মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়ার ৬ টি লক্ষন

<div>আপনি কি জানেন মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়ার ৬ টি লক্ষন।</div><div>                  মৃতের ৬ টি ধাপ রয়েছে—</div><div><br></div><div>❃ প্রথম ধাপের নাম ইয়াউমুল মাউত!</div><div>এই দিনেই মানুষের জীবনের সমাপ্তি ঘটবে, হায়াত ফুরিয়ে যাবে। আল্লাহ্ ফেরেশতাদের নির্দেশ দিবেন জমিনে গিয়ে রুহু কবজ করে নিয়ে আসতে। দুঃখজনক হলেও সত্য, কেউ এই দিন সম্পর্কে জানেনা। এমনকি যখন এইদিন চলে আসবে সেইদিন ও সে জানবে না আজ তার মৃত্যুর দিন। মৃত্যুর বিষয়টি উপলব্ধি না করা সত্বেও দেহে কিছু পরিবতর্ন অনুভব করবে। মুমিনের অন্তরে প্রশান্তি অনুভব হবে আর পাপিষ্ঠ বুকে খুব চাপ অনুভব করবে। এই স্তরে শয়তান এবং দুষ্ট জীন ফেরেশতাদের নামতে দেখবে। কিন্তু মানুষ তাদের দেখবেনা। এই পদক্ষেপটি কুরআনে বর্ণিত হয়েছে</div><div>﴿وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ..﴾۱).</div><div>অর্থাৎ, তোমরা সেই দিনকে ভয় করো যেদিন তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে আল্লাহর কাছে। অতঃপর প্রতিটি নফ্সকে পরিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে তার কর্মফল। ☞ (সূরা বাক্বারা)</div><div><br></div><div>❃ এরপর আসবে দ্বিতীয় ধাপ!</div><div>এটা হচ্ছে ধীরেধীরে রুহু কবজ করার পালা। এই ধাপে রুহ পায়ের পাতা থেকে আরোহণ শুরু করে গোছা, হাটু, পেট, নাভি ও বুকের উপর হয়ে মানব দেহের "তারাক্বি" নামক স্থানে পৌছে যায়। এই সময় মানুষ ক্লান্তি ও অস্থিরতা অনুভব করেন। এবং একধরণের অসহনীয় চাপ অনুভব করেন। তখনও তিনি জানতে পারেন না যে তার রুহু বের হয়ে যাচ্ছে।</div><div><br></div><div>❃ তারপর শুরু হয় তৃতীয় ধাপ!</div><div>এই ধাপের নাম " তারাক্বি " কুরআনে এই স্তরের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে ;</div><div>﴿كَلَّا إِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ (٢٦) وَقِيلَ مَنْ رَاقٍ (٢٧) وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ (٢٨) وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ (</div><div>﴾ (سورة القیامة)</div><div>অর্থাৎ, ‘কখনও না, যখন প্রান কণ্ঠাগত হবে। এবং বলা হবে, কে ঝাড়বে। এবং সে মনে করবে যে, বিদায়ের ক্ষন এসে গেছে’। পায়ের গোছা অন্য গোছার সাথে জড়িয়ে যাবে। ☞ (সূরা কিয়ামাহ)</div><div><br></div><div>তারাক্বি বলা হয় কণ্ঠনালিরর নিচে ২ কাধ পর্যন্ত বিস্তৃত হাড়কে। "কে ঝাড়বে" অর্থাৎ আত্মিয়-স্বজনদের কেউ কেউ বলবে : ডাক্তার ডাকি, অন্যজন বলবে ইমারজেন্সিতে কল করি, আবার কেউ বলবে কুরআন পড়ে ফু দেই। এই পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ জীবনে ফিরে আসার আশা করতে থাকবে। সে বিশ্বাসই করতে চাবেনা যে রুহু তার দেহ ত্যাগ করছে!! (وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ সে মনে করবে, বিদায়ের ক্ষন এসে গেছে) </div><div>অর্থাৎ, সে এখনো মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত নয়। সে বাচার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু আল্লাহ তা'লা বলেন :(وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ) পায়ের গোছা অন্য গোছার সাথে জড়িয়ে যাবে)</div><div>অর্থাৎ মৃত্যুর বিষয় এখন চূড়ান্ত। রুহু গোছাদ্বয় থেকে বেরিয়ে গেছে। সে আর পা নাড়াতে পারবেনা। এবং রুহু দেহ থেকে বের হয়ে তারাক্বিতে পৌছে গেছে।</div><div>                                ("كَلَّا إِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ")</div><div>অর্থাৎ, ‘কখনও না, যখন প্রান কণ্ঠাগত হবে!</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjAqXFqZL5Zq41wABPVCT0eFlkh_zRGUR9kQpviudgq2I6HDXlIoM2-tyrVO4h_QW5M4dADdZ6z8pT-dULTThriPg_m1x3qo_bNT75ou-VbDcIJf6PWqiD7ih_9FHq6AJesxZKmFQjPrI9N/s1600/images+%25286%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="725" height="176" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjAqXFqZL5Zq41wABPVCT0eFlkh_zRGUR9kQpviudgq2I6HDXlIoM2-tyrVO4h_QW5M4dADdZ6z8pT-dULTThriPg_m1x3qo_bNT75ou-VbDcIJf6PWqiD7ih_9FHq6AJesxZKmFQjPrI9N/s1600-rw/images+%25286%2529.jpeg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>❃ অতঃপর আসবে চতুর্থ ধাপ।</div><div>এই ধাপের নাম হুলক্বুউম :</div><div>মৃত্যুর এটাই শেষ স্তর এবং মানুষের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের কঠিন স্তর। এই সময় তার চোখের পর্দা সরিয়ে দেওয়া হবে। এবং সে চারপাশে উপস্থিত ফেরেশতাদের দেখতে পাবে। এখান থেকেই আখেরাত দর্শনের স্তর শুরু হবে।</div><div>فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ ﴾ ( سورة - ق)</div><div>অর্থাৎ, আমি তোমার সামনে থেকে পরদা সরিয়ে দিয়েছি, এখন তোমার দৃষ্টি প্রখর। ☞ (সূরা ক্বফ)</div><div>এই স্তরকে হুলক্বুউম নামকরণ করা হয়েছে আল্লাহর কালামের কারনে :</div><div>{ فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتْ الْحُلْقُوم (٨٣) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (٨٤) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ }</div><div>অর্থাৎ, প্রান যখন কণ্ঠাগত হয় তখন তোমরা তাকিয়ে থাকো। আর আমি তোমাদের চেয়ে তার নিকটতর। কিন্তু তোমরা তা দেখতে পাওনা। </div><div>☞ (সূরা ওয়াকিয়াহ)</div><div>ُ আল্লাহ্ তার চতুর্পাশে উপস্থিত ব্যক্তিদের সম্বোধন করে বলছেন; তোমরা যেখানে আছো সেও সেখানেই আছে। সে যা দেখতে পাচ্ছে তোমরা তা দেখতে পাচ্ছ না। হয়তো সে আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলার রহমত দেখছে অথবা মাআ'যাল্লাহু আল্লাহর আজাব এবং গজব দেখছে যদি সে পাপী হয়। এজন্যই আপনারা তাকে দেখবেন নির্দিষ্ট একটি জায়গা এবং এক বিন্দুতে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে।</div><div>               وَنَحْن أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ</div><div>অর্থাৎ, আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটতর কিন্তু তোমরা তা দেখতে পাও না। মানুষের রুহ কবজ এর সময়টা জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। কেননা তখন সে আল্লাহর সকল প্রতিশ্রুতি ও ভীতি দেখতে পায়। ফেরেশতাদের দেখতে পায়। জীবনে যতো আমল করেছে তা চোখের সামনে ভাসতে থাকে। আর এই অবস্থায় মৃত্যুর ফেতনা ঘটে যায়। শয়তান এই ফেতনায় প্রবেশ করে এবং আকিদায় সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। আল্লাহর ব্যাপারে, নবির ব্যাপারে, দ্বীনের ব্যাপারে ও কুরআনের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে তার অন্তরে। এবং সে তার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে যেনো সে কাফির হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়। এই সময় শয়তান নিশ্চিত যে এটা এই মানুষটির শেষ মুহূর্ত এবং মালাকুল মাউত তার নিকটবর্তী। এইজন্য সে তার অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী চূড়ান্ত আঘাত হানতে থাকে। এজন্যই কুরআন আমাদের মৃত্যুর ফেতনা থেকে আল্লাহর আশ্রয় নিতে বলছে :</div><div>﴿وَقُلْ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ(۹۷) وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ﴾ (سورة المؤمنون).</div><div>অর্থাৎ, আপনি বলুন; হে আমার রব! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি শয়তানের প্ররোচনা থেকে। এবং আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি তাদের উপস্থিতি থেকে। ☞ (সূরা মুমিনুন)</div><div><br></div><div>তুমি যদি ইসলাম অনুযায়ী তোমার জীবন পরিচালিত করো এবং তোমার অন্তরে আল্লাহ তার রসূল এর ভালোবাসা থাকে তাহলে তুমি এই অবস্থায় দুনিয়া থেকে বের হবে। মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত যখন চলে আসবে তখন শয়তান তার কোনো একজন নিকটাত্মীয়ের আকৃতিতে উপস্থিত হবে যিনি আগেই মারা গেছেন। সে উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে বলবে; আমি তোমার পূর্বে মারা গিয়েছি। ইসলাম সত্য ধর্ম নয় এবং নবি সত্য দ্বীন নিয়ে আসেননি। এবং অবশ্যই তোমাকে বলবে; তুমি সবকিছু অস্বীকার করো।</div><div>এই পরিস্থিতির চিত্র আল্লাহ কুরআনে বর্ণনা করেন—</div><div>﴿كَمَثَلِ الشَّيْطَانِ إِذْ قَالَ لِلْإِنسَانِ اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِّنكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ﴾ ١٦).</div><div>অর্থাৎ, তাদের তুলনা হচ্ছে শয়তান যখন সে মানুষকে বলবে তুমি কুফরি করো। যখন মানুষ কুফরি করবে তখন শয়তান বলবে; তোমার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি। ☞ (সূরা হাশর)</div><div><br></div><div>❃ এরপর পঞ্চম ধাপ শুরু হবে !</div><div>যেখানে আজরাইল আলাইহিস সালাম প্রবেশ করবে। এই স্তরে মানুষ পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারবে সেকি জান্নাতি না জাহান্নামী। সে তার আমলের ফলাফল দেখবে এবং তার পরিণতি সম্পর্কে জানতে পারবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই স্তর নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন। বিশেষভাবে যারা বিভিন্ন গুনাহে লিপ্ত ছিলো এবং তাওবা না করেই পাহাড় সমূহ পাপ নিয়ে আল্লাহর সাথে মিলিত হয়েছে। </div><div>আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা বলেন—</div><div>                                      ﴿وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا﴾</div><div>অর্থাৎ, শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা নির্মমভাবে (রুহ) টেনে বের করে। ☞ (সূরা নাযিয়াত)</div><div>জাহান্নামে একদল ফেরেশতা থাকবে যারা আগুনের কাফন প্রস্তুত করে এবং খুব নির্দয়ভাবে পাপী ব্যক্তির রুহ কবজ করে। আরেকটি আয়াতে এই কঠিন পরিস্থিতির চিত্র বর্ণিত হয়েছে—</div><div>﴿فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ﴾</div><div>অর্থাৎ, ফেরেশতারা যখন তাদের মুখমন্ডল এবং পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে তাদের প্রাণ হরণ করবে তখন তাদের কি দশা হবে??? ☞ (সূরা মুহাম্মদ)</div><div><br></div><div>❃ এই ধাপের পর শুরু হবে ষষ্ঠ ধাপ!</div><div>এই ধাপে মানুষের রুহ প্রস্তুত হয়ে তারাক্বির উপর সম্ভাব্য সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যাবে। এবং রুহ বের হওয়ার জন্য এবং আজরাইল আলাইহিস সালাম এর নিকট আত্মসমর্পণের জন্য নাকে মুখে অবস্থান করবে। বান্দা যদি পাপীষ্ঠ হয় তখন আজরাইল তাকে বলবে; হে নিকৃষ্ট আত্মা! তুই আগুন ও জাহান্নামের এবং ক্রোধান্বিত ও পপ্রতিশোধপরায়ন রবের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আস। তখন তার আভ্যন্তরীণ চেহারা কালো হয়ে যাবে। এবং চিৎকার করে বলবে;</div><div>                ﴿رَبِّ ارْجِعُونِ. لَعَلِّي أَعْمَلُ صَالِحًا فِيمَا تَرَكْتُ ۚ﴾</div><div>অর্থাৎ, হে আমার রব! আমাকে পুনরায় পাঠান যাতে আমি সৎকাজ করি যা আমি পূর্বে করিনি। ☞ (সূরা মুমিনুন)</div><div>কারন আমি নেককাজ করতে পারিনি। তখন সে শুনতে পাবে;</div><div>﴿كَلَّا ۚ إِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَائِلُهَا ۖ وَمِن وَرَائِهِم بَرْزَخٌ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ﴾</div><div>অর্থাৎ, না এটা হতে পারেনা। এটা তো তার একটি উক্তিমাত্র। তাদের সামনে বারযাখ থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। (সূরা মুমিনুন)</div><div>আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা আরও বলেন—</div><div>        وَجَاءَتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنْتَ مِنْهُ تَحِيدُ</div><div>অর্থাৎ, মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই আসবে, যা থেকে তুমি পালাচ্ছিলে। ☞ (সুরা ক্বফ)</div><div>           ﴿قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ﴾</div><div>অর্থাৎ, আপনি বলুন; যেই মৃত্যু থেকে তোমরা পালায়ন করো সেই মৃত্যুর সাথে তোমাদের সাক্ষাত হবেই। </div><div>☞ (সূরা জুমআ'হ)</div><div><br></div><div>❃ শেষ কথা</div><div>রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো ; আমরা কেনো মৃত্যুকে ভয় পাই?</div><div>তিনি উত্তর দিলেন: কারণ তোমরা দুনিয়াকে আবাদ করেছ আর আখেরাতকে বরবাদ করেছ।</div><div>যে মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করবে সে আখেরাতের জন্য বেশি প্রস্তুত থাকবে।</div><div>                          فاكثروا من ذكر هادم اللذات</div><div>অর্থাৎ, তোমরা সকল স্বাদ কর্তনকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো।</div><div><br></div><div><br></div>

মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়ার ৬ টি লক্ষন

আপনি কি জানেন মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়ার ৬ টি লক্ষন।                   মৃতের ৬ টি ধাপ রয়েছে— ❃ প্রথম ধাপের নাম ইয়াউমুল মাউত! এই দিনেই মানুষের জী...

Read more »

মাওলানা জালালুদ্দিন রূমী (রহ.)'র অমীয় বাণী

<div style="text-align: justify;">"স্রষ্টা বলেছেন, 'তুমি যাকে'ই আমার চেয়ে বেশি ভালোবাসবে', আমি তাকে'ই তোমার কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাবো এবং তোমাকে একা করে রাখব।" </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি আরও বলেছেন, 'কখনো বলবেনা আমি তাকে ছাড়া বাঁচবোনা' তবে আমি তাকে ছাড়াই তোমাকে বাঁচাবো এবং পেছনের অনুগত সব আবেগ কেড়ে নিয়ে, তোমাকে দিব্যি সামনে নিয়ে যাব! </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তুমি কী দেখো না, ঋতুরাও বদলাতে থাকে?</div><div style="text-align: justify;">ছায়া দেয়া গাছের পাতাও একসময় শুকিয়ে যায়?</div><div style="text-align: justify;">ধৈর্য্য হারিয়ে যায় কিন্তু তোমার স্রষ্টা ধৈর্যশীল ও পরম দয়ালু, সেই ঝরে যাওয়া পাতার ডাল থেকেই আবার সবুজ পাতা গজায়, তুমি কী দেখো না তোমার স্রষ্টার এই নিদর্শন?</div><div style="text-align: justify;">যে মানুষটাকে তুমি নিজের অংশ ভাবতে, সেই মানুষটাই একদিন অচেনা হয়ে যায়। তোমার মন ভেঙে যায়!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এমনকি তোমার বন্ধুও শত্রুতে পরিণত হয়,</div><div style="text-align: justify;">আর শত্রুও খানিক সময় পরে বন্ধুতে পরিণত হয়।</div><div style="text-align: justify;">যে মানুষটাকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি</div><div style="text-align: justify;">ভালোবাসতে সেও প্রতারণা করে। তবে তুমি কেন স্রষ্টার বিমুখ হয়ে মানুষকে ভরসা করো? অদ্ভুত এই পৃথিবী!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যখন তুমি ভাবো এটা হবেনা কখনো, কিন্তু পরক্ষণে সেটাই হয়। সেটাই হবার নয় কী?</div><div style="text-align: justify;">তুমি বল, 'আমি পড়বনা' অথচ তুমি পড়ো।</div><div style="text-align: justify;">তুমি বলো, 'আমি বিস্মিত হবোনা!' </div><div style="text-align: justify;">অথচ তুমি রোজ বিস্মিত হও।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এবং সবচেয়ে বিচিত্র বিষয় হচ্ছে-</div><div style="text-align: justify;">তুমি বলতে থাকো 'আমি মরে গেছি' অথচ তুমি বাঁচো, তুমি বেঁচে থাকো, তোমার স্রষ্টা তোমাকে বাঁচায়, তোমার স্রষ্টা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখে! ❤️</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">-মাওলানা জালালুদ্দিন মোহাম্মদ রুমি (রহ.)</div>

মাওলানা জালালুদ্দিন রূমী (রহ.)'র অমীয় বাণী

"স্রষ্টা বলেছেন, 'তুমি যাকে'ই আমার চেয়ে বেশি ভালোবাসবে', আমি তাকে'ই তোমার কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাবো এবং তোমাকে একা করে রা...

Read more »

কাউকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করার হুকুম কী?

