লেখনী: সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী
দেওবন্দী ধারার একজন মুরুব্বি আলিমের অনেক প্রশংসা শুনছিলাম অনেক দিন থেকে। মাওলানা আব্দুল মালিক সাহেব উনার নাম। মাসিক আল কাওসারের অনলাইন ভার্সনে কিছু লেখাও পড়েছি। ভালো লেগেছিল। অনেকের মতে তিনি নাকি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস। ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অনেকেই। প্রথমবার খটকা লেগেছে যখন শুনলাম তিনি বলেছেন, বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাই, মুসনাদ আহমদ ইবনে হাম্বলের হাদিসসমূহে যত জায়গায় প্রিয়নবীর ﷺ আহলে বায়তের সদস্যগণ তথা মাওলা আলি, সায়্যিদাহ ফাতেমা, ইমাম হাসান হোসাইন আ. রা. এঁর নামের শেষে আলাইহিসসালাম কিংবা আলাইহাস সালাম কিংবা আলাইহিমুস সালাম যে এসেছে সেসব নাকি মূল মাখতুতাতে নেই। শিয়া রাফেজিরা নাকি এগুলো লাগিয়েছে এই কিতাবগুলোতে। এই অযৌক্তিক কথাটা শুনেও চুপ থাকলাম। সিরিয়াসলি নিই নাই। কী আসে যায় কে কী বলল তা নিয়ে, এমন ভাব ছিল আমার।
কিন্তু গত কদিন থেকে মাওলানা আব্দুল মালিক সাহেবের নামে একটা লেখা দেখতে পাচ্ছি যা ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ও পেইজে ভেসে বেড়াচ্ছে, যা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অন্যতম প্রধান একটি ধারা বেরেলভি মসলকের বিভিন্ন আকিদা খন্ডন করে লেখা। মসলকে আলা হজরত তথা ইমাম আহমদ রেজা খান বেরেলভি রাহ. কে যারা অনুসরণ করে তাদের আকিদার বিরুদ্ধে লেখাটি। লেখাটি নাকি তাদের মাসিক আল কাওসারে প্রকাশিত বলে নিচে উল্লেখ আছে। তিনি (যদি তার লেখা হয়ে থাকে) নিঃসন্দেহে সেই লেখাটিতে অসংখ্য অগুণিত মিথ্যা অপবাদ ও ছল চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন। এমনকি সর্বপ্রথম পয়েন্টেই তিনি মসলকে আলা হজরত এর উপর মিথ্যাচার ও ছল চাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন, কিংবা বলতে পারি তিনি অজ্ঞানতার পরিচয় দিয়েছেন।
(পুরো লেখাটি নিয়ে কথা বলার রুচি নাই। পুরো লেখাটির লিংক কমেন্ট বক্সে দিলাম পড়ে নিন)
তিনি এক নং পয়েন্টেই হুজুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার ইলমে গায়ব বা অদৃশ্যের জ্ঞান যে আল্লাহ পাক তাঁকে দিয়েছেন সেটাকে অস্বীকার করেছেন। বলেছেন এগুলো নাকি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বিপরীত আকিদা। আমি কোট করছি, তিনি লিখেন,
"উল্লেখিত ঈমানী আকীদার সম্পূর্ণ বিপরীত বেরলভীদের আকীদা হচ্ছে- দৃশ্য-অদৃশ্য সকল কিছুর ইলম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেয়া হয়েছে। একই সাথে অতীতে যা কিছু হয়েছে ও কিয়ামত পর্যন্ত ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সব বিষয়ে তিনি সম্যক অবগত ছিলেন! সৃষ্টির সূচনা থেকে জান্নাত জাহান্নামে প্রবেশ পর্যন্ত সামান্যতম বিষয়ও তার জ্ঞানের বহির্ভূত ছিল না। উক্ত বাতিল আকীদা প্রচারের জন্য স্বয়ং আহমদ রেযা খান একাধিক বই লিখেছে। যেমন ‘ইম্বাউল মুস্তফা’ ও ‘আদ দাওলাতুল মাক্কিয়াহ বিল মাদ্দাতিল গাইবিয়্যাহ’। আরো দেখা যায়, প্রসিদ্ধ বেরলভী আলেম মৌলভী নাঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী রচিত ‘আলকালিমাতুল উল্য়া’ পৃ. ৩, ৪৩, ও ৬৩। এবং কাজী ফযল আহমদ লুধিয়ানভী রচিত ‘আনওয়ারে আফতাবে সাদাকাত’ পৃ. ১৩৭"
