একদিন রাওয়ালপিন্ডির আস্তানায় আমি অবস্থান করছিলাম। রাতে অধ্যয়নের ফাঁকে মাথায় একটি চিন্তা আসলো। যা আমাকে বরাবরের ন্যায় অস্থির করে তোলে। বিষয়টি হলো হযরত মওলা আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর শাসনকালে কেন এত বেশী ফিতনার উদ্ভব হলো? এমনকি ঐ সময়ের ফিতনায় ৪৫ হাজার আসহাবে রসূল শাহাদত বরণ করলো। আর এভাবে যেতে যেতে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত শাহাদাতের শরবত পান করলো। এটুকু ভাবতে ভাবতে ব্যথিত হৃদয় আর সিক্ত নয়নে নিদ্রা চলে আসলো। যেই নিদ্রা আসে, আল্লাহর কসম! আমি প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কদমাঈন শরীফ স্বপ্নে দেখি। মাথা উত্তোলন করে দেখি হুযুর চাদরে কেউ একজনকে আবৃত করে দাঁড়িয়ে আছেন। হুযুরের সামনে একজন জেনিসারীর ন্যায় দাঁড়িয়ে আছেন। পেছনে পর্দার আড়ালে হয়তো কেউ আছেন।
আমি বা আদব দাঁড়িয়ে আছি। আর হুযুর আমার দিকে তাকিয়ে নিজের সীনার চাদরের দিকে ইশারা করে বলছেন, আলাউদ্দীন! তুমি কী জান আমার চাদরের ভেতর তিনি কে? তিনি ‘আমার হোসাইন’। সামনে আমার হেফাজতে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি ‘আমার আলী’। পেছনে পর্দার আড়ালে তিনি ‘আমার ফাতেমা’। তোমার অস্থিরতার অবসান করতে শুধু এতটুকু জেনে নাও যে, আমরা এখানে যারা আছি তাঁরা সমগ্র কায়েনাতের জিন্দেগী।

জাগ্রত হলাম। পুরো শরীর শিহরিত হলো। আমার প্রশ্নের যথার্থ উত্তর পেয়ে গেলাম। শোকরিয়া আদায়ের জন্য দরূদ ও সালামের নজরানা পেশ করলাম।

~শায়খুল আলম পীর ড আলাউদ্দীন সিদ্দীকী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)
Top