আবু বকর সিদ্দিক রাযিআল্লাহু আনহুকে সিদ্দিকে আকবার বলা যাবে কি?

<div style="text-align: justify;">এক.</div><div style="text-align: justify;">যাবে। একশ বার, হাজার বার যাবে। কারণ সমস্ত সাহাবী সিদ্দীক হলেও তিনিই সব সাহাবীর শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ সিদ্দীকশ্রেষ্ঠ(সিদ্দীকে আকবার)।</div><div style="text-align: justify;">ক. হযরত খাজা ফারেসা নক্সবন্দী রহ.(ও. ৮২৫ হি.) বলেন,-"বরং তিনি সমস্ত সিদ্দীকদের মধ্যে সর্বাধিক পূর্ণ।"(ইকবাল আহমদ ফারুকী কৃত 'রসায়েলে নক্সবন্দীয়া'; রিসালায়ে কুদসিয়্যা, পৃ.-৩০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহ. এর খলীফা খাজা বদরুদ্দীন সিরহিন্দী রহ. বলেন,-"হযরত আবু বাকার সিদ্দীক রা. নবীদের পর সমস্ত সিদ্দীকদের মধ্যে সবচে কামিল এবং সিদ্দীকে আকবার ছিলেন।"(বদরুদ্দীন সিরহিন্দী কৃত 'হাযরাতুল কুদস', খ.-১, পৃ.-৩৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গ. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইনী চিশতী, যিনি বান্দা নাওয়াজ গেছুদারাজ রহ.(ও. ৮০৩হি.) নামে পরিচিত। তিনি বলেন,-"সঠিক মত এটাই যে, আমীরুল মু'মিনীন হযরত আবু বাকার সিদ্দিক রা. সমস্ত সাহাবীদের চাইতে সর্বাধিক মর্যাদাবান।"(বান্দা নাওয়াজ গেছুদারাজ রহ. কৃত 'শারহু জাওয়ামিউল কালিম', পৃ.-১৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঘ. ইমাম আযমের অভিমত দেখুন-</div><div style="text-align: justify;">"আমরা মানি, নিশ্চয় আমাদের নবী মুহাম্মাদ (দ.) এর পরে এই উম্মতের সবচে মর্যাদাবান হচ্ছেন হযরত আবু বাকার সিদ্দীক রা.। তারপর ওমর রা., তারপর ওসমান রা. এবং তারপর হযরত আলী রা.।"(আবু মুঅাজ উয়াইনাহ কৃত 'আল ওয়াছিয়্যাতুল ইমাম আবি হানীফাহ', পৃ.-৪৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতএব</div><div style="text-align: justify;">শ্রেষ্ঠ সাহাবী বা শ্রেষ্ঠ সিদ্দীককে সিদ্দীকে আকবার বলা যাবে না তো, কাকে যাবে!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দুই.</div><div style="text-align: justify;">সিদ্দীক হলো আউলিয়ায়ে কেরামদের স্তর। আর তিনি তো এ স্তরের অলিকুলেরও শ্রেষ্ঠ। যেমনটা বলছেন ত্বরীকতের বড় বড় মনীষীগণ-</div><div style="text-align: justify;">ক. হযরত মাখদূম শিহাবুদ্দীন রহ. বলেছেন, "আমীরুল মু'মিনীন হযরত আবু বাকার রা. নবীদের পর সমস্ত অলিদের চাইতে শ্রেষ্ঠ।"(হযরত শিহাবুদ্দীন রহ. কৃত 'তাইসীরুল আহকাম', সাবআ সানাবিলের সূত্রে, পৃ.-৬২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নক্সবন্দ রহ. বলেন, "আকাবেরে আউলিয়াদের ইজমা যে, মা'রিফাত ও বেলায়ােতের দিক দিয়ে আবু বাকার সিদ্দীক রা. 'র পর্যায়ে কেউ(কোনো উম্মত) পৌঁছেনি।"('আফদ্বালিয়্যাতে সিদ্দীকে আকবার' গ্রন্থে 'আর রাঈহাতুল আনবরিয়্যাহ' এর পৃ.-২৫ সূত্রে)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গ. বদরুদ্দীন সিরহিন্দী রহ. বলেন,-"হযরত আবু বাকার সিদ্দীক রা. নবীদের পর সমস্ত সিদ্দীকদের মধ্যে সবচে কামিল এবং সিদ্দীকে আকবার ছিলেন।"(বদরুদ্দীন সিরহিন্দী কৃত 'হাযরাতুল কুদস', খ.-১, পৃ.-৩৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সিদ্দীক স্তরের অলীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ যিনি, তাঁকে সিদ্দীকে আকবার বলা যাবে না তো কাকে যাবে!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিন.</div><div style="text-align: justify;">তিনি ছিলেন, প্রিয়নবীর প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম তাসদীককারী। এছাড়া আর সবার চাইতে তাঁর তাসদীকই ছিল শ্রেষ্ঠ। যেমন-</div><div style="text-align: justify;">ক. একমাত্র তিনিই কোনো রকম দ্বিধা ব্যতীত তাসদীক তথা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।(সীরাতে ইবন হিশাম-১/২৩২, উয়ূনুল আছার-১/৯৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. এছাড়া পঞ্চম শতকের সুবিখ্যাত মুহাদ্দিস আবু নুয়াইম ইস্ফাহানী র. বলেন, "আবু বাকার সিদ্দীক, তাসদীকে অগ্রবর্তী..."</div><div style="text-align: justify;">(আবু নুয়াইম র. কৃত 'হিলইয়াতুল আউলিয়া ওয়া তবক্বাতুল আছফিয়া',১/২৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শ্রেষ্ঠতম তাসদীককারী(সিদ্দীক) হওয়ার পরও তাঁকে সিদ্দীকে আকবার বলা যাবে না তো কাকে যাবে!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চার.</div><div style="text-align: justify;">প্রিয়নবী জাস্ট একজনকেই সিদ্দীক লক্বব দিয়েছেন। আর কাউকেই সরাসরি এই উপাধি দেননি। তো স্বয়ং প্রিয়নবীই যাকে সিদ্দীক বললেন(সূত্র: সহীহ বুখারী:৩৬৭৫) , তাঁকে 'সবচে বড় সিদ্দীক' বা 'সিদ্দীকে আকবার' বলা যাবে না তো কাকে যাবে!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পাঁচ.</div><div style="text-align: justify;">আর রব তায়ালা তো বলেছেন,-"আমার প্রতি মনোনিবেশকারীদের ত্বরীকা অনুসরণ কর"-(সূরা লুক্বমান:১৫)।</div><div style="text-align: justify;">তাদের অর্থাৎ ওলামায়ে আহলে সুন্নাতের ত্বরীকা হচ্ছে, হযরত আবু বাকার সিদ্দীক রা. কে সিদ্দীকে আকবার মানা। যেমন-</div><div style="text-align: justify;">ক. ইমাম যাহাবী রহ. বলেন,</div><div style="text-align: justify;">"উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফা ও গুহায় তাঁর সঙ্গী সিদ্দীকুহুল আকবার..."</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম যাহাবী কৃত 'তাযকিরাতুল হুফ্ফাজ', ১/২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. ইমাম শিহাবুদ্দীন খফফাজি রহ.(ও. ১০৬৯ হি.) বলেন,-</div><div style="text-align: justify;">'আর আবু বাকার রা. 'র বিশেষত্ব এজন্যেই যে, তিনি "সিদ্দীকে আকবার"। যিনি প্রিয়নবীকে সত্যায়ন করার দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন।'(ইমাম খফ্ফাজি র. কৃত 'নসীমুর রিয়াদ্ব', খ.-১, পৃ.-১৪২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গ. কালজয়ী ফতোয়ার কিতাব "বাহারে শরীয়ত" প্রণেতা বিখ্যাত মুফতী আমজাদ আলী রহ. বলেন,-</div><div style="text-align: justify;">'নবী-রসূলগনের পর আল্লাহ তায়ালার সমস্ত সৃষ্টি, জ্বীন-ইনসান-ফেরেশতা সবার চাইতে মর্যাদাবান "সিদ্দীকে আকবার"।' তারপর ফারূকে আ'জম, তারপর ওসমান গণী তারপর মাওলা আলী রা.।' (মুফতী আমজাদ আলী র. কৃত 'বাহারে শরীয়ত',১/২৪১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঘ. অবশেষে দিচ্ছি এমন একজনের উক্তি, এ ব্যাপারে যিনি একজনের কথাই আমাদের যথেষ্ট। চতুর্দশ শতাব্দির মুজাদ্দিদ, ইমামে আহলে সুন্নাহ(ইমাম যে পথে, আমরা মুক্তাদিও সে পথে), ইমামে ইশক ও মহব্বত, আমার প্রাণপ্রিয় আ'লা হযরত, আব্দুল মুস্তফা আহমাদ রেযা খান ফাযেলে বেরলভী রহ.। তিনি বলেছেন,-</div><div style="text-align: justify;">'(নবীদের পর) সবার চাইতে মর্যাদাবান "সিদ্দীকে আকবার।" তারপর ফারুকে আ'যম, তারপর ওসমান গনী এবং তারপর মাওলা আলী সল্লাল্লাহু তায়ালা 'আলা সাইয়্যিদিহিম ওয়া মাওলাহুম ওয়া আলিহি ওয়া আলাইহিম ওয়া বারাকা ওয়া সাল্লাম।'</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম আ'লা হযরত র. কৃত 'ফতোয়ায়ে রযভিয়্যাহ', ২৮/৪৭৮)</div><div style="text-align: justify;">একই পৃষ্ঠায় কয়েক লাইন পরে ইমাম আ'লা হযরত অারো একবার হযরত আবু বাকার সিদ্দীক রা. কে "সিদ্দীকে আকবার" বলেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম যাহাবী, ইমাম খফ্ফাজি, ইমাম আ'লা হযরত ও আমজাদ আলী রযভী রহ. এর মত মনীষীগণ যাঁকে সিদ্দীকে আকবার বললেন, তাঁকে সিদ্দীকে আকবার বলা যাবে না তো কাকে যাবে!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">~ফা লা ক্ব</div>

আবু বকর সিদ্দিক রাযিআল্লাহু আনহুকে সিদ্দিকে আকবার বলা যাবে কি?

এক. যাবে। একশ বার, হাজার বার যাবে। কারণ সমস্ত সাহাবী সিদ্দীক হলেও তিনিই সব সাহাবীর শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ সিদ্দীকশ্রেষ্ঠ(সিদ্দীকে আকবার)। ক. হযরত খ...

Read more »

