ইসলামী বিশ্বকোষ

আমাদের গুরুত্বে আমার— রব!

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgECdX6j0f51wv2LoVwtaJGMyrJPsQ_NZ5BksHfyD8QFNe1VRa-hw8O1o0mUuWt2oLAQ_d2FyC3Pek0jHXpBZCorudfm6WeD2OooZmpgYJfESNCkCrkaW_yr-Gf3osNcT0SWg9LcAyKpes/s1600/images+%25282%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" class=" imageResizeTarget" data-original-height="400" data-original-width="711" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgECdX6j0f51wv2LoVwtaJGMyrJPsQ_NZ5BksHfyD8QFNe1VRa-hw8O1o0mUuWt2oLAQ_d2FyC3Pek0jHXpBZCorudfm6WeD2OooZmpgYJfESNCkCrkaW_yr-Gf3osNcT0SWg9LcAyKpes/s1600-rw/images+%25282%2529.jpeg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><div class="separator" style="clear: both;">কিছু-কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করলেই, চোখের সামনে স্পষ্ট ভেসে ওঠে আমরা আসলেই আমাদের রব'কে দুনিয়ার মানুষের ওপর কতটা প্রাধান্য দেই!</div><div class="separator" style="clear: both;"> </div><div class="separator" style="clear: both;">কেন আমি তো আমার রবকেই সবচে বেশি প্রাধান্য দেই? দেব না কেন তিনি আমার স্রষ্টা?— হ্যা, প্রিয় ভাই আমার আমাদের এই শব্দগুচ্ছগুলো ফেসবুকের টাইমলাইন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন নজর এড়ানোর মতোই। আমরা যখন কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরিকল্পনা করি অথবা যেকোনো ধরণের মিটিংয়ে, যেখানে সাক্ষাৎ হবে উচ্চ-পদস্থ সব লোকের সাথে। সমাগম হবে মানুষের। তখন আমরা নিজের পোশাকের আভিজাত্যের কথাটা মোটেও ভুলে যাই না। বরং সেদিকেই নজর থাকে বেশি। মানুষের চোখে আমাকে কেমন দেখাবে? পোশাক-আশাকে স্মার্ট হতে হবে।</div><div class="separator" style="clear: both;"> </div><div class="separator" style="clear: both;">কিন্তু যখন দ্বীনের বিষয়গুলো সামনে আসে, তখন আমরা ছেড়া-ফাটা আর অপরিচ্ছন্ন পোশাককেই তাকওয়া আর বুজুর্গির প্রতিফলন বানাই। আফসোস! আমাদের সাঁজগোজ আমার রবের জন্য নয়। যখন মসজিদে নামজে যাই তখনও পোশাকের ব্যাপারে বড়ই উদাসীন থাকি। কোনো রকমে একটা পরলেই তো হলো। কিন্তু একটা বার চিন্তা করুন, দুনিয়ার মানুষের সামনে গেলে আপনি নিজের পোশাকের আভিজাত্যের কথাটা মোটেই ভুলে যান না, সেখানে সৃষ্টিজগতের প্রতিপালকের বারগাহে দাঁড়াতে আপনি কতটা সচেতন ছিলেন? তাহলে আবার রবের চেয়ে মানুষকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না তো? </div><div class="separator" style="clear: both;"> </div><div class="separator" style="clear: both;">আমার রব তায়ালা পবিত্র কালামে ফুরকানে ইরশাদ ফরমাচ্ছেন-</div><div class="separator" style="clear: both;">يَا بَنِي آدَمَ خُذُواْ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ</div><div class="separator" style="clear: both;">'হে বনী আদম! তোমরা সুন্দর পোশাক পরিধান করো যখন মসজিদে যাবে।' [সূরা আরাফ, আয়াত : ৩১]</div><div class="separator" style="clear: both;"> </div><div class="separator" style="clear: both;">আমরা রব বান্দার ওপর তাঁর দান করা নিয়ামতের প্রভাব দেখতে চান। যিনি আমাকে সৃষ্টি করলেন, এতো এতো নিয়ামত দিলেন— আমার ফ্যাশনগুলো যদি তাঁর জন্য না হয় তো হবে কার জন্য?</div><div class="separator" style="clear: both;"> </div><div class="separator" style="clear: both;">আমার এবং আমাদের সকল কিছুই যেন হয় শুধুমাত্র আমার রব তায়ালার জন্য।</div><div class="separator" style="clear: both;"> </div><div class="separator" style="clear: both;">~ স্বাধীন আহমেদ</div></div>

আমাদের গুরুত্বে আমার— রব!

কিছু-কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করলেই, চোখের সামনে স্পষ্ট ভেসে ওঠে আমরা আসলেই আমাদের রব'কে দুনিয়ার মানুষের ওপর কতটা প্রাধান্য দেই! কেন আমি...

অক্টোবর ২৯, ২০২১

ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ?

<div style="text-align: justify;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6TG9VhipI3hN2f4EivY80O6GffI14znoQtYmJipQpYO8oOdi5p3S9xZ8LXvjF9yY-SKIIC2DZKtwtFYT6jQW4xVRa-qaJ0crymTg-21I1n6wqWCZfACkVmRs8_mrGxma3wiIiTyMnpu8/s1600/CamScanner+10-29-2021+18.25.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img alt="ইমাম বুখারী: আল-আদাবুল মুফরাদ, ৫৫২ পৃ:, অনুচ্ছেদ নং ৬০৩, হা নং ১২৭০, ইফা:" border="0" class=" " data-original-height="1532" data-original-width="1096" height="441" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6TG9VhipI3hN2f4EivY80O6GffI14znoQtYmJipQpYO8oOdi5p3S9xZ8LXvjF9yY-SKIIC2DZKtwtFYT6jQW4xVRa-qaJ0crymTg-21I1n6wqWCZfACkVmRs8_mrGxma3wiIiTyMnpu8/s1600-rw/CamScanner+10-29-2021+18.25.jpg" title="ইমাম বুখারী: আল-আদাবুল মুফরাদ, ৫৫২ পৃ:, অনুচ্ছেদ নং ৬০৩, হা নং ১২৭০, ইফা:" width="316"></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">ছবিঃ ইমাম বুখারী: আল-আদাবুল মুফরাদ, ৫৫২ পৃ:, অনুচ্ছেদ নং ৬০৩, হা নং ১২৭০, ইফা:</td></tr></tbody></table></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">সাহাবীদের যুগে কি জন্মদিন পালন করা হতো ?  </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">আসুন ইমাম বুখারী (রহ.) কর্তৃক সংকলিত হাদিস থেকে দেখি সাহাবীদের যুগে কি জন্মদিন পালন করা হতো কিনা? কিংবা জন্মদিন উপলক্ষে কোন খাবার-দাবার বা ভোজের আয়োজন করা হতো কিনা? মূলত শরীয়তের বৈধ পন্থায় জন্মদিন পালন জায়েজ কিন্তু তা ইহূদী-নাসারাদের (মত) সাদৃশ্য হলে নাজায়েজ। </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">----------------</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><ul><li>আল-হাদিসঃ</li></ul></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">হযরত বিলাল ইবনে কা'ব মাক্কী (রা.) বর্ণনা করেন, </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">আমরা ইয়াহইয়া ইবনে হাসানের সাথে তাঁর গ্ৰামে গিয়ে সাক্ষাৎ করি। এই দলে আমি ছিলাম আর ছিলেন ইব্রাহিম ইবনে আদহাম (রা.), আব্দুল আজিজ ইবনে কুদায়েদ ও মূসা ইবনে ইয়াসার। </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">তিনি আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসলেন। কিন্তু মূসা হাত গুটিয়ে রাখলেন। তিনি রোজা রেখেছিলেন। </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">ইয়াহইয়া (রা.) বললেন, </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">এই মসজিদে বনী কিনানা বংশীয় এক ব্যক্তি যিনি রাসূল ﷺ'র সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত আমাদের ইমামতি করেছেন। তাঁকে আবু কুরসাফা নামে অভিহিত করা হতো। তিনি পালাক্রমে একদিন রোজা রাখতেন (নফল) এবং একদিন রাখতেন না। </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">একদিন আমার পিতার একটি শিশু সন্তানের জন্ম হলো। তিনি তাঁকে (ঐ সাহাবীকে) এমন একদিনে দাওয়াত করলেন যেদিন তিনি রোজা রেখেছিলেন। তিনি (এই দাওয়াত উপলক্ষে) রোজা ভঙ্গ করেছিলেন। </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">অতঃপর ইব্রাহিম (রা.) দাঁড়ালেন এবং আপন পরিধেয় কাপড় দ্বারা তাঁর স্থানটি পরিষ্কার করেছিলেন। আর মূসা (রা.) রোজা ভঙ্গ করলেন।</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">[রেফারেন্স: ইমাম বুখারী: আল-আদাবুল মুফরাদ, ৫৫২ পৃ:, অনুচ্ছেদ নং ৬০৩, হা নং ১২৭০, ইফা:]</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">আল-আদাবুল মুফরাদ হযরত ইমাম বুখারী (রা.)'র রচিত বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ। সেখানে "শিশু সন্তানের জন্ম উপলক্ষে দাওয়াত" এই শিরোনামে একটি অনুচ্ছেদ আছে। যেখানে উক্ত হাদিস শরীফ উল্লেখ আছে। সাহাবী জন্মদিনের দাওয়াত উপলক্ষে আয়োজিত খাবার গ্ৰহণ করতে নফল রোজা ভঙ্গ করলেন। আর বদ নসিব, পথভ্রষ্টরা বলে, ইসলামে জন্মদিন বলতে কিছু নেই! জন্মদিন পালন করলে শির্ক হবে! যেহেতু এটা ইমাম বুখারী (রা.)'র কিতাবে বর্ণিত হাদিস, সেহেতু সনদ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।</div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;">✍🏻 M.S.R</div></div>

ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ?

ছবিঃ ইমাম বুখারী: আল-আদাবুল মুফরাদ, ৫৫২ পৃ:, অনুচ্ছেদ নং ৬০৩, হা নং ১২৭০, ইফা: সাহাবীদের যুগে কি জন্মদিন পালন করা হতো ? আসুন ইমাম বুখারী (র...

অক্টোবর ২৯, ২০২১

গল্পটা কোরআনের- ৪

<div>হুদহুদ পাখি 'সাবা' রাজ্য থেকে ফিরল। এসে সে সায়্যিদুনা সুলায়মান আলাইহিস সালামকে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করল।</div><div> </div><div>তারা সূর্যের পূজা করছে এবং তাদের রাণী বিলকিস এর নিকট এক বিরাট সিংহাসন থাকার কথা জানাল। সুলায়মান আলাইহিস সালাম হুদহুদ পাখির কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রাণী বিলকিসকে একটি চিঠি লিখে পাঠালেন। নিজ আনুগত্য স্বীকার করে নিতে বার্তা দিলেন। রাণী তার উজিরদের সাথে পরামর্শ করে, অনেক উপহার সামগ্রী পাঠালেন যাতে বুঝা যায় তিনি কোনো বাদশাহ নাকি আল্লাহর পবিত্র নবী। </div><div> </div><div>রাণীকে দাওয়াত করা হলো। নবুয়তের সত্যতার প্রমাণ স্বরুপ, সুলায়মান আলাইহিস সালাম রাণী বিলকিস এর সিংহাসন তার আগমনের পূর্বেই নিয়ে আসার পরিকল্পনা করলেন। সেই সিংহাসন আনার জন্য তিনি নিজ দরবারে ঘোষণা করলেন, কে আছো যে কি-না এই সিংহাসনটি দ্রুততম সময়ে নিয়ে আসতে পারবে? এক জ্বীন বলল: আমি পারব। এবং আমি এই সভা শেষ হওয়ার পূর্বেই সিংহাসন উপস্থিত করব। আমি খুবই শক্তিশালী এবং বিশ্বস্ত। সুলায়মান আলাইহিস সালাম বললেন- না! আমার আরো দ্রুত চাই। তখন তাঁর এক উজির আসিফ বিন বরখিয়া যে কি-না বনী ঈসরায়িল এর আল্লাহর ওলী ছিল এবং যার কাছে যাবুরের তথা কিতাবুল্লাহ'র ইলম ছিল, সে বলল- 'আমি নিয়ে আসব এবং তাও চোখের পলক ফেলার আগে।' আল্লাহু আকবার। </div><div> </div><div>এবং আশ্চর্যজনকভাবে এটাই হলো। তিনি কয়েক মূহুর্তের মধ্যে সেই সিংহাসন এনে হাজির করে দিলেন। হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করলেন এবং বললেন— এটা আমার রবেরই অনুগ্রহ যেন তিনি আমাকে পরীক্ষা করতে পারেন, আমি কৃতজ্ঞ কি-না? কোরআনে পাকে সূরা নামলের ২০-৪০ নং আয়াতে এই ঘটনাটি বর্ণনা করা হয়েছে। </div><div> </div><div>قَالَ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ أَيُّكُمْ يَأْتِينِي بِعَرْشِهَا قَبْلَ أَنْ يَأْتُونِي مُسْلِمِينَ</div><div>قَالَ عِفْرِيتٌ مِنَ الْجِنِّ أَنَا آتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَنْ تَقُومَ مِنْ مَقَامِكَ ۖ وَإِنِّي عَلَيْهِ لَقَوِيٌّ أَمِينٌ</div><div>قَالَ الَّذِي عِنْدَهُ عِلْمٌ مِنَ الْكِتَابِ أَنَا آتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَنْ يَرْتَدَّ إِلَيْكَ طَرْفُكَ ۚ فَلَمَّا رَآهُ مُسْتَقِرًّا عِنْدَهُ قَالَ هَٰذَا مِنْ فَضْلِ رَبِّي لِيَبْلُوَنِي أَأَشْكُرُ أَمْ أَكْفُرُ ۖ وَمَنْ شَكَرَ فَإِنَّمَا يَشْكُرُ لِنَفْسِهِ ۖ وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ رَبِّي غَنِيٌّ كَرِيمٌ</div><div> </div><div>'সুলায়মান বললেন, হে পরিষদবর্গ, তারা আত্নসমর্পণ করে আমার কাছে আসার পূর্বে কে বিলকীসের সিংহাসন আমাকে এনে দেবে? জনৈক দৈত্য-জিন বলল, আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বে আমি তা এনে দেব এবং আমি একাজে শক্তিমান, বিশ্বস্ত। কিতাবের জ্ঞান যার ছিল, সে বলল- আপনার দিকে আপনার চোখের পলক ফেলার পূর্বেই আমি তা আপনাকে এনে দেব। </div><div> </div><div>অতঃপর সুলায়মান যখন তা সামনে রক্ষিত দেখলেন, তখন বললেন এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ, যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, না অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে নিজের উপকারের জন্যেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে জানুক যে, আমার পালনকর্তা অভাবমুক্ত কৃপাশীল।' [সূরা নামল, আয়াতঃ ৩৮-৪০]</div><div> </div><div>এই ঘটনা এর উজ্জ্বল প্রমাণ যে, আল্লাহ ওয়ালাদের কারামত সত্য। এবং ক্ষেত্রবিশেষে আল্লাহ চাইলে তাদের কারামত প্রকাশও হতে পারে। তাছাড়া জ্বীনের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়া যায় এই ঘটনা থেকে। এবং তাও জানা যায়, যে জ্বীন জাতি মানুষের চেয়ে অনেকাংশে বেশি শক্তিশালী। কিন্তু আল্লাহু আকবার! আল্লাহর ওলীগণ সেই জ্বীনজাতির চেয়েও বেশি ক্ষমতা প্রদত্ত হোন আল্লাহর পক্ষ হতে। আর বনী ঈসরায়েলের ওলীদের যদি এই ক্ষমতা হয়, তবে মুহাম্মদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতের ওলীদের ক্ষমতার পর্যায় কেমন হতে পারে? </div><div> </div><div>'ইয়ে শান হে খিদমাতগারো কি, সারকার কা আলাম কিয়া হোগা।' </div><div> </div><div>আমাদের চোখে এমনও মুসলমান দেখি, যারা কোনো আউলিয়া কেরামের কারামতের বয়ান শুনলে সরাসরি ভণ্ডামির ফতোয়া দিয়ে দেয়। আসলে ওরা অবুঝ। কিতাবুল্লাহ সম্পর্কে অজ্ঞ। এমনটা মোটেও উচিত নয়, যেহেতু আল্লাহর কিতাব এর পক্ষে প্রমাণ বহন করে। তারপর আমরা এই ঘটনায় লক্ষ্য করেছি, সুলায়মান আলাইহিস সালাম আল্লাহর নিয়ামত পেয়ে সাথে-সাথেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন। হ্যা, এটা করা আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণের পদ্ধতি। আমাদেরও উচিত রব তায়ালার পক্ষ থেকে আসা নিয়ামতের বেশি থেকে বেশি শুকরিয়া আদায় করা। খুশি উদযাপন করা। যেন আমরাও তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারি।</div><div> </div><div>আজকে আমরা দুনিয়ার সাফল্য অর্জনের পেছনে ব্যয় করছি প্রতিটা মূহুর্ত। আসুন না! আমি আপনাকে এমন একটি পদ্ধতি বলে দেই— যেটা না শুধু দুনিয়া বরং আখিরাতেও আপনাকে সফলতা এনে দিবে। যে দুনিয়ার পিছনে পাগলের মতো ছুটছেন, সে দুনিয়া আপনার পায়ের নিচে চলে আসবে। আর সেই টিপসটা হলো— আপনি আল্লাহর হয়ে যান। আল্লাহর প্রিয় হওয়ার চেষ্টায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যান। যদি রব তায়ালা একবার প্রিয় বান্দাদের তালিকায় নাম তুলে দেন, তখন এই দুনিয়া আপনার গোলাম হয়ে যাবে। যেটা আপনি চান, সেটাই পাবেন। দুনিয়ার বাদশাহী আপনার নিকটে চলে আসবে।</div><div> </div><div>আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, অনেক অসাধ্যকেও সাধন করতে তখন আপনি সক্ষম হবেন, যা সাধারণ মানুষ করতে অক্ষম। এই ঘটনা এটাই শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা রব তায়ালা প্রিয় হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থাকি। তাঁর নাফরমানি থেকে বিরত থাকি। ইনশাআল্লাহ, তিনি চাইলে আমাদেরকে প্রাচুর্যতায় ভরপুর করে দিবেন।</div><div> </div><div>'গল্পটা কোরআনের- ০৪'</div><div>~স্বাধীন আহমেদ </div>

