গাউসে পাকের বাল্যকালের সাতটি কারামত
প্রিয় ইমানি ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের গাউসুল আ’জম (রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ) জন্মগত ওলী ছিলেন। 

(১) তিনি রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ এখনও মাতৃগর্ভে আর মায়ের হাঁচি আসাকালে যখন আলহামদুলিল্লাহ্‌ আজ্জাওয়াযাল বলতেন, তখন তিনি(রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ) পেটের মধ্যেই এর জবাব স্বরুপ ( ﻳﺮﺣﻤﻚ ﺍﻟﻠﻪ ) বলতেন। (আল হাক্বাইক্ব ফিল হাদাইক্ব, পৃষ্ঠা-১৩৯০)।

(২) তিনি গাউসে পাক (রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ) ১লা রমযানুল মুবারক রোজ সোমবার সুবহে সাদিকের সময় দুনিয়াতে তাশরীফ আনয়ন করেন ঐ সময় ঠোঁট একটু একটু নড়েছিল এবং ‘আল্লাহ্ আল্লাহ্’ শব্দ আসিতেছিল। প্রাগুক্ত)।

(৩) যেদিন তিনি (রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ) এর জন্ম হয় ঐদিন তিনি রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ এর জন্মভূমি জীলান শরীফে এগারশত বাচ্চার জন্ম হয়, তাদের সবাই ছেলে সন্তান ছিল এবং সবাই আল্লাহ্র ওলী হয়েছিল। (তাফরীহুল খাতির পৃষ্ঠা-১৫)।

(৪) গাউসুল আ’জম (রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ) জন্ম গ্রহণ করার পরপরই রোযা রাখতে আরম্ভ করেন এবং সূর্য যখন অস্ত যায় তখনই মায়ের দুধ পান করেন, সম্পূর্ণ রমযান মাস তিনি( রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ) এভাবে অতিবাহিত করেন। (বাহাজাতুল আসরার, পৃষ্ঠা-১৭২)।

(৫) পাঁচ বছর বয়সে যখন সর্বপ্রথম ‘আউযু ও বিসসমিল্লাহ্ ‘ পাঠ করে সুরা ফাতিহা এবং ﺍﻟﻢ থেকে আঠার পারা পর্যন্ত তিলাওয়াত করে শুনিয়ে দিলেন। ঐ বুযুর্গ বললেনঃ বেটা! আরো পাঠ কর। বললেনঃ ব্যস! আমার এতটুকুই মুখস্থ আছে কেননা আমার মায়েরও এতটুকু মুখস্থ ছিল, যখন আমি আমার মায়ের গর্ভে ছিলাম, সে সময় তিনি তা পাঠ করতেন, আমি শুনে শুনে মুখস্থ করে নিয়েছিলাম। (আল হাক্বাইক্ব ফিল হাদাইক্ব, পৃষ্ঠা-১৪০)।

(৬) যখন তিনি (রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ) শিশুকালে খেলতে ইচ্ছা করতেন অদৃশ্য থেকে আওয়াজ আসত: হে আব্দুল কাদের! আমি তোমাকে খেলাধুলা করার জন্য সৃষ্টি করিনি। (আল হাক্বাইক্ব ফিল হাদাইক্ব, পৃষ্ঠা-১৪০)।

(৭) তিনি গাউসে পাক (রহমাতুল্লাহ তাআলা আলাইহ) মাদরাসায় যাওয়ার সময় আওয়াজ আসতঃ “আল্লাহ্ তাআলার ওলীর জন্য জায়গা করে দাও। সুবাহান আল্লাহ্ (বাহাজাতুল আসরার, পৃষ্ঠা-৪৮)
Top