style="text-align: justify;">যিনি ﷺ আরশে উপবিষ্ট হয়েছেন,</div><div style="text-align: justify;">ইনি হচ্ছেন নবী যার এই মর্যাদা (স্থান),</div><div style="text-align: justify;">আর যিনি কোন স্থানে নন (যিনি জায়গা থেকে পবিত্র) তিনিই হচ্ছেন খোদা (সৃষ্টিকর্তা)। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উর্দুঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ওয়াহি লা মকান কে মকী হুয়ে </div><div style="text-align: justify;">সরে তাখতে আরশে নশী হুয়ে </div><div style="text-align: justify;">ওহ নবী হে জিসকা হে ইয়ে মকা </div><div style="text-align: justify;">ওহ খোদা হে জিসকা মকা নেহি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুতরাং যারা আল্লাহ'র জন্য আরশকে অবস্থান হিসেবে সাব্যস্থ করে তারা পথভ্রষ্ট। স্থান-কাল-অবস্থান এগুলো সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তায়ালা অনাদিকাল থেকে আছেন, অনন্তকাল থাকবেন। তিনি স্থান কাল থেকে পবিত্র, আল্লাহর কোন সৃষ্টি তাকে ধারণ করতে সক্ষম নয়। মহান রব তা‘য়ালা ইরশাদ করেন- "নিশ্চয়ই মহান রব সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।’’ </div><div style="text-align: justify;">(সূরা ফুস্সিলাতঃ ৫৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইস্তিওয়াহ শব্দ দ্বারা আল্লাহ তায়ালা কি বুঝিয়েছেন তা আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন, যার উপর এটা নাজিল করেছেন যাকে স্বয়ং তিনি নিজে শিক্ষা দিয়েছেন তিনি এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আর কাউকে এটা বুঝার ক্ষমতা দিয়ে থাকলে তিনিই ভালো জানেন। আমরা ইস্তিওয়াহ শব্দকে ব্যাখ্যা করতে যাব না, এটা দ্বারা আল্লাহ যা বুঝিয়েছেন তাঁর উপর ঈমান রাখব। কিন্তু কখনো এর দ্বারা আরশকে আল্লাহ'র জন্য অবস্থান হিসেবে সাব্যস্থ করতে পারবোনা। এক্ষেত্রে সেটা কুফরী হবে। কোন কোন ইমামের মত থেকে জানা যায় যে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তায়ালা আরশ সৃষ্টি করেছেন এবং এর উপরও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আরশের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন এজন্য যে, আরশ আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে অনেক বড় এক সৃষ্টি। তিনি এটি উল্লেখ করে বুঝিয়েছেন যে, অন্যান্য ছোট সৃষ্টিও তাঁর ক্ষমতার অধীন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔸আহলুস সুন্নাহ এর আকীদা হল আল্লাহ তায়ালা আকার আকৃতি থেকেও পবিত্র। কুরআন হাদিসের কয়েক জায়গায় আল্লাহ'র হাত-পা শব্দগুলো এসেছে। সেই শব্দগুলো দ্বারা আল্লাহ যা বুঝিয়েছেন আমরা তার উপর ঈমান এনেছি। কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ অনুধাবনে আমরা অক্ষম। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কোনক্রমেই যেন আমরা আল্লাহ'র জন্য স্থান, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সাব্যস্ত না করি। কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন। এটাই আমাদের কাছে স্পষ্ট যে, "তাঁর কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্ৰষ্টা।" (সূরা আশ-শুরাঃ ১১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম বায়হাকী রহঃ বলেন, “নিশ্চয় আমাদের ও সকল মুসলমানের জানা অত্যাবশ্যক যে, আমাদের প্রভু আকৃতি ও অবয়ব বিশিষ্ট নন। কেননা, "আকৃতি'', কেমন এর চাহিদা রাখে। অথচ কেমন প্রশ্নটি আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কোনো ক্ষেত্রে যদি আকৃতি প্রকাশের কথা আসে তা হবে তাঁর সিফাত বা গুণাবলী।” (কিতাবুল আসমা ওয়াল সিফাত)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম তাহাবী (রহঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালাকে মানবীয় গুণাবলী হতে কোন গুণের দ্বারা গুণান্বিত করবে সে কাফির।” (ইমাম তাহাবী, আকিদাতুত তাহাভী, ৪১ পৃষ্ঠা, আকিদা নং ৩৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল, দয়ালু, ইলমে গায়েবের অধিকারী, আরোগ্যতা দান করেন ইত্যাদি- এগুলো আল্লাহ'র সত্ত্বাগত বৈশিষ্ট্য। কেউ আল্লাহ'কে এগুলো দান করেনি বরং তিনিই মানুষকে বিভিন্ন ক্ষমতা দেন, যা তাদের জন্য সত্ত্বাগত নয়, আল্লাহ প্রদত্ত; আল্লাহ'র ক্ষেত্রে এগুলো সত্ত্বাগত। কিন্তু স্থান-আকার-আকৃতি এগুলো শুধুমাত্র সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তিনি (ঈসা আলায়হিস সালাম) বলবেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে নিদর্শনসহ তোমাদের নিকট এসেছি, আমি তোমাদের জন্য মাটি দিয়ে পাখির আকৃতি বানিয়ে তাতে ফুঁক দেব, আল্লাহর হুকুমে পাখি হয়ে যাবে, আল্লাহ'র হুকুমে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগী আরোগ্য করবো এবং মৃতকে জীবিত করবো এবং আমি তোমাদেরকে বলে দেব তোমাদের গৃহে তোমরা যা আহার কর এবং সঞ্চয় করে রাখ; নিশ্চয়ই এ কাজে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা মু’মিন হও।" (সূরা আলে ইমরান ৪৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তাআ'লা বলেন, "(হে সর্বসাধারণ!) আল্লাহর শান এ নয় যে, তোমাদেরকে অদৃশ্যের জ্ঞান দিয়ে দেবেন। তবে আল্লাহ নির্বাচিত করে নেন তার রাসূলগণের মধ্য থেকে যাঁকে চান। সুতরাং ঈমান আনো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং যদি তোমরা ঈমান আনো এবং পরহেযগারী অবলম্বন করো, তবে তোমাদের জন্য মহা প্রতিদান রয়েছে।" (সূরা আলে ইমরানঃ ১৭৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔸কুরআনে পাকের কিছু আয়াত এবং কিছু হাদিস শরীফ এমন রয়েছে যেগুলোর শুধু আক্ষরিক অর্থ নিয়ে বিশ্বাস করলে ঈমান থাকবে না। যেমন হাদিসে কুদসীতে রয়েছে, সকল ক্ষমতার মালিক আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলছেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যে ব্যক্তি আমার কোন অলি বা বন্ধুর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারাই কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কোন কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি কোন কাজ করতে চাইলে তা করতে কোন দ্বিধা করি-না, যতটা দ্বিধা করি মু’মিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি।" (সহীহ বুখারী ৬৫০২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এর দ্বারা কি আমরা এটা বুঝব যে, আল্লাহ ও আল্লাহর অলি এক হয়ে গিয়েছে (নাউজুবিল্লাহ)!! নিশ্চয়ই নয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই এসব ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থ নেয়া যাবে না। যেহেতু আউলিয়াদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে সকল কাজ-কর্ম আল্লাহ তা'আলা’র সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রকাশ পায় এজন্যে একথা বলা হয়েছে যে, আমিই যেন তার চোখ, কান, হাতও পা হয়ে যাই। আল্লাহ তায়ালা তো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে পবিত্র। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একইভাবে তাহাজ্জুদের ফযিলত সম্পর্কিত হাদিসে মুবারকার ক্ষেত্রেও আক্ষরিকভাবে শুধু বাহ্যিক অর্থ নিয়ে আল্লাহ'র জন্য স্থান সাব্যস্থ করা যাবে না, আল্লাহ তায়ালা অবতরণ করেন বলা যাবে না। কেউ কেউ হাদিসগুলোকে স্বীয় অবস্থানে রাখাকে সমীচীন মনে করে থাকেন, তাঁরা কোনো নির্দিষ্টতা আরোপ ব্যতিরেকে হাদিসগুলোকে বিশ্বাস করেন, কোনো প্রকার কাইফিয়্যাহ এবং সৃষ্টি (তাশবিহ্) এর সাথে কোনোরুপ সাদৃশ্যতা স্থাপন করা ছাড়াই আল্লাহর পবিত্রতা মহিমা ঘোষণা করেন। এই হাদিস শরিফের ব্যাপারে মুহাদ্দিসিনে ক্বিরামের মতামত থেকে জানা যায় এর ব্যাখ্যা এরুপ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একটি মত হচ্ছে, অাল্লাহর বিশেষ করুণা বা অনুগ্রহ, নির্দেশ এবং ফেরেশতাকুল অবতরণ করেন; যেমন বলা হয়ে থাকে, বাদশাহ্ এই শহরটি নির্মাণ করেছেন, তিনি শহরটি নির্মাণের কার্যভার গ্রহণ করেছেন। বস্তুত শ্রমিকের দ্বারা কাজটি সম্পাদন করা হয়েছে বা হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অপর মতটি হচ্ছে, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা রাতের সে সময়টিতে প্রার্থনাকারীদের জন্যে তাঁদের চাওয়াগুলোর আশু জবাব দানে তাঁর বিশেষ নরমতা, কোমলতা বা দয়াপরবশ হওয়ার বিষয়টিকে রুপকার্থে এখানে তাকিদ করেছেন যাতে বান্দা আল্লাহর বিশেষ করুণা লাভে ধন্য হন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔸রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ কুরআন পাঁচটি বিষয়সহ নাযিল হয়েছেঃ (১) হালাল (২) হারাম (৩) মুহ্‌কাম (৪) মুতাশাবিহ ও (৫) আমসাল (উপদেশপূর্ণ ঘটনা)। সুতরাং তোমরা হালালকে হালাল জানবে, হারামকে হারাম মনে করবে। মুহকামের উপর ‘আমল করবে, মুতাশাবিহের সাথে ঈমান পোষণ করবে। আর আমসাল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। [মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৮২]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মুতাশাবিহাত আয়াতের ক্ষেত্রে হুকুম হচ্ছে -</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এ আয়াত (সূরা আলে ইমরানঃ ৭) এর বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে প্রশ্ন করা হলঃ (আয়াতটি)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তিনিই আপনার উপর এমন কিতাব নাযিল করেছেন, যার কতিপয় আয়াত মৌলিক-সুস্পষ্ট অর্থবোধক (মুহকামাত), এগুলো হল কিতাবের মূল আর অন্যগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয় (মুতাশাবিহাত, রুপক); কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা গোলযোগ (ফিতনা) সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে উক্ত আয়াতগুলোর অনুসরণ করে যেগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মূলত; এর সঠিক ব্যাখ্যা আল্লাহ'র-ই জানা আছে (আল্লাহ কাউকে জানালে শুধুমাত্র তিনি জানতে পারেন)। যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে যে, আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, এ সবকিছুই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে এসেছে, মূলতঃ জ্ঞানবান ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই নসীহত গ্রহণ করে না।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(জবাবে) রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তোমরা কুরআনের মুতাশাবিহ আয়াতসমূহের অনুসারীদের দেখলে অনুধাবন করে নিবে যে, আল্লাহ তা'আলা এদেরই নামোল্লেখ করেছেন। কাজেই তোমরা তাদের পরিহার করবে। (সাবধান থাকবে) (সূনান তিরমিজী ২৯৯৪, সহীহ বুখারী ৪৫৪৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূনান আত তিরমিজীর ২৯৯৩ এ রয়েছে, অধঃস্তন এক বর্ণনাকারীর বর্ণনায় আছেঃ তোমরা তাদের দেখলে চিনে রাখবে। তিনি দুই অথবা তিনবার এ কথা বলেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই আমরা অস্পষ্ট বা মুতাশাবিহাত আয়াতসমূহের পিছনে ছুটব না। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে পাকে স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, "তাঁর কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্ৰষ্টা (সূরা আশ-শুরাঃ ১১)"। স্থান-আকার-আকৃতি এগুলো শুধুমাত্র সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য, স্রষ্টার নয়। ফলে অস্পষ্ট অর্থসমৃদ্ধ কিছু আয়াতকে অপব্যাখ্যা করে যারা আল্লাহ'র জন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, স্থান (আরশ) সাব্যস্থ করে, আমাদের উচিৎ তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখা এবং তাদের থেকে দূরে থাকা যাতে আমাদের ঈমান আমল হেফাজতে থাকে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔸আল্লাহ তায়ালা স্থান-আকার-আকৃতি থেকে পবিত্র এবং আল্লাহ তায়ালা সত্ত্বাগতভাবে সব জায়গায় বিরাজমান নয় বরং আল্লাহ'র জ্ঞান ও কুদরত (ক্ষমতা) সর্বত্র উপস্থিত। সকল সৃষ্টি আল্লাহ'র অস্তিত্বকে প্রমাণ করে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম জুরজানী (রহঃ) বলেন- "মহান আল্লাহ কোনো দিকে বা স্থানে নন।’’ [শরহুল মাওয়াকিফ, ২/৫১-৫২পৃষ্ঠা, সাফর বিন আবদুর রাহমান আল-হাওলী, মিনহাজুল আশাইরাহ, ৭৯পৃষ্ঠা, (শামিলা)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম কুরতুবী আন্দুলুসী রহঃ বলেন- ‘নিশ্চয়ই মহান রবের জ্ঞান সকল স্থানে উপস্থিত।’’ [হিদায়া ইলা বুলুগুল নিহায়া, ১/১২পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম যাহাবী রহঃ তার এক কিতাবে লিখেন- ‘‘যে ব্যক্তি বলবে মহান রব সত্ত্বাগতভাবে সর্বত্র তাহলে তা হবে কিতাবুল্লাহ, সুন্নাহ এবং পূর্ববর্তী উম্মতের আক্বিদার বিপরীত।’’ (কিতাবুল আরশ, ১৮২পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অনেকে বলতে পারেন মহান আল্লাহ তা‘য়ালা তো বলেছেন যে- ‘‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি (আল্লাহ) তোমাদের সাথেই আছেন।’’ (সূরা হাদীদ, ৪) প্রকৃতপক্ষে এখানে মহান রব তার জ্ঞান সকলের সাথে আছে তাই বুঝিয়েছেন। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম সুয়ূতি রহঃ উল্লেখ করেন- ‘‘ইমাম বায়হাকী রহঃ তাঁর ‘আসমাউ ওয়াল সিফাত’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ইমাম সুফিয়ান সাওড়ী রহঃ কে এই আয়াতের ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আল্লাহর জ্ঞান তোমাদের সাথে আছে তা মহান রব বুঝিয়েছেন।’’ (আদ-দুররুল মানছুর, ৮/৪৯পৃষ্ঠা, তাফসিরে রুহুল মা‘আনী, ২০/৩০৫পৃষ্ঠা, আসমাউ ওয়াল সিফাত, ২/৪৪৮পৃষ্ঠা, ক্রমিক: ৮৭০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম সুয়ূতি রহঃ আরো উল্লেখ করেন- ‘‘ইমাম আবু হাতেম রহঃ সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের ব্যাপারে সম্যক অবগত।’’ (আদ-দুররুল মানছুর, ৮/৪৯পৃষ্ঠা, আলূসী, তাফসিরে রুহুল মা‘আনী, ২০/৩০৫পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) বলেন -‘‘আল্লাহর কুদরত (ক্ষমতা) এবং জ্ঞান সর্বত্র উপস্থিত।’’ (ইমাম লালকায়ী, ই‘তিক্বাদে আহলে সুন্নাহ, ৩/৪০১পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‘‘তোমার কোন স্থানে যদি তিনজন থাক চতুর্থজন হিসেবে তিনি (মহান আল্লাহ) থাকেন।’’ (সূরা মুজাদালাহ, ৭) ইমাম ইবনু জারীর আত-তাবারী রহঃ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন- ‘‘তাঁর (আল্লাহর) ইলমের মাধ্যমে তাদেরকে প্রত্যক্ষ করেন।’’ (জামি‘উল বায়ান ফী তা‘ভীলিল কুর‘আন, ২২/৪৬৮পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম সুয়ূতি রহঃ তাবেয়ী যাহ্হাক রহঃ হতে বর্ণনা করেছেন-‘‘তাঁর জ্ঞান তোমাদের (চতুর্থজন হিসেবে) সকলের সাথে আছে।’’ (আদ-দুররুল মানছুর, ৮/৭৯পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম বায়হাকী রহঃ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন- ‘‘আমরা যে সব আয়াত লিপিবদ্ধ করেছি তা দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, জাহমিয়্যাদের মধ্যে যারা মনে করে যে, আল্লাহ তা‘য়ালা সত্তাগতভাবে প্রত্যেক স্থানে বিদ্যমান রয়েছেন-তা অমূলক। ‘তিনি তোমাদের সাথেই থাকেন, তোমরা তোমরা যেখানেই থাকনা কেন’ (সূরা হাদিদ, ৪)- আল্লাহ তা‘য়ালার এ কথাটিতে তাঁর জ্ঞানকেই বোঝানো হয়েছে; তাঁর সত্তাকে নয়।’’ (আল-ই‘তিকাদ, ১১৪ পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বিশিষ্ট মুফাসসির আবূ হাইয়ান আল-আন্দালুসী রহঃ এবং আল্লামা মাহমুদ আলূসী রহঃ এই আয়াতের তাফসিরে লিখেন- ‘‘এ আয়াতের উক্ত ব্যাখ্যায় ব্যাপারে উম্মাতের সকলেই ঐকমত্য পোষণ করেছেন। এ আয়াতের বাহ্যিক অর্থ (অর্থাৎ প্রত্যেক কিছুর সাথে সত্তাগতভাবে আল্লাহর বিদ্যমান থাকা) উদ্দেশ্য নয়।’’ (আল-বাহরুল মুহীত, ১০/১০১পৃষ্ঠা, রুহুল মা‘আনী, ১৪/১৬৮পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একদিন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এঁর উস্তায ইমাম সা‘ঈদ ইবনু ‘আমির আদ-দুবাঈ রহঃ এঁর নিকট একবার জাহমিয়্যাদের কথা উঠলো। তখন তিনি বললেন- ‘‘তারা তো ইয়াহুদী-খৃস্টানদের চাইতেও নিকৃষ্ট কথা বলে।’’ (ইমাম বুখারী, খালকু আফ‘আলিল ইবাদ, ৩০পৃ, যাহাবী, আল-‘উলুয়ু, ১৫৮পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ অধিক অবগত আছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভুলত্রুটিসমূহ ক্ষমা করুক, সকলকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দান করুক।</div>