গল্পটা কোরআনের- ৪

হুদহুদ পাখি 'সাবা' রাজ্য থেকে ফিরল। এসে সে সায়্যিদুনা সুলায়মান আলাইহিস সালামকে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করল। তারা সূর্যের পূ...

অক্টোবর ২৪, ২০২১

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উওম

ভাই বিনয়ের সাথে বলতে চাই ইমাম মানার কথা আল্লাহ কোরআনেই বলেছেন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, 
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا أَطيعُوا اللَّهَ وَأَطيعُوا الرَّسولَ وَأُولِى الأَمرِ مِنكُم 
"হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর ও তাঁর রসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা আদেশ প্রদানকারী(মুজতাহিদ ফকিহ) রয়েছেন তাদের আনুগত্য কর।"( সূরা নিসা: আয়াত নং-৫৯)
আয়াতের সারমর্মঃ এ আয়াতে মহান রব তা'আলা যাদের আনুগত্যের আদেশ করেছেন তারা হলেন----- 
  ১)আল্লাহর(কোরআনের) আনুগত্য 
  ২)রাসূলের(সুন্নাতের) আনুগত্য 
  ৩)আদেশ দাতাগণের অর্থাৎ ফিকহবিদ মুজতাহিদ আলিমগণের আনুগত্য।
লক্ষণীয় যে,উক্ত আয়াতে আতীউ শব্দটি দুবার ব্যবহৃত হয়েছে-- আল্লাহর জন্য একবার এবং রাসূলে পাক ﷺও আদেশ প্রদারকারী মুজতাহি ফকিহগণের জন্য একবার।এর রহস্য হল আল্লাহ যা হুকুম করবেন,শুধু তাই পালন করা হবে,তার কর্ম কিংবা নীরবতার ক্ষেত্রে আনুগত্য করা যাবে না।তিনি কাফিরদেরকে আহার দেন,কখনও কখনও তাদেরকে বাহ্যিকভাবে যুদ্ধে জয়ী করান।তারা কুফরী করলেও সাথে সাথে শাস্তি দেন না।এসব ব্যাপার আমরা আল্লাহকে অনুসরণ করতে পারি না।কেননা এতে কাফিরদেরকে সাহায্য করা হয়।কিন্তু নবী করীম ﷺ ও মুজতাহিদ ইমামের প্রত্যকটা হুকুমে,প্রত্যেকটি কাজে, এমন কি যে সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁরা নীরবতা অবলম্বন করেন,সে সমস্ত ক্ষেত্রেও তাঁদের আনুগত্য করা যায়।এ পার্থক্যের জন্য আতীউ শব্দটি দুবার ব্যবহৃত হয়েছে।
যদি কেউ বলে "উলীল আমর " দ্বারা ইসলামী শাসনকর্তাকে বোঝানো হয়েছে,এতে উপরোক্ত বক্তব্যে কোনরুপ তারতম্য ঘটবে না।কেননা শুধু শরীয়তসম্মত নির্দেশাবলীতেই শাসনকর্তার আনুগত্য করা হবে,শরীয়ত বিরোধী নির্দেশাবলীর ক্ষেত্রে আনুগত্য করা যাবে না।ইসলামী শাসনকর্তা হচ্ছেন কেবল হুকুম প্রয়োগকারী।তাকে শরীয়তের যাবতীয় আহকাম মুজতাজিদ আলিমগণের নিকট থেকে জেনে নিতে হবে।দেখা যাচ্ছে আসল আদেশ প্রদানকারী হচ্ছে ফিকহবিদগণ।
উদাহরণ: 
------------- 
এ আয়াতে এ বিষয়ের প্রতিও পরোক্ষ ইঙ্গিত রয়েছে যে,অনুশাসন তিন রকমের আছে।
১) কতগুলো অনুশাসন সরাসরি কোরআন থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।যেমন: অন্তঃসত্তা নয় এমন মহিলার স্বামী মারা গেলে,তাকে ৪মাস ১০ দিন ইদ্তত পালন করতে হয়।এদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ 'আতীউল্লাহ' থেকে অনুশাসন গৃহীত হয়েছে। 
২) আর কতগুলো অনুশাসন সরাসরি হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।যেমনঃসোনারুপা নির্মিত অলংকার ব্যবহার পুরুষের জন্য হারাম।এ ধরনের অনুশাসন মেনে চলার জন্য 'আতীউর রসুল' বলা হয়েছে।
৩)আর কতগুলো অনুশাসন আছে যেগুলো স্পষ্টভাবে কোরআন বা হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় না।যেমনঃস্ত্রীর সঙ্গে পায়ুকামে লিপ্ত হবার ব্যাপারটি অকাট্যভাবে হারাম হওয়ার বিধান।এ ধরনের অনুশাসন মেনে চলার জন্য 'উলীল আমরে মিনকুম' তথা মুজতাহিদদের আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে।
✍এই আয়াত নিয়ে সাহাবীদের তাফসীরঃ 
----------------------------------------------------------- 
ইমাম হাকেম নিশাপুরী(ওফাত ৪০৫হিজরী) বর্ণনা করেন,  " বিশিষ্ট সাহাবী হযরতজাবের বিন আবদুল্লাহ(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,(কোরআন সুন্নাহের পর)উত্তম মুজতাজিদ ফকিহগণের আনুগত্য কর।" 
(আল মুস্তাদরাক: ১/২১১পৃঃ,হাদিস নং-৪২২) 
✍ইমাম হাকেম ও ইমাম যাহাবী সনদটিকে সহীহ বলেছেন।
✍লক্ষণীয় যে,সাহাবীদের কোরআনের তাফসীর মারফু হাদিসের ন্যায়।ইমাম হাকেম নিশাপুরী বলেন,"ইমাম বোখারী মুসলিমের নিকট সাহাবীদের তাফসীর মারফু হাদিসের ন্যায়"।(আল মুস্তাদরাক: ১/২১১পৃঃ,হাদিস নং-৪২২)
ইমাম নববী আশ শাফেয়ী (ওফাত ৬৭৬হিজরী) বলেন,"সাহাবীদের কোরআনের কোন ব্যাখ্যা মারফু হাদিসের ন্যায়"।(আল তাক্ববীর ওয়াল তাইসীরঃ৩৪ পৃঃ)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসির হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)হতে একটি ব্যখ্যা সংকলন করে ইমাম হাকেম--- 
"হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,এ আয়াতে (উলীল আমরে মিনকুম) আদেশ দাতা হল দ্বীনের মুজতাজিদ ফকিহগণ।"(হাকেম: মুস্তাদরাক,১/২১১পৃঃ,হাদিস নং-৪২৩)
✍আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় যে,আল্লাহর নবীর পরে সাহাবীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যিনি কোরআন বুঝেছেন তিনি হলে সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)।কেননা তার জন্য রসুলে পাকﷺ দোআ করেছেন।ইমাম বোখারী বর্ণনা করেন--- 
"তাবেয়ী হযরত ইকরামা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,সাহাবী ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,রাসূলে পাক ﷺ তাঁর বক্ষের সাথে আমাকে লাগিয়ে দোয়া করেছেন, হে আল্লাহ! তাকে তুমি কিতাবের(কোরআনের) জ্ঞান দান কর।" 
(বোখারী: ১/২৬ পৃঃ,হাদিসঃ৭৫)।
এবার আসুন রাসুলে করীম ﷺ হাদিসে পাকে ইমাম মানার ব্যাপারে কিছু বলেছেন কিনা? 
2371- حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ أَبُو فَضَالَةَ الشَّامِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((إِذَا فَعَلَتْ أُمَّتِي خَمْسَ عَشْرَةَ خَصْلَةً حَلَّ بِهَا الْبَلاَءُ)). فَقِيلَ وَمَا هُنَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: ((إِذَا كَانَ الْمَغْنَمُ دُوَلاً وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَأَطَاعَ الرَّجُلُ زَوْجَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَبَرَّ صَدِيقَهُ وَجَفَا أَبَاهُ وَارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ وَلُبِسَ الْحَرِيرُ وَاتُّخِذَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ أَوْ خَسْفًا وَمَسْخًا)). 
قَالَ أَبُو عِيسَى: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ غَيْرَ الْفَرَجِ بْنِ فَضَالَةَ. وَالْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ قَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَضَعَّفَهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَقَدْ رَوَاهُ عَنْهُ وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ. 
সালিহ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ...... আলী ইবন আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মত যখন এ পনেরটি বিষয়ে লিপ্ত হবে তখন তাদের উপর মুসিবত নিপতিত হবে। জিজ্ঞাসা করা হল, সেগুলো কি ইয়া রাসূলাল্লাহ?
তিনি বললেন, যখন গনীমত পরিণত হবে ব্যক্তিগত সম্পদে, আমানত পরিণত হবে লুটের মালরূপে, যাকাত গণ্য হবে জরিমানারূপে, পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের অনুগত হবে আর মা‘দের হবে অবাধ্য, বন্ধুদের সাথে তো সদাচারণ করবে অথচ পিতার সঙ্গে করবে দুর্ব্যবহার, মসজিদে শোরগোল করা হবে, নিকৃষ্টতম চরিত্রের লোকটি হবে তার সম্প্রদায়ের নেতা, কেবল অনিষ্টের ভয়ে কোন ব্যক্তিকে সম্মান করা হবে, মদপান করা হবে, রেশম বস্ত্র পরিধান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের রেওয়াজ চলবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদের অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা করবে অগ্নিবায়ু বা ভূমিধ্বস বা চেহারা বিকৃতির আযাবের।  
এ হাদীসটি গারীব। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই। ফারাজ ইবন ফাযালা ছাড়া আর কেউ এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন বলেও আমরা জানিনা, কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ ফারাজ ইবন ফাযালার সমালোচনা করেছেন এবং স্মরণশক্তির দিক দিয়ে তাকে যঈফ বলেছেন ওয়াকী এবং আরো কতিপয় ইমাম তার বরাতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।(ইমাম তিরমিজি: তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং-২৩৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস নং-২২১৪) <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgjLCrCn4Uc11ZCnSyqjGD2iLlWor1nAUBxjMwgUmRHiHHyTnxnn5oI2gNa-YocpjkJ9yhr80dwnL08IEm4tMcJCxFWOnaVVC2OMyFKFKvyIobTr-I_EGyZN73kEDBCjisoOGmrPTilWvaY/s1600/images.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="666" data-original-width="461" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgjLCrCn4Uc11ZCnSyqjGD2iLlWor1nAUBxjMwgUmRHiHHyTnxnn5oI2gNa-YocpjkJ9yhr80dwnL08IEm4tMcJCxFWOnaVVC2OMyFKFKvyIobTr-I_EGyZN73kEDBCjisoOGmrPTilWvaY/s1600-rw/images.jpeg" width="221"></a></div> 
আরেকটি রেওয়ায়েত দেখুন, 
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ عَنِ الْمُسْتَلِمِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ رُمَيْحٍ الْجُذَامِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((إِذَا اتُّخِذَ الْفَيْءُ دُوَلاً وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَتُعُلِّمَ لِغَيْرِ الدِّينِ وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَأَدْنَى صَدِيقَهُ وَأَقْصَى أَبَاهُ وَظَهَرَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَسَادَ الْقَبِيلَةَ فَاسِقُهُمْ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ وَزَلْزَلَةً وَخَسْفًا وَمَسْخًا وَقَذْفًا وَآيَاتٍ تَتَابَعُ كَنِظَامٍ بَالٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ)). 
قَالَ أَبُو عِيسَى: وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ. وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. 
আলী ইবন হুজর (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গনীমত সম্পদ যখন ব্যক্তিগত সম্পদ বলে গণ্য করা হবে, যাকাত হবে জরিমানা বলে, দ্বীনী উদ্দেশ্য ছাড়া ইলম অর্জন করা হবে, পুরুষরা স্ত্রীদের আনুগত্য করবে, এবং মা‘দের অবাধ্য হবে, বন্ধূদের নিকট করবে আর পিতাকে করবে দূর, মসজিদে শোরগোল করবে, পাপাচারীরা গোত্রের নেতা হয়ে বসবে, নিকৃষ্ট লোকেরা সমাজ নেতা হবে, অনিষ্টের আশংকায় একজনকে সম্মান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান দেখা দিবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা করবে অগ্নিবায়ু, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি, পাথর বর্ষণের আযাবের এবং আরো আলামতের যা পরপর নিপতিত হতে থাকবে, যেমন একটি পুরান হারের সূতা ছিড়ে গেলে একটার পর একটা দানা পড়তে থাকে।
(আবু ঈসা বলেন) এ বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই।(ইমাম তিরমিজি: তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং-২৩৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস নং-২২১৩)
উপরোক্ত হাদিস ২টিতে আছে,"উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে "...... আপনি তো ৯২৩ হিজরীতে যার ওফাত তাকেই মানতে চাচ্ছেন না? এখন ১৪৪৩ হিজরী,অর্থাৎ আজকে থেকে ৫২০ বছর আগের ইমামকে মানেন না! ওনার কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। ওনি কত বড় মাফের মুহাদ্দিস এগুলো আমি পরে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। 
আসুন, আর কয়েকটি হাদিস দেখি, 
حدثنا عبيد الله بن معاذ العنبري، حدثنا ابي،حدثنا عصم وهو ابن محمد بن زيد،عن زيد بن محمد ،عن مافع،عن ابن عمر قال قال رسول الله ﷺ.......ومن مات وليس في عنقه بيعة، مات ميتة جهلية. 
"হযরত ইবনে উমর(রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসুলে কারীম ﷺ বলেছেন, যারা মারা গেল অথচ বায়াতের রশি তার গলায় জুলাল না,তার মৃত্যু যেন জাহেলিয়াতের মত হল"।(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং- ১৮৫১,মিশকাত শরীফ,৩২০ পৃঃ,হাদিস নং- ৩৬৭৪। এছাড়া অনেক ইমাম এই হাদিস বর্ণনা করেছেন।আহলে লা মাযহাবীদের ইমাম, আলবানী তার সিলসিলায়ে সহীহা,হাদিস নং- ৯৮৪।
এই হাদিস আরো স্পষ্ট হয় নিচের হাদিস দ্বারা- 
حدثنا ابرهيم بن محمد بن عريق الحمصي،ثان عبد الوهاب بن الضحاك،ثان اسمعيل بن عياس،عن ضمضم بن زرعة،عن سريح بن عبيد،عن معاوتة قال: قال رسول الله ﷺ من مات بعير امام مات ميتة جهلية. 
" হযরত মুয়াবিয়া(রাঃ) হতে বর্ণিত ,তিনি বলেন,রাসুল ﷺ বলেছেন : যে ব্যক্তি ইমাম ব্যতীত মারা যাবে সে জাহেলীদের মত মারা যাবে"। 
(ইমাম তাবরানী: মু'জামুল করীর,হাদিস নং- ৯১০, ইমাম হায়সামী: মজমুয়ায়ে জাওয়াইদ,হাদিস নং- ৯১০২,মুসনাদে আহমদ,হাদিস নং-১৬৮৭৬। 
হাদিসের ভাষ্য অনুসারে আপনাকে বিবেচনা করুন!
এখন চলুন, "আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহাম্মাদিয়্যাহ" এই সিরাতের কিতাব সম্পর্কে মুহাক্কিক ওলামাকেরাম কি বলছেন! 
আল মাওয়াহিবুল লাদুনিয়্যাহ সম্পর্কে ওলামাগণের বক্তব্যঃ 
আল্লামা শায়খ ইবনে ঈমাদ হাম্বলী(ওফাত. ১০৮৯ হিজরী) এ কিতাবের প্রশংসা করে লিখেন- 
وهو كتاب جليل المقدار، عظيم الوقع كثير النفع، ليس له نظير في بابه 
অর্থাৎ, আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ একটি মহামান্বিত বড়ো ধরনের প্রভাব বিস্তারকারী ও বহু উপকারী গ্রন্থ।হুজুর ﷺ এর সিরাত বিষয়ে এ গ্রন্থের সমকক্ষ বিরল।"(আল্লামা ইবনে ঈমাদ, শাজারাতুয যাহাব,১০/১৭০ পৃঃ, দারু ইবনে কাসির,দামেস্ক,বৈয়রুত,প্রথম প্রকাশ. ১৪০৬ হি.) 
এ গ্রন্থের প্রশংসায় আল্লামা হাজী খলিফা(ওফাত. ১০৬৭ হি.) লিখেন, 
وهو: كتاب جليل القدر،كاثير النفع.ليس له نظير في بابه. 
অর্থাৎ, এটি(আল- মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ) উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন কিতাব,অধিক উপকারী, এ বিষয়ক গ্রন্থ সমুহের মধ্যে এটির তুলনা হয় না।"(আল্লামা হাজী খলিফা,কাশফুল যুনুন,২/১৮৯৬ পৃঃ)। 
এ গ্রন্থের ব্যাখ্যাকার আল্লামা যুরকানী(ওফাত.১১২২ হি.) লিখেন, 
وله عدة مؤلفت اعظمها هذه المواهب اللدنية، التي اشرقت من سطورها انوار الا بهة والجلالة،وقطرت من اديمها الفاظ النبوة والرسالة،احسن فيها ترتيبا وصنعا، وكاساه الله فيها رداء القبول،ففاقت علا كاثير مما سواها عند ذوي العقول. 
"তাঁর(ইমাম কাসতালানী) এর রয়েছে অসংখ্য গ্রন্থ,তন্মধ্যে 'আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ ' উৎকৃষ্ট।যার প্রতিটি পংক্তি থেকে যেন বিচ্ছুরিত হচ্ছে প্রভারক আলো এবং মহত্বের আলোকরশ্মি। সুচিকরণ অত্যন্ত মার্জিত ও চমৎকার। এর গুঢ় রহস্যাবলী রত্নখচিত।আর এর প্রতিটি পৃষ্ঠার মধ্যে নবুয়ত ও রিসালাতের শব্দগুলো এভাবে গাঁথা হয়েছে,যেন গোলাপের পাতায় শিশিরের ফোঁটা টপকে পড়ছে।তারপর তিনি কবিতা লিখেন- 
 									" আল্লাহ তাঁর এ কাজেকে 						করুনার চাদর দিয়ে কবুল করুক, 
							আমার চোখে গত হওয়া অসংখ্য 				বিদ্বানের মধ্যে তিনি এক অভিনব'। 
(আল্লামা যুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব,১/১০ পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বৈরুত,লেবানন, প্রকাশ. ১৪১৭ হি.)
এছাড়া আল্লামা ইমাম আহমদ বিন মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন কাসতালানী(রহঃ) বোখারী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ লিখেছেন, যা নাম (ارشد السرح في سرح صحيح البخري) ইরশাদুস সারি ফি শরহে সহিহুল বোখারী (এটি ১০ খন্ডে বিভক্ত)।  এছাড়া তিনি আরো বহু কিতাব রচনা করেছেন।ইমাম কাসতালানীর জন্ম মিশরে। বোখারী শরীফের প্রসিদ্ধ কয়েকটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ এর মধ্যে অন্যতম।যিনি হাদিস বুঝেন তাকেই তো মানা উচিৎ তাই না? উনার কিতাব মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ এর ব্যাপারে কেউ বিরুপ মন্তব্য করেছেন এমন কাউকে আপনি দেখাতে পারবেন না! উনার এই কিতাব এর উপর ব্যাখ্যাগ্রন্থের সংখ্যাও কম নয়, যা কিতাবের গ্রহণযোগ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কিতাবের বিখ্যাত  একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থের নাম হল 'যুরকানী আলাল মাওয়াহেব' যা ইমামা যুরকানী মালেকী রচনা করেছেন।
✪ এখন আসেন,  ইমাম কাসতালানীর কিতাব মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ থেকে নকল করেছেন, প্রাচ্যের বোখারী, শায়খুল মুহাক্কিক,হাফিজুল হাদিস, শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী আল বোখারী (রহঃ)  উনার কিতাব "মা ছাবাতি বিস সুন্নাহ ফি আইয়্যামিস সুন্নাহ" এ।
আপনার প্রশ্ন হতে পারে ওনাকে কেন মানব? 
উত্তর: ওনার ওফাত হল ১০৫২ হিজরীতে। আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের। সবচেয়ে মজার কথা হল ওনার হাদিসের সনদের উপরই পাক ভারত উপমহাদেশে সবাই হাদিস পড়াই। ওনাকে বাদ দিলে আর হাদিস পড়া লাগবে না।কারণ সনদ ছাড়া হাদিসের কোন মূল্য নেই।  আলীয়া,কওমী,দেওবন্দী, সুন্নী,ওহাবী ইত্যাদি যত ফেরকা আছে সবাকেই ওনার সনদের উপর হাদিস পড়াতে হয়।এই উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে আজ থেকে <a href="tel:600700">৬০০/৭০০</a> বছর আগে কিন্তু হাদিসের কিতাব তখনো ছিল না।ওনিই প্রথম জাহাজে করে হাদিসের কিতাব নিয়ে এসেছেন। মাদ্রাসায় প্রথমে হাদিস পড়ানো হয় মিশকাত শরীফ।এই মিশকাত শরীফের মুকাদ্দিমা লিখেছেন ওনি। মিশকাত পড়ার আগে এটা পড়তে হয়! 
বোখারী শরীফের প্রথম হাদিস দেখেনঃ 
‌حدثنا الحميدي قال حدثنا سفيان قال حدثنا يحيي بن سعيد الانصاري قال اخبرني محمد بن ابراهيم التيمي انه سمع علقمة بن وقص الليثي يقول سمعت عمر بن الخطاب رضي الله عنه عال المنبر يقول سمعت رسول اللل ﷺ............................... 
																																																								 
