আহলে বাইতে রাছূল ও সাহাবায়ে কিরাম বিশেষ করে সাইয়্যিদুনা মওলা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও সাইয়্যিদুনা আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদা কিরূপ হবে সেই ব্যাপারে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন মুহাদ্দিসে বেরলভী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
امیر معاویہ رضی اللہ تعالی عنہ تو ان کا درجہ ان سب (عشرہ مبشرہ وغیرہ) کے بعد ہے ۔ اور حضرت مولا علی المرتضیٰ رضی اللہ عنہ کے مقام رفیع (مراتب بلند وبالا) و شان منیع (عظمت ومنزلت) تک تو ان سے وہ دور دراز منزلیں ہیں جن ہزاروں ہزار رہوار برق کردار (ایسے کشادہ فراخ قدم گھوڑے جیسے بجلی کا کوندا) صبا رفتار ( ہوا سے بات کرنے والے ، تیز رو، تیز گام ) تھک رہیں اور قطع (مسافت) نہ کرسکیں ۔ مگر فضل صحبت (و شرف صحابیت وفضل) و شرف سعادت خدائی دین ہے ۔ ( جس سے مسلمان آنکھ بند نہیں کرسکتے تو ان پر لعن طعن یا ان کی توہین تنقیص کیسے گوارا رکھیں ۔ (فتاویٰ رضویہ، جلد 29، صفحہ 370، مطبوعہ رضا فاؤنڈیشن لاھور)
ভাবার্থ- হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্থান আশরায়ে মুবাশশারা ও অন্যান্যদের পরে। হযরত মওলা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর শান-মান ও মর্যাদার মাঝে এতটুকু পার্থক্য যে, বিদ্যুতগতির কোন ঘোড়া হাজার বছর ধরে দৌড়াতে থাকলেও, তবুও হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত মওলা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মর্যাদায় পৌঁছাতে পারবে না।
কিন্তু হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু আল্লাহর হাবিবের সাহাবি ও আল্লাহ্ প্রদত্ত সন্মানের কারণে উনাকে লা'নত করা, সমালোচনা করা অথবা উনাকে অসম্মান ও উনার দোষত্রুটি তালাশ করা নিষিদ্ধ।
(ফাতাওয়া রেযভীয়া, 29 তম খন্ড, 370 পৃষ্ঠা)
আ'লা হযরত রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন,
فرق مراتب بے شمار
اور حق بدست حیدر کرار
مگر معاویہ بھی ہمارے سردار
طعن ان پر بھی کار فجار
جو حضرت معاویہ رضی اللہ عنہ کی حمایت میں عیاذ باﷲ حضرت علی اسد ﷲ رضی اللہ عنہ کے سبقت و اوّلیت و عظمت واکملیت سے آنکھ پھیر لے وہ ناصبی یزیدی اور جو حضرت علی اسد ﷲ رضی اللہ عنہ کی محبت میں معاویہ رضی اللہ عنہ کی صحابیت و نسبت بارگاہ حضرت رسالت بھلا دے وہ شیعی زیدی یہی روش آداب بحمد ﷲ تعالٰی ہم اہل توسط و اعتدال کو ہر جگہ ملحوظ رہتی ہے ـ (فتاویٰ رضویہ، جلد10، صفحہ199
ভাবার্থ- মওলা আলী ও আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুমার মাঝে মর্যাদাগত বিশাল পার্থক্য রয়েছে, যা গননার বাইরে। আর মওলা আলী হায়দারে কাররার হক্বের উপর ছিলেন, (মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর পদক্ষেপ ভুল ছিলো।) কিন্তু তিনিও আমাদের সরদার। উনাকে আঘাত করা ফাসিক-ফাজিরের কাজ।
আর যে ব্যক্তি হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর পক্ষে বলতে গিয়ে সাইয়্যিদুনা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর শান-মান ও মর্যাদাকে খাটো করে, সে ইয়াযিদী নাসেবী। আর যে ব্যক্তি মওলা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মহব্বতের আড়ালে হযরত আমিরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর শান-মানকে খাটো করে, সে যায়দি শিয়া।
আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হচ্ছে, মধ্যেপন্থি মসলক, যা প্রতিটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখে। (ফাতাওয়া রেযভীয়া, 10 খন্ড, 199 পৃষ্ঠা।)