কুরআনে পাক চুম্বন করা প্রসঙ্গে!
[বিভ্রান্তির সমাধান]
প্রথমত কুরআনে পাককে চুমু দেয়া মুসলমানদের তাজিম, ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। এতে কোনো ঈমানদারের জন্য দলিল খুঁজার প্রয়োজন নেই। তবে যদি বলা হয় এটা করা নিষিদ্ধ তাহলে নিষিদ্ধ হওয়ার দলিল অবশ্যই পেশ করা লাগবে।
তাছাড়া কুরআনে পাক আল্লাহ তায়ালার বড় একটা নিদর্শন। যা না আসলে আমরা আল্লাহকে চিনতাম না, ইসলামকে পেতাম না। আর আল্লাহর নিদর্শনকে সম্মান করা তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ।
﴿ذَٰلِكَۖ وَمَن يُعَظِّمۡ شَعَٰٓئِرَ ٱللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقۡوَى ٱلۡقُلُوبِ ٣٢﴾ [الحج: ٣٢]
“আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটা তার হৃদয়ের তাকওয়া হতে উদ্ভূত বা আল্লাহ সচেতনতার লক্ষণ।” [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৩২]
এই আমলটি আবার সম্মানিত সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত। আমিরুল মুমিনিন হযরত সায়্যিদুনা ফারুকে আজম রা. দৈনিক সকাল বেলা কুরআনে পাককে চুমু দিতেন এবং বলতেন এটা আমার প্রতিপালকে ওয়াদা এবং তাঁর কিতাব। [দূররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা- ৬৩৪]
কুরআনুল কারীম দেখে পড়া মুখস্থ পড়া থেকে উত্তম। এক্ষেত্রে দেখাও হয়, পড়াও হয়, চুম্বনও হয়। যা সব ইবাদত। [গুনিয়াতুল মুতামাল্লি, পৃষ্ঠা-৪৯৫]
তাই এই সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে উম্মাহ'কে বিভ্রান্ত করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আল্লাহ তায়ালা ফিতনা থেকে আমাদের নিরাপদ রাখুন।
আর কেউ যদি এটাকে বিদআতে সঈয়া প্রমাণের চেষ্টা করে তাহলে তাদের জন্য আর কোনো কথা নেই। কুরআনে পাককে চুমু দিতে দলিল খোঁজা, বিরিয়ানি খেতে দলিল খোঁজার মতোই হাস্যকর ও অযৌক্তিক একটা বিষয়।
বিদআত সম্পর্কে এই পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=490478432321245&id=100040772777124