আল্লাহ সম্পর্কে কতিপয় আকীদা

আল্লাহ সম্পর্কে কতিপয় আকীদা, যা জেনে নেয়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরী কৃতঃ মুহাম্মদ রাকিব আত্তারী --- 🔸উপরের দিককে ইঙ্গিত করে আল্...

Read more »

শানে গাউছে মাইজভান্ডারি (رحمة الله)

<div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">শুন গাউছে ধন,</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">বুঝেনা বুঝেনা অবুঝ মন। </div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">কি প্রেমে মজাইলা মোরে, </div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">কোন সে মায়ার-ই বাধন।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><br></div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">কোন্ মুখে ডাকব মুর্শিদ? </div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"> আমি বড় গুনাগার। </div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"> পাপে তাপে ডুবে আছি</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"> ক্বলব আমার অন্ধকার।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">দয়ার নজর দাও গো মোরে</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">দিল কর নুরে রওশন।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><br></div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"> ভয়-ভীতি নাই হতাশা</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"> বলে প্রভু রাব্বানা।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"> মোস্তাফার প্রেমের শরাব</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">কেন আমায় দিবা না?</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">দাও না দাও রইবো পড়ে</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">ছাড়িবনা পাক চরণ।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><br></div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">গাউছিয়তের মুকুটধারী </div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">প্রাণ মুর্শিদ ভান্ডারী।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">তব দাসে যায় বিনাশে</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">শা'নেতে আঘাত করি।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">বাঁচাইতে মিনতি করি</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">দোহাই পাক পাঞ্জাতন।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><br></div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;">রচনাকাল- ৩ জানুয়ারি ২০২১ ঈসায়ী। রাত ৮ টা। হযরত কেবলার দরবারে।</div><div dir="auto" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSZIAZnnCuGducgvbDGY-igBfT98LFTS3yt57lY2i0wttSfwkcHN9ZA5aKJej0rDluQRv3UkfBp1hBOZ8HjEPBb6Zq7ekfIz9Y4IEc2J6ewy39268tQseaC9dafRpUJyD66XhSSXOYQrA/s1600/FB_IMG_1615400720472.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="769" data-original-width="1080" height="227" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSZIAZnnCuGducgvbDGY-igBfT98LFTS3yt57lY2i0wttSfwkcHN9ZA5aKJej0rDluQRv3UkfBp1hBOZ8HjEPBb6Zq7ekfIz9Y4IEc2J6ewy39268tQseaC9dafRpUJyD66XhSSXOYQrA/s1600-rw/FB_IMG_1615400720472.jpg" width="320"></a></div><br></div>

শানে গাউছে মাইজভান্ডারি (رحمة الله)

শুন গাউছে ধন, বুঝেনা বুঝেনা অবুঝ মন। কি প্রেমে মজাইলা মোরে, কোন সে মায়ার-ই বাধন। কোন্ মুখে ডাকব মুর্শিদ? আমি বড় গুনাগার। ...

Read more »

হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে "রসূলে পাক" বলা যাবে কিনা?

