সাহাবায়ে কেরামের নবীপ্রেম

<div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br></div></div><div>হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমি নাপিতকে দেখেছি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর চুল কাটছে আর সাহাবীরা তাঁর চতুর্পাশ ঘিরে রেখেছেন। তাঁরা চাইতেন যে, কোন চুল যেন মাটিতে না পড়ে তা যেন কারো না কারো হাতে পড়ে। (সহিহ মুসলিম ৫৯৩৭)</div><div><br></div><div>উরওয়াহ ইবনে মাসউদ (যিনি পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেন) কুরাইশদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন- </div><div><br></div><div>"হে আমার কওম, আল্লাহর কসম! আমি অনেক রাজা-বাদশাহর দরবারে প্রতিনিধিত্ব করেছি। কায়সার, কিসরা ও নাজাশী সম্রাটের দরবারে দূত হিসেবে গিয়েছি; কিন্তু আল্লাহর কসম করে বলতে পারি যে, কোন রাজা বাদশাহকেই তার অনুসারীদের মত এত সম্মান করতে দেখিনি, যেমন মুহাম্মাদের অনুসারীরা তাঁকে করে থাকে। </div><div><br></div><div>আল্লাহর কসম! আল্লাহর রসূল ﷺ যদি থুথু ফেলেন, তখন তা কোন সাহাবীর হাতে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে তারা তা তাদের গায়ে মুখে মেখে ফেলেন। তিনি কোন আদেশ দিলে তারা তা সঙ্গে সঙ্গে পালন করেন; তিনি ওযু করলে তাঁর ওযুর পানি নিয়ে সাহাবীগণের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়; তিনি কথা বললে, সাহাবীগণ নিশ্চুপ হয়ে শুনেন। এমনকি তাঁর সম্মানার্থে তারা তাঁর চেহারার দিকেও তাকান না। (সহিহ বুখারী ২৭৩২)</div><div><br></div><div>আবদুর রহমান ইবনু আবূ কুরাদ (রাঃ) বলেন, একদিন নবী ﷺ উযূ করলেন। সাহাবায়ে কিরাম তাঁর উযূর পানি স্বীয় শরীরে মর্দন করতে লাগলেন। নবী ﷺ তাঁদেরকে বললেনঃ কিসে তোমাদেরকে এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করল? সাহাবায়ে কেরাম বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ এঁর ভালবাসা। তখন নবী ﷺ বললেনঃ যার আন্তরিক বাসনা যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসবে অথবা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ তাঁকে ভালোবাসবেন, সে যেন যখন কথা বলে সত্য বলে, যখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা হয় সে তা যথারীতি ফেরত দেয় এবং যার প্রতিবেশী আছে, সে প্রতিবেশীর সাথে প্রতিবেশীসুলভ উত্তম আচরণ করে। [মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত), অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার (كتاب الآداب), হাদিস নম্বরঃ ৪৯৯০, শু‘আবুল ঈমান লিল বায়হাক্বী ১৫৩৩]</div><div><br></div><div>আবূ জুহায়ফা রাঃ বলেন, (একদা) আমাকে নবী ﷺ এঁর নিকটে নেয়া হল। নবী ﷺ তখন আবতাহ নামক স্থানে দুপুর বেলায় একটি তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। বেলাল (রাঃ) তাঁবু থেকে বেরিয়ে এসে যোহরের নামাজের আযান দিলেন এবং (তাঁবুতে) পুনঃপ্রবেশ করে নবী ﷺ এঁর ওযূর অবশিষ্ট পানি নিয়ে বেরিয়ে এলেন। সাহাবায়ে কেরাম এটা নেয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন। (সহীহ বুখারী ৩৫৬৬) </div><div><br></div><div>তিনি আরো বলেন, তারা তাঁর ওযূর পানির জন্য প্রতিযোগীতা করছে। কেউ সামান্য পানি পাওয়া মাত্র তা দিয়ে শরীর মুছে নিচ্ছে। আর যে পায়নি সে তার সাথীর ভিজা হাত হতে নিয়ে নিচ্ছে। (সহিহ বুখারী ৩৭৬)</div><div><br></div><div>নামাজ শেষে লোকজন দাঁড়িয়ে গেল এবং নবী ﷺ এঁর উভয় হাত ধরে তারা নিজেদের মাথা ও চেহারায় বুলাতে লাগলেন। (আবূ জুহায়ফা (রাঃ) বলেন) আমিও নবী ﷺ এঁর হাত মোবারক ধরে আমার চেহারায় বুলাতে লাগলাম। তাঁর হাত তুষার চেয়ে স্নিদ্ধ শীতল ও কস্তুরীর চেয়ে অধিক সুগন্ধ ছিল। (সহীহ বুখারী ৩৫৫৩)</div><div><br></div><div>জন্ম আমার নবীর যুগে হলে কেমন হতো!! </div><div>দু'নয়নে রাসূলে পাক (ﷺ) দেখলে কেমন হতো!!</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEifqJAWZI0q13nFAi5AJZMnpzwnHCADUohm3m2D6BnA5ZFrsfJhSle3fy0KZb7rQKE39SA6OLth6hf8ajCTpkc6wEko2H8UMPATefl7gcLxKDogYxXC9K3DVa9ZxJ9yFcU7oOSeGCgqUeZ5/s1600/Screenshot_20201025_101505.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1225" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEifqJAWZI0q13nFAi5AJZMnpzwnHCADUohm3m2D6BnA5ZFrsfJhSle3fy0KZb7rQKE39SA6OLth6hf8ajCTpkc6wEko2H8UMPATefl7gcLxKDogYxXC9K3DVa9ZxJ9yFcU7oOSeGCgqUeZ5/s1600-rw/Screenshot_20201025_101505.jpg" width="282"></a></div><br></div><div><br></div><div>যাঁর পরিবারবর্গকেও পবিত্র ঘোষণা করা হয়েছে, উনাকে নাকি পাক বলা যাবে না!! এমনকি দেখলাম রাসূলে পাক বলার কারণে এক মাহফিলে নাত শরীফ পরিবেশনে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আরো এক ভিডিও দেখতে পেলাম যেখানে আরেক নামধারী আহলে হাদিসপন্থী মৌলভী ড. ইমাম হুসাইন খুব সুন্দরভাবে রাসূলে পাক বলা যাবে না বলে অপব্যাখ্যা করল এবং ভিডিওটাতে খুব সুন্দরভাবে ইমাম হুসাইন রাঃ তথা আহলে বাইতের প্রতি তার বিদ্বেষ প্রকাশ পেল। আর না হয় স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা যাদের পবিত্র বলেছেন তাদেরকে পাক-পবিত্র বললে বা পাক পাঞ্জাতন বললে সমস্যা কোথায়!! হ্যা, সমস্যা তখন হবে যখন এই পাঁচজনের বাইরে উম্মাহাতুল মুমিনীনসহ আরো অন্যান্যদেরকে আহলে বাইত হিসেবে অস্বীকার করবে, পথভ্রষ্ট শিয়ারা যেমনটা করে।