সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরিকা হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: 'পুরুষের জন্য নাভীর নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত সতরে আওরাত অর্থাৎ ততটুকু অংশ ঢেকে রাখা ফরয। নাভী সতরের অন্তর্ভূক্ত নয় কিন্তু হাঁটু সতরে অন্তর্ভূক্ত। বর্তমান যুগে অধিকাংশ লোক এমন রয়েছে যে, লুঙ্গি অথবা পায়জামা এভাবে পরিধান করে যে, নাভীর নিচের কিছু অংশ খোলা থাকে আর যদি জামা বা পাঞ্জাবী ইত্যাদি দ্বারা (সেই অংশটি) এভাবে ঢেকে নেয় যে, চামড়ার রং প্রকাশিত না হয়, তবে তা ঠিক আছে।

আর এরূপ না হলে হারাম, আর নামাযের মধ্যে এক চতুর্থাংশ পরিমাণ খোলা থাকলে নামাযই হবেনা এবং অনেক মূর্খ এমনও রয়েছে যে, লোকদের সামনে হাঁটু বরং রান পর্যন্তও খোলা রাখে এটাও হারাম এবং যদি এরূপ অভ্যাস হয়ে যায় , তবে ফাসিক (প্রকাশ্যে গুনাহকারী) বলে গন্য হবে।' [বাহারে শরীয়ত, ১ম খন্ড]


এই মাসয়ালাটি আমাদের জানা অতিব জরুরি। তা-না হলে নিজের অজান্তেই অনেকে একটি ফরয বিধান তরক করছি প্রতিনিয়ত। অনেকেরই এই বদ-অভ্যাস যে, মানুষের সামনে লুঙ্গি, বা প্যান্ট হাঁটুর ওপরে পরে। অনেকে মাথায় টুপি দিয়ে, লুঙ্গি রাখে হাঁটুর ওপর। সুন্নত আদায় করছে, আর ওদিকে ফরয তরক হচ্ছে। আর আমার যুবক ভাইয়েরা তো হাফ প্যান্ট পরাকে আধুনিকতা বলে ধারণা করে। অথচ একদিকে আপনিও গুনাহগার হচ্ছেন, অন্যদিকে যে দেখছে তাকেও গুনাহগার বানাচ্ছেন। তাই মাসয়ালাটি হৃদয়ে গেঁথে নিন। যারা জানে না তাদের জানান। ঘরে হোক কিংবা বাহিরে পর্দার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।

এক্ষেত্রে খুব টাইট ফিটিং করা পায়জামা বা টি-শার্ট যেগুলোকে আমরা ফ্যাশন বলে ধারণা করছি, সেটাও পর্দার আদবের পরিপন্থী। শরীরের আকৃতি মানুষের কাছে এভাবে প্রকাশ পাওয়া— দৃষ্টি-কটুও বটে।

এখন আসি দ্বিতীয় বিষয়ে। অনেকে আবার এই দাওয়াত ফেসবুকে পৌঁছাতে গিয়েও গুণাহগার হচ্ছেন নিজের অজান্তেই। সেটা আবার কিভাবে? হাফ প্যান্ট পরা, হাঁটু খোলা রাখা এক ব্যক্তির ছবির সাথে এই মাসয়ালা জানাচ্ছেন। একবারও চিন্তা করলেন না, যেই হাঁটু খোলা অবস্থায় দেখলে মানুষ গুনাহগার হবে, সেটা কি ভার্চুয়াল জগতে দেখলে গুনাহগার হবে না?

নিজের বিবেককে একটু নাড়া দিন। শুধু আবেগ নয়, সাথে বিবেকটাও রাখুন।
Top