<div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:- কাউকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করার হুকুম কী?</div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmhTEXmvjNjWQxRP80Azt_VtLgthDEu-_vVJTdEdJ800Vy9d6Q2rGKHNAXeeILXSGT5EGcgpnrJiwUd2SjLc14JgCMi0hKOitYeQzXhu610nWla9NQgBcy6aFjIq9SSeF9811ZiN2iQmM/s1600/FB_IMG_1622358356896.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="772" data-original-width="1080" height="228" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmhTEXmvjNjWQxRP80Azt_VtLgthDEu-_vVJTdEdJ800Vy9d6Q2rGKHNAXeeILXSGT5EGcgpnrJiwUd2SjLc14JgCMi0hKOitYeQzXhu610nWla9NQgBcy6aFjIq9SSeF9811ZiN2iQmM/s1600-rw/FB_IMG_1622358356896.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: কদমবুসি করা 'সুন্নাতে সাহাবা'। যা পবিত্র হাদিস থেকে প্রমাণিত। সম্মানিত ব্যক্তি; যেমন: মা-বাবা দাদা-দাদী, নেককার-বুযুর্গ ইত্যাদিদেরকে কদমবুসি করা সুন্নাত যা সওয়াবের কাজ। সাহাবায়ে কিরামের বরকতময় যুগ থেকে এই আমলের প্রচলন। নিচে কদমবুসি সম্পর্কে হাদিস ও ইমামগনের অভিমত দেওয়া হল:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কদমবুসি সম্পর্কে ৬টি হাদিস শরীফ:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾১﴿ হযরত যারেঈ ইবনে আমির ইবনে কায়স رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ উনার দাদা হতে বর্ননা করেন, তিনি ছিলেন আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, “ আমরা যখন মদিনা মনোওয়ারায় আগমন করলাম তখন আমাদের বাহন হতে তাড়াতাড়ি নেমে পড়লাম এবং রসূলে করীম ﷺ এর হস্ত ও পা মোবারক চুম্বন করলাম। ”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ইমাম বুখারী: তারিখুল কবীর: ৪/৪৪৭ পৃষ্ঠা, হা/১৪৯৩]</div><div style="text-align: justify;">[সুনানে আবু দাউদ: ৪/৩৫৭ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৫২২৫]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾২﴿ হযরত ছাফওয়ান বিন আ'সল আল মুরাদি رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বর্ণনা করেন, “ নিশ্চয়ই ইয়াহুদীদের একটি দল হুজুর পাক (ﷺ)-এর হাত ও পা মোবারক চুম্বন করে। ”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ইবনে মাযাহ: ২/১২২ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৩৭০৫]</div><div style="text-align: justify;">[সুনানে তিরমিযী: ৫/৭২ পৃষ্ঠা, হাদিস/২৭৩৩]</div><div style="text-align: justify;">[সুনানে নাসায়ী: ৭/১১১ পৃষ্ঠা, হাদিস/৪০৭৮]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾৩﴿ হযরত সুহাইব رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বলেন:</div><div style="text-align: justify;">"আমি হযরত আলী رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ কে (ওনার চাচা) হযরত আব্বাস رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ এর হাত এবং পা চুম্বন করতে দেখেছি। ”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[জামে তিরমিযী: হাদিস/২৭৩৩]</div><div style="text-align: justify;">[সুনানে ইবনে মাজাহ: হাদিস/৩৭৯৫]</div><div style="text-align: justify;">[আদাবুল মুফরাদ: হাদিস/৯৮৭]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾৪﴿ ওয়াযি ইবনে আমির رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বলেন, “ আমি একদা রাসূলে করীম ﷺ এর খেদমতে গিয়ে হাজির হলাম। আমাকে বলা হল, ইনিই হচ্ছেন আল্লাহ্‌র রাসূল! আমরা তখন তাঁর হস্তদ্বয় ও পদদ্বয় ধরে চুম্বন করলাম। ”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[তিরমিযী শরীফ: হাদিস/২৭৩৩]</div><div style="text-align: justify;">[সুনানে ইবনে মাজাহ: হাদিস/৩৭০৫]" </div><div style="text-align: justify;">[আদাবুল মুফরাদ: হাদিস/৯৮৭]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾৫﴿ হযরত বুরাইদা رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ হতে বর্ণিত: “ এক বেদুঈন হুজুর এ পাক ﷺ কাছে মুজিযা দেখতে চাইল। ... (সংক্ষেপে)... (মুজিযা দেখানোর পর) বেদুঈন বললো: “ আমাকে অনুমতি দিন আমি আপনাকে সিজদা করবো ” তিনি ইরশাদ করলেন, “ যদি কাউকে সাজদাহ করার হুকুম দিতাম তাহলে স্ত্রীকে আদেশ দিতাম সে যেন তার স্বামীকে সাজদাহ করে। ” বেদুঈন লোকটি আরজ করলো “ হুযুর তাহলে আমাকে আপনার হস্ত ও পদদ্বয় মোবারক চুম্বন করার অনুমতি দিন। ” তিনি [নবীজী (ﷺ)] তাকে অনুমতি প্রদান করলেন। ”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[মুসনাদুল বাযযার: ৩/৪৯ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৪৪৫০]</div><div style="text-align: justify;">[আল-মুস্তাদরাক: কিতাবুল বিরর ওয়াস সিলাতি, হাদিস: ৭৩২৬</div><div style="text-align: justify;">[ইমাম শায়বানী, যাখিরাতুল হুফফাজ, ২/১১৯৪ পৃষ্ঠা, হাদিস: ২৫৪৮] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾৬﴿ হযরত ছাফওয়ান বিন আচ্ছাল رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বর্ণনা করেছেন, জনৈক ইয়াহুদী তার সঙ্গীকে বলল, আমাকে এ নবীর নিকট নিয়ে চল। তদুত্তরে সাথী তাকে বলল, তুমি তাঁকে নবী বলবে না কারণ, সে যদি শুনে তুমি তাঁকে নবী বলছ তাহলে তাঁর চার চোখ হয়ে যাবে অর্থাৎ তিনি খুশী হয়ে যাবেন। অতঃপর তারা হুযূর আকরাম ﷺ-এর নিকট আসল ও ৯টি নিদর্শন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল।... (রাসুল ﷺ তাদেরকে ৯টি নিদর্শন বলার পর) সাফওয়ান رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বলেন: অতঃপর তারা উভয়ে হুজুর পাক ﷺ এর হাত  ও কদম মুবারক চুম্বন করল এবং বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর নবী।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[কিতাবুল আদাব: ৫/৫৫ পৃষ্ঠা, হাদিস: ২৭৩৩]</div><div style="text-align: justify;">[সুনানে আবি দাউদ: হাদিস: ৫২২৫]</div><div style="text-align: justify;">[ইবনে মাযাহ: ৪/১৪২ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৩৭০৫]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কদমবুসি সম্পর্কে ইমামগনের ৬টি বর্ণনা:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾১﴿ ইমাম মুসলিম رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ ইমাম বুখারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ এর নিকট কদমবুসির অনুমতি প্রার্থনা:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আহমদ বিন হামদান আল কাসার رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেছেন যে, তিনি ইমাম মুসলিম رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ কে ইমাম বুখারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ এর দরবারে আসতে দেখেন এবং তিনি তাঁর কপালে চুম্বন করেন, "তখন তিনি তাঁর কদমে চুম্বন করার অনুমতি প্রার্থনা করলেন" তখন তিনি বলেছিলেন: "হে মহান ওস্তাদের ওস্তাদ! হে চিরাচরিত (ইমামগণের) শিক্ষক!  হাদিসের দুর্বলতা সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী। ”</div><div style="text-align: justify;">[আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ: ১১/৩৩ পৃষ্ঠা] [তারিখে বাগদাদ: ১৩/১০২ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;">[ইমাম যাহাবী: সিয়ারু নুবালা, ১/৩৩৪৩ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾২﴿ শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“ পরহেজগার আলেম এর কদমবুসি জায়েয এবং কেউ কেউ বলেন তা মুস্তাহাব। যদি আলেম ও ন্যায়-পরায়ন বাদশাহর হাত ইলম, ইনসাফ ও দ্বীনের সম্মানার্থে বুচা বা চুমু দেয়, তাতে কোন দোষ নেই। তবে দুনিয়াবী স্বার্থ সিদ্ধীর উদ্দেশ্যে চুম্বন করা মাকরূহ। হাদীস শরীফে সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক রাসূলে পাক ﷺ কদমবুচি করার বর্ণনা এসেছে। ”</div><div style="text-align: justify;">[আশিয়াতুল লময়াত: ৪/৩৩ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;">[মুযাহিরুল হক্ব: ৪/৬০ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾৩﴿ বিখ্যাত ফকিহ, ইমাম ইবনে আবেদীন শামী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ আল্লামা আইনী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ হতে বর্ণনা করেন, আল্লামা আইনী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“ দীর্ঘ আলোচনার পরে হাত চুম্বন, কদমবুচি, মাথা বুচি, ও ইত্যাদির বৈধতা প্রমানিত হলো। যেভাবে বর্ণিত হাদীস হতে কপালে, দুই চোখের মাঝে, দু’ঠোটের উপরে চুমু দেয়ার বৈধতা প্রমাণিত হল, তবে এ সকল ক্ষেত্রে চুম্বন তখন জায়েয যখন সম্মান ও বরকত হাসিল উদ্দেশ্য হয়। ”</div><div style="text-align: justify;">[রদ্দুল মুখতার: ৬/৩৮০ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾৪﴿ আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“ হাদিস শরীফ দ্বারা হাতবুচি ও কদমবুচির বৈধতা ও অনুমোদন প্রমাণিত। তবে ইমাম মালেক ও ইমাম আবহারী এগুলিকে মাকরুহ বলেছেন যদি বড়ত্ব আহমিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য হয়। কিন্তু যদি আল্লাহ তা’য়ালার নৈকট্যবান বান্দা বা জ্ঞানগত সম্মান ও মর্যাদার কারনে হয় তাহলে উহা নি:সন্দেহে জায়েয। ” </div><div style="text-align: justify;">[ফতহুল বারী শরহে বুখারী: ১১তম খন্ড, ৫৭ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾৫﴿ “ ফাত্ওয়ায়ে শামী ”তে  হাকিমের একটি হাদীস উদ্ধৃত করেছে, যার শেষাংশে বর্ণিত আছে:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“ হুযূর ﷺ সেই ব্যক্তিকে অনুমতি দিয়েছেন। তাই সে তাঁর মস্তক ও পা মুবারক চুমু দিলেন। অতঃপর হুযূর (ﷺ) ইরশাদ ফরমান যদি আমি কাউকে সিজ্দার হুকুম দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে হুকুম দিতাম স্বামীকে সিজ্দা করতে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">﴾৬﴿ মোল্লা আলী ক্বারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“ চুমু দেয়া মাকরুহ হবেনা যখন তা কোন পরহেজগারিতা, ইলম বা জ্ঞান ও বয়োযষ্ঠের কারনে হবে। ইমাম নববী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: “ হাত চুম্বন, যদি ব্যক্তির জ্ঞানগত মার্যাদা, খোদা ভীরুতা ও ধামির্কতা ইত্যাদি কারনে হয় তাহলে মাকরুহ তো হবে না; বরং মুস্তাহাব বা উত্তম আমল হিসেবে বিবেচিত হবে। ”</div><div style="text-align: justify;">[মিরকাতুল মাফাতিহ: ৯ম খন্ড, ৭৬ পৃষ্ঠা]</div>

কাউকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করার হুকুম কী?

প্রশ্ন:- কাউকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করার হুকুম কী? উত্তর: কদমবুসি করা 'সুন্নাতে সাহাবা'। যা পবিত্র হাদিস থেকে প্রমাণিত। সম্মানিত ব্যক্তি...

Read more »

পাক্কা মুসলমান (বাহ্যত) যখন মস্ত বড় বেঈমান

<div style="text-align: justify;">পাক্কা মুসলমান (বাহ্যত) যখন মস্ত বড় বেঈমান</div><div style="text-align: justify;">-----------</div><div style="text-align: justify;">যে নামাজী মুনাফিক, দরবারে রিসালাত থেকে পিঠ ফিরিয়ে চলে গিয়েছিল, সেও লম্বা লম্বা দাঁড়িবিশিষ্ট, সাদা কাপড়ে বেষ্টিত, টাকনুর উপর লুঙ্গি পরিহিত (বাহ্যত পাক্কা মুসলমান) ছিল যার বংশ থেকে এমন এক জাতির উদ্ভব ঘটার ভবিষ্যদ্বাণী হয়েছিল, যারা শ্রুতিমধুর কন্ঠে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করবে অথচ আল্লাহর বাণী তাদের গলদেশের নিচে নামবেনা, আরো বলা হয়েছিল তোমাদের পাঠ তাদের পাঠের তুলনায় নিম্নমানের হবে। অনুরূপভবে তাদের নামাজ ও রোজার তুলনায় তোমাদের নামাজ রোজা সামান্য বলে মনে হবে। এমনসব মুনাফিকদের গর্দান উড়িয়ে দিতে চাইতেন হযরত উমার রা., খালিদ বিন ওয়ালিদ রা.৷ নবীজির ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী আজ এমন মুনাফিকরা সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে কিন্তু মুসলিম বিশ্ব ঐ উমর রা., খালিদ রা. এঁর মত মহান বীরদের অনুপস্থিতিতে ভুগছে। অবশ্য হাদিসে পাকে বলেই দেয়া হয়েছে যে, উমর রা. হচ্ছেন ফিতনাসমূহ আগমনের সামনে দরজাস্বরুপ। যখনই এ দরজা ভেঙে যাবে অর্থাৎ </div><div style="text-align: justify;">উমর রা. দুনিয়া হতে পর্দা করবেন, ফিতনাসমূহ প্রবেশ করতে থাকবে। তাই এমনটা তো হওয়ারই ছিল কিন্তু তবুও কেন জানি হৃদয়ের দ্বারে এ আশা কড়া নাড়ে, এ বুঝি উমররুপী কেউ আসবে বলে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যেই শানে রিসালাতে কটাক্ষ করে, দরবারে রহমতকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল, তার সেই ঘটনাটির প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাক-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আলী (রাঃ) ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে সিলম বৃক্ষের পাতা দ্বারা পরিশোধিত এক প্রকার (রঙিন) চামড়ার থলে করে সামান্য কিছু তাজা স্বর্ণ পাঠিয়েছিলেন। তখনও এগুলো থেকে সংযুক্ত খনিজ মাটিও পরিষ্কার করা হয়নি। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ চার ব্যক্তির মধ্যে স্বর্ণ বন্টন করে দিলেন। তারা হলেন, উয়ায়না ইবনু বাদর, আকরা ইবনু হারিস, যায়দ আল-খায়ল এবং চতুর্থজন আলকামা কিংবা আমির ইবনু তুফাইল (রাঃ)। তখন সাহাবীগনের মধ্য থেকে একজন বললেন, এ স্বর্নের ব্যাপারে তাঁদের অপেক্ষা আমরাই অধিক হকদার ছিলাম। রাবী বলেন, কথাটি রাসূলুল্লাহ ﷺ পর্যন্ত পৌঁছল। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা কি আমার উপর আস্থা রাখ না অথচ আমি আসমান অধিবাসীদের আস্থাভাজন, সকাল-বিকাল আমার কাছে আসমানের সংবাদ আসছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এতে কুরাইশ গোত্রের লোকেরা ক্ষেপে গিয়ে বললেন, "আপনি কেবল নজদের নেতৃস্থানীয় লোকদের দান করছেন আর আমাদের বাদ দিচ্ছেন, এটা কেমন ব্যাপার?” এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ আমি তাদের শুধু চিত্তাকর্ষণ অর্থাৎ তাদের অন্তরে ইসলামের প্রতি ভালবাসা ও অনুরাগ সৃষ্টির জন্য দিচ্ছি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, হুনায়ন যুদ্ধের দিন আল্লাহ তাঁর রাসূলকে হাওয়াযিন গোত্রের যে সম্পদ দান করলেন তা থেকে রাসূলুল্লাহ ﷺ কুরাইশদের কিছু লোককে একশত উট দান করলেন। আনসারগণ বলতে লাগলেন, আল্লাহ তাঁর রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ক্ষমা করুন। তিনি কুরাইশদের দিচ্ছেন, আর আমাদেরকে বাদ দিচ্ছেন। অথচ আমাদের তরবারী থেকে এখনো তাদের রক্ত ঝরছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, তাদের এ কথাটি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট বর্ণনা করা হল। তখন তিনি আনসারদের ডেকে পাঠালেন এবং তাদের চামড়ার একটি তাঁবুর মধ্যে সমবেত করলেন। তাঁরা সকলে সমবেত হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের নিকট আসলেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, কথাটি কী, যা তোমাদের থেকে আমার নিকট পৌছেছে? তখন প্রজ্ঞাবান আনসারগণ রাসুলুল্লাহ ﷺ কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আমাদের জ্ঞানী লোকেরা কিছুই বলেনি, অবশ্য আমাদের মধ্যে কিছু অল্প বয়সের লোক বলেছে যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ক্ষমা করুন, তিনি কুরায়শদের দান করছেন। আর আমাদের বাদ দিচ্ছেন। অথচ তাদের রক্ত এখনো আমাদের তরবারী থেকে ঝরছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যারা সবেমাত্র কুফুরি বর্জন করে ইসলাম গ্রহণ করেছে, এমন কতিপয় ব্যক্তিকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য আমি দান করেছি। তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা ধন দৌলত নিয়ে যাবে আর তোমরা আপন গৃহে প্রস্থান করবে আল্লাহর রাসূল ﷺ কে নিয়ে? আল্লাহর কসম! তোমরা যা নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে তা উত্তম এ জিনিস থেকে যা নিয়ে তারা প্রত্যাবর্তন করছো। তারপর-আনসারগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ!  হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা এতে সন্তুষ্ট আছি। এরপর তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের উপর অন্যকে অগ্রাধিকার পেতে দেখবে। এমতাবস্থায় তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে, যে পর্যন্ত না আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সঙ্গে সাক্ষাত লাভ করবে। আমি অবশ্য হাউযে কাওসারের পাশে থাকব (সেখানে আমাকে তোমরা পাবে)। (সহীহ মুসলিম ২৩২৬)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পূর্বের ঘটনায় ফিরে যাওয়া যাক -</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এমন সময়ে এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো। লোকটির চোখ দু’টি ছিল কোটরাগত, চোয়ালের হাড় যেন বেরিয়ে পড়ছে, উঁচু কপালধারী, তার দাড়ি ছিল অতিশয় ঘন, মাথাটি ন্যাড়া, পরনের লুঙ্গি ছিল উপরের দিক উঠান (সাদা কাপড় পরিহিত)। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আল্লাহ্ কে ভয় করুন। [ইমাম মুসলিম রহঃ ও ইমাম নাসাঈ রহঃ বর্ণনায় এভাবেও রয়েছে, সে এসে বললঃ হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। (নাউজুবিল্লাহ) ]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমার জন্য আফসোস! আল্লাহ্ কে ভয় করার ব্যাপারে দুনিয়াবাসীদের মধ্যে আমি কি বেশি হকদার নই? আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, লোকটি (এ কথা বলে) চলে যেতে লাগলে খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আমি কি লোকটির গর্দান উড়িয়ে দেবনা? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ না, হতে পারে সে নামায আদায় করে। খালিদ (রাঃ) বললেন, অনেক নামাজ আদায়কারী এমন আছে যারা মুখে এমন এমন কথা উচ্চারণ করে যা তাদের অন্তরে নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমাকে মানুষের দিল ছিদ্র করে, পেট ফেঁড়ে দেখার জন্য বলা হয়নি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(অথচ ব্যক্তিটি নবীজির দরবার হতে চলে যাওয়ার সময়, তার বংশধারার মাধ্যমে যে, এমন মুনাফিকদের ছিলছিলা বজায় থাকবে সেই ভবিষ্যদ্বাণীও দিয়ে দেন। তাই বলা যায়, "আমাকে মানুষের দিল ছিদ্র করে, পেট ফেঁড়ে দেখার জন্য বলা হয়নি।" এর দ্বারা তিনি তাঁর উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, মানুষের প্রতি যেন খারাপ ধারণা পোষণ না করা হয়)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তারপর তিনি লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন। তখন লোকটি পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তিনি ﷺ বললেন, এ ব্যক্তির বংশ থেকে এমন এক জাতির উদ্ভব ঘটবে যারা শ্রুতিমধুর কন্ঠে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করবে অথচ আল্লাহর বাণী তাদের গলদেশের নিচে নামবেনা। তারা দ্বীন থেকে এভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে নিক্ষেপকৃত জন্তুর দেহ থেকে তীর বেরিয়ে যায়।.....</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(সহিহ বুখারি ৪৩৫১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[মুসলিমের অন্য বর্ণনায় রয়েছে, উমর (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আমাকে অনুমতি দিন আমি এ মুনাফিকটাকে হত্যা করি। তিনি বললেন, আমি আল্লাহর আশ্রয় কামনা করি। তাহলে লোকে বলবে, আমি আমার সঙ্গী-সাথীদের হত্যা করি।। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বুখারীর অন্য বর্ণনায় এমনও রয়েছে, ‘উমর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আমাকে অনুমতি দিন আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই। তিনি বললেন, একে ছেড়ে দাও। তার এমন কিছু সঙ্গী সাথী রয়েছে তোমরা তাদের নামাজের তুলনায় নিজের নামাজ এবং রোজা নগণ্য বলে মনে করবে। এরা কুরআন পাঠ করে, কিন্তু কুরআন তাদের কন্ঠনালীর নীচে প্রবেশ করে না। তারা দ্বীন হতে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক হতে বেরিয়ে যায়। অন্য এক বর্ণনায়, উমর রা. ও খালিদ রা. উভয়েই ঐ মুনাফিককে হত্যা করতে অনুমতি চাওয়ার কথা রয়েছে।]</div>

পাক্কা মুসলমান (বাহ্যত) যখন মস্ত বড় বেঈমান

পাক্কা মুসলমান (বাহ্যত) যখন মস্ত বড় বেঈমান ----------- যে নামাজী মুনাফিক, দরবারে রিসালাত থেকে পিঠ ফিরিয়ে চলে গিয়েছিল, সেও লম্বা লম্বা দাঁড়িব...

Read more »

'ভালোবাসার গল্প'

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjG566jP5qApgiKGe8Jane5beIxZx6VqV7pWfCmTOKejWSC_eVh2gvgp0WMjIVE6EvbdM0Kdwq1_X5FEsnzRU0k1kgJK1izf7U-pijJ-t-7YTkNUBSBmUGhyRdjMxK-dbn9wQXnOJJDZ7c/s1600/InShot_20210527_134424967.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="3413" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjG566jP5qApgiKGe8Jane5beIxZx6VqV7pWfCmTOKejWSC_eVh2gvgp0WMjIVE6EvbdM0Kdwq1_X5FEsnzRU0k1kgJK1izf7U-pijJ-t-7YTkNUBSBmUGhyRdjMxK-dbn9wQXnOJJDZ7c/s1600-rw/InShot_20210527_134424967.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">প্রচলিত তরুণ-তরুণীদের— 'রিলেশনশিপ'। যেটাকে আমাদের প্রজন্ম ভালোবাসা নাম দিয়েছে! আসলেই কি সেটা ভালোবাসা? নাকি অন্য কিছু?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আপনি কেন একটা রিলেশনশিপে জড়াতে চান? কারণ— আপনার টাইমপাস করার একজন মানুষ লাগবে। নিজের একাকিত্ব দূর করতে, সারাদিনের কথা শেয়ার করার একজন মানুষ লাগবে। অথবা আল্লাহ না করুন! আপনার কামনা পূরণের জন্য একজন মানুষ লাগবে! ভেবে দেখুন তো— এটা কি আপনার ভালোবাসা? নাকি আপনার চাহিদা?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ভালোবাসা তো হবে এমন, যেখানে কোনো চাহিদা পূরণ হওয়া শর্ত নয়। তাই আপনি যেটাকে 'লাভ' নাম দিয়েছেন, সেটা আসলে 'লাভ' নয়। সেটা আপনার প্রয়োজন— এর পূরণ মাত্র। আপনার প্রয়োজনগুলো পূরণের একজন মানুষ লাগবে, আর আপনি সেটাতে জড়িয়ে পরলেন। একটা মেয়ে তার সব সম্মান, মর্যাদা কে বিসর্জন দিয়ে, আল্লাহকে নারাজ করে লেগে পরল আপনার প্রয়োজন পূরণে। ভাবুন— যদি এটা আপনার বোনের সাথে হয়? তখন কি বিষয়টাকে এত সহজে নিবেন? না! ভাই আমার। আপনিও যাকে নিয়ে খেলা করছেন, সেও একটা ভাইয়ের কলিজার টুকরো বোন। একজন বাবার চোখের শীতলতা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মনে রাখবেন, যে ভালোবাসা আল্লাহ থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে দেয়, সেটা খুব শীঘ্রই আপনার জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে। আপনার হৃদয়ের প্রশান্তি কেঁড়ে নিবে। অস্থির করে দিবে। 'সাময়িক' সুখগুলো— নিমিষেই ভুলিয়ে দিয়ে চলে যাবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আপনি যদি সত্যিই কাউকে ভালোবাসেন, তাহলে তাকে পেতে চাইবেন হালাল উপায়ে। তাকে এমন কাজ করতে বাধ্য করবেন না, যেটা তাকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে পারে। তাকে— ব্যবহার করবেন না আপনার খায়েস পূরণে। এটাই ভালোবাসা। ইসলাম ভালোবাসা থেকে নিষেধ করে না। বরং ইসলাম এসেছে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে। ইসলাম নিষেধ করে— এটাকে ঘিরে ধ্বংসাত্মক মূলক কাজকে। তাই নিজের যৌবনকে সংযত রাখুন। রব এমন নিয়ামত দান করবেন, যে আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। 'সূরা ফুরকান'— এর ৭৪ নং আয়াতটা পড়ে রবের কাছে দোয়া করুন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাঁর কাছে কোনো কিছুর অভাব নেই। মনে রাখবেন, রবের সন্তুষ্টি মূলক কাজেই প্রকৃত প্রশান্তি নিহিত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

'ভালোবাসার গল্প'

প্রচলিত তরুণ-তরুণীদের— 'রিলেশনশিপ'। যেটাকে আমাদের প্রজন্ম ভালোবাসা নাম দিয়েছে! আসলেই কি সেটা ভালোবাসা? নাকি অন্য কিছু? আপনি কেন একটা...

