হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায়! কেন যে খারাপ হলো, কারণটা আসলে কি সেটা নিজেও জানি না। শুধু মন খারাপ লাগছে। এমনটা কি আপনার সাথে হয়? যদি হয় তাহলে আসুন আজকে আমরা কারণটা খুঁজে বের করি আসলে কেন এমনটা হয়।
দৈহিক চাহিদা পূরণে কোনো কমতি তো রাখেন নি। তবুও কিছু একটা শূন্য শূন্য মনে হয়। এটা আসলে কেন হচ্ছে? প্রিয় ভাই ও বোন, এটা দৈহিক কোনো চাহিদা নয় এটা হচ্ছে আত্নার আর্তনাদ। আত্নারও কিছু চাহিদা আছে! আমরা সেগুলো পূরণ করার কথা ভুলে গেছি। তাই এমনটা হচ্ছে। সে কিছু একটা চায়। কিন্তু কি সেটা?
হ্যা, তার মনে আছে আলমে আরুহার তথা রূহ জগতের কথা। যেখানে সে আল্লাহর সাথে ওয়াদা করেছিল। সে সেই ওয়াদা পূরন করতে চায়। কিন্তু আমরা তাকে ধন, সম্পদ, নারী ইত্যাদির মতো জাঙ্ক ফুড দিচ্ছি। তাই তার এমন আর্তনাদ আমাদের মাঝে মাঝে স্মরণ করিয়ে দিতে চায় জীবনের আসল উদ্দেশ্যর কথা।
আমাদের মধ্যে তিন ধরনের নফস আছে। নফসে মুতমাইন্না, নফসে লাওয়াম্মা, নফসে আম্মারা।
নফসে আম্মারা হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম নফস। যে শয়তানের ওপর পর্যন্ত তার কর্তৃত্ব দেখিয়েছে। অর্থাৎ তার চাহিদা শুধুমাত্র গুণাহ বা আল্লাহর নাফরমানী। সে কখনো মন্দকাজে তিরস্কার করে না।
নফসে লাওয়াম্মা হলো আল্লাহ তায়ালার অনুগত ও হয় আবার গুণাহও করে ফেলে। তবে গুণাহ করার পর অনুশোচনার সৃষ্টি করে।
আর আমরা যেটার খুঁজে আছি সেটা হলো নফসে মুতমাইন্না। সে আল্লাহর অনুগত ও বাধ্য হয়ে যায়। সকল চাঞ্চল্য দূর হয়ে যায়। এবং প্রশান্ত আত্মায় পরিণত হয়। জ্বী হ্যা আমরা এটাই খুঁজে আছি। কত ভুল জায়গায় খুঁজে আজ হতাশ হয়ে গেছি। প্রশান্তি আসলে কোথায়!
প্রিয় ভাই ও বোন, যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি বলে দিচ্ছেন, বান্দা আল্লাহর স্মরণেই রয়েছে অন্তরের প্রশান্তি। আল্লাহু আকবার! এই পদ্ধতিটাও কি কখনো এপ্লাই করে দেখেছি? আসুন না একবার পদ্ধতিটা এপ্লাই করে দেখি কাজ হয় কি না।
নিরবে বসুন এমন এক জায়গায় যেখানে মানুষের কোলাহল নেই। এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে গাছের ছায়ায় বসে বা রাতের বেলায় একাকী একটু কুরআনুল কারীমের তিলাওয়াত করুন, একটু জিকির করুন কিছু সময় সবুজ গম্বুজের দিকে ধ্যান করে দূরুদও সালাম আদায় করুন। তারপর কোরআন মাজীদকে একটু সময় বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরুন এবং চুমু খান। গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনার হৃদয় প্রশান্ত হবে।
অবশ্যই একবার চেষ্টা করে দেখতে ভুলবেন না।