[62] اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰہِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ
[63]الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ
[64]لَہُمُ الۡبُشۡرٰی فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ فِی الۡاٰخِرَۃِ ؕ لَا تَبۡدِیۡلَ لِکَلِمٰتِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ ہُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ
৬২.শুনে নাও! নিশ্চয় আল্লাহর ওলীগণের না কোন ডর আছে, না কোন দুঃখ।
৬৩. ঐসব লােক, যারা ঈমান এনেছে এবং খােদাভীতি অবলম্বন করে;
৬৪. তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে পার্থিব জীবনে এবং পরকালে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلىﷺ إِنَّ اللهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لأُ×عْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لأعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُআবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ "আল্লাহ্ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলীর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারাই কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে,
اِیَّاکَ نَعۡبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسۡتَعِیۡنُ
{اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۙ﴿١﴾الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ ۙ{٢﴾مٰلِکِ یَوۡمِ الدِّیۡنِ ؕ﴿٣﴾}
هُوَ اللّٰهُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ اَلۡمَلِکُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَیۡمِنُ الۡعَزِیۡزُ الۡجَبَّارُ الۡمُتَکَبِّرُ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ﴿۲۳
[اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ]
فَاِنَّ اللّٰہَ ہُوَ مَوۡلٰىہُ وَ جِبۡرِیۡلُ وَ صَالِحُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ بَعۡدَ ذٰلِکَ ظَہِیۡرٌ ﴿۴
এখানে 'মওলা' শব্দের অর্থ 'নাসির' বা সাহায্যকারী হবে যা সৈয়্যদ মাহমুদ আলূসী বাগদাদী হানাফি র. উনার 'রুহুল মাআনী' তে উল্লেখ করেছেন।ইমাম কালবী বলছেন,
সালিহ-মুমিন এর একটি তাফসির, এরা হলো সেই সকল অনুগত ব্যক্তি,যারা মুনাফিক নয়।
“এ থেকে বুঝা গেলো যে, আল্লাহ্ তা'আলার বান্দাগণ সাহায্যকারী; কেননা, এ আয়াতে হযরত জিব্রাঈল এবং নেককার মুসলমানদেরকে 'মাওলা' অর্থাৎ সাহায্যকারী বলা হয়েছে। আর ফিরিশতাদেরকে “যহীর” অর্থাৎ সহযোগিতাকারী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেখানে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো সাহায্যের অস্বীকৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে 'প্রকৃত সাহায্য' বুঝানো উদ্দেশ্য। সুতরাং আয়াতগুলো পরস্পর বিরোধী নয়”।
এদিকে কোরআন বলছে-
وَ لَا تَقُوۡلُوۡا لِمَنۡ یُّقۡتَلُ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَمۡوَاتٌ ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ وَّ لٰکِنۡ لَّا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿۱۵۴
يعني أن الله تعالى يعطي لأرواحهم قوة الأجساد فيذهبون من الأرض والسماء والجنة حيث يشاؤون وينصرون أولياءهم ويدمرون أعداءهم إن شاء الله تعالى،
فذهب جماعة من العلماء إلى أن هذه الحياة مختص بالشهداء والحق عندي عدم اختصاصها بهم بل حياة الأنبياء أقوى منهم وأشد ظهورا آثارها في الخارج حتى لا يجوز النكاح بأزواج النبي ة بعد وفاته بخلاف الشهيد، والصديقون أيضا على درجة من الشهداء والصالحون يعني الأولياء ملحقون بهم كما يدل عليه الترتيب في قوله تعالى : [مِّنَ النَّبِیّٖنَ وَ الصِّدِّیۡقِیۡنَ وَ الشُّہَدَآءِ وَ الصّٰلِحِیۡنَ ۚ] ولذلك قالت الصوفية العلية: أرواحنا أجسادنا وأجسادنا أرواحنا ،وقد تواتر عن كثير من الأولياء أنهم ينصرون أولياءهم ويدمرون أعداءهم ويهدون إلى الله تعالی من يشاء الله تعالى،
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ضَرَبَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ خِبَاءَهُ عَلَى قَبْرٍ وَهُوَ لاَ يَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي ضَرَبْتُ خِبَائِي عَلَى قَبْرٍ وَأَنَا لاَ أَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلىﷺ " هِيَ الْمَانِعَةُ هِيَ الْمُنْجِيَةُ تُنْجِيهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ "
عن مالك بن أنس قال : بلغني أن أرواح المؤمنين مرسلة تذهب حيت شاءت.
