وَعِبَادُ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى ٱلْأَرْضِ هَوْنًا وَإِذَا خَاطَبَهُمُ ٱلْجَٰهِلُونَ قَالُوا۟ سَلَٰمًا
'রহমান-এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম।' [১]
And the servants of (Allah) Most Gracious are those who walk on the earth in humility, and when the ignorant address them, they say, Peace!;
এই আয়াতে কারীমায় স্বয়ং রব তাঁর প্রিয় বান্দাদের দুটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। যখন তারা চলাফেরা করে তখন দম্ভভরে, অহংকার নিয়ে চলাফেরা করে না। বরং তাঁরা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাচল করে। তারপর বলা হয়েছে, যখন মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলতে আসে, তখন তারা তাদের সাথে তর্কে-লিপ্ত হয়ে সময় অপচয় করে না। তাদেরকে ইগনোর করে। বলে— সালাম।
এই আয়াতে করীমার দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝবেন— রব কতটা ভালোবাসা নিয়ে কথাগুলো বলেছেন! প্রকৃতপক্ষে কাফের, মুশরেকসহ পৃথিবীতে বিচরণকারী সবাই আল্লাহর বান্দা। কিন্তু এখানে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দাগণকে বিশেষায়িত করেছেন। এই আয়াতে ব্যবহার করেছেন তাঁর মহামহিম গুণবাচক নাম— রাহমান। দয়াময় এই নামসহ কত দরদ নিয়ে রব বলেছেন— তাঁর মুমিন বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। এর থেকে বুঝা যায়, যে মুসলমানের মধ্যে এই দুটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় তাঁরা খুবই সৌভাগ্যবান।
মুদ্রার ওল্টোপিঠটাও একবার দেখা জরুরি। পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা কারীগন যদি সৌভাগ্যবান হন, তাহলে যারা তার বিপরীত— তারা অবশ্যই দূর্ভাগা। যারা অহংকার, দম্ভ নিয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করে তারা লাঞ্চনার হকদার। তাই আসুন আমরাও রবের প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করি। এবং আয়াতে করীমার ওপর আমল করি।
Reference:
[১] সূরা ফুরকান, আয়াত- ৬৩।