															حميدي 
																										| 
																سفيان 
																									|	 
     يحيي بن سعيد الانصاري 
																									| 
     محمد بن ابراهيم التيمي 
																									| 
         علقمة بن وقص الليثي 
																								| 
عمر بن الخطاب رضي الله عنه 
																								| 
                رسول اللهﷺ 
এই হাদিসে ইমাম বোখারী ও রসুলে কারীম ﷺ এর মাঝখানে ৬ জন রাবী আছে। যাকে সনদ বলে। এভাবে ইমাম বোখারী থেকে আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী পর্যন্ত হাদিস পৌছেছে।আর উনার থেকে আমাদের পাক ভারত উপমহাদেশে হাদিসের সনদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়ে আজ আমরা হাদিস পড়তে পারছি।সনদ ছাড়া কিভাবে আপনি <a href="tel:12001400">১২০০/১৪০০</a> বছর আগে চলে যাচ্ছেন?  আপনি কি ইমাম বোখারী, মুসলিম ওনাদেরকে দেখেছেন, না ওনাদের জমানায় ছিলেন? ইমাম আহমদ বিন মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন কাসতালানী(রহঃ) ও শাহ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী রহঃ এটা বোখারী শরীফ বলেছেন, আমরা মেনে নিয়েছি।তারপর ওনাদের থেকে আমাদের আ'কাবিররা হাদিসের সনদ পাওয়ার কারণে আমরা এটা বোখারী শরীফ চিনতে পেরেছি, পড়ছি এবং বুঝে আমল করার চেষ্টা করছি।
তাই আমরা হাদিসের ইমামের কথা মানব।কারণ ওনাদেরকে না মেনে যদি হাদিস পড়ি বা পড়ায় তাহলে নিজের বাবাকে মানলাম কিন্তু দাদাকে মানি না।দাদাকে যদি না মানেন বা ওনাকে কুফুরী,বিদয়াতী ফতোয়া দেন তাহলে আপনার বাবার জন্মই ঠিক হয়নি।কারণ আপনার দাদা যদি বিদায়াতী বা কাফির হয় তাহলে আপনার বাবা হারামজাদা হবে। 
✔✔উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে।  যা আগেই হাদিস উপস্থাপন করেছি।যা কেয়ামতের লক্ষণ। আল্লাহ হেফাজত করুক।
সর্বশেষ একটা হাদিস বলে শেষ করব- 
দ্বীন কার থেকে শিখছো জেনে নাও 
وعن ابن سيريين قال ان هذا العلم دين فانظروا عمن تاخذون دينكم- رواه مسلم 
 অর্থঃ "হযরত মুহাম্মদ ইবনে সীরীন(র.) হতে বর্ণিত।তইনি বলেন- নিশ্চয়ই এ( কিতাব ও সুন্নাতের) ইলম হচ্ছে দ্বীন।সুতরাং তোমরা লক্ষ্য কর যে, তোমাদের এ দ্বীন  কার নিকট থেকে গ্রহণ করে।" 
☞সহিহ মুসলিম শরীফ, ১/	১৪পৃঃ 
☞মিশকাত শরীফঃ কিতাবুল ইলম, হাদিস নংঃ ২৫৪।

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উওম

ভাই বিনয়ের সাথে বলতে চাই ইমাম মানার কথা আল্লাহ কোরআনেই বলেছেন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا أَطيعُوا اللَّهَ وَأَطيعُ...