وإن أراد عونا فليقل : »يا عباد الله أعينوني، يا عباد الله أعينوني، يا عباد الله أعينوني»
হাদিস খানা বর্ণনা করার পর রাবী (উতবাহ ইবনে গাযওয়ান) বলেন
وقد جرب ذلك
قال بعض العلماء الثقات: »حديث حسن يحتاج إليه المسافرون، وروي عن المشايخ أنه مجرب قرن به الجح
المراد بهم الملىكة او المسلمون من الجن او رجال الغيب المستمون بابدال
قُلْتُ: حَكى لِي بَعْضُ شَيُوْخِنَا الْكِبَارِ فِي الْعِلْمِ أَنُّه اِنْفَلَتَتْ لَه دَابَّةٌ أَظُنُّهَا بَغْلَةً، وَكَانَ يَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيْثَ، فَقَالَه: فَحَبَسَهَا اَللهُ عَلَيْهِمْ فِي الْحَالِ؛ وَكُنْتُ أَنَا مَرَّةً مَعَ جَمَاعَةٍ فَانْفَلَتَتْ مِنْهَا بَهِيْمَةٌ، وَعَجَزُوْا عَنْهَا، فَقُلْتُه، فَوَقَفَتْ فِي الْحَالِ بِغَيْرِِ سَبَبٍ سَوَىٰ هَذَا الْكَلَامِ
وَأخرج الْبَزَّار من حَدِيث ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن لله مَلَائِكَة فِي الأَرْض سوى الْحفظَة يَكْتُبُونَ مَا سقط من ورق الشّجر فَإِذا أصَاب أحدكُم شَيْء بِأَرْض فلاة فليناد أعينوني يَا عباد الله قَالَ فِي مجمع الزَّوَائِد رِجَاله ثِقَات وَفِي الحَدِيث دَلِيل عَلى جَوَاز الِاسْتِعَانَة بِمن لَا يراهم الْإِنْسَان من عباد الله من الْمَلَائِكَة وصالحي الْجِنّ وَلَيْسَ فِي ذَلِك بَأْس كَمَا يجوز للْإنْسَان أَن يَسْتَعِين ببني آدم إِذا عثرت دَابَّته أَو انفلتت
فَإِذَا هِيَ بِصَوْتٍ فَقَالَتْ أَغِثْ إِنْ كَانَ عِنْدَكَ خَيْرٌ
عبد الله بن أحمد بن حنبل قال سمعت أبي يقول حججت خمس حجج اثنتين راكب وثلاث ماشي أو ثلاث راكب واثنتين ماشي فضللت الطريق في حجة وكنت ماشيا فجعلت أقول يا عباد الله دلوني على الطريق قال فلم أزل أقول ذلك حتى وقفت على الطريق أو كما قال أبي
وعن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان لله خلقا خلقهم لحوائج الناس تفزع الناس إليهم في حوائجهم أولئك الآمنون من عذاب الله
এই আয়াতের ব্যাখায় তফসিরে দূররে মনসুর,৪/৩৩৯, এ উল্লেখ আছেوأخرج ابن المنذر ، و ابن أبي حاتم ، عن ابن عباس :{اِنَّ الَّذِیۡنَ سَبَقَتۡ لَہُمۡ مِّنَّا الۡحُسۡنٰۤی ۙ } . قال : أولئك أولياء الله
وعن ميمونة بنت الحارث زوج النبي صلى الله عليه وسلم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم بات عندها في ليلة فقام يتوضأ للصلاة قالت: فسمعته ص ٢٤٠ يقول في متوضئه: "لبيك لبيك" ثلاثا "نصرت نصرت" ثلاثا فلما خرج قلت: يا رسول الله سمعتك تقول في متوضئك: "لبيك لبيك" ثلاثا "نصرت نصرت" ثلاثا كأنك تكلم إنسانا وهل كان معك أحد؟ قال: "هذا راجز بني كعب يستصرخني ويزعم أن قريشا أعانت عليهم بكر بن وائل". ثم خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم فأمر عائشة أن تجهزه ولا تعلم أحدا قالت: فدخل عليها أبو.بكر فقال: يا بنية ما هذا الجهاز؟
قال الإمام الشافعي رحمة الله عليه: قبر موسى الكاظم ترياق مجرب لإجابة الدعاء ، وقال حجة الإسلام محمد الغزالي: كل من يستمد به في حياته يستمد به بعد وفاته
সেই মহামনিষী শায়খ যাররূক বলেন,
