সেই ১৪ শত বছর আগের কথা। একজন সেলিব্রিটি, স্টার, মহামানব আগমন করেছিলেন এই পৃথিবীতে। এসে সমস্ত মন্দকে মিটিয়ে সত্যের নূর ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এই জগতে। কেমন করে যে আল্লাহ তায়ালা ওনাকে সৃষ্টি করেছিলেন তা তিনিই ভালো জানেন।

কোনো মিডিয়া ছিল না। ভাবতেই কেমন যেন অবাক লাগে! তাঁকে কোনোদিন দেখি নি। শুধুমাত্র তাঁর মোবারক চেহারার সৌন্দর্য, উত্তম চরিত্রের তাজকারা শুনেই কেন এত টান অনুভব করি। যারা আমাকে জন্ম দিয়েছে তাদের থেকেও তিনি আমার নিকট প্রিয়!

তাঁর জন্য এই শতাব্দীতে এসেও লাখো-কোটি মানুষ জীবন দিয়ে দিতে প্রস্তুত। না! তিনি সাধারণ কেউ হতে পারেন না। অবশ্যই রব তায়ালার খুব প্রিয় কেউ। তাইতো এত আকর্ষণ। হ্যা, অবশেষে এই চিন্তাই সত্যি হলো। জানলাম সৃষ্টি জগতের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার কাছে ওনার চেয়ে প্রিয় আর কেউ নেই।

আলহামদুলিল্লাহ! আজ ওই মহামানব আমাদের প্রিয় নবী আমাদের আক্বা হুজুর পুরনূর ﷺ এর মোবারক চেহারার সৌন্দর্যের কিছু অংশ নিয়ে আলোচনা হবে।

আমার আক্বার ﷺ সৌন্দর্যের বর্ণনা শুনে অন্তর খুশিতে আন্দোলিত হওয়া এটা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আর যে আলোচনা করে, আল্লাহ তায়ালা মানুষের অন্তরে তার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেন। আল্লাহআকবার। ডিপ্রেশন এর একটা চিকিৎসা আমি নিজের সাথে ঘটে যাওয়া থেকে শিখতে পেরেছি। 

শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। যখনই খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকি প্রিয় আক্বার ﷺ মোবারক সৌন্দর্যের আলোচনা শুনলে বা পড়লে মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। অটোমেটিক মুখে হাসি ফুটে ওঠে নিজের অজান্তেই। আল্লাহু আকবার।

পৃথিবীতে কোনো সেলিব্রিটির নাম এতবার উচ্চারণ হয় না, যতবার আমার মোস্তাফার ﷺ নাম উচ্চারিত হয়। পৃথিবী প্রতিটি কোণায় প্রতিটি মিনিটে আযান, নামাজের মাধ্যমে উচ্চারিত হচ্ছে তাঁর নাম মোবারক। আমার রব তো কুরআনে বলেই দিয়েছেন যে, "আমি আপনার স্মরণকে উচ্চ মর্যদা দান করেছি।" (সূরা ইনশিরাহ, আয়াত-৪) সেটা কত উচ্চ পর্যায় তা রবই ভালো জানেন। 

ভিন্ন ধর্মীয়রা পর্যন্ত ওনাকে মনীষিদের লিস্টে প্রথম স্থান দেয়। গুগল এর তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম মানুষ হলেন আমাদের মোস্তাফা ﷺ। আর কেয়ামত পর্যন্ত তিনিই থাকবেন।

আজ আর লিখব না। বড় আর্টিকেল পড়তে চায় না অনেকেই। তাই পর্ব আকারে চলবে ইনশাআল্লাহ। পরবর্তী পর্বে সাহাবায়ে কেরামদের বর্ণনা তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ। 

জাজাকাল্লাহু খাইরান 

স্বাধীন আহমেদ 

Top