আজকের আলোচিত বিষয়বস্তুঃ
প্রিয় নবী (ﷺ) কাছে থাকার ফযিলত ও নবীজির সাহচর্য।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাকের এমনই প্রিয় বন্ধু যে, নবীর সাথে সম্পর্কিত সকল কিছুর মর্যাদা সবার উপরে। নবীজির সংস্পর্শ, নবীজির সাহচর্য, নবীজির ছোঁয়া, নবীজির নুরানী নজর যখন যেখানে যার উপর পড়েছে তারই মর্যাদা বেড়ে গেছে। কারণ নবীজির সম্পর্ক স্বয়ং আল্লাহর সাথে। তাই নবীর সাথে যার সম্পর্ক, তার সম্পর্কও আল্লাহর সাথে হয়ে যায়। যে ব্যক্তি নবীজির যতো নিকটে তার মর্যাদা ততো বেশি।
নবীজির সংস্পর্শের কারণে সাহাবীদের মর্যাদাঃ
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যারা সচক্ষে ঈমানের সাথে দেখেছেন তারা সাহাবীর মর্যাদা পেয়েছেন। উম্মতের মধ্যে সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। আর সাহাবীরা কোন আমলের কারণে এত মর্যাদার অধিকারী হননি, শুধুমাত্র নবীপাকের নূরানী চেহারা মোবারক দেখার কারণে তাঁদের এত মর্যাদা। নবী পাকের সান্নিধ্যে থাকার কারণে সাহাবায়ে কেরাম এত পবিত্র হয়েছেন যে, তাদেরকে যারা ঈমানের সাথে দেখেছেন তারা তাবেয়ীনের মর্যাদা পেয়েছেন। আবার তাবেয়ীনগণের সাহচর্য যারা লাভ করেছেন তারা তাবে তাবেয়ীনের মর্যাদা পেয়েছেন। আর এই তিন স্তরের মানুষকে উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে সর্বোত্তম বলা হয়েছে। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
خَيْرُ الْقُرُوْنِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ
অর্থাৎ- “আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম যুগ ও জামাআত হচ্ছে আমার যুগ ও সাহাবীদের যুগ। তারপর এর সংলগ্ন যুগ অর্থাৎ সাহাবীদের হাতে গঠিত তাবেয়ীদের যুগ ও জামাআত। তারপর এই দ্বিতীয় যুগ সংলগ্ন তৃতীয় যুগ অর্থাৎ তাবেয়ীদের দ্বারা গঠিত তাবে-তাবেয়ীদের যুগ ও জামাআত।” (বুখারী শরীফ)
নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর কোন স্তরের উম্মতের ক্ষেত্রে এইভাবে সার্টিফিকেট প্রদান করেননি। এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে নবীজির কাছাকাছি হওয়ার কারণেই তাঁদের এই মর্যাদা, কোন আমলের কারণে নয়। বর্তমান যুগের কোন আবেদ বান্দা যদি ৫০০ বছর হায়াত পায়, আর যদি সে এই ৫০০ বছরই ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দেয় তবুও সে সাহাবী, তাবেয়ী বা তাবে-তাবেয়ীদের সমমর্যাদার হতে পারবে না। কারণ এই আবেদ বান্দার থেকে উনারা নবীজির বেশি নিকটের। এরপরেও আরো বিভিন্ন স্তরের মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ রয়েছে। ওলামায়ে কেরামের মতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ২৭টি স্তরের ব্যবধান লক্ষ করা যায়। প্রত্যেকটি স্তরের মধ্যে বিরাট ব্যবধান বিদ্যমান। যেমন- ইমাম আবু হানিফা রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাগরেদ মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন যে, সাহাবী মুয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং ওমর বিন আবদুল আযিয রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মধ্যে কার মর্তবা বেশী? তদুত্তরে আব্দুল্লাহ বিন মুবারক বলেছিলেন, “মুয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু যে ঘোড়ায় চড়ে জিহাদে গমন করতেন, ঐ ঘোড়ার পায়ের ধুলকণার মর্যাদা হযরত উমর বিন আবদুল আযীয রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মর্যাদারও অনেক উর্দ্ধে। অথচ হযরত উমর বিন আবদুল আযীয রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রথম শ্রেণীর তাবেয়ী ছিলেন।” এ থেকে বুঝা যায় যে, একজন সাহাবী এবং একজন তাবেয়ীর মধ্যে কি পার্থক্য। আর এত পার্থক্য এ কারণে যে একজন সাহাবী, একজন তাবেয়ীর চেয়ে নবীজির বেশি নিকটের। একই রকম পার্থক্য বিদ্যমান তাবেয়ী এবং তাবে-তাবেয়ীর মধ্যে। তাবে-তাবেয়ীর চেয়ে তাবেয়ীর মর্যাদা বেশি এ কারণে যে তাবেয়ী তাবে-তাবেয়ীর চেয়ে নবীজির বেশি নিকটে। এখানে লক্ষণীয় যে, এই মর্যাদার ব্যবধানের কারণ হিসাবে মধ্যে ইবাদত-বন্দেগীকে কিন্তু বিবেচনায় আনা হচ্ছে না, বরং নবীজির সাথে সম্পর্ককেই বিবেচনায় আনা হচ্ছে। আলা হযরত আহমদ রেজা খাঁর একখানা কাসিদায় নবীপাকের সাথে সাধারণ মানুষের পার্থক্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন-
