প্রিয় নবী (ﷺ)-এর কাছে থাকার ফযিলত ও নবীজির সাহচর্য

<div style="text-align: justify;">আজকের আলোচিত বিষয়বস্তুঃ</div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবী (ﷺ) কাছে থাকার ফযিলত ও নবীজির সাহচর্য।</div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjfHQp2H6DrOnW8IEE9Q6pU72RO7NuG_ryqzMyC85p1LFFmZVaaneujlQhC8ZFaTzY7rYX9zT7JqDD6pmp208Ib3PrvPYlwRtXbpCDH1pFl6EMXWOobeo80xXUj5quuWFJx_gWJuMm51iiC/s1600/FB_IMG_1614877837707.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="474" data-original-width="474" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjfHQp2H6DrOnW8IEE9Q6pU72RO7NuG_ryqzMyC85p1LFFmZVaaneujlQhC8ZFaTzY7rYX9zT7JqDD6pmp208Ib3PrvPYlwRtXbpCDH1pFl6EMXWOobeo80xXUj5quuWFJx_gWJuMm51iiC/s1600-rw/FB_IMG_1614877837707.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাকের এমনই প্রিয় বন্ধু যে, নবীর সাথে সম্পর্কিত সকল কিছুর মর্যাদা সবার উপরে। নবীজির সংস্পর্শ, নবীজির সাহচর্য, নবীজির ছোঁয়া, নবীজির নুরানী নজর যখন যেখানে যার উপর পড়েছে তারই মর্যাদা বেড়ে গেছে। কারণ নবীজির সম্পর্ক স্বয়ং আল্লাহর সাথে। তাই নবীর সাথে যার সম্পর্ক, তার সম্পর্কও আল্লাহর সাথে হয়ে যায়। যে ব্যক্তি নবীজির যতো নিকটে তার মর্যাদা ততো বেশি। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীজির সংস্পর্শের কারণে সাহাবীদের মর্যাদাঃ</div><div style="text-align: justify;">নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যারা সচক্ষে ঈমানের সাথে দেখেছেন তারা সাহাবীর মর্যাদা পেয়েছেন। উম্মতের মধ্যে সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। আর সাহাবীরা কোন আমলের কারণে এত মর্যাদার অধিকারী হননি, শুধুমাত্র নবীপাকের নূরানী চেহারা মোবারক দেখার কারণে তাঁদের এত মর্যাদা। নবী পাকের সান্নিধ্যে থাকার কারণে সাহাবায়ে কেরাম এত পবিত্র হয়েছেন যে, তাদেরকে যারা ঈমানের সাথে দেখেছেন তারা তাবেয়ীনের মর্যাদা পেয়েছেন। আবার তাবেয়ীনগণের সাহচর্য যারা লাভ করেছেন তারা তাবে তাবেয়ীনের মর্যাদা পেয়েছেন। আর এই তিন স্তরের মানুষকে উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে সর্বোত্তম বলা হয়েছে। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-</div><div style="text-align: justify;"> خَيْرُ الْقُرُوْنِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ</div><div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ- “আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম যুগ ও জামাআত হচ্ছে আমার যুগ ও সাহাবীদের যুগ। তারপর এর সংলগ্ন যুগ অর্থাৎ সাহাবীদের হাতে গঠিত তাবেয়ীদের যুগ ও জামাআত। তারপর এই দ্বিতীয় যুগ সংলগ্ন তৃতীয় যুগ অর্থাৎ তাবেয়ীদের দ্বারা গঠিত তাবে-তাবেয়ীদের যুগ ও জামাআত।” (বুখারী শরীফ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর কোন স্তরের উম্মতের ক্ষেত্রে এইভাবে সার্টিফিকেট প্রদান করেননি। এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে নবীজির কাছাকাছি হওয়ার কারণেই তাঁদের এই মর্যাদা, কোন আমলের কারণে নয়। বর্তমান যুগের কোন আবেদ বান্দা যদি ৫০০ বছর হায়াত পায়, আর যদি সে এই ৫০০ বছরই ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দেয় তবুও সে সাহাবী, তাবেয়ী বা তাবে-তাবেয়ীদের সমমর্যাদার হতে পারবে না। কারণ এই আবেদ বান্দার থেকে উনারা নবীজির বেশি নিকটের। এরপরেও আরো বিভিন্ন স্তরের মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ রয়েছে। ওলামায়ে কেরামের মতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ২৭টি স্তরের ব্যবধান লক্ষ করা যায়। প্রত্যেকটি স্তরের মধ্যে বিরাট ব্যবধান বিদ্যমান। যেমন- ইমাম আবু হানিফা রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাগরেদ মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন যে, সাহাবী মুয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং ওমর বিন আবদুল আযিয রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মধ্যে কার মর্তবা বেশী? তদুত্তরে আব্দুল্লাহ বিন মুবারক বলেছিলেন, “মুয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু যে ঘোড়ায় চড়ে জিহাদে গমন করতেন, ঐ ঘোড়ার পায়ের ধুলকণার মর্যাদা হযরত উমর বিন আবদুল আযীয রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মর্যাদারও অনেক উর্দ্ধে। অথচ হযরত উমর বিন আবদুল আযীয রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রথম শ্রেণীর তাবেয়ী ছিলেন।” এ থেকে বুঝা যায় যে, একজন সাহাবী এবং একজন তাবেয়ীর মধ্যে কি পার্থক্য। আর এত পার্থক্য এ কারণে যে একজন সাহাবী, একজন তাবেয়ীর চেয়ে নবীজির বেশি নিকটের। একই রকম পার্থক্য বিদ্যমান তাবেয়ী এবং তাবে-তাবেয়ীর মধ্যে। তাবে-তাবেয়ীর চেয়ে তাবেয়ীর মর্যাদা বেশি এ কারণে যে তাবেয়ী তাবে-তাবেয়ীর চেয়ে নবীজির বেশি নিকটে। এখানে লক্ষণীয় যে, এই মর্যাদার ব্যবধানের কারণ হিসাবে মধ্যে ইবাদত-বন্দেগীকে কিন্তু বিবেচনায় আনা হচ্ছে না, বরং নবীজির সাথে সম্পর্ককেই বিবেচনায় আনা হচ্ছে। আলা হযরত আহমদ রেজা খাঁর একখানা কাসিদায় নবীপাকের সাথে সাধারণ মানুষের পার্থক্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন- </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খলক সে আউলিয়া, আউলিয়া সে রাসুল</div><div style="text-align: justify;">আওর রাসুলুসে আলা হামারা নবী।