মসনদের মায়া

<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlkUzkqqMyXZyEHylhoVVLIL_pYDRK1jIYai9-mBaayUp0I3pUfyVPenszoUyvwbs8800W5B9WGTqC8x7VTtDsBFcmPBGPeWDCi245Yk_mFNPTjoLw9gNpCGRPKALvSVERA5qLjKadFB8/s679/images+%25282%2529.jpeg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="679" data-original-width="451" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlkUzkqqMyXZyEHylhoVVLIL_pYDRK1jIYai9-mBaayUp0I3pUfyVPenszoUyvwbs8800W5B9WGTqC8x7VTtDsBFcmPBGPeWDCi245Yk_mFNPTjoLw9gNpCGRPKALvSVERA5qLjKadFB8/s320-rw/images+%25282%2529.jpeg" width="213" /></a></div><br id="docs-internal-guid-e2b3eb62-7fff-4bea-f97b-9775ddfa3f59" /><p></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: medium;">মসনদের মায়া</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: medium;">আ.ন.ম সিরাজুম মুনির</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: medium;"><br /></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ক্লাস ফাইভ বা সিক্সের কথা, কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করতো তোমার লক্ষ্য কি? – হিচকিচানো ছাড়া সোজা বলে দিতাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হবো। ইন্টারে উঠে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্নে বুঁদ হওয়ার পাশাপাশি পরিকল্পনা করতে থাকি; বায়োটেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশনের মাধ্যমে অনেক টাকা কামাবো, তা দিয়ে শেষমেশ ক্ষমতা দখল করবী। ক্ষমতা পেয়ে কি করব? যত ভাল কাজ আছে – গরীব মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করব, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করব, দেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করবো আরো কতো কি এরপরেই ঠিক মমতাময়ী জননীর  'কিরে বেলা তো পার হয়ে গেলো আর কতো ঘুমাবি' সেই কন্ঠে স্বপ্নেরা ইতি ঘটাতো….. আল্লাহ তা’য়ালা এবং রাসুলুল্লাহ ﷺ এর অসীম দয়ায় যখন আমি দ্বীন বোঝা শুরু করলাম তারপর আমার মাথা থেকে অর্থ আর ক্ষমতা দু’টোর ভূতই নেমে গেছে। অথচ মজার ব্যাপার (কেবলই আমার কাছে, আপনাদের নিকটে কিনা তা কি আমি বলতে পারবো!) হলো, এই দু’টোর একটাও আমি আমার নিজের সুখের জন্য চাইতামনা, চাইতাম ধর্মের জন্য, দেশের মানুষের জন্য।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাসনভারের জন্য শুধু আমার মত অবার্চীন না অনেক রথী-মহারথীই স্বপ্ন দেখেছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সংগ্রাম করেছে আমার মতো শুধু স্বপ্নই দেখে যাননি অবশ্য। কেন? টোলকেইনের এই কবিতাটা কিছুটা চিন্তা জাগানিয়া –</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Three Rings for the Elven-kings under the sky,</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Seven for the Dwarf-lords in their halls of stone,</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Nine for Mortal Men doomed to দিএ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">One for the Dark Lord on his dark থ্রনে</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">In the Land of Mordor where the Shadows lie.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">One Ring to rule them all, One Ring to find them,</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">One Ring to bring them all and in the darkness bind them.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুনিয়াজুড়ে বিশটা আংটি থাকলেও মূল ক্ষমতা ‘লর্ড অফ দ্য রিং’ এরই। যুগে যুগে মানুষ নানামুখী সমস্যার সমাধান খুঁজে চলেছে একটি কেন্দ্রবিন্দুতে। জীবনের নানা ফ্রন্টে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার মত কঠোর পরিশ্রম সে করতে চায়নি। গরিবী হঠাতে আলাদীনের চেরাগ, সব রোগ সারানোর ঔষধ প্যানাসিয়া কিংবা লোহাকে সোনা করে দেয়া পরশ পাথর – বার বার সে খুঁজে ফিরেছে এমন ‘একটা’ কিছুকে যা খুব সহজেই বহুবিধ সমস্যার সমাধান করে দেবে, একাই</span><span style="font-family: Arial; white-space: pre-wrap;">যা</span> <span style="font-family: Arial; white-space: pre-wrap;">রা সমাজের মানুষের দুঃখ-কষ্ট, অত্যাচার-অনাচার আর শ্রেণী বৈষম্যের অবসান ঘটাতে চিন্তা রাজ্যের দুয়ার খুলেছেন, কিভাবে সমাজে শান্তি-সাম্য আনা যায় তা ভাবতে গিয়ে তারা একটিই সমাধান পেয়েছেন – ক্ষমতা। মার্ক্সের সাম্যবাদ কী লিঙ্কনের গণতন্ত্র – সবেরই মূলমন্ত্র হল ক্ষমতা করায়ত্ত করা। গদি দখলের পিছনের দর্শনটা অবশ্য বেশ সরল – যত ভালো কথা বলিনা কেন, আমার কথা কেউ শোনেনা। কিন্তু রাজার কথা দশে শোনে। সুতরাং আমার কথা সবাইকে শোনাতে হলে আমাকে রাজা হতে হবে। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন আদেশ একমাত্র রাজাই করতে পারে। তাই শাসনভারের চেরাগের পিছনে ছুটেছে সবাই। প্লেটোর ‘দ্য রিপাবলিক’, এরিস্টটলের ‘পলিটিক্স’, থমাস হোবসের ‘লেভিয়া উত্থান’, ম্যাকিয়াভেলির ‘প্রিন্স’, কিংবা চাণক্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ সবগুলোতেই আছে রাষ্ট্র ক্ষমতার সিলভার বুলেট ব্যবহার করে কিভাবে সব সমস্যার বর্মকে ছিদ্র করে দেয়া যায়। প্রাচ্য কী পাশ্চাত্য সবার ভাবনা এখানে মিলে একাকার হয়ে গেছে। নানা যুগের নানান আদর্শের বিপ্লবীদের কাছে তাই যখন প্রশ্ন করা হয়েছে কেন তুমি তোমার আশেপাশের মানুষদের দুঃখ লাঘবে কিছু করোনা? তারা বলেছে:</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">– আগে রাজা হয়ে নেই তারপরে ও কাজ করা যাবে। কষ্ট না থাকলে তো লোকে বিপ্লব করতে চাইবেনা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">– আচ্ছা তোমার রাজা হবার ইচ্ছাতে যদি এখনকার রাজা বাদ সাধে?</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">– তাকে সরিয়ে দিতে হবে (সরানোর পদ্ধতি নিয়ে নানা মুনির নানা মত আছে)</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">– কিন্তু সরানোর সময় যদি সমাজে গোলযোগ বেধে যায়? সমাজের যদি ক্ষতি হয়?</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">– কুছ পরোয়া নেহি। বাম দাদারা দেয়ালে লিখছেন – বিপ্লব ধ্বংস নয়, সৃষ্টির প্রসববেদনা মাত্র (যার সে বেদনা ওঠে সেই জানে) রাজা-হবু রাজায় যুদ্ধ হবে, উলু খাঁগড়ার প্রাণ যাবে। আধুনিক যুগে এর নাম ‘কোল্যাটেরাল ড্যামেজ’ উলু-খাঁগড়ার জান বা মাল খুবই ইনসিগনিফিক্যান্ট জিনিস, তুচ্ছার্থে শূণ্য বিভক্তি – সমাজের ‘গ্রেটার গুডের’ জন্য কিনা একে উপেক্ষা করা চলে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দার্শনিক হল সে, যে তার সীমিত বুদ্ধিকে সমস্যার সমাধানে যথেষ্ট মনে করে। অন্যদিকে আরেক দল মানুষ প্রবৃত্তির অনুসরণের পরিবর্তে সৃষ্টিকর্তার দেয়া জ্ঞানের আলোয় পথ খোঁজেন। এরা হলেন নবি-রাসুলগণ ও তাঁদের অনুসারীরা। আর্থ-সামাজিক দুর্যোগ ঠেকাতে তারা মানুষকে এক আল্লাহর ইবাদাতের দিকে ডাকলেন। কেন? </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ বলেন –</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জলে-স্থলে যে বিপর্যয় (ফাসাদ -> হত্যা, লুন্ঠন ইত্যাদি সামাজিক অনাচার কিংবা ঝড়, অনাবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়) নেমে আসে তা মানুষের নিজের হাতের কামাই। মানুষকে আল্লাহ তার অপকর্মের স্বাদ দেন যেন সে পাপ থেকে ফিরে আসে এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চায়।*১</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মানবজীবনের দুর্ভোগের সাথে তাওহিদের সম্পর্কটা লক্ষণীয়। এর আগের আয়াতে আল্লাহ তাওহিদ আর রুবুবিয়াতের শিক্ষা দিচ্ছেন – আল্লাহ হচ্ছেন তিনি যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, জীবিকা দিচ্ছেন, মৃত্যু দিচ্ছেন, আবার পুনরুত্থিত করবেন। আর কোন সত্ত্বা কি আছে যে এই কাজগুলো করতে পারে? না নেই। মানুষ যাদের সাথে আল্লাহর শরীক করে আল্লাহ তাদের চেয়ে কত পবিত্র, কত উর্ধ্বে! তারপর আল্লাহ মানুষকে শেখালেন তাওহিদ আল উলুহিয়্যাতের কথা – যে আমাদের কর্তব্য আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়া, একমাত্র তার ইবাদাত করা। নইলে কি হবে? এর পরের আয়াতে আল্লাহ বললেন – যাও পৃথিবী ঘুরে দেখ, দেখ তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণতি কি হয়েছে! মিসরের পিরামিড কী সিন্ধুর মহেন-জো-দারো, কুমিল্লায় ময়নামতি কী বগুড়ার মহাস্থানগড় – অতীতে প্রাণবন্ত এসব জনপদের মানুষগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে আল্লাহর ইবাদতে খাদ মেশানোর ফলে। আর আমাদের সাবধান করতে পুরোনো ভাঙা-চোরা দালান আর স্তম্ভগুলো থেকে গেছে!</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ জন্যেই সমস্ত নবি-রাসুলগণ ইবাদাতে আল্লাহর একত্বের দিকে মানুষকে ডেকেছেন, পাশাপাশি ডেকেছেন তাঁদের অনুসরণে সৎ জীবন-যাপন করার জন্য। এভাবেই সমাজ স্থিতিশীল হবে, অবিচার-অনাচার হটে যাবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিন্তু কালের পরিক্রমায় মুসলিম উম্মাহর চিন্তাশীলরা ভাবতে শুরু করলো যে সমাজের মঙ্গল করতে হলে আগে ক্ষমতা দখল করতে হবে, শাসনতন্ত্র/হুকুমাত/খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গদিতে বসে জনগণকে হুকুম করলেই জনগণ সুরাসুর করে তাওহিদ মেনে নেবে। চুরি-মিথ্যা-ঘুষ-সুদ-ব্যভিচার ছেড়ে ভালো হয়ে যাবে! সমাজের সব অনাচার চলে যাবে, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে! অথচ যখন কুরাঈশদের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে বললো—</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হে মুহাম্মদ! আমাদের পিতৃপুরুষদের নিন্দা করেছ, আমাদের ধর্মের সমালোচনা করেছ, আমাদের বিবেক-বোধকে অপমান করেছ, আমাদের উপাস্যদের অস্বীকার করেছ, আমাদের বিভক্ত করেছ। কিসের জন্য এমন করছ? তুমি যদি সম্পদ চাও তবে আমরা আমাদের সকলের সম্পদ এক করে তোমাকে দিয়ে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী বানিয়ে দেব। তুমি যদি ক্ষমতা চাও তবে তোমাকে আমাদের নেতা হিসেবে মেনে নেব। তুমি যদি রাজত্ব চাও তবে তোমাকে আমাদের রাজা হিসেবে গ্রহণ করব…</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহু আকবার! রাসুলুল্লাহ ﷺ এর উত্তরে বলেন –</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তোমরা যা ভাবছো তেমনটি নয়। আমি তোমাদের কাছে যা এনেছি তা সম্পদের লোভে আনিনি। আমি তোমাদের নেতা হতে চাইনা, রাজাও না। বরং আল্লাহ আমাকে কিতাবসহ তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন একজন রাসুল হিসেবে। তিনি আমাকে আদেশ করেছেন তোমাদের সুসংবাদ এবং সাবধানবাণী পৌছে দিতে। আমি সে কাজ করেছি এবং তোমাদের উপদেশ দিয়েছি। এখন তোমরা যদি আমার কথা মেনে নাও তবে তা তোমাদের এই জীবন এবং পরকালের জন্য উত্তম। আর যদি তোমরা প্রত্যাখ্যান কর, তবে আমি আল্লাহর আদেশের জন্য ধৈর্য ধারণ করব যতদিন তিনি তোমাদের এবং আমার মাঝে ফয়সালা করে না দিবেন।*২</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি তো ভাবলেননা যে আগে রাজা হয়ে নেই তারপর এক হুকুমে কা'বা ঘর মূর্তিছাড়া করবো। সরকারী আদেশে মেয়েদের জীবন্ত পুঁতে ফেলা বন্ধ করে দেবো। চুরি করলে হাত কাটার হুকুমেই সব দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। মদ খেলেই চাবুক – কোন বেটা আর মদ খাবে? নেতাকে দেখে সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তে শুরু করবে। না! না! না! তিনি এই মিথ্যা আশাতে রাজা হতে চাননি। কারণ, এভাবে পরিবর্তন সম্ভব নয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সম্রাট আকবর মোগল সাম্রাজ্যের খাঞ্জাচি, নবরত্নের বুদ্ধি, মানসিংহের সমরশক্তি দিয়ে ‘দ্বীনে ইলাহি’ প্রচার করেছিল; অথচ আজ এ ধর্মের কোন অস্তিত্ব নেই। সত্যি সত্যি যদি শাসন ক্ষমতা ইসলাম প্রচারের জন্য দরকার হত তাহলে আল্লাহ তো মুহাম্মদ ﷺ'কে রোম বা পারস্যের সম্রাটের ঘরে আর্বিভাব ঘটাতে পারতেন! আমাদের পার্থিব বুদ্ধি বলবে – আসলেই তো তাহলে ইসলাম আরো তাড়াতাড়ি, আরো সহজে দিকে-দিকে ছড়িয়ে পড়তো। কিন্তু আল্লাহ আমাদের জন্য উদাহরণ রেখে দিলেন – সৈন্যবাহিনীর মদদ ছাড়া, ব্যাংক-মিডিয়া-শিল্পের ঐশ্বর্য ছাড়া, সামাজিক প্রতিপত্তি ছাড়াই একজন মানুষ কিভাবে ঈমান, চরিত্র আর পরিশ্রম দিয়ে সারা পৃথিবীতে ইসলাম ছড়িয়ে দিতে পারে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এসব ইতিহাস থেকে শিক্ষণীয় – ধর্ম কখনো মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া যায়না। ইসলামি শরিয়ত কখনোই টপ টু বটম এপ্রোচে কার্যকর হবেনা, হবে বটম টু টপ এপ্রোচে। এজন্য ক্ষমতার হাতছানিকে উপেক্ষা করে রাসুলুল্লাহ ﷺ ১৩ বছর ধরে জনে-জনে তাওহিদের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছিলেন। মদিনার মানুষরা তাওহিদ উপলব্ধি করার পর স্বঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁকে শাসনভার অর্পণ করেছিলেন। আগে ক্ষমতা পরে ইসলাম এটা কখনোই হবার নয়। হলে তালিবানরা ক্ষমতা হারানোর সাথে সাথে কাবুলের সেলুনে দাড়ি শেভ করার লাইন পড়তো না। তথাকথিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান থেকে পালিয়ে মানুষ পশ্চিমে যেতোনা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসলাম জোর করে মানানো যায়না, যদি স্বেচ্ছায় কেউ তা গ্রহণ না করে। মানুষকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়ার অর্থ ইচ্ছেটা তার ভিতরে জাগিয়ে তোলা। তার ঘুমন্ত বিবেককে নাড়া দিয়ে বলা কেন ইসলাম তার জন্য সর্বোত্তম জীবন-বিধান। তাকে বুঝিয়ে বলা ইসলাম মানলে তার কি লাভ, সমাজের কি লাভ। তাকে বোঝানো ইসলাম না মানলে ব্যক্তিগত কি ক্ষতি হয়, সামষ্টিক কি ক্ষতি হয়। ইসলামের দাওয়াত দেয়া অর্থ মানুষকে হালাল-হারামের লিস্ট ধরিয়ে দেয়া নয়। তাকে বোঝানো যে যেই মহান আল্লাহ তোমাকে তৈরী করলেন, দেখা-শোনা-বোঝার শক্তি দিলেন সেই আল্লাহর কাছে কি তুমি কৃতজ্ঞ হবেনা? তিনি ক্ষণিকের এই পৃথিবীতে যে জিনিসগুলো থেকে তোমাকে বেঁচে থাকতে বলছেন তাতো তোমার ভালোর জন্যই; তুমি কি নিজের এই ভালোটা বুঝবেনা?</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদের মত ক্ষমতা একটা উপকরণ, উদ্দেশ্য নয়। টাকা থাকলে দান-খয়রাত করা যায় সুতরাং আল্লাহর আদেশ নিষেধের তোয়াক্কা না করে, পরিবারকে বঞ্চিত করে, খালি টাকাই কামাতে হবে – এটা তো কোন সুস্থ যুক্তি নয়। ঠিক তেমনি আগে শাসন ক্ষমতা পরে বাকি ইসলাম – এটাও ইসলামি দর্শন নয়। আল-কুরআন আমাদের স্পষ্ট শিক্ষা দেয় যে সকল রাজত্বের মালিকানা একমাত্র আল্লাহর – তিনি যাকে খুশি রাজত্ব দেবেন, যার কাছ থেকে খুশি রাজত্ব কেড়ে নেবেন।*৩ মানুষের ইচ্ছার এখানে কানাকড়ি মূল্য নেই।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ কথা সত্য যে রাষ্ট্রক্ষমতা দিয়ে আল্লাহর ইসলামের প্রভূত উপকার করিয়ে নেন কিন্তু এটাও সত্য যে এই ক্ষমতা ব্যবহার করে ইসলামের উপকার করতে পারবে একমাত্র যোগ্যতাধারীরা। এই যোগ্যতাটা কি সেটা আল্লাহ আয্-যিলযালে জানিয়েছেন –</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে তাদের আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন।*৪</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহু আকবার! ইসলাম কত সহজ – জনপ্রতিনিধি হতে আমাদের মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট ভিক্ষা করতে হবেনা, মিছিল করে সাহায্য চাইতে হবেনা, হরতাল করে মানুষকে কষ্ট দিতে হবেনা, রাতের আঁধারে দেয়ালে পোস্টার মারতে হবেনা, তাকফির-গীবত করতে হবেনা, রমনায় বোমা মারতে হবেনা – খালি ঈমান আনতে হবে আর সৎকর্ম করতে হবে! আর সত্যি যে আমরা ঈমান এনেছি তার প্রমাণ হবে যে আমরা ক্ষমতার জন্য লালায়িত হবোনা, আল্লাহর সন্তুষ্টির মুখাপেক্ষী হব। আল্লাহ পাক যদি কখনো চান তবে তিনি আমাদের কাউকে দিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করিয়ে নিতে ক্ষমতা দিতে পারেন, কিন্তু এই গুরু দায়িত্বের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা যাবেনা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মুহাম্মদ ﷺ শিখিয়ে গেছেন–</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কখনো দায়িত্ব চেয়ে নিও না। যদি তোমার চাওয়ার ফলে তোমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তবে তুমি একা হয়ে যাবে। আর যদি না চাইতেই তোমাকে দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হয় তবে আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করবেন।*৫</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসলামকে আমরা সবাই বিজয়ী দেখতে চাই। তাই আজ সময় এসেছে একটু থেমে নিজেকে মনের খবর জিজ্ঞেস করা। আমার দল মসনদে থাকবে এটাই যদি আন্তরিক কামনা হয়, তবে আমার এ বাসনাটা ইসলাম সম্মত কিনা তা বিবেচনা করা উচিত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ আমাদের মন থেকে আল্লাহর এবং তার মনোনীত প্রিয় রাসুল ﷺ'র সন্তুষ্টি তথা জান্নাত ছাড়া আর সব কিছুর লোভ সরিয়ে দিন এই দু’আ করি। আমিন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">_________________________</span></p><p><br /></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১। সুরা রুম, আয়াত- ৪১</span></p><p><br /></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২। সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত- ৯০ </span></p><p><br /></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩। সুরা আল-ইমরান, আয়াত- ২৬</span></p><p><br /></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪। সুরা নুর, আয়াত- ৫৫</span></p><p><br /></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫। সহিহ মুসলিম, কিতাবুল ইমারাত</span></p><p><br /><br /></p>

মসনদের মায়া

  মসনদের মায়া আ.ন.ম সিরাজুম মুনির ক্লাস ফাইভ বা সিক্সের কথা, কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করতো তোমার লক্ষ্য কি? – হিচকিচানো ছাড়া সোজা বলে দিতাম বাং...

Read more »

