আজ ২২ শে রজব। হযরত আমিরে মুয়াবিয়াহ রাঃ এঁর ওফাত দিবস। হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) যখন উমাইর ইবনু সা'দ (রাঃ)-কে পদচ্যুত করে সে পদে মু'য়াবিয়াহ (রাঃ) কে হিমসের গভর্নর নিযুক্ত করলেন তখন লোকেরা বলল, তিনি উমাইর'কে পদচ্যুত করে সেই পদে মু'য়াবিয়াহ'কে শাসক নিযুক্ত করেছেন। উমাইর (রাঃ) বলেন, তোমরা মু'য়াবিয়াহ রাঃ কে ভালভাবে স্মরণ কর। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে আমি বলতে শুনেছিঃ হে আল্লাহ! তুমি তাঁর মাধ্যমে (লোকদের) পথ দেখাও। (সূনান আত তিরমিজী ৩৮৪৩)

প্রিয় নবী ﷺ হযরত আমিরে মু'য়াবিয়াহ (রাঃ) এঁর জন্য দু'আ করেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও।" (সূনান আত তিরমিজী ৩৮৪২)




৪১ হিজরিতে ইসলামের পঞ্চম খলিফা, জান্নাতী যুবকদের সর্দার ইমাম হাসান রাঃ যখন ছয় মাস খিলাফতের মসনদে থাকার পর মুসলমানদের মধ্যে বিবেদ সামলানোর জন্য মসনদ ছেড়ে দিয়ে হযরত মুয়াবিয়াহ রাঃ এঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখনই রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক ভবিষ্যদ্বাণীকৃত খিলাফতের ৩০ বছর পূর্ণ হয় (হায়! আমরা এই মহান খলিফাকে খুব কমই স্মরণ করি, অল্প সংখ্যক মানুষই তাঁকে খলিফাতুল মুসলিমিন হিসেবে চিনি, অথচ অন্যদিকে তিনি পবিত্র আহলে বাইতেরও অন্যতম সদস্য)। দুনিয়া থেকে পর্দা করার পূর্বে আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় প্রিয় নবী ﷺ এই ঘটনার কথাও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন।

আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন) আমি নবী ﷺ-কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি, ঐ সময় হাসান (রাঃ) তাঁর পার্শ্বে ছিলেন। তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে আবার হাসান (রাঃ)-এঁর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমার এ সন্তান (নাতি) হচ্ছে সাইয়্যিদ (সর্দার)। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল মুসলমানের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দিবেন। (সহীহ বুখারী ৩৭৪৬, ৩৬২৯, ২৭০৪)

স্বয়ং নবীজি ﷺ যাঁর জন্য দু'আ করেছেন, যাকে মুসলমানিত্বের সার্টিফিকেট দিয়েছেন, ইমাম হাসান রাঃ যার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন, ঐ পথভ্রষ্টরা আহলে বাইতপ্রেমিক দাবী করেও সেই মুয়াবিয়াহ রাঃ কে মুনাফিক-কাফের ডাকে, গালমন্দ করে (নাউজুবিল্লাহ)। ইমাম হাসান আঃ কি তাহলে একজন অযোগ্য ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন!! তাহলে এটা তো ইমাম হাসান রাঃ এঁর নামে অপবাদও হয়ে যাবে। আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন,

"ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা (কোন বিষয়ে) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।" (সূরা হুজরাতঃ ১)

একবার খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রাঃ ও আব্দুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) এঁর মাঝে (অপ্রীতিকর) একটা কিছু ঘটেছিল। তখন খালিদ (রাঃ) উনাকে অপ্রীতিকর কিছু বলে ফেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তোমরা আমার সাহাবীদের কাউকে গাল-মন্দ করবে না। কারণ, তোমাদের কেউ যদি উহুদ পর্বতের সমতুল্য স্বর্ণ খরচ করে তবুও তাদের এক মুদ অথবা অর্ধ মুদের ন্যায় হবে না। (সহীহ মুসলিম ৬৩৮২)


অন্য সাহাবীকে অপ্রীতিকর কিছু বলায় রাসূলুল্লাহ ﷺ খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ কে এবং উনার মাধ্যমে সকলকে সতর্ক করে দিলেন অথচ ইনি হলেন সেই বিশিষ্ট সাহাবী যাকে স্বয়ং নবীজি ﷺ সাইফুল্লাহ তথা আল্লাহর তরবারী উপাধি দিয়েছিলেন। সেখানে আমি আর আপনার অবস্থান কোথায়!! আপনার এত বড় স্পর্ধা কি করে হয়, নবীজির সাহাবীর দিকে আঙুল তোলার!!

[হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ (মুতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী) যায়েদ (ইবনে হারিসা), জাফর (ইবনে আবূ তালিব) ও (আবদুল্লাহ) ইবনে রাওয়াহা (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা) এঁর মৃত্যু সংবাদ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আসার পূর্বেই আমাদেরকে শুনিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ﷺ (খুতবা দিতে গিয়ে) বলছিলেন, যায়দ (রাঃ) পতাকা ধারণ করে শাহাদাত লাভ করেছে। অতঃপর জা‘ফর (রাঃ) পতাকা ধারণ করে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করল। অতঃপর ‘আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাঃ) পতাকা হাতে নিয়ে শাহাদাত লাভ করল। তিনি যখন এ কথাগুলি বলছিলেন তখন তাঁর দু’ চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল। (অতঃপর বললেন) আল্লাহ তা‘আলার তরবারীগুলোর এক তরবারি অর্থাৎ খালিদ ইবনে ওয়ালিদ পতাকা উঠিয়েছেন। অবশেষে আল্লাহ মুসলিমদেরকে বিজয় দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি ৩৭৫৭)]

হ্যা, মাওলা আলী আঃ এবং হযরত আমিরে মুয়াবিয়াহ রাঃ এঁর মধ্যেকার যে বিরোধ হয়েছিল সেখানে মাওলা আলী আঃ ই সঠিক ছিলেন, মুয়াবিয়াহ রাঃ (ইজতিহাদী) ভুলের উপর ছিলেন। কিন্তু তাই বলে উনাকে গালমন্দ করা যাবে না, আমার নবীজির দিকে তাকিয়ে। তাঁর সাহচর্য লাভ করে সাহাবীয়তের মর্যাদা লাভ করার কারণে। কিন্তু এটা সত্য যে, আলী আঃ এঁর মর্যাদা অনেক উর্ধ্বে। যাঁর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ (হে আলী!) তুমি কি এতে খুশী হবে না যে, তোমার মর্যাদা আমার কাছে মূসা (আঃ) এঁর কাছে হারূন (আঃ) এঁর মতো। এ কথা ভিন্ন যে, আমার পর আর কোন নবী আসবে না। (সহীহ মুসলিম ৬১১২)

অন্যদিকে ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ), মুয়াবিয়াহ রাঃ কে ফকীহ্ হিসেবে সম্বোধন করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাহচর্য লাভ করার কারণে উনাকে কিছু বলতেও নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারী ৩৭৬৪, ৩৭৬৫)

হ্যা, এটাও সত্য যে, ইয়াজিদ একজন লম্পট, জালেম, ফাসেক, মদ্যপ ছিল। এমনকি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ ইয়াজিদকে কাফের বলে ফতেয়া দিয়েছেন। কিন্তু কোন ইমাম হযরত আমিরে মুয়াবিয়াহ রাঃ কে গালমন্দ করেছেন!! হাদিস গ্রন্থগুলোতে উনার নামের পরে কি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ব্যবহৃত হয়নি!! আপনারা কতবড় মুজতাহিদ হয়ে গেছেন যে, উনাকে কাফের মুনাফিক ফতোয়া দিচ্ছেন!!

