আলী (আলায়হিস সালাম) ➡️[বুখারী]
ফাতিমা (আলায়হাস সালাম) ➡️ [বুখারী]
আল হুসাইন (আলায়হিস সালাম) ➡️[বুখারী]
➡️ [তিরমিজি]
আহলে বাইতের নামের শেষে আলায়হিস সালাম ও কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এর ব্যবহার নিয়ে আহলে হাদিসের অভিযোগের জবাবঃ
কৃতঃ মুহাম্মদ রাকিব আত্তারী
কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَه) ব্যবহার করা কি শিয়াদের চিহ্ন..! এটা কি বানানো...?
কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهُ) এর অর্থ অনেকটা এমন "উনার চেহারাকে আল্লাহ উজ্জ্বল বা সম্মানিত করুক"।
সিহাহ সিত্তার বিভিন্ন জায়গায় পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যগণের নামের শেষে রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ব্যবহারের পাশাপাশি কিছু জায়গায় আলায়হিস সালাম ব্যবহৃত হয়েছে এটা হয়ত আমরা অনেকেই জানতে পেরেছি। কিন্তু এছাড়াও আহলে বাইতের নামের শেষে বিশেষ করে আলী রাঃ এবং ফাতেমা রাঃ এঁর নামের শেষে কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু /ওয়াজহাহা ব্যবহৃত হয়েছে। মাওলা আলীর নামের শেষে كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهُ ব্যবহার করেছেন ইমাম নাসাঈ রহঃ, যাঁকে দামেস্কের নাসেবী-খারেজী মতাদর্শীরা আলী রাঃ এঁর প্রশংসায় কিতাব লেখার কারণে শিয়া অপবাদ দিয়ে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে এবং উনার খাদেম উনাকে সেখান থেকে উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে পৌঁছে তিনি বলেন, আমাকে মক্কায় পৌঁছে দাও, যাতে আমার মৃত্যু মক্কায় বা মক্কার রাস্তায় হয়। কথিত আছে যে, মক্কায় পৌঁছার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ইমাম নাসাঈ রহঃ মাওলা আলীর নামের শেষে كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهُ ব্যবহার করেছেন সূনান আন নাসাঈ এর ৮৩৫, ৪৪২৫, ৫৬১১, ৫৬১২, ৫৬২৭ ইফাঃ নং হাদিসে।
এছাড়াও জান্নাতী রমনীদের সর্দারনী মা ফাতেমা রাঃ এঁর নামের শেষে كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهَا ব্যবহার করেছেন ইমাম আবূ দাউদ রহঃ সূনান আবূ দাউদ এর ৫২১৭ নং হাদিসে মুবারকায়।
এভাবে আহলে বাইতের নামের শেষে আলায়হিস সালাম ব্যবহৃত হয়েছে সহীহ বুখারী ২০৮৯, ৩৭১৬, ৩৭৪৮, ৩৭৬৭....এভাবে সূনান আত তিরমিজি, সূনান আবূ দাউদসহ সিহাহ সিত্তার বাইরের কিতাবগুলোতেও আহলে বাইতের নামের শেষে আলায়হিস সালাম ব্যবহৃত হয়েছে, অন্যান্য খুলাফায়ে রাশেদীনদের নামের পরেও আলায়হিস সালাম ব্যবহৃত হয়েছে সিহাহ সিত্তার বাইরের কিতাবে। ইনারাও শিয়া ছিলেন নাকি..!
আর আমরা সুন্নিরা কখনো প্রভু অর্থে আলীর শানে মাওলা শব্দ ব্যবহার করিনা।
- আল্লাহ পাকও মাওলা। আল্লাহর ক্ষেত্রে মাওলা শব্দ আসলে এর অর্থ হবে তিনি আমাদের মালিক, প্রভু। অর্থ হবে ব্যাপক।
- আর সৃষ্টির ক্ষেত্রে মাওলা আসলে অর্থ হবে সীমিত। এর অর্থ হতে পারে অভিভাবক, বন্ধু, (আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায়) সাহায্যকারী.....।
- সুতরাং এখানের শিরিক খোঁজার কিছুই নেই...
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদেরকে শুভবুদ্ধি দিক। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমার ভুলত্রুটি ক্ষমা করুক। আমাদের সকলকে সত্য জানার, সত্য মানার, সত্য গ্রহণ করার তাওফিক দান করুক। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,
"আর অবশ্যই আমি (আল্লাহ) বহু সংখ্যক জ্বীন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি, তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে দেখে না, তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে শোনে না, তারা জন্তু-জানোয়ারের মত, বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট, তারা একেবারে বে-খবর।" (সূরা আরাফঃ ১৭৯)
"আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে যারা (হক্ব কথা শুনার ব্যাপারে) বধির এবং (হক্ব কথা বলার ব্যাপারে) বোবা, যারা উপলব্ধি করে না (বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না।" (সূরা আনফালঃ ২২)