ইসলাম ও আদব

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1QaSCGmODn804fxrau-b34ebbwwRYuO8u7JQyoDXEXqkegosm2NejDYq1cdiAWLRaIsuTSwY50KNxt969Q04h6a4SBzWIrqPDkQBDMOPNsfwxkhZD22nJtGUFKVMGF2VPaHLB3b_eL_Zp/s1600/FB_IMG_1614934004031.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="673" data-original-width="720" height="299" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1QaSCGmODn804fxrau-b34ebbwwRYuO8u7JQyoDXEXqkegosm2NejDYq1cdiAWLRaIsuTSwY50KNxt969Q04h6a4SBzWIrqPDkQBDMOPNsfwxkhZD22nJtGUFKVMGF2VPaHLB3b_eL_Zp/s1600-rw/FB_IMG_1614934004031.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলাম হল আদব-নির্ভর, বেয়াদবদের ইসলামে কোন স্থান নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, "আর যে কেউ আল্লাহর নিদর্শনগুলোকে সম্মান করবে সে তো তার অন্তরস্থিত আল্লাহ-ভীতি থেকেই তা করবে।" (সূরা হজ্জ্ব, আয়াত ৩২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উচ্চ করো না। তোমরা নিজেরা পরস্পরে যেমন উচ্চ আওয়াজে কথা বল, তাঁর সঙ্গে সে রকম উচ্চ আওয়াজে কথা বলো না। তা করলে তোমাদের (যাবতীয়) আমল নিস্ফল হয়ে যাবে, আর তোমরা একটু টেরও পাবে না। (সূরা হুজরাতঃ ২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(উক্ত আয়াত নাযিলের পর) হযরত উমার (রাঃ) যখন নবী ﷺ এঁর সঙ্গে কোন কথা বলতেন, তখন (আওয়াজ উচ্চ হয়ে যাওয়ার ভয়ে) গোপন বিষয়ের আলাপকারীর মত চুপে চুপে বলতেন, এমন কি তা শোনা যেত না যতক্ষণ না নবী ﷺ তাকে আবার জিজ্ঞেস করতেন। (সহিহ বুখারী ৭৩০২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, একদা নবী ﷺ সাবিত ইবনু কায়স (রাঃ) কে খুঁজে পেলেন না। একজন সাহাবী বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আমি আপনার কাছে তাঁর সংবাদ নিয়ে আসছি। তারপর তিনি তাঁর কাছে গিয়ে দেখলেন যে, তিনি তাঁর ঘরে মাথা নীচু করে বসে আছেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কী অবস্থা? তিনি বললেন, অত্যন্ত খারাপ। কারণ (এই অধম), তার আওয়াজ (স্বর) নবী ﷺ এঁর আওয়াজ হতে উচ্চ হয়েছিল। ফলে, তার ‘আমল বরবাদ হয়ে গেছে এবং সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। [এগুলো তিনি আশংকার কারণে বলছিলেন কেননা জন্মগতভাবেই তাঁর আওয়াজ উচ্চ ছিল। আর তিনি হলেন সেই সাহাবী যাঁকে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এঁর খতীব বলা হত। আহ! ইনাদের কেমন আল্লাহভীতি এবং প্রিয় নবী ﷺ এঁর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল!] তারপর ঐ সাহাবী নবী ﷺ এঁর কাছে ফিরে এসে খবর দিলেন যে, তিনি এমন এমন কথা বলছেন। মূসা ইবনু আনাস রহঃ বলেন, এরপর ঐ সাহাবী এক মহা সুসংবাদ নিয়ে তাঁর [সাবিত ইবনু কায়স (রাঃ)] কাছে ফিরে গেলেন (এবং বললেন) নবী ﷺ আমাকে বলেছেন, তুমি যাও এবং তাকে বল, তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত নও বরং তুমি জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত। (সহিহ বুখারী ৩৬১৩, ৪৮৪৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উক্ত আয়াতের তাফসীরে উলামায়ে কেরাম বলেন, প্রিয় নবী ﷺ কে কষ্ট দেয়া, তার শানে বেয়াদবী করা কুফর যার কারণে সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। অথচ ঐসব তথাকথিত লাগামহীন বক্তাদের অবস্থা কেমন..!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূরা হুজরাতের ২-৩ নং আয়াতের তাফসীরে, তাফসীরে জালালাইনের হাশিয়াতে (অনলাইন ভার্শন) উল্লেখ রয়েছে, বস্তুত ইসলামের মহা নিদর্শনাবলি চারটি। যথাঃ ১. কুরআনুল কারীম, ২. নবী করীম ﷺ, ৩. বায়তুল্লাহ (কাবা শরীফ) ৪. নামাজ। এগুলোর প্রতি তারাই সম্মান প্রদর্শন করবে, যাদের অন্তরে পূর্ণমাত্রায় খোদাভীতি বিদ্যামান। আরো উল্লেখ করা হয়েছে, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূল ﷺ এঁর প্রতি আদব প্রদর্শন ও তাকওয়া (আল্লাহভীতি) পরস্পর ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যাদের অন্তরে যত বেশি খোদাভীতি রয়েছে তারা নবী করীম ﷺ এঁর প্রতি ততবেশি আদব প্রদর্শন করবে, তাঁকে ভালবাসবে, তাঁর অনুগত থাকবে। পক্ষান্তরে যাদের অন্তরে খোদাভীতির বালাই নেই তারা যে, নবী করীম ﷺ এঁর প্রতি শুধু অশ্রদ্ধাই পোষণ করবে তা-ই নয়, তাঁকে অপমানিত করতেও কুন্ঠিত হবে না। নবী করীম ﷺ এঁর সাথে বেয়াদবী করা অন্তরে খোদাভীতির অনুপস্থিতিকেই প্রমাণিত করে, যা মূলত কুফরীরই লক্ষণ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অথচ আজ চারদিকে বেয়াদবদের ছড়াছড়ি। স্বয়ং আল্লাহ, রাসূল, সাহাবায়ে কেরাম, আউলিয়ায়ে কেরামের শানে প্রতিনিয়ত অসংখ্য বেয়াদবীমূলক শব্দ উচ্চারণ করা হচ্ছে। অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি থুথু ফেলতেন, তখন তা কোন সাহাবীর হাতে পড়ত এবং সঙ্গে সঙ্গে তারা তা তাদের গায়ে মুখে মেখে ফেলেন, তিনি ওযু করলে তাঁর ওযুর পানি নিয়ে সাহাবীগণের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়; এমনও বর্ণনা পাওয়া যায় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর চুল কাটা হচ্ছে আর সাহাবীরা তাঁর চতুর্পাশ ঘিরে রেখেছেন। তাঁরা চাইতেন যে, কোন চুল যেন মাটিতে না পড়ে তা যেন কারো না কারো হাতে পড়ে। নবীজি ﷺ এঁর ঘাম মোবারককে সাহাবায়ে কেরাম সুগন্ধি তথা আতর হিসেবে ব্যবহার করতেন কিংবা আতরের সঙ্গে মিশাতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এমন কর্মকান্ডের প্রতি অবগত হয়ে উরওয়াহ ইবনে মাসউদ রাঃ (যিনি পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেন) কুরাইশদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন- </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"হে আমার কওম, আল্লাহর কসম! আমি অনেক রাজা-বাদশাহর দরবারে প্রতিনিধিত্ব করেছি। কায়সার, কিসরা ও নাজাশী সম্রাটের দরবারে দূত হিসেবে গিয়েছি; কিন্তু আল্লাহর কসম করে বলতে পারি যে, কোন রাজা বাদশাহকেই তার অনুসারীদের মত এত সম্মান করতে দেখিনি, যেমন মুহাম্মাদের অনুসারীরা তাঁকে করে থাকে। (সহিহ বুখারী ২৭৩২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একদিন সাহাবায়ে কেরাম নবী ﷺ এঁর উযূর পানি স্বীয় শরীরে মর্দন করতে লাগলে, নবী ﷺ তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কিসে তোমাদেরকে এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করল? সাহাবায়ে কেরাম বলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ এঁর ভালবাসা।.... [মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত), অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার (كتاب الآداب), হাদিস নম্বরঃ ৪৯৯০]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এগুলো ইনারা কোথায় পেয়েছেন...!</div><div style="text-align: justify;">এগুলো কি ফরয, ওয়াজিব.......</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">না, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কিন্তু হ্যাঁ, এটাই তাঁর প্রতি তাজিম, আদব, সম্মান, ভালবাসা। এই তাজিম, আদব, সম্মান, ভালবাসা কিন্তু ফরয। তাঁকে সকল কিছুর চেয়ে বেশি ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ। ভালবাসা থেকেই তো তাজিম, আদব, সম্মানের জন্ম।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা দুইবার তালাক খাওয়া বুড়ি ছিলেন না বরং উনার ১ম স্বামী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামী এবং দ্বিতীয় স্বামী মারা যাওয়ার আমাদের প্রিয় নবী ﷺ এঁর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আরো উল্লেখ্য যে, উনার ২য় স্বামী অনেক ধনাঢ্য ছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে তিনি অনেক সম্পত্তি লাভ করেন। অথচ আমাদের দেশটা এমনসব বেয়াদবে ভরপুর হয়েছে যে, ইনাদের শানেও বেয়াদবী করে এমন বক্তাদের বিরোধিতা করলেও আমাদেরকে বেয়াদব, মাজারপুজারী, কবরপুজারী বলা হয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূরা আহযাবের ৬ নং আয়াতঃ "নবী (ﷺ) মুমিনদের নিকট তাদের প্রাণ অপেক্ষাও অধিক প্রিয়/ নিকটবর্তী এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মা-স্বরূপ।"- এর প্রসঙ্গে তাফসীরে জালালাইনের হাশিয়াতে (অনলাইন ভার্শন) উল্লেখিত হয়েছে, এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হলাে যে, নবীজী ﷺ এঁর পুণ্যবতী বিবিগণের মধ্যে কারাে প্রতি সামান্যতম বেআদবী ও অশিষ্টাচারও এজন্য হারাম যে, তারা উম্মতের মা উপরন্তু তাদেরকে দুঃখ দিলে নবীজী ﷺ কে দুঃখ দেওয়া হয়, যা চরমভাবে হারাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আরো বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"নিশ্চয় যারা কষ্ট দেয় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে, তাদের উপর আল্লাহর লানত (অভিসম্পাত) দুনিয়া ও আখিরাতে এবং আল্লাহ তাদের জন্য লাঞ্চনার শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।" (সূরা আহযাবঃ ৫৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তোমরা রাসূলের আহ্বানকে তোমাদের একে অপরের আহ্বানের মত গণ্য কর না/ তোমরা পরস্পরকে যেভাবে ডাকো রাসূলকে সেভাবে ডেকো না; তোমাদের মধ্যে যারা চুপিসারে সরে পড়ে আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে জানেন। অতএব যারা তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে।" (সূরা নূর, আয়াত ৬৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হে মুমিনগণ! তোমরা (মুহাম্মাদ ﷺ এঁর দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য) ‘রায়িনা’ বলো না (যার বিকৃত অর্থ আমাদের রাখাল) বরং বল ‘উনযুরনা’ (আমাদের দিকে আপনার নেকদৃষ্টি দান করুন) এবং (তাঁর নির্দেশ) শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। (সূরা বাক্বারাহ : আয়াত ১০৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক জায়গায় দেখলাম ডিজাইন করে লেখা হয়েছে, "আমরা মনে করি কিবলার দিকে পা রাখা ইসলামের দৃষ্টিতে নিষেধ। অথচ এ ব্যাপারে ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং কিবলার দিকে থুথু নিক্ষেপের ব্যাপারে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেখুন ইবনু হিব্বান : ১৬৩৮।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এমনকি আরো দেখা যায় যে, কুরআনুল কারীমকে চুমু খাওয়া নিয়েও আপত্তি করা হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, কিবলার দিকে থুথু নিক্ষেপের ব্যাপারে কেন কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে!! থুথু তো পবিত্র জিনিস। উত্তর আসে, এটা হল কিবলার প্রতি সম্মান, আদব। কিবলার দিক পশ্চিম দিকে পা না দেওয়াটাও আদবের সাথে জড়িত। কিন্তু বেখায়ালে পা দিলে কিংবা অপারগতার সম্মুখীন হয়ে, শুয়ে শুয়ে নামাজ পড়তে হলে তো কিবলার দিকে পা যাবেই, </div><div style="text-align: justify;">ইসলাম অপারগতাতে ছাড় দেয় কিন্তু বেয়াদবীতে নয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমাদের মাজহাবের ইমাম, ইমামে আজম আবূ হানিফা রহঃ এমন আদববান ছিলেন যে, তিনি কিবলা তো দূরের কথা, জীবনে কখনাে নিজের শ্রদ্ধেয় উস্তাদ হযরত সায়্যিদুনা ইমাম হাম্মাদ রহঃ এঁর সম্মানিত ঘরের দিকেও পা প্রসারিত করে ঘুমাননি। অথচ তাঁর ঘর ও তাঁর সম্মানিত উস্তাদের ঘরের মধ্যে প্রায় সাতটি গলির ব্যবধান ছিল। (আল খায়রাতুল হিসান ৮২ পৃষ্ঠা) (তিনি উনার একমাত্র পুত্রের নামও রাখেন হাম্মাদ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইনি হলেন সেই ইমামে আজম আবূ হানিফা রহঃ, যার সম্পর্কে সালাফীদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব ইবনে কাছীর উল্লেখ করেন, ইমাম শাফিঈ রহঃ বলেনঃ “যে কেউ ফিকহ জানতে ইচ্ছা করে, সে আবূ হানীফা রাঃ এঁর মুখাপেক্ষী।" (আল ফিকহুল আকবার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৮ পৃষ্ঠাঃ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১০/১০৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মালেকী মাযহাবের ইমাম, বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ "মুয়াত্তা"র সংকলক ইমাম মালিক ইবনে আনাস র., যিনি ফরয হজ্ব আদায় করার পর আর কখনো মদীনা শরীফ থেকে বের হতেন না এই আশঙ্কায় যে, মদীনা শরীফের বাইরে যদি তাঁর মৃত্যু এসে যায়; যিনি তাঁর সুস্থ জীবনে কখনো মদীনা শরীফের হারাম সীমার মধ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেননি। অবশ্য অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তিনি এক্ষেত্রে অপারগ ছিলেন। যিনি মদীনায় বাহনে (ঘোড়ায়) আরোহণ করতেন না। তিনি বলতেন, যে মাটিতে রাসূলুল্লাহ ﷺ শায়িত, তাকে সওয়ারির খুর দ্বারা দলিত করতে আমার লজ্জাবোধ হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মুসআব বিন আবদুল্লাহ রহঃ বলেন, তাঁকে (ইমাম মালিক রহঃ কে) কোন হাদিস জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ওযূ করে ভাল পোষাক পড়ে সুন্দরভাবে প্রস্তুতি নিতেন। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাবে বলেন এ হল রাসূল ﷺ এঁর হাদিসের জন্য সম্মান প্রদর্শন। (কাযী আয়াজ রহঃ, তারতীবুল মাদারিক ১/১৫৪ পৃষ্ঠা) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হ্যা, ইতিহাসও এটা বলে যে, আদববানরা উঁচুতে পৌঁছে আর বেয়াদবরা যুগে যুগে লাঞ্চিত হয়, লানতপ্রাপ্ত হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উর্দূতে বলা হয়ে থাকে, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বা আদব বা নসিব, বে আদব বদ নসিব।</div>

ইসলাম ও আদব

ইসলাম হল আদব-নির্ভর, বেয়াদবদের ইসলামে কোন স্থান নেই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, "আর যে কেউ আল্লাহর নিদর্শনগুলোকে সম্মান করবে ...

Read more »

আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী স্মরণে

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEivc_FnkqQsU5gDzoSSbMMll-45X7n1bf8gEXJqFCwWL2M5oRyyakOdwo3fzC95eHqm86v8gYKXpG2wtDs-lEa3TXiiH5-spda9iHcKbpzEPFv86FAuUWpGJ1mbVk1M4_aRq-hVMjwNt5Iz/s1600/1630030283642.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="2400" data-original-width="1800" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEivc_FnkqQsU5gDzoSSbMMll-45X7n1bf8gEXJqFCwWL2M5oRyyakOdwo3fzC95eHqm86v8gYKXpG2wtDs-lEa3TXiiH5-spda9iHcKbpzEPFv86FAuUWpGJ1mbVk1M4_aRq-hVMjwNt5Iz/s1600-rw/1630030283642.png" width="240"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সত্য ও ন্যায়ের পথে আপনার ত্যাগ ও শাহাদাতকে আল্লাহ সুবহা'নাহু ওয়াতাআ'লা কবুল করে নিক। #কুরআন_সুন্নাহ_আহলে_বাইত এর রশি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থেকে আমাদেরও যেন এই পথেই শাহাদাতের মৃত্যু নসিব হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হে প্রিয় দিশারী!!</div><div style="text-align: justify;">আপনাকে হারিয়েছি বটে কিন্তু পথহারা হয়নি।</div><div style="text-align: justify;">কেন জানেন?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবী ﷺ এঁর দেখানো পথ তথা #কুরআন_সুন্নাহ_আহলে_বাইত এর রশিকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরার পথকে অতি সুন্দরভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদেরকে, দেখিয়ে গেছেন ইসলামের অপার সৌন্দর্যের নিদর্শনাবলী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হে প্রিয় অভিভাবক!!</div><div style="text-align: justify;">আপনার অভাবটা পূরণ হওয়ার নয়। তবু্ও কেন জানি আপনার মৃত্যু আমাকে তেমন কাঁদায় না!</div><div style="text-align: justify;">কেন জানেন?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আপনার মৃত্যুতে তো পুরো জাহানেরই মৃত্যু হয়েছিল কারণ একজন আলিমের মৃত্যু মানে তো পুরো জাহানের মৃত্যু কিন্তু আপনার মত বীর ফারুকীর মৃত্যুতে যে বাংলার জমিনে জন্মেছিল লক্ষ-লক্ষ ফারুকীর, আর আপনি যাদের মুখোশ উন্মোচন করছিলেন, তারা নিজেদের ভন্ডামীকে বাংলার সরলপ্রাণ মানুষগুলোর চোখের আড়াল হতে লুকাতে গিয়ে আপনাকে শহীদ করে নিজেদের মুখোশকেই উন্মোচন করে দিয়েছে এবং বিবেকবানরা বুঝে নিয়েছে হক বাতিলের ফায়সালা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহান আল্লাহ'র দরবারে আপনার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ পাক আপনার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করুক, আপনার মাকামকে আরো বেশি বুলন্দ করুক। আমাদেরকেও এই পথের পথিক হিসেবে কবুল করুক। ফারুকে আজম (হক-বাতিলের পার্থক্যকারী) হযরত উমার ইবনুল খত্তাব (রঃ) এঁর ভাষায় মহান রবের কাছে আর্জি জানায়, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ধন্য আমায় করো প্রভু তোমার পথের শাহাদাতে, </div><div style="text-align: justify;">মৃত্যু হয় গো যেন তোমার রসূলের মদীনাতে।</div>

আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী স্মরণে

সত্য ও ন্যায়ের পথে আপনার ত্যাগ ও শাহাদাতকে আল্লাহ সুবহা'নাহু ওয়াতাআ'লা কবুল করে নিক। #কুরআন_সুন্নাহ_আহলে_বাইত এর রশি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ...

