কখন ও নীল,কখন ও মেঘাচ্ছন্ন!জ্বী আকাশের কথা বলছি।মেঘের মাধ্যমে পড়ে বৃষ্টি। তিনি চাইলে মাঝে মাঝে আগুন আর পাথর ও ফেলতে পারত।না!তিনি ফেলেন না।

ভাবুন!আজকের দিনটা আপনার শেষ দিন।প্রতি সেকেন্ডে মালাকুত মওত আপনার দিকেই আসছে।আজ রাত ঠিক তিনটার দিকে আপনি মারা যাবেন।

খুবই গভীরভাবে ভাবুন।অন্তরের দরজা খুলুন, বিবেককে থাপ্পর দিয়ে জাগ্রত করুন।

মৃত্যুর পর আপনাকে কারা দেখতে আসবে,কারা আপনার বিদায়ের কথা শুনে হাসবে আর কারা করবে কান্না,কারা আপনাকে দেখবেনা ভয়ে,ছুইবেও না!ছুইলেও ঘষে-মেজে হাত ধুয়ে ফেলবে,কারা আপনার ইশক্বে জ্ঞান হারাবে আর কারা মেজবানের প্রহর গুনবে,কারা পড়াবে কাপণ আর কারা দিবে গোসল,কারা নিয়ে যাবে কাঁধে করে কবর পর্যন্ত।

ভাবতে থাকুন কাদের কষ্ট দিয়েছেন,হক্ব র‍য়ে গেছে,ঋণ পাওনা আছে,গীবত-চোগলখোরী করেছেন।কাদের থেকে রয়েছে ক্ষমা চাওয়া বাকি।

চক্ষু সমূহ বন্ধ করে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবুন; কারা আপনাকে মাটি চাপা দিয়ে অন্ধকারের মধ্যে একা রেখে চলে আসবে।

অন্ধকারের মধ্যে আপনার কি অবস্থা হবে?সুখে থাকবেন,নাকি শোকে?নিজের আমলের ফলাফল বের করুন।

আপনি যদি তিনটার দিকে মারা যান,তার পূর্বে আপনার কি করা উচিত?যা করার তা দ্রুত করে ফেলুন।কেননা আপনি সত্যিই জানেন না যে,আপনি রাত তিনটা পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন কিনা!রাত তিনটায় বা তার পূর্বে মালাকুল মওতের সাথে আপনার সাক্ষাত হয়ে যেতেও পারে।

আখিরাতের জগতে গিয়ে আফসোস না করে,মালিকের সামনে ধরা দেন।সিজদায় পড়ে যান।নয়ন দিয়ে বৃষ্টি ঝড়ান।সাচ্চা তাওবা করুন।মৃত্যুর ফেরেশতার সাথে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত হোন।

-নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তওবাহকারী এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)

-‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৫)

-শাহরিয়ার নয়ন।

Top