'প্রকৃতপক্ষে রাতের বেলা জেগে-ওঠা প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কার্যকর এবং যথাযথভাবে কুরআন পড়ার জন্য উপযুক্ত।' [সূরা মুযযাম্মিল, আয়াত- ৬]
রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন— মুমিনের সম্মান হলো তাহাজ্জুদ। সায়্যিদুনা হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহ বলেন— 'যারা আল্লাহর সাথে নির্জনে সময় কাটায়, আল্লাহ তাদেরকে তাঁর নূর দ্বারা আচ্ছাদিত করে নেন।'
সেই নূর তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের চেহারায় ফুটে ওঠে। নফসকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি কোরআনি পদ্ধতি হলো— কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদ আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা পাওয়ার একটি মাধ্যমও বটে। তবে এই প্রশান্তিদায়ক সালাত আদায়ের সৌভাগ্য সবার হয় না। সায়্যিদুনা ইবরাহীম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহ'র কাছে এক ব্যক্তি এসে বলতে লাগল— আমি অনেক চেষ্টা করি কিয়ামুল লাইল আদায় করতে। তবে এত চেষ্টা স্বত্বেও আমি রাতে জাগতে পারি না। তখন সায়্যিদুনা ইবরাহীম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহ বলেন— 'দিনে করা তোমার পাপসমূহ তোমাকে জাগতে দেয় না।'
অর্থাৎ বুঝা যায়, যারা সারাদিন পাপাচারে লিপ্ত থাকে তারা এই সালাত আদায়ের সৌভাগ্য পায় না। এই প্রশান্তিদায়ক সালাতের সৌভাগ্য তারাই পায় যারা পাপাচার থেকে বিরত থাকে। যারা নেকি করাতে মগ্ন থাকে। যাদেরকে আমার রব পছন্দ করেন। স্বয়ং রব তাদেরকে রাতে জাগিয়ে দেন। এজন্যই হয়তো এই সালাতকে মুমিনের সম্মান বলা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কিয়ামুল লাইল আদায়ের তৌফিক দিন।
~স্বাধীন আহমেদ