Read more »

আবু বকর সিদ্দিক রাযিআল্লাহু আনহু।

<div style="text-align: justify;">এটা বিশ্বাসের বিষয় ভাই। এ বিষয়ে তাই, ইমামদের পথে থাকো। এ থেকে বিচ্যূত হয়ে পথভ্রষ্ট হয়ো না, প্রিয় ভাই। শুনো ইমামদের কথা- <br></div><div><div id="m#msg-f:1709085882072786282" class="mail-message expanded" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><div class="mail-message-content collapsible zoom-normal mail-show-images " style="overflow-wrap: break-word; width: 328px; margin: 16px 0px; user-select: auto;"><div class="clear"><div dir="auto"><div dir="auto" style="text-align: justify;">১. ইমাম ত্বহাবী রহ.(ও.-৩২১ হি.) বলছেন, "রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সমস্ত উম্মাতের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান ও অগ্রগণ্য হিসেবে প্রথমতঃ আবু বাকার সিদ্দীক রা. কে খিলাফতের হক্বদার মানি।"(1)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইবনু আবিল ইযয র. কৃত 'শরহু আক্বীদাতিত ত্বহাভিয়্যাহ', পৃ.-৪৮০) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">২. ইমাম আবুল হাসান আশ'আরী রহ. (ও.-৩২৪ হি.) বলছেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"(আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের) সবাই একমত যে, আশারায়ে মুবাশশারাহদের মধ্যে চার ইমাম সবচে উত্তম: আবু বাকার, তাঁরপর ওমর, তাঁরপর ওসমান এবং তাঁরপর আলী রিদওয়ানুল্লাহি 'আলাইহিম।"(2)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইমাম আবুল হাসান আল আশআরী র. কৃত 'রিসালাতু ইলা আহলিছ ছাগর', পৃ.-২৯৯) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৩. ইমাম আবু বাকার কালাবাজী রহ.(ও.-৩৭৮ হি.) বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত একমত যে, নিশ্চয় রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আবু বাকার ও ওমার রা.।"(3)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইমাম কালাবাজী র. কৃত 'বাহরুল ফাওয়াইদ', ১/২৭৯) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৪. আব্দুল গনী আল মাকদিসী র.(ও.-৬০০ হি.) বলেন, "আহলুস সুন্নাহর আক্বীদাসমূহের একটি আক্বীদা হচ্ছে, নিশ্চয় উম্মাতে মুহাম্মদী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাঝে সর্বাধিক মর্যাদাবান আবু বাকার সিদ্দীক রা.। সাধারণভাবে সর্বাধিক মর্যাদাবান সাহাবী তিনিই।"(4)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(হাফিয আব্দুল গনী আল মাকদিসী র. কৃত 'শরহু আক্বীদাহ', পৃ.-৩৫০) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৫. ইমাম নববী র.(ও.-৬৭৬ হি.) বলেন, "আহলুস সুন্নাহ একমত যে, নিশ্চয় উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান আবু বাকার, তারপর উমার রা.।"(5)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইমাম নববী র. কৃত 'শরহু সহীহ মুসলিম',৫/১৪৮) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৬. ইমাম জালালুদ্দীন আস সুয়ূতী র.(ও.-৯১১ হি.) বলেন, "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ইজমা যে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সমস্ত মানুষের মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদাবান হযরত আবু বাকার সিদ্দীক রা.। তারপর হযরত ওমার রা., তারপর হযরত ওসমান গনী রা., তারপর হযরত সাইয়িদুনা আলী রা.।"(6)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইমাম সুয়ূতী র. কৃত 'তারীখুল খুলাফা', পৃ.-৩৮) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">## অনেকে বলেন, ত্বরীকতের দৃষ্টিতে সাইয়্যেদী মাওলায়ী আলী রা. শ্রেষ্ঠ। এ বিষয়ে অভাজন কিছু বলছি না। জাস্ট ত্বরীকতের ইমামদের উক্তিই যথেষ্ট-</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">১. সাইয়্যিদ আহমাদ রিফায়ী র.(ও.-৫৭৮ হি.) বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"সর্বাধক মর্যাদাবান সাহাবী সাইয়্যিদুনা আবু বাকার সিদ্দীক রা., তারপর সাইয়্যিদুনা ওমার ফারুক রা., তারপর সাইয়্যিদুনা ওসমান যিন নুরাইন রা., তারপর আলী আল মুরতাদ্বা কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু ওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।"(7)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(সাইয়্যিদ আহমাদ রিফায়ী র. কৃত 'আল বুরহানুল মুয়াইআদ', পৃ.-২৩) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">২. হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নক্সবন্দ র.(ও.-৭৯১ হি.) বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"আকাবেরে আউলিয়াদের ইজমা যে, মা'রিফাত ও বিলায়াতের মধ্যে আবু বাকার সিদ্দীক রা. এর কাছে কেউ পৌঁছেনি।"(8)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">('আফদ্বালিয়্যাতে সিদ্দীকে আকবার' গ্রন্থে 'আর রাঈহাতুল আনবরিয়্যাহ' এর পৃ.-২৫ সূত্রে)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৩. সাইয়্যিদ আলী ইবন ওসমান হাজভিরী দাতা গঞ্জ বখশ র. (ও.-৪৬৫ হি.) বলেন, "সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে শাইখুল ইসলাম, নবীদের পর সর্বোত্তম সৃষ্টি, নবীর খলীফা, দুনিয়াত্যাগীদের ইমাম ও সাইয়্যেদ, নির্জনবাসীদের পেশওয়া, নফসের বিপদাপদ দূরকারীদের একজন হচ্ছেন আবু বাকার আব্দুল্লাহ বিন ওসমান আস সিদ্দীক রা.।"(9)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(দাতা আলী হাজভিরী র. কৃত 'কাশফুল মাহজূফ', পৃ.-৪২) </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৪. আবু লাইস সমরকন্দী র. বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"তারা একমত যে, নবীর পরে এই উম্মতের সর্বোত্তম ব্যক্তি আবু বাকার, তারপর ওমার রা.।"(10)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(আবু লাইস সমরকন্দী কৃত "বুস্তানুল আরিফীন", পৃ.-১৮৬)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">৫. সানাদুল আরাবি ওয়াল আজাম, নূরুস সাক্বালাইন, গাউসুল আজম মহীউদ্দীন আব্দুল কাদীর জিলানী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী রা.(ও.-৫৬১ হি.) বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"চার খলিফার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম আবু বাকার, তারপর ওমার, তারপর ওসমান, তারপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম।"(11)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(হুযুর গাউছেপাক কৃত 'আল গুনিয়াতু লি ত্বলিবি ত্বরিক্বিল হক্বি আয্যা ওয়া জাল্লা', পৃ.-১১০)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">হুযুর গাউছেপাকের পর আরো কারো উক্তি দিতে হবে বলে বোধ হচ্ছে না। তবু যদি না মানো আর বিশ্বাসের সংস্কার না করো তো, ক্ষতি তোমারই। উঁহু, ছোটখাটো ক্ষতি নয়। বেশ বড়সড়ো ক্ষতিই। যেমনটা জানিয়েছেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">১. মুল্লা আলী ক্বারী র.। তিনি বলেন, </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"গোপন নেই যে, নিশ্চয় হযরত আবু বাকার ও উমার রা. এর উপরে হযরত আলী রা. কে মর্যাদা দেয়াটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের খেলাফ। এটাই সমস্ত আকাবেরদের মত।"(12)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(মুল্লা আলী ক্বারী র. কৃত 'শরহু ফিকহি আকবার', পৃ.-৬৪)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">২. ইমাম ইবন হুমাম র.। তিনি বলেন,</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">"নিশ্চয় যে মাওলা আলী রা. কে তিনজনের উপর(আবু বাকার, উমার, ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমের উপর) মর্যাদা দেবে সে বিদআতী।"(13)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(ইবন হুমাম র. কৃত 'ফাতহুল কাদীর',১/৩৫০)</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">আর জানোই তো, বিশ্বাসগত বিদআতীর পেছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরিমী।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">------------------</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">সাধারণ পাঠকদের জন্য এতটুকুই। বাকীটা কেবল আলিমদের জন্য। এ অংশে আছে উপর্যুক্ত উক্তিগুলোর মূল রূপ।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">------------------</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">1. "وتثبت الخلافة بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم اولا لابي بكر الصديق رضي الله عنه، تفضيلا له و تقديما على جميع الامة"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">2."وخير العشرة الأئمة الاربعة ابو بكر، ثم عمر، ثم عثمان، ثم علي- رضوان الله عليهم"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">3. "اجمع اهل السنة والجامعة ان خير الناس بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم ابا بكر ثم عمر"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">4. "هذا من جملة اعتقاد اهل السنة: اعتقاد ان افضل امة محمد صلى الله عليه وسلم ابو بكر صديق فهو افضل الصحابة على الاطلاق"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">5. "اتفق اهل السنة ان افضلهم ابو بكر و عمر"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">6. "اجمع أهل السنة أن أفضل الناس -بعد رسول الله عليه الصلاة والسلام- أبو بكر، ثم عمر، ثم عثمان، ثم علي،..."</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">7. "افضل الصحابة سيدنا ابو بكر صديق ثم سيدنا عمر فاروق ثم سيدنا عثمان ذو النوعين ثم علي المرتضى كرم الله وجهه و رضي الله عنه"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">8. "اکابر اولیاء کا اجماع ہے کہ معرفت و ولایت میی صدیق رضی اللہ عنہ کو کوئی نہیں پہنچا"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">9. "منہم: شیخ الاسلام، و بعد از انبیاء بھترین انام، کہ خلیفہ پیغمبر بود و امام و سید اہل تجرید، و پیشواے ارباب تفرید و از آفات نفسانی بعید، ابوبکر عبد اللہ ابن عثمان، الصدیق، رضی اللہ عنہ."</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">10. "اجمعوا ان خير هذه الامة بعد نبيها ابو بكر ثم عمر رضي الله عنهما"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">11. "وافضل الاربعة ابو بكر ثم عمر ثم عثمان ثم علي رضي الله عنهم"</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">12. "ولا يخفى ان تقديم علي رضي الله عنه على الشيخين مخالف لمذهب اهل السنة والجامعة على ما عليه جميع السلف."</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">13. "ان من فضل عليا على الثلاثة فمبتدع"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">~ফা লা ক্ব</div></div></div></div><div class="mail-message-footer spacer collapsible" style="height: 0px;"></div></div></div>

আবু বকর সিদ্দিক রাযিআল্লাহু আনহু।

এটা বিশ্বাসের বিষয় ভাই। এ বিষয়ে তাই, ইমামদের পথে থাকো। এ থেকে বিচ্যূত হয়ে পথভ্রষ্ট হয়ো না, প্রিয় ভাই। শুনো ইমামদের কথা- ১. ইমাম ত্বহাবী রহ.(...

Read more »

গল্পটা কোরআনের- ২

<div style="text-align: justify;">সাগরের তীরে পরে আছে এক মৃত লাশ। পানির জোয়ার-ভাটায় ওপর নিচ হচ্ছে। যখন পানি লাশের ওপরে আসে, তখন কিছু মাছ এসে মৃতের শরীর থেকে মাংস খায়। যখন পানি নেমে যায় তো, কিছু হিংস্র পশু এসে খায়। আর তারা চলে গেলে সুযোগ আসতো পাখিদের। তারা এসে খেয়ে যেত মৃতের শরীর থেকে মাংস ছিড়ে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই সম্পূর্ণ দৃশ্যটি দেখছিলেন— আল্লাহর খলীল সায়্যিদুনা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম। তিনি নিজের চোখে দেখার ইচ্ছে পোষণ করলেন, কিভাবে আল্লাহ তায়ালা এই মৃতকে আবার পুনরুজ্জীবিত করবেন। যার মাংসের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, না হয় পশু পাখির খাদ্যে পরিণত হয়েছে। হযরত সা'দ বিন জুবাইর রাযিআল্লাহু আনহু বলেন— আল্লাহ যখন ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে খলীল হিসেবে মনোনীত করে নিলেন, তখন হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম এই খবর নিয়ে আসলেন ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের কাছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি জিজ্ঞেস করলেন— এর আলামত কি? হযরত আজরাইল আলাইহি সালাম বললেন— আল্লাহ আপনার চাহিদা পূরণ করবেন এবং আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী মৃতকে জীবিত করবেন। [১] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তো সেই প্রেক্ষিতে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম দোয়া করলেন— আল্লাহ আমি তো তোমার কুদরতে বিশ্বাসী। তবে আমি নিজের চোখে দেখতে চাই কিভাবে তুমি মৃতকে জীবিত করো। নিজের হৃদয়কে প্রশান্ত করতে চাই। এবং আমি খলীল হওয়ার প্রমাণটাও দেখে নিতে চাই। ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর আবেদনে রাব্বে কারীম থেকে আদেশ আসল— চারটি পাখি নিন। এদেরকে জবাই করুন। তারপর এদের মাংসগুলোকে একটি অপরটির সাথে মিশ্রণ করে কিমা বানিয়ে পাহাড়ের ওপর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিন। তারপর তাদেরকে ডাকুন। তারা জীবিত হয়ে আপনার নিকট ফিরে আসবে! এক বর্ণনা অনুযায়ী চারটি পাখি ছিল— ময়ূর, কবুতর, কাক এবং মোরগ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ঠিক এমনটাই করলেন। পাখির মাথাগুলো নিজের কাছে রেখে দিলেন। তারপর যখন সেগুলোর নাম ধরে ডাকলেন— তখন পাখিগুলোর মাংস জড়ো হয়ে পুনরায় শরীর গঠন হয়ে জীবিত হয়ে গেলো। তারপর দৌড়ে এসে নিজেদের মাথাগুলোর সাথে পুনঃ জোড়া লেগে গেল। [২] আল্লাহু আকবার। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কোরআনে পাকে সূরা বাকারা'র ২৬০ নং আয়াতে ঘটনাটি এভাবে বর্ণিত আছে—</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">'আর যখন আরয করল ইব্রাহিম, 'হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখিয়ে দাও কিভাবে তুমি মৃতকে জীবিত করবে।' ইরশাদ হলো: তোমার কি নিশ্চিত বিশ্বাস নেই? আরয করল: নিশ্চিত বিশ্বাস কেন থাকবে না? তবে আমি চাই যে আমার অন্তরে প্রশান্তি এসে যাক। ইরশাদ করলেন: তবে আচ্ছা। চারটি পাখি নিয়ে তোমার সাথে নেড়েচেড়ে নাও। তারপর এগুলোর এক এক খন্ড প্রতি পাহাড়ের ওপর রেখে দাও, তারপর সেগুলোকে আহ্বান কর, সেগুলোর তোমার নিকট চলে আসবে নিজ পায়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে।'</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আব্দুল মুস্তফা আযমী রাহিমাহুল্লাহ বলেন— প্রমাণিত হয়ে গেলাে যে, মৃতদের ডাকা শিরিক নয় কেননা যেহেতু মৃত পাখিদেরকে আল্লাহ পাক ডাকার আদেশ দিয়েছেন এবং একজন জলিলুল কদর পয়গাম্বর এই মৃত পাখিদের ডাকলেন, সেহেতু এটি কখনােই শিরিক হতে পারে না। কেননা আল্লাহ পাক কখনােই কোন শিরিকের আদেশ দিবেন না আর কোন নবীই কখনােই কোন শিরিকের কাজ করতে পারেন না। আর যেহেতু মৃত পাখিদের ডাকা শিরিক নয়, সেহেতু আল্লাহ পাকের অলী এবং শহীদদের ডাকা কিভাবে শিরিক হতে পারে! যারা অলী এবং শহীদদের ডাকাকে শিরিক বলে ইয়া গাউস শ্লোগান প্রদানকারীদেরকে মুশরিক বলে, তাদের কিছুক্ষণ মাথা নত করে ভাবা উচিৎ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর এই কোরআনী ঘটনার আলােকে তাদের হিদায়তের নূর দৃশ্যমান হবে আর তারা আহলে সুন্নাতের পদ্ধতিতে সীরাতুল মুস্তাকীমের মহা সড়কে চলে আসবে। [৩] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আত্মশুদ্ধি:</div><div style="text-align: justify;">তিনি আরাে বলেন— হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম যে চারটি পাখি জবাই করেছেন, তাদের মধ্যে প্রত্যেকের একটি খারাপ আচরণ প্রসিদ্ধ রয়েছে। যেমন: ময়ূর নিজের আকার আকৃতির সৌন্দর্যে খুবই গর্ব করে থাকে এবং মােরগের মাঝে অধিকহারে কামভাবের মন্দ স্বভাব রয়েছে, কাঁকের লোভের মন্দ অভ্যাস রয়েছে আর কবুতরের মাঝে নিজের উচ্চ উড়ানের জন্য গর্ব থাকে। এই চারটি পাখিকে জবাই করাতে এই চারটি স্বভাবকে জবাই করার দিকে ইঙ্গিত রয়েছে যে, চারটি পাখি জবাই করা হলেই হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম মৃতকে জীবিত করার দৃশ্য দেখলেন এবং তাঁর অন্তরে প্রশান্তির নূরের বিচ্ছুরণ হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তবে যে ব্যক্তি এটা চায় যে— তার অন্তর জীবিত হয়ে যাক এবং তার প্রশান্তিময় হৃদয়ের দৌলত নসীব হয়ে যাক, তবে তার উচিৎ যে— মােরগ জবাই করা অর্থাৎ নিজের কামভাবের উপর ছুরি চালিয়ে দেয়া এবং ময়ূর জবাই করা অর্থাৎ নিজের আকার আকৃতি এবং পােশাকের অহঙ্কারকে জবাই করে দেওয়া, আর কাক জবাই করা অর্থাৎ লােভ ও লালসার গলা কেটে দেয়া, কবুতর জবাই করা অর্থাৎ নিজের উচ্চ মান এবং উচ্চ মর্যাদার গর্ব ও দাম্ভিকতার উপর ছুরি চালিয়ে দেওয়া। [৪]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি কেউ এই চারটি মন্দ অভ্যাসকে জবাই করে তাহলে তার হৃদয়ে প্রশান্তির সূর্য উদয় হওয়াকে সে অবলোকন করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Reference:</div><div style="text-align: justify;">[১] তাফসীরে খাযিন।</div><div style="text-align: justify;">[২] তাফসীরে করতুবী।</div><div style="text-align: justify;">[৩] আজায়িবুল কোরআন ও গারায়িবুল কোরআন, ৫৮ পৃষ্ঠা।</div><div style="text-align: justify;">[৪] আজায়িবুল কোরআন ও গারায়িবুল কোরআন, ৫৯ পৃষ্ঠা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">'গল্পটা কোরআনের- ০২'</div><div style="text-align: justify;">~স্বাধীন আহমেদ</div>

গল্পটা কোরআনের- ২

সাগরের তীরে পরে আছে এক মৃত লাশ। পানির জোয়ার-ভাটায় ওপর নিচ হচ্ছে। যখন পানি লাশের ওপরে আসে, তখন কিছু মাছ এসে মৃতের শরীর থেকে মাংস খায়। যখন পান...

Read more »

আরিফ আজাদ সমীপে!