নিচের এই অংশটুকুর দিকে ফোকাস করুন প্রিয় পাঠকঃ
"একই সাথে অতীতে যা কিছু হয়েছে ও কিয়ামত পর্যন্ত ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সব বিষয়ে তিনি সম্যক অবগত ছিলেন! সৃষ্টির সূচনা থেকে জান্নাত জাহান্নামে প্রবেশ পর্যন্ত সামান্যতম বিষয়ও তার জ্ঞানের বহির্ভূত ছিল না। উক্ত বাতিল আকীদা প্রচারের জন্য স্বয়ং আহমদ রেযা খান একাধিক বই লিখেছে। যেমন ‘ইম্বাউল মুস্তফা’ ও ‘আদ দাওলাতুল মাক্কিয়াহ বিল মাদ্দাতিল গাইবিয়্যাহ’।"
হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺর ইলমে গায়ব তথা অদৃশ্যের জ্ঞানকে অস্বীকার করতে গিয়ে তিনি অন্তত ৪ খানা সহিহ হাদিসকে অস্বীকার করেছেন। তার মতে হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺকে আল্লাহ পাক সৃষ্টির শুরু থেকে জান্নাত বাসী জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত সকল জ্ঞান নাকি দেন নাই। আমি বুঝি না হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺর শান মান মর্যাদাকে খাটো করে কী মজা পান তারা?
আসুন সাহাবায়ে কেরাম বুখারি মুসলিম শরিফের সহিহ হাদিসে কী বলছেন এই ব্যাপারে দেখিঃ
وعَنْ أَبي زَيْدٍ عمْرُو بنِ أخْطَبَ الأنْصَارِيِّ قَال: صلَّى بِنَا১।
رَسُولُ اللَّه ﷺ الْفَجْر، وَصعِدَ المِنْبَرَ، فَخَطَبنَا حَتَّى حَضَرَتِ الظُّهْرُ، فَنَزَل فَصَلَّى. ثُمَّ صَعِدَ المِنْبَر حَتَّى حَضَرتِ العصْرُ، ثُمَّ نَزَل فَصَلَّى، ثُمَّ صعِد المنْبر حتى غَرَبتِ الشَّمْسُ، فَأخْبرنا مَا كان ومَا هُوَ كِائِنٌ، فَأَعْلَمُنَا أحْفَظُنَا. رواهُ مُسْلِمٌ.
আবূ যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে ফজরের সলাত আদায় করলেন। তারপর মিম্বারে আরোহণ করে ভাষণ দিলেন। পরিশেষে যুহরের সলাতের সময় উপস্থিত হলে তিনি মিম্বার হতে নেমে সলাত আদায় করলেন। তারপর পুনরায় মিম্বারে উঠে তিনি ভাষণ দিলেন। এবার আসরের সলাতের ওয়াক্ত হলে তিনি মিম্বার থেকে নেমে সলাত আদায় করে পুনরায় মিম্বারে উঠলেন এবং আমাদেরকে লক্ষ্য করে খুতবাহ্ দিলেন, এমনকি সূর্যাস্ত হয়ে গেল, এ ভাষনে তিনি আমাদেরকে পূর্বে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে ইত্যকার সকল কিছু সম্বন্ধে সংবাদ দিলেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, যে লোক এ কথাগুলো সর্বাধিক মনে রেখেছেন আমাদের মধ্যে এ সম্বন্ধে তিনিই সবচেয়ে বেশী জানেন। (ই.ফা. ৭০০৩, ই.সে. ৭০৬০)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭১৫৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وَسَلَّمَ مَقَامًا، ما تَرَكَ২। شيئًا يَكونُ في مَقَامِهِ ذلكَ إلى قِيَامِ السَّاعَةِ، إلَّا حَدَّثَ به، حَفِظَهُ مَن حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَن نَسِيَهُ، قدْ عَلِمَهُ أَصْحَابِي هَؤُلَاءِ، وإنَّه لَيَكونُ منه الشَّيْءُ قدْ نَسِيتُهُ فأرَاهُ فأذْكُرُهُ، كما يَذْكُرُ الرَّجُلُ وَجْهَ الرَّجُلِ إذَا غَابَ عنْه، ثُمَّ إذَا رَآهُ عَرَفَهُ.