অক্টোবর ২৩, ২০২১

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উওম

ভাই বিনয়ের সাথে বলতে চাই ইমাম মানার কথা আল্লাহ কোরআনেই বলেছেন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا أَطيعُوا اللَّهَ وَأَطيعُوا الرَّسولَ وَأُولِى الأَمرِ مِنكُم "হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর ও তাঁর রসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা আদেশ প্রদানকারী(মুজতাহিদ ফকিহ) রয়েছেন তাদের আনুগত্য কর।"( সূরা নিসা: আয়াত নং-৫৯) আয়াতের সারমর্মঃ এ আয়াতে মহান রব তা'আলা যাদের আনুগত্যের আদেশ করেছেন তারা হলেন-----   ১)আল্লাহর(কোরআনের) আনুগত্য   ২)রাসূলের(সুন্নাতের) আনুগত্য   ৩)আদেশ দাতাগণের অর্থাৎ ফিকহবিদ মুজতাহিদ আলিমগণের আনুগত্য। লক্ষণীয় যে,উক্ত আয়াতে আতীউ শব্দটি দুবার ব্যবহৃত হয়েছে-- আল্লাহর জন্য একবার এবং রাসূলে পাক ﷺও আদেশ প্রদারকারী মুজতাহি ফকিহগণের জন্য একবার।এর রহস্য হল আল্লাহ যা হুকুম করবেন,শুধু তাই পালন করা হবে,তার কর্ম কিংবা নীরবতার ক্ষেত্রে আনুগত্য করা যাবে না।তিনি কাফিরদেরকে আহার দেন,কখনও কখনও তাদেরকে বাহ্যিকভাবে যুদ্ধে জয়ী করান।তারা কুফরী করলেও সাথে সাথে শাস্তি দেন না।এসব ব্যাপার আমরা আল্লাহকে অনুসরণ করতে পারি না।কেননা এতে কাফিরদেরকে সাহায্য করা হয়।কিন্তু নবী করীম ﷺ ও মুজতাহিদ ইমামের প্রত্যকটা হুকুমে,প্রত্যেকটি কাজে, এমন কি যে সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁরা নীরবতা অবলম্বন করেন,সে সমস্ত ক্ষেত্রেও তাঁদের আনুগত্য করা যায়।এ পার্থক্যের জন্য আতীউ শব্দটি দুবার ব্যবহৃত হয়েছে। যদি কেউ বলে "উলীল আমর " দ্বারা ইসলামী শাসনকর্তাকে বোঝানো হয়েছে,এতে উপরোক্ত বক্তব্যে কোনরুপ তারতম্য ঘটবে না।কেননা শুধু শরীয়তসম্মত নির্দেশাবলীতেই শাসনকর্তার আনুগত্য করা হবে,শরীয়ত বিরোধী নির্দেশাবলীর ক্ষেত্রে আনুগত্য করা যাবে না।ইসলামী শাসনকর্তা হচ্ছেন কেবল হুকুম প্রয়োগকারী।তাকে শরীয়তের যাবতীয় আহকাম মুজতাজিদ আলিমগণের নিকট থেকে জেনে নিতে হবে।দেখা যাচ্ছে আসল আদেশ প্রদানকারী হচ্ছে ফিকহবিদগণ। উদাহরণ: ------------- এ আয়াতে এ বিষয়ের প্রতিও পরোক্ষ ইঙ্গিত রয়েছে যে,অনুশাসন তিন রকমের আছে। ১) কতগুলো অনুশাসন সরাসরি কোরআন থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।যেমন: অন্তঃসত্তা নয় এমন মহিলার স্বামী মারা গেলে,তাকে ৪মাস ১০ দিন ইদ্তত পালন করতে হয়।এদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ 'আতীউল্লাহ' থেকে অনুশাসন গৃহীত হয়েছে। ২) আর কতগুলো অনুশাসন সরাসরি হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।যেমনঃসোনারুপা নির্মিত অলংকার ব্যবহার পুরুষের জন্য হারাম।এ ধরনের অনুশাসন মেনে চলার জন্য 'আতীউর রসুল' বলা হয়েছে। ৩)আর কতগুলো অনুশাসন আছে যেগুলো স্পষ্টভাবে কোরআন বা হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় না।যেমনঃস্ত্রীর সঙ্গে পায়ুকামে লিপ্ত হবার ব্যাপারটি অকাট্যভাবে হারাম হওয়ার বিধান।এ ধরনের অনুশাসন মেনে চলার জন্য 'উলীল আমরে মিনকুম' তথা মুজতাহিদদের আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে। ✍এই আয়াত নিয়ে সাহাবীদের তাফসীরঃ ----------------------------------------------------------- ইমাম হাকেম নিশাপুরী(ওফাত ৪০৫হিজরী) বর্ণনা করেন,  " বিশিষ্ট সাহাবী হযরতজাবের বিন আবদুল্লাহ(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,(কোরআন সুন্নাহের পর)উত্তম মুজতাজিদ ফকিহগণের আনুগত্য কর।" (আল মুস্তাদরাক: ১/২১১পৃঃ,হাদিস নং-৪২২) ✍ইমাম হাকেম ও ইমাম যাহাবী সনদটিকে সহীহ বলেছেন। ✍লক্ষণীয় যে,সাহাবীদের কোরআনের তাফসীর মারফু হাদিসের ন্যায়।ইমাম হাকেম নিশাপুরী বলেন,"ইমাম বোখারী মুসলিমের নিকট সাহাবীদের তাফসীর মারফু হাদিসের ন্যায়"।(আল মুস্তাদরাক: ১/২১১পৃঃ,হাদিস নং-৪২২) ইমাম নববী আশ শাফেয়ী (ওফাত ৬৭৬হিজরী) বলেন,"সাহাবীদের কোরআনের কোন ব্যাখ্যা মারফু হাদিসের ন্যায়"।(আল তাক্ববীর ওয়াল তাইসীরঃ৩৪ পৃঃ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসির হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)হতে একটি ব্যখ্যা সংকলন করে ইমাম হাকেম--- "হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,এ আয়াতে (উলীল আমরে মিনকুম) আদেশ দাতা হল দ্বীনের মুজতাজিদ ফকিহগণ।"(হাকেম: মুস্তাদরাক,১/২১১পৃঃ,হাদিস নং-৪২৩) ✍আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় যে,আল্লাহর নবীর পরে সাহাবীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যিনি কোরআন বুঝেছেন তিনি হলে সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)।কেননা তার জন্য রসুলে পাকﷺ দোআ করেছেন।ইমাম বোখারী বর্ণনা করেন--- "তাবেয়ী হযরত ইকরামা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,সাহাবী ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,রাসূলে পাক ﷺ তাঁর বক্ষের সাথে আমাকে লাগিয়ে দোয়া করেছেন, হে আল্লাহ! তাকে তুমি কিতাবের(কোরআনের) জ্ঞান দান কর।" (বোখারী: ১/২৬ পৃঃ,হাদিসঃ৭৫)। এবার আসুন রাসুলে করীম ﷺ হাদিসে পাকে ইমাম মানার ব্যাপারে কিছু বলেছেন কিনা? 2371- حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ أَبُو فَضَالَةَ الشَّامِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((إِذَا فَعَلَتْ أُمَّتِي خَمْسَ عَشْرَةَ خَصْلَةً حَلَّ بِهَا الْبَلاَءُ)). فَقِيلَ وَمَا هُنَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: ((إِذَا كَانَ الْمَغْنَمُ دُوَلاً وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَأَطَاعَ الرَّجُلُ زَوْجَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَبَرَّ صَدِيقَهُ وَجَفَا أَبَاهُ وَارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ وَلُبِسَ الْحَرِيرُ وَاتُّخِذَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ أَوْ خَسْفًا وَمَسْخًا)). قَالَ أَبُو عِيسَى: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ غَيْرَ الْفَرَجِ بْنِ فَضَالَةَ. وَالْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ قَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَضَعَّفَهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَقَدْ رَوَاهُ عَنْهُ وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ. সালিহ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ...... আলী ইবন আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মত যখন এ পনেরটি বিষয়ে লিপ্ত হবে তখন তাদের উপর মুসিবত নিপতিত হবে। জিজ্ঞাসা করা হল, সেগুলো কি ইয়া রাসূলাল্লাহ? তিনি বললেন, যখন গনীমত পরিণত হবে ব্যক্তিগত সম্পদে, আমানত পরিণত হবে লুটের মালরূপে, যাকাত গণ্য হবে জরিমানারূপে, পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের অনুগত হবে আর মা‘দের হবে অবাধ্য, বন্ধুদের সাথে তো সদাচারণ করবে অথচ পিতার সঙ্গে করবে দুর্ব্যবহার, মসজিদে শোরগোল করা হবে, নিকৃষ্টতম চরিত্রের লোকটি হবে তার সম্প্রদায়ের নেতা, কেবল অনিষ্টের ভয়ে কোন ব্যক্তিকে সম্মান করা হবে, মদপান করা হবে, রেশম বস্ত্র পরিধান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের রেওয়াজ চলবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদের অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা করবে অগ্নিবায়ু বা ভূমিধ্বস বা চেহারা বিকৃতির আযাবের।  এ হাদীসটি গারীব। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই। ফারাজ ইবন ফাযালা ছাড়া আর কেউ এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন বলেও আমরা জানিনা, কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ ফারাজ ইবন ফাযালার সমালোচনা করেছেন এবং স্মরণশক্তির দিক দিয়ে তাকে যঈফ বলেছেন ওয়াকী এবং আরো কতিপয় ইমাম তার বরাতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।(ইমাম তিরমিজি: তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং-২৩৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস নং-২২১৪) <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1Rl6VqYOJ5AOieRXa0RipmcfqA83oIBbS-utqm5-MVN5WE1KpFv6vPjS952YoqDcZKWbHTPZxsrrHEx164at-oT7TcbvYcsF1OSSRw37Qu3KMtkyIWvLlOs71iiFSdq-hqGb9x3pGVRom/s1600/images.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="666" data-original-width="461" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1Rl6VqYOJ5AOieRXa0RipmcfqA83oIBbS-utqm5-MVN5WE1KpFv6vPjS952YoqDcZKWbHTPZxsrrHEx164at-oT7TcbvYcsF1OSSRw37Qu3KMtkyIWvLlOs71iiFSdq-hqGb9x3pGVRom/s1600-rw/images.jpeg" width="221"></a></div> আরেকটি রেওয়ায়েত দেখুন, حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ عَنِ الْمُسْتَلِمِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ رُمَيْحٍ الْجُذَامِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((إِذَا اتُّخِذَ الْفَيْءُ دُوَلاً وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَتُعُلِّمَ لِغَيْرِ الدِّينِ وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَأَدْنَى صَدِيقَهُ وَأَقْصَى أَبَاهُ وَظَهَرَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَسَادَ الْقَبِيلَةَ فَاسِقُهُمْ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ وَزَلْزَلَةً وَخَسْفًا وَمَسْخًا وَقَذْفًا وَآيَاتٍ تَتَابَعُ كَنِظَامٍ بَالٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ)). قَالَ أَبُو عِيسَى: وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ. وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গনীমত সম্পদ যখন ব্যক্তিগত সম্পদ বলে গণ্য করা হবে, যাকাত হবে জরিমানা বলে, দ্বীনী উদ্দেশ্য ছাড়া ইলম অর্জন করা হবে, পুরুষরা স্ত্রীদের আনুগত্য করবে, এবং মা‘দের অবাধ্য হবে, বন্ধূদের নিকট করবে আর পিতাকে করবে দূর, মসজিদে শোরগোল করবে, পাপাচারীরা গোত্রের নেতা হয়ে বসবে, নিকৃষ্ট লোকেরা সমাজ নেতা হবে, অনিষ্টের আশংকায় একজনকে সম্মান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান দেখা দিবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা করবে অগ্নিবায়ু, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি, পাথর বর্ষণের আযাবের এবং আরো আলামতের যা পরপর নিপতিত হতে থাকবে, যেমন একটি পুরান হারের সূতা ছিড়ে গেলে একটার পর একটা দানা পড়তে থাকে। (আবু ঈসা বলেন) এ বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই।(ইমাম তিরমিজি: তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং-২৩৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস নং-২২১৩) উপরোক্ত হাদিস ২টিতে আছে,"উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে "...... আপনি তো ৯২৩ হিজরীতে যার ওফাত তাকেই মানতে চাচ্ছেন না? এখন ১৪৪৩ হিজরী,অর্থাৎ আজকে থেকে ৫২০ বছর আগের ইমামকে মানেন না! ওনার কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। ওনি কত বড় মাফের মুহাদ্দিস এগুলো আমি পরে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আসুন, আর কয়েকটি হাদিস দেখি, حدثنا عبيد الله بن معاذ العنبري، حدثنا ابي،حدثنا عصم وهو ابن محمد بن زيد،عن زيد بن محمد ،عن مافع،عن ابن عمر قال قال رسول الله ﷺ.......ومن مات وليس في عنقه بيعة، مات ميتة جهلية. "হযরত ইবনে উমর(রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসুলে কারীম ﷺ বলেছেন, যারা মারা গেল অথচ বায়াতের রশি তার গলায় জুলাল না,তার মৃত্যু যেন জাহেলিয়াতের মত হল"।(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং- ১৮৫১,মিশকাত শরীফ,৩২০ পৃঃ,হাদিস নং- ৩৬৭৪। এছাড়া অনেক ইমাম এই হাদিস বর্ণনা করেছেন।আহলে লা মাযহাবীদের ইমাম, আলবানী তার সিলসিলায়ে সহীহা,হাদিস নং- ৯৮৪। এই হাদিস আরো স্পষ্ট হয় নিচের হাদিস দ্বারা- حدثنا ابرهيم بن محمد بن عريق الحمصي،ثان عبد الوهاب بن الضحاك،ثان اسمعيل بن عياس،عن ضمضم بن زرعة،عن سريح بن عبيد،عن معاوتة قال: قال رسول الله ﷺ من مات بعير امام مات ميتة جهلية. " হযরত মুয়াবিয়া(রাঃ) হতে বর্ণিত ,তিনি বলেন,রাসুল ﷺ বলেছেন : যে ব্যক্তি ইমাম ব্যতীত মারা যাবে সে জাহেলীদের মত মারা যাবে"। (ইমাম তাবরানী: মু'জামুল করীর,হাদিস নং- ৯১০, ইমাম হায়সামী: মজমুয়ায়ে জাওয়াইদ,হাদিস নং- ৯১০২,মুসনাদে আহমদ,হাদিস নং-১৬৮৭৬। হাদিসের ভাষ্য অনুসারে আপনাকে বিবেচনা করুন! এখন চলুন, "আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহাম্মাদিয়্যাহ" এই সিরাতের কিতাব সম্পর্কে মুহাক্কিক ওলামাকেরাম কি বলছেন! আল মাওয়াহিবুল লাদুনিয়্যাহ সম্পর্কে ওলামাগণের বক্তব্যঃ আল্লামা শায়খ ইবনে ঈমাদ হাম্বলী(ওফাত. ১০৮৯ হিজরী) এ কিতাবের প্রশংসা করে লিখেন- وهو كتاب جليل المقدار، عظيم الوقع كثير النفع، ليس له نظير في بابه অর্থাৎ, আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ একটি মহামান্বিত বড়ো ধরনের প্রভাব বিস্তারকারী ও বহু উপকারী গ্রন্থ।হুজুর ﷺ এর সিরাত বিষয়ে এ গ্রন্থের সমকক্ষ বিরল।"(আল্লামা ইবনে ঈমাদ, শাজারাতুয যাহাব,১০/১৭০ পৃঃ, দারু ইবনে কাসির,দামেস্ক,বৈয়রুত,প্রথম প্রকাশ. ১৪০৬ হি.) এ গ্রন্থের প্রশংসায় আল্লামা হাজী খলিফা(ওফাত. ১০৬৭ হি.) লিখেন, وهو: كتاب جليل القدر،كاثير النفع.ليس له نظير في بابه. অর্থাৎ, এটি(আল- মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ) উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন কিতাব,অধিক উপকারী, এ বিষয়ক গ্রন্থ সমুহের মধ্যে এটির তুলনা হয় না।"(আল্লামা হাজী খলিফা,কাশফুল যুনুন,২/১৮৯৬ পৃঃ)। এ গ্রন্থের ব্যাখ্যাকার আল্লামা যুরকানী(ওফাত.১১২২ হি.) লিখেন, وله عدة مؤلفت اعظمها هذه المواهب اللدنية، التي اشرقت من سطورها انوار الا بهة والجلالة،وقطرت من اديمها الفاظ النبوة والرسالة،احسن فيها ترتيبا وصنعا، وكاساه الله فيها رداء القبول،ففاقت علا كاثير مما سواها عند ذوي العقول. "তাঁর(ইমাম কাসতালানী) এর রয়েছে অসংখ্য গ্রন্থ,তন্মধ্যে 'আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ ' উৎকৃষ্ট।যার প্রতিটি পংক্তি থেকে যেন বিচ্ছুরিত হচ্ছে প্রভারক আলো এবং মহত্বের আলোকরশ্মি। সুচিকরণ অত্যন্ত মার্জিত ও চমৎকার। এর গুঢ় রহস্যাবলী রত্নখচিত।আর এর প্রতিটি পৃষ্ঠার মধ্যে নবুয়ত ও রিসালাতের শব্দগুলো এভাবে গাঁথা হয়েছে,যেন গোলাপের পাতায় শিশিরের ফোঁটা টপকে পড়ছে।তারপর তিনি কবিতা লিখেন- 									" আল্লাহ তাঁর এ কাজেকে 						করুনার চাদর দিয়ে কবুল করুক, 							আমার চোখে গত হওয়া অসংখ্য 				বিদ্বানের মধ্যে তিনি এক অভিনব'। (আল্লামা যুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব,১/১০ পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বৈরুত,লেবানন, প্রকাশ. ১৪১৭ হি.) এছাড়া আল্লামা ইমাম আহমদ বিন মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন কাসতালানী(রহঃ) বোখারী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ লিখেছেন, যা নাম (ارشد السرح في سرح صحيح البخري) ইরশাদুস সারি ফি শরহে সহিহুল বোখারী (এটি ১০ খন্ডে বিভক্ত)।  এছাড়া তিনি আরো বহু কিতাব রচনা করেছেন।ইমাম কাসতালানীর জন্ম মিশরে। বোখারী শরীফের প্রসিদ্ধ কয়েকটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ এর মধ্যে অন্যতম।যিনি হাদিস বুঝেন তাকেই তো মানা উচিৎ তাই না? উনার কিতাব মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ এর ব্যাপারে কেউ বিরুপ মন্তব্য করেছেন এমন কাউকে আপনি দেখাতে পারবেন না! উনার এই কিতাব এর উপর ব্যাখ্যাগ্রন্থের সংখ্যাও কম নয়, যা কিতাবের গ্রহণযোগ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কিতাবের বিখ্যাত  একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থের নাম হল 'যুরকানী আলাল মাওয়াহেব' যা ইমামা যুরকানী মালেকী রচনা করেছেন। ✪ এখন আসেন,  ইমাম কাসতালানীর কিতাব মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ থেকে নকল করেছেন, প্রাচ্যের বোখারী, শায়খুল মুহাক্কিক,হাফিজুল হাদিস, শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী আল বোখারী (রহঃ)  উনার কিতাব "মা ছাবাতি বিস সুন্নাহ ফি আইয়্যামিস সুন্নাহ" এ। আপনার প্রশ্ন হতে পারে ওনাকে কেন মানব? উত্তর: ওনার ওফাত হল ১০৫২ হিজরীতে। আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের। সবচেয়ে মজার কথা হল ওনার হাদিসের সনদের উপরই পাক ভারত উপমহাদেশে সবাই হাদিস পড়াই। ওনাকে বাদ দিলে আর হাদিস পড়া লাগবে না।কারণ সনদ ছাড়া হাদিসের কোন মূল্য নেই।  আলীয়া,কওমী,দেওবন্দী, সুন্নী,ওহাবী ইত্যাদি যত ফেরকা আছে সবাকেই ওনার সনদের উপর হাদিস পড়াতে হয়।এই উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে আজ থেকে <a href="tel:600700">৬০০/৭০০</a> বছর আগে কিন্তু হাদিসের কিতাব তখনো ছিল না।ওনিই প্রথম জাহাজে করে হাদিসের কিতাব নিয়ে এসেছেন। মাদ্রাসায় প্রথমে হাদিস পড়ানো হয় মিশকাত শরীফ।এই মিশকাত শরীফের মুকাদ্দিমা লিখেছেন ওনি। মিশকাত পড়ার আগে এটা পড়তে হয়! বোখারী শরীফের প্রথম হাদিস দেখেনঃ ‌حدثنا الحميدي قال حدثنا سفيان قال حدثنا يحيي بن سعيد الانصاري قال اخبرني محمد بن ابراهيم التيمي انه سمع علقمة بن وقص الليثي يقول سمعت عمر بن الخطاب رضي الله عنه عال المنبر يقول سمعت رسول اللل ﷺ............................... 																																																								 															حميدي 																										| 																سفيان 																									|	      يحيي بن سعيد الانصاري 																									|      محمد بن ابراهيم التيمي 																									|          علقمة بن وقص الليثي 																								| عمر بن الخطاب رضي الله عنه 																								|                 رسول اللهﷺ এই হাদিসে ইমাম বোখারী ও রসুলে কারীম ﷺ এর মাঝখানে ৬ জন রাবী আছে। যাকে সনদ বলে। এভাবে ইমাম বোখারী থেকে আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী পর্যন্ত হাদিস পৌছেছে।আর উনার থেকে আমাদের পাক ভারত উপমহাদেশে হাদিসের সনদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়ে আজ আমরা হাদিস পড়তে পারছি।সনদ ছাড়া কিভাবে আপনি <a href="tel:12001400">১২০০/১৪০০</a> বছর আগে চলে যাচ্ছেন?  আপনি কি ইমাম বোখারী, মুসলিম ওনাদেরকে দেখেছেন, না ওনাদের জমানায় ছিলেন? ইমাম আহমদ বিন মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন কাসতালানী(রহঃ) ও শাহ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী রহঃ এটা বোখারী শরীফ বলেছেন, আমরা মেনে নিয়েছি।তারপর ওনাদের থেকে আমাদের আ'কাবিররা হাদিসের সনদ পাওয়ার কারণে আমরা এটা বোখারী শরীফ চিনতে পেরেছি, পড়ছি এবং বুঝে আমল করার চেষ্টা করছি। তাই আমরা হাদিসের ইমামের কথা মানব।কারণ ওনাদেরকে না মেনে যদি হাদিস পড়ি বা পড়ায় তাহলে নিজের বাবাকে মানলাম কিন্তু দাদাকে মানি না।দাদাকে যদি না মানেন বা ওনাকে কুফুরী,বিদয়াতী ফতোয়া দেন তাহলে আপনার বাবার জন্মই ঠিক হয়নি।কারণ আপনার দাদা যদি বিদায়াতী বা কাফির হয় তাহলে আপনার বাবা হারামজাদা হবে। ✔✔উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে।  যা আগেই হাদিস উপস্থাপন করেছি।যা কেয়ামতের লক্ষণ। আল্লাহ হেফাজত করুক। সর্বশেষ একটা হাদিস বলে শেষ করব- দ্বীন কার থেকে শিখছো জেনে নাও وعن ابن سيريين قال ان هذا العلم دين فانظروا عمن تاخذون دينكم- رواه مسلم অর্থঃ "হযরত মুহাম্মদ ইবনে সীরীন(র.) হতে বর্ণিত।তইনি বলেন- নিশ্চয়ই এ( কিতাব ও সুন্নাতের) ইলম হচ্ছে দ্বীন।সুতরাং তোমরা লক্ষ্য কর যে, তোমাদের এ দ্বীন  কার নিকট থেকে গ্রহণ করে।" ☞সহিহ মুসলিম শরীফ, ১/	১৪পৃঃ ☞মিশকাত শরীফঃ কিতাবুল ইলম, হাদিস নংঃ ২৫৪।