<div id="m#msg-f:1708965632353256017" class="mail-message expanded" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><div class="mail-message-content collapsible zoom-normal mail-show-images " style="overflow-wrap: break-word; width: 328px; margin: 16px 0px; user-select: auto;"><div class="clear"><div dir="auto"><div dir="auto" style="text-align: left;">ভাই আরিফ আজাদ, কারেকশান প্লিজ। ভুল করা অপরাধ না। ভুলের উপর গোঁ ধরে বসে থাকা অপরাধ। তোমার শুভাকাংখী আমি। অতএব সংশোধন প্লিজ।</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">এক.</div><div dir="auto" style="text-align: left;">হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্রটি প্রিয়নবী নিলেন এবং লিখলেন- মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ...।(সহীহ বুখারী:২৬৯৯)</div><div dir="auto" style="text-align: left;">আল্লাহ তায়ালা যদি তাঁকে অক্ষরের জ্ঞান না দিতেন, তবে কিভাবে তিনি আরবি তের অক্ষরবিশিষ্ট নিজের নাম মুবারক লিখলেন?</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">'বা' 'ছিন' 'মীম' নিঃসন্দেহে আরবি অক্ষর।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">একদা প্রিযনবী বলেছিলেন, " 'বা' কে সোজা করে লিখ। 'ছিন' কে পৃথক করে লিখ। 'মীম' কে অন্ধ করো না।''(ফাতহুল বারী লি শরহিল বুখারী, ৭/৫০৪)</div><div dir="auto" style="text-align: left;">প্রিয়নবীকে যদি আল্লাহ তায়ালা অক্ষরজ্ঞান না দিতেন তবে, কিভাবে তিনি 'বা' 'ছিন' 'মীম' চিনলেন?</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">যাঁর প্রতি নাযিল হল 'আলিফ, লাম, মীম', তিনি বুঝি 'আলিফ' 'লাম' 'মীম' চিনতেন না?</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">প্রিয়নবী বলেছিলেন, "তোমরা কাগজ আন, আমি একটা লিখা লিখে দেব।"(সহীহ বুখারী:৪৪৩২)</div><div dir="auto" style="text-align: left;">যিনি লিখতেই জানেন না, তিনি বুঝি বলবেন- আমি লিখে দেব? জানেন বলেই তো বলেছেন। তাই না ভাই?</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">যাঁকে তাবৎ জ্ঞানের আধার কুরআন শিখিয়েছেন প্রভু।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">"আপনার প্রতি নাযিল করেছি সবকিছুর স্পষ্ট জ্ঞানসম্বলিত গ্রন্থ।"-(সূরা নাহল:৮৯) আর তাবৎ জ্ঞানের মধ্যে সামান্য অক্ষরজ্ঞান বাদ যাবে বুঝি?</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">তাই</div><div dir="auto" style="text-align: left;">"তিনি নিরক্ষর ছিলেন। তাঁর অক্ষরজ্ঞান ছিল না" - থিওরী বাদ দাও ভাই। তোমার শুভাকাংখী আমি। অতএব সংশোধন প্লিজ।</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">দুই.</div><div dir="auto" style="text-align: left;">উক্ববা বিন আবু মুহীতের দাওয়াতের জবাবে রসূলেপাক বলেছিলেন, "মা আনা বি আকিলিন" (খাসাইসুল কুবরা লিস সুয়ূতী, ১/৩৪১)। কই এর অর্থ তো "আমি খেতে জানি না" করা হয় না! করা যায়ও না নিশ্চয়। তাই না? বরং এ অর্থই কর যে, আমি খাব না।</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">তেমনি হেরা গুহায় প্রিয়নবী যে বলেছিলেন, "মা আনা বিক্বরিইন", এর অর্থ "আমি পড়তে জানি না" নয় ভাই। বরং আমি পাঠক নই/এখন পড়ব না।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">তাছাড়া জিবরীল আ. থেকে শুনে শুনে কিতাবের বাক্য পড়ার সঙ্গে অক্ষর চেনা-না চেনার সম্পর্ক কী, ভাই? ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখ।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">তাই একে কেন্দ্র প্রিয়নবী পড়তে জানেন না বা অক্ষর চেনেন না থিওরী বুঝে নিও না। তোমার মঙ্গলের জন্যই বলছি কথাগুলো, ভাই। অতএব সংশোধন প্লিজ।</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">তিন.</div><div dir="auto" style="text-align: left;">নিরক্ষরতার পক্ষে তুমি নানানজনের ব্যাখ্যা দাও। যেমন-</div><div dir="auto" style="text-align: left;">প্রথমতঃ ইবনে কাসীর র. 'র। তিনি নাকি সূরা আরাফের ১৫৭ নং আয়াতে উম্মী অর্থ করেছেন, "যিনি লিখতে আর পড়তে জানেন না!"</div><div dir="auto" style="text-align: left;">ভাইরে, হয়ত তুমি তাফসীরে ইবন কাসীরের মূল আরবিটা পড়ে একথা বলনি। বলেছ, হয়তো বঙ্গানুবাদকের বিকৃত অনুবাদ পড়ে। নইলে নিশ্চয় দেখতে, ইবন কাসীর এমনটা কস্মিনকালেও বলেননি। বরং তিনি ১৫৭ নং আয়াত তো বটেই ১৫৮ নং আয়াতেও 'আন্নাবিয়্যুল উম্মী' অর্থ ''আন্নাবিয়্যুল উম্মী" ই করেছেন।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">হ্যাঁ, মূল আরবি গ্রন্থে এমনটাই আছে। অতএব মূলটা দেখে ভাই, প্লিজ, ফিরে এস। বিরত হও প্রিয়নবীকে নিরক্ষর অভিধা দেয়া থেকে। তোমার মান তাতে বাড়বে বই কমবে না।</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">দ্বিতীয়তঃ তুমি বলো, ইমাম বাগাভী রহ. তাঁর তাফসীরে এ আয়াতের অর্থে হযরত ইবন আব্বাস রা. হতে এ হাদীসটি এনেছেন।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">"তোমাদের নবী ছিলেন উম্মী- তিনি পড়তে লিখতে আর গুণতে জানতেন না।"</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">অথচ হাদীসে থাকা মূল আরবির প্রকৃত অর্থ হচ্ছে- "তিনি ছিলেন উম্মী- তিনি লিখেন না, পড়েন না, হিসাব-নিকাশ করেন না।" দেখ মূল আরবিটা অার অর্থ কর-</div><div dir="auto" style="text-align: left;">كان اميا لا يكتب ولا يقرأ ولا يحسب</div><div dir="auto" style="text-align: left;">(ইমাম কুরতুবী র. ও এই হাদীসটি এনেছেন বলে তুমি একই কথা বলছো, ভাই। অথচ হাদীসটির অর্থ এমন নয় মোটেও। বরং মূল কিতাব দেখ ভাই। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে নিশ্চয় দেখবে, এই অভাজনের উল্লিখিত অর্থটাই প্রকৃত অর্থ। অর্থাৎ লিখেন না, পড়েন না, হিসাব-নিকাশ করেন না। না জানা আর না করা নিশ্চয় এক নয় ভাই। ভেবে দেখ। যেমন- আল্লাহ তায়ালার বাণী- অর্থাৎ "নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না।" এখানে কি 'লা ইয়াহদী' অর্থ 'হিদায়াত দিতে পারেন না' করবে? নিশ্চয় না। বরং জাস্ট এটাই করবে যে, 'হিদায়াত দেন না।' ভাইরে, প্রিয়নবীর ব্যাপারে বিভিন্ন তাফসীরে থাকা 'লা ইয়াক্বরউ, লা ইয়াকতুবু' 'র অর্থ তবে ব্যতিক্রম করবে কেন! এটাও তো একই সীগাহ। একই রকমের অর্থ। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ভেবে দেখ)</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">তুমি যে বলেছ, তাফসীরে জালালাইনের কথা। কই ভাই, তাফসীরে জালালাইনে কি "আন্নাবিয়্যুল উম্মী" শব্দের ব্যাখ্যায় "নবী লিখতে-পড়তে জানতেন না" বলা হয়েছে? মোটেও তো না। বরং ভালোমত দেখ, এর ব্যাখ্যায় তিনি জাস্ট বলেছেন, মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">তুমি বলেছ, 'সিয়ারু আলামিন নুবালা' তে ইমাম যাহাবী র. বলেছেন, "যদি ওইদিন নবিজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের হাতে নিজের নাম লিখেছেন ধরেও নিই, তাতেও প্রমাণ হয় না যে, তিনি লিখতে আর পড়তে জানতেন।..."</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">ভাইরে, আল্লাহকে ভয় কর, প্লিজ। ভয় কর ওই দিনকে, যেদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">''সিয়ারু আলামীন নুবালা'' তন্নতন্ন করে খোঁজো তো! দেখ তো পাও কিনা, ইমাম যাহাবীর অনুরূপ বক্তব্য! কোত্থাও পাবে না। হ্যাঁ, কোত্থাও না। বরং পাবে, জামাআতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা জনাব আবুল আলা মওদুদী সাহেবের মনগড়া তাফসীর গ্রন্থে। অর্থাৎ- "তাফহীমুল কুরআন" এর ৩/৭১৩-৭১৪ নং পৃষ্টায়। ভাইরে, কেন তুমি যাচাই ছাড়া জামাআতীদের প্রতিষ্ঠাতার বই থেকে "প্রিয়নবী লিখতে পড়তে জানতেন না" 'র দলীল নিয়েছ! কেন? কী এর কারণ?</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">অতএব ফিরে এস ওহে। প্রিয় ভাই আরিফ আজাদ। ফিরে এস।</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">চার.</div><div dir="auto" style="text-align: left;">মুসলিম মনীষীদের ব্যাখ্যা দিয়ে দলীল দিয়ে থাকো তুমি। অর্থাৎ মুসলিম মনীষীদের দলচ্যূত হতে চাও না। তা না চাওয়াই উচিত। কারণ প্রকৃত সালাফগণের মানহাজের বাইরে যাওয়া কখখনোই হক্বপন্থী আর বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই তোমায় প্রিয়নবীর ইলম প্রসঙ্গে মুসলিম মনীষীদের জ্ঞাননির্যাস দিলাম-</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">-বিখ্যাত মুফাসসির ইসমাঈল হাক্কী র. সূরা আনকাবূতের ৪৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,</div><div dir="auto" style="text-align: left;">كان عليه السلام يعلم الخطوط و يخبر عنها</div><div dir="auto" style="text-align: left;">অর্থাৎ-"তিনি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লিখতে জানতেন আর অন্যকে জানাতেন।"(তাফসীরে রুহুল বয়ান)</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">-সহীহ বুখারীর ২৬৯৯ নং হাদীসে যে প্রিয়নবী লিখেছেন বলে প্রমাণিত, সে ব্যাপারে ইমাম কুরতুবী র. বলেন-</div><div dir="auto" style="text-align: left;">فكان ذلك خارقاً للعادة كما أنه عليه الصلوة والسلام علم علم الأولين والآخرين من غير تعلم ولا إكتساب فكان ذلك أبلغ في معجزاته.</div><div dir="auto" style="text-align: left;">অর্থাৎ- আর সেটা(লিখাটা) ছিল তেমন অলৌকিক যেমন তিনি (পার্থিব) শিক্ষাগ্রহণ ও অর্জন ব্যতীতই পূর্বাপরের সমস্ত জ্ঞানলাভ করেছিলেন। আর সেটা তাঁর সর্বোচ্চ পর্যায়েরই মো'জিযা(অলৌকিকতা)।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">(তাফসীরে কুরতুবী, সূরা আরাফের ১৫৭ নং আয়াতের ব্যাখ্যা)</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">-ইমাম ইবন কাসীর র. হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্রে প্রিয়নবী কর্তৃক লিখার ব্যাপারে বলেন,</div><div dir="auto" style="text-align: left;">أنه كتب ذلك على وجه المعجزة</div><div dir="auto" style="text-align: left;">অর্থাৎ- তিনি তা লিখেছিলেন মু'জিযাস্বরূপ।</div><div dir="auto" style="text-align: left;">(তাফসীরে ইবন কাসীর, ৬/৬৮)</div><div dir="auto" style="text-align: left;">দেখলে তো ভাই, আল্লামা ইবন কাসীর র. এরও মত, প্রিয়নবীর দুনিয়ার কারো কাছে না শিখেও লিখতে জানাটা তাঁর মু'জিযা। নবীর মু'জিযা অস্বীকার করবে বুঝি?</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">অতএব ফিরে এসো ভাই। ফিরে এসো প্রকৃত সত্যে। আক্বীদায়ে আহলে সুন্নাহ-তে। তোমায় ভালোবাসব তবে। করব শ্রদ্ধা।</div><div dir="auto" style="text-align: left;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: left;">~ ফা লা ক্ব</div><div style="text-align: left;"><br></div></div></div></div><div class="mail-message-footer spacer collapsible" style="height: 0px;"></div></div>

আরিফ আজাদ সমীপে!

ভাই আরিফ আজাদ, কারেকশান প্লিজ। ভুল করা অপরাধ না। ভুলের উপর গোঁ ধরে বসে থাকা অপরাধ। তোমার শুভাকাংখী আমি। অতএব সংশোধন প্লিজ। এক. হুদায়বিয়ার সন...

Read more »

শানে মুস্তাফা ﷺ

<div style="text-align: justify;">পাপিষ্ট ইয়াজিদ (লাঃ) কর্তৃক মদিনা আক্রমণ </div><div style="text-align: justify;">রওজা হতে গুণগুণ শব্দে নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ </div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhJPVwnkKsC0F1phbn5U5lN_fRvUyoRgBMkXvfzpu7-f6ZlUbzf5i-AabcfeTqhgITcUbHYhppu_40faJd3QdTVToYnEhAeQKQRBQEVUC4IUbLo0aZTB_udq-psJWw4hMtnMyTknpEWUL2i/s1600/FB_IMG_1614934004031.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="673" data-original-width="720" height="299" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhJPVwnkKsC0F1phbn5U5lN_fRvUyoRgBMkXvfzpu7-f6ZlUbzf5i-AabcfeTqhgITcUbHYhppu_40faJd3QdTVToYnEhAeQKQRBQEVUC4IUbLo0aZTB_udq-psJWw4hMtnMyTknpEWUL2i/s1600-rw/FB_IMG_1614934004031.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সাঈদ ইবনে আব্দুল আযীয রহঃ বলেন, আইয়ামুল হাররায় (যেই সময়ে ইয়াজিদ কর্তৃক মদিনা শরীফের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল) মসজিদে নববী ﷺ এ তিন দিন পর্যন্ত আজান ও জামা’আতে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। সে সময় সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব (রঃ) মসজিদেই আটকা পড়েছিলেন। কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে পারতেন না, তবে (নামাজের ওয়াক্ত হলে) তিনি নবী ﷺ এঁর রওজা হতে গুণগুণ শব্দ শুনতে পেতেন। (সুনান আদ দারেমী ৯৪, মিশকাত ৫৯৫১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম দারেমী রহঃ এটি বর্ণনা করেছেন, সুনান আদ দারেমীর ভূমিকা অধ্যায়ের "ওফাতের পর নবী ﷺ কে আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক সম্মান দেয়া" নামক পরিচ্ছেদে। খতিব তিবরিযী রহঃ এনেছেন মিশকাতের "বাবুল কারামাত" এ। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মিশকাতের এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আহলে হাদিসদের hadithbd ওয়েবসাইটে রয়েছে, ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এটা (হাররার দিন) ইসলামের ইতিহাসে একটি প্রসিদ্ধ দিন। ইয়াযীদ ইবনু মু'আবিয়াহ্-এর সিরিয়া থেকে আগত সেনাবাহিনী মদীনায় হামলা করেছিল মদীনায় থাকা সাহাবী ও তাবিঈদেরকে হত্যা করার জন্য। তাঁর সেনাপতি ছিল মুসলিম ইবনু ‘উয়াইনাহ আল মুরুরী। আর এ ঘটনা ঘটেছিল হিজরী ৬৩ সনের যিলহজ্জ মাসে। এ ঘটনার পরপরই ইয়াযীদ মারা গিয়েছিল। এ ঘটনাটি ঘটেছিল মদীনার হাররাহ্ এলাকায় যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কালো অনেক পাথর ছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বাংলায় অনুদিত, আহলে হাদিস মান্যবর ইমাম ইবনুল জাওযি এর লিখিত "ইয়াযিদকে নিন্দা করার বৈধতা ও বিরুদ্ধবাদীদের যুক্তিখন্ডন" এর ৫১ পৃষ্ঠায় রয়েছে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর ছেলে সালিহ রহঃ একবার উনার আব্বাজানকে বলেন, “একদল লোক আমাদেরকে ইয়াযিদের মিত্র (বন্ধু) বলে মনে করে।” তিনি (ইমাম আহমাদ রহঃ) বললেন, বাছা! ইয়াযিদের সাথে ঈমানদার কেউ সম্পর্ক রাখতে পারে???</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সালিহ রহঃ বললেন, তাহলে আপনি তাকে লানত দেন না কেন? তিনি বললেন, তুমি কবেই বা আমাকে কোন কিছুকে লানত দিতে দেখেছ? আল্লাহ স্বয়ং যাকে পবিত্র কুরআনেই লানত দিয়েছেন, তাকে কেন লানত দেয়া হবে না? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সালিহ রহঃ বললেন, আল্লাহ তার কিতাবের কোথায় ইয়াযিদকে লানত দিলেন? তখন ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. নিম্নোক্ত কুরআনের আয়াত পাঠ করলেন:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তবে কি তোমাদের এই লক্ষণ দৃষ্টিগোচর হচ্ছে যে, </div><div style="text-align: justify;">যদি তোমরা শাসন-ক্ষমতা লাভ কর তবে পৃথিবীতে বিপর্যয় (ফাসাদ) ছড়াবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। আল্লাহ এদেরকেই লানত করেন আর বধির ও অন্ধ করেন।" (সূরা মুহাম্মাদ: ২২-২৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইয়াজিদ শুধুমাত্র প্রিয় নবী ﷺ এঁর দৌহিত্র জান্নাতী যুব-সর্দার ইমাম হুসাইন রঃ এবং অন্যান্যদের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল এমন নয় বরং তার নিকৃষ্টতম কাজের মধ্যে পবিত্র মক্কা ও মদিনায় আক্রমণ করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইমাম হুসাইন রঃ এঁর শাহাদাতের ঘটনার সাথে আমরা নবীজি ﷺ এঁর একটি মু'জিযা তথা আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় কারবালায় উপস্থিত হওয়ার ঘটনা দেখতে পায়। তেমনিভাবে ইয়াজিদ কর্তৃক মদীনায় আক্রমণের ঘটনার সাথেও আমরা দেখতে পেলাম নবীজির অন্য এক মু'জিযা। </div><div style="text-align: justify;">হ্যাঁ, আল্লাহ প্রদত্ত এই মর্যাদার বর্ণনা অন্যান্য হাদিসে পাকেও পাওয়া যায়-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, (মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেও আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায়) নবীগণ তাদের কবরে জীবিত। তারা সেখানে সালাত আদায় করেন। [মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া লিল বাইহাকী, হাদীস ১-৪, ফাতহুল বারী ৬/৬০৫]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এভাবে শুধু আমাদের নবী নন, অন্যান্য নবীগণও আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় জীবিত এবং আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত বা হাজির হতে পারেন। মিরাজের রাত্রির ঘটনাগুলোও এটিই প্রমাণ করে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে রাত্রে আমার মি‘রাজ হয়েছিল সে রাত্রে আমি মূসা (আলায়হিস সালাম) এঁর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি লাল বালুকা স্তুপের নিকট তাঁর রওজায় দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। </div><div style="text-align: justify;">(সহিহ মুসলিম ৬০৫১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা নবীদের দেহ ভক্ষণ করা মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন। নবীগণ কবরে জীবিত এবং তাদেরকে রিযিক দেয়া হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১৬৩৭, মিশকাত ১৩৬৬.......)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বিখ্যাত ফকিহ ও হাদিস বিশারদ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আউলিয়াদের ইহকালীন জীবনের অবস্থা এবং পরকালীন জীবনের অবস্থার মাঝে কোন পার্থক্য নাই, এজন্য বলা হয় আল্লাহর ওলীগণ (প্রিয় বান্দাগণ, সাধারণদের মত) মৃত্যুবরণ করেন না বরং (মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে, দুনিয়া হতে পর্দা করে) তারা এক ঘর থেকে আরেক ঘরে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবর্তন হন মাত্র। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ইমাম বায়হাকী রহঃ বলেন, নবীগণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হতে পারেন এটা আকল দ্বারাও বৈধ, যেমনিভাবে হাদিস দ্বারাও প্রমাণিত। (মিশকাতের ব্যাখ্যাগ্রন্থ মেরকাতের ৩য় খন্ড, ৪১৪-৪১৫ পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আহমদ রেজা খান ব্রেলভী রহঃ রাসূলে পাক ﷺ এঁর শানে লিখেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তু জিন্দা হ্যায় ওয়াল্লাহ, তু জিন্দা হ্যায় ওয়াল্লাহ,</div><div style="text-align: justify;"> মেরে চশমে আলম ছে ছুপ জানে ওয়ালে</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বঙ্গানুবাদঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> আল্লাহ'র কসম! (হে নবী ﷺ!) আপনি জিন্দা,</div><div style="text-align: justify;">  (কিন্তু) আমার চোখের আড়াল হয়ে আছেন।</div>