</div><div><br></div><div>সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতঃ "হে নবীর পরিবারবর্গ- আল্লাহ তো এটাই চান যে, তোমাদের থেকে প্রত্যেক অপবিত্রতা দূরীভূত করে দেবেন এবং তোমাদেরকে পবিত্র করে অতীব পরিচ্ছন্ন করে দেবেন" নাজিল হওয়ার পর প্রিয় নবী ﷺ, মাওলা আলী রাঃ, ফাতিমাহ রাঃ, হাসান রাঃ ও হুসাইন রাঃ কে চাদরাবৃত করে মহান আল্লাহ কর্তৃক তাদেরকে পবিত্র করার কথা জানিয়ে দেন। এজন্য এই পাঁচজনকে পাক পাঞ্জাতন বলেও অভিহিত করা হয়।</div><div><br></div><div>আম্মাজান আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সকালে বের হলেন। তার পরনে ছিল কালো নকশী দ্বারা আবৃত একটি পশমী চাদর। হাসান ইবনু আলী (রাঃ) এলেন, তিনি তাকে চাদরের ভেতর প্রবেশ করিয়ে নিলেন। হুসায়ন ইবনু আলী (রাঃ) এলেন, তিনিও চাদরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লেন। ফাতিমাহ (রাঃ) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললেন। তারপর ‘আলী (রাঃ) এলেন তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে নিলেন। তারপরে বললেনঃ "হে আহলে বাইত! আল্লাহ তা'আলা তোমাদের হতে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করে তোমাদের পবিত্র করতে চান।" (সূরা আল আহযাব ৩৩ঃ ৩৩)। [সহীহ মুসলিম ৬১৫৫, সূনান আত তিরমিজিতে (৩২০৫) উমার ইবনু আবী সালামাহ রাঃ কর্তৃক বর্ণিত উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ রাঃ এঁর ঘরে যখন এ আয়াত নাজিল হয়]</div><div><br></div><div>এছাড়াও সা'দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রা.) বলেন, আর যখন (এই) আয়াতঃ "অতঃপর (হে মাহবুব!) যে ব্যক্তি আপনার সাথে (ঈসা সম্পর্কে) বিতর্ক করে এর পরে যে, আপনার নিকট জ্ঞান (ওহী) এসেছে, তবে তাদেরকে বলে দিন, ‘এসো, আমরা ডেকে নিই আমাদের পুত্রদেরকে ও তোমরা তোমাদের পুত্রদেরকে এবং আমরা আমাদের নারীদেরকে ও তোমরা তোমাদের নারীদেরকে; আর আমরা আমাদের নিজেদেরকে ও তোমরা তোমদের নিজেদেরকে। অতঃপর মুবাহালাহ্ (বিনীত প্রার্থনা) করি। তারপর মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লা’নত দিই।"(সূরা আলে ইমরান ৩ঃ ৬১) </div><div><br></div><div>অবতীর্ণ হলো, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসায়ন (রা.) কে ডাকলেন। তারপর বললেন, </div><div>হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিবার-পরিজন।  </div><div>(সহীহ মুসলিম ৬১১৪)</div><div><br></div><div>ফিতনা ফাসাদকারী, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ'র লানত। মাহফিলে নাত পরিবেশনের সময় বাধা সৃষ্টির পেছনে এসব ফিতনা সৃষ্টিকারীরাই দায়ী। আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,</div><div><br></div><div>"যদি তারা তোমাদের সাথে বের হত, তবে তোমাদের মধ্যে ফ্যাসাদই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মাঝে ছুটোছুটি করত, তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির অনুসন্ধানে। " (সূরা তাওবাহ ৪৭)</div><div><br></div><div>"আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করো না’, তারা বলে, 'আমরা তো কেবল সংশোধনকারী।" (সূরা বাকারাহঃ ১১)</div><div><br></div><div>"এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।" (সূরা মুনাফিকুনঃ ১)</div><div><br></div><div>"সাবধান! এরাই অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু এরা তা অনুভব করতে পারে না।" (সূরা বাকারাহঃ ১২)</div><div><br></div><div>"আল্লাহ ও ঈমানদারদের তারা ধোঁকা দিতে চায়,আসলে তারা অন্য কাউকে ধোঁকা দিচ্ছে না বরং নিজেদেরই প্রতারিত করছে,অথচ তাদের সে অনুভূতি নেই।" (সূরা বাকারাহ ৯)</div><div><br></div><div>"তারা তাদের শপথগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আর এ উপায়ে তারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত করে। তারা যা করে তা কতই না মন্দ! তা এ জন্য যে, তারা ঈমান এনেছিল তারপর কুফরী করেছিল। ফলে তাদের অন্তরসমূহে মোহর লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই তারা বুঝতে পারছে না।" (সূরা মুনাফিকুন ২, ৩)</div><div><br></div><div>"যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে আমি কি তাদেরকে যমীনে বিপর্যয় (ফ্যাসাদ) সৃষ্টিকারীদের সমতুল্য গণ্য করব? নাকি আমি মুত্তাকীদেরকে পাপাচারীদের সমতুল্য গণ্য করব?" (সূরা ছোয়াদ ৩৮ঃ ২৮)</div><div><br></div><div>"সুতরাং আল্লাহর অনুগ্রহগুলোকে স্মরণ করো এবং পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদকারী হয়ে বিচরণ করো না।" (সূরা আ‘রাফ, আয়াত ৭৪)</div><div><br></div><div>"ওহে যারা ঈমান এনেছ! ভালো বিষয়গুলো যা আল্লাহ্ তোমাদের জন্য বৈধ করেছেন সেসব তোমরা নিষিদ্ধ করো না, আবার বাড়াবাড়িও (সীমালঙ্ঘন) করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ ভালোবাসেন না সীমালঙ্ঘন কারীদের।" (সূরা আল মায়িদাহঃ ৮৭)</div>