Read more »

কাউকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করার হুকুম কী

<div>প্রশ্ন:- কাউকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করার হুকুম কী?</div><div><br></div><div>উত্তর: কদমবুসি করা 'সুন্নাতে সাহাবা'। যা পবিত্র হাদিস থেকে প্রমাণিত। সম্মানিত ব্যক্তি; যেমন: মা-বাবা দাদা-দাদী, নেককার-বুযুর্গ ইত্যাদিদেরকে কদমবুসি করা সুন্নাত যা সওয়াবের কাজ। সাহাবায়ে কিরামের বরকতময় যুগ থেকে এই আমলের প্রচলন। নিচে কদমবুসি সম্পর্কে হাদিস ও ইমামগনের অভিমত দেওয়া হল:</div><div><br></div><div>কদমবুসি সম্পর্কে ৬টি হাদিস শরীফ:</div><div><br></div><div>﴾১﴿ হযরত যারেঈ ইবনে আমির ইবনে কায়স رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ উনার দাদা হতে বর্ননা করেন, তিনি ছিলেন আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, “ আমরা যখন মদিনা মনোওয়ারায় আগমন করলাম তখন আমাদের বাহন হতে তাড়াতাড়ি নেমে পড়লাম এবং রসূলে করীম ﷺ এর হস্ত ও পা মোবারক চুম্বন করলাম। ”</div><div><br></div><div>[ইমাম বুখারী: তারিখুল কবীর: ৪/৪৪৭ পৃষ্ঠা, হা/১৪৯৩]</div><div>[সুনানে আবু দাউদ: ৪/৩৫৭ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৫২২৫]</div><div><br></div><div>﴾২﴿ হযরত ছাফওয়ান বিন আ'সল আল মুরাদি رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বর্ণনা করেন, “ নিশ্চয়ই ইয়াহুদীদের একটি দল হুজুর পাক (ﷺ)-এর হাত ও পা মোবারক চুম্বন করে। ”</div><div><br></div><div>[ইবনে মাযাহ: ২/১২২ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৩৭০৫]</div><div>[সুনানে তিরমিযী: ৫/৭২ পৃষ্ঠা, হাদিস/২৭৩৩]</div><div>[সুনানে নাসায়ী: ৭/১১১ পৃষ্ঠা, হাদিস/৪০৭৮]</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQGUHcP2RgfwxI7eDC-rWv1ciOECjJIbAaNv1r_g9dNrHQRAPvpcb0DvOdPA3Vpv7XnMiEbbpgWmqCnucnbIdoprCR_MTuYy0IE9j6T0zeuAoHZYWMhIn0ET-jFyO6JBsh9zJg6dxVbHAw/s1600/FB_IMG_1622103001686.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="515" data-original-width="720" height="228" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQGUHcP2RgfwxI7eDC-rWv1ciOECjJIbAaNv1r_g9dNrHQRAPvpcb0DvOdPA3Vpv7XnMiEbbpgWmqCnucnbIdoprCR_MTuYy0IE9j6T0zeuAoHZYWMhIn0ET-jFyO6JBsh9zJg6dxVbHAw/s1600-rw/FB_IMG_1622103001686.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>﴾৩﴿ হযরত সুহাইব رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বলেন:</div><div>"আমি হযরত আলী رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ কে (ওনার চাচা) হযরত আব্বাস رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ এর হাত এবং পা চুম্বন করতে দেখেছি। ”</div><div><br></div><div>[জামে তিরমিযী: হাদিস/২৭৩৩]</div><div>[সুনানে ইবনে মাজাহ: হাদিস/৩৭৯৫]</div><div>[আদাবুল মুফরাদ: হাদিস/৯৮৭]</div><div><br></div><div>﴾৪﴿ ওয়াযি ইবনে আমির رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বলেন, “ আমি একদা রাসূলে করীম ﷺ এর খেদমতে গিয়ে হাজির হলাম। আমাকে বলা হল, ইনিই হচ্ছেন আল্লাহ্‌র রাসূল! আমরা তখন তাঁর হস্তদ্বয় ও পদদ্বয় ধরে চুম্বন করলাম। ”</div><div><br></div><div>[তিরমিযী শরীফ: হাদিস/২৭৩৩]</div><div>[সুনানে ইবনে মাজাহ: হাদিস/৩৭০৫]" </div><div>[আদাবুল মুফরাদ: হাদিস/৯৮৭]</div><div><br></div><div>﴾৫﴿ হযরত বুরাইদা رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ হতে বর্ণিত: “ এক বেদুঈন হুজুর এ পাক ﷺ কাছে মুজিযা দেখতে চাইল। ... (সংক্ষেপে)... (মুজিযা দেখানোর পর) বেদুঈন বললো: “ আমাকে অনুমতি দিন আমি আপনাকে সিজদা করবো ” তিনি ইরশাদ করলেন, “ যদি কাউকে সাজদাহ করার হুকুম দিতাম তাহলে স্ত্রীকে আদেশ দিতাম সে যেন তার স্বামীকে সাজদাহ করে। ” বেদুঈন লোকটি আরজ করলো “ হুযুর তাহলে আমাকে আপনার হস্ত ও পদদ্বয় মোবারক চুম্বন করার অনুমতি দিন। ” তিনি [নবীজী (ﷺ)] তাকে অনুমতি প্রদান করলেন। ”</div><div><br></div><div>[মুসনাদুল বাযযার: ৩/৪৯ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৪৪৫০]</div><div>[আল-মুস্তাদরাক: কিতাবুল বিরর ওয়াস সিলাতি, হাদিস: ৭৩২৬</div><div>[ইমাম শায়বানী, যাখিরাতুল হুফফাজ, ২/১১৯৪ পৃষ্ঠা, হাদিস: ২৫৪৮] </div><div><br></div><div>﴾৬﴿ হযরত ছাফওয়ান বিন আচ্ছাল رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বর্ণনা করেছেন, জনৈক ইয়াহুদী তার সঙ্গীকে বলল, আমাকে এ নবীর নিকট নিয়ে চল। তদুত্তরে সাথী তাকে বলল, তুমি তাঁকে নবী বলবে না কারণ, সে যদি শুনে তুমি তাঁকে নবী বলছ তাহলে তাঁর চার চোখ হয়ে যাবে অর্থাৎ তিনি খুশী হয়ে যাবেন। অতঃপর তারা হুযূর আকরাম ﷺ-এর নিকট আসল ও ৯টি নিদর্শন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল।... (রাসুল ﷺ তাদেরকে ৯টি নিদর্শন বলার পর) সাফওয়ান رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُ বলেন: অতঃপর তারা উভয়ে হুজুর পাক ﷺ এর হাত  ও কদম মুবারক চুম্বন করল এবং বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর নবী।”</div><div><br></div><div>[কিতাবুল আদাব: ৫/৫৫ পৃষ্ঠা, হাদিস: ২৭৩৩]</div><div>[সুনানে আবি দাউদ: হাদিস: ৫২২৫]</div><div>[ইবনে মাযাহ: ৪/১৪২ পৃষ্ঠা, হাদিস: ৩৭০৫]</div><div><br></div><div>কদমবুসি সম্পর্কে ইমামগনের ৬টি বর্ণনা:</div><div><br></div><div>﴾১﴿ ইমাম মুসলিম رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ ইমাম বুখারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ এর নিকট কদমবুসির অনুমতি প্রার্থনা:</div><div><br></div><div>আহমদ বিন হামদান আল কাসার رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেছেন যে, তিনি ইমাম মুসলিম رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ কে ইমাম বুখারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ এর দরবারে আসতে দেখেন এবং তিনি তাঁর কপালে চুম্বন করেন, "তখন তিনি তাঁর কদমে চুম্বন করার অনুমতি প্রার্থনা করলেন" তখন তিনি বলেছিলেন: "হে মহান ওস্তাদের ওস্তাদ! হে চিরাচরিত (ইমামগণের) শিক্ষক!  হাদিসের দুর্বলতা সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী। ”</div><div>[আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ: ১১/৩৩ পৃষ্ঠা] [তারিখে বাগদাদ: ১৩/১০২ পৃষ্ঠা]</div><div>[ইমাম যাহাবী: সিয়ারু নুবালা, ১/৩৩৪৩ পৃষ্ঠা]</div><div><br></div><div>﴾২﴿ শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: </div><div><br></div><div>“ পরহেজগার আলেম এর কদমবুসি জায়েয এবং কেউ কেউ বলেন তা মুস্তাহাব। যদি আলেম ও ন্যায়-পরায়ন বাদশাহর হাত ইলম, ইনসাফ ও দ্বীনের সম্মানার্থে বুচা বা চুমু দেয়, তাতে কোন দোষ নেই। তবে দুনিয়াবী স্বার্থ সিদ্ধীর উদ্দেশ্যে চুম্বন করা মাকরূহ। হাদীস শরীফে সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক রাসূলে পাক ﷺ কদমবুচি করার বর্ণনা এসেছে। ”</div><div>[আশিয়াতুল লময়াত: ৪/৩৩ পৃষ্ঠা]</div><div>[মুযাহিরুল হক্ব: ৪/৬০ পৃষ্ঠা]</div><div><br></div><div>﴾৩﴿ বিখ্যাত ফকিহ, ইমাম ইবনে আবেদীন শামী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ আল্লামা আইনী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ হতে বর্ণনা করেন, আল্লামা আইনী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: </div><div><br></div><div>“ দীর্ঘ আলোচনার পরে হাত চুম্বন, কদমবুচি, মাথা বুচি, ও ইত্যাদির বৈধতা প্রমানিত হলো। যেভাবে বর্ণিত হাদীস হতে কপালে, দুই চোখের মাঝে, দু’ঠোটের উপরে চুমু দেয়ার বৈধতা প্রমাণিত হল, তবে এ সকল ক্ষেত্রে চুম্বন তখন জায়েয যখন সম্মান ও বরকত হাসিল উদ্দেশ্য হয়। ”</div><div>[রদ্দুল মুখতার: ৬/৩৮০ পৃষ্ঠা]</div><div><br></div><div>﴾৪﴿ আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: </div><div><br></div><div>“ হাদিস শরীফ দ্বারা হাতবুচি ও কদমবুচির বৈধতা ও অনুমোদন প্রমাণিত। তবে ইমাম মালেক ও ইমাম আবহারী এগুলিকে মাকরুহ বলেছেন যদি বড়ত্ব আহমিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য হয়। কিন্তু যদি আল্লাহ তা’য়ালার নৈকট্যবান বান্দা বা জ্ঞানগত সম্মান ও মর্যাদার কারনে হয় তাহলে উহা নি:সন্দেহে জায়েয। ” </div><div>[ফতহুল বারী শরহে বুখারী: ১১তম খন্ড, ৫৭ পৃষ্ঠা]</div><div><br></div><div>﴾৫﴿ “ ফাত্ওয়ায়ে শামী ”তে  হাকিমের একটি হাদীস উদ্ধৃত করেছে, যার শেষাংশে বর্ণিত আছে:</div><div><br></div><div>“ হুযূর ﷺ সেই ব্যক্তিকে অনুমতি দিয়েছেন। তাই সে তাঁর মস্তক ও পা মুবারক চুমু দিলেন। অতঃপর হুযূর (ﷺ) ইরশাদ ফরমান যদি আমি কাউকে সিজ্দার হুকুম দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে হুকুম দিতাম স্বামীকে সিজ্দা করতে।</div><div><br></div><div>﴾৬﴿ মোল্লা আলী ক্বারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: </div><div><br></div><div>“ চুমু দেয়া মাকরুহ হবেনা যখন তা কোন পরহেজগারিতা, ইলম বা জ্ঞান ও বয়োযষ্ঠের কারনে হবে। ইমাম নববী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: “ হাত চুম্বন, যদি ব্যক্তির জ্ঞানগত মার্যাদা, খোদা ভীরুতা ও ধামির্কতা ইত্যাদি কারনে হয় তাহলে মাকরুহ তো হবে না; বরং মুস্তাহাব বা উত্তম আমল হিসেবে বিবেচিত হবে। ”</div><div>[মিরকাতুল মাফাতিহ: ৯ম খন্ড, ৭৬ পৃষ্ঠা]</div>

কাউকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করার হুকুম কী

প্রশ্ন:- কাউকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করার হুকুম কী? উত্তর: কদমবুসি করা 'সুন্নাতে সাহাবা'। যা পবিত্র হাদিস থেকে প্রমাণিত। সম্মানিত ব্যক্তি...

Read more »

ইমাম বুখারী রহঃ এঁর উসিলায় বৃষ্টি প্রার্থনা

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhHFgn0WtAY4SL9Ba_BBecNyKkREthqwS7pLy0KvAcO3lmTd1AzE69yivzsnbyQ39P2QJiiFAZ0zsaPPoxTHXMUz2woFxDgiliTV90DJpjpTF8JgjiPq4Hy-cr66PEqc43fKm_BbU2NVgLt/s1600/FB_IMG_1622018505199.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1080" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhHFgn0WtAY4SL9Ba_BBecNyKkREthqwS7pLy0KvAcO3lmTd1AzE69yivzsnbyQ39P2QJiiFAZ0zsaPPoxTHXMUz2woFxDgiliTV90DJpjpTF8JgjiPq4Hy-cr66PEqc43fKm_BbU2NVgLt/s1600-rw/FB_IMG_1622018505199.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পঞ্চম শতাব্দীতে একবার ‘সমরকন্দ’ অঞ্চলে খরা দেখা দেয়। মানুষজন যথাসাধ্য চেষ্টা করেন; কেউ কেউ সালাতুল ইস্তেসকা (বৃষ্টির জন্যে নামায-দোয়া) পড়েন, তারপরেও বৃষ্টি নামেনি।<br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এমতাবস্থায় ‘সালেহ’ নামের এক প্রসিদ্ধ নেককার ব্যক্তি শহরের কাজী (বিচারক)-এর কাছে উপস্থিত হন। তিনি কাজী সাহেবকে পরামর্শ দিলেন— “আমার মতে আপনার এবং সর্বসাধারণ মুসলমানদের উচিত ইমাম বুখারী রহ.’র মাযার শরীফ যেয়ারত করা। তাঁর মাযার শরীফ ‘খারতাংক’ এলাকায় অবস্থিত। ওখানে মাযারের কাছে গিয়ে বৃষ্টি চাইলে আল্লাহ তায়ালা হয়তো বৃষ্টি মঞ্জুর করতেও পারেন।”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর বিচারক ওই পুণ্যবান ব্যক্তির পরামর্শে সায় দেন। এবং মানুষজনকে সাথে নিয়ে ইমাম বুখারী রহ.’র মাযারে যান। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সেখানে (মাযারে) বিচারক সবাইকে সাথে নিয়ে একটি দোয়া পাঠ করেন। এ সময় মানুষেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং ইমাম বুখারী রহ.কে দোয়ার মধ্যে অসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন। আর অমনি আল্লাহ তায়ালা মেঘমালা পাঠিয়ে ভারি বর্ষণ অবতীর্ণ করেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সবাই 'খারতাংক’ এলাকায় অর্থাৎ ইমাম বুখারী রহ. এর দরবারে ৭ দিন যাবত অবস্থান করেন এবং তাঁদের কেউ-ই ‘সমরকন্দ’ ফিরে যেতে চাননি। অথচ এই দুটি স্থানের দূরত্ব মাত্র ৩ মাইল। [ইমাম যাহাবী রহঃ কৃত সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১২তম খণ্ড, ৪৬৯ পৃষ্ঠা]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div><div style="text-align: justify;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggVGv3YHrKSmd3wSB5nblXdy1g8AKFKvva4VkhR1ky6h0m4a0PCCSMHcmWV-VLIMGA6l47VFi-3aIYSU3sYhjz_IlU6as0vyDpFr9LPYzoaGJk82yiqkL5xcZRfySDCog-r9WWBcO5SQ4D/s1600/received_938476956954040.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1398" data-original-width="937" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggVGv3YHrKSmd3wSB5nblXdy1g8AKFKvva4VkhR1ky6h0m4a0PCCSMHcmWV-VLIMGA6l47VFi-3aIYSU3sYhjz_IlU6as0vyDpFr9LPYzoaGJk82yiqkL5xcZRfySDCog-r9WWBcO5SQ4D/s1600-rw/received_938476956954040.jpeg" width="214"></a></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div style="text-align: justify;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div style="text-align: justify;"><br></div><div class="separator" style="text-align: justify; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhxbsh_7f_17r2hTRKLdlbl7RsX_ZUcb9mMhqfScnqgukjOnczxWx3EeBNnmmBLoveY8CuqdX3vbyg7tnEduOE30Uw3Pqr9rJXiJkRT_zIBtvC6Nb2VOXF9RcjOV4p_7xishqVNE8qkgGxn/s1600/received_467042414373093.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1242" data-original-width="810" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhxbsh_7f_17r2hTRKLdlbl7RsX_ZUcb9mMhqfScnqgukjOnczxWx3EeBNnmmBLoveY8CuqdX3vbyg7tnEduOE30Uw3Pqr9rJXiJkRT_zIBtvC6Nb2VOXF9RcjOV4p_7xishqVNE8qkgGxn/s1600-rw/received_467042414373093.jpeg" width="208"></a></div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div style="text-align: justify;"><br></div></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সহীহ বুখারীর প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার, মুজাদ্দিদ ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ সহীহ বুখারীর ১০১০ হাদিস (যে হাদিসে হযরত উমার রাঃ নবীজির চাচা হযরত আব্বাস রাঃ এঁর উসিলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন বলে উল্লেখ আছে) এর ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মদিনাবাসীগণ একবার হযরত উমার (রা.) এঁর খেলাফতকালে অনাবৃষ্টির কারনে দূর্ভিক্ষে পতিত হন। হযরত বেলাল ইবনে হারেছ (রা.) নামক জনৈক সাহাবী নবী করিম ﷺ-এঁর রওজা মােবারকে গিয়ে আরজ করলেনঃ ইয়া রসূলাল্লাহ্ ﷺ! আপনার উম্মতেরা ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে। আপনি তাঁদের জন্য বৃষ্টির দোয়া করুন। অতঃপর রাত্রে স্বপ্নে এসে নবী করিম ﷺ বেলাল (রা.) কে বললেনঃ তুমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) এঁর নিকট গিয়ে আমার সালাম জানিয়ে বলো- তাঁরা বৃষ্টি পাবে। স্বপ্ন দেখে বেলাল ইবনে হারেছ (রা.) হযরত উমার (রা.) কে এ শুভ সংবাদ দিলেন। হযরত উমার (রা.) এ সংবাদ শুনে কেঁদে ফেললেন। মদিনাবাসীগণ রহমতের বৃষ্টি লাভ করলেন।</div><div style="text-align: justify;">(এছাড়াও এই হাদিস শরীফ রয়েছে মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহ হা/৩২৬৬৫/৩২০০২, ইমাম বায়হাক্বীঃ দালায়েলুন নবুয়াত, হা/ ৩০৩০/ ২৯৭৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আরো উল্লেখ্য যে, ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ শরহে বুখারীতে ঐ হাদিসের (১০১০) ব্যাখ্যায় আরো উল্লেখ করেন যে, হযরত আব্বাস রাঃ এঁর ঘটনা দ্বারা জানা গেল যে, নবীর পরিবার ও নেককার বুযুর্গদের উসিলায় সুপারিশ (দোয়া) অন্বেষণ মুস্তাহাব।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এভাবে যুগ যুগ ধরেই সম্মানিত ব্যক্তিদের উসিলা দিয়ে আল্লাহ'র কাছে দোয়া করার পদ্ধতি প্রচলিত আছে এবং থাকবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম শাফেঈ রহঃ বলেন, "নিশ্চয়ই আমি ইমাম আবু হানিফা রহঃ হতে বরকত হাসিল করি। যখন আমার কোন সমস্যা দেখা দেয় তখন আমি উনার মাজার শরীফে এসে প্রথমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি। অতঃপর উনার উসীলা দিয়ে আল্লাহ পাকের নিকট সমস্যা সমাধানের জন্য প্রার্থনা করি। তা অতি তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যায়।(ফতোয়ায়ে শামী, মুকাদ্দিমা ১ম খন্ড ৫৫ পৃষ্ঠা। তারিখে বাগদাদ,১ম খন্ড, পৃঃ ১২৩। রুদ্দুল মুখতার, ১ম খন্ড,পৃঃ৩৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ইবনে হাজর মক্কী (রহঃ) লিখেন, উলামা ও যাদের প্রয়োজন তাঁদের মধ্যে এই আচার সবসময়ই চালু ছিল যে তাঁরা ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এঁর মাজারে যেতেন এবং নিজেদের অসুবিধা দূর করার জন্যে তাঁর মাধ্যমে দোয়া করতেন। এ সকল ব্যক্তি এটাকে সাফল্য লাভের একটা উসিলা মনে করতেন এবং এর অনুশীলন দ্বারা বড় ধরনের পুরস্কার লাভ করতেন। বাগদাদে থাকাকালীন সব সময়েই ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) ইমাম আবু হানিফা (রহ:)-এর মাজারে যেতেন এবং তাঁর কাছে আশীর্বাদ তালাশ করতেন। যখন আমার (ইমাম ইবনে হাজর মক্কী রহঃ) কোনো প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন আমি দু’রাকাত নামাজ আদায় করে তাঁর মাযারে যাই এবং তাঁর ওসীলায় দোয়া করি। ফলে আমার অসুবিধা তক্ষণি দূর হয়ে যায়।(খায়রাত আল্ হিসান, ১৬৬ পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খতীব বাগদাদী রহঃ লিখেছেন, ইমাম শাফেয়ী রহঃ বাগদাদে থাকতে ইমামে আজম আবূ হানীফার কবর জিয়ারত করতেন এবং তাঁকে উসীলা করে দোয়া করতেন। তিনি ইমাম আবূ হানীফার মাজার শরীফের বরকত সম্পর্কে নিজের পরীক্ষিত আমল বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন: “আমি ইমাম আবূ হানীফার উসীলায় বরকত লাভ করি এবং প্রতিদিন তাঁর কবর জিয়ারত করি। যখন আমার কোনো প্রয়োজন বা সমস্যা হয়–তখন আমি দু’রাকাত নামায আদায় করে তাঁর কবরের কাছে এসে, এর পাশে দাঁড়িয়ে হাজত (প্রয়োজন) পূরণের জন্যে আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দোয়া করি। এরপরে আমি সেখান থেকে ফিরতে না ফিরতেই আমার হাজত পূরণ হয়ে যায়!” </div><div style="text-align: justify;">(তারিখে বাগদাদ,১ম খন্ড, ১২৩ পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">স্বয়ং নবীজি ﷺ ই উসিলা দিয়ে দোয়া করা শিখিয়ে ছিলেন যা সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে পূর্ববর্তী সকল বুযূর্গগণসহ এখনও বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। এছাড়াও আমাদের নবী দুনিয়ার জমিনে আগমনের পূর্বেও উনার উসিলায় দোয়া করা হত এমনকি আদম আলায়হিস সালামও আমাদের নবীর উসিলায় দোয়া করেন (এখানে উল্লেখ্য যে, সর্বপ্রথম সৃষ্টি আমাদের নবীর নূর মোবারক, কিন্তু দুনিয়ায় প্রেরণের দিক দিয়ে আমাদের নবী সর্বশেষ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উসিলা দিয়ে দোয়া করার শিক্ষাঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উসমান ইবনু হুনাইফ রাঃ থেকে বর্ণিত। এক অন্ধ সাহাবী নবী ﷺ এঁর নিকট এসে আরজ করল, আপনি আল্লাহ্‌র কাছে আমার জন্য দুআ করুন। তিনি যেন আমাকে রোগমুক্তি দান করেন। তিনি বলেনঃ তুমি চাইলে আমি তোমার জন্য দুআ করতে বিলম্ব করবো, আর তা হবে কল্যাণকর। আর তুমি চাইলে আমি দুআ করবো। সে বললো, তাঁর নিকট দুআ করুন। তিনি তাকে উত্তমরূপে উযূ করার পর দু রাকআত সালাত পড়ে এ দুআ করতে বলেনঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, রহমতের নবী মুহাম্মাদ ﷺ এঁর উসীলা দিয়ে, আমি তোমার প্রতি মুতাওয়াজ্জু হচ্ছি/ মনোনিবেশ করলাম। ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ! আমার চাহিদা পূরণের জন্য আমি আপনার উসীলা দিয়ে আমার রবের প্রতি মনযোগী/ মুতাওয়াজ্জু হলাম যাতে আমার প্রয়োজন মিটে। </div><div style="text-align: justify;">হে আল্লাহ্! আমার জন্য তাঁর সুপারিশ কবূল করো। (অতঃপর তার অন্ধত্ব দূর হয়। বর্তমানে এর উপর আমল করতে চাইলে, "ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ" এর স্থলে "ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ" বলতে বলা হয়েছে) (সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৫, সুনান আত তিরমিযি ৩৫৭৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবী ﷺ এঁর ওফাতের পর এক ব্যক্তি এই উসমান বিন হানিফ রাঃ এঁর কাছে হাজত পূরণের জন্য এলে তিনি তাকে একইভাবে দোয়া করতে শিখিয়ে দেন। তিনি বলেন, উত্তমরুপে ওযু করে দু’রাকাত নামায পড়ুন এবং এ দো’আ করুন- </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“হে আল্লাহ্‌! তোমার কাছে প্রার্থনা করছি ও তোমার দিকে মুতাওয়াজ্জু হচ্ছি রহমতের নবী মুহাম্মদ ﷺ এঁর বদৌলতে বা উসিলায়। ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ! আমি আপনার উসিলায় আল্লাহ্‌র দিকে মুতাওয়াজ্জু হলাম তিনি যেন আমার প্রয়োজন পূরণ করে দেন"। (মুজামুল কাবির লিল তাবরানি, হা/৮৩১১; মুজামুস সাগির, হা/৫০৮; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হা/৩৬৬৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একবার মদীনাবাসী ভীষণ অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছিল। লোকজন আম্মাজান আয়িশা রাঃ এঁর নিকট অভিযোগ করলে তিনি বলেন, নবী ﷺ এঁর রওজার দিকে দেখ (যাও), আর তাতে আসমানের দিকে একটি ফুটো করে দাও, যেন আসমান ও তাঁর মাঝে কোনো আচ্ছাদন না থাকে। তখন তারা তা-ই করলো। ফলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হল। সেই বৃষ্টিতে এত বেশি ঘাস জন্মেছিল যে, উট হৃষ্টপুষ্ট হয়ে মনে হয় যেন চর্বিতে ফেটে পড়বে। ফলে সেই বছরের নামকরণ করা হয়েছিল ‘উর্বরতার বছর’। (সুনান আদ-দারেমী ৯৩, মিশকাত ৫৯৫০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আম্মাজান আয়িশা রাঃ এঁর কাছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর ব্যবহৃত জুব্বা মুবারক সংরক্ষিত ছিল যা রোগ নিরাময়ের উসিলা হিসেবে ব্যবহৃত হত যেভাবে আমরা আল্লাহ'র হুকুমে ওষুধ সেবন করে সুস্থ হয়। </div><div style="text-align: justify;">বর্ণিত আছে যে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) এঁর নিকট রাসুলুল্লাহ ﷺ এঁর ব্যবহৃত সবুজ রঙের জুব্বা ছিল। তিনি বলেন, এটি আয়িশা (রা.) এঁর ওফাত পর্যন্ত তাঁর কাছেই ছিল। তাঁর ওফাতের পর আমি এটি নিয়েছি। নবী ﷺ এটি পরিধান করতেন। তাই আমরা রোগীদের শেফা হাসিলের জন্য এটি ধৌত করি এবং সে পানি তাদের কে পান করিয়ে থাকি। (সহীহ মুসলিম ৫৩০২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সবকিছুই মহাপরাক্রমশালী, সর্ব ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ তায়ালা দান করেন। এসব হচ্ছে উসিলা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তিনি (ঈসা আলায়হিস সালাম) বলবেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে নিদর্শনসহ তোমাদের নিকট এসেছি, আমি তোমাদের জন্য মাটি দিয়ে পাখির আকৃতি বানিয়ে তাতে ফুঁক দেব, আল্লাহর হুকুমে পাখি হয়ে যাবে, আল্লাহ'র হুকুমে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগী আরোগ্য করবো এবং মৃতকে জীবিত করবো এবং আমি তোমাদেরকে বলে দেব তোমাদের গৃহে তোমরা যা আহার কর এবং সঞ্চয় করে রাখ; নিশ্চয়ই এ কাজে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা মু’মিন হও।" (সূরা আলে ইমরান ৪৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি আরো বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"কাফেলা যখন (মিশর থেকে ইউসুফ আ. এঁর জামা নিয়ে) বেরিয়ে পড়ল, এমন সময়ে তাদের পিতা (ইয়াকুব আ., বাড়ীর লোকজনকে) বললেন, ‘তোমরা আমাকে বয়োবৃদ্ধ দিশেহারা মনে না করলে (তোমরা জেনে রাখ) আমি অবশ্যই ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি।’ উপস্থিত ব্যক্তিরা বলল, ‘আল্লাহর কসম! আপনি তো আপনার সেই পুরানো বিভ্রান্তিতেই (পুত্রস্নেহের মধ্যে বিভোর) আছেন দেখছি।’ (অতঃপর) সুসংবাদদাতা যখন (ইউসুফ আ. এঁর জামা নিয়ে) এসে হাযির হল, তখন সে জামাটি ইয়াকুব (আঃ) এঁর মুখমন্ডলের উপর রাখল, তাতে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন। তিনি (ইয়াকুব আ.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের বলিনি যে, আমি আল্লাহর নিকট হতে যা জানি তা তোমরা জান না।" (সূরা ইউসুফ, আয়াত ৯৪-৯৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাঁর প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর উসিলায় ইমাম বুখারীর উপর অফুরন্ত রহমত বর্ষণ করুক। ইমাম বুখারী রহঃ এঁর উসিলায় আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করুক।</div>