</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- “সাধারণ মানুষের চেয়ে আউলিয়ায়ে কেরাম শ্রেয়তর, আউলিয়ায়ে কেরামের চেয়ে নবীগণ শ্রেয়তর আর সব নবীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর হচ্ছেন আমাদের নবী।” </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীজির নূরানী চেহারা মোবারকের ফজিলতঃ</div><div style="text-align: justify;">নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংস্পর্শে এমন নেয়ামত রয়েছে যে, সাহাবায়ে কেরাম সর্বক্ষণ নবীজির পবিত্র চেহারা মোবারেকর দিতে তাঁকিয়ে থাকতেন। নবীজির পবিত্র নূরানী চেহারা মোবারকের দিকে তাকালে সাহাবীগণ খাওয়ার কথা ভুলে যেতেন। তাঁদের ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যেতো। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত যাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, “তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, “যে জীবদ্দশায় (ঈমানের সাথে) আমাকে দেখেছে (অর্থাৎ সাহাবীগণ) তাঁকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না, যে জীবদ্দশায় এমন ব্যক্তিকে দেখেছে যে আমাকে জীবদ্দশায় দেখেছে (অর্থাৎ তাবেয়ীগণ) তাকেও জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।” (তিরমিযী)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বর্তমান যুগে তো নবীজির সংস্পর্শ পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমানেও যদি নবীজিকে কেউ ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে বা জাগ্রত অবস্থায় দেখে তাহলে তার মর্যাদা বেড়ে যায় এবং তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়। এই দৃষ্টান্তগুলো থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শান ও মান কত উর্দ্ধে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীজির আহলে বাইতের মর্যাদাঃ</div><div style="text-align: justify;">নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবচেয়ে নিকটের মানুষ হচ্ছেন আহলে বাইত বা নবী পরিবারের সদস্যগণ। তাই আহলে বাইতের সদস্যগণের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। আল্লাহ তায়ালা আহলে বাইত বা নবী পরিবার সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা আর আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে বলেন-</div><div style="text-align: justify;">اِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُظْهِرَكُمْ تَطْهِيْرًا</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- “হে নবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ! আল্লাহ তায়ালা তো এটাই চান যে, তিনি তোমাদের থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর করে দেবেন এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পূতঃ পবিত্র রাখবেন।” </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আহলে বাইতকে ভালোবাসা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের চাওয়া। এই প্রসঙ্গে কালামে পাকের সুরা আশ শুরার ২৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেন-</div><div style="text-align: justify;">قُلْ لَّا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَي </div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- “হে প্রিয় হাবীব! আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট আমার অবদানের বিনিময়ে কিছুই কামনা করি না। তবে আমার বংশধরদের প্রতি প্রেম ভালোবাসা অবশ্যই কামনা করি।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উপরোক্ত আয়াতে কারীমাতে আমরা দেখি যে, যিনি আমাদেরকে ইসলাম দিয়েছেন, তিনি বলছেন সেই ধর্ম প্রাপ্তির বিনিময়ে আমরা যেনো আহলে বাইতকে ভালোবাসি। আর এটা আল্লাহর হাবীব নিজে বলছেন না বরং আল্লাহ পাক তাঁকে দিয়ে বলাচ্ছেন। অর্থাৎ- আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা রাখা আল্লাহরও চাওয়া।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এছাড়া আহলে বাইতের মহব্বত প্রসঙ্গে অনেক হাদীস রয়েছে। যেমন একখানা হাদীসে প্রিয় নবী ইরশাদ করেন- “হে আল্লাহ! আমি হাসান ও হুসাইনকে ভালোবাসি। অতএব আপনিও তাদের ভালোবাসুন। আর যারা হাসান হুসাইনকে ভালোবাসে সে প্রেমিকদেরকেও আপনি ভালোবাসুন।” (মেশকাত শরীফ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আরেক হাদীসে আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- “আল্লাহর ভালোবাসার জন্য আমাকে ভালোবাসো আর আমার ভালোবাসার জন্য আমার আহলে বাইতকে ভালোবাসো।” (মেশকাত)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্য এক হাদীসে নবীজি ইরশাদ করেন-</div><div style="text-align: justify;">اِنَّمَا مَثَلُ اَهْلِ بَيْتِي فِيْكُمْ كَمَثَلِ سَفِيْنَةِ نُوْحُ مَنْ رَكَبِهَا نَجَا وَمَنْ تَخْلَفَ عَنْهَا غَرَقَ</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- “নিশ্চয়ই আমার আহলে বাইত হযরত নূহ আলাইহিস সালামের নৌকা সদৃশ। যে ব্যক্তি আহলে বাইতের নৌকায় আরোহন করবে সে মুক্তি পাবে। আর যে ব্যক্তি আহলে বাইতের নৌকায় আরোহন থেকে বিরত থাকবে, সে ধ্বংস হয়ে যাবে।” (মেশকাত শরীফ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আহলে বাইতের মর্যাদার আরেকটি নিদর্শন হলো নবীজি হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বেহেশতের মহিলাদের সর্দার এবং ইমাম হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে জান্নাতের যুবকগণের সর্দার ঘোষণা করেছেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীজির স্পর্শে জমিন পবিত্রঃ</div><div style="text-align: justify;">শুধু মানুষ নয়, যা কিছু নবীজির স্পর্শ পেয়েছে তাই দামী হয়ে গেছে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে শুভাগমনের সাথে সাথে নবীজির পদধুলিতে জমিন পবিত্র হয়েছে। উম্মতে মোহাম্মদী জমিনের যেখানে খুশি সেখানে সিজদা দেওয়ার সুযোগ পেলো। নবীজির আগমনের পূর্বে নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া সিজদা দেওয়া যেতো না। এ প্রসঙ্গে বুখারী, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ শরীফে হাদীস এসেছে- </div><div style="text-align: justify;">جُعِلَتْ لِيَ الْاَرًضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا فَأَيُّمَا رَجُلٍ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ فَلْيُصَلِّ</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- “গোটা দুনিয়াকে আমার জন্য মসজিদ করে দেওয়া হয়েছে এবং পবিত্র করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আমার উম্মতের যে কারো যেখানেই নামাজের সময় উপস্থিত হোক না কোন, নামাজ পড়ে নিতে পারবে।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীজির স্পর্শে মদিনা পবিত্রঃ</div><div style="text-align: justify;">একই ভাবে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পদধুলি পেয়ে অখ্যাত ইয়াসরিব হয়ে গেলো মদিনা মোনাওয়ারা। মদিনার ফজিলত বর্ণনা করে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-</div><div style="text-align: justify;">اَلْمَدِيْنَةُ خَيْرُ لَّهُمْ لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ لَا يَدَعُهَا اَحَدٌ رَغْبَةً عَنْهَا اِلَّا اَبْدَلَ اللهُ فِيْهَا مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِّنْهُ وَلَا يَثْبُتُ اَحَدٌ عَلَي لَاوَائِهَا وَجَهِدْهَا اِلَّا كُنْتُ لَهُ شَفِيْعًا اَوْ شَهِيْدًا يَوْمَ الْقِيَمَةِ</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- “মদিনা তাদের জন্য কল্যানকর, যদি তারা জানতো! যে আগ্রহ হারিয়ে মদিনা ত্যাগ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার পরিবর্তে তার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিকে মদিনাতে নিয়ে আসবেন। আর যে প্রতিকূলতা ও কষ্ট সহ্য করে মদিনাতে অবস্থান করবে, আমি কেয়ামতের দিন তার সুপারিশকারী বা স্বাক্ষী হবো।” </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আরেক হাদীসে বলেছেন-</div><div style="text-align: justify;">اَلْمَدِيْنَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ اِلَي ثَوْرٍ- مَنْ اَحْدَثَ فِيْهَا أَوْ اَوَي مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ- لَا يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- “আইর এবং সউর পর্বতের মধ্যবর্তী অংশ মদিনা হারাম। যে এখানে কোন দুষ্কর্ম করবে অথবা কোন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ তায়ালা, ফেরেশতা এবং সমস্ত মানুষের অভিশাপ। আল্লাহ তায়ালা তার ফরজ, নফল কোন ইবাদত কবুল করবেন না।” </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীজির রওজা শরীফের মর্যাদাঃ</div><div style="text-align: justify;">নবীজির ছোঁয়ায় রওজা শরীফের মাটি এতো মূল্যবান হয়েছে যে, তা আসমান-জমিন, কাবা, আরশ, কুরসি, লাওহ-কলম সহ কিছুর থেকেও দামী হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফতোয়া শামী ৩য় খন্ডে যিয়ারত অধ্যায়ে বলা হয়েছে-</div><div style="text-align: justify;">اِنَّ التُّرَبَةَ الَّتِي اِتَّصَلَتْ اِلَي اَعْظُمِ النَّبِيِّ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ اَفْضَلُ مِنَ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ حَتَّي الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ-</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ- “রওযা মোবারকের যে মাটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর দেহ মোবারকের সাথে লেগে আছে, তা আসমান জমীন এমনকি আরশে আযীম হতেও উত্তম”।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তব ছোঁয়া পেয়েছে যে</div><div style="text-align: justify;">হয়েছে দামী এই ধরাতে,</div><div style="text-align: justify;">তুষ্ট হয়ে খোদা তাদের</div><div style="text-align: justify;">দিবেন জান্নাত আখেরাতে।</div>

