দরসে হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আল্লাহ প্রদত্ত অদৃশ্য জ্ঞান (ইলমে গায়েব)
আম্মাজান আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, হে আয়িশাহ! জিব্রীল (আঃ) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। তখন তিনি বললেন, ওয়া আলাইহিস্ সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর উদ্দেশ্যে বললেনঃ আমরা যা দেখছি না, তা আপনি দেখছেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, আপনি এমন কিছু দেখেন যা আমি দেখতে পাই না। (সহীহ বুখারী ৩২১৭, ৩৭৬৮, ৬২০১, ৬২৪৯)
____________________
- মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর সংকলিত কিতাবঃ প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন ১ম খন্ডের (বিষয় নং ১৫ ও ২৫) নিম্নে তুলে ধরা হল।
প্রথম হাদিস
____________________
❏ বুখারী শরীফের بدء الخلق ও মিশকাত শরীফের بدء الخلق وذكر الانبياء নামক অধ্যায়ে হযরত উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে-
وَعَن عمرؓ قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ﷺ مَقَامًا فَأَخْبَرَنَا عَنْ بَدْءِ الْخَلْقِ حَتَّى دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مَنَازِلَهُمْ وَأَهْلُ النَّارِ مَنَازِلَهُمْ حَفِظَ ذَلِكَ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نسيَه . رَوَاهُ البُخَارِيّ ـ
-‘‘হযরত উমর (رضي الله عنه) বলেন, রাসূল (ﷺ) এক জায়গায় আমাদের সাথে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি আমাদেরকে সৃষ্টির সূচনা থেকে সংবাদ দিচ্ছিলেন। এমনকি বেহেস্তবাসী দোযখবাসীগণ নিজ নিজ ঠিকানায় পৌঁছে যাওয়া অবধি পরিব্যাপ্ত যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনাবলীর বর্ণনা প্রদান করেন। যিনি ওসব বিষয় স্মরণ রাখতে পেরেছেন তিনি তা স্মরণ রেখেছেন, আর যিনি স্মরণ রাখতে পারেননি তিনি ভুলে গেছেন।’’
ক. ইমাম বুখারী : আস্ সহীহ্ :৬/২৮৬পৃ.হাদিস, ৩১৯২
খ. খতিব তিবরীযি : মিশকাতুল মাসাবিহ্ :৪/৫০৬ পৃ. হাদিস, ৫৬৯৯
গ. ইমাম আবূ দাউদ, আস্-সুনান, ৪/৪৪১ পৃ. হাদিস, ৪২৪০
ঘ. ইমাম তিরমিযী, আস্-সুনান, ৪/৪১৯ পৃ. হাদিস, ২১৯১
ঙ. ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৫/৩৮৫ পৃ.
চ. ইমাম বুখারী, আস্-সহীহ, ১১/৪৯৪ পৃ. হাদিস, ৬৬০৪
ছ. ইমাম মুসলিম, আস্-সহীহ, ৫/২২১৭ পৃ. হা/২৮৯১ এবং ২৩
জ. ইমাম ইবনে মাযাহ, আস্-সুনান, ২/১৩৪৬পৃ. হাদিস, ৪০৫৩
ঝ. ইমাম খতিব তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ, কিতাবুল ফিতান, ৪/২৭৮ পৃ. হাদিস, ৫৩৭৯
এখন. ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব কি বুখারী শরীফ পড়েননি, নাকি পড়েও সত্যকে ধামা চাপা দিয়েছেন।
❏ দেখুন রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন যে,
وَعَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ؓ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ : مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ لِيُجَارِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ أَوْ لِيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ أَوْ يصرف بِهِ وُجُوه النَّاس إِلَيْهِ أَدخل الله النَّار . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ ورواه ابن ماجه عن ابن عمر -