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiE0cKLa-IjuvoXHX78VYApbvnI_LKvPEAYPUjqUki03-p_XKDFquX9eJjEYXnggakn73cDseFkDR59yuVxeaNm4ugLGfk2ynKtcVx-xRVNtk12HT8RHxjYA_R_1MOyYQ9Xs0Arld9I6O8/s1600/FB_IMG_16156313803263825.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="677" data-original-width="488" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiE0cKLa-IjuvoXHX78VYApbvnI_LKvPEAYPUjqUki03-p_XKDFquX9eJjEYXnggakn73cDseFkDR59yuVxeaNm4ugLGfk2ynKtcVx-xRVNtk12HT8RHxjYA_R_1MOyYQ9Xs0Arld9I6O8/s1600-rw/FB_IMG_16156313803263825.jpg" width="230"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে "রসূলে পাক" বলা যাবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ছোটবেলা থেকে আমরা নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম নেয়ার সময় "রসূলে পাক" সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলে থাকি।এর জন্য কখনো কোরআন, হাদিসের দলিলের প্রয়োজন মনে করিনি।কিন্তু সম্প্রতি একটি মাহফিলে এক ভাই না'তে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  পড়ার সময় "রসূলে পাক" শব্দটা ব্যবহার করলে সেখানে গন্ডগোল সৃষ্টি হয়।একজনকে বলতে শুনলাম "রসূল কি পাক" নাউজুবিল্লাহ...দাঁড়ি, টুপি </div><div style="text-align: justify;">,পাঞ্জাবি পড়া একজনকে মাইকে এসে বলতে শুনলাম এটা শুরুর সময় আমরা নিষেধ করতে চেয়েছিলাম, তিনি বাধা সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান এবং "রসূল পাক" শব্দটা মাহফিলে ব্যবহার করার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান...</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চলুন দেখি সৃষ্টজগৎতের শ্রেষ্ঠ নবী ও রসূল, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে "রসূলে পাক" বলা যাবে কিনা? </div><div style="text-align: justify;">পাক মানে পবিত্র।"রসূলে পাক" মানে রসূল পবিত্র।এখন যারা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে "পাক" মনে না করেন  তারা কি "নাপাক" মনে করেন? (নাউজুবিল্লাহ) কারণ যাই পাক নয় তাই নাপাক।এখন কেউ যদি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে "নাপাক"  (নাউজুবিল্লাহ)  বলে তার ইমান থাকবে কিনা তার জবাব মুফতিগণ দিবেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এখন আমরা দুইটা বিষয়ের উপর নজর দিব</div><div style="text-align: justify;">১. রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাক মানতে হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;">২. রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে "পাক" বললে শিরক হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমার ছোট দৃষ্টিকোন থেকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাক বলাও আল্লাহর একটা শান বর্ণনা করা।কারণ আল্লাহ পাক নবী রসূলদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।মানুষকে অসৎ পথ থেকে সৎ পথে আনার জন্য,অপবিত্রতা বর্জন করে পবিত্রতা অর্জনের পথ দেখানোর জন্য।প্রতিনিধি যদি পবিত্র না হয় তাহলে তিনি পবিত্র পথে আহবান করবেন কি করে?আমাদের নবী তো সেই নবী, যিনি মিষ্টি খাওয়া না কমিয়ে বালককে মিষ্টি খেতে নিষেধ করেননি।তাছাড়া আল্লাহ পাক আমার নবীকে হাবিবুল্লাহ বলেছেন,আর আল্লাহর হাবিবুল্লাহকে নাপাক বললে(যেহেতু যাই পাক নয় তাই নাপাক) ঈমান থাকবে কিনা তার জন্য আবারও মুফতিগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আসুন এবার অন্যদিকে দেখি।অনেকে বলে যেহেতু আল্লাহর শানে আমরা "আল্লাহ পাক" শব্দটা ব্যবহার করি তাহলে সে পাক শব্দ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে ব্যবহার করে "রসূল পাক" বললে শিরক হবে কিনা?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দেখুন!রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে প্রশ্ন তোলা আবু জাহেলে চরিত্রের একটি।আল্লাহ হচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা আর বাকি সব হচ্ছে সৃষ্টি।</div><div style="text-align: justify;">"পাক " শব্দটা সৃষ্টিকর্তার শানে বসলে এর অর্থ হবে আল্লাহ সব রকম সৃষ্টিজৎতে বা সৃষ্টির যত চিন্তাভাবনা সব গুলো থেকে পাক। আর যখন এ পাক শব্দটা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে ব্যবহার হবে তখন এর অর্থ হবে আল্লাহর রসূল সকল অপবিত্র থেকে পাক।কারণ তিঁনি সৃষ্টিজগৎতে স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি, তিনি হাবিবুল্লাহ।আর "আল্লাহপাক" বলার কারণে যারা বলে রসূলে পাক বলা যাবে না তারাও বলে আমার কাপড় পাক আছে, আমার শরীর পাক আছে!আপনার কাপড়ের সাথে পাক লাগান আপত্তি নাই,আপনার শরীরের সাথে পাক লাগান সমস্যা নাই নবীজির সাথে পাক লাগালেই সমস্যা?</div><div style="text-align: justify;">মহান আল্লাহ কোরআনে পাকের, সূরা সাফ এর ৮ নং আয়াতের বলেন " তারা চায় আল্লাহর নূরকে মুখের ফুৎকার দিয়ে নিভিয়ে দিতে,আর আল্লাহ তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ করবেনই,যদিও অপছন্দ করে কাফিরগণ"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সবাই কে বুঝার তৌফিক দান করুক, আমিন।।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">লেখক-মুহাম্মদ শওকত হোসেন চৌধুরী রিপন</div><div style="text-align: justify;">চন্দনাইশ,চট্টগ্রাম। </div>

হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে "রসূলে পাক" বলা যাবে কিনা?

হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে "রসূলে পাক" বলা যাবে কিনা? ছোটবেলা থেকে আমরা নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম নেয়ার ...

Read more »

আল ইসরা ওয়াল মি'রাজ সম্পর্কিত বিবিধ বিষয়াবলির একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ

<div style="text-align: justify;"><b><br></b></div><div><div style="text-align: justify;"><b><br></b></div><b><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgsoWgp0pr-Oztb7C02MEOqo9W3Q5AWZlBIpr6esUtQyYH6v0przKxeJ-3SpfV9y5AB_bqNF3Kwq_A_MCzcSW5ZqdmaB2pZr8Ke412QYYa31lNL1AaRsIGo6AXuBRykgJYd-Btv4Up-hKZ8/s1600/27da4d0504b93c116cdf0709201cdf7c.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="491" data-original-width="735" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgsoWgp0pr-Oztb7C02MEOqo9W3Q5AWZlBIpr6esUtQyYH6v0przKxeJ-3SpfV9y5AB_bqNF3Kwq_A_MCzcSW5ZqdmaB2pZr8Ke412QYYa31lNL1AaRsIGo6AXuBRykgJYd-Btv4Up-hKZ8/s1600-rw/27da4d0504b93c116cdf0709201cdf7c.jpg" width="320"></a></div></b></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b>ইসরার প্রসিদ্ধ তারিখঃ______________</b></div><div style="text-align: justify;"><b><br></b></div><div style="text-align: justify;">➤ হাফেজ আবদুল গণী মাকদেসী হাম্বলী রহ. বলেন-</div><blockquote style="text-align: justify;"> <i><b>كان الإسراء ليلة السابع والعشرين من رجب</b></i></blockquote><div style="text-align: justify;">২৭ রজব রাত্রে ইসরা সংঘটিত হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">—উমদাতুল কারী শরহে বুখারী,৪/৩৯,ইমাম বদরুদ্দীন আইনী রহঃ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ আল্লামা ইবনে খাল্লিকান রহ. বলেন-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>وكان تسلمه (البيت المقدس) في يوم الجمعة السابع والعشرين من رجب، وليلته كانت ليلة المعراج المنصوص عليها في القرآن الكريم .</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">(وفيات الأعيان لإبن خلكان (المتوفى: 681هـ) ج7, ص179, طبع دار صادر , بيروت – لبنان )</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বা, সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়ূবী রহ. এর হাতে বাইতুল মোকাদ্দাস সমর্পন করার রাত্রি ছিল ২৭ রজব জুমুআর রাত্রি। এটি ছিল মেরাজের রাত, যার উপর কুরআনের নস বিদ্যমান। [ওয়াফিআতুল আইয়ান, ৭/১৭৯]<br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী রহ. বলেন-</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>ليلة الإسراء_ وهى ليلة سبع وعشرين من رجب ليلة الاثنين وعليه عمل الناس .</i></b><br></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">تفسير روح البيان للإمام إسماعيل حقي —</div><div style="text-align: justify;">(المتوفى: 1127هـ)ج 5, ص 103, طبع دار الفكر بيروت – لبنان )</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">লাইলাতুল ইসরা হল রজব মাসের ২৭ তারিখ রোববার দিবাগত রাত।এর উপরই মানুষগণ আমল করে আসছে।</div><div style="text-align: justify;"> [তাফসীরে রূহুর বায়ান-৫/১০৩]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤আল্লামা তাহতাভী হানাফী রহ. বলেন-</div><blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><b><div style="text-align: justify;"><b style="font-size: 1.25em;"><i>ليلة المعراج — قيل ليلة سبع وعشرين من رجب وعليه العمل في جميع الأمصار وجزم به النووي في الروضة تبعا للرافعي .</i></b></div></b></blockquote><div style="text-align: justify;"><b><i>(</i></b>حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح ج1,ص 114, طبع المطبعة الكبرى الأميرية ببولاق – مصر )</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শবে মেরাজ বলা হয় রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতকে। এটিই সকল শহরে গৃহীত এবং এর উপর ইমাম নববী রহ. দৃঢ় মতামত দিয়েছেন। [হাশিয়াতুত তাতাভী আলা মারাকিউল ফালাহ, ১/১১৪]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ. বলেন-</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>ليلة سبع وعشرين منه (رجب) وهي ليلة المعراج</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">(إحياء علوم الدين للإمام الغزالي (المتوفى: 505هـ) ج1, ص 361, طبع دار المعرفة – بيروت لبنان )</div><div style="text-align: justify;">রজবের ২৭তম রাত্রি সেটি মেরাজের রাত [এহইয়াউ উলুমুদ্দীন, ১ম খন্ড, পৃ.-৩৬১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ ইমাম নববী রহ. বলেন-</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>ليلة الإسراء بمكة بعد النبوة بعشر سنين وثلاثة أشهر ليلة سبع وعشرين من رجب .</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">(روضة الطالبين للإمام النووي ج 10, ص 206, طبع المكتب الإسلامي، بيروت- دمشق )</div><div style="text-align: justify;">লাইলাতুল ইসরা মক্কায় নবুওয়াতের ১০ বছর ৩ মাস পর রজব মাসের ২৭ তারিখ। [রওজাতুত তলেবীন, খন্ড-১০, পৃ.-২০৬] অবশ্য ওনার ভিন্ন মতও আছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ আল্লামা ইবনে কাছির রহ. বর্ণনা করেন-</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>قَدِ اخْتَارَهُ الْحَافِظُ عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ سُرُورٍ الْمَقْدِسِيُّ فِي سِيرَتِهِ وَقَدْ أَوْرَدَ حَدِيثًا لَا يَصِحُّ سَنَدُهُ ذَكَرْنَاهُ فِي فَضَائِلِ شَهْرِ رَجَبٍ أَنَّ الْإِسْرَاءَ كَانَ لَيْلَةَ السَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ رَجَبٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ-</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">হাফেজ আবদুল গনী বিন সুরূর মাকদেসী তার সীরাত গ্রন্থে ২৭ রজব মেরাজুন্নবী হওয়ার বিষয়টি গ্রহণ করেছেন। (যদিও সনদ সহিহ নয়) [আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ৩/১০৯]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ আল্লামা আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী রহ. বলেন-</div><blockquote style="text-align: justify;"><i style="">قلت: وقد كان في ليلة سبع وعشرين من رجب.</i></blockquote><div style="text-align: justify;">(الوفاء بتعريف فضائل المصطفى للإمام أبي الفرج عبد الرحمن الجوزي (المتوفى :597هـ) ج1, ص 162, طبع دار المعرفة بيروت ـ لبنان )</div><div style="text-align: justify;">আমি বলি মেরাজ সংঘটিত হয়েছে রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতে। </div><div style="text-align: justify;">[আল ওয়াফা বি আহওয়ালে মোস্তফা, ১/১৬২]</div><div style="text-align: justify;">[আল মুন্তাযিম ফিত তারিখিল উমুমি ওয়াল মুলক,৩/২৬,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ আল্লামা আবদুল বাকী যুরকানী রহ. বলেন-</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>كان ليلة السابع والعشرين من رجب" وعليه عمل الناس، قال بعضهم: وهو الأقوى، فإن المسألة إذا كان فيها خلاف للسلف ولم يقم دليل على الترجيح واقترن العمل بأحد القولين أو الاقوال، وتلقى بالقبول فإن ذلك مما يغلب على الظن كونه راجحا.</i></b></blockquote><blockquote style="text-align: justify;">"و<b><i>" لذا "اختاره الحافظ عبد الغني" ابن عبد الواحد بن علي "بن سرور المقدسي"</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">শবে মেরাজ ২৭ রজব রাত্রে, এটিই মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য। কেউ কেউ বলেন এটিই অধিক শক্তিশালী মত।</div><div style="text-align: justify;"> [শরহুয যুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ২/৭১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ আল্লামা আবদুল হাই লাখনবী রহ. বলেন-</div><blockquote style="text-align: justify;"><i><b>هو أمر مختلف فيه بين المحدثين والمؤرخين فقيل كان ذلك في ربيع الأول وقيل في ربيع الآخرة وقيل في ذي الحجة وقيل في شوال وقيل في رمضان وقيل في رجب في ليلة السابع والعشرين وقواه بعضهم</b></i></blockquote><div style="text-align: justify;">এটি মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদপূর্ণ বিষয়। কেউ বলেন মেরাজ রবিউল আউয়ালে সংঘটিত হয়েছে, কেউ বলেন রবিউস সানীতে, কেউ বলেন জিলহজ্জ মাসে, কেউ বলেন শাওয়াল মাসে আবার কেউ বলেন রমজান মাসে, কেউ বলেন রজব মাসের ২৭ তারিখ রাত্রে এটিকেই কেউ কেউ শক্তিশালী মত বলেছেন। [আছারুল মারফূআ, ১/৭৭] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b><i>রব তা'য়ালার দর্শন সম্পর্কেঃ—</i></b></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ রাসুলে আকরাম ﷺ এরশাদ করেনঃ</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>فَرَأَيْتُ رَبِّي فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ <br></i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেনঃ "অতঃপর আমি আমার প্রতিপালককে সুন্দরতম অবস্থায় দেখেছি"।</div><div style="text-align: justify;">(১।তিরমিযী শরিফ, ৫/৩৪৩ পৃ. হা/৩২৩৫,কিতাবু তাফসিরীল কোর'আন,বাব মা জা আ ফি তাফসিরে সুরাতিস সোয়াদ</div><div style="text-align: justify;">২।মিশকাত, ১/৭১ পৃ. হাদিস:৭৪৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম তিরমিযী হাদিসটি সংকলন করে বলেনঃ</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏</i></b><br></blockquote><div style="text-align: justify;">"এ হাদিসটি হাসান, সহীহ। আমি ইমাম বুখারীকে এ হাদিসের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ হাদিসটি সহীহ।"</div><div style="text-align: justify;">(তিরমিযী শরীফ, ৫/৩৪৩ পৃ. হাদিস:৩২৩৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ২: </div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>حدثنا عبد الله حدثني أبى ثنا أسود بن عامر ثنا حماد بن سلمة عن قتادة عن عكرمة عن بن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : رأيت ربي تبارك وتعالى</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">রাসুলে আকরাম ﷺ এরশাদ করেনঃ </div><div style="text-align: justify;">"আমি আমার রব আল্লাহকে দেখেছি"।<br></div><div style="text-align: justify;">(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৫৮০, সুনানে কুবরা নাসায়ী, হাদীস নং-১১৪৭৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস ৩ঃঃ</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ رَاَيْتُ رَبِّىْ عَزَّ وَجَلَّ فِىْ اَحْسَنِ صُوْرَةٍ</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেনঃ </div><div style="text-align: justify;">"আমি আমার প্রতিপালককে সুন্দরতম অবস্থায় দেখেছি"।