শানে মুস্তাফা ﷺ

পাপিষ্ট ইয়াজিদ (লাঃ) কর্তৃক মদিনা আক্রমণ রওজা হতে গুণগুণ শব্দে নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ সাঈদ ইবনে আব্দুল আযীয রহঃ বলেন, আইয়ামুল হাররায় (যেই স...

Read more »

হে যুগের তরুণ...

<div id="m#msg-f:1708813404089012483" class="mail-message expanded" style="font-family: sans-serif; font-size: 12.8px;"><div class="mail-message-content collapsible zoom-normal mail-show-images " style="overflow-wrap: break-word; width: 328px; margin: 16px 0px; user-select: auto;"><div class="clear"><div dir="auto"><div dir="auto"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">তুমি কি বিবেকবান? এবং কোনো নতুন শায়খের অন্ধভক্ত থাকতে চাও না? কোনো নির্দিষ্ট ফিরকার প্রতি অন্যায় পক্ষপাতীও হবে না? নিজ মতামতের বিপরীত দেখলেই- অন্য মুসলিম ভাইদের প্রতি রাগে ক্ষোভে জ্বলে উঠ না তো? তুমি কি শাখাগত ভিন্নমতের প্রতি সহনশীল? সত্য জানতে, বুঝতে প্রচণ্ড আগ্রহী? তবে হে বিবেকবান সত্যানুসন্ধানী মুসলিম তরুণ। লেখাটি তোমারই জন্য। শেষ পর্যন্ত পড়। আর দেখ, বিবেক নড়ে উঠে কিনা! ইনশাআল্লাহ, এটি পড়ে বিবেক তোমার কিছুটা হলেও প্রসারিত হবে। চোখে আলো আসবে। অব্দ অব্দ ধরে চলমান সঠিক ইসলামের প্রতি সহনশীল হবে। পড়েই নাও শেষতক। অবশ্য যদি সময় না থাকে, এখানেই থেমে যাও। পরে বেশ কিছুটা সময় নাও। নিরিবিলি হলে ঠাণ্ডা মাথায়, নিরপেক্ষ মন নিয়ে বসো। মনকে বলো, আমি কারো অন্যায় পক্ষপাতী হবো না। কারো প্রভাব প্রতিপত্তি, বক্তব্যের ঝলকানি বা জনপ্রিয়তায় বুঁদ হয়ে থাকবো না। সত্য দেখলে, বুঝলে- বিনা দ্বিধায় মেনে নেব, ইনশাআল্লাহ। তা যত বড় শায়খ কিংবা নব্য স্কলারেরই বিরোধিতা হোক না কেন! এরপর পড়া শুরু কর। অবশ্যই গভীর মনোযোগে, বুঝে বুঝে। কোনো অংশ না বুঝলে আরেকবার পড়। এরপরও না বুঝলে কমেন্টবক্সে যাও। খাঁটি নিয়তে কেবলি জানার জন্য প্রশ্ন কর। অযথা তর্ক থেকে আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় চাও। ইনশাআল্লাহ, সত্য বুঝে আসবে। আল্লাহপাকই সত্য বুঝার মুওয়াফ্ফিক (তাওফীকদাতা)। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">()()()() </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">ছোট বেলা থেকে না জেনেই মাযহাব পালন করেছি। ঘরে থাকা ফিকহী বইগুলির প্রায় সবই ছিল নিউজপ্রিন্টের। সেগুলোতে কুরআন হাদিসের রেফারেন্স ছিলোনা তেমন। ছিল ফতোয়ায়ে আলমগিরি সহ আরো কিছু বইয়ের রেফারেন্স। যেগুলো সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। ধীরে ধীরে বড় হলাম। একসময় আহলে হাদীস ও সালাফিদের বইগুলি হাতে এল। পড়লাম। কুরআন ও হাদিসের প্রচুর রেফারেন্স! মুগ্ধ হলাম। এই মুগ্ধতাকেই কাজে লাগানো হল। বলা হল, "মাজহাবের তাক্বলীদ ছাড়। ইমামদের ফিকহ মানবে কেন, এর চেয়ে ভালো সহীহ হাদিস মানো।" এক্সট্রিমিস্ট কেউ কেউ তো বললো, "তাকলীদ শিরক।" </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">বুঝালো, "তোমার নিজস্ব বিবেক-বুদ্ধি আছে। তবে তাকলীদ করবে কেন।" </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">কথাগুলো যৌক্তিক মনে হল। ইচ্ছে করলো, আহলে হাদীস হই। মাজহাবের তাকলীদ ছাড়ি। জাস্ট সহীহ হাদিসের উপর আমল করি। শুরু হল, আহলে হাদীস হবার জোর চেষ্টা। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">জোগাড় করলাম সিহাহ সিত্তাহ, বাংলা-আরবী। শুরু হলো পড়া। আবিষ্কার করলাম, নানান হাদীসে প্রিয়নবীর ওযুর নানান বর্ণনা। কোথাও অঙ্গ দুবার করে ধোয়ার কথা তো, কোথাও তিনবার, কোথাও আবার একবারও। দ্বিধায় পড়ে গেলাম। এ কী ব্যাপার? কোনটা মেনে ওযু করবো? দু'বারেরটা? নাকি তিনবার? নাকি একবারই সই? যদি একবার করে ধুই তো দু' বা তিনবারের হাদীসগুলি আমল করা হচ্ছে না। দেখলাম, এক প্রকার বর্ণনা আমল করলে, অন্যগুলি করা সম্ভব না। একটা করলে এর বিপরীতগুলি ছেড়ে দিতেই হয়। অথচ সবগুলোই নির্ভরযোগ্য। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">এ এক অবশ্যম্ভাবী ব্যাপার। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">শুধু ওযূই নয়, কুরআন-হাদীসের একাধিক ব্যাপারেই এমন দেখলাম। যেমন- </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">১. কুরূ অর্থ পবিত্রতাও, হায়েযও। একটা নিলে আরেকটা ছাড়তেই হয়। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">২. সালাতে রফয়ে ইয়াদাইন করা বা না করা। দু'পক্ষেই সহীহ হাদীস আছে। ইত্যাদি ইত্যাদি। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">মনে প্রশ্ন জাগলো- </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">এই যে কিছু সহীহ হাদিস আমল করতে যেয়ে অন্য সহীহ হাদিস আমল করছিনা, সেগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে রেফারেন্স দিয়ে কেউ যদি বলে আমি সহীহ হাদিস মানিনা, তা কি ঠিক হবে? এর মানে কি আমি সহীহ হাদিস বিরোধী? মোটেও তো না। অথচ দেখেছি, মাযহাবীদের বিরুদ্ধে এমনই করা হয়। তাদের আমল না করা হাদীসগুলি বেছে নিয়ে বলা হয়, এই দেখো, তারা সহীহ হাদীস মানে না। অথচ তারা যে অন্য হাদীস অনুযায়ী আমল করছে তা আর বলা হয় না।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">.........</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">আচ্ছা থাক, আমার কথা না হয় বাদ। আমি সামান্য পড়াশুনা শিখেছি, আলহামদুলিল্লাহ, কিতাবাদি পাঠেও উৎসাহ আছে। কিন্তু এই যে পাশের বাড়ির চাচা কিংবা দোকানদার শরাফত। অথবা আমার আট বছর বয়সী ছোট ভাই। এদের কারোই তেমন পড়াশুনা নেই। একজনও ঠিকমতো ওযূ জানে না। এখন- </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">এদেরকে শেখানোর জন্য যদি বুখারী ও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থ নিই। ওযু রিলেটেড সহীহ সহীহ হাদিস সিরিয়ালি পড়ি। এরা কি সেগুলি বুঝে, বিচার-বিশ্লেষণ করে আমল করতে পারবে? জবাব কী? জবাব নিশ্চয়- উঁহু, পারবে না। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">যদি তারা না পারে, না বুঝে, তবে কি তাদেরকে দেখিয়ে দিতে হবে না, কিভাবে ওযু করতে হয়? তখন বুখারী ও অন্যান্য গ্রন্থের ওযু অধ্যায়ে উল্লেখিত সহীহ হাদিসগুলি সমন্বয় করে বা সেখান থেকে বেছে নিয়ে আমার বুঝ অনুযায়ী তাদের শিখাবো। এতে কি তারা প্রত্যক্ষভাবে সহীহ হাদিস মানলো নাকি আমার বুঝ ও ব্যাখ্যা মানলো? এই ব্যাখ্যাই কি ফিকহ না? আর এই ফিকহ মেনে তারা কি মূলতঃ হাদীসের পর্যালোচিত নির্যাসই মানলো না? নিরপেক্ষ বিচারে, এই পর্যালোচিত নির্যাসের সুবিন্যস্ত রূপই তো আসলে মাযহাব। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">যখন হাদীস হতে সমন্বিত বিন্যস্ত ওযূর পদ্ধতিটা তাদেরকে শিখাচ্ছি, তখন হাদিসের টেক্সট ও রেফারেন্স দেয়া কি আমার জন্য জরুরী? বাস্তবেই কি তারা প্রত্যেকটির শিক্ষার পিছনে রেফারেন্স চাইবে? চাইলেও, দেয়া হলেও কীইবা হবে তাতে! তারা কি সেগুলি বুঝার/বিশ্লেষণের যোগ্যতা রাখে? নাকি বলবে, ওযু শিখিয়ে দাও? এই যে তারা আমার উপর নির্ভর করে আমার শিক্ষাটাকে মানলো, এটাই কি তাক্বলীদ না? </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">আর এক্ষেত্রে সর্বজন স্বীকৃত মুজতাহিদ ইমামদের তাক্বলীদ করাই কি নিরাপদ নয়? </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">চিন্তা করলে, পৃথিবীর তাবৎ মুসলিমই এমন। সবাইই তো নিজের অজানা জিনিস জানতে কাউকে না কাউকে মেনে নেয়। অর্থাৎ সবাই ই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে তাক্বলীদ করেই করে। জ্ঞানের পরিধিভেদে এরও অবশ্য ভেদাভেদ আছে। তাইতো সবার তাক্বলীদ সমান না। সাধারণের তাক্বলীদ একরকম তো, আলিমের তাক্বলীদ আরেকরকম। আলিমের তাক্বলীদ একরকম তো মুজতাহিদদের তাক্বলীদ আরেকরকম। কিন্তু কোনো না কোনো ক্ষেত্রে সবাই-ই তাক্বলীদ করে। করতে বাধ্য। </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">যেমন- একটি হাদিস যে সহীহ, এটা কিভাবে বুঝছি ? হ্যাঁ, ব্র্যাকেটে লেখা আছে বলে। আমার যোগ্যতা নেই যে, হাদিস শাস্ত্র ঘেঁটেঘুঁটে বিশ্লেষণ করে সহীহ, যঈফ নির্ণয় করবো। কেউ বিশ্লেষণ করে লিখে দিয়েছে। সেটাই বিনা দ্বিধায় মানছি। এই যে মেনে নেওয়া, ভাই, এটাই কি তাক্বলীদ নয়?</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">আবার, কেউ বুখারী অনুবাদ করে দিয়েছে, আমি মেনে নিচ্ছি। বিশ্বাস করছি, এটা সঠিক অনুবাদ। কারণ আমার পক্ষে আরবি অনুবাদের ত্রুটি ধরা সম্ভব না। এই যে তাহকীক ও অনুবাদগুলোকে সঠিক মেনে নিচ্ছি- এটাই কি তাকলীদ নয়? </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">এমন তাক্বলীদ থেকে কে-ই বা মুক্ত? কেউই তো না। এখন, তাক্বলীদ যদি শিরক হয়, তো, পৃথিবীতে মুসলিম নেই একজনও। সবাই-ই মুশরিক! হ্যাঁ।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">যাহোক,</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">ওযূ তো ওযূ। মুটামুটি সহজ। এতেই যদি এই অবস্থা হয় তো, সালাতের বেলায় কী হবে! এভাবে সাওম, হজ্জ, যাকাতসহ চলার পথে আরো অসংখ্য মাসয়ালা! বিরাট ব্যাপার।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">আমাদের মতো স্বল্পজ্ঞানীর পক্ষে কেবল কুরআন আর সহীহ হাদিস পড়ে এতসব বিধিবিধান বের করা সম্ভব? </div><div dir="auto" style="text-align: justify;">নিশ্চয়ই না।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">তাইতো অতি অবশ্যই এক বা একাধিক বিশ্বস্ত আলিমের দ্বারস্ত হতে হবে, যিনি বা যারা কুরআন-হাদীস ঘেঁটে বিধি-বিধানগুলো বের করে বলে দেবেন। তাইনা? </div><div dir="auto" style="text-align: justify;"><br></div><div dir="auto" style="text-align: justify;">এখন সর্বজনশ্রদ্ধেয় নির্ভরযোগ্য একদল বিশ্বস্ত ওলামা কর্তৃক কুরআন-হাদীস থেকে সমন্বয়কৃত নির্যাস/ফলাফলই যদি ফিকহ বা মাযহাব হয়, তো, এই ফিকহ/মাযহাব মানতে অসুবিধা কোথায়? এই ফিকহ/মাযহাব মানার মাধ্যমে মূলত আমি কি কুরআন আর সহীহ হাদিসই মানছি না?</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">এরচে সহজ ব্যাপার আর কী হতে পারে!</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">আসলে প্রতিটি মাযহাবই তো, একদল বিশ্বস্ত স্কলারদের শ্রমের ফসল। কুরআন-হাদীস, ইজমা, ক্বিয়াস দিয়ে বের করা ইসলামি সারনির্যাস।</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">..............................<wbr>...</div><div dir="auto" style="text-align: justify;">(সংগৃহীত, সংস্কারিত)</div><div style="text-align: justify;"><br></div></div></div></div><div class="mail-message-footer spacer collapsible" style="height: 0px;"></div></div>

হে যুগের তরুণ...

তুমি কি বিবেকবান? এবং কোনো নতুন শায়খের অন্ধভক্ত থাকতে চাও না? কোনো নির্দিষ্ট ফিরকার প্রতি অন্যায় পক্ষপাতীও হবে না? নিজ মতামতের বিপরীত দেখল...

Read more »

ইসলামি হিসেব অনুযায়ী দিন কখন শুরু হয়?