অবশ্য এই ব্যাপারে ফয়সালা তো জান্নাতী যুবকদের সর্দারদ্বয়ও করে গেছেন। পঞ্চম খলিফা ইমাম হাসান আঃ, আল্লাহর বাণীঃ "আর যদি মুমিনদের দু’দল লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, তাহলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও" এর উপর আমল করতঃ আমিরে মুয়াবিয়াহ রাঃ কে যোগ্য মুমিন মনে করেই তো উনার কাঁধে শাসনভার তুলে দিতে রাজি হয়েছিলেন। আর অন্যদিকে ইমাম হুসাইন আঃ, আল্লাহর বাণীঃ "আর তোমরা জালিমদের/ সীমালঙ্ঘন-কারীদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না" এর উপর আমল করতঃ পাপিষ্ঠ জালিম ইয়াজিদের হাতে বাইয়াত নেননি কারণ সে ছিল অযোগ্য।

একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ মিম্বরে আরোহন করলেন এবং উচ্চস্বরে ডেকে বললেনঃ হে ঐ সম্প্রদায় যারা মুখে ঈমান এনেছ কিন্তু হৃদয়ে ঈমান প্রবেশ করেনি/ মজবুত হয়নি! শোন, তোমরা মু'মিনদের কষ্ট দিবে না, তাদের লজ্জা দিবে না, তাদের গোপন দোষ তালাশ করে ফিরবেনা। কেননা, যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ তালাশ করবে আল্লাহ তার গোপন দোষ উদঘাটিত করে দিবেন। আর আল্লাহ যার দোষ বের করে দিবেন তাকে তিনি লাঞ্চিত করবেন যদিও সে তার হাওদার অভ্যন্তরে অবস্থান গ্রহণ করে।

রাবী বলেন যে, ইবনে উমার রাঃ একবার বায়তুল্লাহ বা কা‘বার দিকে তাকালেন এবং বললেনঃ কত মর্যাদা তোমার, কত বিরাট তোমার সম্মান! কিন্তু আল্লাহর নিকট মু’মিনের মর্যাদা তোমার চেয়েও বড়। (সুবহান আল্লাহ) [সূনান আত তিরমিজী ২০৩২, ইফাঃ ২০৩৮, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ৫০৪৪]

আহলে বাইতের ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ। স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কুরআনের সূরা শূরাতে তাদের প্রতি ভালবাসা রাখার আবশ্যকতার বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু আহলে সুন্নাত দাবী করেও একদল আহলে বাইতের প্রতি, বিশেষ করে আলী রাঃ এঁর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, আহলে বাইতের মর্যাদার কথা শুনলে এদের জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ ﷺ আহলে বাইত বিদ্বেষীদেরকে মুনাফিক বলে অভিহিত করেছেন। আবার একদল নকল বা মেকি আহলে বাইত প্রেমিক দেখা যায়, যারা আহলে বাইতের ভালবাসার দোহাই দিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ কর্তৃক ক্ষমাপ্রাপ্ত সাহাবীদের দোষত্রুটি তালাশ করে, সমালোচনা করে, অথচ প্রিয় নবীজি ﷺ একজন মুমিনের দোষত্রুটিও তালাশ করতে নিষেধ করেছেন (হ্যা, মুনাফিকদের ভন্ডামী জাতির নিকট তুলে ধরতে হবে, যাতে অন্যরা তাদের থেকে সাবধানে থাকে, ঈমান আমলের হেফাজত করে)। আর তারা দোষ ত্রুটি তালাশ করছে তাদের, যাদের কারো এক মুহূর্তের সৎকাজ আমদের কারো সারা জীবনের সৎকাজের চেয়েও উত্তম, উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ (দান) ব্যয় করেও যাদের কোনো একজনের এক মুদ্দ বা অর্ধ মুদ্দ ব্যয়ের সমানও (সাওয়াব) হবে না। যাদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো বলেন, জাহান্নামের আগুন এমন মুসলিমকে স্পর্শ করবে না যে আমাকে দেখেছে অথবা আমার দর্শনলাভকারীকে দেখেছে।

আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ হুঁশিয়ার (সাবধান)! আমার সাহাবীদের বিষয়ে আল্লাহ্ তা'আলাকে ভয় কর। আমার পরে তোমরা তাদেরকে (গালি, বিদ্রুপ, সমালোচনার) লক্ষ্যবস্তু বানিও না। যেহেতু যে ব্যক্তি তাদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করল, সে আমার প্রতি ভালোবাসার খাতিরেই তাদেরকে ভালোবাসল। আর যে ব্যক্তি তাদের প্রতি শক্রতা ও হিংসা পোষণ করল, সে আমার প্রতি শক্রতা ও হিংসাবশেই তাদের প্রতি শক্ৰতা ও হিংসা পোষণ করল। যে ব্যক্তি তাদেরকে কষ্ট দিল, সে আমাকেই কষ্ট দিল। যে আমাকে কষ্ট দিল, সে আল্লাহ তা’আলাকেই কষ্ট দিল। আর যে আল্লাহ তা'আলাকে কষ্ট দিল, শীঘ্রই আল্লাহ তা'আলা তাকে পাকড়াও করবেন।
(সূনান আত তিরমিজী ৩৮৬২)

প্রিয় নবীজি ﷺ তো নাম ধরে ধরে অনেক সাহাবীকে জান্নাতী ঘোষণা করেছেন, জান্নাতীদের সর্দারের নামও ঘোষণা করেছেন। নিশ্চয়ই এটা উনাদের বিশেষত্বকেই ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু প্রিয় নবী ﷺ এঁর সকল সাহাবীই জান্নাতী। আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, "তারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ তাদের অপেক্ষা, যারা পরবর্তীকালে ব্যয় করেছে ও সংগ্রাম করেছে। তবে আল্লাহ সকলকেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত।" 
(সূরা হাদীদ, আয়াত ১০)

আমিরে মুয়াবিয়া রাঃ কি কাতিবে ওহী ছিলেন না!! ইসলামী সাম্রাজ্য সুদৃঢ়, সুসংহত, বিস্তারে তিনি যেসব অবদান রেখেছেন সেগুলোকে কি আমরা অস্বীকার করব!! রাসূলুল্লাহ ﷺ কি বলেননিঃ মানুষের প্রতি যে কৃতজ্ঞ নয়, আল্লাহ্ তা'আলার প্রতিও সে কৃতজ্ঞ নয়! (সুনান আত তিরমিজী, ১৯৫৫)

"এবং আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে শাস্তি দিয়ে কি করবেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো ও ঈমান আনো ? এবং আল্লাহ্‌ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।" (সূরা নিসাঃ ১৪৭)

আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতায় অদৃশ্যের সংবাদদাতা নবীর সেই ভবিষ্যদ্বাণী মনে করিয়ে দিচ্ছি, যার সারকথা এই যে,

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, "হে আলি! তোমার উপমা হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের মত। ঈসা আলাইহিস সালামকে ভালোবেসে অতিরঞ্জিত করে একদল পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা হলো খ্রীষ্টান, আর তাঁকে হিংসা করেও একদল পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা ইহুদী। অনুরুপ তুমি আলির সাথেও হবে। একদল তোমার ভালোবাসাতে অতিরঞ্জিত করে পথভ্রষ্ট হবে, আরেক দল তোমার সাথে হিংসা বিদ্বেষ রেখে পথভ্রষ্ট হবে।" (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, খন্ড-১, পৃষ্ঠা নং-১৬০; ফাজায়েলে সাহাবা, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, খন্ডঃ ২, পৃষ্ঠা নং-৬৩৯, হাদিস নং-১০৮৭)

হযরত আমিরে মুয়াবিয়াহ রাঃ এঁর খুতবায় উচ্চারিত নবী ﷺ এঁর একখানি বর্ণনা দিয়েই শেষ করছিঃ

হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান (র.) বলেনঃ আমি মু‘আবিয়া (রা.)-কে খুতবায় বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্ যার মঙ্গল চান, তাকে দ্বীনের ‘ইলম দান করেন। আল্লাহ্ দান করেন (দাতা) আর আমি বন্টন করি (বন্টনকারী)। এ উম্মত সর্বদা তাদের প্রতিপক্ষের উপর বিজয়ী থাকবে, আল্লাহর আদেশ (কিয়ামত) আসা পর্যন্ত আর তারা থাকবে বিজয়ী।’ (সহীহ বুখারী ৩১১৬)
Top