প্রিয় নবী (ﷺ)-এর কাছে থাকার ফযিলত ও নবীজির সাহচর্য

আজকের আলোচিত বিষয়বস্তুঃ প্রিয় নবী (ﷺ) কাছে থাকার ফযিলত ও নবীজির সাহচর্য। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাকের এমনই প্রিয় ...

Read more »

লোভ-অকৃতজ্ঞতা-বেয়াদবী-অহংকার-হিংসা

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-ae3b7a10-7fff-72cd-2146-a8a0c45d64ea"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">লোভ-অকৃতজ্ঞতা-বেয়াদবী-অহংকার-হিংসা</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">!</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">🖋মাসুম বিল্লাহ সানি</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নিজের যা আছে তা নিয়ে যদি কেউ তুষ্ট না থাকে,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হয় সে লোভী না হয় সে অকৃতজ্ঞ।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে অন্যকে সম্মান করতে জানে না, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তার নিজের কোন ব্যক্তিত্ব নেই। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যার স্বকীয়তা নেই, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সে নিজের কাছেও সম্মানিত নয়।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে অহংকারী তার ধ্বংসের জন্য নিজেই যথেষ্ট,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সে নিজের পতনের জন্য প্রতি পদক্ষেপে </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তার স্বীয় কবর খনন করে যায়, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মূলত অভিশাপই তার পতনের মূল!</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">স্বয়ং রব যাকে অভিশাপ দেয়-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তার চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হিংসা এমন এক মানসিকতা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যা নিরবে দাও দাও করে জ্বলতে থাকে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যেমনিভাবে প্রদীপের তেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তেমনিভাবে ব্যক্তির আমল ছারখার না করা পর্যন্ত এটাও জ্বলতে থাকে।</span></p>

লোভ-অকৃতজ্ঞতা-বেয়াদবী-অহংকার-হিংসা

লোভ-অকৃতজ্ঞতা-বেয়াদবী-অহংকার-হিংসা ! 🖋মাসুম বিল্লাহ সানি নিজের যা আছে তা নিয়ে যদি কেউ তুষ্ট না থাকে, হয় সে লোভী না হয় সে অকৃতজ্ঞ। যে অন্যকে...