ইমাম বুখারী রহঃ এঁর উসিলায় বৃষ্টি প্রার্থনা

পঞ্চম শতাব্দীতে একবার ‘সমরকন্দ’ অঞ্চলে খরা দেখা দেয়। মানুষজন যথাসাধ্য চেষ্টা করেন; কেউ কেউ সালাতুল ইস্তেসকা (বৃষ্টির জন্যে নামায-দোয়া) পড়...

Read more »

বৃষ্টির জন্য মানুষ ইমাম বুখারীর মাজারে গেলো

<div>বৃষ্টির জন্য মানুষ ইমাম বুখারীর মাজারে গেলো:___</div><div><br></div><div>পঞ্চম শতাব্দীতে একবার ‘সমরকন্দ’ অঞ্চলে খরা দেখা দেয়। মানুষজন  যথাসাধ্য চেষ্টা করেন; কেউ কেউ সালাতুল ইস্তেসক্কা (বৃষ্টির জন্যে  নামায-দোয়া) পড়েন, তারপরেও বৃষ্টি নামেনি।</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh9O4w8tPWO797YUDzXi_W0SfN9wkXTvSGbBrk_Bgi6wExIW1wFyM9mRhHnacFsw1ig37_MBUAhIdv5tfm2-hdNfZy0El1c7LMA2brr1elq6qE0U0fhz-Co0llTubd3Ba7x1w2gL6D4ySva/s1600/FB_IMG_1621960389196.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="1080" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh9O4w8tPWO797YUDzXi_W0SfN9wkXTvSGbBrk_Bgi6wExIW1wFyM9mRhHnacFsw1ig37_MBUAhIdv5tfm2-hdNfZy0El1c7LMA2brr1elq6qE0U0fhz-Co0llTubd3Ba7x1w2gL6D4ySva/s1600-rw/FB_IMG_1621960389196.jpg" width="180"></a></div><br></div><div><br></div><div>এমতাবস্থায় ‘সালেহ’ নামের এক  প্রসিদ্ধ নেককার ব্যক্তি শহরের কাজী (বিচারক)-এর কাছে উপস্থিত হন। তিনি কাজী সাহেবকে পরামর্শ দিলেন— </div><div>“আমার মতে আপনার এবং মুসলমান সর্বসাধারণের ইমাম বোখারী রহ.’র মাযার শরীফ  যেয়ারত করা উচিত। তাঁর মাযার শরীফ ‘খারতাংক’ এলাকায় অবস্থিত। ওখানে মাযারের কাছে গিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চাইলে আল্লাহ তায়ালা হয়তো বৃষ্টি  মঞ্জুর করতেও পারেন।”</div><div><br></div><div>অতঃপর বিচারক ওই পুণ্যবান ব্যক্তির পরামর্শে সায় দেন। এবং মানুষজনকে সাথে নিয়ে ইমাম বুখারী রহ.’র মাযারে যান। </div><div><br></div><div>সেখানে (মাযারে)  বিচারক সবাইকে সাথে নিয়ে একটি দোয়া পাঠ করেন। এ সময় মানুষেরা কান্নায়  ভেঙ্গে পড়েন এবং ইমাম বুখারী রহ.কে দোয়ার মধ্যে অসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন।  আর অমনি আল্লাহ তায়ালা মেঘমালা পাঠিয়ে ভারি বর্ষণ অবতীর্ণ করেন। </div><div><br></div><div>সবাই  ‘খারতাংক’ এলাকায় অর্থাৎ ইমাম বুখারী রহ. এর দরবারে  ৭ দিন যাবত অবস্থান করেন এবং তাঁদের কেউ-ই ‘সামারকান্দ’ ফিরে  যেতে চাননি। অথচ এই দুটি স্থানের দূরত্ব মাত্র ৩ মাইল। </div><div><br></div><div>ঘটনাটা উল্লেখ করেছেন,ইমামুল মুহাদ্দিসীন আল্লাম হাফেয শামসুদ্দীন যাহাবী রহিমাহুল্লাহ।বিশ্বনন্দিত সিয়ারু আলামিন নুবালা কিতাবের দ্বাদশ তম খন্ডের চারশতো ঊনসত্তর পৃষ্ঠায়।</div>

বৃষ্টির জন্য মানুষ ইমাম বুখারীর মাজারে গেলো

বৃষ্টির জন্য মানুষ ইমাম বুখারীর মাজারে গেলো:___ পঞ্চম শতাব্দীতে একবার ‘সমরকন্দ’ অঞ্চলে খরা দেখা দেয়। মানুষজন  যথাসাধ্য চেষ্টা করেন; কেউ কেউ...

Read more »

