আমাদের অস্তিত্ব ছিল না তখন।আকাশ-বাতাস,গাছপালা,পশু-পাখিদের ছিল না কোনো দুঃখ।তাঁরা ছিল চরম সুখে।ধরণীটা ছিল অন্যরকম।সৌন্দর্যের উচ্চ পর্যায়ে।চৌদ্দশত বছর আগের কথা বলছি।'চৌদ্দশত' শব্দটি শুনতেই আশেকগণ নিশ্চিত হয়ে যায় যে মুনিবের-ই আলোচনা হবে।

এখন যেরকম দাড়ি,টুপি,পাগড়ি ওয়ালা কিছু ইবলীশ সৈন্য (বাতেল) দেখা যায়,নিজেকে মনে করে মুসলিম।সে সময়েও সেরকম কিছু সৈন্য ছিল।

সম্পত্তি নিয়ে মারামারির ঘটনা আমরা সকলেই জ্ঞাত।শুধু ঘটনা নয়,নিজ চক্ষুও তার সাক্ষী।

ইহুদি বনাম তথাকথিত মুসলিমের সাথে জায়গা নিয়ে চলছিল তর্ক।ইহুদি বলছে,“জায়গাটি আমার।”অপর ব্যক্তি বলে জায়গাটি তাঁর।এভাবে চলতে চলতে এক পর্যায়ে ইহুদি বলে উঠে মুহাম্মদের ﷺ কাছে চলো,তিনি-ই উত্তম ফয়সালা দিবেন।
[ হে মাহবুব!আমি আপনাকে বিশ্বজগতের রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি । (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-১০৭)]

ইহুদি ব্যক্তিও জানেন সম্পত্তির মালিক তিনি নিজেই।হুজুর ﷺ'র বিচার হবে নির্ভুল।কোনো সন্দেহ ছাড়া।অপর ব্যক্তি (নামধারী) মুসলিম।সে মুসলিম তাই হুজুর (ﷺ) তাঁর পক্ষে ফয়সালা দিবে এই ভেবে সেও রাজি হল।

দুইজনে-ই হাজির হলো হুজুর (ﷺ)'র দরবারে।বিচার হলো।ইহুদি সম্পত্তির প্রকৃত মালিক তা হয়ে গেল প্রমাণ।টেনশান মুক্ত হলো সে।সুখ ভাসছে তাঁর চোখে মুখে।অপর ব্যক্তির কাছে বিচারটি গ্রহনযোগ্য হয়নি।সে ইহুদিকে ফারুকে আযম (رضي الله عنه)'র দরবারে যাওয়ার আরজ করল।ইহুদি হ্যাঁবোধক উত্তর দিল।

উভরে হাজির হলো ফারুকে আজম (رضي الله عنه)'র দরবারে।বিচারের পূর্বে ইহুদি হুজুর ﷺ'র বিচারের কথা জানালো।ফারুকে আযম (رضي الله عنه) দেরী না করে তাঁর পবিত্র তলোয়ার হাতে নিল।শরীর থেকে শির(মাথা) আলাদা করে দিল তথাকথিত মুসলিম নামের মুনাফিকের।
হুজুর (ﷺ)'র উপরে কিসের ফয়সালা?তিনিই ফারুকে আযম (رضي الله عنه)।

আজকের দিনে তাঁর দোয়া কবুল হয়েছে।(আগে হয়নি এমন না)তিনি শাহাদাত বরণ করে জান্নাতের দিকে রওনা হয়েছেন।হুজুর ﷺ'র নিকটে চলে গিয়েছেন আবারো।

—শাহরিয়ার নয়ন।
Top