Read more »

রাসূলগণের আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েব

<div style="text-align: justify;">সূরা আনআমের ৫০ নং আয়াত বা অন্য কোথাও কি আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েবকে অস্বীকার করা হয়েছে..!<br></div><div style="text-align: justify;">----</div><div style="text-align: justify;">আরোগ্যতা দান করা, মৃতকে জীবিত করা, দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়া, গায়েবের খবর জানা এগুলো আল্লাহ'র সত্ত্বাগত ক্ষমতা বা গুণ। আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে তাঁর মনোনীত বান্দাদেরকেও এসব ক্ষমতা দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সেগুলো তাঁর বান্দাদের জন্য সত্ত্বাগত নয়, আতায়ী বা আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা। যেমনঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, <br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তিনি (ঈসা আলায়হিস সালাম) বলবেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে নিদর্শনসহ তোমাদের নিকট এসেছি, আমি তোমাদের জন্য মাটি দিয়ে পাখির আকৃতি বানিয়ে তাতে ফুঁক দেব, আল্লাহর হুকুমে পাখি হয়ে যাবে, আল্লাহ'র হুকুমে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগী আরোগ্য করবো এবং মৃতকে জীবিত করবো এবং আমি তোমাদেরকে বলে দেব তোমাদের গৃহে তোমরা যা আহার কর এবং সঞ্চয় করে রাখ; নিশ্চয়ই এ কাজে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা মু’মিন হও।" (সূরা আলে ইমরান ৪৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"কাফেলা যখন (মিশর থেকে ইউসুফ আ. এঁর জামা নিয়ে) বেরিয়ে পড়ল, এমন সময়ে তাদের পিতা (ইয়াকুব আ., বাড়ীর লোকজনকে) বললেন, ‘তোমরা আমাকে বয়োবৃদ্ধ দিশেহারা মনে না করলে (তোমরা জেনে রাখ) আমি অবশ্যই ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি।’ উপস্থিত ব্যক্তিরা বলল, ‘আল্লাহর কসম! আপনি তো আপনার সেই পুরানো বিভ্রান্তিতেই (পুত্রস্নেহের মধ্যে বিভোর) আছেন দেখছি।’ (অতঃপর) সুসংবাদদাতা যখন (ইউসুফ আ. এঁর জামা নিয়ে) এসে হাযির হল, তখন সে জামাটি ইয়াকুব (আঃ) এঁর মুখমন্ডলের উপর রাখল, তাতে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন। তিনি (ইয়াকুব আ.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের বলিনি যে, আমি আল্লাহর নিকট হতে যা জানি তা তোমরা জান না।" (সূরা ইউসুফঃ ৯৪-৯৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কুরআনের আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট না জেনে, অন্যান্য আয়াত কিংবা হাদিসের সাথে সামঞ্জস্য বা মেলবন্ধন স্থাপন না করে শুধুমাত্র একটি আয়াত দিয়েই কোন রায় বা মত দিয়ে দেয়া যায় না। কুরআন এবং হাদিসের যেসব জায়গায় আল্লাহ তায়ালা-ই ইলমে গায়েবের জ্ঞান রাখেন বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে সত্ত্বাগত ইলমে গায়েব। আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র (সত্ত্বাগত) ইলমে গায়েবের অধিকারী (আলিমুল গায়েব) কিন্তু তিনি তাঁর মনোনীত রাসূলদের গায়েবের খবর জানিয়েছেন। ফলে এর অর্থ দাঁড়ায় যে, অদৃশ্যের বিষয় সম্পর্কে আল্লাহর নবীগণ অবহিত আছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা জানানোর কারণে, ইনারা নিজেরা সত্ত্বাগতভাবে ইলমে গায়েব সম্পর্কে জানেন না। এখন কেউ যদি যেসব আয়াতে রাসূলগণও যে, আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় ইলমে গায়েব জানেন বলা হয়েছে সেগুলোকে অবিশ্বাস করে তাহলে কি তারা ঈমানদার হতে পারবে!!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তাআ'লা বলেন, "(হে সর্বসাধারণ!) আল্লাহর শান এ নয় যে, তোমাদেরকে অদৃশ্যের জ্ঞান দিয়ে দেবেন। তবে আল্লাহ নির্বাচিত করে নেন তার রাসূলগণের মধ্য থেকে যাঁকে চান। সুতরাং ঈমান আনো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং যদি তোমরা ঈমান আনো এবং পরহেযগারী অবলম্বন করো, তবে তোমাদের জন্য মহা প্রতিদান রয়েছে।" (সূরা আলে ইমরানঃ ১৭৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তিনি (আল্লাহ) অদৃশ্যের জ্ঞানী, আর তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না, (কিন্তু) রাসূলের মধ্যে যাঁকে তিনি মনোনয়ন করেছেন তাঁকে ব্যতীত। (সূরা জ্বীনঃ ২৬-২৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাঁর হাবিবকে অদৃশ্যের খবর সম্পর্কে জানিয়ে বলছেন, "তিনি (ﷺ) অদৃশ্য (গায়েবী) বিষয় বলতে কৃপণতা করেন না।"(সূরা তাকভীরঃ ২৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্যত্র বলছেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"এবং (হে মাহবূব!) যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও দয়া আপনার উপর না থাকতো তবে তাদের একদল আপনাকে পথভ্রষ্ট করতে বদ্ধপরিকর ছিল। আর তারা নিজেদেরকে ছাড়া কাউকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না এবং তারা আপনার কোনই ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ্‌ আপনার উপর কিতাব ও হিকমত অবতীর্ণ করেছেন আর আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন যা কিছু আপনি জানতেন না এবং আপনার উপর আল্লাহ্‌র মহা অনুগ্রহ রয়েছে। (সূরা নিসাঃ ১১৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আমি যা দেখি তোমরা তা দেখ না, আর আমি যা শুনতে পাই তোমরা তা শুনতে পাও না। (সূনান আত তিরমিজী ২৩১২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাহলে কি আপনারা কুরআনের এসব আয়াতকে অস্বীকার করছেন!!