الراوي : حذيفة بن اليمان | المحدث : مسلم | المصدر : صحيح مسلم
হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে কিয়ামাত পর্যন্ত যা কিছু হবে, সকল বিষয় বর্ণনা করলেন। তারপর যে স্মরণ রাখবার সে স্মরণ রাখল এবং যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেল। তিনি বলেন, আমার এ সঙ্গীগণ জানেন যে, তন্মধ্যে কতক বিষয় এমন আছে, যা আমি ভুলে গেছি। কিন্তু সেটা সংঘটিত হতে দেখে আমার তা আবার মনে পড়ে যায়। যেরূপ কোন লোক দূরে চলে গেলে তার চেহারার কথা মানুষ ভুলে যায়। অতঃপর তাকে দেখে সে চিনে নেয়। [১৪] (ই.ফা. ৬৯৯৯, ই.সে. ৭০৫৬)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭১৫৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
لقَدْ خَطَبَنَا النبيُّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ خُطْبَةً، ما تَرَكَ فِيهَا৩। شيئًا إلى قِيَامِ السَّاعَةِ إلَّا ذَكَرَهُ، عَلِمَهُ مَن عَلِمَهُ وجَهِلَهُ مَن جَهِلَهُ، إنْ كُنْتُ لَأَرَى الشَّيْءَ قدْ نَسِيتُ، فأعْرِفُ ما يَعْرِفُ الرَّجُلُ إذَا غَابَ عنْه فَرَآهُ فَعَرَفَهُ.
الراوي : حذيفة بن اليمان | المحدث : البخاري | المصدر : صحيح البخاري
الصفحة أو الرقم: 6604 | خلاصة حكم المحدث : [صحيح]
হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার আমাদের প্রতি এমন একটি ভাষণ প্রদান করলেন যাতে কেয়ামত পর্যন্ত যা সংঘটিত হবে এমন কোন কথাই বাদ দেননি। এগুলো মনে রাখা যার সৌভাগ্য হয়েছে সে স্মরণ রেখেছে আর যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেছে। আমি ভুলে যাওয়া কোন কিছু যখন দেখতে পাই তখন তা চিনতে পারি এভাবে যেমন, কোন ব্যক্তি কাউকে হারিয়ে ফেললে আবার যখন তাকে দেখতে পায় তখন চিনতে পারে। [মুসলিম ৫২/৬, হাঃ ২৮৯১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫১)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৬০৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
৪।
يقول عمر بن الخطاب رضي الله عنه : " قام فينا النبي - صلى الله عليه وسلم - مُقاما، فأخبرنا عن بدء الخلق حتى دخل أهل الجنة منازلهم، وأهل النار منازلهم، حفظ ذلك من حفظه، ونسيه من نسيه " رواه البخاري .