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উওম

ভাই বিনয়ের সাথে বলতে চাই ইমাম মানার কথা আল্লাহ কোরআনেই বলেছেন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا أَطيعُوا اللَّهَ وَأَطيعُو...

অক্টোবর ২৩, ২০২১

আদাবুল ইস্তিঞ্জা : দুটি মাসআলার দালীলিক বিশ্লেষণ

<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইস্তিঞ্জার সময় কী কী আদাবের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে, সে সম্পর্কে ফিকহের কিতাবসমূহে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ প্রবন্ধে সবগুলো আদাবের আলোচনা করা উদ্দেশ্য নয়। এখানে উদ্দেশ্য দুইটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এক. কাযায়ে হাজতের (পেশাব-পায়খানা করার) পর পবিত্রতা অর্জন করার পদ্ধতি।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">দুই. ইস্তিবরা অর্থাৎ পেশাব করার পর অবশিষ্ট পেশাব থেকে পরিপূর্ণভাবে পবিত্রতা অর্জন করার হুকুম ও তরীকা।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">প্রথম মাসআলা : কাযায়ে হাজতের পর পবিত্রতা অর্জন করার পদ্ধতি<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">পেশাব-পায়খানার পর পবিত্রতা অর্জন করার তিনটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">প্রথম পদ্ধতি : শুধু ঢিলা ব্যবহার করা<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">কাযায়ে হাজতের পর শুধু ঢিলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয। এ বিষয়ে বহু হাদীস ও আছার বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি বর্ণনা উল্লেখ করা হল।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">১. মুসলিম রাহ. বর্ণনা করেন, আব্দুর রহমান বিন ইয়াযীদ রাহ. বলেন, সালমান ফারসী রা.-কে বলা হল, তোমাদের নবী তোমাদের সবকিছু শিক্ষা দিয়েছেন; এমনকি শৌচাগার ব্যবহারের পদ্ধতিও! আব্দুর রহমান বিন ইয়াযীদ রাহ. বলেন, সালমান রা. বললেন, ‘হাঁ, অবশ্যই! তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, আমরা যেন ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি, ইস্তিঞ্জার সময় তিন পাথরের কম ব্যবহার না করি এবং গোবর বা হাড্ডি দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি।’ বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ عَبْدِ الرّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ: قِيلَ لَهُ: قَدْ عَلّمَكُمْ نَبِيكُمْ كُلّ شَيْءٍ حَتى الْخِرَاءَةَ قَالَ: فَقَالَ: أَجَلْ لَقَدْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ لِغَائِطٍ، أَوْ بَوْلٍ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلّ مِنْ ثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ بِعَظْمٍ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : জামে তিরমিযী, হাদীস ১৬; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস ৭; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৭১৯<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">২. আবু দাঊদ রাহ. বর্ণনা করেন, আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য পিতার মত, আমি তোমাদের শিক্ষা দিই। তোমাদের কেউ শৌচাগারে গেলে কিবলার দিকে মুখ করে বা পিঠ করে বসবে না, ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে না।’ (আবু হুরায়রা রা. বলেন,) এবং তিনি আমাদেরকে তিন ঢিলা ব্যবহার করার নির্দেশ দিতেন এবং গোবর ও হাড্ডি ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ صَلى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: إِنمَا أَنَا لَكُمْ بِمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ، أُعَلِّمُكُمْ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ فَلَا يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، وَلَا يَسْتَدْبِرْهَا وَلَا يَسْتَطِبْ بِيَمِينِهِ، وَكَانَ يَأْمُرُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، وَيَنْهَى عَنِ الرَّوْثِ وَالرِّمَّةِ<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস ৮<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১২, ৩১৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭৩৬৯, ৭৪০৯; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১৪৩১, ১৪৪০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ৮০<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">৩. আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ শৌচাগারে গেলে সে যেন তিনটা ঢিলা নিয়ে যায়। কারণ তিনটা ঢিলা পবিত্রতা অর্জন করার জন্য যথেষ্ট।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ، فَلْيَذْهَبْ مَعَهُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ يَسْتَطِيبُ بِهِنَّ، فَإِنَّهَا تُجْزِئُ عَنْهُ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস ৪০<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৪; সুনানে দারাকুতনী ১/৫৪; সুনানে বায়হাকী ১/১০৩<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমাম দারাকুতনী রাহ. হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন,  إسناده صحيح  এর সনদ সহীহ।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">৪. ইমাম বুখারী রাহ. বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে যাওয়ার সময় আমাকে তিনটি ঢিলা নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন। আমি দুইটি পাথর পেয়েছি। আরেকটা পাথর তালাশ করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আরেকটা গোবর-টুকরা নিয়ে এসেছি। তিনি পাথরদুটো নিয়েছেন, আর গোবর-টুকরাটা ফেলে দিয়েছেন এবং বলেছেন, গোবর নাপাক।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">حَدّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: - لَيْسَ أَبُو عُبَيْدَةَ ذَكَرَهُ - وَلَكِنْ عَبْدُ الرّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللّهِ يَقُولُ: أَتَى النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ الغَائِطَ فَأَمَرَنِي أَنْ آتِيَهُ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ، فَوَجَدْتُ حَجَرَيْنِ، وَالتَمَسْتُ الثّالِثَ فَلَمْ أَجِدْهُ، فَأَخَذْتُ رَوْثَةً فَأَتَيْتُهُ بِهَا، فَأَخَذَ الحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرّوْثَةَ وَقَالَ: هَذَا رِكْسٌ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫৬ <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৩৯৬৬<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এসব হাদীস ছাড়াও আরও বহু হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাযায়ে হাজতের পর ঢিলা ব্যবহার করতেন এবং ঢিলা ব্যবহার করার নির্দেশ দিতেন। ইমাম নববী রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">قد تظاهرت الأحاديث الصحيحة بإجزاء الأحجار.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">অর্থাৎ শুধু ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা যথেষ্ট- এ বিষয়টি বহু সহীহ হাদীসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। -শরহুল মুহায্যাব ২/১০৩ <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমাম আবু বকর জাস্সাস রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">وقد تواترت الأخبار عن النبي صلى الله عليه و سلم بالاستنجاء بالأحجار قولا وفعلا.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ঢিলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ও কর্ম সম্বলিত হাদীস মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। -আহকামুল কুরআন ৩/২২৯<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এসব হাদীসের একটিতেও এ কথা নেই যে, পানি না পাওয়া গেলে ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা যাবে, আর পানি পাওয়া গেলে ঢিলা ব্যবহার করা যাবে না। সুতরাং পানি পাওয়া যাক বা না যাক ইস্তিঞ্জার সময় শুধু ঢিলা ব্যবহার করা জায়েয।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সাহাবা-তাবেয়ীগণের আমল ও ফতোয়া<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত আমল ও বাণী মুতাবেক অনেক সাহাবা ও তাবেয়ীনের আমল ছিল। তাঁরা পানি থাক বা না থাক শুধু ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। এ সংক্রান্ত কয়েকটি বর্ণনা লক্ষ করুন :<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">১. আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রাহ. বর্ণনা করেন, হাম্মাম রাহ. বলেন, হুযায়ফা রা.-কে কাযায়ে হাজতের পর পানি ব্যবহার করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, তাহলে (পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করলে) তো আমার হাতে দুর্গন্ধ লেগে থাকবে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: سُئِلَ عَنِ الِاسْتِنْجَاءِ بِالْمَاءِ، فَقَالَ: إِذًا لَا تَزَالُ يَدَي فِي نَتِنٍ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬৪৬<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">২. আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রাহ. বর্ণনা করেন, মুআযা রাহ. বলেন, আয়েশা রা. (মহিলাদের) বলেছেন, তোমরা আপন স্বামীদের নির্দেশ দাও, তারা যেন (ঢিলা ব্যবহারের পর) পানি দ্বারা পেশাব-পায়খানার বাকি চিহ্ন ধুয়ে ফেলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনই করতেন। আমি তাদের (তোমাদের স্বামীদের) বলতে লজ্জাবোধ করছি।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَغْسِلُوا أَثَرَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُهُ وَأَنَا أَسْتَحْيِيهِمْ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬২৯<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৬; সুনানে বায়হাকী ১/১০৬; কিতাবুল ইলাল, ইবনে আবী হাতেম ১/১৭০ (৯১); আল-ইসতিযকার ১/২০৫<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমাম তিরমিযী রাহ. বলেন, حديث حسن صحيح এটি সহীহ হাদীস। ইমাম নববী রাহ. বলেন,  حديث صحيح  এটি সহীহ হাদীস। -আল-মাজমূ শরহুল মুহায্যাব ২/১০১<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এ বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, বহু সাহাবা পানি থাকা সত্ত্বেও ইস্তিঞ্জায় শুধু ঢিলা ব্যবহার করতেন, পানি ব্যবহার করতেন না। তাই আয়েশা রা. মহিলা সাহাবীদের মাধ্যমে তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ঢিলা ব্যবহারের পর তারা যেন পানি ব্যবহার করেন।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">৩. ইমাম মালেক রাহ. বর্ণনা করেন,  সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (প্রখ্যাত তাবেয়ী) রাহ-কে কাযায়ে হাজতের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ রাহ. তাঁকে বলতে শুনেছেন যে, এটা তো মহিলাদের পবিত্রতা।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنِ الْمُسَيَّبِ يُسْأَلُ عَنِ الْوُضُوءِ مِنَ الْغَائِطِ بِالْمَاءِ. فَقَالَ سَعِيدٌ: إِنَّمَا ذلِكَ وُضُوءُ النِّسَاءِ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> -মুয়াত্তা মালেক ১/ ১১<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : আল-ইস্তিযকার ১/২০৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ১৬৪৮<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমাম আবু উমর ইবনে আব্দুল বার রাহ. বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">هذا مذهب المهاجرين في الاستنجاء بالأحجار والاقتصار عليها، وابن المسيب من أبنائهم وفقهائهم.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">পানি ব্যবহার না করে শুধু ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা মুহাজির সাহাবায়ে কেরামের মাযহাব। আর ইবনুল মুসায়্যিব রাহ. মুহাজিরগণের বংশধর এবং তাদের বংশের ফকীহ। (এ জন্য তিনি ঐ নিয়মের অনুসারী ছিলেন।) প্রাগুক্ত ১/২০৫<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">তিনি আরো বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">وهو مذهب معروف عن المهاجرين.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">অর্থাৎ পানি ব্যবহার না করে শুধু ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা মুহাজির সাহাবায়ে কেরামের  প্রসিদ্ধ মাহযাব। প্রাগুক্ত ১/১৪২<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> ইমাম নববী রাহ. বলেন, (সার-সংক্ষেপ) কুবার আনসারী সাহাবীগণ ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। তারা ব্যতীত অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম শুধু ঢিলা দ্বারা তহারাত অর্জন করতেন। -শরহুল মুহায্যাব ২/১০০<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">উম্মাহর ইমামগণের ফতোয়া<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এ অনুযায়ীই উম্মাহর ইমামগণের ফতোয়া। ইবনে হাবিব মালেকী রাহ. ব্যতীত সকল ইমামের মত হল, পানি থাকুক বা নাই থাকুক সর্বাবস্থাই শুধু ঢিলা দ্বারা তহারাত হাসিল করা জায়েয। দেখুন : আলইসতিযকার ১/১৪৩; শরহে মুসলিম, নববী ১/১৩২ হাদীস নং ২৭০ ও ২৭১-এর ব্যাখ্যা; উমদাতুল কারী ২/৪৮০ হাদীস নং ২১৭-এর ব্যাখ্যা।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সুতরাং ‘পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ নেওয়া শরী‘আতসম্মত নয়।’ বলে যে মত প্রচার করা হচ্ছে তা ইবনে হাবীব মালেকী রাহ.-এর শায ও উম্মাহ-বিচ্ছিন্ন মত, যা বহু সহীহ হাদীস বিরোধী। ইমাম নববী রাহ.-এর ভাষায়-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">هذا خلاف ما عليه العلماء من السلف والخلف وخلاف ظواهر السنن المتظاهرة. والله أعلم.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এ মত সালাফ ও খালাফ সকল আলেমগণের মতের বিপরীত এবং বাহ্যিক বহু হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক। -শরহে মুসলিম ১/১৩২    <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">দ্বিতীয় পদ্ধতি : পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">কাযায়ে হাজতের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার বিষয়ে সাহাবা ও তাবেয়ীন-যুগে দু-একজনের ভিন্নমত থাকলেও পরবর্তীতে এ বিষয়ে কোনো ইমামের মতবিরোধ নেই যে, কাযায়ে হাজতের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা যাবে; বরং উলামায়ে কেরাম বলেন, পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করাই উত্তম। তাই এ বিষয়ের দলীল পেশ করে আলোচনা দীর্ঘ করতে চাচ্ছি না।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">তৃতীয় পদ্ধতি : ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">কাযায়ে হাজতের পর ঢিলা ব্যবহার করে পানি দ্বারা ধোয়া কুরআন-সুন্নাহ ও সালাফে সালেহীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত। নিম্নে এ সম্পর্কে কয়েকটি দলীল পেশ করা হল-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">১. আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا  وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ .<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">তাতে (কোবায়) এমন লোক আছে, যারা অধিকতর পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ তাআলা অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। -সূরা তাওবা (৯) : ১০৮<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এখানে আল্লাহ তাআলা কোবা এলাকার সাহাবীদের প্রশংসা করেছেন যে, তারা পাক-পবিত্রতা পছন্দ করেন। তাদের সে পবিত্রতা কী ছিল? এ সম্পর্কে কয়েকটি বর্ণনা উদ্ধৃত করছি-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">(ক) ইমাম বায়হাকী রাহ. বর্ণনা করেন, আবু আইয়ূব রা., জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. ও আনাস বিন মালেক রা.-এই আনসারী সাহাবীগণ বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا  وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আয়াতটি নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আনসারীদের দল! আল্লাহ তোমাদের পবিত্রতার উত্তম প্রসংশা করেছেন। তোমাদের ঐ পবিত্রতা কী? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা নামাযের জন্য অযু করি এবং গোসল ফরয হলে গোসল করি।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর সাথে কি আরো কোনো বিষয় আছে? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আর কোনো বিষয় নেই, তবে শৌচাগার থেকে বের হলে আমাদের প্রত্যেকেই পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতে পছন্দ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটাই সেই পবিত্রতা (আল্লাহ যার কারণে তোমাদের প্রসংশা করেছেন)। সুতরাং এটাকে তোমরা গুরুত্বের সাথে ধরে রাখবে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ طَلْحَةَ بْنِ نَافِعٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيُّونَ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ لَمَّا نَزَلَتْ "فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ" فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، إِنَّ اللهَ قَدْ أَثْنَى عَلَيْكُمْ خَيْرًا فِي الطُّهُورِ، فَمَا طُهُورُكُمْ هَذَا؟ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ نَتَوَضَّأُ لِلصَّلَاةِ وَنَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "فَهَلْ مَعَ ذَلِكَ غَيْرُهُ. قَالُوا: لَا غَيْرَ أَنَّ أَحَدَنَا إِذَا خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ أَحَبَّ أَنْ يسْتَنْجِيَ بِالْمَاءِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : هُوَ ذَاكَ فَعَلَيْكُمُوهُ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-সুনানে কুবরা, বায়হাকী ১/১০৫<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন- মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৫৫৪; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৫৫<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমাম নববী রাহ. হাদীসটি উদ্ধৃত করে বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">إسناد هذه الرواية و رواية ابن ماجه وغيره إسناد صحيح إلا أن فيه عتبة بن أبي حكيم، وقد اختلفوا في توثيقه, فوثقه الجمهور, ولم يبين من ضعفه سبب ضعفه، والجرح لايقبل إلا مفسرا، فيظهر الاحتجاج بهذه الرواية.