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তাহলে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশকে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? অতএব তোমাদের যারা এমন করে তাদের পার্থিব জগতে লাঞ্ছনা ও অবমাননা ছাড়া আর কী প্রতিদান হতে পারে?" এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিন শাস্তির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে, আর তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ গাফেল নন। (সূরা বাকারাহঃ ৮৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও কুরআনের অনেক আয়াত এবং অনেক হাদিস শরীফ এমন রয়েছে যেগুলোর শুধু শাব্দিক অর্থ নিয়ে বিশ্বাস করলে ঈমান থাকবে না। যেমনঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সকল ক্ষমতার মালিক আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলছেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যে ব্যক্তি আমার কোন অলি বা বন্ধুর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারাই কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কোন কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি কোন কাজ করতে চাইলে তা করতে কোন দ্বিধা করি-না, যতটা দ্বিধা করি মু’মিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি।" (সহীহ বুখারী ৬৫০২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এর দ্বারা কি এটা বুঝব যে, আল্লাহ ও আল্লাহর অলি এক হয়ে গিয়েছে (নাউজুবিল্লাহ)!! নিশ্চয়ই নয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই এক্ষেত্রে শাব্দিক অর্থ নেয়া যাবে না। যেহেতু তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে সকল কাজ-কর্ম আল্লাহ তাআলারই সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রকাশ পায় এজন্যে একথা বলা হয়েছে যে, আঁমিই যেন তার চোখ, কান, হাতও পা হয়ে যাই। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আহলুস সুন্নাহ এর আকীদা হল আল্লাহ তায়ালা আকার আকৃতি থেকে পবিত্র। কুরআন হাদিসের কয়েক জায়গায় আল্লাহ'র হাত-পা শব্দগুলো এসেছে। সেই শব্দগুলো দ্বারা আল্লাহ যা বুঝিয়েছেন আমরা তার উপর ঈমান এনেছি। ইমাম তাহাভী (রহঃ) বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালাকে মানবীয় গুণাবলী হতে কোন গুণের দ্বারা গুণান্বিত করবে সে কাফির ।” (ইমাম তাহবী, আকিদাতুত তাহাভী, ৪১ পৃষ্ঠা, আকিদা নং ৩৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‘‘আল্লাহ তা‘য়ালার গুণে সৃষ্টি জগতের কেহ নেই। তিনি সীমা, পরিধি, অঙ্গপ্রতঙ্গ এবং উপাদান উপকরণের ঊর্ধ্বে। সৃষ্টি জগতের ন্যায় ছয় দিকের কোন দিক তাকে বেষ্টন করতে পারে না।’’ (ইমাম তাহাভী, আকিদাতুত তাহাভী, ৪৪ পৃষ্ঠা, ক্রমিক: ৩৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম বায়হাকী রহঃ বলেন, “নিশ্চয় আমাদের ও সকল মুসলমানের জানা অত্যাবশ্যক যে, আমাদের প্রভু আকৃতি ও অবয়ব বিশিষ্ট নন। কেননা, "আকৃতি'', কেমন এর চাহিদা রাখে। অথচ কেমন প্রশ্নটি আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কোনো ক্ষেত্রে যদি আকৃতি প্রকাশের কথা আসে তা হবে তাঁর সিফাত বা গুণাবলী।” (কিতাবুল আসমা ওয়াল সিফাত)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তাঁর কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্ৰষ্টা।" (সূরা আশ-শুরাঃ ১১) আল্লাহ তায়ালা কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন। তিনি সবকিছু দেখেন, শুনেন, হুকুম করেন। এসবের জন্য তিনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মুখাপেক্ষী নন। তিনি তখনো ছিলেন যখন আরশ কুরসি কোন কিছুই ছিল না। আল্লাহ আরশের নিয়ন্ত্রণকারী। তিনি স্থান থেকে পবিত্র।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এবার আসি, সূরা আনআমে। সূরা আনআমের ৫০ নং আয়াতের তাফসীরে তাফসীরকারকগণ বলেছেন, এ আয়াতটিতে সত্ত্বাগত ইলমে গায়বের অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হয়েছে (যা একমাত্র আল্লাহর জন্য), কেউ কেউ বলেছেন বিনয় ও নম্রতা প্রকাশের জন্য এ রকম বলা হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাফসীরে খাযেনে এ আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে, ‘‘হুযুর ﷺ নিজের পবিত্র সত্ত্বা সম্পর্কে এ সকল বিষয়ের অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছেন। এটা এজন্য যে, এতে আল্লাহর নিকট তাঁর অনুনয়- বিনয় ও স্বীয় বন্দেগীর স্বীকারোক্তি প্রকাশ পায়। অর্থাৎ রাসূল ﷺ বলেছেনঃ আমি ওসব ব্যাপারে কিছু বলছি না এবং কোন কিছুর দাবীও করছি না।’’ {ইমাম খাযেনঃ লুবাবুত তা’ভীলঃ ২/১৮০ পৃ.}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‘তাফসীরে বায়যাবী’তে এ আয়াতের ব্যাখ্যা এভাবে করা হয়েছে- ‘‘আমি গায়েব জানিনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার প্রতি ওহী নাযিল হয়, বা এ ব্যাপারে কোন দলীল প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়।’’ {কাজী নাসিরুদ্ধীন বায়যাভীঃ তাফসীরে বায়যাভীঃ ২/৪১০ পৃ.}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‘তাফসীরে কবীরে’ একই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- ‘‘আমি আল্লাহর জ্ঞানে গুণান্বিত হওয়ার দাবী করি না। আয়াতের দু’অংশকে একত্রিত করলে সারমর্ম হয়, হুযুর আলাইহিস সালাম খোদা হওয়ার দাবী করেন না।’’ {ইমাম ফখরুদ্দীন রাজীঃ তাফসীরে কবীরঃ ৪/৫৩৮ পৃ.}</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও আমরা যদি শুধুমাত্র ঐ আয়াতের শাব্দিক অর্থ গ্রহণ করেই রায় বা মত দিয়ে দিই, তাহলে কি আমরা আল কুরআনের অন্যান্য আয়াত এবং বুখারী মুসলিমের সেসব হাদিস যেখানে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলছেন "আমাকে পৃথিবীর ভান্ডারসমূহের চাবি দেয়া হয়েছে", সেসব হাদিস যেখানে তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, পূর্বে কি হয়েছে, কিয়ামতের পূর্বে কি কি হবে সব বলে দিয়েছেন সেগুলোকে অস্বীকার করব?? আর আমাদের নবীকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করব!! (নাউজুবিল্লাহ) (আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ধোঁকাবাজ এবং অপব্যাখ্যাকারীদের থেকে হেফাজত করুক)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">না, বরং আমরা সবকিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করব, প্রেক্ষাপট বিবেচনা করব। আল্লাহ তায়ালা-কে আলিমুল গায়েব এবং সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা মানবো এবং আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ করে তাঁর প্রিয় হাবিবকে ইলমে গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং পৃথিবীর ভান্ডারসমূহের চাবিকাঠি দিয়েছেন এটাও মানবো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ মিম্বরে উঠে বললেন, আমি তোমাদের জন্য অগ্রগামী ব্যক্তি, আমি তোমাদের হয়ে আল্লাহ'র নিকটে সাক্ষ্য দিব। আল্লাহ'র কসম, আমি এখানে বসে থেকেই আমার হাউযে কাওসার দেখতে পাচ্ছি। পৃথিবীর ধন-ভান্ডারের চাবি (অন্য বর্ণনায় রয়েছে পৃথিবীর চাবিগুচ্ছ) আমার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ'র কসম! আমার ওফাতের পর তোমরা মুশরিক হয়ে যাবে এ আশঙ্কা আমি করি না। তবে আমি তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, দুনিয়ার ধন-সম্পদের মোহে তোমরা আত্মকলহে লিপ্ত হয়ে পড়বে। (সহীহ বুখারী ৩৫৯৬, ১৩৪৪, ৪০৪২, ৪০৮৫, ৬৪২৬, ৬৫৯০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান (র.) বলেনঃ আমি মু‘আবিয়া (রা.)