-‘‘হযরত কাব ইবনে মালিক (رحمة الله) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আলিমগণের সাথে বিতর্কে জয়লাভের জন্য অথবা মূর্খদের সাথে বাক-বিতন্ডা করার জন্য কিংবা সাধারণ মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য ইলম অন্বেষণ করবে, আল্লাহ্ তা‘য়ালা তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’’
ক. ইমাম খতিব তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ, ১/৬৪ পৃ. হা/২২৫-২২৬
খ. ইমাম তিরমিযী, আস্-সুনান, ৫/৩২ পৃ. হাদিস, ২৬৫৪
গ. ইমাম ইবনে মাযাহ, ১/৯৩ পৃ. হা/২৫৩
তাই আমি বলতে চাই, এই সমস্ত আলেমরা সাধারণ মানুষদের বিপাকে ফেলার জন্য ঝগড়া সৃষ্টি করে ইসলামের মাঝে ফাটল ধরাতে চায়। তাই আল্লাহ্ তা‘য়ালার দরবারে এই সমস্ত নামধারী আলেমদের থেকে পানাহ চাই, যে ব্যক্তি জেনে শুনে রাসূল (ﷺ) এর সত্য হাদিসকে গোপন করে।
❏ এ প্রসঙ্গে রাসূল (ﷺ) বলেন-
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ؓ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: من سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ عَلِمَهُ ثُمَّ كَتَمَهُ أُلْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ ورواه ابن ماجه عن انس
-‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তিকে এমন ইলমের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, যা সে জানে। অতঃপর সে তা গোপন করে রাখে। কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরিয়ে দেয়া হবে।’’
ক. ইমাম খতিব তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ, কিতাবুল ইলম, ১/৬৪ পৃ. হা/২২৩-২২৫
খ. ইমাম তিরমিযী, আস্-সুনান, ৫/৩২ পৃ. হা/২৬৪৯, তিনি বলেন সনদটি হাসান।
গ. ইমাম ইবনে মাযাহ, আস্-সুনান, ১/৯৬ পৃ. হা/২৬১
ঘ. ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ২/২৬৩ পৃ.
ঙ. ইমাম আবূ দাউদ, আস্-সুনান, ৫/৬৭ পৃ. হা/৩৬৫৮
চ. ইমাম ইবনে মাযাহ, আস্-সুনান, ১/৯৭ পৃ. হা/২৬৪, তিনি হযরত আনাস (رضي الله عنه)‘র সূত্রে।
তাই উক্ত গ্রন্থের লেখক ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরকে বলতে চাই যে আপনি রাসূল (ﷺ) এর ইলমে গায়বের সত্য হাদিসকে গোপন করেছেন, রাসূল (ﷺ)-এর এই শাস্তির ঘোষণা কী আপনার জানা নেই? জানা আছে, নাকি নজদীদের টাকায় সব ভুলে গেছেন ?
❏ বুখারী শরীফের উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (رحمة الله) তদীয় উমদাদুল ক্বারী শরহে বুখারীর ১৫ খণ্ডের ১১০ নং পৃষ্ঠায় বলেন-
دلَالَة على أَنه أخبر فِي الْمجْلس الْوَاحِد بِجَمِيعِ أَحْوَال الْمَخْلُوقَات من ابتدائها إِلَى انتهائها
-‘‘এ হাদিস থেকে বুঝা গেল একই অবস্থানে হুযূর (ﷺ) সৃষ্টি কুলের আদ্যাপান্ত যাবতীয় অবস্থার খবর দিয়েছিলেন।’’
দ্বিতীয় হাদিস
____________________
❏ মিশকাত শরীফের معجزة অধ্যায়ে মুসলিম শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে হযরত আমর ইবনে আখতাব আনসারী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
فَأَخْبَرَنَا بِمَا هُوَ كَائِنٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَأَعْلَمُنَا أحفظنا. رَوَاهُ مُسلم ـ
-‘‘আমাদেরকে সেই সমস্ত ঘটনাবলীর খবর দিয়েছেন যেগুলো কিয়ামত পর্যন্ত ঘটতে থাকবে। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আলেম হলেন তিনি যিনি এসব বিষয়াদী সর্বাধিক স্মরণ রাখতে পেরেছেন।’’
ক. ইমাম মুসলিম : আস্ সহীহ : ৪/২২১৭ পৃ. হাদিস নং : ২৮৯২ এবং ২৫
খ. ইমাম খতিব তিবরিযি : মিশকাতুল মাসাবীহ্ শরীফ, ৪/৩৯৭ পৃ. হা/৫৯৩৬
গ. ইমাম আহমদ : আল মুসনাদ : ৫/৩৪১ পৃ.