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এই বর্ণনার সনদ সহীহ। এতে উতবা বিন আবী হাকীম নামে একজন রাবী আছেন। তার তাওছীকের বিষয়ে ইখতিলাফ আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুহাদ্দিসগণ তার তাওছীক (বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য হওয়ার সাক্ষ্য প্রদান) করেছেন। যারা তাযঈফ (বর্ণনায় দুর্বল হওয়ার সাক্ষ্য প্রদান) করেছেন তারা এর কারণ উল্লেখ করেননি। আর কারণ উল্লেখ না করলে র্জহ (দোষ-বর্ণনা) গ্রহণযোগ্য হয় না। সুতরাং এই বর্ণনা দলীলযোগ্য। -শরহুল মুহায্যাব ২/৯৯<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">হাকেম রাহ. হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">هذا حديث كبير صحيح في كتاب الطهارة.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এই হাদীসটি সহীহ এবং তহারাতের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাদীস। ইমাম যাহাবী রাহ. হাকেম রাহ.-এর সমর্থন করেছেন। দেখুন- মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৫৫৪<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সুনানে ইবনে মাজাহ্র সনদ সম্পর্কে হাফেয যায়লায়ী রাহ. ও ইমাম ইবনুল হুমাম রাহ.বলেন, وسنده حسن. এর সনদ হাসান। -নসবুর রায়াহ ১/২১৯; ফতহুল কাদীর ১/২১৬<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">লক্ষ করুন, যে পবিত্রতার জন্য আল্লাহ তাআলা কোবার সাহাবীগণের প্রশংসা করেছেন তা হল, তারা শৌচাগার থেকে বের হয়ে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। বলাই বাহুল্য যে, পেশাব-পায়খানার পর ঢিলা বা পানি ব্যবহার না করে কেউ শৌচাগার থেকে বের হয় না। তাই ইমাম নববী রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">قولهم "إذا خرج أحدنا من الغائط أحب أن يستنجي بالماء", فهذا يدل على أن استنجاءهم بالماء كان بعد خروجهم من الخلاء. والعادة جارية بأنه لايخرج من الخلاء إلا بعد التمسح بماء أو حجر.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">কাবাবাসীদের বক্তব্য- ‘আমাদের প্রত্যেকেই শৌচাগার থেকে বের হলে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতে পসন্দ করে।’- প্রমাণ করে যে, তারা শৌচাগার থেকে বের হয়ে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। আর মানুষের অভ্যাস হল, পেশাব-পায়খানার পর ঢিলা বা পানি ব্যবহার না করে কেউ শৌচাগার থেকে বের হয় না। -শরহুল মুহায্যাব ২/১০০<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">মোটকথা এই হাদীস থেকে বোঝা যায় যে, কোবাবাসী সাহাবায়ে কেরাম শৌচাগারে ঢিলা ব্যবহার করে বের হয়ে অন্যত্র পানি দ্বারা তহারাত অর্জন করতেন। তাই ইমাম বায়হাকী রাহ. এ হাদীসকে ঢিলা ও পানি, উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা জায়েয হওয়ার দলীল দিয়েছেন এবং এই হাদীসের শিরোনাম দিয়েছেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">باب الجمع في الاستنجاء بين المسح بالأحجار والغسل بالماء<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">(অধ্যায় : ইস্তিঞ্জার সময় ঢিলা দ্বারা মুছে পানি দ্বারা ধৌত করা।) -সুনানে কুবরা ১/১০৫<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">তা ছাড়া কুবার সাহাবায়ে কেরাম যে ঢিলা ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করতেন একটি হাদীসে তা ষ্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, কোবাবাসীদের সম্পর্কে<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا  وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">(এখানে এমন লোক আছে, যারা অধিক পাক-পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ তাআলা পাক-পবিত্র লোকদের পছন্দ করেন।) আয়াতটি নাযিল হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা ঢিলা ব্যবহারের পর পানি দ্বারা ধৌত করি।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">حدثنا عبد الله بن شبيب, ثنا أحمد بن محمد بن عبد العزيز,قال: وجدت في كتابي أبي عن الزهري, عن عبيد الله بن عبد الله, عن ابن عباس قال: نزلت هذه اللآية في أهل قباء فِيْهِ رِجَالٌ يُحِّبُوْنَ أَنْ يَتَطَهَّرُوْا, وَاللُه يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِيْنَ. فسألهم رسول الله صلى الله عليه و سلم فقالوا: إنا نتبع الحجارة الماء.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-মুসনাদে বায্যার : নসবুর বায়াহ ১/২১৮; আল-বদরুল মুনীর ২/৩৭৪<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এ হাদীস দ্বারাও এ কথার সমর্থন পাওয়া যায় যে, কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা কোবাবাসী সাহাবাদের যে পবিত্রতার প্রশংসা করেছেন তা হল, তাঁরা ঢিলা ব্যবহারের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। হাঁ, হাদীসটির সনদে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল আযীয নামে একজন রাবী আছেন। তিনি যয়ীফ (দুর্বল) রাবী, তাই সনদটি যয়ীফ। তবে উপরের সহীহ হাদীসে এ হাদীসের সমর্থন পাওয়া যায়। তাই এর সনদ যয়ীফ হলেও মূল বিষয়টি প্রমাণিত।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">কাযী ইয়ায রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">إن الاستنجاء بالماء أفضل من الاقتصار على الأحجار، وهو مذهب الأنصار، وبه أثنى الله عليهم بالطهارة وأنه يحب المتطهرين.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">শুধু ঢিলা ব্যবহারে সীমাবদ্ধ না থেকে ঢিলার পর পানি ব্যবহার করা উত্তম। এটাই আনসারী সাহাবীগণের মাযহাব। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কুবাবাসীর প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, তিনি অধিকতর পবিত্রতা অর্জনকারীর লোকদের পসন্দ করেন। -ইকমালুল মু‘লিম ২/৭৮<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সৌদি আরবের প্রসিদ্ধ আলেম মসজিদে নববীর ওয়ায়েয শায়খ আবু বকর জাবের জাযায়েরী রাহ. বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">كانوا يجمعون في الاستنجاء بين الحجارة والماء. فأثنى الله تعالى عليهم بذلك.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">কুবাবাসীগণ ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। তাই আল্লাহ তাদের প্রশংসা করেছেন। -আইসারুত তাফাসীর ১/৭০৬<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বাকি রইল অধিকাংশ বর্ণনায় ঢিলা ব্যবহারের কথা স্পষ্ট শব্দে আসেনি। তো এর কারণ হল, আল্লাহ তাআলা কোবাবাসীর এমন বিষয়ের প্রশংসা করেছেন, যাতে তাদের স্বাতন্ত্র্য আছে, যে বৈশিষ্ট্য অন্যদের ছিল না। তখনকার যুগে আরবের সকলেই ঢিলা ব্যবহার করত। ঢিলা নেওয়ার ক্ষেত্রে কুবাবাসীর বিশেষ কোনো বিশেষত্ব নেই। এজন্য সাহাবায়ে কেরাম তা বর্ণনা করার প্রয়োজন মনে করেননি। ইমাম নববী রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">إن الاستنجاء بالحجر كان معلوما عندهم، يفعله جميعهم. وأما الاستنجاء بالماء فهو الذي انفردوا به، فلهذا ذكر ولم يذكر الحجر، لأنه مشترك بينهم وبين غيرهم، ولكونه معلوما. فإن المقصود بيان فضلهم الذي أثني الله تعالى عليهم بسببه.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার বিষয়টি তাদের সকলের জানা ছিল। তারা সকলেই ঢিলা ব্যবহার করতেন। আর (ঢিলার পর) পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা, এটা শুধু কুবার সাহাবীদের একক বৈশিষ্ট্য। তাই বর্ণনায় শুধু পানির উল্লেখ করা হয়েছে, ঢিলার উল্লেখ করা হয়নি। কারণ এখানে উদ্দেশ্য তাদের ঐ বিশেষত্বের বিবরণ দেওয়া, যার কারণে আল্লাহ তাদের প্রশংসা করেছেন। আর ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার ক্ষেত্রে তারা এবং অন্যরা সমান। তাছাড়া তারা যে ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন, তা তো সকলেরই জানা ছিল। -আল-মাজমূ শরহুল মুহায্যাব ২/১০০ <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">২. ইবনুল মুনযির রাহ. বর্ণনা করেন, আনাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বাগানে দাখিল হলেন এবং হাজত সারলেন। তখন আমাদের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ লোকটি পানির পাত্র নিয়ে নবীজীর কাছে আসল। তিনি পাত্রটা নিলেন এবং পানি ব্যবহার করে ফিরে এলেন।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ حَائِطًا، وَقَضَى حَاجَتَهُ، فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ أَصْغَرِنَا بِدَلْوِهِ أَوْ مَيْضَاةٍ، فَأَخَذَهَا، ثُمَّ جَاءَ وَقَدِ اسْتَنْجَا بِالْمَاءِ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-আলআওসাত, ১/৩৬৫ হাদীস ৩২০<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন- সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭০<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">স্পষ্ট কথা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাযায়ে হাজত করার পর তাঁকে পানি দেওয়ার জন্য ঐ সাহাবী পানি নিয়ে বাগানের ভেতর প্রবেশ করেননি; বরং পানি নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজত সেরে বাগান থেকে বের হলে তাঁকে পানির পাত্রটি দিয়েছেন। আর তিনি এ পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করেছেন। বলাই বাহুল্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঢিলা দ্বারা তহারাত অর্জন না করে বাগান থেকে বের হননি। বরং ঢিলা নেওয়ার পরই তিনি ঐ সাহাবীর কাছে এসেছেন। তখন তাঁকে পানি দেওয়া হয়েছে, তিনি সে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করেছেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করেছেন। তাই  ইমাম নববী রাহ. এ হাদীস এবং সামনে ৩নং দলীলের হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">أما فقه هذه الأحاديث، ... وفيها جواز الاستنجاء بالماء واستحبابه ورجحانه على الاقتصار على الحجر.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এসব হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়... পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা জায়েয। বরং শুধু ঢিলার উপর সীমিত না থেকে ঢিলা নেওয়ার পর পানি ব্যবহার করা মুস্তাহাব ও অগ্রগণ্য। -শরহে মুসলিম ১/১৩২<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">কাযী ইয়ায রাহ.ও এসব হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">وجاء في هذه استنجاء النبي صلى الله عليه و سلم بالماء. وأحاديثه في ذلك كثيرة صحيحة، وكان النبي صلى الله عليه و سلم يأتي من الأمور أفضلها ومعاليها، فدل أن الاستنجاء بالماء أفضل من الاقتصار على الأحجار، وهو مذهب الأنصار، وبه أثنى الله عليهم بالطهارة وأنه يحب المتطهرين، ومن ذهب إلى الجمع بينه وبين الأحجار جاء بأتم الأمور.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পানি ব্যবহারের কথা এসেছে। আর এ বিষয়ে বহু সহীহ হাদীস রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক বিষয়ের শ্রেষ্ঠতম ও উচ্চতম পন্থা অবলন্বন করতেন। অতএব তাঁর আমল প্রমাণ করে শুধু ঢিলা ব্যবহারে সীমাবদ্ধ না থেকে ঢিলার পর পানি ব্যবহার করা উত্তম। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কোবাবাসীর প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, তিনি অধিকতর পবিত্রতা অর্জনকারীদের পসন্দ করেন। অতএব যে ঢিলা ও পানি উভয়টা ব্যবহার করল সে পরিপূর্ণ পবিত্রতা অর্জন করল। -ইকমালুল মু‘লিম ২/৭৮<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">৩. (ক) ইমাম বুখারী রাহ. বর্ণনা করেন, আনাস বিন মালেক রা. বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাযায়ে হাজতের জন্য যেতেন তখন আমি এবং এক যুবক তাঁর সাথে যেতাম। আমাদের সাথে একটি লাঠি এবং একটি পানির পাত্র থাকত। তিনি কাযায়ে হাজত হতে ফারেগ হলে তাঁকে পানির পাত্রটি দিতাম।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ، تَبِعْتُهُ أَنَا وَغُلاَمٌ وَمَعَنَا عُكَّازَةٌ أَوْ عَصًا أَوْ عَنَزَةٌ، وَمَعَنَا إِدَاوَةٌ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْ حَاجَتِهِ نَاوَلْنَاهُ الإِدَاوَةَ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০০, ২১৭ <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">(খ) ইমাম বুখারী রাহ. বর্ণনা করেন, আনাস বিন মালেক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে দাখেল হতেন। তখন আমি এবং এক যুবক একটি পানির পাত্র এবং একটি লাঠি নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ الخَلاَءَ، فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلاَمٌ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ وَعَنَزَةً، يَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫২<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন- সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭১<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এ হাদীসের প্রথম বর্ণনা থেকে বুঝে আসে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাযায়ে হাজতের জন্য শৌচাগারে দাখেল হলে আনাস রা. ও আরেক যুবক সাহাবী বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। তিনি কাযায়ে হাজত থেকে ফারেগ হয়ে তাদের কাছে আসলে তারা পানির পাত্রটি এগিয়ে দিতেন। আর দ্বিতীয় বর্ণনা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন। বলাই বাহুল্য যে, তিনি ঢিলা ব্যবহার না করে তাদের কাছে আসতেন না। সুতরাং এ হাদীসও প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঢিলা নেওয়ার পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। সহীহ বুখারীর ২১৭নং বর্ণনায় এ হাদীসের ব্যাখ্যায় হাফেয বদরুদ্দীন আইনী রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">بيان استنباط الأحكام :<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">الأول : أن فيه استحباب التباعد من الناس لقضاء الحاجة. الثاني : أن فيه الاستتار عن أعين الناس. الثالث : أن فيه جواز استخدام الصغار. الرابع : أن فيه جواز الاستنجاء بالماء واستحبابه ورجحانه على الاقتصار على الحجر.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এ হাদীস থেকে আহরিত বিধান : ১. মানুষ থেকে দূরে গিয়ে কাযায়ে হাজত করা মুস্তাহাব। ২. লোকচক্ষুর আড়ালে কাযায়ে হাজত করা। ৩. ছোটদের থেকে খেদমত নেয়া জায়েয। ৪. পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা জায়েয; বরং শুধু ঢিলার উপর সীমিত না থেকে ঢিলা নেওয়ার পর পানি ব্যবহার করা মুস্তাহাব ও অগ্রগণ্য। -উমদাতুল কারী ২/৪৮০<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">উপরের হাদীসের আলোচনায় দেখেছি যে, কাযী ইয়ায রাহ. এবং ইমাম নববী রাহ.ও হাদীসটি থেকে এ বিধান আহরণ করেছেন।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">৪. (ক) ইবনে আবী শায়বা রাহ. বর্ণনা করেন, ইবনে সীরীন রাহ. বলেন, আয়েশা রা. মহিলাদের বলতেন, তোমরা আপন স্বামীদের বল, তারা যেন শৌচাগার থেকে বের হলে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ أنا مَنْصُورٌ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ أَنَّ عَائِشَةَ، كَانَتْ تَقُولُ لِلنِّسَاءِ: مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَسْتَنْجُوا بِالْمَاءِ إِذَا خَرَجُوا مِنَ الْغَائِطِ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬৩০<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">(খ) ইবনে আবী শায়বা রাহ. আরো বর্ণনা করেন, মুআযা রাহ. বলেন, আয়েশা রা. (মহিলাদের) বলেছেন,  তোমরা নিজেদের স্বামীদের নির্দেশ দাও, তারা যেন পেশাব-পায়খানার চিহ্ন ধুয়ে ফেলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনি করতেন। তাদেরকে (তোমাদের স্বামীদের) বলতে আমার লজ্জা লাগে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَغْسِلُوا أَثَرَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُهُ وَأَنَا أَسْتَحْيِيهِمْ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬২৯<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৬; সুনানে বায়হাকী ১/১০৬; কিতাবুল ইলাল, ইবনে আবী হাতেম ১/১৭০ (৯১); আল-ইস্তিযকার ১/২০৫<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমাম তিরমিযী রাহ. বলেন, حديث حسن صحيح এ হাদীসটি সহীহ । ইমাম নববী রাহ. বলেন,  حديث صحيح  হাদীসটি সহীহ । -আলমাজমূ শরহুল মুহায্যাব ২/১০১<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">‘ক’ নং বর্ণনায় পাওয়া যাচ্ছে যে, আয়েশা রা. নির্দেশ দিচ্ছেন, ঢিলা ব্যবহারের পর নাপাকির যে চিহ্ন বাকি থাকে তা যেন পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলা হয়। ‘খ’ নং বর্ণনায় আরো বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনি করতেন।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সুতরাং এ হাদীস থেকেও প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঢিলা নেওয়ার পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আহমদ বিন হাম্বল রাহ বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">إن جمعهما فهو أحب إلي<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা আমার নিকট উত্তম। এরপর তিনি দলিল হিসেবে আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত এই হাদীসটি পেশ করেন। -আলমুগনী ১/১৯৪<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">৫. ইবনে আবী শায়বা রাহ. বর্ণনা করেন, আলী রা. বলেছেন, তোমাদের পূর্বের লোকেরা পশুর মত (শক্ত) মল ত্যাগ করত। আর তোমরা পাখির মত (নরম) মল ত্যাগ কর। তাই তোমরা ঢিলা ব্যবহারের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করবে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">قَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوا يَبْعَرُونَ بَعْرًا وَإِنَّكُمْ تَثْلِطُونَ ثَلْطًا فَأَتْبِعُوا الْحِجَارَةَ بِالْمَاءِ.