-কে খুৎবায় বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্ যার মঙ্গল চান, তাকে দ্বীনের ‘ইলম দান করেন। আল্লাহ্ দান করেন (দাতা) আর আমি বন্টন করি (বন্টনকারী)। এ উম্মত সর্বদা তাদের প্রতিপক্ষের উপর বিজয়ী থাকবে, আল্লাহর আদেশ (কিয়ামত) আসা পর্যন্ত আর তারা থাকবে বিজয়ী।’ (সহীহ বুখারী ৩১১৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div><div style="text-align: justify;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiH43lXrP3r7LkbmwyLY53W6SVvHFDF6Ew6-CCyuewizn3cGlw7G33OU5aFJvPSVfh8XmcnFGTSTHQEbnF8NtxeVgLvxCR3kh_sUl1k2rSPAOEz-eKySZuWn744PLji-mWN16o9KlQcYe93/s1600/FB_IMG_1613925312512.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1080" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiH43lXrP3r7LkbmwyLY53W6SVvHFDF6Ew6-CCyuewizn3cGlw7G33OU5aFJvPSVfh8XmcnFGTSTHQEbnF8NtxeVgLvxCR3kh_sUl1k2rSPAOEz-eKySZuWn744PLji-mWN16o9KlQcYe93/s1600-rw/FB_IMG_1613925312512.jpg" width="320"></a></div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একদিন প্রিয় নবী ﷺ মিম্বরে আরোহণ করে ঘোষণা করলেন, তোমরা আমাকে যা-ই প্রশ্ন করবে, আমি তারই উত্তর প্রদান করব। অতঃপর এমন এক ব্যক্তি, যাকে পারস্পরিক বাকবিতণ্ডার সময় অন্য এক ব্যক্তির (যে প্রকৃতপক্ষে তার পিতা নয়) সন্তান বলে সম্বোধন করা হতো, (তিনি) উঠে তার পিতার নাম জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি ﷺ উত্তর দিলেন, তোমার পিতা হুযাফা। </div><div style="text-align: justify;">(সহীহ বুখারী ৭০৮৯) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তারপর তিনি বার বার বলতে লাগলেনঃ তোমরা আমার কাছে প্রশ্ন কর, আমার কাছে প্রশ্ন কর। এতে হযরত উমর (রাঃ) হাঁটু গেড়ে বসে গেলেন এবং বললেন, আমরা আল্লাহ্কে রব হিসাবে মেনে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে এবং মুহাম্মাদ ﷺ কে রাসূল হিসেবে বিশ্বাস করে সন্তুষ্ট আছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থামলেন। </div><div style="text-align: justify;">(সহীহ বুখারী ৭২৯৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ ﷺ ফজর হতে মাগরিব পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নামাজসমূহ আদায়ের পরপর মিম্বরে আরোহণ করে খুতবা (বর্ণনা) দিতে থাকেন। এতে তিনি পূর্বে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে সব জানিয়ে দেন। (সহীহ মুসলিম ৭১৫৯) তিনি ﷺ সৃষ্টির সূচনা সম্পর্কে জ্ঞাত করলেন। অবশেষে তিনি জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীর নিজ নিজ নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করার কথাও উল্লেখ করেন। যাদের স্মরণশক্তি ভাল ছিল, তারা এগুলো স্মরণ রাখতে পেরেছেন। (সহীহ বুখারী ৩১৯২) তিনি ﷺ কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে বলে জানান সেসবের কিছু ঘটলেই সাহাবায়ে কেরাম তা স্মরণ করতে পারতেন যেভাবে কেউ তার পরিচিত লোকের অনুপস্থিতিতে তার চেহারা স্মরণ রাখে। অতঃপর তাকে দেখা মাত্র চিনে ফেলে। (সুনান আবূ দাউদ ৪২৪০) হুযায়ফা (রাঃ) আল্লাহ্‌র কসম করে বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কিয়ামত পর্যন্ত ফিতনা সৃষ্টিকারী কোন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করতে বাদ দেননি, যাদের সংখ্যা হবে তিনশ’রও বেশী। তিনি তাদের নাম, তাদের পিতার নাম এবং তাদের গোত্রের নামও উল্লেখ করেন। (সূনান আবু দাউদ ৪২৪১) এছাড়াও রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, দাজ্জালের সংবাদ সংগ্রাহক দলের প্রতিটি ব্যক্তির নাম, তাদের বাপ-দাদার নাম এবং তাদের ঘোড়ার রং সম্পর্কেও তিনি অবগত আছেন। (সহীহ মুসলিম ৭১৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আচ্ছা, তিনি কি করে এত কম সময়ে এতসব বর্ণনা করতে পেরেছেন!! </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আমি ‘জাওয়ামিউল কালিম (ব্যাপক অর্থবহ সংক্ষিপ্ত কথা) সহ প্রেরিত হয়েছি এবং আমাকে (ঐশী) প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। একবার আমি ঘুমের অবস্থায় দেখলাম, পৃথিবীর ভান্ডারগুলোর চাবি আমাকে দেয়া হয়েছে এবং তা আমার হাতে রেখে দেয়া হয়েছে। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ ওফাত বরণ করে (পর্দা করে) গেছেন। আর তোমরা তা ব্যবহার (ভোগ) করছ কিংবা বলেছিলেন তোমরা তা থেকে উপকার লাভ করছ কিংবা তিনি এরকমই কোন কথা বলেছিলেন। (অন্য বর্ণনায়, আর তোমরা ঐ ভান্ডারগুলো সংগ্রহ করে চলেছ) (সহীহ বুখারী ৭২৭৩, ২৯৭৭, সুনানে আন-নাসায়ী ৩০৮৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুতরাং আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা আর আল্লাহর সত্ত্বাগত ক্ষমতা কখনোই এক হতে পারে না, তাই "প্রিয় নবী ﷺ আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় গায়েবের খবর জানেন" এ আকীদা পোষণ করা কখনোই কুফরী হতে পারে না বরং এর বিপরীত আকীদা পোষণ করায় কুফরী। আরো মনে রাখা উচিৎ, আল্লাহ'র জ্ঞান অসীম। আল্লাহ পাক মহা অনুগ্রহ করে তাঁর রাসূলকে যা যা দরকার সবই জানিয়ে দিয়েছেন। কতটুকু জানিয়েছেন তার সীমা নির্ধারণ করার অধিকার আমাদের নেই, সেটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ ই ভালো জানেন। কিন্তু আমাদের জ্ঞান আল্লাহ'র রাসূলের জ্ঞানের তুলনায় অতি নগন্য।</div>

