সায়্যিদুনা আলী রাযিআল্লাহু আনহুর নামাজে তীর খোলার ঘটনা তো অবশ্যই শুনেছেন। তবে হয়তো কখনো ভেবে দেখার সুযোগটা হয়ে ওঠেনি।
কোনো এক যুদ্ধে সায়্যিদুনা আলী রাযিআল্লাহু আনহু'র পায়ে এসে একটা তীর বিধে যায়। তীরের গভীরতা এত বেশি ছিল যে, তাবীব সেটা খুলতে অপারগ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে আলী রাযিআল্লাহু আনহু নিজেই সমাধান বাতলে দেন। তিনি বলেন— আমি নামাজে মগ্ন হয়ে যাওয়ার পর তোমরা তীরটি খুলে নিবে। কথামতই কাজ হলো। আলী রাযিআল্লাহু আনহু নামাজ শেষ করার পর দেখলেন তীর খোলা হয়ে গেছে। অথচ তিনি টেরই পান নি। আল্লাহু আকবার! এ কেমন নামাজ?
আজ আপনি আমি অস্থির। ডিপ্রেশনে ভোগতে হচ্ছে দিনের অধিকাংশ সময়। হয়তো মাসের শেষ সময়টা। ঋণের বোঝা, ব্যবসায় লোকসান। কিংবা কারো কটু মন্তব্য। এরকম বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত কারণ আপনার হৃদয়টাকে হয়তো আজ ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। প্রশান্তি পালিয়ে গেছে মনে হয়। জীবনটা যেন বিষাক্ততায় ভরে গেছে। এর সমাধান আমরা গানের মধ্যে খোঁজলাম, মুভির মধ্যে খোঁজলাম! কখনো কি নামাজেও খোঁজে দেখেছি?
যেই নামাজ মাংস ভেদ করে পায়ের হাড় পর্যন্ত পৌছানো তীরকে অনায়াসে বের করে ফেলতে পারে, সেই নামাজ কি আপনার জীবন থেকে অস্থিরতার তীরটা বের করতে সক্ষম নয়? নামাজ কে গুরুত্ব দিন। এই নামাজই আপনার জীবনে প্রশান্তির দিয়া জ্বালিয়ে দিবে।
~স্বাধীন আহমেদ