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬৪৫  <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : সুনানে কুবরা, বায়হাকী ১/১০৬, হাদীস ৫১৭; মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক : নসবুর রায়াহ ১/২১৯<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">হাফেয যায়লায়ী রাহ. এ আছার সম্পর্কে বলেন, أثر جيد এটি জায়্যিদ (হাসানের স্তরের) বর্ণনা। ইবনে হাজার রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">أخرجه ابن أبي شيبة و البيهقي بإسناد حسن.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইবনে আবী শায়বা ও বায়হাকী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। ইউসুফ বিন্নূরী রাহ. বলেন-  هو أثر جيد এটি জায়্যিদ বর্ণনা। -নসবুর রায়াহ ১/২১৯; আদ্ দিরায়াহ ১/৭৯; মাআরিফুস সুনান ১/১৩৩<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">হাদীস ও ফিকহের ইমামগণের ফতোয়া<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এসব দলীলের প্রতি লক্ষ করে উম্মাহর ইমামগণের ফতোয়া হল ইস্তিঞ্জায় ঢিলা ও পানি উভয়টা ব্যবহার করা শুধু জায়েয নয়; বরং উত্তম। ইমাম নববী রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">فالذي عليه الجماهير من السلف والخلف وأجمع عليه أهل الفتوى من أئمة الأمصار أن الأفضل أن يجمع بين الحجر والماء، فيستعمل الحجر أولا لتخف النجاسة، وتقل مباشرتها بيده، ثم يستعمل الماء.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সালাফে সালেহীন ও তাদের উত্তরসূরীগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের মত এবং মুসলিমবিশ্বের সকল ইমামগণের ইজমা হল, পানি ও ঢিলা উভয়টা ব্যবহার করা উত্তম। প্রথমে পানি ব্যবহার করবে, যাতে নাপাকি কমে যায় এবং হাতে নাপাকির মিশ্রণ কম হয়। এরপর পানি ব্যবহার করবে। -শরহে মুসলিম ১/১৩২<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">হাফেয বদরুদ্দীন আইনী রাহ.ও একই বিবরণ দিয়েছেন। তিনি বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ومذهب جمهور السلف و الخلف والذي أجمع عليه أهل الفتوى من أئمة الأمصار أن الأفضل أن يجمع بين الحجر والماء، فيقدم الحجر أولا ثم يستعمل الماء فتخف النجاسة، وتقل مباشرتها بيده، ويكون أبلغ في النظافة.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সালাফে সালেহীন ও তাদের উত্তরসূরীগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের মত এবং মুসলিমবিশ্বের সকল ইমামগণের ইজমা হল, পানি ও ঢিলা উভয়টা ব্যবহার করা উত্তম। প্রথমে ঢিলা ব্যবহার করবে। এরপর পানি ব্যবহার করবে। যাতে নাপাকি কমে যায় এবং হাতে নাপাকির মিশ্রণ কম হয়। তাহলে পবিত্রতার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। -উমদাতুল কারী ২/৩০৪ হাদীস ১৫০-এর ব্যাখ্যা।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">দ্বিতীয় মাসআলা : ইস্তিবরা<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইস্তিবরার পরিচয়, হুকুম ও তরীকা আলোচনা করার আগে একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তা হল, ইসলামে পবিত্রতার গুরুত্ব অনেক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, والله يحب المطهرين আল্লাহ তাআলা পাক-পবিত্র লোকদের পছন্দ করেন। [সূরা তাওবা (৯) : ১০৮] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, الطهور شطر الإيمان পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২২৩) বিশেষ করে পেশাব থেকে পবিত্রতার বিষয়ে হাদীস শরীফে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">إن عامة عذاب القبر في البول، فتنزهوا من البول.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">কবরের অধিকাংশ আযাব হবে পেশাবের কারণে। তাই পেশাব থেকে বেঁচে থাক। -মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমায়দ, হাদীস. ৬৪২; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৬৫৪        <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমাম নববী রাহ. বলেন, حديث حسن হাদীসটি হাসান। [খুলাসাতুল আহকাম ১/১৭৪ (৪০৩)]। হাফেয ইবনে হাজার রাহ. বলেন,  إسناده حسن  এর সনদ হাসান। -আত-তালখীসুল হাবীর ১/১১৩ (১৩৫)<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">اتقوا البول، فإنه أول ما يحاسب به العبد في القبر.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">পেশাব থেকে বেঁচে থাক। কারণ কবরে বান্দাকে সর্বপ্রথম পেশাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। -মুজামে কাবীর, তবারানী ৮/১৫৭<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">হায়সামী রাহ. বলেন,  رجاله موثقون. এর রাবীগণ সিকাহ। -মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১/২০৯   আল্লামা মুনাবী রাহ. বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">مز المصنف لحسنه، وهو أعلى من ذلك.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সুয়ূতী রাহ. হাদীসটি হাসান হওয়ার আলামত দিয়েছেন। বাস্তবে হাদীসটির মান হাসানেরও ঊর্ধ্বে। -ফয়যুল কাদীর ১/১৩০ (১৩১)<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">সুতরাং পেশাব থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা শরীয়তে কাম্য। যুগের পরিবর্তনের কারণে মানুষের দৈহিক অবস্থা পরিবর্তন হয়। দেখুন না, মুহাজির সাহাবীগণ শুধু ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। আলী রা. মুহাজির সাহাবীদের অন্যতম। তিনি মুহাজিরদের তুলনায় তাবেয়ীদের দৈহিক অবস্থার দুর্বলতা দেখে তাবেয়ীদের লক্ষ করে বললেন, তোমাদের পূর্বের লোকেরা পশুর মত (শক্ত) মল ত্যাগ করত। আর তোমরা পাখির মত (নরম) মল ত্যাগ কর। তাই তোমরা ঢিলা ব্যবহারের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা কর। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬৩৪<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আলী রা. যেমন তাবেয়ীদের অবস্থার প্রতি লক্ষ করে তাদের বললেন, তোমাদের জন্য শুধু ঢিলা ব্যবহার করলে চলবে না; বরং ঢিলার পর পানিও ব্যবহার করতে হবে, তদ্রূপ উম্মাহর ইমামগণ উম্মতের অবস্থার প্রতি লক্ষ করে দেখলেন যে, পেশাবের পর যদি উহ-আহ, উঠা-বসা, হাঁটা-হাঁটি ইত্যাদি না করে তাহলে অনেকের পেশাব থেকে পূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন হয় না। তাই উম্মাহর ইমামগণ নায়েবে নবী হিসেবে তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, পেশাবের গতি বন্ধ হওয়ার পর উহ-আহ, উঠা-বসা, হাঁটা-হাঁটি ইত্যাদি করা অথবা কিছুক্ষণ জায়গায় বসে থাকা জরুরি, যেন পরে পেশাব ঝরে শরীর বা কাপড় নাপাক হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">হাঁটা-হাঁটি, উঠা-বসা, উহ-আহ এখানে মাকসাদ নয়। উদ্দেশ্য হল অবশিষ্ট পেশাব বের করে পূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন করা।  এগুলো পবিত্রতার পরিপূরক। তাই এসব কাজ পবিত্রতারই অংশ। সুতরাং এসবের জন্য ভিন্ন দলীলের প্রয়োজন হয় না। বরং এর দলীল হিসেবে পবিত্রতার গুরুত্ব এবং বিশেষ করে পেশাব থেকে বেঁচে থাকার তাকিদ সম্পর্কে উপরোক্ত আয়াত ও হাদীসসমূহই যথেষ্ট। তা সত্ত্বেও এ সম্পর্কে আলাদা দলীলও আছে। আমরা এবার সে দলীলগুলো লক্ষ করি।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইস্তিবরার পরিচয় ও হুকুম<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমাম নাসায়ী রাহ. বর্ণনা করেন, ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার অথবা মক্কার এক বাগানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন দুই ব্যক্তির আওয়ায শুনতে পেলেন যাদেরকে কবরে আযাব দেওয়া হচ্ছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদেরকে আযাব দেওয়া হচ্ছে। (এমন) বড় কোনো কারণে আযাব দেওয়া হচ্ছে না (যা থেকে বাঁচা খুব কঠিন)। এরপর বললেন, হাঁ, (তবে বড় গুনাহ)। তাদের একজন পেশাব থেকে ইস্তিবরা করত না, আরেকজন পরনিন্দা করত।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">বর্ণনাটির আরবী পাঠ-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَائِطٍ مِنْ حِيطَانِ مَكَّةَ أَوِ الْمَدِينَةِ سَمِعَ صَوْتَ إِنْسَانَيْنِ يُعَذَّبَانِ فِي قُبُورِهِمَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، ثُمَّ قَالَ: بَلَى، كَانَ أَحَدُهُمَا لَا يَسْتَبْرِئُ مِنْ بَوْلِهِ، وَكَانَ الْآخَرُ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ...<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-সুনানে নাসায়ী, হাদীস ২০৬৮, ২০৬৯<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আরো দেখুন : মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১২১৬৪ শরহু মুশকিলিল আসার, তহাবী, হাদীস ২১৩<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">হাদীসটি কয়েকটি শব্দে বর্ণিত হয়েছে : يستبرئ -এর স্থলে সহীহ মুসলিমের এক বর্ণনায় يستتر এবং অন্য বর্ণনায়  يستنزه শব্দ এসেছে। ইমাম নববী রাহ. বলেন, হাদীসটি তিন শব্দে বর্ণিত হয়েছে : يستتر - يستنزه  ও  يستبرئ। এরপর তিনি বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">وهذه الثالثة في البخاري وغيره، وكلها صحيحة.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এ তৃতীয় শব্দটি (يستبرئ) সহীহ বুখারী ও হাদীসের অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। এই সব বর্ণনাই সঠিক। হাফেয বদরুদ্দীন আইনী রাহ. সুনানে আবু দাউদের ভষ্যগ্রন্থে এ শব্দতিনটি সম্পর্কে বলেন, يستبرئ শব্দটি সহীহ বুখারী ও হাদীসের অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। এ সব বর্ণনাই সঠিক। সহীহ বুখারীর ২১৬ নং হাদীসের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনে হাজার রাহ. ও হাফেয আইনী রাহ. বলেন, ইবনে আসাকিরের বর্ণনা অনুযায়ী সহীহ বুখারীর এই হাদীসের শব্দ হল يستبرئ। হাফেয মুগলাতাঈ রাহ. বলেন, وفي لفظ للبخاري لا يستبرئ  সহীহ বুখারীর এক বর্ণনা হল لا يستبرئ  । হাফেয ইবনুল মুলাক্কিন রাহ.ও বলেন,... সহীহ বুখারীর এক বর্ণনা হল لايستبرئ। দেখুন- শরহে মুসলিম ১/১৪১; শরহু আবী দাঊদ, আইনী; ১/৮৩; ফতহুল বারী ১/৩৭৯; উমদাতুল কারী ২/৪৭১; শরহে ইবনে মাজাহ, মুগলাতাঈ ১/১৫৫; আলবদরুল মুনীর ২/৩৪৬<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">মোটকথা, لايستبرئ শব্দে হাদীসটি সহীহ। সহীহ বুখারীসহ অন্যান্য বহু হাদীসগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> لايستبرئ -এর অর্থ হল সে ইস্তিবরা করত না। ইস্তিবরার অর্থ হল স্বাভাবিক পেশাব বের হওয়ার পর অবশিষ্ট পেশাব বের করা।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইবনুল আছীর রাহ. বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">وهو أن يستفرغ بقية البول، وينقي موضعه ومجراه، حتى يبرئهما منه.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইস্তিবরা হল পেশাব করার পর অবশিষ্ট পেশাব বের করা। পেশাবের স্থান ও মুত্রনাল পেশাব থেকে পরিষ্কার করা। -আননিহায়া ফী গরীবিল হাদীসি ওয়াল আছার ১/১১২<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইমামুল লুগাহ ইবনে মানযূর রাহ.ও এভাবেই ইস্তিবরার অর্থ করেছেন। দেখুন : লিসানুল আরব ১/৩৬৭<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইবনে বাত্তাল রাহ. সহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থে  لايستبرئ (একজন পেশাব থেকে ইস্তিবরা করত না) এর ব্যাখ্যায় বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">لا يستفرغ البول جهده بعد فراغه منه، فيخرج منه بعد وضوءه، فيصلى غير مطهر.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">অর্থাৎ, তাদের একজন পেশাব করার পর চেষ্টা করে অবশিষ্ট পেশাব বের করত না। ফলে অযু করার পর তা বের হত। তখন সে অপবিত্র অবস্থায় সালাত আদায় করত। -শরহুল বুখারী ১/৩২৫ (২১৬ নং হাদীসের ব্যাখ্যা)<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> সহীহ বুখারীর আরেক ভাষ্যকার আল্লামা কিরমানী রাহ. لايستبرئ (একজন পেশাব থেকে ইস্তিবরা করত না) এর ব্যাখ্যায় বলেন,<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">لا يستفرغ البول جهده بعد فراغه منه، فيخرج منه بعد وضوءه.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">পেশাব করার পর চেষ্টা করে অবশিষ্ট পেশাব বের করত না। ফলে অযু করার পর তা বের হত। -আলকাওয়াকিবুদ্ দারারী ৩/৬৬ (২১৬ নং হাদীসের ব্যাখ্যা)<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">আলোচ্য হাদীসে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তিকে কবরে এই জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে যে, সে ইস্তিবরা করত না। অর্থাৎ সে পেশাব করার পর যে পেশাব বাকি থাকে তা বের করত না। সুতরাং এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় ইস্তিবরা অত্যন্ত জরুরি। তাই ইমাম নববী রাহ. সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থে এ হাদীসের শিরোনাম দিয়েছেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">باب الدليل على نجاسة البول ووجوب الاستبراء منه<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">অধ্যায় : পেশাব নাপাক এবং পেশাব থেকে ইস্তিবরা করা ওয়াজিব। শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবী রাহ. বলেন-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">قوله صلى الله عليه وسلم: أما أحدهما فكان لايستبرئ من البول الحديث، أقول: فيه أن الاستبراء واجب.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইস্তিবরা করা ওয়াজিব। - হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ১/৩০৮<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">মোটকথা, এ হাদীস প্রমাণ করে ইস্তিবরা (বাকি পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন) করা জরুরি। অন্যথায় পরে পেশাব ঝরে অযু নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং শরীর ও কাপড় নাপাক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;"> <p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইস্তিবরার তরীকা<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">উল্লিখিত হাদীস থেকে প্রমাণিত হল যে, ইস্তিবরা তথা স্বাভাবাকি পেশাবের পর অবশিষ্ট পেশাব বের  ফোটা পেশাব বের করা জরুরি। তবে ইস্তিবরার জন্য কোন্ পন্থা অবলম্বন করা হবে, সে সম্পর্কে হাদীসটিতে কিছু বলা হয়নি। অতএব যার জন্য যে পদ্ধতি উপকারী সে সে পদ্ধতি অবলম্বন করবে। যেমন :<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">হাঁটা-হাঁটি, উঠা-বসা ইত্যাদি। আলমাওসূআতুল ফিকহিয়্যা আলকুওয়ায়তিয়্যায়  ইস্তিবরার পরিচয় দেওয়া হয়েছে এভাবে-<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">طلب البراءة من الخارج بما تعارفه الإنسان من مشي أو تنحنح أو غيرهما إلى أن تنقطع المادة.<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">ইস্তিবরা হল পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন করার জন্য প্রত্যেকের অভ্যাস অনুযায়ী এই পর্যন্ত হাঁটা-হাঁটি, গলা খাকরি ইত্যাদি করা যে, পেশাবের কিছুই বাকি না থাকে। (খ. ৪ পৃ. ১১৩) ইবনে আবেদীন রাহ.ও ইস্তিবরার একই পরিচয় দিয়েছেন। দেখুন : রদ্দুল মুহতার ১/৫৫৮<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">খোলাসা হল, পেশাবের পর ইস্তিবরা করা আবশ্যক। তবে এর জন্য কোন্ পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে, তা নির্ধারিত নেই। হাদীস ও আছারে বিভিন্ন পদ্ধতি পাওয়া যায়। সবই মুবাহ। কোনটাই বিদআত বা শরীয়ত পরিপন্থি নয়। (দ্র. মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস নং ৫৮; ১৭০৯; আল আল আওসাত, ইবনুল মুনযির ১/৩৪৩; হুজ্জাতুল্লাহিল বাগিলগাহ ১/৩৮) নির্দিষ্টভাবে এর কোনোটাই জরুরি নয়; জরুরি হল ইস্তিবরা। সুতরাং ইস্তিবরার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ অভ্যাস অনুযায়ী যে পন্থা কার্যকর মনে হয় সে পন্থা গ্রহণ করবে। একই সাথে পেশাবের ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা বা সংশয় গ্রস্ততার শিকার হয়ে যায়। এ রকম বাড়াবাড়িও কাম্য নয়। একথাগুলোই বলেছেনইমামুল হারামাইন রাহ.।<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">তাঁর বক্তব্যের আরবী পাঠ নিম্নরূপ :<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">وَالْمُخْتَارُ أَنّ هَذَا يَخْتَلِفُ بِاخْتِلَافِ النّاسِ وَالْمَقْصُودُ أَنْ يَظُنّ أَنّهُ لَمْ يَبْقَ فِي مَجْرَى الْبَوْلِ شئ يُخَافُ خُرُوجُهُ فَمِنْ النّاسِ مَنْ يَحْصُلُ لَهُ هذا،الْمَقْصُودُ بِأَدْنَى عَصْرٍ وَمِنْهُمْ مَنْ يَحْتَاجُ إلَى تَكْرَارِهِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَحْتَاجُ إلَى تَنَحْنُحٍ وَمِنْهُمْ مَنْ يَحْتَاجُ إلَى مَشْيِ خُطُوَاتٍ وَمِنْهُمْ مَنْ يَحْتَاجُ إلَى صَبْرِ لَحْظَةٍ وَمِنْهُمْ مَنْ لَا يحتاج إلى شئ مِنْ هَذَا وَيَنْبَغِي لِكُلِّ أَحَدٍ أَنْ لَا يَنْتَهِيَ إلَى حَدِّ الْوَسْوَسَةِ<p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 20px; padding: 0px; list-style: none; border: 0px; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; color: rgb(29, 29, 29); text-align: justify;">-আলমাজমূ ৩/৩৪

আদাবুল ইস্তিঞ্জা : দুটি মাসআলার দালীলিক বিশ্লেষণ

ইস্তিঞ্জার সময় কী কী আদাবের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে, সে সম্পর্কে ফিকহের কিতাবসমূহে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ প্রবন্ধে সবগুলো আদাবের আলোচনা ...

অক্টোবর ১৯, ২০২১

ইসলামি বিশ্বকোষ

আমাদের গুরুত্বে আমার— রব!

ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ?

গল্পটা কোরআনের- ৪

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উওম

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উওম

আদাবুল ইস্তিঞ্জা : দুটি মাসআলার দালীলিক বিশ্লেষণ

পোস্টসমূহ

Categories

পপুলার