আলবানী কতৃক ইমাম বোখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত

<div>#আলবানী কতৃক ইমাম বোখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত করা-নাউযুবিল্লাহ, </div><div><br></div><div>বর্তমানে তথকথিত সালাফী আক্বিদার অনুসারীগণ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আচরণ বিধি ও নীতি-মালার কোন তোয়াক্কা না করে খুবই সাধারণভাবে মানুষকে কাফের-মুশরিক ইত্যাদি আখ্যায়িত করে থাকে। কাউকে কাফের মুশরিক বলা যেন এদের কাছে পানি ভাতের মতো। তাদের এই আচরণ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ এগুলো তারা সহীহ আক্বিদা অনুসরণের নামেই করে থাকে।</div><div><br></div><div>আলবানী সাহেব ইমাম বোখারী এর সাথে কোন বিষয়ে মতানৈক্য করলে সেটা আলোচনার প্রযোজন ছিলো না, কিন্তু তিনি একটি আক্বিদার ক্ষেত্রে রীতিমত ইমাম বোখারীর সম্পর্কে এমন শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা একজন সাধারণ মুসলমানের জন্য শোভনীয় নয়। আক্বিদার ক্ষেত্রে তাদের এই তাকফীরি মনোভাব কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি কোনভাবেই ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর নয়।</div><div><br></div><div>ইমাম বোখারী রহ. সম্পর্কে শায়খ আলবানীর বক্তব্য:</div><div><br></div><div>ইমাম বোখারী (রহঃ) বোখারী শরীফের “কিতাবুত তাফসীর” এ সূরা কাসাস এর ৮৮ নং আয়াতের যে ব্যাখ্যা করেছেন, সে সম্পর্কে নাসীরুদ্দিন আলবানী লিখেছেন,</div><div><br></div><div>ان هذا التأويل لا يقول به مؤمن مسلم وقال إن هذه التأويل هو عين التعطيل.</div><div><br></div><div>“এ ধরণের ব্যাখ্যা কোন মুমিন-মুসলমান দিতে পারে না। তিনি বলেন, এ ধরণের ব্যাখ্যা মূলতঃ কুফরী মতবাদ “তা’তীলের” অন্তর্ভূক্ত”</div><div><br></div><div>ইমাম বোখারী (রহঃ) সূরা কাসাসের ৮৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন,</div><div><br></div><div>كُلُّ شَىْءٍ هَالِكٌ إِلاَّ وَجْهَهُ إلا ملكه, ويقال: إلا ما أُريد به وجه الله</div><div><br></div><div>“আল্লাহর সত্তা(চেহারা) ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে”</div><div><br></div><div>এখানে তিনি “ওয়াজ্হুন” শব্দের ব্যাখ্যা করেছেন “মুলকুন” তথা আল্লাহর রাজত্ব। তখন অর্থ হবে, সবকিছু ধ্বংস হবে, তাঁর রাজত্ব ব্যতীত। অথবা “ওয়াজহুন” দ্বারা যা উদ্দেশ্য হবে, তা ব্যতীত সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।</div><div><br></div><div>[ফাতাওয়াশ শায়েখ আলবানী, পৃষ্ঠা-৫২৩, মাকতাবাতুত তুরাছিল ইসলামী, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৪ইং]</div><div><br></div><div>প্রয়োজনীয় কথা, তা’তীল শব্দের অর্থ হলো কোন কিছু অস্বীকার বা বাতিল করা। </div><div><br></div><div>সূরা ক্বাসাসের ৮৮ নং আয়াতে আল্লাহর ওয়াজহ বা চেহারার কথা বলা হয়েছে।অর্থাৎ, সবকিছু ধ্বংস হবে, তাঁর রাজত্ব ব্যতীত। যেটা ইমাম বুখারী রহ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণিত।</div><div><br></div><div> অথচ,শায়খ আলবানী বলেন, এটা কোন মু’মিন মুসলমানের কথা নয় এবং এটি তা’তীলের অন্তর্ভূক্ত?</div><div><br></div><div> অবশ্য আলবানী আলোচনার শেষে বলেছেন, ইমাম বোখারী রহ. কর্তৃক এধরনের ব্যাখ্যা থেকে আমরা তাকে মুক্ত মনে করবো। এর দ্বারা স্পষ্ট যে, উক্ত ব্যাখ্যাটি আলবানী সাহেবের নিকট কতো মারাত্মক। </div><div><br><br><br><br><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgchYyD66sQZnshp3I0G4_3BRZXDu_HiX1lvHy_gl2EyCRmn7bbjdnd6OozwKNXzh1WQKJG5RJxS0kxvSM4SqYTgzU8-izjUx-twnsKjNhOY6fGC41QkuAzNJWV-hIxgzqiI8FOoz2-sxDw/s1600/FB_IMG_1621956419682.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="640" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgchYyD66sQZnshp3I0G4_3BRZXDu_HiX1lvHy_gl2EyCRmn7bbjdnd6OozwKNXzh1WQKJG5RJxS0kxvSM4SqYTgzU8-izjUx-twnsKjNhOY6fGC41QkuAzNJWV-hIxgzqiI8FOoz2-sxDw/s1600-rw/FB_IMG_1621956419682.jpg" width="160"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg01eLIVuz3ZFHb7HPioAMTMBmH4tIWbK26587w277yvOavl9JLuRPp1lWmf0wAcolxYiRaKz2sySMaTK7pKCNK6hqlwkyv8dMhhWtlY7RJS8-SKcYvCGnPLZIgeW2icae5rpsRESfv0c1r/s1600/FB_IMG_1621956415572.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="257" data-original-width="348" height="236" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg01eLIVuz3ZFHb7HPioAMTMBmH4tIWbK26587w277yvOavl9JLuRPp1lWmf0wAcolxYiRaKz2sySMaTK7pKCNK6hqlwkyv8dMhhWtlY7RJS8-SKcYvCGnPLZIgeW2icae5rpsRESfv0c1r/s1600-rw/FB_IMG_1621956415572.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhP3i2SJLHTr3YgiZlSWUOwibu4o3dZS1A-ItUT9-ojhjBzWqo6XgO3VjI9GwHNKpnD-cd30yk1YXqktB3tAtqy_YaMRgtSmltTFaiS4XjaZKfPISSjBeGAl3Ou2TW7TpOw-szuOI8YpUYO/s1600/FB_IMG_1621956391440.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="716" data-original-width="720" height="318" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhP3i2SJLHTr3YgiZlSWUOwibu4o3dZS1A-ItUT9-ojhjBzWqo6XgO3VjI9GwHNKpnD-cd30yk1YXqktB3tAtqy_YaMRgtSmltTFaiS4XjaZKfPISSjBeGAl3Ou2TW7TpOw-szuOI8YpUYO/s1600-rw/FB_IMG_1621956391440.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiebP01QYgap17AKmcFiIvJudLzfty6cFfekY3i47Geo_bx-vyRupCikNcbyMAOqoC0AZ_HXuGVmEc_D4pXcGslpKri3781zN2xb7dLH6ot0iMF-b_DJPRmKadxp8dwMXK3aG8fG_fJLU15/s1600/FB_IMG_1621956358212.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="800" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiebP01QYgap17AKmcFiIvJudLzfty6cFfekY3i47Geo_bx-vyRupCikNcbyMAOqoC0AZ_HXuGVmEc_D4pXcGslpKri3781zN2xb7dLH6ot0iMF-b_DJPRmKadxp8dwMXK3aG8fG_fJLU15/s1600-rw/FB_IMG_1621956358212.jpg" width="288"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6Xh7x01ahgn7ABpUakVhb8XtaJQxVQzYnG0A_im7p5gMbP31SvFe6AzZuVtXVIRqmIWph5PtOm0reujp4J_GJiesqX9p4Om5STeDO8C5Mk6MJfEcyaaMWz5NwyMhpIKfFlsC5L70oitBc/s1600/FB_IMG_1621956381763.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="640" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi6Xh7x01ahgn7ABpUakVhb8XtaJQxVQzYnG0A_im7p5gMbP31SvFe6AzZuVtXVIRqmIWph5PtOm0reujp4J_GJiesqX9p4Om5STeDO8C5Mk6MJfEcyaaMWz5NwyMhpIKfFlsC5L70oitBc/s1600-rw/FB_IMG_1621956381763.jpg" width="160"></a></div><br></div><div><br></div><div>আলবানী সাহেবের মূল দাবী, আল্লাহর রাজত্ব ব্যতীত সকল কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, এটা বোখারী শরীফে নেই। আর থাকলেও কিছু নুসখায় আছে।</div><div><br></div><div>আলবানী সাহেব কিভাবে একটি ধ্রুব সত্যকে এভাবে সন্দেহের আবরণে ঢাকতে চাইলেন, তা আমাদের অজানা। </div><div><br></div><div>আলবানী সাহেবের পূর্বে বোখারী শরীফ থেকে যারা উক্ত বিষয়টি তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div><br></div><div>১. ইবনে তাইমিয়া রহ . তার বয়ানু তালবিবিসিল জাহমিয়া নামক কিতাবে ইমাম ইবনে কাইসান থেকে উক্ত ব্যাখ্যাটি উল্লেখ করেছেন। দেখুন, বয়ানু তালবিসিল জাহমিয়া, খ.১ পৃ.৫৮১</div><div><br></div><div>আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রহ. ইমাম বোখারীর উক্ত ব্যাখ্যাটি হুবহু ইমাম ইবনে কাইসান থেকে বর্নণা করেছেন। ইবনে তাইমিয়া রহ. মাজমুউল ফাতাওয়া এর দ্বিতীয় খন্ডে এ্টি উল্লেখ করেছেন। </div><div><br></div><div>২. ইবনুল কাইয়্যিম রহ. (৭৫১ হি:) তিনি তার হাদীল আরওয়াহ ( খ. ১, পৃ. ৯৬) কিতাবে বোখারী শরীফ থেকে এটি উল্লেখ করেছেন।</div><div><br></div><div>৩. ইমাম মাওয়ারদী রহ. (৩৬৪-৪৫০ হি:) তার বিখ্যাত তাফসীর আন নুকাতু ওয়াল উয়ূন তথা তাফসীরে মাওয়ারদীতে ইমাম বোখারী রহ. উক্ত ব্যাখ্যাটি ইমাম বোখারীর সূত্রে উল্লেখ করেছেন।</div><div><br></div><div>৪. ইবনে কাসীর রহ. (৭০০-৭৭৪ হি:) তার তাফসীরে ইবনে কাসীরে এটি উল্লেখ করেছেন। খন্ড.৬, পৃ,২৬২। অবশ্য ইবনে কাসীর রহ. ইমাম বোখারীর রেফারেন্সে দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ﻭﻗﺎﻝ ﻣﺠﺎﻫﺪ ﻭﺍﻟﺜﻮﺭﻱ ﻓﻲ ﻗﻮﻟﻪ : } ﻛُﻞُّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻫَﺎﻟِﻚٌ ﺇِﻻ ﻭَﺟْﻬَﻪُ { ﺃﻱ : ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺭﻳﺪ ﺑﻪ ﻭﺟﻬﻪ، ﻭﺣﻜﺎﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺤﻪ ﻛﺎﻟﻤﻘﺮﺭ ﻟﻪ</div><div>অর্থাৎ ইমাম মুজাহিদ রহ. ও সুফিয়ান রহ. আল্লাহর চেহারা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, এই আয়াতের তাফসীরে বলেছন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যা কিছু করা হয়েছে, তা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ইমাম বোখারী রহ. উক্ত তাফসীরটি গ্রহণ করে বোখারী শরীফে ব্যাখ্যাটি উল্লেখ করেছেন।</div><div><br></div><div>৫. উমদাতুল কারীতে আল্লাম বদরুদ্দিন আইনী রহ. উক্ত ব্যাখ্যটি উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি নুসখার ভিন্নতার কোন কথা বলেননি।</div><div><br></div><div>৬. আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহ. ফাতহুল বারীতে উক্ত কথাটি উল্লেখ করেছেন এবং এ ব্যাপারে নুসখার কোন ভিন্নতার কতা বলেননি।</div><div><br></div><div>৭. বর্তমানে সবাইকে ইমাম শরফুদ্দিন ইউনিনি রহ. এর নুসখার উপর ভি্ত্তি করে চলতে হয়। শরফূদ্দিন ইউনিনি রহ. এর নুসখাটি ইমাম ক্বাসতাল্লানী রহ. (৮২১-৯২৩ হি:) বর্ণনা করেছেন। সুতরাং ক্বাসতাল্লানী রহ. এর এই নুসখার গুরুত্ব অপরিসীম। যেমনটি আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ. ফয়যুল বারীতে উল্লেখ করেছেন । </div><div><br></div><div>দেখুন, ফয়যুল বারী, খ.১ পৃ. ৩৭-৩৮। ইমাম ক্বাসতাল্লানী রহ. বোখারী শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ইরশাদুস সারী এর মতন হিসেবে উক্ত ব্যখ্যাটি উল্লেখ করেছেন। দেখুন,</div><div><br></div><div>৮. আল্লামা হাবেদ সিন্ধী রহ.বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেছেন। কিতাবের নাম, হাশিয়াতুস সিন্দী আলা সহিহিল বোখারী। তিনি ইমাম বোখারী রহ. উক্ত ব্যাখ্যাটির বিশ্লেষণ করেছেন।</div><div><br></div><div>৯. ইমাম আবুল লাইস সমরকন্দী রহ. (মতৃ: ৩৭৫ হি:) তার তাফসীরে সমরকন্দী যেটি বাহরুল উলুম নামে প্রসিদ্ধ, উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় চেহারা এর ব্যাখ্যা লিখেছেন, আল্লাহর রাজত্ব।</div><div><br></div><div>১০. ইমাম বাগাবী রহ. (মৃত: ৫১৬ হি:) তার তাফসীরে বাগাবীতে একই ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছেন,</div><div><br></div><div>১১. ইমাম সা’লাবী রহ. (মৃত:৪২৭ হি:) তার বিখ্যাত তাফসীরে সা’লাবী-তে উক্ত ব্যাখ্যাটি উল্লেখ করেছেন,</div><div>সালাফী শায়খদের মাঝে যারা উক্ত ব্যাখ্যাটি তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন:</div><div><br></div><div>১২.  সাইদ বিন নাসের আল-গামিদী আর রদ্দুল আলা মুনকিরি সিফাতাইল ওয়াজহি ওয়াল ইয়াদ কিতাবে উক্ত ব্যাখ্যাটি উল্লেখ করেছেন। দেখুন,</div><div>১৩. সালাফী শায়খ উমর সুলাইমান আল-আশকার তার আল-জান্নাতু ওয়ান নার বইয়ে উক্ত ব্যাখ্যাটি উল্লেখ করেছেন।</div><div><br></div><div>১৪.  সালাফীদের বিখ্যাত শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আল-গুনাইমান তার শরহু কিতাবিত তাউহীদ মিন সহিহিল বোখারী নামক কিতাবে উক্ত ব্যাখ্যাটি উল্লেখ করেছেন,</div><div><br></div><div>এভাবে আলবানী সাহেবের পূর্বে কেউ উক্ত ব্যাখ্যার ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করেননি।</div><div><br></div><div>উপরের এইসকল মুহাদ্দিসগন কি আলবানীর মুকাল্লিদ ও সালাফীদের নিকট কাফের??</div><div><br></div><div>বোখারী শরীফের নুসখা সমূহ:</div><div><br></div><div>বোখারী শরীফের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ নুসখা হলো, আল্লামা শরফুদ্দিন ইউনিনি রহ. (৭০১ হি:) এর নুসখা। এখানে অন্যান্য নুসখার পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য নুসখার পার্থক্য বোঝানোর জন্য যে এখানে যে অক্ষরগুলো ব্যবহৃত হয়েছে নিচে উল্লেখ করা হলো,</div><div><br></div><div>১. হা ( ﻩ), ইমাম আবু যর হারাবী রহ.এর নুসখা বোঝানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।</div><div>২.সোয়াদ ( ﺹ )ইমাম আসিলি রহ. এর নুসখা বোঝানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।</div><div>৩. সিন ( ﺱ)অথবা শিন ( ﺵ) এটি ইবনে আসাকির রহ. এর নুসখা বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিলো।</div><div>৪. ত্ব ( ﻁ )অথবা জ ( ﻅ )ইমাম আবু ওয়াক্ত রহ.এর নুসখার জন্য।</div><div>৫. লম্বা হা ( ﻫﻪ ) ইমাম কুশমিহিনি রহ. এর নুসখার জন্য।</div><div>৬. হা,( ﺡ ) ইমাম হামাবী রহ. এর নুসখার জন্য।</div><div>৭. লম্বা সিন, ( ﺱ) ইমাম মুসতামালি রহ. এর নুসখার জন্য।</div><div>৮. কাফ, ( ﻙ) কারীমা রহ. এর নুসখার জন্য।</div><div>৯. আইন, ( ﻉ ) ইবনুস সামআনী রহ. এর নুসখার জন্য।</div><div>১০. জিম, ( ﺝ ) আাল্লামা জুরজানী রহ.এর নুসখার জন্য।</div><div><br></div><div>উপরের বিষয়গুলো বুঝলে ইমাম বোখারী রহ.এর বক্তব্যটি বোখারীতে আছে কি না বুঝতে সহজ হবে।</div><div><br></div><div>প্রথম কথা হলো, ইমাম বোখারী রহ. উক্ত বক্তব্যটি সুর্যের মতো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। এ বক্তব্যের ব্যাপারে কোন নুসখাতে কোন বিরোধ নেই। সকল নুসখাতে এটি রয়েছে। এবং এ পর্যন্ত কেউ এই বিরোধের কথা বলেননি। আর ভবিষ্যতেও আলবানী সাহেবের অন্ধ ভক্তরা ছাড়া আর কেউ বলবে না।</div><div><br></div><div> </div><div><br></div><div>মোট কথা, বোখারী শরীফের সকল নুসখা, প্রকাশনা ও সংস্করণে উক্ত কথাটি রয়েছে এবং ইতোপূর্বে কেউ এব্যাপারে সামান্যতম কোন সংশয় প্রকাশ করেননি। এটি এমন একটি ধ্রুব সত্য যে, কারও পক্ষে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।</div><div><br></div><div>আলবানী সাহেব এটাও বলেছেন, ইমাম বোখারীর উক্ত কথাটি কিছু নুসখায় রয়েছে, তার এই কথার মূল ভিত্তি কী?</div><div><br></div><div>আলবানী সাহেব এর বক্তব্যের ভিত্তি:</div><div><br></div><div>এখানে আলবানী সাহেবের ব্যাপারটি আমাদের দেশে প্রচলিত একটি কথার মতো হয়েছে, অর্থাৎ এখানে প্রস্রাব করিবেন, না করিলে ৫০ টাকা জরিমানা। ফাতহুল বারী তে ইবনে হাজার আসকালানী রহ. যেই শব্দটির ভিন্নতার কথা আলোচনা করেছেন, সেটি হলো, ﻭﻗﺎﻝ ﻣﻌﻤﺮ</div><div>অর্থাৎ এই শব্দটি বোখারী শরীফের ইমাম ফারাবরী রহ. এর নুসখাতে রয়েছে। এটি কোন অসম্ভব কিছু নয়। ইমাম বোখারী উক্ত তাফসীরটি ইমাম মা’মার এর সূত্রে বর্ণনার কথা শুধু ফারাবরী রহ. এর নুসখায় থাকায় এ ব্যাপারে ইবনে হাজারী আসকালানী রহ. নুসখার ভিন্নতার কথা বলেছেন। উক্ত ব্যাখ্যার ভিন্নতার কথা বলা হয়নি। পরের বক্তব্যকে পূর্বের সাথে মিলিয়ে আলবানী সাহেব এই বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন যে, এই ব্যাখ্যার ব্যাপারে নুসখার ভিন্নতার কথা বলা হয়েছে। এটি একটি দিবালোকের ন্যায় সত্য বিষয় যে, ইবনে হাজার আসকালানী রহ. সহ পূর্বের কেউ উক্ত ব্যাখ্যাটির ব্যাপারে নুসখার ভিন্নতার দাবী করেননি। এবং বোখারীতে নেই, এই জাতীয় কথা বলেননি। নিজের মতের বিরোধী হওয়ার কারণে কেবল আলবানী সাহেব না এটি বলেছেন।</div><div><br></div><div> ইবনে হাজার আসকালানী রহ. লিখেছেন, [ইমাম বোখারী থেকে নাসাফী রহ. এর বর্ণনায় রয়েছে, ﻭﻗﺎﻝ ﻣﻌﻤﺮ (ইমাম মা’মার বলেছেন), অত:পর, ইমাম বোখারী রহ. উক্ত বক্তব্যটি উল্লেখ করেছেন। (অর্থাৎ নাসাফীর বর্ণনায় রয়েছে, আল্লাহর রাজত্ব ব্যতীত সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, এটি ইমাম মা’মার এর বক্তব্য এবং তার উদ্ধৃতি দিয়ে ইমাম বোখারী এটা বর্ণনা করেছেন)।</div><div><br></div><div> এখানে ইমাম মা’মার হলেন, আবু উবাইদা ইবনুল মুসান্না। ইমাম মা’মার তার মাজাযুল কুরআনে এ সম্পর্কে লিখেছেন, তবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, আল্লাহ ব্যতীত সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ] (ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এর বক্তব্য শেষ হলো)।</div><div><br></div><div>অর্থাৎ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এর এই আলোচনার মূল হলো, আল্লাহর রাজত্ব ব্যতী সব ধ্বংস হয়ে যাবে, এই ব্যাখ্যাটি ইমাম বোখারী থেকে যারা বোখারী শরীফ বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে ইমাম নাসাফী রহ. একটি শব্দ বেশি বলেছেন। সেটি হলো, ﻭﻗﺎﻝ ﻣﻌﻤﺮ</div><div>অন্যদের বর্ণনায় এই শব্দটি নেই। অর্থাৎ অন্যদের বর্ণনায় উক্ত বক্তব্যটি সরাসরি ইমাম বোখারী থেকে উল্লেখ করা হয়েছে। </div><div><br></div><div>আর ইমাম নাসাফী রহ. এর বর্ণনায় রয়েছে, ইমাম বোখারী রহ. উক্ত বক্তব্যটি ইমাম মা’মার থেকে গ্রহণ করেছেন এবং তার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। </div><div><br></div><div>এখানে মৌলিক কথা হলো, ইমাম বোখারী রহ. কিতাবুত তাফসীরে কখনও নিজের তাফসীর বর্ণনা করেছেন, কখনও অন্যের সূত্রে তাফসীর বর্ণনা করেছেন। এখানে যে তাফসীরটি উল্লেখ করা হযেছে, ইমাম বোখারী রহ. থেকে যারা বর্ণনা করেছেন, তাদের সকলেই সরাসির ইমাম বোখারীর উক্তি হিসেবে উল্রেখ করেছেন। ইমাম নাসাফী রহ. একে বোখারী থেকে ইমাম মা’মারের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ ইমাম বোখারী রহ. বলেছেন, ইমাম মা’মার উক্ত ব্যাখ্যা করেছেন।</div><div>এটি সরাসরি ইমাম বোখারী রহ. এর বক্তব্য হওয়াটাই অধিক শক্তিশালী। </div><div><br></div><div> কারণ, ইমাম মা’মার রহ. এর মাজাযুল কুরআনে উক্ত ব্যাখ্যাটি নেই।</div><div> তবে এটি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। কেননা, এটি ইমাম বোখারী রহ. এর নিকট অন্য সূত্রে ইমাম মা’মার রহ. উক্ত ব্যাখ্যাটি পৌঁছতে পারে। এটি কোন সমস্যা নয়। এটি ইমাম বোখারীর নিজের বক্তব্য হোক, কিংবা তিনি ইমাম মা’মার থেকে বর্ণনা করুক, উভয়টি প্রমাণ করে যে বোখারী শরীফে উক্ত ব্যাখ্যাটি ইমাম বোখারী দলিল হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং উক্ত ব্যাখ্যাটি তার নিকট বিশুদ্ধ।</div><div><br></div><div>আমি সকল আলবানী ভক্তদের উদাত্ত আহ্বান জানাবো তারা যে কোন একটা নোসখা থেকে প্রমাণ করুন, যে উক্ত বক্তব্যটি বোখারী শরীফে নেই। </div><div><br></div><div>এভাবে নিজেরা অন্ধ অনুসরণ করে অন্যদেরকে অন্ধ বলার মানসিকতা ত্যাগ করুন।গোঁড়ামি পরিহার করুন </div>

আলবানী কতৃক ইমাম বোখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত

#আলবানী কতৃক ইমাম বোখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত করা-নাউযুবিল্লাহ, বর্তমানে তথকথিত সালাফী আক্বিদার অনুসারীগণ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আচ...

Read more »

শরীয়তের দৃষ্টিতে আমীরে মুয়াবিয়া(রাঃ)

<div>এই পোস্ট পড়লে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পাবেন। </div><div>মাওলা আলী রাঃ ও আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর মধ্যে কে হক্বের উপর ছিলেন?</div><div>আজকাল আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর এতো চর্চা কেনো? অথচ এর আগে কখনওই আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর এতো বেশি ফযিলত বয়ান করা হয়নি?</div><div>ইয়াযিদের জঘন্য অপরাধের জন্য আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে দোষী সাব্যস্ত করা কি ঠিক?</div><div>১২৪০০০ সাহাবীর শান বয়ান না করে শুধু আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর কেনো?</div><div>ঈমাম হাসান রাঃ কি কোনো বেঈমান এর হাতে খিলাফত ছেড়েছিলেন? </div><div>আজকাল যেখানেই আলী রাঃ আলোচনা হয় সেখানে মুয়াবিয়া রাঃ এর আলোচনার কি দরকার? </div><div><br></div><div>মাওলা আলী শেরে খোদা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর শান ও মান নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই এবং যারা বিতর্ক করে আমরা তাদের সুন্নি মনে করি না। যেমন সূর্য পূর্ব দিকে উঠে এবিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই, ঠিক তেমনি আসাদুল্লাহিল গালিব রাঃ এর শান ও মান নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। </div><div><br></div><div>মাওলা আলী রাঃ ও আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর মধ্যে কে হক্বের উপর ছিলেন? </div><div>সর্বদাই মাওলা আলী রাঃ হক্বের উপর ছিলেন এবং তাঁর শান ও মর্যাদাও অনেক উর্ধ্বে। তবে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ ইজতিহাদি খাতার (গুনাহ নয় এমন) উপর ছিলেন। </div><div><br></div><div>রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সকল সাহাবী জান্নাতি। </div><div>কেননা আল্লাহ তাআ'লা বলেন, "তারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ তাদের অপেক্ষা, যারা পরবর্তীকালে ব্যয় করেছে ও সংগ্রাম করেছে। তবে আল্লাহ সকলকেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত।" (সুরা হাদীদ ১০)</div><div><br></div><div>"আল্লাহ তাদের (সাহাবাদের) প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।" (সুরা বায়্যিনাহ ৮)। আল্লাহ যাদের উপর রাজি, যারা আল্লাহর উপর রাজি, তাঁদের ঈমান নিয়ে সন্দেহকারীর ঈমানের (বেঈমানীর) কি অবস্থা হবে আপনি নিজেই কল্পনা করুন। </div><div><br></div><div>রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন -“আমার কোন সাহাবীকে মন্দ বলনা। তোমাদের কেউ যদি উহুদ পর্বততূল্য স্বর্ণও দান করে, তবুও তাঁদের সোয়া সের যব দান করার সমানও হতে পারেনা; বরং এর অর্ধেকেরও বরাবর হতে পারেনা।” [বুখারীঃ১ম খন্ড-৫১৮ পৃষ্ঠা, তিরমিযীঃ২য় খন্ড-২২৫ পৃষ্ঠা]</div><div><br></div><div>রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেনঃ “আমার সাহাবীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর, তাঁদেরকে ভৎর্সনা ও বিদ্রূপের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত কর না। যে আমার সাহাবীকে মোহাব্বত করলো, সে আমার মোহাব্বতে তাঁদেরকে মোহাব্বত করল এবং যে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করল, সে আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণের কারনে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করল”। [তিরমিযি শরীফ, ২য়-২২৫]</div><div><br></div><div>ভবিষ্যতের সংবাদ প্রদানকারী রাসুলে কারীম রাউফুর রাহীম ﷺ আমিরে মু'য়াবিয়া (রাঃ) এঁর জন্য দু'আ করেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও।" (তিরমিজী ৩৮৪২)</div><div><br></div><div>ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ) আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে ফকীহ্ হিসেবে সম্বোধন করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাহচর্য লাভ করার কারণে উনাকে কিছু বলতেও নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারী ৩৭৬৪, ৩৭৬৫)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhizClZU2YhqOUDrmdVtSzAhKlkGsXsUsE2ae6dJyb04wBesRBen4hE42pL3vQpjcmJk7A9mID_OiLL-BagTNbsXAvKC01VnPalYpszVXs_skuoWBdlvFvtdu_rDqWuwJLfY6nvouuVuyEE/s1600/FB_IMG_14720462581395925.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="712" data-original-width="720" height="316" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhizClZU2YhqOUDrmdVtSzAhKlkGsXsUsE2ae6dJyb04wBesRBen4hE42pL3vQpjcmJk7A9mID_OiLL-BagTNbsXAvKC01VnPalYpszVXs_skuoWBdlvFvtdu_rDqWuwJLfY6nvouuVuyEE/s1600-rw/FB_IMG_14720462581395925.jpg" width="320"></a></div><br></div><br></div><div><br></div><div>তাই উপরোক্ত আয়াত হাদিসগুলি সামনে রেখে ওলামায়ে আহলে সুন্নাত ১৪০০ বছর ধরে যে আইন অনুসরণ করেছেন তা হলোঃ আহলে বায়েত ও সাহাবীদের সমালোচনার উর্ধ্বে মনে করা। শুধুমাত্র তাদের শান ও মান বয়ান হবে, তাদের সমালোচনা করার কারোরই স্পর্ধা থাকা উচিৎ নয়। গালিগালাজ করাতো বহু দূরের বিষয়, কেননা তা জাহান্নামের কুকুরের আলামত। </div><div>সাথেই ওলামায়ে কেরামদের মতে সাহাবীদের নিজস্ব মতবিরোধের বিষয়েও আমাদের সর্বদাই চুপ থাকতে হবে।</div><div><br></div><div>আজকাল আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর এতো চর্চা কেনো? অথচ এর আগে কখনোও তাঁর বিষয়ে এতো চর্চা হয়নি?</div><div>শিয়াদের পরিচয় হলো তারা খোলাফায়ে রাশেদীন উম্মুল মু'মিনিন সহ কাতিবে ওহী জলীল ও ক্বদর জান্নাতি সাহাবী আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর ব্যাপারে জঘন্যতম কটুক্তি করে থাকে। এ ফিৎনা ওলামায়ে আহলুস সুন্নাহ হাজার বছর ধরে কঠোরভাবে দমন করে আসছেন এবং করতে থাকবেন ইন শা আল্লাহ। </div><div><br></div><div>তবে সমস্যা হচ্ছে আজকাল সুন্নি ছদ্মবেশী কিছু পীর, গদ্দীনশীনরা ইরানের অর্থে নিজের ঈমান বিক্রি করে এই আহলুস সুন্নাহের মধ্যে শিয়াবাদের ভ্রান্তি পুরোদমে ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। যা গত ১৪০০ বছরের আহলুস সুন্নাহের ইতিহাসে আর কখনোও হয়নি, তাই এবিষয়ে এতো আলোচনাও আগে হয়নি। শিয়াবাদ শুরু হয় আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে গালিগালাজ করে, পরে আবু বাকার রাঃ উমার রাঃ উসমান রাঃ থেকে উম্মুল মু'মিনিন আয়েশা রাঃ কে জঘন্য অপবাদ দেয়া পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। এক্ষেত্রে এই সুন্নি ছদ্মবেশী শিয়া কাঠমোল্লারা শিয়াদের বর্নিত জাল হাদিস গুলি ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রসার করে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে এমন এমন জঘন্য গালিগালাজ করে যা শুনলে পায়ের রক্ত মাথায় উঠার উপক্রম হয়। </div><div><br></div><div>তাই এবিষয়ে ভারত উপমহাদেশের সকল হক্ক্বানী ওলামা একমত হয়েছেন যেহেতু এই ফিৎনা সমাজকে পথভ্রষ্ট করছে, সেই পথভ্রষ্টতা থেকে সাধারণ মানুষদের বাঁচানোর জন্য ওলামায়ে কেরাম শানে সাহাবা ও শানে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ বারবার প্রচার করবেন এবং করতেই থাকবেন ইন শা আল্লাহ। যতদিন আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর কটুক্তি বন্ধ হবে না, ততদিন আল্লাহ তাঁর হাবীবের এই সাহাবির আলোচনা আমার মতো অধমের দ্বারা করাতেই থাকবেন ইন শা আল্লাহ। </div><div><br></div><div>১২৪০০০ সাহাবীর শান বয়ান না করে শুধু আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর কেনো?</div><div>কারন এযুগে অন্যান্য সাহাবীর শানে কটুক্তি করা হচ্ছে না, তাই তাঁদের বিষয়ে কম আলোচনা হচ্ছে। অন্যান্য সাহাবীর শানে কটুক্তি হলে, সেই সাহাবীর শান ও মান নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা হবে ইন শা আল্লাহ। </div><div><br></div><div>ইয়াযিদের অপরাধের জন্য আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে দোষী সাব্যস্ত করা কি ঠিক?</div><div>এটা সত্য যে, ইয়াযিদ একজন লম্পট, জালেম, ফাসেক, মদ্যপ ছিল। এমনকি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল রাঃ ইয়াজিদকে কাফের বলে ফতেয়া দিয়েছেন তবে ঈমামে আযাম রাঃ এবিষয়ে নিরবতা পালন করেছেন। কিন্তু ছেলের অপরাধে কি কখনো বাবা শাস্তিযোগ্য হয়? আল্লাহ কি এমন কোনো আইন বানিয়েছেন? না, বানাননি। তাই ইয়াযিদের অপরাধের দোষ আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর কাধে কখনই চাপানো যাবে না। </div><div><br></div><div>ঈমাম হাসান রাঃ কি কোনো বেঈমান (নাউযুবিল্লাহ) এর হাতে খিলাফত ছেড়েছিলেন? </div><div>আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন) আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি, ঐ সময় হাসান (রাঃ) তাঁর পার্শ্বে ছিলেন। তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে আবার হাসান (রাঃ)-এঁর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমার এ সন্তান (নাতি) হচ্ছে সাইয়্যিদ (সর্দার)। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল #মুসলমানের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দিবেন। (সহীহ বুখারী ৩৭৪৬, ৩৬২৯, ২৭০৪)</div><div><br></div><div>স্বয়ং নবীজি ﷺ যাঁর জন্য দু'আ করেছেন, যাঁর ঈমানের সার্টিফিকেট দিয়েছেন, ঈমাম হাসান রাঃ যার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন, ঐ পথভ্রষ্টরা আহলে বাইতপ্রেমিক দাবী করেও সেই আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে মুনাফিক-কাফের ডাকে, গালমন্দ করে (নাউযুবিল্লাহ)। ঈমাম হাসান রাঃ কি তাহলে একজন অযোগ্য ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন!! তাহলে এটা তো ঈমাম হাসান রাঃ এঁর নামে অপবাদও হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ! </div><div><br></div><div>আল্লাহ তাআ'লা বলেন, "ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা (কোন বিষয়ে) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।" (সূরা হুজরাতঃ ১)</div><div><br></div><div>আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ মুমিন তথা হক্ব ছিলেন বলেই ঈমাম হাসান রাঃ তাঁকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। অন্যদিকে ইয়াযিদ অযোগ্য পাপিষ্ঠ ছিলো বলেই ঈমাম হুসাইন রাঃ নিজ পরিবারের ৭২জনের শাহাদাত মেনে নিয়েছেন কিন্তু পাপিষ্ঠ ইয়াযিদের ক্ষমতাকে মেনে নেননি। </div><div><br></div><div>আলী রাঃ তথা আহলে বায়তের প্রেমের নামে কিছুলোক বাড়াবাড়ি করে যে পথভ্রষ্ট হবে এবিষয়ে অদৃশ্যের সংবাদদাতা রাসুলুল্লাহ ﷺ অনেক আগেই উম্মতকে সতর্ক করেছেন। আহলে বায়তের প্রেমের নামে শিয়াবাদ প্রচারকারীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেনঃ "হে আলি! তোমার উপমা ঈসা আলাইহিস সালামের মত। ঈসা আলাইহিস সালামকে ভালোবেসে অতিরঞ্জিত করে একদল পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা হলো খ্রীষ্টান, আর তাঁকে হিংসা করেও একদল পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা ইহুদী। অনুরুপ তুমি আলির সাথেও হবে। একদল তোমার ভালোবাসাতে অতিরঞ্জিত করে পথভ্রষ্ট হবে, আরেক দল তোমার সাথে হিংসা বিদ্বেষ রেখে পথভ্রষ্ট হবে।" (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, খন্ড-১, পৃষ্ঠা নং-১৬০; ফাজায়েলে সাহাবা, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল, খন্ডঃ ২, পৃষ্ঠা নং-৬৩৯, হাদিস নং-১০৮৭)</div><div><br></div><div>যেখানেই আলী রাঃ আলোচনা হয় সেখানে মুয়াবিয়া রাঃ এর আলোচনা কেনো? </div><div>ওলামায়ে কেরাম যখন শাবে বারাতের ফযিলত বর্ননা করেন সাথেই শাবে বারাতকে বিদয়াত বলা কাঠমোল্লাদের গোমরাহির কথাও তারা তুলে ধরেন। যখন আশুরার আলোচনা হয়, ঈমাম হুসাইনের রাঃ আলোচনা হয় সাথেই ইয়াযিদের জঘন্য কার্যকলাপের বিষয়েও উম্মতকে অবহিত করা হয়। যখন ঈসা আঃ এর আলোচনা হয় তখন তাঁকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে পথভ্রষ্ট হওয়া খ্রিস্টানদের আলোচনা হয়</div><div>এভাবেই যখন মাওলা আলী রাঃ ও আহলে বায়তের আলোচনা হয় সাথেই হক্ক্বানী ওলামা জনগণের ঈমানের হিফাযত করতে তাদেরকে সতর্ক করেন যে আলী রাঃ এর মোহাব্বত মানে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ বা অন্য সাহাবীর ব্যাপারে কটুক্তি বা গালাগালি নয়। সকল সাহাবীকে সম্মান করেই আহলে বায়তের শান ও মান বর্ণনা করা ওলামায়ে আহলে সুন্নাতের অভ্যাস। </div><div><br></div><div>সর্বোপরি এবিষয়ে নতুনভাবে আলোচনা করার প্রয়োজনই বা কেনো আছে? যেখানে প্রসিদ্ধ তাবেঈন, যুগশ্রেষ্ঠ ঈমামগণ এ বিষয়ে বই লিখে এ ব্যাপারে সকল ভ্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। স্বয়ং ঈমামে আহলে সুন্নাত মুজাদ্দিদে দ্বীনো মিল্লাত ঈমাম আহমাদ রাযা খান রাঃ যে বিষয়ে ছোট বড় ৫টি বই লিখে শিয়াবাদের কবর খনন করেছেন সে বিষয়ে আহলে সুন্নাতের কেউ বিতর্ক করতেই পারে না। </div><div><br></div><div>ঈমামে আহলে সুন্নাত আলা হাযরাত রাঃ বলেন: মাওলা আলী রাঃ আমাদের মাথার তাজ, আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ সহ সকল সাহাবায়ে কেরামই আমাদের সরদার এবং আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী জাহান্নামের কুকুর।</div><div><br></div><div>অবশেষে শিয়াদের বই পড়ে পথভ্রষ্ট হওয়া অল্পজ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করবোঃ</div><div>রাসুলুল্লাহ ﷺ আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর জন্য কি দোয়া করেননি? </div><div>আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কি কাতিবে ওহী ছিলেন না? </div><div>ঈমাম হাসান রাঃ কি মুমিন ভেবেই তাঁর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি?</div><div>ঈমাম বুখারী সহ সিহাহ সিত্তার ঈমামগন কি আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ বর্নিত হাদিস বর্ণনা করেননি? তাঁরা কি মুয়াবিয়া লিখার পর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু লিখেননি? </div><div>তাঁর আমলে কি ইসলামি শাসন বিস্তার লাভ করেনি?</div><div><br></div><div>আল্লাহ আখেরী যামানায় নতুন নতুন ফিৎনা থেকে আমাদের ঈমানের হিফাযত করুন। </div><div>উপকৃত হলে শেয়ার বা কপি করুন</div>

