কোনো কোনো দিন মেজাজ টা খুব ফুরফুরে থাকে। সবকিছুই ভালো লাগে। খারাপ জিনিসগুলোকেও তখন পজিটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে মন চায়। সকল কাজের প্রতি আগ্রহও থাকে বেশ, আত্নবিশ্বাসের স্তরটাও ভালোই থাকে। সবমিলিয়ে মন ভালো থাকলে, আশা-পাশের সবকিছুই ভলো লাগে। দিনটা ভালোই যায় আলহামদুলিল্লাহ।
আবার কিছু কিছু দিন এমন যায় কোনো-কিছুই ভালো লাগে না। হতাশা, অস্থিরতা নানান রকম কষ্ট এগুলো দিনটাকেই নষ্ট করে দেয় মনে হয়। হয়তো আপনাকে নিয়ে করা কারো কোনো— সমালোচনা কানে আসল বা কোনো কিছু নিয়ে খুব চিন্তাগ্রস্থ। যেকোনো কারণই হতে পারে। ভালো কাজটাও করতে সেদিন ভালো লাগে না, কারো সাথে কথা বলারও তেমন ইচ্ছে হয় না।
আমাদের বৈশিষ্ট্য হলো— প্রথম অনুভূতিগুলোর সময় রবের খুব প্রশংসা করতে থাকি আর দ্বিতীয় অনুভূতিগুলোর কথা যখন আসে তখন অভিযোগের যেন শেষ নেই।
তবে একটা জিনিস স্বীকার আপনাকে করতেই হবে— উভয়টিই কিন্তু আল্লাহর অনেক বড় নিয়ামত। চিন্তা করুন তো, যদি রাগ, কষ্ট, হতাশা না থাকত, তাহলে কি কখনো সুখ, প্রশান্তি নামক জিনিসগুলো আমরা অনুভব করতে পারতাম? কখনো কি সুখের সময়গুলোতে আকাশে ডানা মেলে ওড়ার কল্পনা এসে ধরা দিত? দুঃখ আছে বিধায় সুখটা আমরা উপভোগ করতে পারি।
'এবং তিনিই হাসান ও কাঁদান।' [১] যদি সুখ, দুঃখের— এসব আবেগ-অনুভূতি না থাকতো তাহলে জীবনটা কেমন পানসে হয়ে যেত না! আমরা কেমন একটা রোবটের মতো হয়ে যেতাম। তাই রব জীবনটাকে উপভোগ্য করে তুলার জন্য এসব নিয়ামত দ্বারা আমাদেরকে ধন্য করেছেন।
সবশেষে, সবপরিস্থিতে প্রশংসা সেই রবের যিনি আমাকে এত ভালোবাসেন। যিনি আমার আবেগ-অনুভূতিগুলোরও এতো খেয়াল রাখেন।
Reference:
[১] সূরা নাজম, আয়াত- ৪৩।