</div><div style="text-align: justify;">(১.মিশকাত, হাঃ ৭২৫</div><div style="text-align: justify;"> ২.সুনানে দারেমী, হাঃ ২১৪৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> <b>সাহাবীদের থেকে মওকুফ সনদে সহিহ হাদিসসমূহঃ </b></div><div style="text-align: justify;"><b><br></b></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ৪ঃ—</div><div style="text-align: justify;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ<br></div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>إن محمد ﷺ رأي ربه مرئين : مرة بصره،و مرة بفؤاده</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">"রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ'কে দুইবার দেখেছেন, একবার স্বচক্ষে, আরেকবার অন্তর দ্বারা।"</div><div style="text-align: justify;">[১।মু’জামুল আওসাত, ৫৭৬১</div><div style="text-align: justify;"> ২।মু'জামুল কাবীর, হাদীস নং- ১২৫৬৪]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদীস ৫ঃঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><i><b>ابن عباس : رأيت ربي عز وجل ليس كمثله شيء</b></i></blockquote><div style="text-align: justify;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ </div><div style="text-align: justify;">"আমি আমার রব আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছি, কিন্তু তাঁর কোন তুলনা নেই।" </div><div style="text-align: justify;">(ইমাম দায়লামী,আল ফেরদাউস, হাঃ ৩১৮৩) [সনদ সহিহ ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ৬ঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ </div><div style="text-align: justify;">"নবীজী ﷺ তাঁর রবকে দেখেছেন"। </div><div style="text-align: justify;">(ইমাম ইবনে আসেম, আস সুন্নাহ, হাঃ ৪৪৪) [সনদ সহিহ] </div><div style="text-align: justify;">হাফেজুল হাদিস ইমাম শাবী, প্রসিদ্ধ তাবেয়ী ইকরামা হতে সাহাবি ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে অতি শক্তিশালী সনদে হাদীস বর্ণনা করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ৭ঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ </div><div style="text-align: justify;">" নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'য়ালা ইব্রাহিম (আঃ)'কে খলীল বানিয়েছেন, মুসা (আঃ)'এর সাথে কথা বলেছেন, আর নবীজীকে দীদার (দর্শন)  দিয়েছেন"। </div><div style="text-align: justify;">(ইমাম ইবনে আসেম, আস সুন্নাহ, হাঃ ৪৪৫) [সনদ সহিহ] বুখারী–মুসলিমের মওকুফ শর্তে</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ৮ঃ হযরত আনাস (রাঃ) বলেনঃ </div><div style="text-align: justify;">"নিশ্চয়ই মুহাম্মদ ﷺতাঁর রব আল্লাহ তা'য়ালাকে দেখেছেন।" </div><div style="text-align: justify;">(ইমাম বায্যার, আল মুসনাদ, হাঃ ৭১৬৫, ইমাম ইবনে খুজায়মা, ২৮৮৯) [সনদ হাসান]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ৯ঃ হযর‍ত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ এরশাদ করেনঃ</div><div style="text-align: justify;">"আমার নিকট মহান রব আল্লাহ রাতে (মেরাজের রাতে) উত্তম আকৃতিতে আগমন করেছিলেন।" </div><div style="text-align: justify;">(মুসনাদে আহমদ, হাঃ ৩৪৮৪,২২১৬২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ১০ঃ</div><div style="text-align: justify;">(শাসক) মারওয়ান ইবনে হাকাম একদা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'কে জিজ্ঞাসা করলেন, "মুহাম্মদ ﷺ  কি আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছেন?  তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ দেখেছেন"।</div><div style="text-align: justify;">[ইমাম কাযী আয়াজ, আশ শিফা বি তা'রিফে হুকুকিল মুস্তাফা (ﷺ),২৪৮ পৃঃ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> <b>মাকতু' সূত্রে তাবেয়ী হতে সহিহ সনদে হাদিসসমূহঃ </b></div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ১১ঃ  হযরত হাসান বসরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন তিনি কসম করে বলেছেনঃ </div><div style="text-align: justify;">"নিশ্চয়ই রাসূল ﷺআল্লাহ তা‘য়ালাকে দেখেছেন।" </div><div style="text-align: justify;">(ইমাম আব্দুর রায্যাক, আত-তাফসির, ৩/২৫১ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩০৩৩) [সনদ সহিহ]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">➤ হাদিস নং ১২ঃ হযরত তাবেয়ি শারিক (রহঃ) হযরত আবু যর গিফারী রাঃ হতে বর্ণনা করেনঃ </div><div style="text-align: justify;">"অত্র আয়াত (হৃদয় যা দেখেছে তা মিথ্যা নয়) প্রসঙ্গে যে, হুযুরﷺ আল্লাহ তা‘য়ালার দর্শন লাভ করেছেন।"</div><div style="text-align: justify;">(কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ১/১১৬ পৃষ্ঠা, মোল্লা আলী ক্বারী : শরহে শিফা : ১/৪২৬ পৃ.)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> পূর্বের ইমামদের মত ও আয়েশা (রাঃ) এর হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যাঃ</div><div style="text-align: justify;">➤ ইমাম কাজী আয়াজ (রহঃ)'এর অভিমতঃ </div><div style="text-align: justify;">"তিনি বলেন, সত্য কথা হলো আকলের দিক থেকে এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করার কোন অবকাশ নেই যে, দুনিয়াতে তিনি আল্লাহর দীদার লাভ করেছেন। আর আকলের দিক থেকে বিরূপ কোন প্রমাণও নেই যে, এরূপ হওয়া অসম্ভব।"</div><div style="text-align: justify;">(কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ১/১১৮  পৃষ্ঠা, আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী : শরহে শিফা : ১/৪২৯  পৃষ্ঠা,)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ ইমাম নববী (রহঃ)'এর অভিমতঃ </div><div style="text-align: justify;">"অধিকাংশ ওলামার নিকট এই মতই প্রাধান্য পেয়েছে যে, নবী করীম ﷺ  মি‘রাজের রজনীতে স্বীয় প্রতিপালককে তাঁর কপালের চক্ষু দ্বারা দেখছেন। যেমনটি ইবনে আব্বাস রাঃ এর হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। এই বিষয়ে যারা (সাহাবীরা) রাসূলে পাক হতে মি‘রাজের সময় (মি‘রাজের ঘটনা) শ্রবণ করেছেন কেবল তাদের অভিমত ছাড়া বাকি অভিমত (যেমন মা আয়েশার অভিমত; কেননা তিনি তখন খুব ছোট ছিলেন) গ্রহণ করা হবে না।"</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম নববী : শরহে মুসলিম : ৩/৫ পৃষ্ঠা, দারু ইহ্ইয়াউত তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন, ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহেব : ৬/১১৬পৃ,)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤ ইমাম গাজালী (রহঃ)'এর অভিমতঃ </div><div style="text-align: justify;">আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) লিখেনঃ</div><div style="text-align: justify;">"ইমাম গায্যালী (রহঃ) ‘ইহইয়াউল উলূমে’ বলেন, বিশুদ্ধ অভিমত হলো, মি‘রাজের রজনীতে রাসূল আল্লাহ্ তা‘য়ালাকে দেখেছেন।"</div><div style="text-align: justify;">(আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী : শরহে শিফা : ১/৪২৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b>ফযিলতে মেরাজঃ</b></div><div style="text-align: justify;"><b><br></b></div><div style="text-align: justify;">Al-Isra has been depicted in Quranulkareem on the Chapter of Al-Suratul Isra (or, Bani Israeel).A person who refuses to go from the Masjid al-Haram to the Baitul Muqaddas is considered a Kafir. The  I'raaj, refers that the, prophetic ascension to the upper sky has been proved by 'Hadith Al-Ahad's or 'Mutawatir's.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤Date of Al-Isra Night:-</div><div style="text-align: justify;">Allama Hafiz Ibn Kathir mentioned that, </div><blockquote style="text-align: justify;"><i><b>ان الاسراء كان ليلة السابع والعشرين من رجب، وقد اختاره الحافظ عبد الغني بن سرور المقدسي في سيرته والله اعلم</b></i></blockquote><div style="text-align: justify;">translation: Surely Al-Isra took place on the 27th night of the month of Rajab and it has been given priority by Hafizul-Hadith Allama Abdul Ghani Ibn Sarur Al Maqdisi in his book Sirat.Allah knows best.</div><div style="text-align: justify;">[★Al-Bidaya Wan-Nihaya,2/116,Ibn Kathir</div><div style="text-align: justify;">★Al-Siratun Nawawiyah 2/93,Ibn Kathir</div><div style="text-align: justify;">★Umdatul Qari,4/59,Imam Badr-Uddin A'inee</div><div style="text-align: justify;">★Imaa al-asma, 10/338, Imam Taqiuddin Muqrezi</div><div style="text-align: justify;">★Nujhatul Majalis,1/144,Allama Abdir Rahman Sufuri Shafi'i]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam Al-Haramain (Imam of the both Harams) Allama Ismail Haqqi Hanfi mentioned that,</div><blockquote style="text-align: justify;"><i><b>وكان الاسراء ليلة السابع والعشرين من رجب علي ما عليه الاكثر في السنة الثانية عشرة من النبوة قبل الهجرة،</b></i></blockquote><div style="text-align: justify;">translation:The Mi'raj Sharif of the Prophet took place on the 27th of Rajab in the twelfth year of the Prophethood. On which the majority has an opinion.</div><div style="text-align: justify;">(Tafsir Al-Ruuh Al-Bayan,4/654)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤➤Fazail of 27th Rajab:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Hujjatul Islam Imam Gazali mentioned 15 holy nights, <b>on the chapter of ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻻﻳﺎﻡ ﺍﻟﻔﺎﺿﻠﺔ, in his famous 'Ihiya Ulum Ad-Din'.</b>He mentioned here,27th Rajab is the holy night when Al-Isra Wal-Mi'raj took place.