খলক সে আউলিয়া, আউলিয়া সে রাসুল
আওর রাসুলুসে আলা হামারা নবী।
অর্থাৎ- “সাধারণ মানুষের চেয়ে আউলিয়ায়ে কেরাম শ্রেয়তর, আউলিয়ায়ে কেরামের চেয়ে নবীগণ শ্রেয়তর আর সব নবীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর হচ্ছেন আমাদের নবী।”
নবীজির নূরানী চেহারা মোবারকের ফজিলতঃ
নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংস্পর্শে এমন নেয়ামত রয়েছে যে, সাহাবায়ে কেরাম সর্বক্ষণ নবীজির পবিত্র চেহারা মোবারেকর দিতে তাঁকিয়ে থাকতেন। নবীজির পবিত্র নূরানী চেহারা মোবারকের দিকে তাকালে সাহাবীগণ খাওয়ার কথা ভুলে যেতেন। তাঁদের ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যেতো।
হযরত যাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, “তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, “যে জীবদ্দশায় (ঈমানের সাথে) আমাকে দেখেছে (অর্থাৎ সাহাবীগণ) তাঁকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না, যে জীবদ্দশায় এমন ব্যক্তিকে দেখেছে যে আমাকে জীবদ্দশায় দেখেছে (অর্থাৎ তাবেয়ীগণ) তাকেও জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।” (তিরমিযী)
বর্তমান যুগে তো নবীজির সংস্পর্শ পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমানেও যদি নবীজিকে কেউ ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে বা জাগ্রত অবস্থায় দেখে তাহলে তার মর্যাদা বেড়ে যায় এবং তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়। এই দৃষ্টান্তগুলো থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শান ও মান কত উর্দ্ধে।
নবীজির আহলে বাইতের মর্যাদাঃ
নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবচেয়ে নিকটের মানুষ হচ্ছেন আহলে বাইত বা নবী পরিবারের সদস্যগণ। তাই আহলে বাইতের সদস্যগণের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। আল্লাহ তায়ালা আহলে বাইত বা নবী পরিবার সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা আর আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে বলেন-
اِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُظْهِرَكُمْ تَطْهِيْرًا
অর্থাৎ- “হে নবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ! আল্লাহ তায়ালা তো এটাই চান যে, তিনি তোমাদের থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর করে দেবেন এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পূতঃ পবিত্র রাখবেন।”
আহলে বাইতকে ভালোবাসা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের চাওয়া। এই প্রসঙ্গে কালামে পাকের সুরা আশ শুরার ২৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেন-
قُلْ لَّا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَي
অর্থাৎ- “হে প্রিয় হাবীব! আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট আমার অবদানের বিনিময়ে কিছুই কামনা করি না। তবে আমার বংশধরদের প্রতি প্রেম ভালোবাসা অবশ্যই কামনা করি।”
উপরোক্ত আয়াতে কারীমাতে আমরা দেখি যে, যিনি আমাদেরকে ইসলাম দিয়েছেন, তিনি বলছেন সেই ধর্ম প্রাপ্তির বিনিময়ে আমরা যেনো আহলে বাইতকে ভালোবাসি। আর এটা আল্লাহর হাবীব নিজে বলছেন না বরং আল্লাহ পাক তাঁকে দিয়ে বলাচ্ছেন। অর্থাৎ- আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা রাখা আল্লাহরও চাওয়া।
এছাড়া আহলে বাইতের মহব্বত প্রসঙ্গে অনেক হাদীস রয়েছে। যেমন একখানা হাদীসে প্রিয় নবী ইরশাদ করেন- “হে আল্লাহ! আমি হাসান ও হুসাইনকে ভালোবাসি। অতএব আপনিও তাদের ভালোবাসুন। আর যারা হাসান হুসাইনকে ভালোবাসে সে প্রেমিকদেরকেও আপনি ভালোবাসুন।” (মেশকাত শরীফ)
আরেক হাদীসে আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- “আল্লাহর ভালোবাসার জন্য আমাকে ভালোবাসো আর আমার ভালোবাসার জন্য আমার আহলে বাইতকে ভালোবাসো।” (মেশকাত)
অন্য এক হাদীসে নবীজি ইরশাদ করেন-
اِنَّمَا مَثَلُ اَهْلِ بَيْتِي فِيْكُمْ كَمَثَلِ سَفِيْنَةِ نُوْحُ مَنْ رَكَبِهَا نَجَا وَمَنْ تَخْلَفَ عَنْهَا غَرَقَ