রাসূলগণের আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েব

সূরা আনআমের ৫০ নং আয়াত বা অন্য কোথাও কি আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েবকে অস্বীকার করা হয়েছে..! ---- আরোগ্যতা দান করা, মৃতকে জীবিত করা, দৃষ্টিশক্ত...

Read more »

হাসিমুখে কথা বলা ইবাদত

<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgR4QkM6T5giQDuuPlukVUOdz88WO7V3adsCmlzGgaLa2BOiHxjX0cfsXzM5HLd1J-aTbMiPBKrjSwTc6mfzXrXZHVvxjBW5yXbaK8TmdPMf2uMhk_Hb7gPumkXtCt2Q-vDd7JiKlJV3iFt/s1600/smiling_BG20180927111832.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img alt="হাসিমুখে কথা বলা ইবাদত" border="0" class=" " data-original-height="400" data-original-width="725" height="176" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgR4QkM6T5giQDuuPlukVUOdz88WO7V3adsCmlzGgaLa2BOiHxjX0cfsXzM5HLd1J-aTbMiPBKrjSwTc6mfzXrXZHVvxjBW5yXbaK8TmdPMf2uMhk_Hb7gPumkXtCt2Q-vDd7JiKlJV3iFt/s1600-rw/smiling_BG20180927111832.jpg" title="হাসিমুখে কথা বলা ইবাদত" width="320"></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">হাসিমুখে কথা বলা ইবাদত</td></tr></tbody></table></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-ad0ce736-7fff-f7b8-16ec-a515b0a1d56e"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-ad0ce736-7fff-f7b8-16ec-a515b0a1d56e"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 255, 0); background-color: rgb(0, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসিমুখে কথা বলা ইবাদত</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 255, 0); background-color: rgb(0, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) মুচকি হাসতেনঃ</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হারেস (رضي الله عنه) বলেছেন, মুচকি হাসিতে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেয়ে অগ্রগামী কাউকে আমি দেখিনি। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ২২৭)</span></p></li></ul><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলার গুরুত্ব দিতে গিয়ে নবী (ﷺ) তাঁর এক প্রিয় সাহাবি আবু জার (رضي الله عنه)-কে বলেছিলেন, ‘কোনো ভালো কাজকেই তুচ্ছ মনে করবে না, এমনকি তা যদি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার বিষয়ও হয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬২৬)</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয় নবী (ﷺ) সর্বদা সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন। কারো সঙ্গে দেখা হলে কমপক্ষে হাসিমুখে তাকে শুভেচ্ছা জানাতেন। </span></p><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) বলেন, ‘আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে রাসূল (ﷺ) আমাকে তার দরবারে উপস্থিত হতে বাঁধা দিতেন না এবং আমাকে দেখলেই তিনি মুচকি হাসতেন। ’ -সহিহ বোখারি : ৩৮২২</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সর্বদা বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলতেন। তিনি ছিলেন সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও আলংকারিক ভাষার কৃতিত্বধারী। তার শব্দ ও বাক্য, উচ্চারণ ও ভঙ্গিমা সবকিছুই ছিলো- বিশুদ্ধতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ; বরং বলা যায় সাহিত্যের উত্তম নিদর্শন। </span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(127, 96, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে,</span><span style="font-size: 12pt; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ‘রাসূল (ﷺ) ছিলেন আরবের সবচেয়ে বিশুদ্ধ ভাষী। ’ -কানজুল উম্মাল : ৩৫৪৭১</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অপর ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলা সদকাহঃ</span><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(‘সদকা’ মানে দান, যার বিনিময়ে আল্লাহ আখিরাতে পুরস্কৃত করবেন।) </span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি ভালো কাজ সদকা। আর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো অপর ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭০)</span></p></li></ul><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার ভাইয়ের (সাক্ষাতে) মুচকি হাসাও একটি সদকা।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৫৬)</span></p></li></ul><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘যে ব্যক্তি নিজের কোনো মুসলিম ভাইকে খুশি করার জন্য এমনভাবে সাক্ষাৎ করে, যেমনটি সে নিজের জন্য পছন্দ করে। কেয়ামতের দিন (বিনিময়ে) আল্লাহ তাআলা তাকে খুশি করবেন।’ (তাবারানি, হাদিস : ১১৭৮)</span></p></li></ul><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত কায়েস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, আমি জারির (رضي الله عنه)-কে বলতে শুনেছি, ‘আমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) যখনই আমাকে দেখেছেন, আমার সামনে মুচকি হাসি দিয়েছেন।’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ২৪৯)</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কথাবার্তা ও আলাপচারিতায় মানুষের ব্যক্তিত্বের ছাপ ফুটে ওঠে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (ﷺ) তার জীবন ও আদর্শের মাধ্যমে আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসিমুখে কথা বলাও সওয়াবের কাজঃ</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস শরিফে রয়েছে: ‘কোনো মুসলমানের সঙ্গে দেখা হলে, হাসিমুখে কথা বলা সদকা করার সমান সওয়াব।’ অর্থাৎ দানে যেমন পুণ্য হয় ও আত্মা পবিত্র হয় এবং প্রশান্তি লাভ করে; অনুরূপ হাসি দ্বারা পুণ্য অর্জন হয়, মন পরিষ্কার হয় ও শান্তি লাভ হয়। (শামায়েলে তিরমিজি শরিফ)।</span></p></li></ul><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসে পাকে এসেছে, ‘কেউ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করলে তোমরা তাকে এর বিনিময় দেবে। যদি বিনিময় দেয়ার মত কিছু না থাকে তবে তার জন্য তোমাদের মনে এ ধারণা হওয়া পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবে যে, ‘তোমরা তার সমপরিমাণ বিনিময় দিতে সক্ষম হয়েছো।’ (আবু দাউদ)</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলার জন্য নসিহত করেছেন। কারণ হাসি মুখে কথা বলা বা সৌজন্যতা প্রদর্শনেও রয়েছে সাওয়াব।</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমার কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও সাওয়াবের কাজ।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)</span></p></li></ul><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পরিপূর্ণ ঈমানদার হলো ওই ব্যক্তি, যার চরিত্র সর্বোত্তম।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথমে সালাম তারপর কথাঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে রাসূল (ﷺ) প্রথমে সালাম প্রদান করতেন। অতপর তিনি কথা বলতেন।</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ প্রসঙ্গে হাদিসে হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘আগে সালাম পরে কথা। ’ -সুনানে তিরমিজি : ২৮৪২</span></p></li></ul><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবী করিম (ﷺ) ছোট-বড় সবাইকে সালাম প্রদান করতেন এবং প্রথমে সালাম দিতেন। হজরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, ‘তিনি রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে পথ চলছিলেন। তখন রাসূল (ﷺ) কয়েকটি শিশুকে অতিক্রম  করছিলেন। তিনি তাদেরকে সালাম করলেন। ’ সহিহ মুসলিম : ৫৭৯৩</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা বলার ধরণঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কথা বলার সময় যেমন তাড়াহুড়া করতেন না, তেমনি এতো ধীরে বলতেন না যাতে কথার ছন্দপতন হয়। বরং প্রতিটি কথা স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতেন। </span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাদের মতো এক নাগারে তাড়াহুড়া করে কথা বলতেন না; বরং তিনি প্রতিটি কথা পৃথক পৃথক স্পষ্ট ভাষায় বলতেন। যাতে তার পাশে উপবিষ্ট ব্যক্তিরা তা হৃদয়ঙ্গম করতে পারে। ’ -সুনানে তিরমিজি : ৩৬৩৯</span></p></li></ul><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(19, 79, 92); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; background-color: rgb(243, 243, 243); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলে আকরাম (ﷺ) যখন কোনো মজলিসে কথা বলতেন, তখন গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো তিনবার পর্যন্ত পুনরাবৃত্তি করতেন। হজরত আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূল (ﷺ) তার কথাকে তিনবার পর্যন্ত পুনরাবৃত্তি করতেন, যেনো তা ভালোভাবে বোঝা যায়। ’ -শামায়েলে তিরমিজি : ২২২</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলে আকরাম (ﷺ) এর রসিকতা/ কৌতুকঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত রাসূলে আকরাম (ﷺ) কথাবার্তায় কখনও কখনও রসিকতা করতেন। তবে সত্য কৌতুক করতেন। কখনও মিথ্যার আশ্রয় নিতেন না। </span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(127, 96, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘সাহাবাগণ বললো, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় আপনি আমাদের সঙ্গে হাসি-কৌতুক করেন। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি শুধু সত্যই বলি (কৌতুক করি)। ’- শামায়েলে তিরমিজি : ১৯৪</span></p></li></ul><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 12pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূল (ﷺ) এমন কোনো রসিকতা করতেন না যাতে মানুষের সম্মান নষ্ট হয় বা মনে কষ্ট পায়; বরং তিনি রসিকতার জন্য সত্য উপাদান বেছে নিতেন। যেমনঃ</span></p><br><ul style="margin-top:0;margin-bottom:0;padding-inline-start:48px;"><li dir="ltr" style="list-style-type: disc; font-size: 12pt; font-family: Arial; color: rgb(56, 118, 29); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre;" aria-level="1"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" role="presentation"><span style="font-size: 12pt; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হজরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, ‘নবী সা. তাকে কৌতুক করে দুই কানওয়ালা ডেকে ছিলেন। ’ -সুনানে আবু দাউদ : ৫০০৪</span></p></li></ul></div>

হাসিমুখে কথা বলা ইবাদত

হাসিমুখে কথা বলা ইবাদত হাসিমুখে কথা বলা ইবাদত সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) মুচকি হাসতেনঃ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হারেস (رضي الله عن...

Read more »