তৃতীয় হাদিস
____________________
❏ মিশকাত শরীফের الفتن অধ্যায়ে হযরত হুযাইফা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হয়েছে-
مَا تَرَكَ شَيْئًا يَكُونُ فِي مقَامه إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلَّا حَدَّثَ بِهِ حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ ـ
-‘‘রাসূল (ﷺ) সে স্থানে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সব কিছুর খবর দিয়েছেন। কোন কিছুই বাদ দেননি। যারা মনে রাখার তারা মনে রেখেছেন, যারা ভুলে যাওয়ার ভুলে গেছেন।’’
ক. ইমাম মুসলিম : আস্ সহীহ্ : ২/৩৯০ পৃ. হাদিস নং : ২৮৯২ এবং ২৩
খ. খতিব তিবরিযি : মিশকাত শরীফ, পৃ-৪৬১, হাদিস নং : ৫৩৭৯
গ. বুখারী : আস সহীহ : ১১/৪৯৪ পৃ. হা/৬৬০৪
চতুর্থ হাদিস
____________________
❏ হযরত আবু যার গিফারী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّؓ قَالَ: لَقَدْ تَرَكْنَا رَسُولَ اللَّهِ - ﷺ - وَمَا يُحَرِّكُ طَائِرٌ جَنَاحَيْهِ فِي السَّمَاءِ إِلَّا ذَكَّرَنَا مِنْهُ عِلْمًا، رَوَاهُ أَحْمَدُ، ـ
-‘‘হুযূর (ﷺ) আমাদের নিকট থেকে এ অবস্থায় বিদায় নিয়েছেন যে, কোন পাখি তার ডানা হেলানোর যার বর্ণনাও তিনি আমাদের কাছে বাদ দেননি।’’
ক. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল : আল মুসনাদ : ৫/১৫৩ পৃ. হা/২১৩৯৯
খ. ইমাম তাবরানী : মু‘জামুল কাবীর : ২/১৫৩ পৃ. হা/১৬৪৭
গ. ইমাম হাজার হায়সামী: মাজমাউয যাওয়াইদ: ৮/২৬৩ পৃ. হা/১৩৯৭১
ঘ. আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন : ৩৩৬ পৃ.
ঙ.কাজী আযাজ, শিফা শরীফ, ১/২০৭ পৃ.
চ.জুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব, ৭/২০৬ পৃ.
ছ.আহমদ, আল-মুসনাদ, ৫/৩৮৫ পৃ.
ঝ.আবূ ই‘য়ালা, আল-মুসনাদ, ৯/৪৬ পৃ. হাদিস, ৫১০৯
ঞ.বায্যার, আল-মুসনাদ, ৯/৩৪১ পৃ. হাদিস, ৩৮৯
ট.ইবনুল বার, আল-ইস্তিআ‘ব, ৪/১৬৫৫ পৃ.
ঠ.সুয়ূতি, খাসায়েসুল কোবরা, ২/১৮৪ পৃ.
ড.ইমাম কাস্তাল্লানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া, ৩/৯৫ পৃ.
