কেউ তাকে চাঁদের সাথে তুলনা করেন, কেউ বা সূর্যের সাথে! কেউ বা সৌন্দর্য বর্ণনা করার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছেন।
এমনি একজন সাহাবিয়ে রাসূল ﷺ সায়্যিদুনা জাবের বিন সামুরা রা.। তিনি বলেন আমি একবার প্রিয় নবীজী ﷺ কে চাঁদনী রাতে লাল ডোরা কাটা জুব্বা পরিধান অবস্থায় দেখলাম। আমি কখনো চাঁদের দিকে তাকাচ্ছিলাম কখনো তাঁর নূরানী চেহারা মোবারকের দিকে। চাঁদের চেয়েও আমার কাছে প্রিয় নবীজীর ﷺ চেহারাই সুন্দর মনে হচ্ছিল। [১]
আল্লাহু আকবার! এ কেমন অসাধারণ সৃষ্টি যার চেহারা মোবারক চাঁদের চেয়েও সুন্দর।
এবার একটু ভাবুন আজ আমরা কত অভিনেতা কে নিজের আদর্শ হিসেবে নিয়েছি। তাদের আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ আমরা ফলো করি। যেন আমাদেরকেও দেখতে সুন্দর দেখায়। তো চিন্তা করুন যিনি স্বয়ং আমাদের আক্বা ﷺ, যিনি এতই সুন্দর ছিলেন যে যারা দেখতেন বলার ভাষা হারিয়ে ফেলতেন। যার মতো সুন্দর না এসেছে আর না আসবে!
তাঁর মতো যদি আমরা পোশাক-পরিচ্ছদ পরতাম, তাঁর মতো মুখে দাঁড়ি সাজিয়ে নিতাম, তাঁর মতো কথা বলার চেষ্টা করতাম তাহলে আমাদের ব্যক্তিত্ব কতই না সুন্দর হতো। আমাদেরকে দেখতে কতই না স্মার্ট লাগত। কিন্তু আমরা ক্ষনিকের ফ্যাশনকে নিজের জন্য উপযুক্ত মনে করছি। আফসোস!
অনেকেই আবার বলেন ভাই বয়স হয়নি দাঁড়ি রেখে দিলেন? আমি বলি ভাই বয়স না হলেই কি দাঁড়ি ওঠেছে। দাঁড়ি ওঠার বয়স হয়েছে বিধায় তো দাঁড়ি ওঠেছে। আর এটা যদি পুরুষের সৌন্দর্য না হতো তাহলে কি আল্লাহ তায়ালা তাঁর সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টিকে তা দান করতেন? আমরা কতই না বিভ্রান্তিতে আছি! নিজের আসল কালচার ভুলে গেছি!
রেফারেন্স:
[১] তিরমিযী, কিতাবুল আদাব, বাবু মা'জা ফির রুখচাতি ফিল লিবাসী, ৪/৩৭০, হাদীস নং- ২৮২০।
'হোসনে মোস্তফা ﷺ - ০৫'