শরীয়তের দৃষ্টিতে আমীরে মুয়াবিয়া(রাঃ)

এই পোস্ট পড়লে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পাবেন।  মাওলা আলী রাঃ ও আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর মধ্যে কে হক্বের উপর ছিলেন? আজকাল আমীরে মুয়...

Read more »

কি মূল্য— এমন পর্দা করার?

<div style="text-align: justify;">ধরুন— সারাদিন ধরে ছেলেটি ডোবায় মাছ ধরার জন্য সেচ করছে। অন্যদিকে সেই ডোবাতে আবার অন্য জায়গা থেকে পানিও আসছে একটি নল দিয়ে। সে নলটি বন্ধ না করে— দিন, রাত এক করে সেচ করলো। দিনশেষে দেখা গেল, আগে যতটুকু পানি ছিল ততটুকু রয়ে গেছে! তাহলে সারাদিনের পরিশ্রম গেল কই? একদিকে পানি আসল আরেকদিকে সেচ করলাম। লাভ— শূন্য। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমার অনেক বোন পর্দা করেন। আলহামদুলিল্লাহ! খুব ভালো। এটা শরীয়াহ'র আইন। তবে তাদেরকে আবার দেখা যায় মুখমন্ডল খোলা রেখে ফেসবুকে এসে নাত গাইতে, কিছুক্ষণ পর-পর নিজের বোরখা ওয়ালা ছবি বিভিন্ন ভঙ্গিতে আপলোড করতে। তাই সন্দেহ হয় এটা আসলেই শরীয়াহ অনুযায়ী পর্দা নাকি নিজেকে শো-অফ করা? নাকি আবার ফেসবুকে নাত আপলোড করে নেকী অর্জন উদ্দেশ্য? নাকি নিজের ভয়েস টা একবার মানুষকে শুনিয়ে নেয়া উদ্দেশ্য? মানে ওই ওপরের ঘটনার মতো হলো। একদিকে পানি আসল, আরেকদিকে সেচ করলাম। একদিকে পর্দাশীল হলাম, অন্যদিকে পর্দার বিধানকে নিজের মন-মতো করে ফেললাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উল্লেখিত সবকটি কাজ শয়তানের ফাঁদের অন্তর্ভুক্ত। আপনি পর্দা করছেন। এখন শয়তান চাইবে এটা দিয়েই কিভাবে আবার আপনাকে গোমরাহ করা যায়! তাই তার বিভিন্ন ফাঁদ পাতা আছে আপনার জন্য। আপনি ভাবছেন— নাত আপলোড দিয়ে খুব নেকী অর্জন করছেন! না। আপনি পর্দার বিধান লঙ্ঘন করছেন। নারী প্রদর্শনের বস্তু নয়। নারী গোপন করার বস্তু। গোপনীয়তা নারীর সম্মান, মর্যাদাকে নিরাপদ রাখে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'নারী গোপন করার বস্তু। যখন সে বের হয় শয়তান তাকে উঁকি মেরে দেখে।' [১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই নারীর প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গোপণ করার জিনিস। এমনকি নারীর কন্ঠেরও পর্দা রয়েছে। পর-পুরুষকে প্রয়োজন ব্যতীত নিজের কন্ঠস্বর শোনানোও নিষেধ। যদি সেটা নাত বা কুরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমেও হয় তবে— সেটাও। এটা শয়তানের সুক্ষ্ম একটি ফাঁদ। 'নেক সুরতে শয়তানের ধোঁকা'— বলা চলে। 'হে নবী-পত্নিগণ, তোমরা অন্য কোন নারীর মত নও। যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে।' [২] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যেখানে সেই পুতঃ পবিত্র আত্মাগণকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে কন্ঠস্বরকে হেফাজত করার কথা সেখানে আপনার মতো পর্দাশীল তো কিছুই না। নিজের সুন্দর কন্ঠ না-মাহরামদেরকে শুনাতে নিষেধ হচ্ছে। আর সেখানে আপনি নাত গেয়ে ফেসবুকে শত না-মাহরামকে শুনাচ্ছেন! আসলেই কি শরয়ী পর্দা হলো? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">'ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।' [৩] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পর্দার কতটুকু গুরুত্ব এই আয়াতে কারীম থেকেই বুঝতে পারবেন আশা করি। যেখানে পদচারণায় পর্যন্ত সতর্ক করা হয়েছে সেখানে নিজেকে হিজাব আবৃত রেখে, মুখ-মন্ডল খোলা রেখে নাত গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? নিঃসন্দেহে এসব কাজ হারাম এর পর্যায়ে পরে। তাই সতর্ক হোন। পর্দা আপনার সম্মান। এই সম্মান যেন শয়তান নষ্ট করে না দেয় তার সুক্ষ্ম ধোঁকার দ্বারা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আরও আশ্চর্য হতে হয়— সারাদিন যারা মিডিয়াতে ইসলাম, ইসলাম করে তাদেরকেও এসব ভিডিও তে— 'মাশাআল্লাহ' 'আলহামদুলিল্লাহ' এসব কমেন্টে লিখে উৎসাহ প্রদান করতে দেখা যায়। আস্তাগফিরুল্লাহ! তারা কোথায় বাধা দিবে তা না, উল্টো উৎসাহ দিচ্ছে!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">'যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।' [৪]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুতরাং— সতর্কতা সকলের জন্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Reference:</div><div style="text-align: justify;">[১] তিরমিজি, কিতাবুর রিদা'আ, অধ্যায়- ১৮, ২/৩৯২, হাদীস- ১১৭৬।</div><div style="text-align: justify;">[২] সূরা আহযাব, আয়াত- ৩৩।</div><div style="text-align: justify;">[৩] সূরা নূর, আয়াত- ৩১।</div><div style="text-align: justify;">[৪] সূরা নূর, আয়াত- ১৯।</div>

কি মূল্য— এমন পর্দা করার?

ধরুন— সারাদিন ধরে ছেলেটি ডোবায় মাছ ধরার জন্য সেচ করছে। অন্যদিকে সেই ডোবাতে আবার অন্য জায়গা থেকে পানিও আসছে একটি নল দিয়ে। সে নলটি বন্ধ না করে...

Read more »