৫ম হাদিস
____________________
❏ এ বিষয়ে আরেকটি বর্ণনার হাদিস রয়েছে- হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ؓ قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ﷺ خَطِيبًا بَعْدَ الْعَصْرِ فَلَمْ يَدَعْ شَيْئًا يَكُونُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلَّا ذَكَرَهُ حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ
-‘‘রাসূল আসরের নামাযের পর দাঁড়ালেন আর খুতবা দিতে গিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু সংঘটিত হবে তা তিনি বর্ণনা করেছেন যিনি এসব বিষয় স্মরণ রাখতে পেরেছেন তিনি তা স্মরণ রেখেছেন, আর যিনি স্মরণ রাখতে পারেননি তিনি ভুলে গেছেন।’’
(ক) তিরমিযী, আস্-সুনান, ৪/৫৩ পৃ. হা/২১৯১, তিরমিযী বলেন, সনদটি ‘হাসান’।
(খ). খতিব তিবরীযি, মিশকাতুল মাসাবিহ্ : ৩/১৪২৩ পৃ. হা/৫১৪৫
এ বিষয়ে আরও অনেক সাহাবীর হাদিস রয়েছে, যার দ্বারা হাদিসটি মুতাওয়াতিরের নিকটবর্তী বলে বুঝা যায়।
৬ষ্ঠ হাদিস
- রাসূল (ﷺ)-এর ইলমে গায়েব সংক্রান্ত হযরত মু’য়ায বিন জাবাল (رضي الله عنه)-এর হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা:
হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফী তার ‘সুন্নাত বিদআতের সঠিক পরিচয়’ এর ১৪৭ পৃষ্ঠায় নিম্নের হাদিসটি সম্পর্কে বলেন-“ইমাম বায়হাকী দ্বিতীয় হাদিসটিকে দূর্বল বলেছেন।”
মিথ্যাবাদী আহমদ শফি ইমাম বায়হাকী (رحمة الله)-এর কোন কিতাবে সনদ দুর্বল বলেছেন তা উল্লেখ করেন নি। সে মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছিল।
❏ অথচ উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে ইমাম খতীব তিবরিযী (رحمة الله) বলেন,
رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَسَأَلْتُ مُحَمَّد ابْن إِسْمَاعِيل عَن هَذَا الحَدِيث فَقَالَ: هَذَا حَدِيث صَحِيح
-‘‘ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল তার ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে এবং ইমাম তিরমিযী তার ‘আস-সুনান’ গ্রন্থে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদিসটি হাসান, সহীহ। তারপর ইমাম তিরমিযী আরো বলেন, আমি মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বুখারী (رحمة الله) কে উক্ত হাদিস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উক্ত হাদিসটি সহীহ।’’
ক. আল্লামা ইমাম খতিব তিবরিযী : মেশকাতুল মাসাবীহ : ১/৭২ পৃ. হা/৬৯২
খ. ইমাম তিরমিযী : আস-সুনান : কিতাবুত-তাফাসীর : ৫/১৬০ পৃ. হা/৩২৩৫
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন, আহমদ শফীর জঘন্য মিথ্যাচারিতা।
যে হাদিসটিকে ইমাম বুখারী, তিরমিযী এবং মিশকাত প্রণেতা সহীহ বলেছেন আর সে ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) এর নামে মিথ্যা অপবাদ চালিয়েছে। সে মনে করেছিল কেউ কিতাব খুলে দেখবে না। হাদিসটি হল-
❏ হযরত মু’য়ায বিন যাবাল (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান- আমি আল্লাহ্ তাআলাকে উত্তম আকৃতিতে দেখেছি। ... ‘‘আল্লাহ্ তা‘য়ালা তার কুদরতি হাত মোবারক আমার কাঁধ মোবারকে রাখলেন। অতঃপর
فَتَجَلَّى لِي كُلُّ شَيْءٍ وَعَرَفْتُ
-‘‘তখন প্রত্যেক কিছুই আমার কাছে প্রকাশিত হল এবং সবগুলিকে চিনতেও পেরেছি।’’
ক. ইমাম তিরমিযী : আস-সুনান : কিতাবুত-তাফাসীর : ৫/১৬০ পৃ. হা/৩২৩৫
খ. খতিব তিবরিযী : মিশকাত : মসজিদ অধ্যায় : ১/৭১-৭২ পৃ. হা/৬৯২