স্বপ্ন পূরণের পথে যখন হাজারো প্রতিবন্ধকতা পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি ভাবছি কি ভাবে এই স্বপ্ন পূর্ণতা পাবে? কিভাবে সম্ভব?
হ্যা, এমনটা ভেবেছিলেন হযরত সায়্যিদুনা যাকারিয়া আলাইহিস সালামও, যখন তাঁকে বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পর পুত্র সন্তান ইয়াহিয়া'র দুনিয়ায় আগমনের সুসংবাদ জানানো হয়েছিল। তাঁর কাছে এটা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল।
বলেছিলেন- 'হে আমার রব! আমার পুত্র কিভাবে হবে? আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা এবং আমি বার্ধক্যের কারণে শুকিয়ে যাবার অবস্থায় পৌঁছে গেছি।' ফেরেশতারা জানালেন- 'এমনই হবে। তোমার রব বলেছেন: তা আমার জন্য সহজ এবং আমি সে সময় তোমাকে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।' [১]
বাস্তবতা এটাই। যে স্বপ্নের পেছনে হাজারো বাধা আমার নজরে ভাসছে, অসম্ভব মনে হচ্ছে- তা আমার রবের জন্য সম্ভব। এবং শুধু দোয়াই রবের ফয়সালাকে পরিবর্তন করতে পারে। [২]
যাকারিয়া আলাইহিস সালাম এর আকুতিটা ছিল বিশ্বাস আর একনিষ্ঠতায় ভরপুর। 'তিনি আপন রবকে নিরবে আহ্বান করেছিলেন। আরয করলেন- হে আমার রব! আমার অস্থি দূর্বল হয়ে গেছে আর আমার মাথা থেকে বার্ধক্যের ছাপ প্রকাশ পাচ্ছে এবং হে আমার রব! আমি কখনো তোমাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।' [৩] দোয়ার বাক্যগুলোর দিকে একবার লক্ষ্য করুন গভীরভাবে।
নিজের অসম্ভাবনার ওযরগুলো রবরে নিকট পেশ করে, তারপর বুঝাতে চাইলেন তোমাকে ডেকে তো কভু ব্যর্থ হইনি ইয়া রব। আমার কাছে এতগুলো সমস্যা যদিও সম্ভাবনার দ্বারকে বন্ধ করে দিচ্ছে, কিন্তু তুমি আমার রব, যার কাছে সব সম্ভব- এই বিশ্বাস আছে বলেই তো আর্জি জানাচ্ছি। আসুন, সেই বিশ্বাস আর একনিষ্ঠতা সহকারে আপন রবকে ডাকি। যে রব যাকারিয়ার, সে রব আপনারও। যে রব যাকারিয়ার স্বপ্ন পূ্রণ করতে পারেন, তিনি আপনার আমারটা কেন পারবেন না?
Reference:
[১] সূরা মরিয়ম, আয়াত- ৮,৯।
[২] তিরমিজি, হাদিস নং- ২১৩৯।
[৩] সূরা মরিয়ম, আয়াত- ৩,৪।
_Swadhin Ahmed