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Some form of  Nafl-Prayer proven by 'Hasan' graded Hadith:—</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Hadith #1:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><blockquote style="text-align: justify;"><i><b>ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻧﻪ ﻗﺎﻝ : ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻟﻴﻠﺔ ﻛُﺘﺐ ﻟﻠﻌﺎﻣﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﺣﺴﻨﺎﺕُ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﺫﻟﻚ ﻟﺜﻼﺙ ﺑﻘﻴﻦ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ، ﻓﻤﻦ ﺻﻠَّﻰ ﻓﻴﻪ ﺍﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ، ﻳﻘﺮﺃ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺭﻛﻌﺔ ﻓﺎﺗﺤﺔ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ، ﻭﺳﻮﺭﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻳﺘﺸﻬﺪ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺭﻛﻌﺘﻴﻨﻦ ﻭﻳﺴﻠﻢ ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻫﻦ، ﻭﻳﻘﻮﻝ ﺑﻌﺪ ﺻﻼﺗﻪ : ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ، ﻭﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ، ﻭﻳﺴﺘﻐﻔﺮ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ ، ﻭﻳﺼﻠﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ، ﻭﻳﺪﻋﻮ ﻟﻨﻔﺴﻪ ﻣﺎ ﺷﺎﺀ ﻣِﻦ ﺍﻣﺮ ﺩﻧﻴﺎﻩ ﻭﺁﺧﺮﺗﻪ، ﻭﻳﺼﺒﺢ ﺻﺎﺋﻤﺎً؛ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺴﺘﺠﻴﺐ ﺩﻋﺎﺀﻩُ ﻛﻠَّﻪ؛ ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ</b></i></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Narrated Anas bin Malik R.A narrated that, The Prophet (ﷺ) said: "There is a night in Rajab that has the reward of "Good deeds of 100 years"  for those who do good deeds.And that is the night of the 27th of Rajab. On this night, "12 rak'at" prayers will be offered, Surah Fatiha and another Surah in each rak'at and Attahiyatu will be recited after every two rak'ats.After completing Salat, "Subhallahi wal Hamdu lillahi wal ilaha illallahu Allahu Akbar" will be read for 100 times. Istigfar, that is, "Astagfirullah Rabbi Min Kulli Yambi Wa Atubu Ilahi La Hawla Wala Qawwata Illa Billahil Aliyil Azeem" will be recited 100 times.  Durood Sharif will be recited  100 times. And he will make du'a for whatever he wants in this world and in the hereafter and will fast during the day, but Allah will accept all his du'a, except for those du'a which are done for sin.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[★Shu'aab Al Iman,3/374,#3812,Imam Baihaqi</div><div style="text-align: justify;">★Fazailul Awqat,Hadith #12,Imam Baihaqi</div><div style="text-align: justify;">★Al-Jami Al-Ahadith,14/496,#14812, Imam Sayuti</div><div style="text-align: justify;">★Al-Durr Al -Manthur,4/139,Sura Bara'at verse 36,Imam Suyuti</div><div style="text-align: justify;">★Kanzul U'mmal,12/312,Hadith #35170,Imam Hindi</div><div style="text-align: justify;">★Tanziatus Shariah, 2/89,Imam A'raaqi</div><div style="text-align: justify;">★Majmuah al-Rasail, Al-Adabu Fi Shahriar Rajab page 48,Imam Ali Qari]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Hadith #2:</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺍﻟﻔﺎﺭﺳﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻳﻮﻡ ﻭﻟﻴﻠﺔ؛ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻴﻮﻡ، ﻭﻗﺎﻡ ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ؛ ﻛﺎﻥ ﻛﻤﻦ ﺻﺎﻡ ﺍﻟﺪﻫﺮ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﻗﺎﻡ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﻫﻮ ﻟﺜﻼﺙٍ ﺑﻘﻴﻦَ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">translation:Narrated from Hazrat Salman Farsi R.A he said: The Prophet ﷺ said: There is a day and a night in Rajab, whoever fasts on this day and pray salat at night, he will be rewarded as he fasted for "100 years" and prayed "100 years". And that is 27th date of Rajab.</div><div style="text-align: justify;">[★Shu'ab Al Iman, 3/374,3811</div><div style="text-align: justify;">★Fazailul Awqat,Hadith #11</div><div style="text-align: justify;">★Al-Guniah,p 240,Shykh Abdil Qadir Geelani</div><div style="text-align: justify;">★Tafsir Durr Al Manthur,4/139,Imam Suyuti</div><div style="text-align: justify;">★Kanzul U'mmal,#35169</div><div style="text-align: justify;">★Al Muntakhabu Kanzul U'mmal, 2/362</div><div style="text-align: justify;">★Mausuatu Tareekh Islam,1/381, Muhammad Hadi Yusufi</div><div style="text-align: justify;">★Al-Jamiul Jawami,Vol 1,Baab Haraf Faa</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Hadith 3:</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﻳﻮﻡ ﺳﺒﻊ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ ﻛﺘﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﺻﻴﺎﻡ ﺳﺘﻴﻦ ﺷﻬﺮﺍً ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻟﺬﻱ ﺃﻫﺒﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻴﻪ ﺟﺒﺮﺍﺋﻴﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﺎﻟﺮﺳﺎﻟﺔ</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">translation:</div><div style="text-align: justify;">Narrated Abu Huraira R.A narrated that the Prophet ﷺ said: Whoever fasts on the 27th of Rajab, Allah will record the reward of fasting for 60 months, that is, five years.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[★Ihiya Ulumid Din,Chapter ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻻﻳﺎﻡ ﺍﻟﻔﺎﺿﻠﺔ , Imam Gazali</div><div style="text-align: justify;">★Al-Guniah,page 240,Shykh Abdil Qadir Geelani. Shykh Abdil Qadir Geelani narrated from his teacher Shykh Hubbatullah.Full Asanid is</div><blockquote style="text-align: justify;">[أخبرنا الشيخ أبو البركات هبة الله السقطي، قال أخبرنا الشيخ الحافظ أبو بكر أحمد بن على ثابت بن الخطيب، قال أخبرنا عبد الله ابن علي بن محمد بشير، قال أخبرنا علي بن عمر الحافظ، أخبرنا أبو بكر نصر بن جوشن ابن موسي الخلال، أخبرنا علي بن سعيد الديلمي، أخبرنا ضمرة بن ربيعة القرشي عن ابن شوذب عن مطر الوراق، عن شهر بن حوشب، عن أبي هريرة رضي الله عنه....الى اخر الحديث</blockquote><div style="text-align: justify;">★Al-Ithaf, 5/208</div><div style="text-align: justify;">★Al-Ma'ani Alaala 'Amalia Isfaar,1/367</div><div style="text-align: justify;">★Seerat Halabiya,1/384,Imam Burhanuddin Halabi</div><div style="text-align: justify;">★Mausuatu Tareekh Islam,1/381, Muhammad Hadi Yusufi.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">➤<b>An objection and its answer</b>:</div><div style="text-align: justify;">Imam Abul Hasan Ali,in his Tanzihus Sharia 20/161, commented on the hadith of Hazrat Salman R.A that,</div><blockquote style="text-align: justify;"><b><i>قال الحافظ ابن الحجر العسقلاني في تبعين العجب "هو ابن بسطام النميمي الهروري" رؤي عن جماعة من التابعين و ضعفه ابن معين،</i></b></blockquote><div style="text-align: justify;">translation:Hafizul Hadith Ibn Hajar Asqalani in his book "Tabeinul Ajab" says about Ibn Bustam An Namimi Al-Hajrami: He narrated this hadith from a group of Tabi'is and Ibn Mu'in called him Da'if.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">✪✪✪Reply:</div><div style="text-align: justify;">➤We have narrated the hadith from another chain that compiled in Al-Guniah,which has no Al-Hajrami in its chain.</div><div style="text-align: justify;">➤Imam Baihaqi reported in his Shu'ab,about  the hadith that,</div><blockquote style="text-align: justify;">و رؤي ذلك باسناد اخر اضعف</blockquote><div style="text-align: justify;">means,there is a another narration that contains a Da'if Rawi.</div><div style="text-align: justify;">That means,this chain is more effective than unprescribed one.</div><div style="text-align: justify;">In Usulul Hadith,whenever two or more than two acceptable chains get connected through the matn of the hadith, then the hadith would be graded as 'Hasan'.</div><div style="text-align: justify;">Hence,Nafl is proved.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Again, even if we take it for a while, it is weak,then the rule of weak hadith is:-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam Dhahabi reported that,</div><blockquote style="text-align: justify;"><i><b>قَالَ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ: جَمِيعُ الْحَنَفِيَّةِ مُجْمِعُونَ عَلَى أَنَّ مَذْهَبِ أَبِي حَنِيفَةَ أَنَّ ضَعِيفَ الْحَدِيثِ أَوْلَى عِنْدَهُ مِنَ الْقِيَاسِ وَالرَّأْيِ.</b></i></blockquote><div style="text-align: justify;">translation:I mam Abu Muhammad ibn Hazm said, "All Hanafi scholars agree that it is better for a scholar to follow the hadith of Dwaif Sanad than to have his own Qiyas and judgment."</div><div style="text-align: justify;">(Tarikhul Islam,3/990,SI:445,Hafiz Dhahabi)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam Nawawi said that,</div><blockquote style="text-align: justify;"><i><b>قد اتفق العلماء على جواز العمل بالحديث الضعيف فى فضائل الاعمال:مقدمة المؤلف</b></i></blockquote><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">The scholars have all agreed on this point that  Da'if Hadith is acceptable for Fayyil Amal.</div><div style="text-align: justify;">(★Arba'in,1/20;Imam Nawawi</div><div style="text-align: justify;">★Sharhe Arba'in,1/20,Imam Ibn Daqiq Al-I'id)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Where Da'if Hadith is so important, we have proved 'Hasan'. After that, I do not understand how the deviant people call it bid'at.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div>