সাহাবায়ে কেরামের নবীপ্রেম

হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমি নাপিতকে দেখেছি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর চুল কাটছে আর সাহাবীরা তাঁর চতুর্পাশ ঘিরে রেখেছেন। তাঁরা চাইতেন যে, কোন চুল যেন মা...

Read more »

মুমূর্ষু/ মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির জন্য করণীয়

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-536085c5-7fff-96a6-8973-8808d99fdb29"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মৃত্যু পথযাত্রীর জন্য করণীয়</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-51a58d4a-7fff-0c36-dcbe-b7049284608c"><br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhwdcv0-qUP3IvkEhAwELvInw4LguQQUMvDP4rGTx9pUCg0tBRkBvcQAkOFGWaTU7ttJJUPbISDzy4c6OceDf6ryZXoM3Ce_YRcPiwO9MM1-tTcLN-rmRGoru8jim_WroOmsIEvbacxprU/s1600/images+-+2021-03-13T211527.715.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="419" data-original-width="731" height="183" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhwdcv0-qUP3IvkEhAwELvInw4LguQQUMvDP4rGTx9pUCg0tBRkBvcQAkOFGWaTU7ttJJUPbISDzy4c6OceDf6ryZXoM3Ce_YRcPiwO9MM1-tTcLN-rmRGoru8jim_WroOmsIEvbacxprU/s1600-rw/images+-+2021-03-13T211527.715.jpeg" width="320"></a></div><br><p></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মৃত্যুর স্মরণঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল-কুরআনের ভাষ্য মতে, ‘জীবন মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫) </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ রাসুল (ﷺ) ইরশাদ করেন, ‘বুদ্ধিমান ওই ব্যক্তি, যে নিজের নফস ও খায়েশকে আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয় এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৯)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতীত জীবনে অনেক মানুষ সম্পদশালী, ক্ষমতাশালী ছিলো- তারা আজ কবরবাসী। এক সময় আমরা ছোট ছিলাম, ধীরে ধীরে বয়স বাড়ছে। আমাদেরও এক সময় কবর জগতের বাসিন্দা হতে হবে। এরপর রয়েছে অনন্তকালের এক মহাজীবন। কবর জীবন ও আখেরাতের জীবন সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তা যার মাথায় সর্বদা বিরাজমান থাকে সে সফলকাম। আর যদি মরীচিকাময় এই পৃথিবীর পেছনে পড়ে মৃত্যু ও আখেরাতের জীবনের কথা ভুলে বসে থাকে, তাহলে তার জীবন দুর্ভাগ্যে ভরা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-style: italic; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মৃত্যু ও আখেরাতের স্মরণই পারে মানুষকে প্রকৃত মানুষ বানাতে এবং পশু ও তার মধ্যকার ব্যবধান ফুটিয়ে তুলতে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আনন্দনাশক বস্তু অর্থাৎ মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো। –সুনানে তিরমিজি: ২৩০৬</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মৃত্যুর স্মরণ এমন একটি বিষয়- যা অন্তর থেকে দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতার চিন্তা দূর করে দেয়, আত্মীয়-স্বজন, সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদের অযাচিত আসক্তি নষ্ট করে দেয়। সুস্থ বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ মাত্রই মৃত্যুর চিন্তায় বিভোর থাকে। যারা মৃত্যুর চিন্তা করে না, দুনিয়া নিয়ে পড়ে থাকে, তাদের বুদ্ধিকে সুস্থ বলা যায় কিভাবে? বন্ধু-বান্ধব, স্ত্রী-সন্তান কেউই কবরে সওয়াল-জওয়াবের সময় পাশে থাকবে না। বিষয়টি মাথায় রেখে দুনিয়ার জীবনে পথচলা দরকার। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh48AH4_bAiL2Q0HuYrPn6iqhyphenhyphend_g7iJR6wzf8wOBiGn2B4vWXsA_BA_Of7MAob2YcMdG24Jvo4WPGOgdj4gjglc6DyfAe-21UioN2TmXOC4zfuCt3bc-Y52rMxHAYPNZEmRomj3sBFyVk/s1600/images+-+2021-03-13T211849.751.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="315" data-original-width="600" height="168" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh48AH4_bAiL2Q0HuYrPn6iqhyphenhyphend_g7iJR6wzf8wOBiGn2B4vWXsA_BA_Of7MAob2YcMdG24Jvo4WPGOgdj4gjglc6DyfAe-21UioN2TmXOC4zfuCt3bc-Y52rMxHAYPNZEmRomj3sBFyVk/s1600-rw/images+-+2021-03-13T211849.751.jpeg" width="320"></a></div><br><p></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়াঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ০১. হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসুল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোনো রুগ্ন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, যার এখনো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দোয়াটি বলবেঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উচ্চারণ : আসআলুল্লাহাল আজিমা, রাব্বাল আরশিল আজিমি, আঁইয়্যাশফিয়াক’ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ `আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য (সুস্থতা) প্রার্থনা করছি` আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমজি, আবু দাউদ)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ০২. হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসুল (ﷺ) একজন বেদুঈনকে দেখতে গেলেন। আর তাঁর নিয়ম এই ছিল যে, যখন তিনি কোনো রোগীকে দেখতে যেতেন তখন বলতেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-لَا بَأْسَ طُهُوْرٌ اِنْشَاءَ اللهُ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উচ্চারণ : লা- বা’সা তুহু-রুন ইনশাআল্লাহ।অর্থ : ‘ভয় নেই, আল্লাহর মেহেরবানীতে আরোগ্য লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ০৩. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যখন অসুস্থ হতো তখন রাসুল (ﷺ) তাঁর ডান হাত রোগীর শরীরে বুলাতেন এবং বলতেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> اَذْهَبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ - وَاشْفِ اَنْتَ الشَّافِي - لَا شِفَاءَ اِلَّا شِفَائُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقْمًا</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উচ্চারণ : আজহাবিল বা’সা রব্বান না-সি, ওয়াশফি আনতাশ শা-ফি-, লা শিফাআ’ ইল্লা- শিফা-উকা শিফা-আ’ লা ইউগাদিরু সুক্বমা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ : ‘হে মানুষের প্রতিপালক! এ রোগ দূর কর এবং আরোগ্য দান কর, তুমিই আরোগ্য দানকারী। তোমার আরোগ্য ব্যতিত কোনো আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকী রাখে না কোনো রোগ।’ (বুখারি, মিশকাত)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুমূর্ষু ব্যক্তির জন্য দোয়াঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মানুষের মধ্যে যারা প্রচণ্ড রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী; তাদের সুস্থতার জন্য, কষ্ট দূর হওয়ার জন্য রাসূল (ﷺ) দোয়া করতেন। তাঁর উম্মতকে দোয়া করতে বলতেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিসে বর্ণিত দোয়াটি হলো</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ وَاشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা রাব্বান্নাসি আজহিবিল বাসা ওয়াশফি ওয়া আংতাশ শাফি লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা শিফাআন লা ইয়ুগাদিরু সাক্বামা।’ (বুখারি ও মুসলিম)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ : ‘হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। তুমিই (যেহেতু) রোগ নিরাময়কারী। তুমি ছাড়া আর কোনো নিরাময় দানকারী নেই, তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় দান কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUqsrzo_EWkYhqa5SUmQvga_XN73khSEj_JOGJp5LeH6_28MNcsYROpo5wysSm9WmP8zieloek-365m55Ods6AZQ7ByBQ-Z5fmzjnLB_PpqkE1Cz688PHEy00jv9AAv0hURwAe_oQq2Ak/s1600/images+-+2021-03-13T211606.311.