রমজান মাসের ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার দলিল

<div><b>১.রোজার মৌখিক নিয়্যত</b></div><div><b>২.আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু-ইফতারের দোয়া</b></div><div><b>৩.তারাবির সোবাহানাযিল মুলকী</b></div><div><b>৪.শবে কদর এর অন্যতম সম্ভাবনা ২৭ রমাদ্বান</b></div><div><b><br></b></div><div><b><br></b></div><div><b><br></b></div><div><b>✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪</b></div><div><b>রমাদ্বানের রোযার নিয়তের মৌখিক উচ্চারণ প্রসঙ্গঃ—</b></div><div><b>✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪</b></div><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">রমাদ্বানুল কারীমে সাহরী ও ইফতারের সময়সূচীতে প্রায়ই লেখা থাকে:<br></p><p dir="ltr">''রোজার নিয়ত: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদ্বান মুবারাক,ফারযল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলিম"।</p><p dir="ltr">এই দোয়া পড়া বিদ'আত— এটাই হলো বিরুদ্ধবাদীদের মূল বক্তব্য।</p><p dir="ltr">সর্বপ্রথম কথা হলো 'নিয়ত' নিয়ে।'নিয়ত' শব্দের মানেই হলো 'ইচ্ছাপোষণ করা'(Intention).মানুষ ইচ্ছাপোষণ করে মনে মনে।তাই 'নিয়ত' মনে মনে করারই কথা।কিন্তু মনের কথা মুখ দিয়ে বের করাটা বিদআত কিনা সেটাই খতিয়ে দেখার বিষয়।</p><blockquote style="text-align: right;">সুনানু তিরমিজীতে ইমাম হাকিম আবু ঈসা তিরমীযী 'সাওম' অধ্যায়ে তরজুমাতুল বাব বেঁধেছেন।যার নাম হলো <br><b><span style="color: red;">باب مَا جَاءَ لاَ صِيَامَ لِمَنْ لَمْ يَعْزِمْ مِنَ اللَّيْلِ</span></b></blockquote><p dir="ltr" style="text-align: left;">—মানে,<b><i>রাত থাকাবস্থায় সংকল্প (নিয়্যাত) না করলে রোযা হয় না।</i></b><br></p><p dir="ltr">এই অনুবাদটা আমরা নিয়েছি সালাফীদের এপ্প থেকে।এর অধীনে হাদীস হচ্ছে,</p><p dir="ltr">''হাফসা রাঃ হতে বর্ণিত আছে, নবীজি ﷺ বলেনঃ ফজরের পূর্বেই যে লোক রোযা থাকার নিয়্যাত করেনি তার রোযা হয়নি।''</p><p dir="ltr">সুতরাঙ বুঝাগেলো মনে মনে ইচ্ছাপোষণ করাটা ফরয।ইমাম তিরমীজি আরো বর্ণনা করছেন—<br></p><blockquote style="text-align: right;"><b><i><span style="color: red;">وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ صِيَامَ لِمَنْ لَمْ يُجْمِعِ الصِّيَامَ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ فِي رَمَضَانَ أَوْ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ أَوْ فِي صِيَامِ نَذْرٍ إِذَا لَمْ يَنْوِهِ مِنَ اللَّيْلِ لَمْ يُجْزِهِ وَأَمَّا صِيَامُ التَّطَوُّعِ فَمُبَاحٌ لَهُ أَنْ يَنْوِيَهُ بَعْدَ مَا أَصْبَحَ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ</span></i></b></blockquote><p dir="ltr"><span style="color: red;">—</span>আহলে ইলম বা আলিমের মতানুযায়ী উপর্যুক্ত হাদীসটির অর্থ হচ্ছে — রাত থাকতেই অর্থাৎ ফজর উদিত হওয়ার পূর্বেই রামাযানের রোযা অথবা কাযা বা মানতের রোযার ক্ষেত্রে কোন লোক নিয়্যাত না করলে তার রোযা আদায় হবে না। কিন্তু ভোর হওয়ার পরও নফল রোযার নিয়্যাত করা যায়। ইমাম শাফিঈ, ইমাম আহমদ ও এবং ইমাম ইসহাকের মত এমনই।</p><p dir="ltr">[অবশ্য ইমামে আযমের মাযহাবে রোযার নিয়ত সূর্যোদয়ের পরে করলেও অসুবিধা নেই বলে বিধান আছে]</p><p dir="ltr">অর্থাৎ একথা স্পষ্ট যে,রোযার জন্য নিয়ত করা আবশ্যক।<br></p><p dir="ltr">এখন কথা হলো,<b><i>কেউ যদি রোযার নিয়ত/ইচ্ছাপোষণ করে এবং সেটার ক্ষেত্রে মুখে বলে ফেললে অসুবিধা আছে কিনা</i></b>!কারণ বিরুদ্ধবাদীরা বলেন মুখে বলা বিদআত,তিনি এরপরপরই আনবেন কুল্লু বিদআতিন দালালাহ-সকল বিদাতই ভন্ডামি,বিদাতিরা জাহান্নামী,সোজা ভাষায় মুখে নিয়ত করলে জাহান্নামে যেতে হবে।এরকম ভ্রান্ততার অপনোদনের প্রসঙ্গে আসা যাক।<br></p><p dir="ltr" style="text-align: left;">সহিহ বোখারীতে 'কিতাবুস সিয়াম' এর অধীনে</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>بَاب إِذَا نَوَى بِالنَّهَارِ صَوْمًا</i></b><br><br><b><i>বা,কেউ যদি রোযার নিয়ত দিনের বেলা করে— বাব এ উল্লেখ আছে,</i></b></blockquote><blockquote style="text-align: right;">وَقَالَتْ أُمَّ الدَّرْدَاءِ كَانَ أَبُو الدَّرْدَاءِ يَقُولُ عِنْدَكُمْ طَعَامٌ فَإِنْ قُلْنَا لاَ قَالَ فَإِنِّي صَائِمٌ يَوْمِي هَذَا</blockquote><p dir="ltr">-<i><b>উম্মু দারদা রাঃ বলেন যে, আবুদ-দারদা রাঃ তাঁকে এসে জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কাছে কিছু খাবার আছে? আমরা যদি বলতাম, নেই, তাহলে তিনি বলতেন, আমি আজ সওম পালন করব।</b></i></p><p dir="ltr">এটা এই কথার দলিল হয় যে,রোযা রাখার ইচ্ছা বা নিয়ত বলাটা বা মুখে প্রকাশ করাটা সাহাবায়ে কেরামের মাঝে বিদ্যমান ছিলো।</p><p dir="ltr">➤➤হানাফী মাযহাযবের ইমামুল ফুকাহা শায়খুল ইসলাম <b>বুরহানুদ্দীন আল-মারগিণাণী র.(৫৯৩হি) উনার জগৎবিখ্যাত কিতাব 'আল হিদায়া' </b>নামাযের নিয়তের ব্যাপারে উল্লেখ করেন—</p><blockquote><b><i>"মুখে উচ্চারণ করা ধর্তব্য নয়।তবে উচ্চারণ করা উত্তম"।</i></b></blockquote><p dir="ltr">(হিদায়া,১/৭৩,ইসলামীক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)</p><p dir="ltr">সুতরাং,যা সালাতের নিয়তের জন্য যা প্রযোজ্য তা সাওমের জন্য প্রযোজ্য হবেনা এমন কথা অবান্তর।</p><p dir="ltr">➤➤শায়খুল ইসলাম সৈয়্যদ আমিন যিনি আল্লামা ইবনে আবেদীম শামী নামেই অধিক পরিচিত— উনি লিখেন—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>‹ولذا اختار في الهداية ان التلفظ بها مستحب </i></b></blockquote><p dir="ltr"> — '<b><i>হিদায়া' প্রণেতা (আমলের নিয়ত মনে মনে করার পাশাপাশি) মৌখিক উচ্চারণকে মুস্তাহাব বলেছেন।</i></b></p><p dir="ltr">(হাশিয়াতু ইবনে আবেদীন,১/১৮,রিয়াদ হতে প্রকাশিত)</p><p dir="ltr">  </p><p dir="ltr">➤➤"হাশিয়াতু ত্বাহত্বাভী আলা মারাকিউল ফালাহ" গ্রন্থের ১২১পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>قال من مشايخنا إن التلفظ بالنية سنة لم يرد به سنة النبي صلى الله عليه وسلم بل سنة بعض المشايخ</i></b></blockquote><p dir="ltr">—<b><i>ওলামা-মাশায়েখগণ বলেন,(অন্তরের পাশাপাশি) মৌখিক উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়ত করাটা হল সুন্নাহ।এর দ্বারা এটা উদ্দেশ্য নয় যে,এটা নবীকরিম ﷺ এর সুন্নাহ,বরঙ এটা কতিপয় ওলামা-মাশায়েখের অনুসরণ।</i></b></p><p dir="ltr">[আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ত্বাহত্বাভী(ওফাত ১২৩১ হি),দারুল কুতুব ইলমিয়াহ]</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব 'কানযুদ দাক্বায়েক্ব' এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ 'বাহরুর রায়েক' এ উল্লেখ আছে—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i><span style="color: red;">وقد اختلف كلام الشايخ في باللسان فذكره في منية المصلي أنه مستحب وهو المختار وصححة في المجتبى</span></i></b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><blockquote>—<b><i>(অন্তরে ধারণ করার পাশাপাশি নিয়তকে) মুখে উচ্চারণ করতে হবে কিনা এব্যাপারে মাশায়েখগণের মধ্যে ইখতেলাফ আছে।'মুনিয়াতুল মুসাল্লী' কিতাবে মুখে উচ্চারণ করাকে মুস্তাহাব সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং এটাই গ্রহণযোগ্য এবং বিশুদ্ধ মতামত বলে 'মুজতাবা' নামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে।</i></b></blockquote><div>[ইমাম যইনুদ্দীন আবু নুজাইম হানাফি(৭১০হি), বাহরুর রায়েক,১/২৯৩]</div><p dir="ltr"><b><i>★এবার আসা যাক নিয়তের শব্দের ব্যাপারে:</i></b>—</p><p dir="ltr">'<b>মুহিতুল বুরহানী</b>' কিতাবে উল্লেখ আছে</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i><span style="color: red;">عن الشيخ الإمام شمس الأئمة الحلواني رحمه الله: إذا قال الرجل: نويت أن أصوم غدا إن شاء الله كانت نيته صحيحة، لو صام غدا بهذه النية يجوز استحسانا</span></i></b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">—<b><i>শায়খুল ইমাম শামসুল আইম্মাহ আল-হাওয়ালানী র.হতে বর্ণিত,কেউ যদি বলে 'নাওয়াইতু আন আসুম্মা গাদাম' তথা 'আমি নিয়ত করছি আগামীকাল রোযা রাখার'— ইন শা আল্লাহ,সে নিয়তটি বিশুদ্ধই হবে। এভাবে নিয়তের মাধ্যমে যদি কেউ রোজা রাখে তবে তা উত্তম এবং জায়েজ হবে।</i></b></p><p dir="ltr">[আল-মুহিতুল বুরহানী ফি ফিকহিল নু'মানী,৩/২৮২,কিতাবুত্ত্বালাক,৯ম ভাগ,ইমাম বুরহান উদ্দীন বুখারী হানাফী(৬১২হি), মাকতাবায়ে শামেলা]<br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤'<b>জাওয়াহেরুল নাইয়্যারা শরহে মুখতাসারে কুদুরী ফি ফুরুঈল হানাফিয়্যাহ</b>' তে উল্লেখ—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i><span style="color: red;">والسنة أن يتلفظ بها بلسانه فيقول إذا نوى من الليل نويت أن أصوم غدا لله تعالى من فرض رَمضان وإن نوى من النهار يقول نويت أن أصوم هذا اليوم لله تعالى من فرض رمضان</span></i></b></blockquote><p dir="ltr">—<b><i>মুখে উচ্চারণের মাধ্যমে রাতে নিয়ত করার পদ্ধতি হল 'নাওয়াইতু আন আসুমা গাদান লিল্লাহি তা'আলা মিন ফারদ্বির রমাদ্বান',আর দিনে হলে বলবে 'নাওয়াইতু আন আসুমা হাযাল ইয়াওমি লিল্লাহি তাআলা মিন ফারদ্বির রমাদ্বান'।</i></b></p><p dir="ltr">[ইমাম আবু বকর আলী ইবনে মুহাম্মাদ নাইয়্যারী(৮০০হি),১/৩২৯,দারুল কুতুব ইলমিয়াহ,বৈরূত]</p><p dir="ltr">➤➤বাদশাহ আওরঙ্গজেব প্রণীত ৮০০জন মুফতীর সমন্বয়ে গঠিত বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব '<b><i>ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া</i></b>' তে উল্লেখ</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>ولو قال <span style="color: red;">نويت أن أصوم غدا إن شاء الله </span>تعالی صحت نيته هو صحيح كذا في الظهيرية.</i></b></blockquote><p dir="ltr">—<b><i>'যহিরীয়্যা' নামক কিতাবে উল্লেখ আছে, যদি কেউ বিশুদ্ধ চিত্তে নিয়ত করে এটা বলে যে,'নাওয়াইতু আন আসুমা গাদাম ইনশা আল্লাহু তাআলা'— তবে সে নিয়ত বিশুদ্ধ হবে।</i></b><br></p><p dir="ltr">[ফতোয়ায়ে হিন্দিয়্যা,১/২১৫, দারুল কুতুব ইলমিয়াহ]</p><p dir="ltr">ইমাম গাজ্জালী র. উনার রেসালা 'আসরারুস সিয়াম' এ নিয়্যতের মুখে নিয়তের ব্যাপারে সম্মতি উল্লেখ করেছেন।সুতরাং,এসব পর্যালোচনা করলে দেখা যায়,নিয়ত মুখে করতে কোনো অসুবিধা নেই।</p><p dir="ltr">আমরা একথা বলিনা যে,মুখে নিয়ত আবশ্যক! না,কস্মিনকালেও আবশ্যক নয়।অন্তরের নিয়তই মূখ্য।কিন্তু আমরা অন্তরের পাশাপাশি মুখের নিয়তকেও অস্বীকার করিনা।</p><p dir="ltr">যারা এটাকে নাজায়েজ-হারাম-বিদআতে সাইয়া বলতে চান তাদের জন্য 'উসুল' বা মূলই যথেষ্ট।</p><p dir="ltr">শায়খুল ইসলাম ড.তাহিরুল ক্বাদেরী উনার 'কিতাবুল বিদআ' তে উল্লেখ করেন,ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী রাঃ বলেন,</p><p dir="ltr">"কোনো কাজ করাটা তার বৈধ হবার দলিল,কিন্তু না করাটা হারাম হবার দলিল নয়'।</p><p dir="ltr">[ফতুহুল বারী,১০/৫৫]</p><p dir="ltr">শায়খুল ইসলাম ইমামুল আইম্মাহ আল্লামা কামালুদ্দীন ইবনে হুমাম রাঃ বলেন—<br></p><blockquote><b><i>"কারাহাত বা মানা হবার দলিল উপস্থাপন না করা পর্যন্ত কোনো কিছুকে মাকরূহ বলা যাবেনা"</i></b></blockquote><p dir="ltr">[ফাৎহুল ক্বদীর শরহে হেদায়া,১/৪৪৬পৃ]</p><p dir="ltr">আর এখানে তো জগৎবিখ্যাত আলেমদের থেকে সম্মতিও পাওয়া গেলো।অতএব,মুখে নিয়ত করাটা বাধ্যতামূলক না হলেও বললে অসুবিধা নেই বরং তা মুস্তাহাব-জায়েজ।</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪</p><p dir="ltr"><b>ইফতারের দোয়া প্রসংগঃ</b></p><p dir="ltr">✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪</p><p dir="ltr">হাদীসে মুবারাকা হলো নবী করিম ﷺ এঁর,কিন্তু হাদীসের কিতাবে হাদীসসমূহের অপূর্ব সজ্জাগুলো বিরচিত হয় হাদীসগ্রন্থের ইমামের আক্বিদা অনুসারে।</p><p dir="ltr">উনি যেগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন সেসকল অধ্যায়-পরিচ্ছদের নামকরণ করে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য খিদমতকার হিসেবে আবির্ভুত হন।</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">ইমাম আবু দাউদ উনার বলেন:—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>وَإِنَّمَا لم أصنف فِي كتاب السّنَن إِلَّا الْأَحْكَام وَلم أصنف كتب الزّهْد وفضائل الْأَعْمَال وَغَيرهَا ، فَهَذِهِ الْأَرْبَعَة آلَاف والثمانمائة كلهَا فِي الْأَحْكَام ، فَأَما أَحَادِيث كَثِيرَة فِي الزّهْد والفضائل وَغَيرهَا من غير هَذَا لم أخرجه</i></b></blockquote><p dir="ltr">—<b>আমি এখানে(সুনানে) যুহদ ,ফাদ্বায়েলে আমল ইত্যাদি বিষয়ক হাদীসগুলো লিপিবদ্ধ করিনি।এখানে সন্নিবেশিত ৪৮০০হাদীসের সবগুলোই আহকাম সম্পর্কিত।»</b><br></p><p dir="ltr">[রিসালায়ে আহলে মক্কা,৩৪পৃষ্ঠা,ইমাম আবু দাউদ]</p><p dir="ltr">অর্থাৎ,এতটুকু অন্তত স্পষ্ট হলো যে,ইমাম আবু দাউদ শরীয়তের হুকুম-আহকামের অংশ হিসেবে যে হাদীসগুলো মনে করেছেন, তা এখানে লিপিবদ্ধ করেছেন।</p><blockquote><div style="text-align: left;"><b style="font-size: 1.25em;"><i>ইমাম আবু দাউদ সিজিস্তানী রাঃ উনার সুনানে কিতাবুস সাওম এ তরজুমাতুল বাব বেঁধেছেন এই মর্মে যে,</i></b></div><br><b><div style="text-align: right;"><b style="font-size: 1.25em;"><i>بَابُ الْقَوْلِ عِنْدَ الْإِفْطَارِ</i></b></div></b><br><b><div style="text-align: left;"><b style="font-size: 1.25em;"><i>বা,ইফতারের সময় কি বলবে এই ব্যাপারে রচিত </i></b><b style="font-size: 1.25em;"><i>পরিচ্ছেদ।  </i></b></div></b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">সুতরাং,একজন সত্যান্বেষীর জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে ইমাম আবু দাউদের আক্বিদাকে অনুসরণ করে ইফতারের দোয়াকে মেনে নেয়।এখানে বর্ণিত হচ্ছে সেই বিখ্যাত হাদীস, যা সাধারণ মুসলমানের কাছে 'রোজার ক্যালেণ্ডারে' লিপিবদ্ধ ইফতারের দোয়া নামে পরিচিত:—</p><p dir="ltr" style="text-align: right;"><b><i>أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَفْطَرَ قَالَ: <span style="color: red;">اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ، وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ </span></i></b></p><p dir="ltr">— প্রিয় মাহবুব ﷺ ইফতারকালে বলতেন,আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া 'আলা রিযকিকা আফত্বারতু।</p><p dir="ltr">এই হাদীসটাকে যইফ বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।পাশাপাশি এর আগের হাদীসকে একমাত্র ইফতারের দোয়া বলে প্রচার করা হচ্ছে।<br></p><p dir="ltr">এখন দেখা যাক 'লাকা সুমতু'- র সনদ কি বলে।<br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">সনদ পর্যালোচনা:—</p><p dir="ltr">এটি একটি মুরসাল বর্ণনা।যেহেতু সনদে সাহাবী নেই।এই হাদীসে চারজন রাবী।<br></p><p dir="ltr">তন্মধ্যে,</p><p dir="ltr"><b>➤মুসাদ্দাদ বিন মুসারহাদ আল-আসাদী হতে বুখারীতে ৩৮২ টি মুসলিমে ২টি হাদীস</b></p><p dir="ltr"><b>➤হুশাইম ইবনে বাশির আস-সুলামী হতে বুখারীতে ৪৮টি, মুসলিমে ৮১টি হাদীস </b></p><p dir="ltr"><b>➤হু'সাইন বিন আব্দুর রহমান আস-সুলামী বুখারীতে ৪৭ টি মুসলিমে ৩১ টি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।অতএব,এই তিনজন রাবী কোনো সন্দেহ ছাড়াই বিশুদ্ধ।</b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">এবার আসা যাক,মুআয বিন যুহরার ব্যাপারে।</p><p dir="ltr"><b>➤ইমাম ইবনে হিব্বান বলেন,''তিনি তাবে'য়ী'' ছিলেন।</b></p><p dir="ltr"><b>[কিতাবুস সিকাহ,৭/৪৮২পৃষ্ঠা]</b></p><p dir="ltr"><b>➤এবং ইমাম হিব্বান তাকে সিকাহ বা বিশস্ত রাবীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।<br></b></p><p dir="ltr"><b>[তাহযিবুল কামাল,২৮/১২২,ইমাম জামালুদ্দীন মিযযী]</b></p><p dir="ltr"><b>➤ইমাম আবি হাতেম বলেন,উনি নবীজী ﷺ হতে মুরসাল বর্ণনা করতেন।এবং হুসাইন তার কাছ থেকে হাদীস শুনেছেন।<br></b></p><p dir="ltr"><b>[কিতাবু জরহে ওয়াত-তা'দীল,৮/২৪৮,ইমাম ইবনে আবি হাতেম]</b></p><p dir="ltr"><b>➤ইমাম বোখারী তারিখুল কাবীরে তার কোনো সমালোচনা করেননি।(তারিখুল কাবীর,৪/১/৩৬৪)<br></b></p><p dir="ltr"><b>➤হাফেয যাহাবী বলেন,তিনি তাবে'য়ী এবং মুরসাল বর্ণনা করতেন।<br></b></p><p dir="ltr"><b>[আল কাশেফ,৫০০১নং রাবী,ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী]</b></p><p dir="ltr"><b>➤ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী বলেন,তিনি মক্ববুল বা তার হাদীস গ্রহণযোগ্য।<br></b></p><p dir="ltr"><b>[৬৭৩১নং রাবী,তাক্বরিবুত তাহযিব,ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী]</b></p><p dir="ltr">এখন,এত প্রশংসার পরও যদি কেউ দ্বয়ীফ বলতে চায়,তাহলে বলবো,ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী বলেন—</p><blockquote style="text-align: right;">  <b><i>أن الدارقطني والطبراني روياه بسند متصل لكنه ضعيف وهو حجة أيضا</i></b></blockquote><p dir="ltr">  —<b>"ইমাম দারাকুতনী এবং ইমাম ত্বাবারানী মুত্তাসিল বা লাগাতার সনদ(যে সনদে রাবী বাদ না পড়ে) বর্ণণা করেছেন।যদিও তা দূর্বল কিন্তু এটাও হুজ্জাত বা দলিল।"</b></p><p dir="ltr">[মিরক্বাতুল মাফাতিহ,৪/৪২৬,ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী]</p><p dir="ltr">অর্থাৎ,উসুলে হাদীসের দৃষ্টিতেও এই হাদীসটি 'হাসান' হয়ে যায়।<br></p><p dir="ltr">উসুলের নিয়ম হলো:—<br></p><p dir="ltr" style="text-align: right;"><b>وَتَعَدُّدُ الطُّرُقِ يُبْلِغُ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ إِلَى حَدِّ الْحَسَنِ</b></p><p dir="ltr">—-‘‘দ্বঈফ হাদিসও একাধিক সনদে বর্ণিত হলে  </p><p dir="ltr">'হাসান' হাদিস এর পর্যায়ে পৌঁছে যায়।’’</p><p dir="ltr">[আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মিরকাত : ৩/৭৭ পৃ. হা/১০০৮]</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr" style="text-align: right;"><b><i>وَلَوْ تَمَّ تَضْعِيفُ كُلِّهَا كَانَتْ حَسَنَةً لِتَعَدُّدِ الطُّرُقِ وَكَثْرَتِهَا</i></b></p><p dir="ltr">—‘হাদিসের সমস্ত রাবী দুর্বল প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে তা ‘হাসানে’ পরিণত হয়ে যায়।’</p><p dir="ltr">[শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনুল হুমাম : ফতহুল কাদির ফি শরহে হেদায়া : ১/৩০৬ পৃ.]</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">অর্থাৎ,বুঝা গেলো হাদীসটা মুরসাল হিসেবে ন্যূনতম 'হাসান' পর্যায়ের হবে।</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><b><i>☞☞এছাড়াও 'লাকা সুমতু'র হাদীস বর্ণিত হয়েছে:—</i></b></p><p dir="ltr"><br></p><blockquote><b><i>✔'তাবাকাতে ইবনে সাদ' এর ৬ষ্ঠ খন্ডে ১৮৯পৃষ্ঠায় ইমাম ইবনে সাদ ইমাম সুফিয়ান সাওরীর সূত্রে বর্ণণা করেছেন।</i></b><br><br><b><i>✔ইমাম তাবারানি ”মু'জামুল কবিরে” (১২৭২০নং হাদীস) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে মরফু (নবীজী পর্যন্ত পৌছে এমন) সনদে বর্ণনা করেছেন।</i></b></blockquote><br><blockquote><b><i><span style="font-size: 1.25em;">✔</span>একই হাদীস ইমাম দারাকুতনী 'সুনানে' ২/১৮৫পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছেন</i></b><br><br><b><i>✔ইমাম ইবনুস সুন্নী ভিন্ন সনদে 'আমালিল ইয়াওমি ওয়াল্লাইল' কিতাবে ১৪১পৃষ্ঠায় ৪৮২ নং হাদীসে দ্বঈফ-মরফু সনদে বর্ণনা করেন।এবং যুহরার সনদে ৪৮১নং হাদীসে</i></b><br><br><b><i>✔ইমাম ইবনুস সুন্নির রেফারেন্সে ইমাম নববী 'কিতাবুল আযকার' এর ৫৭৮নং হাদীসে,হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর সূত্রে</i></b><br><br><b><i>✔'ফুতুহাতুর রব্বানিয়া' কিতাবে ২/৩৪১-৩৪২ পৃষ্ঠায়</i></b><br><br><b><i>✔ইমাম তাবারানি 'সগীর' এ (২/৫১-৫২পৃ) হযরত আনাস রাঃ এর সূত্রে দ্বইফ-মরফু সনদে বর্ণণা করেছেন।</i></b><br><br><b><i>✔'তারিখে আসবাহান' (২য় খন্ডে ২১৭-২১৮পৃষ্ঠায়) কিতাবে ইমাম আবু নঈম আসবাহানী হযরত আনাসের সূত্রের বর্ণনা</i></b></blockquote><p dir="ltr">  —যা 'লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু' কে অটোম্যাটিক্যালি শক্তিশালী করে দেয়।<br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">আর দেওবন্দী ফলোয়ারদের উদ্দেশ্যে বলবো,মৌলভী আশরাফ আলী থানভী সাহেব উনার '<b>বেহেস্তি জেওর'</b> এ ইমাম দারাকুৎনীর রেফারেন্সে যা উল্লেখ করেন আমি হুবহু তুলে ধরলাম:— </p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><b>"হাদীস শরীফে আছে, রােযাদারের সামনে যখন আল্লাহর নেয়ামত আসে অর্থাৎ, ইফতারের জন্য কোন খাদ্যদ্রব্য আসে, তখন তাহার এইরূপ বলিয়া আল্লাহর নেয়ামতের শােকর আদায় করা উচিত:—</b></p><p dir="ltr"><b><br></b></p><p dir="ltr"><b>" বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহী আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া'আলা রিযকিকা আফতারতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু সুবহানাকা ওয়াবিহামদীকা তাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলীম"।</b></p><p dir="ltr"><b>[বেহেস্তি জেওর,২৭৯পৃষ্ঠা,(১+২+৩খন্ড),অনুবাদক:জনাব শামসুল হক ফরিদপুরী,এমদাদিয়া লাইব্রেরী,চকবাজার ঢাকা]</b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">সুতরাং,এটা পরিষ্কার হলো যে,ক্যালেণ্ডারে যে দোয়া আমরা ছোটকাল থেকে দেখে আসছি সেগুলো অগ্রহণযোগ্য নয়,বরং আমলযোগ্য!</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪</p><p dir="ltr"><b>সোবাহানাযিল মুলকীর দলিল:</b></p><p dir="ltr">✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪</p><p dir="ltr">প্রথম কথা '' শব্দের অর্থ হচ্ছে '<b>বিশ্রাম করা</b>'।শরীয়তের ভাষায় রমাদ্বানের রাতে প্রতি চার রাক'আত পরপর বিশ্রাম করে,এভাবে মোট পাঁচচক্র পূরণ দ্বারা ২০রাকআত নামায আদায় করাই হলো তারাবীহ।এই 'বিশ্রামকালে' কে কি করবে সেটার কোনো নির্দিষ্ট ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।যেমন: <b>'ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া','মুহিতুল বুরহানী' </b>ইত্যাদি হানাফি ফিকহের কিতাবে উল্লেখ আছে—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>فالانتظار بين كل ترويحتين مستحب بمقدار ترويحة واحدة عند أبي حنيفة وعليه عمل أهل الحرمين غير أن أهل مكة يطوفون بين كل ترويحتين أسبوعا وأهل المدينة يصلون بدل ذلك أربع ركعات وأهل كل بلدة بالخيار يسبحون أو يهللون أو ينتظرون سكوتا</i></b></blockquote><p dir="ltr">— <b><i>প্রত্যেক তারবীহ(৪রাকাত) এর পর বিশ্রাম করা মুস্তাহাব।