অর্থাৎ- “নিশ্চয়ই আমার আহলে বাইত হযরত নূহ আলাইহিস সালামের নৌকা সদৃশ। যে ব্যক্তি আহলে বাইতের নৌকায় আরোহন করবে সে মুক্তি পাবে। আর যে ব্যক্তি আহলে বাইতের নৌকায় আরোহন থেকে বিরত থাকবে, সে ধ্বংস হয়ে যাবে।” (মেশকাত শরীফ)
আহলে বাইতের মর্যাদার আরেকটি নিদর্শন হলো নবীজি হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বেহেশতের মহিলাদের সর্দার এবং ইমাম হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে জান্নাতের যুবকগণের সর্দার ঘোষণা করেছেন।
নবীজির স্পর্শে জমিন পবিত্রঃ
শুধু মানুষ নয়, যা কিছু নবীজির স্পর্শ পেয়েছে তাই দামী হয়ে গেছে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে শুভাগমনের সাথে সাথে নবীজির পদধুলিতে জমিন পবিত্র হয়েছে। উম্মতে মোহাম্মদী জমিনের যেখানে খুশি সেখানে সিজদা দেওয়ার সুযোগ পেলো। নবীজির আগমনের পূর্বে নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া সিজদা দেওয়া যেতো না। এ প্রসঙ্গে বুখারী, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ শরীফে হাদীস এসেছে-
جُعِلَتْ لِيَ الْاَرًضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا فَأَيُّمَا رَجُلٍ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ فَلْيُصَلِّ
অর্থাৎ- “গোটা দুনিয়াকে আমার জন্য মসজিদ করে দেওয়া হয়েছে এবং পবিত্র করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আমার উম্মতের যে কারো যেখানেই নামাজের সময় উপস্থিত হোক না কোন, নামাজ পড়ে নিতে পারবে।”
নবীজির স্পর্শে মদিনা পবিত্রঃ
একই ভাবে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পদধুলি পেয়ে অখ্যাত ইয়াসরিব হয়ে গেলো মদিনা মোনাওয়ারা। মদিনার ফজিলত বর্ণনা করে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
اَلْمَدِيْنَةُ خَيْرُ لَّهُمْ لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ لَا يَدَعُهَا اَحَدٌ رَغْبَةً عَنْهَا اِلَّا اَبْدَلَ اللهُ فِيْهَا مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِّنْهُ وَلَا يَثْبُتُ اَحَدٌ عَلَي لَاوَائِهَا وَجَهِدْهَا اِلَّا كُنْتُ لَهُ شَفِيْعًا اَوْ شَهِيْدًا يَوْمَ الْقِيَمَةِ
অর্থাৎ- “মদিনা তাদের জন্য কল্যানকর, যদি তারা জানতো! যে আগ্রহ হারিয়ে মদিনা ত্যাগ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার পরিবর্তে তার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিকে মদিনাতে নিয়ে আসবেন। আর যে প্রতিকূলতা ও কষ্ট সহ্য করে মদিনাতে অবস্থান করবে, আমি কেয়ামতের দিন তার সুপারিশকারী বা স্বাক্ষী হবো।”
আরেক হাদীসে বলেছেন-
اَلْمَدِيْنَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ اِلَي ثَوْرٍ- مَنْ اَحْدَثَ فِيْهَا أَوْ اَوَي مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ- لَا يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا
অর্থাৎ- “আইর এবং সউর পর্বতের মধ্যবর্তী অংশ মদিনা হারাম। যে এখানে কোন দুষ্কর্ম করবে অথবা কোন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ তায়ালা, ফেরেশতা এবং সমস্ত মানুষের অভিশাপ। আল্লাহ তায়ালা তার ফরজ, নফল কোন ইবাদত কবুল করবেন না।”
নবীজির রওজা শরীফের মর্যাদাঃ
নবীজির ছোঁয়ায় রওজা শরীফের মাটি এতো মূল্যবান হয়েছে যে, তা আসমান-জমিন, কাবা, আরশ, কুরসি, লাওহ-কলম সহ কিছুর থেকেও দামী হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফতোয়া শামী ৩য় খন্ডে যিয়ারত অধ্যায়ে বলা হয়েছে-
اِنَّ التُّرَبَةَ الَّتِي اِتَّصَلَتْ اِلَي اَعْظُمِ النَّبِيِّ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ اَفْضَلُ مِنَ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ حَتَّي الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ-
অর্থাৎ- “রওযা মোবারকের যে মাটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর দেহ মোবারকের সাথে লেগে আছে, তা আসমান জমীন এমনকি আরশে আযীম হতেও উত্তম”।
তব ছোঁয়া পেয়েছে যে
হয়েছে দামী এই ধরাতে,
তুষ্ট হয়ে খোদা তাদের
দিবেন জান্নাত আখেরাতে।