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="337" data-original-width="599" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUqsrzo_EWkYhqa5SUmQvga_XN73khSEj_JOGJp5LeH6_28MNcsYROpo5wysSm9WmP8zieloek-365m55Ods6AZQ7ByBQ-Z5fmzjnLB_PpqkE1Cz688PHEy00jv9AAv0hURwAe_oQq2Ak/s1600-rw/images+-+2021-03-13T211606.311.jpeg" width="320"></a></div><br><p></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়াঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হজরত উম্মে সালামা (رضي الله عنه) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু সালামার নিকট গেলেন। তখন তার (আত্মা বের হওয়ার পর) চোখ খোলা ছিল। নবী করিম (ﷺ) তা বন্ধ করার পর বললেন, যখন (কারও) প্রাণ নিয়ে নেওয়া হয়, তখন চোখ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। (এ কথা শুনে) তার পরিবারের কিছু লোক চিৎকার করে কাঁদতে আর‎ম্ভ করল। নবী (ﷺ) বললেন, তোমরা নিজেদের আত্মার জন্য মঙ্গলের দোয়া করো। কেননা, ফেরেশতারা তোমাদের কথার ওপর আমিন বলেন। এর পর তিনি এই দোয়া বললেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লি আবি সালামা, (এখানে মৃতের নাম হবে) ওয়ারফা’ দারাজাতাহু ফিল মাহদিইয়্যিন, ওয়াখলুফহু ফি আক্বিবিহি ফিল গা-বিরিন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রাব্বাল আলামীন- ওয়াফসাহ লাহু ফি ক্বাবরিহি ওয়ানাওয়িরলাহু ফীহ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি (অমুককে) মাফ করে দাও এবং হেদায়াতপ্রাপ্তদের দলে তার মর্যাদা উন্নত করো, অবশিষ্টদের মধ্যে তার পশ্চাতে উত্তরাধিকারী দাও। আমাদেরকে এবং তাকে মার্জনা করে দাও হে বিশ্বজগতের প্রতিপালক! তার কবরকে প্রশস্ত করো এবং তার জন্য কবরকে আলোকিত করো। (সহিহ মুসলিম: ৯২০)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হজরত উম্মে সালামা (رضي الله عنه) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমরা পীড়িত অথবা মৃতের নিকট উপস্থিত হলে ভালো কথা বলো। কেননা, ফেরেশতারা আমাদের কথায় ‘আমীন’ বলেন। (উম্মে সালামা) বলেন, এর পর যখন (আমার স্বামী) আবু সালামা মারা গেলেন, তখন আমি নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট এসে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আবু সালামা মারা গেছেন। (সুতরাং আমি এখন কী বলব?)’ তিনি বললেন, তুমি এই দোয়া বলো-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাগফির লি ওয়ালাহু, ওয়াআক্বিবনি মিনহু উক্ববা হাসানা। ’</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: "হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ও তাকে মার্জনা করো এবং আমাকে তার চেয়ে উত্তম বিনিময় প্রদান করো।" </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং আমি তা বললাম, ফলে মহান আল্লাহ আমাকে তার চেয়ে উত্তম বিনিময় মুহাম্মাদ (ﷺ) কে (স্বামীরূপে) প্রদান করলেন। ’ -(সহিহ মুসলিম: ৯১৯)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgGMjX2a3vDJaZ2E6b6HuIqU4Zy7GK8Vd5WxqkWLxRXVE6gkn82OfBIBbkeLGw-Raf1SUyNFdi6wsvaKbpcxf2W16_5ST-05MiA430KLngArqmzd5eRoNqtl8WP3Dlasko4-9HOVYzyaoU/s1600/images+-+2021-03-13T211546.631.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="370" data-original-width="660" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgGMjX2a3vDJaZ2E6b6HuIqU4Zy7GK8Vd5WxqkWLxRXVE6gkn82OfBIBbkeLGw-Raf1SUyNFdi6wsvaKbpcxf2W16_5ST-05MiA430KLngArqmzd5eRoNqtl8WP3Dlasko4-9HOVYzyaoU/s1600-rw/images+-+2021-03-13T211546.631.jpeg" width="320"></a></div><br><p></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুমূর্ষু রোগীর ব্যাপারে অন্যদের করণীয়</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরকালে মুক্তির জন্য পার্থিব জীবনে নিজের ঈমান-আকিদা সহি ও মজবুত করতে হবে। ফরজ-ওয়াজিবসহ সব ইবাদত সুন্নত মোতাবেক করতে হবে। হালাল পথে আয়-ব্যয় করতে হবে। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানসহ সবার অধিকারের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। হাতে, মুখে বা অন্য কোনোভাবে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। মানসিক, আর্থিক বা অন্য কোনো পন্থায় কারো হক নষ্ট করা যাবে না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কারণ এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। হাশরের ময়দানে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নেকি দ্বারা। নেকি না থাকলে বা পাওনা পরিশোধ করতে গিয়ে নেকি শেষ হয়ে গেলে পাওনাদারের গুনাহর পাহাড় কাঁধে নিয়ে জাহান্নামে যেতে হবে। কবিরা গুনাহ, হারাম, মাকরুহে তাহরিমি ও সন্দেহজনক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের আত্মার রোগের চিকিৎসা ও ভালো গুণ অর্জন করার জন্য কোনো হক্কানি বুজুর্গের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুন্নত হিসেবে হালাল অর্থে সাধ্যমতো রোগীর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তবে ওষুধ বা অন্য কিছুর ওপর ভরসা না রেখে মহান আল্লাহর ওপরই ভরসা রাখতে হবে। রোগীর পাক-পবিত্রতা, অজু ও নামাজ ইত্যাদির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। রোগীকে দেখতে গিয়ে তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে সাতবার এ দোয়াটি পড়া সুন্নত। ‘আসআলুল লা-হাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিম, আই ইয়াশফিয়াক।’ রোগীর মনে সাহস দিতে হবে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ রাসুল (ﷺ) মুমূর্ষু ব্যক্তিকে এভাবে সাহস দিতেন : ‘লা বা-সা ত্বহুরুন ইনশাআল্লাহ।’ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ : ভয়ের কোনো কারণ নেই, ইনশাআল্লাহ আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। আর মৃত্যু আসন্ন মনে হলে তার কাছে বসে সুরা ইয়াসিন পাঠ করা ও নরম স্বরে কালিমায়ে তায়্যিবা পাঠ করতে থাকা উচিত; সম্পদের আলোচনা করা উচিত নয়। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(আদ্দুররুল মুখতার : ২/১১৯, ৬/৩৭০, বুখারি, হাদিস : ৩৬১৬, আবু দাউদ, হাদিস : ৩১২১)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সারা বছর সুযোগমতো দোয়া-দুরুদ ও বিভিন্ন নফল ইবাদত করে তার নামে দান করে দেওয়া। (মুসলিম, হাদিস : ৯১৮, তিরমিজি : ১/২০৬, ফাতাওয়া শামি : ২/১৯৩, ৩/১৫১-১৫২)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুমূর্ষু রোগীর জন্য অন্যান্য করণীয়</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত বা অন্য কোনো ফরজ অনাদায়ি থেকে গেলে তার জন্য ওসিয়ত করা। বান্দার কোনো হক জিম্মায় থেকে গেলে তা আদায় করা বা ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়া, কোরআন তিলাওয়াত করা, কালিমায়ে তায়্যিবা ও কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করা, যথাসম্ভব সর্বদা কোনো না কোনো আমলের মধ্যে নিমগ্ন থাকার চেষ্টা করা। তার মৃত্যুর পর যেন কোনো শরিয়তবিরোধী কাজ না হয়, সে জন্য ভালোভাবে ওসিয়ত করা। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মৃত্যুর আলামত প্রকাশ পেলে কিবলামুখী হয়ে ডান কাতে শুয়ে এ দোয়াটি পড়া : </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা ফি গামারাতিল মাওতি ওয়া সাকারাতিল মাওত।’ </span><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(153, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর ফলে মৃত্যুকষ্ট লাঘব হয়।</span><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আর মৃত্যুর আলামত পুরোপুরি প্রকাশ পেলে এ দোয়াটি পড়া : ‘আল্লাহুম্মাগলি ওয়ার হামনি ওয়াল হিকনি বির রাফিকিল আ’লা। (বুখারি, হাদিস : ১২৯৪, তিরমিজি : ১/১৯২, ২/১৮৭, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২২০৯৫)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br><br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEge75jfVyzFMqHPIYPfeWxK0LQtBJNjLVKr4ussSKr8DfBKLdrM1C9uOoKpIBHquVugDK2vqPwqOWuLiW00tAUuSw5bYnETLBgMev_3JSFT-FD2AtlAAMT-rfj5aexNtBY7_y_rwIEbfwA/s1600/images+-+2021-03-13T211554.367.