→أنا لمريدي جامع الشتاته←
→إذا ما سطا جور الزمان بنكبة←
→وإن كنت في کرب وضيق ووحشة←
→فناد أيا زروق آت بسرعة←
➤➤ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল র. আল্লাহ তা'আলার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে হযরত ইমাম শাফেয়ী র. ওসীলা বানিয়েছেন। এতে তাঁর পুত্র আবদুল্লাহ আশ্চর্য হয়ে গেলেন। তখন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল র. বললেন,"ইমাম শাফেয়ী র. মানুষের জন্য সূর্য এবং শরীরের জন্য সুস্থতা স্বরূপ।"
[শাওয়াহেদুল হক্ব,১৬৬পৃষ্ঠা,ইমাম ইউসুফ বিন ইসমাঈল নাবাহানী]
➤➤ইমাম ইবনে আব্দিল বার উল্লেখ করেন,লোকজন হযরত আবু আইয়্যুব আনসারী রাঃ এর মাজারের নিকট গিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলে বৃষ্টি হয়।
[আল ইস্তিয়াব,১/৪০৪-৪০৫,ইমাম ইবনে আব্দিল বার মালেকী]
ইমাম জওযী উল্লেখ করেন,"শায়খ হযরত মারূফ করখী রাঃ অত্যন্ত বুযর্গ মানুষ ছিলেন,যার দোয়া কবুল হতো।লোকেরা আরোগ্য লাভের জন্য আজও তার রওজা মুবারকের নিকট দাঁড়িয়ে দোয়া করে।বাগদাদবাসীরা বলেন, শায়খ মারূফ কারখীর রওজা এই ব্যাপারে অত্যন্ত পরিক্ষীত।"
[★সিফাতুস সফওয়া,২/২১৪,ইমাম ফারাজ ইবনুল জওযী★তারিখে বাগদাদ,১/১২২,ইমাম খাতিবে বাগদাদী★রিসালাতুল কুশাইরীয়া,৪১পৃষ্ঠা]
➤➤হুজুর গাউসে আযম রাদিআল্লাহু আনহু মুসিবত ও কষ্টের সময় ওসীলা নিয়ে হাজত পূরণের বরাত দিয়ে বলেছেন:"যে ব্যক্তি কোন কষ্টের সময় আমার ওসীলা নিয়ে সাহায্যের আবেদন করবেন। তার সেই কষ্ট দূর করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি কোন বিপদের সময় আমার নাম নেবে তার বিপদ দূর করে দেওয়া হবে। যে কোন হাজতের জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে আমার ওসীলা পেশ করবে, তার হাজত পূরণ করা হবে।"[বাহজাতুল আসরার ওয়ামা দিনুল আনওয়ার,পৃষ্ঠা ১০২,ইমাম শাত্বনূফী]
➤➤ইমাম ইবনুল হাজ (৭৩৭হি.) বলেন,
"আল্লাহ তাআলার একটি মহান সুন্নাত হচ্ছে যে, তিনি আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামদের কারণে এবং তাদের হাতেই মানুষের হাজত সমূহ পূরণ করেন। যে লােক তাদের দরবারে উপস্থিত হতে পারবেনা, সে তাদের দরবারে সালাম প্রেরণ করবে এবং স্বীয় হাজত সমূহ ও গুণাসমূহের ক্ষমা, যাবতীয় গােপন দোষত্রুটি ইত্যাদি উল্লেখ করবে। কেননা তারা হচ্ছেন সম্মানিত সম্রান্ত বংশের অধিকারী। দয়ালু বুযুর্গগণ প্রশ্নকারী, ওসীলা গ্রহণকারী, আশাপােষনকারী এবং আশ্রয় প্রার্থীদের দোয়া ফিরিয়ে দেননা।"
[আল মাদখাল,১/২৫১-২৫২,ইমাম ইবনুল হাজ্জ আল ফার্সী]
উনি ২৫২ পৃষ্ঠায়,আরো লিখেন,"হুজুর সৈয়্যদুল আউয়ালীন ওয়াল আখেরীন ﷺ র যিয়ারতের সময় নিজের দুর্বলতা তথা বিনম্রতা, অনুনয় ও মুখাপেক্ষীতা অধিক হারে প্রকাশ করবে। হুজুর ﷺ এমন মকবুল উশ শাফায়াত ও সুপারিশকারী যাঁর শাফায়াত ফিরিয়ে দেওয়া হয়না। তার নিকট প্রত্যাশাকারী তার দরবারে হাজিরা প্রদানকারী তাঁর কাছ থেকে সাহায্য ও সহযােগিতা অক্বেষণকারীকে বঞ্চিত ফেরত দেওয়া হয়না। কেননা হুজুর নবী আকরাম ﷺ দায়েরা এ কামাল (সম্পূর্ণ মহাবিশ্বের) কুতুব এবং আল্লাহর সাম্রাজ্যের দুলহা।"