এটাই ইমাম আজম আবু হানিফা এবং দুই হেরেম(মক্কা মদীনার) মানুষের আমল।তবে,মক্কার লোকেরা এই অবকাশে কাবাকে সাতচক্কর লাগিয়ে তাওয়াফ করতেন।আর মদীনার লোকেরা নফল ইবাদাত করেন।অন্যান্য শহরের লোকেরা বিশ্রাম করেন, যার অনুমতি রয়েছে।</i></b><br></p><p dir="ltr">[★ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া, কিতাবুসসালাত,ত্রয়োদশতম ভাগ,১/৬৫৪★</p><p dir="ltr">কিতাবুল মাবসুত লিস সারাখসি,কিতাবুসসালাত,বাব উত-ত্তারাবীহ ,২/১৩২]</p><p dir="ltr">অর্থাৎ বুঝা গেলো যে যে কোনো প্রকার নফল আমল এই অবকাশে করা জায়েজ।</p><p dir="ltr">আমরা সর্বপ্রথম এটা দেখাবো,যে আমরা হানাফীরা যে দোয়াটা সাধারণত পড়ি সেটা হাদীসে আছে কিনা।এবং এরপর তার উপর আমল কিরূপ এবং সবশেষে তাসবিহ কিরূপ তা জানবো,ইনশা আল্লাহ।</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">হাদীস নং:১➤</p><p dir="ltr">কিংবদন্তি হাদীসবেত্তা যার চাদরে নূরনবী ﷺ ইলমে-নূরে ভরিয়ে দিয়েছেন,সৈয়্যদুনা আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>يقولون : <span style="color: red;">سبحان ذي الملك والملكوت سبحان رب العرش ذي الجبروت ، سبحان الحي الذي لا يموتُ ، سبحان الذي يميت الخلائق ولا يموتُ ،سبوح قدوس ، رب الملائكة والروحً.........</span></i></b></blockquote><p dir="ltr" style="text-align: right;">—</p><p dir="ltr" style="text-align: left;"> (<b><i>বিশাল একখানা হাদীসে মুবারাকায় নবীজী ﷺ এরশাদ করেন,কিয়ামত দিবসে) ফেরেশতারা এই তসবি পড়তে থাকবেন যে,'সুবহানাযিল মুলকী ওয়াল মালাকুতি সুবহানা রব্বিল আরশি যিল জাবারুত, সুবহানাল হায়্যুল্লাযি লা য়ামুতূ, সুবহানাল্লাযি ইউমিতুল খালাইক ওয়ালা ইয়ামূত,সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুল মালাইকাতি ওয়াররূহ……»</i></b><br></p><p dir="ltr">এই হাদীসখানা বর্ণিত হয়েছে:—</p><blockquote><b><i>✔জামেউল বায়ান আন তাভীলিল কোরআন,২/২৩০,ইমাম আবু জাফর ত্বাবারী র.<br></i></b><b><i>✔ইমাম ইবনে আবিদ দুনিয়া,কিতাবুল আহওয়াল,৫৫নং হাদীস।<br></i></b><b><i>✔তফসিরে ইবনে আবি হাতেম,হাদীস নং #১৬৬২১, #১৬৬২৮ এবং #১৬৬২৯।<br></i></b><b><i>✔আহাদীসুত ত্বাভীল,ত্বাবারানী ৩৬নং হাদীস<br></i></b><b><i>✔তফসিরে ইবনে কাসীর,২/১৩২,দারু ইবনে জওযী।<br></i></b><b><i>✔মুখতাসারু তাফসিরে ইবনে কাসীর,১/১২০, আয়াতের ব্যাখ্যা,আল্লামা সাবূনী র.<br></i></b><b><i>✔সাফওয়াতুত তাফাসির,১ম খন্ড ১৩৪পৃষ্ঠা,আল্লামা সাবূনী,দারুল কুতুব ইল্মিয়্যাহ হতে ছাপা।<br></i></b><b><i>✔আল বুদুরুস সাফিরাহ ফি আহওয়ালিল আখিরাহ,৬৮পৃষ্ঠা,ইমাম জালালুদ্দিন আব্দুর রহমান সূয়ুতী, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ।</i></b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">হাদীস নং:২➤</p><p dir="ltr">ইমাম দায়লামীর 'মুসনাদিল ফেরদৌস' শরীফের বরাতে ইমাম হিন্দী হাদীস সংকলন করেন—</p><p dir="ltr"><br></p><blockquote style="text-align: right;"><b><i><span style="color: red;">سبحان ذي الملك والملكوت سبحان ذي العزة والجبروت سبحان الحي الذي لا يموت. </span>(الديلمي عن معاذ)</i></b></blockquote><p dir="ltr">— মুআয বিন যাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে (উক্ত তাসবীহ প্রমাণিত এবং) বর্ণিত যে,সুবহানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানাযিল ইয্যাতি ওয়াল জাবারুত সুবহানাল হাইয়্যিল ল্লাযি লা ইয়ামূত।</p><p dir="ltr">(ইমাম মুত্তাকি উল হিন্দী,কানযুল উম্মাল ২০৬৩নং হাদীস) </p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">হাদীস নং:৩➤</p><p dir="ltr">আরেকটি হাদীসে বর্ণিত—</p><blockquote style="text-align: right;"> <b><i>وروى الديلمي من حديث أنس…… سبحان<span style="color: red;"> ذي الملك والملكوت سبحان ذي العزة والجبروت سبحان الحي الذي لا يموت سبوح قدوس رب الملائكة والروح</span></i></b></blockquote><p dir="ltr"><span style="color: red;">—</span> ইমাম দায়লামী হযরত আনাস রাঃ এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন,……(অনুরূপ শব্দগুলোই) সুবহানাযিল মুলকী ওয়াল মালাকুতি সুবহানাযিল ইয্যাতি ওয়াল জাবারুত সুবহানাল হাইয়্যিল লাযী লা ইয়ামুতূ সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুল মালা ইকাতি ওয়াররূহ</p><p dir="ltr">[তাখরীজু আহাদিসীল এহইয়া উলুমিদ্দীন লি ইমাম গায্যালি,৬/২৪৬৬,ইমাম যইনুদ্দীন ইরাকী ও ইমাম ইবনে সুবুকী,মাক্তাবায়ে শামেলা]</p><p dir="ltr">এখন তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম তিনটাই দ্বইফ।তখন ইমাম যাহাবী বলেন:—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>قَالَ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ: جَمِيعُ الْحَنَفِيَّةِ مُجْمِعُونَ عَلَى أَنَّ مَذْهَبِ أَبِي حَنِيفَةَ أَنَّ ضَعِيفَ الْحَدِيثِ أَوْلَى عِنْدَهُ مِنَ الْقِيَاسِ وَالرَّأْيِ.</i></b></blockquote><p dir="ltr">—‘‘ইমাম আবু মুহাম্মদ ইবনে হাযম (رحمة الله) বলেন, সকল হানাফীগণ এ বিষয়ে একমত কোন আলেমের নিজ কিয়াস এবং রায় হতে দ্বঈফ সনদের হাদিসের আমল করা উত্তম।’’</p><p dir="ltr">[যাহাবী, তারিখুল ইসলাম, ৩/৯৯০ পৃ. ক্রমিক. ৪৪৫]</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"> ইমাম বদরুদ্দীন আইনী বলেন—</p><blockquote style="text-align: right;"> <b>وقد جوز العلماء التساهل فى الضعيف من غير بيان ضعفه فى المواعظ والقصص وفضائل الاعمال</b></blockquote><p dir="ltr">—‘‘ওলামায়ে কেরামের নিকট দ্বঈফ হাদিস ওয়াজ ও কাহিনীর জন্য এবং ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।’’</p><p dir="ltr">[আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী : উমদাতুল ক্বারী, শরহে বুখারী : ১/৯ পৃ.]</p><p dir="ltr">কিন্তু এই হাদীসটা তো 'হাসান' পর্যায়ে উন্নীত হয়ে গেলো। কেননা <br></p><p dir="ltr">মুহাক্কিক আলাল ইত্বলাক (যার তাহক্বিকের পর পুনঃতাহক্বিক প্রয়োজন নেই) শায়খ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিসে দেহলভী র. বলেন—</p><p dir="ltr" style="text-align: right;"><b><i>الضعيف الذى بلغ بتعدد الطرق مرتبة الحسن لغيره ايضا مجمع وَمَا اشتهرَ (مقدمۃ للشیخ : فصل العاشر : ۲۵)</i></b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">-‘‘আর দ্বঈফ হাদিস যদি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয় এবং তার দুর্বলতা দূরীভূত হয়, তাহলে তাকে “<b>হাসান লিগাইরিহি</b>” নামে নামকরণ করা হয়।’’</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">মুহাদ্দিস আব্দুর রহমান মোবারকপুরী লিখেন-</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>وَتَعَدُّدُ الطُّرُقِ يُبَلِّغُ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ إِلَى حَدِّ الْحَسَنِ</i></b></blockquote><p dir="ltr">-‘‘যঈফ হাদিস যখন একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয় তা <b>‘হাসান’</b> স্তরে উন্নিত হয়।’’ </p><p dir="ltr">[তুহফাতুল আহওয়াজি শরহুসসুনান তিরমিযী, ২/৩৭২ পৃ.]</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">অতএব,বুঝা গেলো তারাবীহকালের তাসবিহটি হাদীস শরিফে আছে এবং হাসান হাদীসের কারণে তা দলিলের উপযুক্ত। <b>মূলত এই তাসবীহগুলো হলো ফেরেস্তাদের তসবিহ,যেমনটা উল্লেখ আছে মুস্তাদরাকে হাকেমে(৩/৮৭),ইমাম হাকেম হাদিসটিকে বুখারীর শর্তে সহিহ বলেছেন।</b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤➤তারাবিহ তে তসবি পড়ার হুকুম:</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><b><i>শায়খুল ইসলাম ইমাম আবুল হাসান আলী মারগিণানি র. বলেন—</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>"মুসতাহাব এই যে, মানুষ রমাযান মাসে ঈশার পরে একত্র হবে এবং ইমাম সাহেব তাদেরকে নিয়ে পাঁচ তারবীহা (অর্থাৎ দুই রাকাত করে চার রাকাআতী সালাত) পড়বেন। প্রতিটি তারবীহা (চার রাকাআত) দুই সালামে হবে। এবং প্রতিটি তারবীহার পরে এক তারবীহা 'সময় বসবে। এরপর ইমাম সাহেব তাদেরকে নিয়ে বিতর পড়বেন।"</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>[আল হিদায়া,১/১২৬,কিতাবু ক্বায়ামুর রমাদ্বান,ইফাবা]</i></b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">আর এই সমস্ত তাসবিহগুলোকে একত্রে এনে ছৈয়্যদ আমিন যিনি সারা দুনিয়ায় আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহ নামে বিখ্যাত উনি লিখেছেন—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>قَالَ الْقُهُسْتَانِيُّ: فَيُقَالُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ «سُبْحَانَ<span style="color: red;"> ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْععَظَمَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوتِ، سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ، لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ نَسْتَغْفِرُ اللَّهَ، نَسْأَلُك الْجَنَّةَ وَنَعُوذُ بِك مِنْ النَّارِ</span>»</i></b></blockquote><p dir="ltr">—"ইমাম কুহস্তানি বলেন,অতঃপর তিনবার পড়বে,</p><p dir="ltr"><b><span style="color: red;">সুবহানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানাযিল ইয্যাতি ওয়াল আযমাতি ওয়াল কুদরতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল জাবারুত।সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যাল্লাযি লা ইয়ামূতূ সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুল মালাইকাতি ওয়াররূহি,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু নাস্তাগফিরুল্লাহি নাস'আলুকাল জান্নাতি ওয়া নাউযুবিকা মিনান্নার"।</span></b></p><p dir="ltr">[হাশিয়াতু ইবনে আবেদীন, ২/৪৬, কিতাবুসসালাত,বাব আল বিতরি ওয়ান্নাওয়াফেল]</p><p dir="ltr">তারাবিহর নামাযের বর্ণনায়,অবকাশকালে কি করবে তার ব্যাপারে বলতে গিয়ে ইমাম কুহিস্তানীর উদ্ধৃতিতে তাসবীহ পাঠ করার কথা উল্লেখ করেছেন।যেমনটা দুররুল মুখতারে ইমাম হাস্কাফী ও উল্লেখ করেছেন।</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><b>অতএব,প্রমাণিত হলো সালাতুত তারাবীহ এর মধ্যবর্তী দোয়া বানোয়াট ভিত্তিহীন নয়, বরঙ তা মুস্তাহাব এবং ফুকাহায়ে কেরামের দৃষ্টিতে আমলযোগ্য।</b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><b><i>✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>২৭শে রমাদ্বান শবে কদর হওয়া প্রসংগঃ</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪</i></b></p><p dir="ltr">নবিপাকের বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রিটি নাজাতের দশক তথা শেষ দশদিনেই নিহিত রয়েছে। হাজার মাসের চেয়েও দামি ক্বদরের সম্ভাবনা প্রত্যেক বেজোড় রাত ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ তেই রয়েছে। কিন্তু সাধারণ জনগণ যারা বিশেষত গ্রামাঞ্চলে আছেন তারা পূর্বের মুরুব্বিদের পথনির্দেশনা হিসেবে এবং যারা দৈনন্দিন কাজে কর্মক্ষেত্রে ব্যতিব্যস্ততার জন্য ইবাদাতের যথেষ্ট সুযোগ পাননা তারা অবসর তৈরী করে নিয়ে, বিশেষ করে ২৭তম রজনীতে ক্বদর তালাশ করেন।আর তখন তাদের মন টা ভেঙে দেন কিছু কিতাব খেয়ানতকারী আধা শিক্ষিত পাব্লিক ,যারা ২৭ কে বিশেষ মনে করাকে বিদআত বলে আখ্যায়িত করে অবুঝ পাব্লিকগুলো ক্বদর হতে মাহরুম/বিরত রাখার শয়তানী পায়তারা করেন।</p><p dir="ltr">➤➤➤ইমাম তিরমিজি উনার 'জামি' তে 'কিতাবুসসাওম' এ 'তরজুমাতুল বাব<b><i>' باب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ /লাইলাতুল ক্বদর</i></b> এর আলোচনা'য় বর্ণনা করেন—</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr" style="text-align: right;"><b><i>وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّهُ كَانَ يَحْلِفُ أَنَّهَا <span style="color: red;">لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ</span> ‏</i></b></p><p dir="ltr">—<b>হযরত উবাই ইবনু কাব রাঃ (যিনি তারাবিহর জামাতের ইমাম) হতে বর্ণিত,তিনি কসম করে বলেছেন,তা (লাইলাতুল ক্বদর) হল সাতাশ তারিখের রাত্রি</b>।»</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">হযরত কাব রাঃ উনার কথার সাক্ষ্য হিসেবে ফুকাহাতুস সাহাবা সৈয়্যদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ এর কথা বলেন এভাবে —</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَ ابْنُ مَسْعُودٍ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ <span style="color: red;">وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ</span></i></b></blockquote><p dir="ltr">—<b>(কাব বলেন) আল্লাহর কসম!ইবনু মাসউদ রাঃ ও জানেন যে, সেটা হচ্ছে রমযানের রাত এবং সাতাশেরই রাত।</b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">কিন্তু,যদি এই ব্যাপারটা 'খাস' বা স্পেশাল করে দেয়া হয় তবে মানুষজন ইবাদত কমিয়ে দিবে,যারপরনাই উবাই ইবনু কাব রাঃ তৎক্ষণাত বলেন—</p><p dir="ltr"><b><i><br></i></b></p><p dir="ltr"><b><i>«وَلَكِنْ كَرِهَ أَنْ يُخْبِرَكُمْ فَتَتَّكِلُوا</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>—কিন্তু তোমাদেরকে তিনি(ইবনে মাসউদ) তা জানাতে পছন্দ করেননি, তোমরা যদি পরে এটার উপর নির্ভর করে বসে থাক।»</i></b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">আর বর্তমানে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে রীতিমতো লাইলাতুল ক্বদর কে ২৭ তারিখে তালাশ করাকে বিদআত মনে করা হচ্ছে।এখন আমরা দেখে নিবো লাইলাতুল ক্বদর ২৭ হবার ব্যাপারে বর্ণিত কিছু হাদীস।</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤হাদীস নং ১:—</p><p dir="ltr"><br></p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>«عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ قَالَ,"‏ <span style="color: red;">لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ"‏</span></i></b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">— আমিরে মুয়াবিয়া রাঃ বর্ণনা করেন,নবীকরিম ﷺ লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে বলেছেনঃ লাইলাতুল ক্বদর সাতাশের রাতে।(সহিহ)</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">হাদীসটি বর্ণিত আছে:—</p><blockquote><b>★সুনানু আবি দাউদ,হাদিস নং ১৩৮৬<br></b><b>★আত-তামহীদ,২/২০৫,ইমাম ইবনে আব্দিল বার মালেকী <br></b><b>★শরহু মা'আনিল আছার,৩/৯৩,ইমাম ত্বাহাবী<br></b><b>★সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ৩৬৮০<br></b><b>★মু'জামুল কাবীর,১৯ তম খন্ড ৮১৩নং হাদীস,ইমাম তাবারানি<br></b><b>★মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা,৩/৭৬<br></b><b>★সুনানু কুবরা,৩/৩১২,ইমাম বায়হাক্বী</b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤হাদীস নং ২:—</p><p dir="ltr">মুসলিম শরীফে উল্লেখ আছে,হযরত যির র. বলেন,</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr" style="text-align: right;">«<b><i>فَقُلْتُ إِنَّ أَخَاكَ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ‏.‏ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ أَرَادَ أَنْ لاَ يَتَّكِلَ النَّاسُ أَمَا إِنَّهُ قَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ <span style="color: red;">وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏ ثُمَّ حَلَفَ لاَ يَسْتَثْنِي أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ</span></i></b></p><p dir="ltr" style="text-align: right;"><br></p><p dir="ltr">—আমি উবাই ইবনু কাব রাঃ কে বললাম, আপনার ভাই আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাঃ বলেন, যে ব্যক্তি গোটা বছর রাত জাগরণ করে- সে কদরের রাতের সন্ধান পাবে। তিনি (উবাই) বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন, এর দ্বারা তিনি এ কথা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, লোকেরা যেন কেবল একটি রাতের উপর ভরসা করে বসে না থাকে। অথচ তিনি অবশ্যই জানেন যে, <span style="color: red;"><b>তা রমযান মাসে শেষের দশ দিনের মধ্যে এবং ২৭তম রজনী। অতঃপর তিনি দৃঢ় শপথ করে বললেন, তা ২৭তম রজনী।</b>»</span></p><p dir="ltr">হাদীস #২৬৬৭ (হাদীস একাডেমি)</p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤হাদীস নং ৩:</p><p dir="ltr"><b>মুসনাদ আহমদ এর ৪৮০৮</b> নং হাদীসে উল্লেখ—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>عن بن عمر قال قال رسول الله ﷺ: من كان <span style="color: red;">متحريها فليتحرها ليلة سبع وعشرين </span></i></b></blockquote><p dir="ltr">— <b>হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ হতে বর্ণিত,নবিজী বলেন,তোমাদের মধ্যে যে এটা(ক্বদর) তালাশ করে সে যেন ২৭ তারিখের রাতে তালাশ করে।</b></p><p dir="ltr"><b><i>ইমাম হায়সামী বলেন,হাদীসটির বর্ণনাকারীরা সকলেই বিশুদ্ধ।</i></b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">হাদীসটি বর্ণিত আছে:</p><p dir="ltr"><b>★শরহু মা'আনিল আছার,৩/৯১,ইমাম ত্বাহাবী</b></p><p dir="ltr"><b>★মুসনাদু আবি দাউদ ত্বায়লিসী,১৮৮৮নং হাদীস</b></p><p dir="ltr"><b>★সুনানু কুবরা,৪/৩১১,ইমাম বায়হাক্বী</b></p><p dir="ltr"><b>★মাজমাউয যাওয়ায়েদ,৫০৪৫ নং হাদীস,ইমাম হায়সামী(দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ হতে প্রকাশিত)</b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤হাদীস নং ৪:</p><p dir="ltr">হযরত জাবের বিন সামুরাহ রাঃ বর্ণনা করেন—</p><blockquote style="text-align: right;"><b><i>قال رسول الله ﷺ:التمسوا <span style="color: red;">ليلة القدر ليلة سبع وعشرين</span></i></b></blockquote><p dir="ltr">—নবিজী বলেন,তোমরা (রমাদ্বানের) ২৭ তম রাতে ক্বদর তালাশ করো।</p><p dir="ltr"><b><i>ইমাম হায়সামী বলেন,বর্ণনাকারীরা সবাই সিকাহ বা বিশ্বস্ত।</i></b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">হাদীসটি বর্ণিত আছে:</p><blockquote><b>★মাজমাউয যাওয়ায়েদ,৫০৫৭ নং হাদীস,ইমাম হায়সামী(দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ হতে প্রকাশিত)<br></b><b>★মুজামুল আওসাত,হাদীস নং ৫০৯৮,ইমাম তাবারানি</b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤হাদীস নং ৫:</p><p dir="ltr" style="text-align: left;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বর্ণনা করেন একবৃদ্ধ রূগ্ন লোক নবীজীর কাছে এসে শবে ক্বদর তালাশের কথা বললে উনি বলেন—</p><p dir="ltr" style="text-align: right;"><b><i> فقال "عليك بالسابعة"</i></b></p><p dir="ltr" style="text-align: right;"><b><i> </i></b></p><p dir="ltr">—সপ্তম রাতে (২৭ তারিখ) তালাশ করো।</p><p dir="ltr"> <b><i>ইমাম হায়সামী বলেন,হাদীসটির বর্ণনাকারীরা সবাই বিশুদ্ধ হাদীসের বর্ণনাকারী।</i></b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">হাদীসটি বর্ণিত আছে:</p><blockquote><b>★মুসনাদ আহমদ,১/২৪০<br></b><b>★মুজামুল কাবীর,১১/৩১১,নং ১১৮৩৬,ইমাম তাবারানি<br></b><b>★সুনানু কুবরা লিল বায়হাক্বী,৪/৩১৩<br></b><b>★তারিখে বাগদাদ,১০/৪৮০,খাতিবে বাগদাদী<br></b><b>★হিলইয়াতুল আওলিয়া,৯/২৩০<br></b><b>★মাজমাউয যাওয়ায়েদ,৫০৪৭ নং হাদীস,প্রাগুক্ত।</b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">➤➤এভাবে তফসিরে রূহুল মা'আনী,১৫/৪১৩ তে উল্লেখ</p><p dir="ltr"><br></p><blockquote style="text-align: right;"><b>وأخرج ابن أبي شيبة عن أبي ذر أنه سئل عن ليلة القدر فقال: كان عمر وحذيفة وناس من أصحب رسول الله ﷺ لا يشكون <span style="color: red;">أنها ليلة سبع وعشرين. </span></b></blockquote><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr">— ইমাম ইবনে আবি শায়বা স্বীয় মুসান্নাফে বর্ণনা করেন,<b><span style="color: red;">হযরত আবুযর গিফারী রাঃ </span>লাইলাতুল ক্বদরের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলেন।তখন তিনি বললেন, <span style="color: red;">হযরত ওমর রাঃ এবং হুযায়ফা রাঃ</span> সহ অনেক সাহাবীয়ে রাসুল ﷺ হতে বর্ণিত যে,সাতাশ তারিখের রাতই শবে ক্বদর।</b></p><p dir="ltr">➤➤আবার <b>তাফসিরে ক্বুরতুবীর ২২তম খন্ডের ৪০০ পৃষ্ঠায় এবং ইমাম জওযীর 'যাদুল মাসীর ফি উলুমিত তাফসির' এর ৯ম খন্ডের ১৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ</b> আছে হযরত <b><span style="color: red;">আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারীম এবং হযরত আয়েশা সিদ্দিকা আলাইহাস সালাম</span></b> হতে সাতাশ তারিখের বর্ণনা প্রমাণিত আছে।</p><p dir="ltr">সুতরাং</p><p dir="ltr"> (<b><i>১)উবাই ইবনু কা'ব,</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(২)আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ,</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(৩)আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস,</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(৪)মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান, </i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(৫)ওমর ইবনুল খাত্তাব,</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(৬)আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর,</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(৭)আবুযর গিফারী,</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(৮)হুযায়ফা ইবনু ইয়ামান,</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(৯)জাবের বিন সামুরাহ,</i></b></p><p dir="ltr"><b><i>(১০)আয়েশা সিদ্দিকা এবং </i></b></p><p dir="ltr"><b><i>স্বয়ং 'জ্ঞানের দরজা' (১১) আলী ইবনু আবি তালিব সব <span style="color: red;">সর্বমোট এগারোজন</span> ফকিহ সাহাবী হতে 'সাবআ ঈশরিন' বা সাতাশ তারিখের বর্ণনা উল্লিখিত আছে।<br></i></b></p><p dir="ltr"><b><i><br></i></b></p><p dir="ltr"><br></p><p dir="ltr"><br></p>

রমজান মাসের ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার দলিল

১.রোজার মৌখিক নিয়্যত ২.আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু-ইফতারের দোয়া ৩.তারাবির সোবাহানাযিল মুলকী ৪.শবে কদর এর অন্যতম সম্ভাবনা ২৭ রমাদ্বান ✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪✪...

Read more »