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="182" data-original-width="350" height="166" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEge75jfVyzFMqHPIYPfeWxK0LQtBJNjLVKr4ussSKr8DfBKLdrM1C9uOoKpIBHquVugDK2vqPwqOWuLiW00tAUuSw5bYnETLBgMev_3JSFT-FD2AtlAAMT-rfj5aexNtBY7_y_rwIEbfwA/s1600-rw/images+-+2021-03-13T211554.367.jpeg" width="320"></a></div><br><p></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><b>তালকীনের উদ্দেশ্য ও ফজীলতঃ</b></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><b>═══════════════</b></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কালেমা পাঠঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হজরত আবু সাঈদ খুদরি (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদেরকে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" (পুরো কালেমা) স্মরণ করিয়ে দাও। -সহিহ মুসলিম: ৯১৬</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মুয়ায বিন জাবাল (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন:</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">« مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ »</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“যার শেষ কথা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (অর্থাৎ, পুরো কালেমা পড়তে পড়তে যার মৃত্যু হবে) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● সুনানে আবু দাঊদ: ৩১১৬, অনুচ্ছেদ: তালকীন। [মানঃ সহীহ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্নিত, হযরত (ﷺ) বলেছেনঃ "তোমরা তোমাদের মৃত্যু পথযাত্রীকে (মৃত্যুর পুর্ব মূহুর্তে) কালিমার তালকীন দান কর৷ কেননা মৃত্যুর সময় যার শেষ কথা হবে [লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ (পুরো কালেমা)] সে জান্নাতে প্রবেশ করবে৷ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● মুসলিম ২১৬২ : অধ্যায়ঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া। [হাদিসের মানঃ সহিহ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তালকীন সম্পর্কে বিস্তারিতঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">═══════════════</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আবূ সা‘ঈদ খুরদী (رضي الله عنه) ও আবূ হুরায়রাহ্ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তারা বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">بَابُ مَا يُقَالُ عِنْدَ مَنْ حَضَرَهُ الْمَوْتُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ أَبِىْ سَعِيْدٍ وَأَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিচ্ছদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যায় (মুমূর্ষু অবস্থায়) তাকে কালিমা ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই) তালকীন দিও। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ [হাদিসের মানঃ সহিহ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.সহীহ মুসলিম ৯১৬, ৯১৭, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুচ্ছেদ: মৃত্যু শয্যায় শায়িত ব্যক্তিকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর তালকীন প্রদান।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.আত্ তিরমিযী ৯৭৬, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.নাসায়ী ১৮২৬, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪.ইবনু মাজাহ্ ১৪৪৪, ১৪৪৫, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫.ইবনু আবী শায়বাহ্ ১০৮৬৪, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬.সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৫৯৮, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭.শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪৬৫, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮.ইরওয়া ৬৮৬, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৯.সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৫১৪৮। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১০.মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নম্বরঃ [1616], অধ্যায়ঃ জানাযা (كتاب الجنائز),</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি, পরিচ্ছদঃ মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের “লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দাও। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ [হাদিসের মানঃ সহিহ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. মুসলিম ৯১৭ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. ইরওয়াহ ৩/১৪৯। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. সুনানে ইবনে মাজাহঃ অধ্যায় জানাযাহ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬/৩ : পরিচ্ছদঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া, হাদিস ১৪৪৪।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ১২/ জানাযা সম্পর্কিত (كتاب الجنائز)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস নম্বরঃ ১৯৯৭ | 1997 | ۱۹۹۷</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিচ্ছদঃ ১. মুমূর্ষকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর তালকীন করা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উসমান, আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়রা ও আমরুন নাকিদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫. সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ১২/ জানাযা সম্পর্কিত (كتاب الجنائز)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস নম্বরঃ ১৯৯৬ | 1996 | ۱۹۹٦</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিচ্ছদঃ ১. মুমূর্ষকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর তালকীন করা। মানঃ সহিহ (Sahih)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বিলাল (রহঃ) সবাই ঐ সনদে বর্ণনা করেছেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আনাস বিন মালেক (رضي الله عنه) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন,</span><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">একদা রাসূল (ﷺ) এক আনছারী ছাহাবীকে দেখতে গিয়ে বললেন, হে মামা! আপনি ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করুন। তখন সে বলল, মামা, না চাচা? তিনি বললেন, না বরং মামা। সে বলল, আমার জন্য কালেমা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করা উত্তম হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ’।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.আহমাদ হা/১২৫৮৫; </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.আবু ইয়া‘লা হা/৩৫১২; </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৩৯২২, সনদ ছহীহ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আবূ সাঈদ আল-খুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু”-এর তালকীন দাও।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ [হাদিসের মানঃ সহিহ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.মুসলিম ৯১৬, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.তিরমিযী ৯৭৬ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.নাসায়ী ১৮২৬, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪.আবূ দাউদ ৩১১৭, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫.আহমাদ ১০৬১০, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬.ইরওয়াহ ৬৮৬, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭.সুনানে ইবনে মাজাহঃ অধ্যায় জানাযাহ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬/৩ : পরিচ্ছদঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া, হাদিসঃ ১৪৪৫</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮.সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ১২/ জানাযা সম্পর্কিত (كتاب الجنائز)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস নম্বরঃ ১৯৯৫ | 1995 | ۱۹۹۵</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিচ্ছদঃ ১. মুমূর্ষকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর তালকীন করা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মানঃ  সহিহ (Sahih)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবূ কামিল জাহদারী ফূযয়াল ইবনু হুসায়ন ও উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হযরত আবূ উমামা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই মৃত্যুবরণ করে, তাকে কবরে সমাহিত করার পর তোমাদের মধ্যে একজন তার কবরের শিয়রে দাঁড়িয়ে বলবে: </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে তা শুনতে পাবে, কিন্তু উত্তর দিবে না। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অতঃপর যখন আবারো বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন মৃত ব্যক্তি সোজা হয়ে বসে পড়বে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- আবার যখন বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে বলবে: আল্লাহ্ তাআলা তোমার উপর দয়া করুক। তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও। কিন্তু মৃত ব্যক্তির একথা তোমরা শুনতে পাবে না। অতঃপর সে (তালকীনকারী) বলবে:</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اُذْكُرْ مَاخَرَجْتَ عَلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا: شَهَادَةَ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) وَاَنَّكَ رَضِيْتَ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَّ بِمُحَمَّدٍ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) نَبِيًّا وَّ بِالْقُرْاٰنِ اِمَامًا ـ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ: “তুমি তা স্মরণ করো, যা বলে তুমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছ অর্থাৎ,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- একথা সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এবং এটাও বলো যে, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- তুমি আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসেবে, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- ইসলামকে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম হিসেবে, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল হিসেবে এবং </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- কুরআন মজীদকে ইমাম হিসেবে মনে-প্রাণে স্বীকৃতি দিয়েছ এবং এর উপর সন্তুষ্ট ছিলে।” </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তালকীনকারী এ কথা বলার পর মুনকার-নকীর ফিরিশতাদ্বয় একে অপরের হাত ধরে বলবেন: চলো আমরা চলে যাই। তার পাশে বসে থেকে আমাদের কোন লাভ নেই যাকে লোক দলীল শিখিয়ে দিয়েছে। এক ব্যক্তি রহমতে আলম (ﷺ) এর নিকট আরয করল, যদি তার মায়ের নাম জানা না থাকে, তখন কিভাবে তালকীন করবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: “হাওয়া رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہَا এর দিকে সম্পর্কিত করবে।” </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. ইমাম তাবারানীঃ আল মু’জামুল কাবীরঃ ৮ম খন্ড, ২৫০ পৃষ্ঠা, হাদীস-৭৯৭৯</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. ইমাম তাবারানীঃ আল মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৩৯১৮।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. ফাতাওয়া মাহমুদিয়া-১৩/৭৫-৭৬, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. কিতাবুন নাওয়াজেল-৬/২২৬</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫. ইবনে কাইয়্যেমঃ’কিতাবুর রূহ’, ২০ পৃষ্ঠা, বাংলা সংস্করণ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Note : অমুকের ছেলে অমুকের স্থলে মৃত ব্যক্তি ও তার মায়ের নাম নিবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম আহমদ হাম্বল (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলে</span><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন যে ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে তালকীন করা একটি নেক কাজ; মানুষের আ’মল থেকে তা প্রমাণিত হয়। তালকীন সম্পর্কে মু’জাম তাবরানী গ্রন্থের মধ্যে হযরত আবূ উমামা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসও রয়েছে। হাদীসটি হলো, নূরনবী (ﷺ) এরশাদ ফরমান: ‘কোনো ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কবরে মাটি দেয়ার পর তোমাদের একজন তাঁর শিয়রের দিকে দাঁড়িয়ে তাঁর নাম ও তাঁর মায়ের নাম ধরে ডাক দেবে। কেননা, ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তি তা শুনতে পান, কিন্তু উত্তর দিতে পারেন না। দ্বিতীয়বার তাঁর নাম ধরে ডাক দিলে তিনি উঠে বসেন। আর তৃতীয়বার ডাক দিলে তিনি উত্তর দেন, কিন্তু তোমরা তা শুনতে পাও না। তোমরা তালকীনের মাধ্যমে বলবে, আল্লাহ পাক আপনার প্রতি রহম করুন, আমাদের তালকীনের দ্বারা আপনি উপকৃত হোন। তারপর বলবে, আপনি তাওহীদ ও রেসালাতের যে স্বীকৃতি দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, তা স্মরণ করুন। অর্থাৎ, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বাক্যটি পাঠ করুন ও তা স্মরণ রাখুন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসেবে,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- দ্বীন ইসলাম, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- হযরত মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ  ﷺ এর নবুয়্যত এবং </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- কুরআন মজীদ যে আমাদের পথপ্রদর্শনকারী, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ সব বিষয়ে যে আপনি রাজি ছিলেন, তাও স্মরণ করুন।’ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই তালকীন শুনে মুনকার-নকীর ফেরেশতা দু’জন সেখান থেকে সরে যান এবং বলেন, চলো আমরা ফিরে যাই। এর কাছে থাকার আমাদের আর কোনো প্রয়োজন নেই। এ ব্যক্তিকে তাঁর ঈমান ও আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কে সব কিছুই স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই তিনি তালকীনের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন।”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● [ইবনে কাইয়্যেম কৃত ’কিতাবুর রূহ’, ২০ পৃষ্ঠা, বাংলা সংস্করণ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হযরত মায়াকিল ইবনে ইয়াসার (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত,</span><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি বলেনঃ হযরত নবী কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তোমরা তোমাদের মৃতদের উপর সূরা ইয়াসিন পাঠ করো!এতে তার মৃতের যন্ত্রনা হ্রাস পাবে৷ (আবু দাউদ ৩১২৩)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আবদুল্লাহ বিন জা‘ফার (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ لِلْأَحْيَاءِ قَالَ أَجْوَدُ وَأَجْوَدُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালীমুল কারীম, সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম, আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর তালকীন দাও। তারা বলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! জীবিত (সুস্থ) ব্যক্তিদের বেলায় এ দুআ কেমন হবে? তিনি বললেনঃ অধিক উত্তম, অধিক উত্তম।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.সুনানে ইবনে মাজাহঃ অধ্যায় জানাযাহ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬/৩ : পরিচ্ছদঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া, হাদিসঃ ১৪৪৫</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.মিশকাত ১৬২৬, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.যঈফাহ ৪৩১৭, কিন্তু মুমূর্ষু ব্যক্তিদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু তালকীন দাও এ বাক্য সহীহ। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন আবদুল্লাহ বিন জা'ফার সম্পর্কে মুহাদ্দিসগন বলেন, তিনি অপরিচিত]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইবনে কাইয়্যেম বলেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">”অতীতকাল থেকে ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে কবরে তালকীন করার নিয়ম চলে আসছে। অর্থাৎ,কলেমা-এ-তাইয়্যেবাহ তাঁদেরকে পড়ে শোনানো হয়ে থাকে। ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ যে ইন্তেকালের পরে শুনতে পান, তালকীনের মাধ্যমেও তা প্রমাণিত হয়। এছাড়া তালকীনের দ্বারা ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ উপকৃত হন; তা না হলে তালকীন করার কোনো অর্থ-ই হয় না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">● [ইবনে কাইয়্যেম কৃত ’কিতাবুর রূহ’, ২০ পৃষ্ঠা]</span></p>