➤➤আল্লামা হামযাভী র. উনার কিতাব 'মাশারিকুল আনোয়ার' এর ৫৯পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন—
"শায়খুল ইসলাম আল্লামা শিহাবুদ্দীন রামাল্লীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল সর্বসাধারণ লােকেরা বিপদপাদের সময় ইয়া শায়খ অমুক ইত্যাদি বলে থাকে। মাশায়েখ কেরাম কি বেসালের পর সাহায্য করেন? তিনি বললেন, আউলিয়া আম্বিয়া, সালেহীন এবং আলেমগণের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া বৈধ। কেননা তারা বেসালের পর তেমনিভাবে সাহায্য করেন।যেমনি ভাবে স্বীয় জীবদ্দশায় সাহায্য করতেন।কেননা আউলিয়া কেরামের কারামত হচ্ছে নবীগণের মুজিযা।"
➤➤আল্লামা খায়রুদ্দিন রামাল্লী হলেন আল্লামা ইবনে আবেদীন শামির শিক্ষক।উনি বলেন,
সর্বসাধারণ মুসলমানদের 'ইয়া শায়খ আব্দুল কাদির' বলাটা আহবান এবং যখন এর সাথে 'শাইয়াল্লিল্লাহ' বৃদ্ধি করল তাহলে তা আল্লাহর মর্যাদা ও সম্ভুষ্টির জন্য কোন জিনিস কামনা করা। এটা হারাম হবার কী কারণ থাকতে পারে! এটাকে কুফর বলার কারণ এটা বলা হয় যে, এটা আল্লাহ তা'আলার কোন বস্তুর অন্বেষণ করা হয়। অথচ আল্লাহ তাআলা সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী এবং সকলে তাঁর মুখাপেক্ষী। এ অর্থ কারাে ধারণায়ও আসে না। কেননা আল্লাহ তা'আলার যিকর হচ্ছে মর্যাদার জন্য যেমন আল্লাহর ইরশাদ হচ্ছে: তাহলে এর এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর জন্য (রয়েছে) (ফাইন্না লিল্লাহি খুমুসাহ) এবং এর উদাহরণ অনেক।
[ফতোয়ায়ে রামাল্লী,২/২৮২]
➤➤আশরফ আলী থানভী দেওবন্দী এমদাদুল ফতােয়ার কিতাবুল আকায়েদ ওয়াল কালামে লিখেছেন যে, মানুষের পরাধীন শক্তি মেনে নিয়ে তার কাছে সাহায্য চাওয়া বৈধ। যদি ও মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে চাওয়া হােক। তার বক্তব্য নিম্নরূপ:
"যেই এস্তেআনত ও এস্তেমদাদ (সাহায্য প্রার্থনা) ইলম ও কুদরত এর আকীদায় স্বতন্ত্র হয় তা শিরক এবং ইলম ও কুদরতের আকীদায় যা পরাধীন হয় এবং সেই ইলম ও কুদরত কোন দলীল দিয়ে প্রমাণিত হয়ে যায়, তখন তা বৈধ। চাই যার কাছে সাহায্য চাওয়া হয় সে জীবিত হােক কিংবা বেসালপ্রাপ্ত হােক।”
[আশরাফ আলী থানবী : এমদাদুল ফতােয়া, কিতাবুল আকায়েদ, খন্ড : ৪, পৃষ্ঠা : ৯৯]
উনি উনার পীর হাজী এমদাদুল্লাহ মহাজেরে মক্কীর ব্যাপারে লিখেন,
"হে আমার মুর্শিদ! আমার মওলা! আমার ভয়ের সময়ের আশ্রয়স্থল। আমার দুনিয়ার, আমার দ্বীনের হে আশ্রয়স্থল। হে আমার সাহায্যকারী! আমার উপর দয়া কর, কেননা আমি আপনার মুহাব্বত ব্যতীত পথের সম্বল অন্য কিছু রাখি না। আপনার কারণে মানুষ সফল হয়েছে। আমি পেরেশান, সুতরাং হে পথপ্রদর্শক, আমার প্রতি দয়ার দৃষ্টি দান করুন। আমার সর্দার! আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দান করুন। আপনি আমার দাত', আমি আল্লাহর ওয়াস্তে আপনার ভিখারী।"
[তাযকেরাতুর রশীদ,১/১১৪]
এসব আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট হয় যে,আল্লাহর সালেহীন বান্দাদের কাছে,আল্লাহর দেয়া ক্ষমতায় তারা ক্ষমতাবান এটা মনে করে সাহায্য চাওয়া,উসীলা তালাশ করা বৈধ হবে।