তারিক ইব্নু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘উমর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মধ্যে দাঁড়ালেন। অতঃপর তিনি আমাদের সৃষ্টির সূচনা থেকে শুরু করে অবশেষে তিনি জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীর নিজ নিজ নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করা পর্যন্ত সকল কিছু উল্লেখ করলেন। যে ব্যক্তি এ কথাটি স্মরণ রাখতে পেরেছে, সে স্মরণ রেখেছে আর যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩১৯২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
পাঠক এখন বিচারের ভারাভার আপনাদের হাতেই দিয়ে দিলাম।
তিনি একইভাবে বাকি অনেকগুলো পয়েন্টেও নুংরামীর আশ্রয় নিয়েছেন।
২। নবি করিম ﷺ হাজির নাজির এর পয়েন্টেও তিনি ছলনার আশ্রয় নেন। বেরেলভি মসলকের আলিম উলামারা কী বলেন তা বাদ দিয়ে তিনি সকল ক্ষেত্রেই অল্প কিছু মূর্খ আম মানুষ কী বলে তা বর্ণনা করেছেন।
হাজির নাজিরের আকিদা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি লিখেন, আমি কোট করছি,
"কিন্তু আফসোস, বেরলভীরা উল্লেখিত শিরকী আকীদার প্রবক্তা। তারা শুধু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেই নয়, বুযুর্গানে দ্বীনকেও হাযির-নাযির মানে।"
নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক।
ওলী আওলিয়াগন তো দূরের কথা নবি করিম ﷺ সর্বসময় সকল জায়গায় হাজির এই আকিদা আমরা কেউ পোষণ করি না। বরং আমাদের আকিদা হচ্ছে, আল্লাহ পাকের দেয়া ক্ষমতাতে নবী রাসূলগণ হাজির হতে পারেন দুনিয়ার যেকোন জায়গাতে। এই হিসেবে হাজির।
এই মর্মে মে'রাজের সময়কার বিখ্যাত হাদিসগুলোই যথেষ্ট। মেরাজ রজনীতে বায়তুল মুকাদ্দাস যাওয়ার পথে হজরত মুসা আ. কে হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর রওজাতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে দেখেছেন। আবার হজরত মুসা আ. সহ সকল নবীগণ বায়তুল মুকাদ্দাসে হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺর পেছনে নামাজ আদায় করেছেন। আবার অন্তত ১০ জন নবী-রাসূল (মুসা আ. সহ) আকাশের ৭ টি স্তরে হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺকে স্বাগত জানিয়েছেন। হজরত মুসা আ. হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺকে ষষ্ঠ আকাশে পরামর্শ দিয়েছিলেন নামাজ ৫০ ওয়াক্ত থেকে ৫ ওয়াক্তে নামিয়ে আনার জন্য আল্লাহ পাকের কাছে অনুরোধ করতে। মুসা আ. উনার মাজারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, সেই মুসা আ. আবার বায়তুল মুকাদ্দাসে হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺর পেছনে নামাজও আদায় করেছেন, আবার ষষ্ঠ আকাশে গিয়ে হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺকে ওয়েলকামও করেছেন। এই হাদিসগুলো তো বুখারি ও মুসলিমের মশহুর সহিহ হাদিস যা রেফারেন্সেরও মূখাপেক্ষী না।
অন্যান্য নবীগণ যদি বাহ্যিক ইন্তেকালের পর পৃথিবী ও আকাশের বিভিন্ন জায়গায় হাজির হতে পারেন তাহলে হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺযিনি সকল নবীগণের সর্দার ও সকল রাসূলগনের ইমাম তিনি কেন বাহ্যিক ইন্তেকালের পর দুনিয়ার কোথাও হাজির হতে পারবেন না? সুরতে মিসালী নিয়ে হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺ অবশ্যই দুনিয়ার যেকোন জায়গাতে হাজির হতে পারেন, আল্লাহ পাকের ইচ্ছায়। এই হিসেবে নবীজিকেﷺ আমরা হাজির বলি। আর রওজা মোবারকে শুয়ে শুয়েই নবীজি ﷺ আমাদের আমলসমূহ দেখেন, সেই হিসেবে নাজির বা দর্শক বলি। কিন্তু হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺসর্বসময় সকল জায়গায় সর্বাবস্থায় হাজির এই আকিদা আমরা পোষণ করি না। আর তিনি বলছেন, আমরা নাকি বুজুর্গানে দ্বীনকেও হাজির নাজির মানি। নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক।
আর কোন পয়েন্ট রদ করার আমার রুচিতে দেয়নি। লেখাটিতে এত এত মিথ্যা অপবাদ, ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়া হয়েছে যা ভাষায় বর্ণনা করার মতো না।
এত বড় মুহাক্কিক আলিম বলে যার সুনাম করে সবাই তার কাছ থেকে এমন দলবাজী ও মসলকবাজী আচরণ অনভিপ্রেত। আল্লাহ পাক আমাদের উপর খাস রহমত করুন। আমিন।