মুমূর্ষু/ মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির জন্য করণীয়

মৃত্যু পথযাত্রীর জন্য করণীয় সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি মৃত্যুর স্মরণঃ ❏ আল-কুরআনের ভাষ্য মতে, ‘জীবন মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা :...

Read more »

রাসূলে পাক (ﷺ) বলার ক্ষেত্রে নবী বিদ্বেষীদের আপত্তির খন্ডন

<div style="text-align: justify;">দু'নয়নে রাসূলে পাক (ﷺ) দেখলে কেমন হত!!</div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgFmUrQvZEEXXJzDKLTRKg2m5Gllw0ue7Pm8Tslgplb9zwjAYRsj2TLdoyj-8Zz78Eaaope4D0T7WZaAtG9J_6MEZrKiEigRsZQxIiLUYgZnVvZ97Pekdo_OWgWy7cstXIJGVGoIr-ym4k/s1600/FB_IMG_1615630806015.jpg" imageanchor="1" style=" margin-right: 1em;margin-left: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="1794" data-original-width="1080" height="485" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgFmUrQvZEEXXJzDKLTRKg2m5Gllw0ue7Pm8Tslgplb9zwjAYRsj2TLdoyj-8Zz78Eaaope4D0T7WZaAtG9J_6MEZrKiEigRsZQxIiLUYgZnVvZ97Pekdo_OWgWy7cstXIJGVGoIr-ym4k/s1600-rw/FB_IMG_1615630806015.jpg" title="" width="292"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">যাঁর পরিবারবর্গকেও পবিত্র ঘোষণা করা হয়েছে, উনাকে নাকি পাক বলা যাবে না!! এমনকি দেখলাম রাসূলে পাক বলার কারণে এক মাহফিলে নাত শরীফে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আরো এক ভিডিও দেখতে পেলাম যেখানে আরেক নামধারী আহলে হাদিসপন্থী মৌলভী ড. ইমাম হুসাইন খুব সুন্দরভাবে রাসূলে পাক বলা যাবে না বলে অপব্যাখ্যা করল এবং ভিডিওটাতে খুব সুন্দরভাবে ইমাম হুসাইন রাঃ তথা আহলে বাইতের প্রতি তার বিদ্বেষ প্রকাশ পেল। আর না হয় স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা যাদের পবিত্র বলেছেন তাদেরকে পাক-পবিত্র বললে বা পাক পাঞ্জাতন বললে সমস্যা কোথায়!! হ্যা, সমস্যা তখন হবে যখন এই পাঁচজনের বাইরে উম্মাহাতুল মুমিনীনসহ আরো অন্যান্যদেরকে আহলে বাইত হিসেবে অস্বীকার করবে, পথভ্রষ্ট শিয়ারা যেমনটা করে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতঃ "হে নবীর পরিবারবর্গ- আল্লাহ তো এটাই চান যে, তোমাদের থেকে প্রত্যেক অপবিত্রতা দূরীভূত করে দেবেন এবং তোমাদেরকে পবিত্র করে অতীব পরিচ্ছন্ন করে দেবেন" নাজিল হওয়ার পর প্রিয় নবী ﷺ, মাওলা আলী রাঃ, ফাতিমাহ রাঃ, হাসান রাঃ ও হুসাইন রাঃ কে চাদরাবৃত করে মহান আল্লাহ কর্তৃক তাদেরকে পবিত্র করার কথা জানিয়ে দেন। এজন্য এই পাঁচজনকে পাক পাঞ্জাতন বলেও অভিহিত করা হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সকালে বের হলেন। তার পরনে ছিল কালো নকশী দ্বারা আবৃত একটি পশমী চাদর। হাসান ইবনু আলী (রাঃ) এলেন, তিনি তাকে চাদরের ভেতর প্রবেশ করিয়ে নিলেন। হুসায়ন ইবনু আলী (রাঃ) এলেন, তিনিও চাদরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লেন। ফাতিমাহ (রাঃ) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললেন। তারপর ‘আলী (রাঃ) এলেন তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে নিলেন। তারপরে বললেনঃ "হে আহলে বাইত! আল্লাহ তা'আলা তোমাদের হতে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করে তোমাদের পবিত্র করতে চান।" (সূরা আল আহযাব ৩৩ঃ ৩৩)। [সহীহ মুসলিম ৬১৫৫, সূনান আত তিরমিজিতে (৩২০৫) উমার ইবনু আবী সালামাহ রাঃ কর্তৃক বর্ণিত উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ রাঃ এঁর ঘরে যখন এ আয়াত নাজিল হয়]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও সা'দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রা.) বলেন, আর যখন (এই) আয়াতঃ "অতঃপর (হে মাহবুব!) যে ব্যক্তি আপনার সাথে (ঈসা সম্পর্কে) বিতর্ক করে এর পরে যে, আপনার নিকট জ্ঞান (ওহী) এসেছে, তবে তাদেরকে বলে দিন, ‘এসো, আমরা ডেকে নিই আমাদের পুত্রদেরকে ও তোমরা তোমাদের পুত্রদেরকে এবং আমরা আমাদের নারীদেরকে ও তোমরা তোমাদের নারীদেরকে; আর আমরা আমাদের নিজেদেরকে ও তোমরা তোমদের নিজেদেরকে। অতঃপর মুবাহালাহ্ (বিনীত প্রার্থনা) করি। তারপর মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লা’নত দিই।"(সূরা আলে ইমরান ৩ঃ ৬১) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অবতীর্ণ হলো, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসায়ন (রা.) কে ডাকলেন। তারপর বললেন, </div><div style="text-align: justify;">হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিবার-পরিজন। </div><div style="text-align: justify;">(সহীহ মুসলিম ৬১১৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ফিতনা ফাসাদকারী, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ'র লানত। মাহফিলে নাত পরিবেশনের সময় বাধা সৃষ্টির পেছনে এসব ফিতনা সৃষ্টিকারীরাই দায়ী। আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যদি তারা তোমাদের সাথে বের হত, তবে তোমাদের মধ্যে ফ্যাসাদই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মাঝে ছুটোছুটি করত, তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির অনুসন্ধানে। " (সূরা তাওবাহ ৪৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করো না’, তারা বলে, 'আমরা তো কেবল সংশোধনকারী।" (সূরা বাকারাহঃ ১১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।" (সূরা মুনাফিকুনঃ ১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"সাবধান! এরাই অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু এরা তা অনুভব করতে পারে না।" (সূরা বাকারাহঃ ১২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আল্লাহ ও ঈমানদারদের তারা ধোঁকা দিতে চায়,আসলে তারা অন্য কাউকে ধোঁকা দিচ্ছে না বরং নিজেদেরই প্রতারিত করছে,অথচ তাদের সে অনুভূতি নেই।" (সূরা বাকারাহ ৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তারা তাদের শপথগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আর এ উপায়ে তারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত করে। তারা যা করে তা কতই না মন্দ! তা এ জন্য যে, তারা ঈমান এনেছিল তারপর কুফরী করেছিল। ফলে তাদের অন্তরসমূহে মোহর লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই তারা বুঝতে পারছে না।" (সূরা মুনাফিকুন ২, ৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে আমি কি তাদেরকে যমীনে বিপর্যয় (ফ্যাসাদ) সৃষ্টিকারীদের সমতুল্য গণ্য করব? নাকি আমি মুত্তাকীদেরকে পাপাচারীদের সমতুল্য গণ্য করব?" (সূরা ছোয়াদ ৩৮ঃ ২৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"সুতরাং আল্লাহর অনুগ্রহগুলোকে স্মরণ করো এবং পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদকারী হয়ে বিচরণ করো না।" (সূরা আ‘রাফ, আয়াত ৭৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ওহে যারা ঈমান এনেছ! ভালো বিষয়গুলো যা আল্লাহ্ তোমাদের জন্য বৈধ করেছেন সেসব তোমরা নিষিদ্ধ করো না, আবার বাড়াবাড়িও (সীমালঙ্ঘন) করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ ভালোবাসেন না সীমালঙ্ঘন কারীদের।" (সূরা আল মায়িদাহঃ ৮৭)</div>

