কৃতঃ মাহদি গালিব
এসো উৎসবে। জন্মেছি তাঁর উৎসব উদযাপনে। হে মুমিন, হে মানুষ, হে সৃষ্টি, এসো, উৎসব করো। তোমার জন্য দুঃখ হারাম। দেখো না, চোখের জলেও প্রেমের প্রকাশ।
দেখো, নভোমণ্ডলে নক্ষত্রবীথি নিরন্তর। জমিনে জ্বলে জোনাক। মরিচবাতি। শোনো, বঙ্গ-বর্ষার রিমঝিম। অথবা আরব্য লু-হাওয়া। আবহ সঙ্গীত। ছোঁও নদী, কী নির্মল শীতল অবিরল জল। অভ্যর্থনা শরবত। উৎসব এসবে। নিশ্ছিদ্র গৌরবে।
হিমালয় তাঁর জুতোর উচ্চতা ধারণে অক্ষম৷ প্রশান্ত মহাসাগর পান-পেয়ালার থেকে ছোট। চৌদ্দকোটি আলোকবর্ষের মহাকাশ বুকে আশ্রয় খোঁজে। কোটি কৃষ্ণগহ্বর চুপসে যায় চুলের ভাঁজে ভাঁজে। তাবৎ অণু-পরমাণু জুতোর বালুকা হতে প্রতিযোগিতায় মাতে।
কোকিলের গান, মায়ের ঝাড়ু দেয়া উঠান, বৃদ্ধ ফুকদুলুর আজান, তাঁর জমকের জানান। শিশু জন্মেই কেঁদে কেঁদে দেয় তাঁর প্রেমময় অস্তিত্বের স্বীকৃতি। বীজের বিকাশ, রোদেলা আকাশ, মাটির খনিজ, ডাল পাতা ফুল ফল, আবার বীজ— উদ্ভিদের উদ্ভিন্নতা উদ্ভব, সবুজের উৎসব, এসব তাঁর— উদযাপনে একাকার।
সে সেই। সে শুধুই সে। সে একমাত্র। সে একক। সে অবিভাজ্য। সে অবিচ্ছেদ্য। সে আদি। সে শুরু। সে শেষ। কবিতার রেশ। দরবেশের বেশ। খোদার পরিচয়ে প্রবেশ। উচ্চতার উন্মেষ। সে মাপকাঠি। সত্যের সাপটি। মিথ্যের মৃত্যু।
সে প্রেম। সে প্রেমিক। সে প্রেমাষ্পদ। সে পানীয়। সে পেয়ালা। সে প্রবীণ। সে প্রাচীন। সে প্রথম। সে পূর্ণতা। সে পবিত্রের পবিত্রতা৷ সে ইতিহাস। সে বিশ্বাস। ফুসফুসের নিঃশ্বাস। সে হৃদয় হৃৎপিণ্ড। সে ভাণ্ডারের ভাণ্ড। বারেলি বৃক্ষ প্রকাণ্ড। সিরিকোটি শুদ্ধতা প্রচণ্ড।
সে পরিচয়। সে ছাড়া কেউ নয়। কিচ্ছু নয়।
সে সে সে!
ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইয়া সায়্যেদি! ইয়া মালিক! ইয়া মওলা! তুমি তুমি তুমি! তুমি তুমি তুমি! এবং তুমি! এবং তুমি! এবং তুমি!
তুমি আছো তো প্রাণ আছে। তুমি নেই তো মৃত্যুও নেই।