<div style="text-align: justify;">আশুরার রাত কোনটি? চান্দ্রমাসের দশ তারিখ দিবাগত রাত? নাকি নয় তারিখ?</div><div style="text-align: justify;">...........</div><div style="text-align: justify;">এ জন্য জানতে হবে, ইসলামি দিবসে দিন আগে না রাত আগে!</div><div style="text-align: justify;">এক্ষেত্রে মতভেদ থাকলেও শক্তিশালী আর গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, রাত আগে।</div><div style="text-align: justify;">হ্যাঁ, তাইতো-</div><div style="text-align: justify;">শবে কদর তথা সাতাইশা রাত পালন করা হয় ছাব্বিশ রমযান দিবাগত রাত্রে।</div><div style="text-align: justify;">..</div><div style="text-align: justify;">বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মারা গেলে ধরা হয়, শুক্রবারে মারা গিয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">..</div><div style="text-align: justify;">প্রথম তারাবীহও পড়ি রমযানের রাতে। শাবানের রাতে নয়।</div><div style="text-align: justify;">..</div><div style="text-align: justify;">ঈদের চাঁদের রাতকেও রমযানের রাত ধরা হয় না। ধরা হয় শাওয়ালের রাত।</div><div style="text-align: justify;">কারণ</div><div style="text-align: justify;">চান্দ্রমাস শুরু হয়, চন্দ্রোদয় দিয়ে। সূর্যোদয় বা মধ্যরজনী দিয়ে নয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ ইসলামি তারিখে রাত আসে আগে।</div><div style="text-align: justify;">এরই উপর গোটা মুসলিম বিশ্বের আমল। উরফে আম।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এরই উপর সাহাবায়ে কেরামদের আমল। যেমন- </div><div style="text-align: justify;">হযরত ইবন আব্বাস রা. বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ما من يوم الا وليلتها قبله</div><div style="text-align: justify;">"এমন কোনো দিন নেই যার রাত আগে আসে না!"</div><div style="text-align: justify;">(বাদাঈয়ুল ফাওয়াঈদ, ইবন কায়্যিম, ৩/১৯৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এরই উপর প্রিয়নবীরও আমল। যেমনটা এসেছে- হযরত আবী সাঈদিনিল খুদরী রা. এর হাদীসে-</div><div style="text-align: justify;">"وَالْتَمِسُوهَا فِي كُلِّ وِتْرٍ ‏"‏‏.‏ فَمَطَرَتِ السَّمَاءُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، وَكَانَ الْمَسْجِدُ عَلَى عَرِيشٍ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ، فَبَصُرَتْ عَيْنَاىَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَبْهَتِهِ أَثَرُ الْمَاءِ وَالطِّينِ، مِنْ صُبْحِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ‏.‏</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয়নবী ইরশাদ করেছেন, "(শবে কদর) তালাশ কর (রমযানের শেষ দশকের) প্রত্যেক বিজোড় রাতে।" </div><div style="text-align: justify;">ঐ রাতে বৃষ্টি হল। মসজিদ ছিল খেজুর পাতার ছাউনীর। এতে পানি পড়ে মসজিদ ভিজে গেল। তাই একুশ রমযান সকালে দেখেছি প্রিয়নবীর কপালে কাদাপানির চিহ্ন।</div><div style="text-align: justify;">(সহীহ বুখারী:২০২৭)</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ প্রিয়নবী বিজোড় তথা একুশ রমযান রাতেও শবে কদর তালাশ করেছেন। যদি রাতটি একুশতম না হয়ে বিশতম হত, তবে হাদীসে রাতটিকে "ঐ রাত" তথা বিজোড় বলা হত না। রাতটি বিজোড় ছিল(একুশ তম রাত), রাতশেষের সকালও ছিল একুশ রমযানের সকাল।</div><div style="text-align: justify;">বুঝা গেল, সকালের আগের রাত্রিটি ঐ দিবসেরই অন্তর্ভূক্ত। আগে এল রাত, পরে দিন।</div><div style="text-align: justify;">এভাবেই ইসলামি তারিখের হিসাব।</div><div style="text-align: justify;">যেমনটা বলেছেন, ইমাম কুরতুবী র.।</div><div style="text-align: justify;">ان التاريخ يكون بالليالي دون الايام لقوله تعالى (ثلاثين ليلة) لان الليالي اواءل الشهور</div><div style="text-align: justify;">'ইসলামি তারিখ রাত দ্বারা হয়, দিন দ্বারা নয়। এজন্য যে, রব তায়ালা বলেছেন, ''ত্রিশ রাত।"</div><div style="text-align: justify;">কেননা রাতগুলোই মাসসমূহের প্রথম।'</div><div style="text-align: justify;">(আল জামি'য়ু লি আহকামিল ক্বুরআন, ইমাম কুরতুবী র., সূরা আ'রাফের ১৪২ নং আয়াতের ব্যাখ্যায়)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সারকথা </div><div style="text-align: justify;">মহরমের নয় তারিখ দিবাগত রাত বা দশম রাতই আশুরার রাত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[আর কারবালার স্মরণে মাহফিল? এটি তো যেকোনো দিন, যেকোনো রাতেই দুরস্ত।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">~ফা লা ক্ব</div>

ইসলামি হিসেব অনুযায়ী দিন কখন শুরু হয়?

আশুরার রাত কোনটি? চান্দ্রমাসের দশ তারিখ দিবাগত রাত? নাকি নয় তারিখ? ........... এ জন্য জানতে হবে, ইসলামি দিবসে দিন আগে না রাত আগে! এক্ষেত্রে ...

Read more »

মানাক্বিবে আহলে বাইতঃ ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (আঃ)