রাসূলে পাক (ﷺ) বলার ক্ষেত্রে নবী বিদ্বেষীদের আপত্তির খন্ডন

দু'নয়নে রাসূলে পাক (ﷺ) দেখলে কেমন হত!! যাঁর পরিবারবর্গকেও পবিত্র ঘোষণা করা হয়েছে, উনাকে নাকি পাক বলা যাবে না!! এমনকি দেখলাম রাসূলে পাক ব...

Read more »

নরবলি প্রথা থেকে যিনি অগণিত পুরুষের জীবন রক্ষা করেছিলেন

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjQuRiG8cCYrmlLlwlURZYsjnRuRofCZhwdASqViIub0jaMfwj8fLxT63CllUoG7Um6AnH4knCihmzvQ2qbj-_pVxKz7teniApvExAfUoGUbQ5mQmqFlLMAYovGA1g1DjpfAw_yRtA4xVk/s1600/FB_IMG_1615620116232.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="608" data-original-width="1080" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjQuRiG8cCYrmlLlwlURZYsjnRuRofCZhwdASqViIub0jaMfwj8fLxT63CllUoG7Um6AnH4knCihmzvQ2qbj-_pVxKz7teniApvExAfUoGUbQ5mQmqFlLMAYovGA1g1DjpfAw_yRtA4xVk/s1600-rw/FB_IMG_1615620116232.jpg" width="320"></a></div>কৃতঃ Golam Dastagir Lisani</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাজশাহী। </div><div style="text-align: justify;">২৬-২৭ রজব শবে মিরাজে দু'দিন চলে উরস- স্মরণ সম্মেলন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দু'জনের। </div><div style="text-align: justify;">প্রথমজন গাউসে পাক জিলানী র.'র সরাসরি নাতি, সেইসূত্রে খাজা মুঈনউদ্দিন চিশতি র.'র ভাস্তে, সাইয়িদ আবদুল কুদ্দুস শাহ মাখদুম র.</div><div style="text-align: justify;">দ্বিতীয়জন তারই পরিবারের প্রায় ৬-৯ প্রজন্ম পর বাগদাদ আসা আরেক প্রদীপ সাইয়িদ নূর শাহ র.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এখানে নরবলি হতো।</div><div style="text-align: justify;">মানুষকে যূপপ্রস্তরে শিরশ্ছেদ করা হতো স্রেফ 'দেবতা'র জন্য। নিয়মিত। নিম্নবর্ণের মানুষ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হজরতের হুজরা শরিফে এর আগে কখনো ঢুকিনি। সাহস হয়নি। তাকওয়া আদব সব মনে হয় গেছে। এবার হুজরা শরিফে ঢুকে চার রাকাত পড়ে ফেললাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কাছেই বিখ্যাত বরেন্দ্র মিউজিয়মে হাজার হাজার মূর্তি, অজস্র ঘটনার উল্লেখ, কিন্তু শাহ মাখদুমের নাম গন্ধটাও নাই। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অথচ তিনি মানবতার মুক্তিদূত। শ্রেণীজিঞ্জিরে আজন্ম আবদ্ধ মানুষকে পাথরের উপর বলি দেয়ার হাজারো বছরের পশ্বাধমত্ব থেকে রক্ষা করেছেন। যুদ্ধ করেছেন, করেছেন খাবার, শিক্ষা, চিকিৎসা, সুশাসন, মমতার নিশ্চয়তা। </div><div style="text-align: justify;">হয়েছেন মহান সূফি হিসেবে সারা জাহানের প্রখ্যাত। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তারপর? ছোট্ট কক্ষে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কী যে শান্তি তাঁর চত্বরে! সব সময়। প্রতিবার। নবীবংশের প্রদীপ। হাসানি, হুসাইনি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তার নাম গন্ধটা ইতিহাসের পাতা বা মিউজিয়ামের দেয়াল ও খাতায় স্থান পায় না। এখানে শিক্ষণীয় বিষয় আছে। </div><div style="text-align: justify;">অবশ্য, আমাদের হৃদয়ই চিরকাল যথেষ্ট ছিল।</div>

নরবলি প্রথা থেকে যিনি অগণিত পুরুষের জীবন রক্ষা করেছিলেন

কৃতঃ Golam Dastagir Lisani রাজশাহী। ২৬-২৭ রজব শবে মিরাজে দু'দিন চলে উরস- স্মরণ সম্মেলন। দু'জনের। প্রথমজন গাউসে পাক জিলানী র.'র স...

Read more »