আল ইসরা ওয়াল মি'রাজ সম্পর্কিত বিবিধ বিষয়াবলির একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ

ইসরার প্রসিদ্ধ তারিখঃ______________ ➤ হাফেজ আবদুল গণী মাকদেসী হাম্বলী রহ. বলেন-   كان الإسراء ليلة السابع والعشرين من رجب ২৭ রজব রাত্রে ইসরা...

Read more »

আল-বাতুলঃ ত্রৈমাসিক ইসলামিক পত্রিকা

<div class="separator" style="clear: both; text-align: left;"><span style="font-size: large;">🌏 <u style="border: 0px; color: #333333; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-align: justify; vertical-align: baseline;"><b style="border: 0px; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://drive.google.com/file/d/1XI-P4peK0JjHXtF90s_heNLLrFVoLMqf/view?usp=drivesdk" style="border: 0px; color: #0eb975; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">আল-বাতুল ১ম সংখ্যা </a></b></u></span></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;"><span style="font-size: large;"><u style="border: 0px; color: #333333; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-align: justify; vertical-align: baseline;"><b style="border: 0px; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://drive.google.com/file/d/1XI-P4peK0JjHXtF90s_heNLLrFVoLMqf/view?usp=drivesdk" style="border: 0px; color: #0eb975; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">(রবিউল আউয়াল)</a> </b></u><u style="border: 0px; color: #333333; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-align: justify; vertical-align: baseline;"><b style="border: 0px; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;">[<a href="https://drive.google.com/file/d/1XI-P4peK0JjHXtF90s_heNLLrFVoLMqf/view?usp=drivesdk" style="border: 0px; color: #0eb975; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-decoration-line: none; vertical-align: baseline;">2 MB</a>]</b></u></span></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;"><u style="border: 0px; color: #333333; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; text-align: justify; vertical-align: baseline;"><b style="border: 0px; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: bold; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><span style="font-size: large;"><br /></span></b></u></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: left;"><u style="border: 0px; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgeepA1XgOt_PYYnTvgWStkK5BhiIGFVCibCjbc_M8HSVA9EHuiMuTkgcnw0MGa6nE3UddUN7BuvnuwgBbHeuZDsbAa4MqWOZ5SISX_O5Mk2X_UPs7iRQ06dhVm_ZRrPk8uVbe-nW6beD8/s1600/FB_IMG_1615664327880.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="font-size: large;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="701" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgeepA1XgOt_PYYnTvgWStkK5BhiIGFVCibCjbc_M8HSVA9EHuiMuTkgcnw0MGa6nE3UddUN7BuvnuwgBbHeuZDsbAa4MqWOZ5SISX_O5Mk2X_UPs7iRQ06dhVm_ZRrPk8uVbe-nW6beD8/s1600-rw/FB_IMG_1615664327880.jpg" width="233" /></span></a></u></div><u style="border: 0px; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><div style="text-align: left;"><br /></div></u><p></p></div>

আল-বাতুলঃ ত্রৈমাসিক ইসলামিক পত্রিকা

🌏 আল-বাতুল ১ম সংখ্যা  (রবিউল আউয়াল) [ 2 MB ]

Read more »

পাঞ্জেগানা অজিফা pdf ডাউনলোড

<a href="https://u.pcloud.link/publink/show?code=XZPl8BXZiAtBaTLi6QS8p723K1t14hJJwNa7" target="_blank">নূরানী মুজমুয়ায়ে পাঞ্জেগানা অজিফা</a><a href="https://u.pcloud.link/publink/show?code=XZPl8BXZiAtBaTLi6QS8p723K1t14hJJwNa7"> </a><div><a href="https://u.pcloud.link/publink/show?code=XZPl8BXZiAtBaTLi6QS8p723K1t14hJJwNa7">ডাউনলোড লিংক ১</a></div><div><a href="https://drive.google.com/file/d/1W1pkJ_D-vUvWECSqQEllWG6SUvvxplZa/view?usp=drivesdk">ডাউনলোড লিংক ২</a><div><div>File Size 16 MB</div><div>Pdf by মাসুম বিল্লাহ সানি<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3Eg-E5kB16Ctiy1kJO2k-3xmZ7tVIP8ThebCwf3dspvwoXB12N6E2KfhdTRe4-4o9l7E6zw5jhH103RlFBBpLs9rLy3A8wfQsnO8TYxmEjNzeBzoYvcHwCn3lY97xJZwOBue2zaKpq6s/s1600/CamScanner+03-14-2021+01.18_1%25282%2529.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1224" data-original-width="816" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3Eg-E5kB16Ctiy1kJO2k-3xmZ7tVIP8ThebCwf3dspvwoXB12N6E2KfhdTRe4-4o9l7E6zw5jhH103RlFBBpLs9rLy3A8wfQsnO8TYxmEjNzeBzoYvcHwCn3lY97xJZwOBue2zaKpq6s/s1600-rw/CamScanner+03-14-2021+01.18_1%25282%2529.jpg" width="213"></a></div><br></div></div></div></div></div>

পাঞ্জেগানা অজিফা pdf ডাউনলোড

নূরানী মুজমুয়ায়ে পাঞ্জেগানা অজিফা   ডাউনলোড লিংক ১ ডাউনলোড লিংক ২ File Size 16 MB Pdf by মাসুম বিল্লাহ সানি

Read more »