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-34b952f9-7fff-7618-2d30-16e2043b9e2c"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান ও হোসাইনের বংশধারা</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-2d48fa5f-7fff-ad58-8b44-09ab41962c02"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১০. রাসূলে করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ جَعَلَ ذُرِّيَّةَ كُلِّ نَبِيٍّ فِي صُلْبِهِ، وَإِنَّ اللهَ تَعَالَى جَعَلَ ذُرِّيَّتِي فِي صُلْبِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎঃ “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সকল নবীর বংশধর তাঁদের ঔরশজাত পুত্র সন্তানের মাধ্যমে বিদ্যমান রেখেছিলেন আর আঁমার বংশধারা হযরত আলী ইবনে আবী তালেব (رضي الله عنه)’র ঔরশজাত সন্তানের মাধ্যমে জারী রাখবেন। ”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ ইমাম তাবারানি, আল-মু’জামুল কবীর, মাকতাবাতু ইবনে তাইমিয়া, কায়রো, ২য় সংস্করণ, ৩য় খন্ড, পৃঃ ৪৩, হা/২৬৩০]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১১.অন্য হাদিসে রাসূলে করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كُلُّ بَنِي أُنْثَى فَإِنَّ عَصَبَتَهُمْ لِأَبِيهِمْ، مَا خَلَا وَلَدَ فَاطِمَةَ فَإِنِّي أَنَا عَصَبَتَهُمْ وَأَنَا أَبُوهُمْ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎঃ “প্রত্যেক সন্তানের বংশ জারী হয় প্রত্যেকের পিতার দিক থেকে; তবে হযরত মা ফাতেমা (رضي الله عنه)’র সন্তানগণ এর ব্যতিক্রম; কেননা আঁমিই (নবী করীম) তাঁদের পিতৃবংশীয় নিকট আত্মীয় এবং আমিই তাঁদের পিতা (পূর্বপুরুষ)। ”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ প্রাগুক্ত, ৩য় খন্ড, পৃঃ ৪৪, হা/২৬৩১]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১২.এভাবেও বলা যেতে পারেঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أخرج الطبراني عن عمر رضي الله عنه قال:قال رسول اللهﷺ كل بني أنثى فإن عصبتهم لأبيهم، ما خلاولد فاطمة فإنی عصبتهم، فأناأبوهم;</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম তাবরানী হযরত ওমর (رضي الله عنه) এ সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক নারীর ঔরসজাত সন্তানদের বংশ পরিচয় নির্ণয় হয় তাদের পিতার দিক থেকে। শুধু (আঁমার কন্যা) ফাতেমার (رضي الله عنه)’র সন্তানগণ ব্যতিত। কেননা, আঁমিই তাদের ‘আসাবা’ এবং আঁমিই তাদের পিতার স্থলাভিষিক্ত (অভিভাবক হিসেবে)। ”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক.) আল-মু’জামুল কবীরঃ ৩:৪৪, ২৬৩১</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খ.);মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ইমাম হাইছামীঃ ৪:২২৪</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১৩.আরেক বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলে করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كُلُّ بَنِي أُمٍّ يَنْتَمُونَ إِلَى عَصَبَةٍ إِلَّا وَلَدَ فَاطِمَةَ، فَأَنَا وَلِيُّهُمْ وَأَنَا عَصَبَتُهُمْ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎঃ “প্রত্যেক মায়ের সন্তানদের বংশ নিসবত হয়, তাদের পিতৃকুলের দিকে; তবে হযরত ফাতেমা (رضي الله عنه)’র সন্তানগণ ছাড়া। কেননা আঁমিই তাঁদের অভিভাবক এবং আঁমিই তাঁদের পিতৃবংশীয় নিকট আত্মীয়। ”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ প্রাগুক্ত, হাদিস নং ২৬৩২]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১৪.হাদিস শরীফে এভাবেও এবারত এসেছে</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أخرج الطبراني عن فاطمة الزهراء رضی الله عنها قالت: قال رسول اللهﷺ كل بني أم ينتمون إلى عصبتهم، إلا ولدی فاطمة، فأنا وليهما وعصبتهما ؛</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম তাবরানী হযরত ফাতেমাতুজ জাহরা (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক মায়ের সন্তানেরই বংশীয় সম্পর্ক নির্ণীত হয় তাদের পিতার দিক দিয়ে। কিন্তু ফাতেমার সন্তানদের ব্যতিত। কেননা, আঁমিই তাদের অভিভাবক এবং তাদের বংশীয় উর্ধতন পুরুষ। তাই আঁমার দিকেই তাদের বংশীয় সম্পর্ক নির্ণীত হবে। ”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক.)আল মু’জামুল কাবীরঃ ৩:৪৪ (২৬৩২)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খ.) আবু ইয়াআলাঃ ৬:১৬১ (৬৭০৯)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(গ.) তারীখু বাগদাদ আল খতীব আল বাগদাদীঃ ১১:২৮৫</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ঘ.) আল মাকাসিদুল হাসানা, ইমাম সাখাভীঃ পৃষ্ঠা ৩৮১</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১৫. প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মুহাম্মদ বিন ইসমাইল সানআনি আলাইহির রাহমাহ বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فأولاد علي من فاطمة رضي الله عنها أولاده – صلى الله عليه وسلم – حقيقة خاصة من الله له وقد عدها أهل الفقه والحديث من خواصه – صلى الله عليه وسلم – وهم أولاد علي أيضًا فإنهم عصبتان حينئذ وهذه فضيلة لعلي وفاطمة لا تغادر قدرها</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎঃ “হযরত ফাতেমা (رضي الله عنه) এঁর সূত্রে মাওলা আলী (رضي الله عنه) এঁর সন্তানগণ রাসূলে করীম (ﷺ) এঁর প্রকৃত আওলাদ, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর জন্য খাস। এটাকে ফকীহ ও মুহাদ্দিসগণ রাসূলে করীম (ﷺ) এর বৈশিষ্ঠ্য হিসেবে গণ্য করেছেন। আর তাঁরা হযরত আলী (رضي الله عنه)’রও সন্তান। কেননা তাঁরা রাসূলে করীম (ﷺ) ও মাওলা আলী (رضي الله عنه) উভয়ের উত্তর পুরুষ। এটি হল হযরত মা ফাতেমা (رضي الله عنه) ও মাওলা আলী (رضي الله عنه) এঁর মর্যাদা, যা তাঁদের জন্যই নির্ধারিত। ”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ মুহাম্মদ বিন ইসমাইল সানআনি, আত-তায়সীর শরহুল জামিইস সগীর, মাকতাবাতু দারিস সালাম, রিয়াদ, ১ম সংস্করণ, ১৪৩২ হিঃ, ৩য় খন্ড, পৃঃ ২৯৩, হা/নং ১৭১১]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১৬. আরেক বর্ণনায় রয়েছে</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أخرج الطبراني عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: قال رسول اللهﷺ كل سبب ونسب منقطع يوم القيامة، إلا سببی ونسبی۔</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম তাবরানী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)র সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “কিয়ামতের দিন প্রত্যেক উপায় ও বংশীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, শুধু আমার উপায় (উসিলা) ও বংশীয় সম্পর্ক ব্যতিত”। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ইমাম হাইছামীঃ ৯:১৭৩</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.আল মু’জামুল কাবীর, ইমাম তাবরানীঃ ২:২৭ (৩৩) (মসুরা ইবনে মাখমা এর সূত্রে)। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. আল মু’জামুল আওসাতঃ ৬:২৮২ (৫৬০২)। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. আস সুনানুল বায়হাক্বীঃ ৭:১০২ (২৩২৯৪)/ ১৮৫ (১৩৬৬০)। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১৭. অপর বর্ণনায় রয়েছে</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أخرج ابن عساكر في تاريخه عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول اللهﷺ كل نسب وصهر منقطع يوم القيامة، إلا نسبی وصهری؛</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনে আসাকির তার ‘তারীখ’ এ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “প্রত্যেক বংশীয় ও বৈবাহিক সূত্রের আত্মীয়তা কিয়ামতের দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, শুধু আমার বংশীয় ও বৈবাহিক সূত্রের আত্মীয়তা ব্যতিত। অর্থাৎ, কিয়ামতের দিন আমার কোন আত্মীয়তাই নষ্ট হবেনা। ”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.আল মু’জামুল কাবীর, তাবরানীঃ ৩:৪৫ (২৬৩৪)। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. আল ফাওয়ায়েদ, তাম্মাম রাজী, ২:৩৩৩ (১৬০৩)। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. আস সুনানুল কুবরাঃ ৭:১০২ (১৩৩৯৫/১৩৩৯৬) মােসাওয়ার ইবনে মাখরামা (رضي الله عنه) এর হাদিস থেকে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১৮. অন্য বর্ননাতে এসেছে। প্রিয় নবীজি থেকে: হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলে আকরাম (ﷺ) কে বলতে শুনেছি: কিয়ামত দিবসে আঁমার বংশধারা ব্যতীত সকল বংশীয় সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। প্রত্যেক সন্তান তার পিতার দিকে সম্পর্কিত হবে কিন্তু ফাতিমার সন্তানেরা ছাড়া। কেননা, তাদের পিতাও আঁমি আর তাদের বংশধারাও আমি। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[হায়ছমি, মাজমাউজ জাওয়ায়েদঃ ৪:২২৪, তাররাণি, আল মুজামুল কবিরঃ ৩:৪৪, হা/নং ২৬৩১। শাওকানি, নাইলুল আওতার, ৬:১৩৯]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ১৯. হযরত জাবের (رضي الله عنه) আনাস বিন মালেককে বললেন, “একদিন রাসুলে খোদা ﷺ কিছু সাহাবাদের নিয়ে মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন। তখন রাসুলে খোদা ﷺ আমাকে বললেনঃ হে জাবের যাও হাসান ও হোসাইনকে আঁমার নিকট নিয়ে আস। জাবের বললেনঃ পয়গাম্বার ﷺ ঐ দু’জনকে খুব ভালবাসেন, আমিও গিয়েছিলাম ঐ দু’জনকে আনতে। পথিমধ্যে কখনও একজনকে কখনও অন্যজনকে কোলে করে পয়গাম্বার ﷺ এঁর নিকট পৌঁছালাম। পয়গাম্বার ﷺ ওদের দু’জনের প্রতি আমার ভালবাসা ও মমতা দেখতে পেয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন হে জাবের! ঐ দু’জনকে তুমি ভালবাস কি?</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি বললামঃ আমার বাবা ও মা আঁপনার জন্য উৎসর্গ হোক। কেন ওদেরকে ভালবাসব না? আঁপনার নিকট তাঁদের মর্যাদা সম্পর্কে আমি অবগত। অতঃপর পয়গাম্বার ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (আঃ) এঁর ফজিলত ও মহত্ত্ব সম্পর্কে বক্তব্য দেন এবং পরিশেষে ইমাম মেহেদী (আঃ) এঁর পবিত্র আগমন ইমাম হোসাইন (আঃ) এর বংশ থেকে ঘটবে তা উল্লেখ করেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলে খোদা ﷺ তাঁর অব্যাহত বক্তৃতায় বলেনঃ তাঁদের ফজিলত সম্পর্কে কি তোমাকে বলবো? আমি বললামঃ হ্যাঁ, আমার পিতা ও মাতা আঁপনার জন্য উৎসর্গ হোক। পয়গাম্বার ﷺ বললেনঃ মহান আল্লাহ তায়ালা আঁমাকে সৃষ্টি করতে যখন মনস্থ করলেন; আঁমাকে একটি শুভ্র রঙ্গের শুক্রের আকৃতিতে সৃষ্টি করলেন এবং আঁমার আদি পিতা আদম (আঃ) এর অস্থির মধ্য তার প্রবেশ ঘটালেন; এমনিভাবে আঁমাকে পবিত্র অস্থি থেকে পবিত্র গর্ভে স্থানান্তরিত করতেন, তার ধারাবাহিকতা হিসেবে হযরত নুহ, হযরত ইব্রাহীম ও হযরত আব্দুল মোতালেব এর নিকট স্থানান্তরিত হল। কখনও অজ্ঞতার কলুষতা আমার নিকট পৌঁছাইনি সর্বশেষ ঐ শ্বেত শুক্র দুইভাগে বিভক্ত হলো। এক ভাগ আঁমার বাবা আব্দুল্লাহ ও অন্য ভাগ আঁমার চাচা আবু তালেবর অভ্যন্তরে প্রবেশ ঘটলো। আব্দুল্লাহ ঐ পবিত্র ও নুরানী শুক্র থেকে আঁমাকে জন্ম দিয়েছেন। আর আঁমি হলাম আঁমার খোদার সর্বশেষ প্রেরিত রাসুল, আর নবুওয়াত আঁমার ঊপর সমাপ্ত হয়েছে। আর আবু তালেব থেকে আলীর জন্ম হয়। যিঁনি সর্বশেষ পয়গাম্বরের ওসী বা ঊত্তরসূরী। আঁমার ও আলীর শুক্রের সংমিশ্রনের মাধ্যমে দু’জন সুন্দর ফুটফুটে সন্তান হাসান ও হোসাইনের আগমন ঘটে। যারা আল্লহর পয়গাম্বারের সর্বশেষ বংশধর আর আল্লাহ তায়ালা আঁমার বংশধর ঐ দু’জন থেকে অব্যাহত রেখেছে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতঃপর পয়গাম্বার ﷺ হোসাইন (আঃ) এর দিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ আঁমার সর্বশেষ উত্তরসূরী যিনি পূর্ণ বিজয়ের মাধ্যমে কাফেরদের সকল শহর জয় করবেন এবং অন্যায় ও অত্যাচারে ভরপূর জমিনকে ন্যায় ও ইনসাফে পরিপূর্ণ করবেন। তিনি হবেন তাঁর বংশ হতে। আঁমার এই দু’সন্তান হাসানাইন পাক পবিত্র ও বেহেস্তের যুবকদের সর্দার। সৌভাগ্যবান তারাই যারা এ দুজন ও তাঁদের পিতামাতাদেরকে ভালবাসবে। আর দুর্ভাগ্য তাদের যারা এদুজন ও তাদের পিতা মাতাদের সাথে শত্রুতা করবে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সুত্রঃ ভিজেগীহয়ে পয়গাম্বার আযম (ﷺ) আল খাসায়েসুন নাবুওয়াহ) অনুবাদঃ মোঃ শহীদুল হক]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أَنَا وَ عَلِيٌّ مِنْ شَجَرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَ النَّاسُ مِنْ أشْجَارٍ شَتَّي.</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আঁমি আর আলী (رضي الله عنه) একই বৃক্ষ থেকে, আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক.) আল মানাকিব-ইবনে মাগাযেলী:৪০০/৫৩</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খ.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬০৮/৩২৯৪৩</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(গ.) আল ফেরদৌসঃ ১:৪৪/১০৯</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ঘ.) মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ৯:১০০</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لِكُلِّ نَبِيٍّ وَصِيٌّ وَ وَارِثٌ، وَ إَِنَّ عَلِيّاً وَصِيِّي وَ وَارِثِي.</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি থাকে। আর আঁমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী (رضي الله عنه)। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক.) আর রিয়াদুন নাদরাহঃ ৩:১৩৮</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খ.) আল ফেরদৌসঃ ৩:৩৩৬/৫০০৯</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(গ.) ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকিরঃ ৩: ৫/১০৩০-১০৩১</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত ফাতিমাকে বলেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَصِيِّي خَيْرُ الْأَوْصِيَاءِ، وَ أَحَبُّهُمْ إِلَي اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَ هُوَ بَعْلُكَ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওয়াসিগণের মধ্যে আঁমার ওয়াসীই সর্বোত্তম এবং আল্লাহর নিকটে তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়তম। আর সে হলো তোমার স্বামী। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">  তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক.) মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ৯:১৬৫</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খ.) যাখায়িরুল উকবাঃ ১৩৬</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২৩. একবার নবীজী (ﷺ) ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের পিতা হযরত আলী (رضي الله عنه) কে  বললেন, হে আলী (رضي الله عنه), তোমার মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট আছে, যা অন্য কারো মধ্যে নেই, এমনকি আঁমার মধ্যেও নেই। হযরত আলী (رضي الله عنه) বললেন, হে আল্লার রাসুল (ﷺ), এ আঁপনি কি বলছেন! এও কি সম্ভব, আঁপনি হলেন, সাইয়্যেদুল মুরসালীন। “নবীজী (ﷺ) মৃদু হেসে তখন বললেন, তোমার বৈশিষ্টগুলি হচ্ছে যেমন তোমার জন্ম পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে হয়েছে, আঁমার হয়নি। তোমার শ্বশুর সাইয়্যেদুল মুরসালীন, আঁমার নয়। তোমার শ্বাশুড়ী হযরত খাদীজাতুল কোবরা সিদ্দীকা, আঁমার নয়। তোমার স্ত্রী হলেন জান্নাতের সম্রাজ্ঞী, আঁমার নয়। তোমার দুই পুত্র, ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেন জান্নাতের যুবকদের সর্দার, আঁমার নয়। তাই তুমি কত ভাগ্যবান ও মর্যাদাবান। তবে তোমরা সবাই আঁমার হতে আর আমি তোমাদের থেকে। “</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">         তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক.) নবীর (ﷺ) বংশধর (আঞ্জুমানে কাদেরীয়া, চট্রগ্রাম), পৃ-২২। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খ.) আরজাহুল মাতালেবঃ পৃ-৪১২</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(গ.) ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাতঃ পৃ-৪৬</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ঘ.) শাওয়াহেদুত তানযিলঃ ১ম খন্ড, পৃঃ ৪১৪</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ঙ.) নুরুল আবসারঃ পৃ-১০২</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(চ.) আর রিয়াদুন নাদরাহঃ ৩য় খন্ড, পৃঃ ১৭২। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২৪. হযরত ইমাম হাসান (رضي الله عنه) ও ইমাম হোসাইন (رضي الله عنه) সর্বোত্তম বংশের অধিকারী: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম (ﷺ) ইরশাদ করেন: হে লোকেরা আঁমি কি তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে অবহিত করবো না যারা নানা-নানীর দিক দিয়ে সকলের চেয়ে উত্তম? আঁমি কি তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে বলবো না, যারা চাচা ও ফুফুর দিক দিয়ে সকলের চেয়ে উত্তম? আঁমি কি তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে বলবো না, যারা পিতা-মাতার দিক দিয়ে সকলের চেয়ে উত্তম? তারা হলো, হাসান ও হোসাইন। তাদের নানা আল্লাহর রাসূল, তাদের নানী খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ। তাদের মাতা আল্লাহর রাসূলের কন্যা ফাতিমা। তাদের পিতা আলী ইবনু আবি তালিব। তাদের মামা আল্লাহর রাসূলের পুত্র কাসিম এবং তাদের খালা রাসূলুল্লাহ’র কন্যাগণ যয়নব, রোকেয়া ও উম্মে কুলসুম। তাদের নানা, পিতা, মাতা, চাচা, ফুফু, মামা ও খালা সকলেই জান্নাতে থাকবে এবং এরা দুই জনও থাকবে জান্নাতে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তাবরাণি, আল মুজামুল কবিরঃ ৩:৬৬, হা/ নং ২৬৮২, ইবনে আসাকির, তারিখে দামিশ্কিল কবিরঃ ১৩:২২৯, হায়ছমি, মাজমাউজ জাওয়ায়েদঃ ৯:১৮৪]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ড: আল্লামা ইকবাল রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন, ‘‘সিরের ইবরাহীম ইসমাঈল বুয়দ ইয়া’নি ইসমাঈল রা তাফসীলে বুয়দ। ’’</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ ইবরাহীম আলায়হিস্ সালাম এবং হযরত ইসমাঈল আলায়হিস্ সালাম-এঁর সেই কোরবানির ঘটনা ছিল এক গূঢ় রহস্য, আর তার প্রাকটিক্যাল নমুনা হলো কারবালার যমীনে ইমাম হোসাইন (رضي الله عنه)'র শাহাদাত। হুযূর (ﷺ)-এঁর ওফাত শরীফের পর শেরে খোদা হযরত আলী ও নবী দুলালী মা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা-এঁর বংশ অব্যাহত থাকে। সেই শাহাদাত সংঘটিত হওয়ার সময় যাকে যবেহ ইসমাঈল প্রতিপাদ্য করা হয়েছে। অর্থাৎ কারবালার ময়দানের ঘটনা নবী করিম (ﷺ)-এঁর পরিবারের পবিত্র রক্তে রঞ্জিত এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর আহলে বাইত তথা আউলাদে রাসূলগণকে আল্লাহ্ তা‘আলা যে মর্যাদা দান করেছেন তা সাধারণ মুমিন মুসলমানদের দেয়া হয়নি। কারণ তাঁরা আল্লাহর রাসূলের বংশধর। ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (رضي الله عنه)কে আল্লাহর রাসূল নিঁজের পুত্রের মত ভালোবাসতেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২৫. হাদীসে পাকে এসেছে- হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাস‘ঊদ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি দেখেছি, নবী করিম (ﷺ) ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের হাত ধরে বলেছেন-এঁরা আঁমার সন্তান। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[দায়লামী আল্ ফিরদাউস বিমা’ সূরিল খিতাব- ৪/৩৩৬, হাদীস ৫৯৭৩]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান ও হোসাইন আহলে বাইত:</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২৬. হযরত উম্মে সালামা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম (ﷺ) ফাতিমা, হাসান ও হোসাইনকে একত্রিত করে তাদেরকে স্বীয় চাদরের ভেতরে ঢুকিয়ে বললেন: হে আল্লাহ! এরা আঁমার আহলে বাইত। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">          তথ্যসূত্রঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক.) হাকেম, আল মুস্তাদরাকঃ ৩:১৮০, হা/নং ৪৭০৫</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খ.) তাররাণি, আল মুজামুল কবিরঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩:৫৩, হা/নং ২৬৬৩</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(গ.) তাবারি, জামেউল কুরআন ফি তাফসিরুল কুরআনঃ ২২:৮</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ঘ.) ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আজিমঃ ৪:৪৮৬</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২৭. রাসূলে আকরাম (ﷺ)’র পালিত হযরত ওমর ইবনে আবু সালাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন হযরত উম্মে সালমা (رضي الله عنه)র ঘরে নবীজির উপর এ আয়াত….নাজিল হলো তখন তিনি ফাতিমা ও হাসনাইন করিমাইনকে ডাকলেন এবং তাদেরকে একটি চাদরের মধ্যে জড়িয়ে নিলেন। হযরত আলী তাঁর পেছনে ছিলেন। তিনি তাকেও চাদরে জড়িয়ে নিলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহ! এরা আমার আহলে বাইত। সুতরাং তাদের থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর করো এবং তাদেরকে পূত-পবিত্র করো। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তিরমিযি, ৫:৩৫১, জামেউল বয়ান, ২২:৮। ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইমাম হাসান (رضي الله عنه) ও ইমাম হোসাইন (رضي الله عنه) প্রিয় নবীর বৈশিষ্ট্যসমূহের ওয়ারিছ:</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২৮. হযরত সৈয়দা ফাতিমা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিঁনি স্বীয় পিতা রাসূলে আকরাম (ﷺ)’র বেসালপূর্ব অসুস্থাবস্থায় হাসান ও হোসাইনকে তার কাছে নিয়ে আসলেন। অতঃপর তিুনি আরজ করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এদের দু’জনকে আঁপনার উত্তরাধিকার থেকে কিছু দান করুন। তিঁনি  ইরশাদ করেন: হাসান আঁমার ভীতিসঞ্চারক ও নেতৃত্ব এ দুটির ওয়ারিশ; আর হোসাইন আঁমার ধৈর্য ও দানশীলতা এ দুটির ওয়ারিশ। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল মুজামুল কবিরঃ ২২:৪২৩, আল আহাদ ওয়াল মাসানিঃ ১:২৯৯]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ২৯. প্রিয় নবী (ﷺ) নিজেই তাঁদের নাম রেখেছেন: হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিঁনি বলেন, যখন হযরত ফাতিমার ঘরে হাসানের জন্ম হলো তখন রাসূলে আকরাম (ﷺ) আগমন করলেন অতঃপর বললেন: আঁমাকে আঁমার সন্তান আঁমাকে দেখাও; তোঁমরা তাঁর কি নাম রেখেছো? আঁমি বললাম, আঁমি তার নাম রেখেছি হারব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন: না; বরং সে হবে হাসান। অতঃপর যখন হোসাইনের জন্ম হলো তখন প্রিয় নবী আগমন করলেন আর বললেন: আঁমাকে আঁমার সন্তান আঁমাকে দেখাও; তোমরা তার কি নাম রেখেছো? আমি বললাম, আমি তার নাম রেখেছি হারব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন: না; বরং সে হবে হোসাইন। অতঃপর তৃতীয় সন্তান জন্মগ্রহণ করলো তখন তখন প্রিয় নবী আগমন করলেন আর বললেন: আমাকে আমার সন্তান আমাকে দেখাও; তোমরা তার কি নাম রেখেছো? আমি বললাম, আমি তার নাম রেখেছি হারব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন: না; বরং তার নাম মুহসিন। অতঃপর ইরশাদ করলেন: আমি তাদের নাম হারুন আলায়হিস সালামের সন্তান শাব্বার, শাব্বির ও মুশাব্বার-এর নামের ওপর রেখেছি। আরবি ভাষায় এ তিনটি নাম হলো-হাসান, হোসাইন ও মুহসিন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[হাকেম, আল মুস্তাদরাকঃ ৩:১৮০, হা/নং ৪৭৭৩, আহমদ বিন হাম্বল, আল মুসনাদ, ১:১১৮, হা/নং ৯৩৫]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ৩০. হযরত উম্মুল ফযল বিনতে হারেস (رضي الله عنه) হতে বর্ণীত, একদা তিনি রাসুল ﷺ এঁর নিকট গিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! ﷺ আজ রাতে আমি একটি খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। তিনি বললেন, সে স্বপ্ন টা কি ? উম্মুল ফযল বললেন, আমি দেখেছি, আঁপনার দেহ মোবারক হতে যেন এক টুকরা গোশত কর্তন করা হয়েছে এবং উহা আমার কোলে রাখা হয়েছে। তখন রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তুমি খুব উত্তম এবং চমৎকার স্বপ্নই দেখেছ। ইন্‌ শা আল্লাহ্‌ আঁমার কন্যা ফাতেমা একটি ছেলে সন্তান প্রসব করবে, যা তোমার কোলেই রাখা হবে। সুতরাং কিছুদিন পর ফাতেমার গর্ভে হোসাইন (আঃ) এঁর জন্ম গ্রহন করলেন এবং তাকে আমার কোলেই রাখা হলো, যেমনটি রাসুল ﷺ বলেছিলেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মেশকাত, হাদিস নং ৫৯২০]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইমাম হাসান (رضي الله عنه) ও ইমাম হোসাইন (رضي الله عنه) জান্নাতি নাম সমূহের দু’টি নাম:</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ৩১. হযরত ইমরান বিন সুলাইমান (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাসান ও হোসাইন জান্নাতিদের নামসমূহের দুটি নাম। যে দুটি নাম জাহেলি যুগে কারো নাম হিসেবে রাখা হয় নি। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ইবনে হাজর মক্কি, আস সাওয়ায়েকুল মুহরাকাঃ ১৯২, ইবনে আসির, উসদুল গাবা ফি মারিফাতিস সাহাবাঃ ২: ২৫]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ৩২. নবীজি হাসান ও হোসাইনের কানে আযান দিয়েছেন: হযরত আবু রাফে (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন হাসান ও হোসাইন জম্মগ্রহণ করলেন তখন রাসূলে আকরাম (ﷺ) স্বয়ং তাদের উভয়ের কানে আযান দিয়েছেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তাবরানী, আল মুজামুল কবির-১:৩১৫, হা/নং ৯৩১, হায়ছমি, মাজমাউজ জাওয়ায়েদঃ ৪:৬০]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ৩৩. প্রিয় নবীজি  (ﷺ) হাসান ও হোসাইনের (رضي الله عنه) আকিকা করেছেন: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম (ﷺ) হাসান ও হোসাইনের পক্ষ থেকে আকিকার মধ্যে প্রত্যেকের জন্য দুটি করে দুম্বা যবেহ করেছেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[নাসাই, হা/নং ৪২১৯, শরহে মুয়াত্তা:৩:১৩০]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ৩৪. হাসান ও হোসাইন প্রিয় নবী (ﷺ) এঁর সন্তান: হযরত ফাতিমা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম (ﷺ) আঁমার ঘরে আগমন করলেন আর বললেন, আমার সন্তানরা কোথায়? আমি বললাম, আলী তাদেরকে সাথে নিয়ে গেছেন। নবীজি তাদের সন্ধানে বের হলেন। আর তাদেরকে পানি পান করার একটি স্থানে খেলারত অবস্থায় পেলেন। আর তাদের সম্মুখে কিছু অবশিষ্ট খেজুর দেখতে পেলেন। অতঃপর তিঁনি বললেন: আলী খেয়াল রেখো! আঁমার সন্তানদেরকে গরম শুরু হওয়ার আগেই ফিরিয়ে নিয়ে এসো। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[হাকেম, আল মুস্তাদরাকঃ ৩:১৮০, হা/নং ৪৭৭৪, দুলাবি, আয যুররিয়্যাতুত তাহিরা: ১:১০৪, হা/নং ১৯৩]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ৩৫. আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আঁপনার আহলে বায়েত (পরিবারের) এর মধ্যে আঁপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয় কে? তিনি বলেন: হাসান ও হুসাইন। আনাস (رضي الله عنه) বলেন : তিনি ফাতিমা (رضي الله عنه) কে বলতেন আঁমার দু’সন্তানকে ডাক। এরপর তিনি তাঁদের উভয়কে নাকে শুকতেন ও বুকে চেপে ধরতেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 14pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তিরমিজি শরীফ, ষষ্ঠ খণ্ড, হাদিস নং ৩৭৭২]</span></p>

মানাক্বিবে আহলে বাইতঃ ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (আঃ)

হাসান ও হোসাইনের বংশধারা ❏ ১০. রাসূলে করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন- إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ جَعَلَ ذُرِّيَّةَ كُلِّ نَبِيٍّ فِي صُلْبِهِ، وَإِنَّ ا...

Read more »